পর্যটন
বান্দরবান ভ্রমণে পর্যটকদের জন্য ২০ শতাংশ ছাড়
বান্দরবানে ঝিমিয়ে পড়া পর্যটনশিল্পকে চাঙা করার লক্ষ্যে অভ্যন্তরীণ পরিবহনের ভাড়া ২০ শতাংশ কমানো হয়েছে। আজ রোববার এক সংবাদ সম্মেলনে পরিবহন মালিক সমিতির নেতারা ভাড়া কমানোর ঘোষণা দেন। আগামী ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত এই ২০ শতাংশ ছাড় কার্যকর থাকবে বলে জানিয়েছেন তাঁরা।
রোববার সকাল সাড়ে ১০টায় বান্দরবান প্রেসক্লাব মিলনায়তনে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। এতে বক্তব্য দেন পরিবহন মালিক সমিতির সভাপতি নাসিরুল আলম, সাধারণ সম্পাদক নেজাম চৌধুরী।
সংবাদ সম্মেলনে পরিবহননেতারা বলেন, করোনাভাইরাসের অতিমারিসহ নানা পরিপ্রেক্ষিতে পাঁচ বছর ধরে জেলায় পর্যটকশূন্যতা বিরাজ করছে। জেলার অধিকাংশ মানুষ পর্যটন খাতের ওপর নির্ভরশীল হওয়ায় তাঁরা বিপাকে পড়েছেন। সবচেয়ে বেশি বিপাকে রয়েছেন খাতের মালিক ও শ্রমিকেরা। জেলায় পর্যটক পরিবহনে এক হাজারের মতো মানুষ নিয়োজিত; যাঁরা জিপ, মাইক্রোবাসসহ বিভিন্ন ধরনের যানবাহনের চালক ও সহকারী। পর্যটক না থাকায় তাঁরা কর্মসংস্থান হারাচ্ছেন।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, জেলার রুমা ও রোয়াংছড়ি উপজেলার দুর্গম এলাকায় কিছু সমস্যা থাকলেও অন্য এলাকাগুলোতে এখন পর্যটক ভ্রমণে কোনো ধরনের সমস্যা নেই। পর্যটকেরা যেকোনো সময়ে যেকোনো স্থানে নিরাপদে ঘুরে বেড়াতে পারেন। বিষয়টি অনেকেই জানেন না। তাই পর্যটকদের উৎসাহিত করতে পরিবহনভাড়ায় ছাড় দেওয়া হয়েছে।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
খেলাধুলা
আইপিএল নিলামের আগে নিষিদ্ধ হলেন দুই ক্রিকেটার
আইপিএলের নিলামের আর একদিনও বাকি নেই। তার আগে বিপদে পড়লেন ভারতের দুই ক্রিকেটার। সন্দেহজনক বোলিং অ্যাকশনের কারণে তাদের নিষিদ্ধ করল বোর্ড অব কন্ট্রোল ফর ক্রিকেট ইন ইন্ডিয়া (বিসিসিআই)।
বোর্ডের সন্দেহের তালিকায় রয়েছেন আরও তিন ক্রিকেটার। নিলামের আগে সব দলকে চিঠি পাঠিয়ে এই ৫ ক্রিকেটারের কথা জানিয়ে দিয়েছে বিসিসিআই।
নিষেধাজ্ঞায় পড়া দুই ক্রিকেটার হলেন মানীশ পান্ডে ও সৃজিত কৃষ্ণ। দুজনেরই বোলিং অ্যাকশনে সমস্যা রয়েছে। তাই এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে বোর্ড।
আর সন্দেহজন বোলারের তালিকায় আছেন দীপক হুদা, সৌরভ দুবে এবং কেসি কারিয়াপ্পা। এই তিন জনের বোলিং অ্যাকশনকে সন্দেহজনক তালিকায় রেখেছে বিসিসিআই।
মানীশ, দীপকরা আইপিএলের নিয়মিত মুখ। যদিও এই ৫ ক্রিকেটারের কাউকেই দল রিটেইন করেনি। তবে নিলাম থেকে তাদের দল পাওয়ার যথেষ্ট সম্ভাবনা ছিল। কিন্তু বিসিসিআইয়ের এমন খবর জানার পর দলগুলো তাদের দলে ভেড়াতে নিশ্চয় ভাববে।
গতকাল শুক্রবার ভারতীয় বোর্ড জানিয়েছে, আগামী বছর আইপিএল শুরু ১৪ মার্চ থেকে। জানিয়ে দেওয়া হয়েছে ফাইনালের দিনও। আসন্ন আইপিএলের ফাইনাল হবে ২৫ মে। শুধু আগামী বছরের নয়, ২০২৭ পর্যন্ত আইপিএলের শুরু এবং ফাইনালের দিন জানিয়ে দিল বিসিসিআই।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
খেলাধুলা
পেসারদের তোপে ভাঙল ৭২ বছরের পুরনো রেকর্ড!
