অর্থনীতি
সাবেক গভর্নরের উদার নীতিতে ঋণে পুনঃ তফসিলের রেকর্ড
দেশের ব্যাংকিং খাত থেকে যে পরিমাণ ঋণ দেওয়া হয়, পরিশোধের বেলায় তার অধিকাংশই ফিরে না। নানান অজুহাত আর টালবাহানায় এসব লেনদেন মন্দ ঋণে পরিণত হয়। একসময় পতিত হয় খেলাপিতে। তবে খেলাপি ঋণ কম দেখাতে পুনঃ তফসিলের নীতিতে ভর করে বাংলাদেশ ব্যাংক। সাবেক গভর্নর পলাতক আব্দুর রউফ তালুকদারের সেই উদার নীতির কারণে পুনঃ তফসিল করা ঋণ লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে। শুধু ২০২৩ সালেই ব্যাংকগুলোর পুনঃ তফসিল করা ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৯১ হাজার কোটি টাকার বেশি। এক বছরের হিসাবে এ যাবৎকালের মধ্যে যা সর্বোচ্চ।
গত বছর শেষে ব্যাংক খাতের পুনঃ তফসিল করা ঋণের স্থিতি দাঁড়িয়েছে দুই লাখ ৮৮ হাজার ৫৪০ কোটি টাকা, যা ব্যাংকগুলোর বিতরণ করা মোট ঋণের ১৮.৭৫ শতাংশ। ব্যাংকাররা বলছেন, সে সময় পুনঃ তফসিল করা ঋণ পুনরায় খেলাপি হতে শুরু করেছে।
গতকাল রবিবার প্রকাশিত বাংলাদেশ ব্যাংকের আর্থিক স্থিতিশীলতা প্রতিবেদনে এসব তথ্য উঠে এসেছে। গত পাঁচ বছরের তথ্য বিশ্লেষণে দেখা যায়, ২০১৯ সালে ব্যাংকগুলো ৫২ হাজার ৩৭০ কোটি টাকার ঋণ পুনঃ তফসিল করে।
সূত্র বলছে, ২০১৯ সালে খেলাপি থেকে নবায়ন করা ঋণের স্থিতি ছিল ১ লাখ ৩৬ হাজার ২৩০ কোটি টাকা। এর মধ্যে ওই বছরে আবার খেলাপি হয়েছিল ২৯ হাজার ৮৮০ কোটি টাকা, যা মোট নবায়ন করা ঋণের ২১ দশমিক ৯ শতাংশ।
২০২০ সালে খেলাপি থেকে নবায়ন করা ঋণের স্থিতি ছিল ১ লাখ ৫৫ হাজার ৬৩০ কোটি টাকা। এর মধ্যে ওই বছর আবার ২৯ হাজার ৯৩০ কোটি টাকার ঋণ নতুন করে খেলাপি হয়ে পড়ে, যা মোট নবায়ন করা ঋণের ১৯ দশমিক ২ শতাংশ।
২০২১ সালে নবায়ন করা ঋণের স্থিতি ছিল ১ লাখ ৬৮ হাজার ৩৯০ কোটি টাকা। এর মধ্যে ওই বছর ৩২ হাজার ৯৬০ কোটি টাকার ঋণ নতুন করে খেলাপি হয়ে পড়ে, যা মোট নবায়ন করা ঋণের ১৯ দশমিক ৬ শতাংশ।
২০২২ সালে খেলাপি থেকে নবায়ন করা ঋণের স্থিতি ছিল ২ লাখ ১২ হাজার ৭৮০ কোটি টাকা। এর মধ্যে একই বছর নতুন করে খেলাপি হয়েছে ৪০ হাজার ৮৬০ কোটি টাকা, যা ছিল মোট নবায়ন করা ঋণের ১৯ দশমিক ২ শতাংশ।
২০২৩ সালে খেলাপি থেকে নবায়ন করা হয়েছে এমন ঋণের স্থিতি ছিল ২ লাখ ৮৮ হাজার ৫৪০ কোটি টাকা। এর মধ্যে ওই বছর নতুন করে খেলাপি হয়েছে ৫৪ হাজার ৬০ কোটি টাকা, যা মোট নবায়ন করা ঋণের ১৮ দশমিক ৭ শতাংশ।
গত বছর পুনঃ তফসিল ঋণ অস্বাভাবিক বৃদ্ধি পায়। এর জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকের ছাড়নীতি ও দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে দায়ী করা হচ্ছে। কারণ, নির্বাচনে প্রার্থী হতে গত বছরের শেষ দিকে অনেকেই খেলাপি ঋণ পুনঃ তফসিলের মাধ্যমে নিয়মিত হন। কেননা প্রার্থীদের নামে খেলাপি ঋণ থাকলে তা মনোনয়নপত্র দাখিলের আগে নবায়ন বা পরিশোধ করতে হয়।
