ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
বিশ্বসেরা বিজ্ঞানীদের তালিকায় ঢাবির ১০ শিক্ষক
অসাধারণ গবেষণাকর্মের জন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ১০ জন শিক্ষক ২০২৪ সালে বিশ্বের শীর্ষ ২ শতাংশ বিজ্ঞানীর তালিকায় স্থান পেয়েছেন।
রবিবার (২৯ সেপ্টেম্বর) বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তরের উপপরিচালক মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়।
সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় ও নেদারল্যান্ডসভিত্তিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান ‘এলসেভিয়ার’ বিজ্ঞানীদের এই তালিকা প্রকাশ করে। প্রকাশনা, এইচ-ইনডেক্স, সাইটেশন এবং অন্যান্য সূচকের ভিত্তিতে বিজ্ঞানীদের এই তালিকা তৈরি করা হয়েছে।
এই মর্যাদাপূর্ণ তালিকায় থাকা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা হলেন- গণিত বিভাগের অধ্যাপক ড. নেপাল চন্দ্র রায়, ম্যানেজমেন্ট ইনফরমেশন সিস্টেমস্ বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. রাকিবুল হক, সমুদ্রবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. কাউসার আহাম্মদ, ভূতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক ড. কাজী মতিন উদ্দিন আহমেদ, সমাজকল্যাণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট-এর অধ্যাপক ড. এম রেজাউল ইসলাম, ফলিত গণিত বিভাগের অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ফেরদৌস, ফলিত রসায়ন ও কেমিকৌশল বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মিজানুর রহমান, পপুলেশন সায়েন্সেস বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ বিল্লাল হোসেন, ফলিত রসায়ন ও কেমিকৌশল বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. তাছলিম উর রশিদ এবং ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. শেখ মো. মাহামুদুল ইসলাম।
এছাড়া এই তালিকায় থাকা বেশ কয়েকজন গবেষক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন শিক্ষা ও গবেষণা কার্যক্রমের সঙ্গে যুক্ত আছেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খান বিশ্বের শীর্ষ বিজ্ঞানীদের তালিকায় স্থান পাওয়ায় শিক্ষকদের আন্তরিক অভিনন্দন জানিয়ে বলেন, এই স্বীকৃতি শুধুমাত্র শিক্ষকদের অসাধারণ অর্জনকে তুলে ধরে না, বরং এটি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জ্ঞানচর্চার বিকাশ এবং শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ গড়ে তোলার প্রতিশ্রুতিরও প্রতিফলন ঘটায়।
এই অর্জন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সুনাম বৃদ্ধি এবং শিক্ষা ও গবেষণার উৎকর্ষ সাধনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
শিক্ষা প্রশাসনে বড় রদবদল
শিক্ষা প্রশাসনে বড় ধরনের রদবদল এনেছে সরকার। জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের (এনসিটিবি) সচিব, সদস্য, উৎপাদন নিয়ন্ত্রক, ঊর্ধ্বতন বিশেষজ্ঞ এবং মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশির) কলেজ শাখার উপ-পরিচালকসহ বেশ কয়েকটি পদে নতুন কর্মকর্তারা দায়িত্ব পেয়েছেন।
রবিবার (২৯ সেপ্টেম্বর) শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের উপসচিব চৌধুরী সামিয়া ইয়াসমীনের স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, এনসিটিবির সচিব পদে দায়িত্ব পেয়েছেন শাহ মুহাম্মদ ফিরোজ আল ফেরদৌস। তিনি এর আগে একই প্রতিষ্ঠানের প্রশাসন শাখার উপসচিব ছিলেন। অন্যদিকে প্রশাসন শাখার উপসচিব পদে দায়িত্ব পেয়েছেন সহযোগী অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম।
মাউশির প্রশাসন শাখার সহকারী পরিচালক পদে দায়িত্ব পেয়েছেন সহকারী অধ্যাপক মো. খালিদ হোসেন। এছাড়া মাউশির মাধ্যমিক শাখা-২-এর শিক্ষা কর্মকর্তা তরিকুল ইসলামকে বরগুনা সরকারি কলেজে পদায়ন করা হয়েছে।