পার্থের পেসবান্ধব উইকেটে পেসাররা রাজত্ব করবেন এমনটা প্রত্যাশিতই ছিল। তবে চলমান টেস্টের প্রথম দিনটাতে বেশ বাড়াবাড়ি রকমই নাটাই ঘোরালেন দুই দলের পেসাররা। তাতে চোখে ‘সর্ষে ফুল’ দেখলেন যেন ব্যাটাররা।
হ্যাজলউড-স্টার্কদের তোপে নিজেদের প্রথম ইনিংসে মাত্র ১৫০ রানে গুটিয়ে যাওয়ার পর অস্ট্রেলিয়াকেও আষ্ঠেপৃষ্টে বেধে ফেলেছে ভারত। বুমরাহদের আগুনে বোলিংয়ে এরই মধ্যে স্কোরবোর্ডে মাত্র ৬৭ রান তুলতেই ৭ উইকেট হারিয়ে ফেলেছে স্বাগতিকরা। প্রথম দিনের খেলা শেষে ভারতের চেয়ে এখনো ৮৩ রান পিছিয়ে আছেন প্যাট কামিন্সরা।
পার্থ টেস্টের প্রথম দিনেই উইকেটের পতন হয়েছে ১৭টি। ১৯৫২ সালের পর অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে টেস্টের প্রথম দিনে সর্বোচ্চ উইকেট পতনের রেকর্ডও এটি।
নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ঘরের মাটিতে হোয়াইটওয়াশের লজ্জার পর অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে কঠিন চ্যালেঞ্জ অপেক্ষা করছিল ভারতের জন্য। বোর্ডার-গাভাস্কার সিরিজকে সামনে রেখে প্রতিপক্ষের খোঁচা টিপ্পনীতো ছিলই, এর মধ্যে নিয়মিত অধিনায়ক রোহিত শর্মাও দলের বাইরে। নতুন অধিনায়ক জসপ্রীত বুমরাহ নামলেন পার্থের বাইশগজে টসের জন্য। কয়েন ভাগ্য ভারতীয় অধিনায়কের পক্ষেই থাকে এদিন।
টস জিতে শুরুতে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন বুমরাহ। এদিন অস্ট্রেলিয়ার পেস ব্যাটারির সামনে কোনো জবাব ছিল না ভারতীয় ব্যাটারদের। নিজেদের প্রথম ইনিংসে মাত্র ১৫০ রানে গুটিয়ে গেছে ভারত। তাদের ইনিংসের স্থায়িত্ব ছিল কেবল ৪৯ ওভার ৪ বল।
দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৪১ রান করেন অভিষিক্ত নীতিশ কুমার রেড্ডি। এ ছাড়া রিশাভ পান্ত ৭৮ বলে ৩৭ রানের ইনিংস খেলেন। এ দুই ব্যাটারের ৮৫ বলে ৪৮ রানের জুটিটাই ভারতের রান দেড়শো পর্যন্ত নিয়ে গেছে শেষ পর্যন্ত।
একাই চার উইকেট তুলে নিয়ে ভারতের টপ এবং মিডল অর্ডারে বড় ধাক্কা দেন জশ হ্যাজেলউড। দুটি করে উইকেট যায় বাকি তিন অজি পেসারের ঝুলিতে। সবমিলিয়ে, পার্থের গতি আর বাউন্সে ভারতকে ধরাশায়ী করার পরিকল্পনায় সফল হয় অজিরা।
অস্ট্রেলিয়ার অস্ত্রেই স্বাগতিকদের বেকায়দায় ফেলল ভারত। দলকে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিলেন নেতা জশপ্রীত বুমরাহ। অধিনায়কের সঙ্গে দুরন্ত বোলিং করলেন মোহাম্মদ সিরাজ এবং ক্যারিয়ারের প্রথম টেস্ট খেলতে নামা হর্ষিত রানা। তিনজন মিলে ২৭ ওভার বল করেন। তাতেই তুলে নিয়েছেন বিপক্ষের সাত উইকেট। ২০ রানও টপকাতে পারেননি অস্ট্রেলিয়ার কোনো ব্যাটার।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পর্যটন
১৭৮ দেশ ভ্রমণের বিশ্ব রেকর্ড নাজমুন নাহারের
