গণমাধ্যম
সাংবাদিক শফিক রেহমানের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা প্রত্যাহার
শেখ হাসিনার ছেলে জয়কে অপহরণ ও হত্যাচেষ্টা মামলায় দণ্ডপ্রাপ্ত সাংবাদিক শফিক রেহমানের বিরুদ্ধে জারি করা গ্রেপ্তারি পরোয়ানা প্রত্যাহার করেছেন আদালত। সোমবার (৩০ সেপ্টেম্বর) ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. মাহবুবুল হকের আদালত এ আদেশ দেন।
এর আগে, এদিন সকালে এ মামলায় সাজার বিরুদ্ধে আপিল দায়েরের শর্তে আদালতে আত্মসমর্পণ করেন তিনি। শুনানি শেষে বিচারক শফিক রেহমানের বিরুদ্ধে জারি হওয়া গ্রেপ্তারি পরোয়ানা প্রত্যাহার করেন। একইসঙ্গে সাজা পরোয়ানা রিকল করেছেন।
এদিকে, গত ২২ সেপ্টেম্বর সাংবাদিক শফিক রেহমান ও যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী ব্যবসায়ী মিজানুর রহমান ভূঁইয়ার সাজা এক বছরের জন্য স্থগিত করে প্রজ্ঞাপন জারি করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। আদালতে আত্মসমর্পণ পূর্বক আপিল দায়েরের শর্তে এ সাজা এক বছরের জন্য স্থগিত করা হয়।
উল্লেখ্য, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়কে অপহরণ এবং হত্যাচেষ্টার মামলায় গত বছরের ১৭ আগস্ট সম্পাদক মাহমুদুর রহমান ও শফিক রেহমানসহ পাঁচজনকে পৃথক দুই ধারায় সাত বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেন আদালত।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আইন-আদালত
কারাগারে সাংবাদিক মাহমুদুর রহমান
সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়কে অপহরণের মাধ্যমে হত্যার ষড়যন্ত্রের অভিযোগে করা মামলায় দৈনিক আমার দেশ পত্রিকার ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মাহমুদুর রহমানকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।
রোববার (২৯ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টার পর ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির হয়ে ওই মামলায় আত্মসমর্পণ করেন তিনি। সেইসঙ্গে আপিল শর্তে জামিন আবেদন করেন তিনি।
শুনানি শেষে অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মাহবুবুল হক জামিন না মঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, ২০১১ সালের সেপ্টেম্বরের আগে যেকোনো সময় থেকে এ পর্যন্ত (মামলা দায়েরের সময়) বিএনপির সাংস্কৃতিক সংগঠন জাসাসের সহ-সভাপতি মোহাম্মদ উল্লাহ মামুনসহ বিএনপি ও দলটির নেতৃত্বাধীন জোটভুক্ত অন্য দলগুলোর উচ্চপর্যায়ের নেতারা রাজধানীর পল্টনের জাসাস কার্যালয়ে, আমেরিকার নিউইয়র্ক শহরে, যুক্তরাজ্য ও বাংলাদেশের বিভিন্ন এলাকার আসামিরা একত্রিত হয়ে যোগসাজশে (সাবেক) প্রধানমন্ত্রীর ছেলে ও তার প্রযুক্তিবিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়কে যুক্তরাষ্ট্রে অপহরণ করে হত্যার ষড়যন্ত্র করেন।
এ ঘটনায় ডিবি পুলিশের তৎকালীন পরিদর্শক ফজলুর রহমান ২০১৫ সালের ৩ আগস্ট বাদী হয়ে পল্টন মডেল থানায় এ মামলা করেন।
২০১৮ সালের ১৯ ফেব্রুয়ারি সাংবাদিক শফিক রেহমান ও মাহমুদুর রহমানসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেয় পুলিশ। এ মামলায় সজীব ওয়াজেদ জয়সহ ১২ জনের সাক্ষ্য নেন আদালত।
এর আগে এ মামলায় ২০২৩ সালের ১৭ আগস্ট ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আসাদুজ্জামান নুর সাংবাদিক শফিক রেহমান ও দৈনিক আমার দেশ পত্রিকার ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মাহমুদুর রহমানসহ পাঁচজনের সাত বছরের কারাদণ্ডাদেশ। সেসময় মাহমুদুর রহমান পলাতক (দেশের বাইরে) থাকায় তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত।
দণ্ডপ্রাপ্ত অন্য আসামিরা হলেন- জাতীয়তাবাদী সামাজিক সাংস্কৃতিক সংস্থার (জাসাস) সহ-সভাপতি মোহাম্মদ উল্লাহ মামুন, তার ছেলে রিজভী আহাম্মেদ ওরফে সিজার এবং যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী ব্যবসায়ী মিজানুর রহমান ভূঁইয়া।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
গণমাধ্যম
দেশে ফিরলেন আমার দেশ সম্পাদক মাহমুদুর রহমান
দৈনিক আমার দেশ পত্রিকার সম্পাদক ড. মাহমুদুর রহমান দেশে ফিরেছেন। শুক্রবার (২৭ সেপ্টেম্বর) সকাল ৯টায় একটি ফ্লাইটে তিনি তুরস্ক থেকে দেশে ফেরেন।
আওয়ামী সরকারের সময় মাহমুদুর রহমানের বিরুদ্ধে সারা দেশে ১২৪টি মামলা করা হয়েছিল। ২০১০ সালের জুনে প্রথম দফায় আমার দেশ বন্ধ ও সম্পাদক মাহমুদুর রহমানকে আটক করা হয়।