একইসঙ্গে জাতীয় শিক্ষা ব্যবস্থাপনা একাডেমির (নায়েম) প্রশিক্ষণ বিশেষজ্ঞ পদে দায়িত্ব পেয়েছেন সহকারী অধ্যাপক মো. আরফিুল ইসলাম। বাংলাদেশ শিক্ষা তথ্য ও পরিসংখ্যান ব্যুরোর ডিএলপি চিফ হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন সহযোগী অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ ফজলুর রহমান খান। পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিপ্তরের উপ-পরিচালকের দায়িত্বে সহযোগী অধ্যাপক মো. ওয়াজকুরনী ও সহযোগী অধ্যাপক শাহানুর কবির। সহকারী শিক্ষা পরিদর্শকের নতুন দায়িত্ব পেয়েছেন সিকান্দার আলী। এ ছাড়াও নায়েমের প্রশিক্ষণ বিশেষজ্ঞ পদে দায়িত্ব পেয়েছেন সহকারী অধ্যাপক মো. রবিউল আউয়াল।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনে ৮ নতুন মুখ
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি) প্রশাসনের ৮টি পদে নতুন করে নিয়োগ প্রদান করা হয়েছে। রবিবার (২৯ সেপ্টেম্বর) সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্টার এইচ এম আলী হাসান স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশে এ তথ্য জানানো হয়।
জানা যায়, শেখ হাসিনা আবাসিক হলের নতুন প্রভোস্ট হিসেবে আরবী ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের অধ্যাপক ড. এ কে এম শামসুল হক সিদ্দিকী, বেগম খালেদা জিয়া আবাসিক হলের প্রভোস্ট হিসেবে ইলেকট্রিক্যাল এন্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ড. জালাল উদ্দিন, বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব আবাসিক হলের প্রভোস্ট হিসেবে আল-কুরআন এন্ড ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের অধ্যাপক ড. এ কে এম রাশেদুজ্জামান, সাদ্দাম হোসেন আবাসিক হলের প্রভোস্ট হিসেবে বায়োটেকনোলজি এন্ড জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ড. মোঃ আবুল কালাম আজাদ নিয়োগ পেয়েছেন।
এছাড়া ছাত্র উপদেষ্টা হিসেবে আরবী ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের অধ্যাপক ড. মো ওবায়দুল ইসলাম, পরিবহন প্রশাসক হিসেবে আল-কুরআন এন্ড ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের অধ্যাপক ড. এম. এয়াকুব আলী, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের আই.আই.ই.আর-এর পরিচালক হিসেবে কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইঞ্জনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ড. ফারুকুজ্জামান খান এবং অর্থ ও হিসাব বিভাগের পরিচালকের অর্থ ও হিসাব বিভাগের উপ-পরিচালক মো. আনার পাশা নিয়োগ পেয়েছেন।
উল্লেখ্য, শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পরে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ৬টি আবাসিক হলের প্রভোস্ট ও পরিবহন প্রশাসক, আই.আই.ই.আর, অর্থ ও হিসাব বিভাগের পরিচালকরা পদত্যাগ করেন। আজ ৪টি আবাসিক হলের প্রভোস্টসহ ৩টি গুরুত্বপূর্ণ পদে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। তবে ২ টি আবাসিক হলে এখনো নিয়োগ দেয়া হয়নি।
এমআই/সাকিব
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির ছাত্রলীগ সভাপতি গ্রেপ্তার
শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগ সভাপতি খলিলুর রহমানকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। শনিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) দুপুর ১টার দিকে ময়মনসিংহের ভালুকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
রোববার (২৯ সেপ্টেম্বর) সকালে র্যাব-৯ এর সহকারী পুলিশ সুপার (মিডিয়া) মো. মশিহুর রহমান সোহেল সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
খলিলুর রহমানের বিরুদ্ধে সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের কোতোয়ালি থানায় একটি মামলা রয়েছে। গ্রেপ্তারের পর তাকে কোতোয়ালি থানায় হস্তান্তর করা হয়।