সূত্র বলছে, নির্বাচনকে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করে সে সময় বাছবিচার ছাড়াই বিপুল পরিমাণ খেলাপি ঋণ পুনঃ তফসিল করা হয়। কারণ, ২০২২ সালের জুলাইয়ে পলাতক গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার এসে খেলাপি ঋণ পুনঃ তফসিলের পুরো ক্ষমতাই ব্যাংকগুলোর হাতে ছেড়ে দেয়। সেই সঙ্গে খেলাপি ঋণ পুনঃ তফসিলের নীতিমালাও শিথিল করা হয়।
বিশ্লেষকরা বলছেন, এভাবে বারবার খেলাপি ঋণ পুনঃ তফসিলে ছাড় দেওয়াটা ইতিবাচক কিছু বয়ে আনছে না। উল্টো যে ঋণগুলো পুনঃ তফসিলের মাধ্যমে নিয়মিত করা হচ্ছে, সেই ঋণ পরিশোধে টালবাহানায় আবার খেলাপি হয়ে যাচ্ছে।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
সপ্তাহব্যাপী ৭ম অনলাইন আবাসন মেলা শুরু আজ
সপ্তাহব্যাপী অনলাইন আবাসন মেলা ২০২৪ শুরু হচ্ছে আজ সোমবার। ‘সুযোগ এসেছে আবার, ঘরে বসেই স্বপ্নের আবাস খোঁজার’ স্লোগানে সপ্তমবারের মতো চালু হওয়া এই মেলায় গ্রাহকেরা ঘরে বসেই জমি, ফ্ল্যাট ও বাণিজ্যিক প্রকল্পগুলোর খোঁজখবর পাবেন। মেলাটি চলবে আগামী ৬ অক্টোবর পর্যন্ত।
আন্তর্জাতিক পুরস্কারপ্রাপ্ত এই উদ্যোগের প্রধান পৃষ্ঠপোষক ডিবিএল সিরামিকস। এতে কৌশলগত অংশীদার হয়েছে আবাসন ব্যবসায়ীদের সংগঠন রিয়েল এস্টেট অ্যান্ড হাউজিং অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (রিহ্যাব)। সহযোগিতায় রয়েছে আসবাবের ব্র্যান্ড হাতিল। এ ছাড়া ব্র্যাক ব্যাংক বিশেষ অংশীদার এবং ন্যাশনাল পলিমার (এনপলি) ও বিক্রয় ডটকম কো-স্পনসর হয়েছে।
এবারের মেলায় অংশগ্রহণ করছে ঢাকাসহ সারা দেশের আবাসন খাতসংশ্লিষ্ট স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠানগুলো। সেগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে রুপায়ন হাউজিং এস্টেট, ট্রপিক্যাল হোমস, র্যাংগস প্রোপার্টিজ, আনোয়ার ল্যান্ডমার্ক, ভাইয়া গ্রুপ, অঙ্গন প্রোপার্টিজ, নর্থ সাউথ গ্রুপ, ক্রিডেন্স হোল্ডিংস, পূর্বাচল মেরিন সিটি, নতুনধরা অ্যাসেটস, কমপ্রিহেনসিভ হোল্ডিংস, আমিন মোহাম্মদ ফাউন্ডেশন, স্বপ্ননিবাস অ্যাসেটস, জেবিএস, কিউব হোল্ডিংস, কনকর্ড গ্রুপ, দোয়েল ডেভেলপমেন্ট প্রোপার্টিজ, কৃষিবিদ গ্রুপ রিয়েল এস্টেট, অ্যাডভান্সড ডেভেলপমেন্টস টেকনোলজিস, শামসুল আলামিন রিয়েল এস্টেট, জেসিএক্স, নেস্ট ডেভেলপমেন্টস, ইউনিমাস হোল্ডিংস, সুবর্ণভূমি হাউজিং, এশিয়ান ডুপ্লেক্স টাউন, মাস্কট প্রোপার্টিজ, অ্যাসোর্ট হাউজিং অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং, পারটেক্স বিল্ডার্স, ইনটেক প্রোপার্টিজ এবং ইনটেরিয়র প্রতিষ্ঠান ফার্নি প্রভৃতি।
সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে রাজধানীর একটি হোটেলে আজ বিকেলে পর্দা উঠবে এবারের অনলাইন আবাসন মেলার। এ আয়োজনের ফলে আগ্রহী ক্রেতারা অনলাইনে আবাসন প্রতিষ্ঠানগুলোর বিভিন্ন প্রকল্পের বিস্তারিত দেখতে পারবেন। চাইলে অনলাইনেই প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে যোগাযোগ করা যাবে।
অনলাইনে আয়োজিত এই মেলায় প্রদর্শিত হবে আবাসন-সংশ্লিষ্ট শীর্ষস্থানীয় প্রতিষ্ঠানের স্টল, জমি, ফ্ল্যাট ও বাণিজ্যিক প্রকল্পের বিস্তারিত তথ্য। সেই সঙ্গে আবাসনবিষয়ক নানা খুঁটিনাটি নিয়ে ফিচার, প্রজেক্ট রিভিউ ভিডিও ও বিশেষ সাক্ষাৎকার থাকবে।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
পাচারের অর্থ ফেরাতে টাস্কফোর্স পুনর্গঠন, প্রধান গভর্নর
দেশ থেকে বিদেশে পাচার হওয়া অর্থ ফেরতে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরকে প্রধান করে ১৪ সদস্যের বিদ্যমান টাস্কফোর্স পুনর্গঠন করেছে অর্থ মন্ত্রণালয়। এবার সদস্য সংখ্যা কমিয়ে ৯ জন করা হয়েছে।
রবিবার (২৯ সেপ্টেম্বর) অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে। আগে অ্যাটর্নি জেনারেলের নেতৃত্বে এই টাস্কফোর্স গঠন করা হয়েছিল। কিন্তু ওই কমিটি বৈঠক করা ছাড়া কোনো সফলতা দেখাতে পারেনি। সেই প্রেক্ষিতে নতুন করে এই কমিটি গঠনের কথা জানিয়েছিলেন অন্তবর্তীকালীন সরকারের অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ।
পুনর্গঠিত কমিটিতে গভর্নর ছাড়াও বাংলাদেশ ব্যাংক, বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট- বিএফআইইউ, দুর্নীতি দমন কমিশন, অর্থ বিভাগ, এনবিআর, অ্যাটর্নি জেনারেলের কার্যালয়, বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন- বিএসইসি, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধিকে টাস্কফোর্সের সদস্য করা হয়েছে।
আর নতুন টাস্কফোর্স থেকে বাদ দেয়া হয়েছে- বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) কমিশনার, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মহাপরিচালক, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের যুগ্ম সচিব, এনবিআরের সেন্ট্রাল ইন্টেলিজেন্স সেলের মহাপরিচালক এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালককে (বৈদেশিক মুদ্রানীতি বিভাগ)।
এ ব্যাপারে অর্থ মন্ত্রণালয়ের ওই প্রজ্ঞাপনে বলা হয়,আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের ২০২৩ সালের ১৫ জানুয়ারি দেওয়া প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে গঠিত বিদেশে পাচার হওয়া সম্পদ বাংলাদেশে ফেরত আনা ও ব্যবস্থাপনার লক্ষ্যে গঠিত আন্তঃসংস্থা টাস্কফোর্স সরকার পুনর্গঠন করেছে। টাস্কফোর্সের কার্যপরিধি হবে-