অস্ট্রেলিয়ার ঠিক উত্তরে এবং ইন্দোনেশিয়ার পশ্চিম সীমান্তে অবস্থিত পাপুয়া নিউগিনি অপূর্ব সুন্দর একটি দেশ। আমি যখন সলেমোন দ্বীপপুঞ্জ থেকে ফ্লাইটে উঠলাম পাপুয়া নিউগিনি যাওয়ার উদ্দেশ্যে ওই ফ্লাইটে মাত্র ১২ জন যাত্রী ছিলাম আমরা। আমার জীবনে কখনো এত বড় ফ্লাইটে এত ফাঁকা দেখিনি। তার মধ্যে আমি আর ইংল্যান্ডের মাথিও ছিলাম একমাত্র ট্যুরিস্ট। অনলাইনে ভিসার আবেদন করেছি, ভিসা পেতে খুব বেশি সময় লাগেনি। কিন্তু এই দেশে আসার পূর্বে পথে পথে সবাই আমাকে নিষেধ করেছে। আবার নতুন করে এখানে আসতে আমার অনেক টাকা লাগবে তাই জীবনের ঝুঁকি নিয়ে হলেও এই যাত্রায় আমি দেশটি কম খরচে ভ্রমণ করে শেষ করতে পারব তাই ভেবে রওনা হয়েছি। আমার সহ-অভিযাত্রী মাথিও হাসতে হাসতে আমাকে বলছে জান নিয়ে ফিরে আসতে পারবো তো? কোভিড মহামারীর পর থেকে নানা ধরনের সিভিল আনরেস্ট দেখা দিয়েছে।
এছাড়া ইতোপূর্বে তাদের প্রাকৃতিক আর্থ কুইকের মত অনেক দুর্যোগ ঘটেছে। সিকিউরিটি ছাড়া কোন নির্দিষ্ট জায়গায় এখানে দাঁড়িয়ে ছবি তোলা কিংবা হাঁটাচলা করা টুরিস্টদের জন্য রিস্কি। আমি ভ্রমণ করলাম অপূর্ব রহস্যময়ে এই পাপুয়া নিউগিনি। নিজ চোখে না দেখলে বুঝা যাবে না এই দেশ যে কত সুন্দর। এখানকার রেইন ফরেস্ট, তার পাশে পাহাড়ের ভ্যালি, আঁকাবাঁকা পাহাড়ি পথ আর তার মাঝে যেতে যেতে বড় বড় ব্ল্যাক স্টোন, বাহারি রঙের গাছ, অপূর্ব সুন্দর পাখি, আর এখানকার আদিবাসীদের মুগ্ধ হওয়া কালচারাল ডান্স দেখলে মনে হবে এখানে নিরাপত্তার ঝুঁকি না থাকলে এই প্রকৃতির অনাবিল সৌন্দর্যে আরো বেশ কিছু সময় কাটানো যেত। এবং হেঁটে হেঁটে এখানকার প্রকৃতিকে আরো কাছ থেকে দেখা যেত। তবে শোনা গেছে এখানে পৃথিবীর অনেক দেশের রাষ্ট্রপ্রধানরা এসে ছুটি কাটায়। এখানকার সবুজ দেখলে চোখের জ্যোতি বহুবছর ঠিক থাকবে।
যা কিছুই হোক তবে এখানকার সাধারণ মানুষ কিন্তু অনেক ফ্রেন্ডলি। তারা নিজ থেকে কথা বলতে আসলে তাদেরকে ইগনোর করা যাবেনা। এখানকার মানুষ পান সুপারি খেতে খুব পছন্দ করে, এটা ওদের একটা কালচার। যেতে যেতে রাস্তার দিকে তাকালে দেখা যাবে এখানকার প্রতিটা মানুষের ঘাড় থেকে সাইডে ট্রেডিশনাল একটা ক্রস ব্যাগ ঝুলানো থাকে।
এভাবে পাপুয়া নিউগিনি ঘুরতে ঘুরতেতার প্রকৃতিকে দেখি। দক্ষিণ গোলার্ধের প্রশান্ত মহাসাগরের সীমাহীনতায় চোখ মেলি। অসাধারণ পেস্ট কালারের পানির রূপ আর তার চারপাশে ছোট্ট পাহাড়ের ভ্যালি। পাপুয়া নিউগিনির দক্ষিণ গোলার্ধের সর্ব দক্ষিণের দ্বীপ লোলোটা আমাকে মুগ্ধ করেছে বেশি। ছোট্ট একটা বোটে করে দুলতে দুলতে গিয়েছিলাম সেখানে। এভাবে আমি ছুঁয়েছি পৃথিবীর বিভিন্ন গোলার্ধের শেষ সীমানাগুলো। এটি সমুদ্রের বুকে জেগে থাকা খুবই ছোট্ট একটি দ্বীপ। দিনের বেলায় দেখা যায় চারিদিকে অপূর্ব সুন্দর পানির রং, আর কোরাল লাইফ।