দ্বিতীয় দফায় ২০১৩ সালের ১১ এপ্রিল আবারও দ্বিতীয় দফায় আমার দেশ বন্ধ করে মাহমুদুর রহমানকে ধরে নিয়ে যায় পুলিশ। এরপর দিনের পর দিন রিমান্ডে নিয়ে চালানো হয় নির্যাতন। পরবর্তীতে সাজানো এক মামলায় মাহমুদুর রহমান এবং তার স্ত্রীকে ৭ বছর কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
উল্লেখ্য, গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করে দেশ ছেড়ে ভারতে যান। এরপর ৮ আগস্ট ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার গঠন করা হয়। নতুন সরকারের আমলে দেশে ফিরেছেন আমার দেশ সম্পাদক মাহমুদুর রহমান।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
খেলাধুলা
ক্রীড়া সাংবাদিক অঘোর মন্ডল আর নেই
দেশের খ্যাতিমান ক্রীড়া সাংবাদিক অঘোর মন্ডল আর নেই। বিভিন্ন শারীরিক জটিলতা নিয়ে বেশ কিছুদিন ধরে ঢাকার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) ভর্তি ছিলেন তিনি। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হন। পরিস্থিতির অবনতি ঘটলে তাকে লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়।
বিএসএমএমইউতে আজ বুধবার বিকেলে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৫৯ বছর।
বাগেরহাট থেকে উঠে আসা অঘোর মন্ডল তিন দশকের বেশি সময় ধরে সাংবাদিকতার সঙ্গে জড়িত ছিলেন। নব্বইয়ের দশকে ভোরের কাগজ থেকে তার সাংবাদিক জীবনের শুরু হয়। পরে যোগ দেন সম্প্রচার মাধ্যমে। কাজ করেছেন চ্যানেল আই ও দীপ্ত টিভিতে। সবশেষ এটিএন নিউজে বার্তা সম্পাদক হিসেবে কর্মরত ছিলেন অঘোর মন্ডল।
গুণী এই সাংবাদিক বাংলাদেশ স্পোর্টস জার্নালিস্টস এসোসিয়েশনের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ছিলেন। তার মৃত্যুতে সংগঠনটি গভীর শোক জানিয়েছে। এছাড়া বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে কাজ করা ক্রীড়া সাংবাদিকরা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অঘোর মন্ডলের প্রতি গভীর শোক প্রকাশ করেছেন।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
গণমাধ্যম
চলে গেলেন বিএফইউজের সভাপতি রুহুল আমিন গাজী
বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের (বিএফইউজে) সভাপতি রুহুল আমিন গাজী মারা গেছেন (ইন্নালিল্লাহি ওয়াইন্না ইলাইহি রাজিউন)। মঙ্গলবার (২৪ সেপ্টেম্বর) রাত ৯টায় চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
বিএনপির স্বাস্থ্যবিষয়ক সম্পাদক ডা. রফিকুল ইসলাম তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
সোমবার থেকে রুহুল আমিন রাজধানীর একটি হাসপাতালে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন ছিলেন।
জানা গেছে, কিডনি সংক্রান্ত জটিলতায় আক্রান্ত ছিলেন রুহুল আমিন গাজী। আওয়ামী সরকারের আমলে দীর্ঘ কারাবাসে তৈরি হয় নানা শারীরিক জটিলতা। ব্যাক পেইন, উচ্চ ডায়াবেটিস, লবণ ঘাটতি (ইলেক্ট্রলাইট) সমস্যাসহ নানা রোগে ভুগছিলেন।
গত ২২ সেপ্টেম্বর রাত পৌনে ৩টায় রুহুল আমিন গাজীকে চিকিৎসার জন্য থাইল্যান্ডে নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। তবে শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী সেখানে নেওয়া সম্ভব হয়নি। পরে এয়ারপোর্ট থেকে ফিরে আবারও ঢাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে তাকে ভর্তি করা হয়।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আইন-আদালত
সিএসবি টেলিভিশন সম্প্রচারে বাধা নেই: হাইকোর্ট
বাংলাদেশের প্রথম সংবাদভিত্তিক বেসরকারি টেলিভিশন ক্রোনাস স্যাটেলাইট ব্রডকাস্ট (সিএসবি নিউজ) বন্ধের সিদ্ধান্ত স্থগিত করেছেন হাইকোর্ট। ফলে সিএসবি নিউজ আবারও সম্প্রচার করতে কোনো বাধা নেই বলে জানিয়েছেন আইনজীবীরা।
সোমবার (২৩ সেপ্টেম্বর) বিচারপতি কামরুল হোসেন মোল্লা ও বিচারপতি কাজী জিনাত হকের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন। আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন।
সিএসবি নিউজ বন্ধের সিদ্ধান্ত স্থগিত চেয়ে আবেদনটি করেছেন বিএনপির প্রয়াত নেতা সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর ছেলে ফাইয়াজ কাদের চৌধুরী। সিএসবি নিউজ বাংলাদেশের প্রথম সংবাদভিত্তিক চ্যানেল। এটির মালিক ফোকাস মাল্টিমিডিয়া কোম্পানি।
২০০৭ সালের ৯ এপ্রিল চ্যানেলটির বাণিজ্যিক সম্প্রচার শুরু হয়। একই বছরের ৬ সেপ্টেম্বর বিটিআরসি তৎকালীন সরকারের বিরুদ্ধে টকশো ও সংবাদ প্রচারের অভিযোগ এনে চ্যানেলটি বন্ধ করে দেয়।
এমআই