১. বাংলাদেশ থেকে বিদেশে পাচার হওয়া অর্থ বা সম্পদ চিহ্নিতকরণ ও তদন্তে সংশ্লিষ্ট পক্ষকে সহযোগিতা করা।
২. পাচারকৃত সম্পদ উদ্ধারে দায়ের করা মামলাগুলোর কার্যক্রম দ্রুত সম্পন্ন করার ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধকতা চিহ্নিত করা ও তা দূরীকরণে উদ্যোগ নেয়া।
৩. বিদেশে পাচার হওয়া সম্পদ বাংলাদেশে ফেরত আনার উদ্যোগ নেওয়া।
৪. জব্দ বা উদ্ধার হওয়া সম্পদের ব্যবস্থাপনার জন্য প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেওয়া।
৫. এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট দেশ, বিদেশি সংস্থার সঙ্গে যোগাযোগ, তথ্য আহরণ করা এবং
৬. পাচার হওয়া সম্পদ উদ্ধারে সংশ্লিষ্ট পক্ষের সক্ষমতা বাড়ানো ও অভ্যন্তরীণ সমন্বয় সাধন।
প্রজ্ঞাপনে আরও বলা হয়, টাস্কফোর্স প্রয়োজনে সরকারি-বেসরকারি কোনো সদস্য কো-অপ্ট করতে পারবে এবং কোনো দেশি-বিদেশি সংস্থার প্রতিনিধি বা বিশেষজ্ঞকে সভায় উপস্থিত হওয়াসহ বিশেষজ্ঞ মতামত বা পরামর্শ দেওয়া অনুরোধ করতে পারবে। বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর মো. জাকির হোসেন চৌধুরী টাস্কফোর্সের কার্যাবলি সমন্বয় করবেন এবং বিএফআইইউ টাস্কফোর্সকে প্রয়োজনীয় সাচিবিক সহায়তা দেবে।
উল্লেখ্য, পাচার হওয়া অর্থ ফেরতের উদ্দেশ্যে ২০১৩ সালে প্রথম ১০ সদস্যের আন্তসংস্থা টাস্কফোর্স গঠন করা হয়। পরে ২০২২ সালের ৫ জুন এর সদস্যসংখ্যা বাড়িয়ে করা হয় ১৪। বরাবরই অ্যাটর্নি জেনারেলকে আহ্বায়ক করা হয়। আর সদস্যসচিব ছিলেন বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের উপপ্রধান কর্মকর্তা। এত বছর তারা শুধু বৈঠক করেছেন, কিন্তু দৃশ্যমান কোনো অগ্রগতি দেখাতে পারেননি। ২০২৩ সালের ১৫ জানুয়ারি আবারও পুনর্গঠন করা হয় ওই টাস্কফোর্স।
প্রসঙ্গত, ওয়াশিংটনভিত্তিক আন্তর্জাতিক সংস্থা গ্লোবাল ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টিগ্রিটির (জিএফআই) সর্বশেষ প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০০৯ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত বৈদেশিক বাণিজ্যের আড়ালে বাংলাদেশ থেকে ৪ হাজার ৯৬৫ কোটি ডলার পাচার হয়। বাংলাদেশি মুদ্রায় যার পরিমাণ সোয়া ৪ লাখ কোটি টাকা।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
আরও ১৬ পণ্যের বিএসটিআই সনদ বাধ্যতামূলক হচ্ছে
ইলেক্ট্রোলাইট ড্রিংকস (স্পোর্টস ড্রিংকস), প্রিন্টেড সিল্ক শাড়ি, ডিস ওয়াসার্স, ওয়াশিং মেশিন, কিচেন মেশিনস, কিচেন হুডস, বেড ম্যাট্রেসসহ আরো ১৬টি পণ্যকে বাধ্যতামূলক মান সনদের আওতাভুক্ত করা হয়েছে।