সন্ধ্যা হলে এখানে ঘনিয়ে আসে নিয়ন আলোর স্নিগ্ধতা, আর সমুদ্রের ঢেউয়ের তালে জেগে ওঠা সুর। জোয়ার এলে এখানে সমুদ্রের পানিতে সব ডুবে যায় সন্ধ্যার দিকে আবার যখন ভাটা হয় তখন সমুদ্রের বুকে অনেক দূর হেঁটে চলে যাওয়া যায় সাদা বালির উপর দিয়ে।
আমাদের জীবন ছোট হলেও বিধাতার এই প্রকৃতি অসীম। ছোট্ট এই জীবনের সময়গুলো পথের সংগ্রামের মাঝে কঠিন থাকলেও যখন পৃথিবীকে এভাবে দেখি তখন মনে হয় ভ্রমণ জীবনের এক অপূর্ব প্রাণের স্পন্দন। পৃথিবীর সাথে এই আত্মার কানেকশন আমাকে নিয়ে এসেছে এই দূর দিগন্তের নীচে এমন অপরূপ মহাবিস্ময়কে কাছে পাওয়ার জন্য। এভাবেই যেতে যেতে পোর্ট মোরেসবির এলেবিচ, ডাউন টাউন, বিভিন্ন ছোট-ছোট গ্রাম, পর্বতমালা, ন্যাশনাল পার্কসহ আরো অনেক দর্শনীয় স্থান দেখেছি। পুরো দেশকে দেখার জন্য আবার কখনো আসতে হবে। এই দেশ ভ্রমণ করাও এত সহজ নয়, এখানকার এক প্রদেশ থেকে আরেক প্রদেশে যেতে কোন সড়ক পথে যানবাহন নেই, ফ্লাইটে যেতে হয়।
এক দেখায় এই দেশ শেষ হওয়ার মতো নয়। পৃথিবীর অন্যতম সুন্দর দেশের মাঝে পাপুয়া নিউ গিনি। এখানকার আগ্নেয়গির, প্রকৃতি, একই দেশে হাজার রকমের আদিবাসী কালচার, ৮৫০টির বেশি ভাষা, এখানকার জাতীয় ঐতিহ্যবাহী খাবার মুমু খেলে তার স্বাদ মুখে লেগে থাকবে। মাংস, ফল-মূল, সবুজ শাকসবজি, এবং নারকেল দুধের সংমিশ্রণটি সুন্দরভাবে রান্না করা হয়। সবমিলিয়ে পাপুয়া নিউগিনি পৃথিবীর মাঝে ভিন্ন কালচার এবং প্রকৃতির এক রহস্যপূর্ণ একটি দেশ। এ নিয়ে বিশ্বের মোট ১৭৮টি দেশ ভ্রমণ করা হলো আমার।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
এবার বান্দরবানেও পর্যটক ভ্রমণের নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার
দীর্ঘ ২৯ দিন অপেক্ষার পর পর্যটক ভ্রমণের নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করেছে বান্দরবান জেলা প্রশাসন। আগামীকাল বৃহস্পতিবার থেকে খুলে দেওয়া হচ্ছে বান্দরবানের পর্যটন কেন্দ্রগুলো। ফলে পর্যটকদের বরণের অপেক্ষায় প্রস্তুত নৈসর্গিক লীলাভূমি পার্বত্য জেলাটি। তবে নানা জটিলতার কারণে রোয়াংছড়ি, রুমা ও থানচিসহ তিন উপজেলায় পর্যটক ভ্রমণে নিরুৎসাহিত করেছে প্রশাসন।
বুধবার (৬ নভেম্বর) সকাল সাড়ে এগারোটার দিকে জেলা প্রশাসক সম্মেলন কক্ষে সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা জানান জেলা প্রশাসক শাহ মোহাজিদ উদ্দিন। তিনি বলেন, রোয়াংছড়ি, রুমা ও থানচিসহ তিন উপজেলার পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে বিবেচনা করে সব উপজেলা খুলে দেওয়া হবে।