পণ্যের মান প্রণয়ন ও নিয়ন্ত্রণকারী সংস্থা বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশন (বিএসটিআই) আজ রবিবার তেজগাঁওস্থ বিএসটিআই’র প্রধান কার্যালয়ে প্রতিষ্ঠানের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী কর্তৃপক্ষ কাউন্সিলের সভায় বাধ্যতামূলক মান সনদের তালিকায় ১৬টি নতুন পণ্য অন্তর্ভুক্তির সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
বর্তমানে বিএসটিআইর বাধ্যতামূলক মান সনদের আওতাভুক্ত পণ্যের সংখ্যা ২৯৯ টি। এ ১৬টি পণ্যের গেজেট করা হলে বাধ্যতামূলক মান সনদের সংখ্যা দাঁড়াবে ৩১৫টি।
আরো যেসব পণ্য বাধ্যতামূলক মান সনদের আওতাভূক্ত করা হয়েছে সেগুলো হলো- স্টেভিয়ল গ্লাইকোসাইডস, কাস্টার্ড পাউডার, ইভাপোরেটেড স্কিম মিল্ক অ্যান্ড ভেজিটেবল ফ্যাট, ইভাপোরেটেড মিল্কস, অ্যালুমিনিয়াম এলয় ফয়েল, উড প্লাস্টিক রিসাইকেল কম্পোজিটস, হাউজহোল্ড ইলেকট্রিক কুকিং অ্যাপ্লায়েন্স এবং জেল ইন্ক বল পেন অ্যান্ড রিফিলস।
শিল্প উপদেষ্টা ও বিএসটিআই কাউন্সিলের চেয়ারম্যান আদিলুর রহমান খান সভায় সভাপতিত্ব করেন। বিএসটিআই কাউন্সিলের ভাইস চেয়ারম্যান শিল্প মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব জাকিয়া সুলতানা, বিএসটিআই’র মহাপরিচালক ও কাউন্সিলের সদস্য-সচিব এস এম ফেরদৌস আলম উপস্থিত ছিলেন।
এছাড়া সভায় শিল্প, স্বরাষ্ট্র, অর্থ, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ, বাণিজ্য, বস্ত্র ও পাট, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি, আইন, কৃষি, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ এবং তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়; বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ, বাংলাদেশ টেলিভিশন, কৃষি গবেষণা কাউন্সিল, বাংলাদেশ এটোমিক এনার্জি কমিশন, বিসিএসআইআর, ইপিবি এবং এফবিসিসিআই, বিসিসিআই, এমসিসিআই, ডিসিসিআই, ক্যাবসহ কাউন্সিলের সদস্য প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা অংশ নেন। বিএসটিআই’র মহাপরিচালক ও কাউন্সিলের সদস্য সচিব এস এম ফেরদৌস আলম সভা পরিচালনা করেন।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
২৮ দিনে রেমিট্যান্স ছাড়ালো দুই বিলিয়ন ডলার
চলতি মাসের চার সপ্তাহেই দুই বিলিয়ন ডলার (২১১ কোটি ডলার) ছাড়িয়েছে প্রবাসী আয় বা রেমিট্যান্স, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় (প্রতি ডলার ১২০ টাকা হিসাবে) ২৫ হাজার ৩৫৭ কোটি টাকার বেশি।
বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদন বলছে, চলতি (সেপ্টেম্বর) মাসের প্রথম ২৮ দিনে ২১১ কোটি ৩১ লাখ ১০ হাজার ডলারের রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন প্রবাসী বাংলাদেশিরা। আর প্রতিদিন আসছে গড়ে ৭ কোটি ৫৫ লাখ ডলার বা ৯০৬ কোটি টাকা। যদিও আলোচিত সময়ে কোনো রেমিট্যান্স আসেনি সাত ব্যাংকের মাধ্যমে।
আলোচিত সময়ে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে ৫৮ কোটি ৬৫ লাখ ডলার, বিশেষায়িত একটি ব্যাংকের মাধ্যমে ৯ কোটি ২৬ লাখ মার্কিন ডলার, বেসরকারি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে ১৪২ কোটি ৮৬ লাখ ৭০ হাজার ডলার এবং বিদেশি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ৫৩ লাখ মার্কিন ডলারের বেশি রেমিট্যান্স।
আলোচিত সময়ে কোনো রেমিট্যান্স আসেনি, এমন ব্যাংকের সংখ্যা সাতটি। এরমধ্যে রয়েছে- রাষ্ট্র মালিকানাধীন বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক বা বিডিবিএল, বিশেষায়িত রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক বা রাকাব। বেসরকারি ব্যাংকের মধ্যে রয়েছে- কমিউনিটি ব্যাংক, আইসিবি ব্যাংক, বিদেশি খাতের হাবিব ব্যাংক, ন্যাশনাল ব্যাংক অব পাকিস্তান এবং স্টেট ব্যাংক অব ইন্ডিয়া।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্যমতে, আগস্ট মাসে রেমিট্যান্স এসেছিল ২২২ কোটি (২.২২ বিলিয়ন) ডলার, যা তার আগের বছরের (আগস্ট-২০২৩) একই সময়ের চেয়ে ৬২ কোটি ডলার বেশি। গত বছরের আগস্ট মাসে এসেছিল প্রায় ১৬০ কোটি ডলারের রেমিট্যান্স।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
সমবায় ব্যাংকের ১২ হাজার ভরি স্বর্ণের হদিস নেই
সমবায় ব্যাংকের ১২ হাজার ভরি স্বর্ণের হদিস মিলছে না বলে জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের স্থানীয় সরকার বিষয়ক (এলজিআরডি) উপদেষ্টা এ এফ হাসান আরিফ।
রবিবার (২৯ সেপ্টেম্বর) দুপুরে কুমিল্লার পল্লী উন্নয়ন একাডেমী বার্ডের ৫৭তম বার্ষিক পরিকল্পনা সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যকালে এ কথা জানান তিনি।
উপদেষ্টা বলেন, সমবায় ব্যাংকের ১২ হাজার ভরি স্বর্ণের খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না। ব্যাংকের সম্পত্তি বেদখল হয়ে আছে। অন্য সমবায়গুলো শুধু কমিটি কারা করবে এ নিয়ে মারামারি, মামলা করে। সমবায় ব্যাংক দাঁড়াতে পারছে না কারণ সমবায়ীদের মধ্যে সমবায়ের মন-মানসিকতার অভাব রয়েছে। সমবায়ীরা শুধু কমিটিতে ঢুকতে চায়, কী উন্নয়ন হলো সেটির দিকে তাদের লক্ষ্য নেই।
পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগের সচিব মোসাম্মৎ শাহানারা খাতুনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ওই সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন পিপিআরসি চেয়ারম্যান ড. হোসেইন জিল্লুর রহমান, স্থানীয় সরকার বিশেষজ্ঞ প্রফেসর ড. তোফায়েল আহমেদ, বাংলাদেশ পল্লী উন্নয়ন একাডেমির (বার্ড) মহাপরিচালক সাইফ উদ্দিন আহমেদ প্রমুখ।