শাহ মোহাজিদ উদ্দিন বলেন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনা করে বৃহস্পতিবার থেকে পর্যটন খুলে দিয়েছে। পর্যটকদের আগমনে ও উৎসাহিত করতে সবার সহযোগিতার প্রয়োজন। এছাড়া তিন উপজেলা ব্যাতিত বান্দরবান সদর, লামা, আলীকদম ও নাইক্ষ্যংছড়ি নিশ্চিন্তে পর্যটক ঘুরে বেড়াতে পারবে। তাছাড়া পর্যটক ভ্রমণের জন্য পর্যটন স্পটগুলো নতুন আঙ্গিকে ঢেলে সাজানো হয়েছে যাতে পর্যটকদের কাছে বিমোহিত হয়। আর পর্যটকদের নিরাপত্তা জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মাঠ পর্যায়ে থাকবে।
এর আগে গতকাল মঙ্গলবার (৫ নভেম্বর) থেকে খুলে দেওয়া হয়েছে খাগড়াছড়ি ও সাজেকের পর্যটন কেন্দ্রগুলো। ইতোমধ্যে সেখানে পর্যটকেরা অবস্থান নিয়েছে।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পর্যটন
পর্যটকদের জন্য খুললো সাজেক-খাগড়াছড়ি
নিরাপত্তা সংকটে অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ থাকার পর অবশেষে খুলছে খাগড়াছড়ি ও সাজেকের দুয়ার। খাগড়াছড়িতে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার কথা জানিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন এতে স্বস্তি ফিরেছে পর্যটক ও পর্যটনব্যবসার সঙ্গে সংশ্লিষ্টদের।
খাগড়াছড়ির জেলা প্রশাসক মঙ্গলবার (৫ নভেম্বর) থেকে এ নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করায় পর্যটকরা পাহাড়ি এ জেলার সব পর্যটন স্থানের পাশাপাশি যেতে পারবেন সাজেকও।
এতে করে দীর্ঘ একমাস পর এখানকার পর্যটন কেন্দ্রগুলোতে প্রাণচাঞ্চল্য ফিরে আসবে বলে আশা করা হচ্ছে। পর্যটকদের জন্য বিভিন্ন ছাড়সহ নানান সুযোগ-সুবিধা ঘোষণা করেছেন পর্যটন ব্যবসায়ীরা।
এখানকার গাড়ি চালকরা জানান, এটাই তাদের জীবিকা। শুধু তাই নয়, প্রতিদিন নতুন নতুন মানুষকে পাহাড়ি সৌন্দর্য ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে দেখানো তাদের কাছে বিশাল আনন্দের ব্যাপার। নিষেধাজ্ঞা তুলে দেয়ায় তারা বেশ আনন্দে আছেন।
হোটেল ও মোটেল মালিকরা বলছেন, ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞায় গত একমাসে খাগড়াছড়িতে পর্যটন খাতে প্রায় ৫০ কোটি টাকার লোকসান হয়েছে। এবার তা কাটিয়ে উঠতে চান তারা।
এদিকে, খাগড়াছড়ির জেলা প্রশাসক সহিদুজ্জামান জানিয়েছেন, জেলার সার্বিক পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়েছে বলে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, ‘পর্যটনকে কেন্দ্র করে এখানকার জীবন-জীবিকা গড়ে ওঠেছে। নিষেধাজ্ঞা তুলে দেওয়ায় এ এলাকা আবারও পর্যটকদের উপস্থিতিতে সরব থাকবে।’
তবে সাজেক খুললেও বান্দরবান পর্যটন কেন্দ্র নিষেধাজ্ঞা থাকায় এখনও সেখানে ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা বলবৎ রয়েছে।
এমআই