র্যাব জানায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শনিবার দুপুরে ময়মনসিংহের ভালুকা এলাকায় র্যাব-৯ ও র্যাব-১৪ অভিযান পরিচালনা করে খলিলুর রহমানকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তিনি একটি মামলার পলাতক আসামি।
র্যাব-৯ এর সহকারী পুলিশ সুপার (মিডিয়া) মো. মশিহুর রহমান সোহেল জানান, গ্রেপ্তারের পর তাকে কোতোয়ালি থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। মামলায় অন্যান্য পলাতক আসামিদের গ্রেপ্তারের জন্য র্যাব-৯ এর গোয়েন্দা তৎপরতা ও অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
উল্লেখ্য, খলিলুর রহমান নেত্রকোণার কেন্দুয়া উপজেলার শিবপুর গ্রামের মো. আব্দুল আওয়ালের ছেলে।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
ছাত্ররাজনীতি নিয়ে যে সিদ্ধান্ত নিলো বুয়েট প্রশাসন
শিক্ষার্থীরা কোনো রাজনৈতিক সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত হতে পারবেন না বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) প্রশাসন। শিক্ষার মান, মেধার যথাযথ মূল্যায়ন এবং আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বুয়েটকে মর্যাদাপূর্ণ অবস্থানে উন্নীত করার লক্ষ্যে এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
শনিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়টির রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. মো. ফোরকান উদ্দিনের সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বুয়েট অর্ডিন্যান্সের বোর্ড অব রেসিডেন্স অ্যান্ড ডিসিপ্লিনের ১৬ নম্বর ধারায় অ্যাকাডেমিক কাউন্সিলের ৫০৩তম জরুরি সভায় সর্বোপরি রাজনীতির লেজুড়বৃত্তায়ন নিবৃত্ত করার লক্ষ্যে কিছু সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে।
তাতে বলা হয়েছে, ‘এই বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো শিক্ষার্থী বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুমোদিত কোনো ক্লাব বা সোসাইটি ব্যতীত কোনো রাজনৈতিক দলের লেজুড়বৃত্তি অথবা অন্য যে কোনো সংগঠনের সঙ্গে জড়িত হতে পারবেন না। শিক্ষার্থীদের বিশ্ববিদ্যালয় অধ্যাদেশের নিয়মসমূহ যথাযথভাবে পালন করতে হবে এবং তা অমান্য করলে অধ্যাদেশে বর্ণিত নিয়ম মোতাবেক তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’
২০১৯ সালের ৬ অক্টোবর আবরার ফাহাদ হত্যাকাণ্ডের কারণে অস্থিতিশীল হয়ে ওঠে বুয়েট। এরপর চলতি বছরের শুরুতে আবারও ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধের দাবি ওঠে। সেসময় ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় নেতারা রাতে বুয়েটে প্রবেশ করেন এবং রাজনীতি চালুর দাবি তোলেন। এ নিয়ে প্রায় দেড়মাস বুয়েটে ক্লাস-পরীক্ষা বন্ধ ছিল।
তাছাড়া সবশেষ বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন এবং শিক্ষকদের সর্বজনীন পেনশনের প্রত্যয় স্কিম বাতিলের আন্দোলনে জুলাই থেকে ক্লাস-পরীক্ষা বন্ধ হয়ে যায়। ফলে দেশের অন্যতম শীর্ষ এ বিদ্যাপীঠের শিক্ষার্থীরা সেশনজটের মুখে পড়েছেন।
এদিকে, ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে সরকার পতনের পর বুয়েটে স্বাভাবিক ক্লাস কার্যক্রম শুরু হয়। একই সঙ্গে নতুন উপাচার্য নিয়োগ দেওয়া হয়। ঠিক সেই সময়ে ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত দুজন শিক্ষার্থীকে হলে তোলাকে কেন্দ্র করে আবারও সংকট তৈরি হয়।
ফলে ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধের ঘোষণা কার্যকরের দাবিতে গত ২৪ সেপ্টেম্বর থেকে শিক্ষার্থীরা ক্লাস পরীক্ষা বর্জন করে আসছেন। শিক্ষার্থীর সেই দাবি মেনে ফের রাজনীতি নিষিদ্ধের কথা জানালো বুয়েট প্রশাসন।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
ইবিতে শহীদ আবু সাইদ অন্তঃহল ফুটবল টুর্নামেন্ট শুরু
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) সাদ্দাম হোসেন হল কর্তৃক ‘শহীদ আবু সাইদ ফুটবল টুর্নামেন্ট -২০২৪’ এর আয়োজন করা হয়েছে। গণ অভ্যুত্থানে নিহত শহীদদের স্মরণে এই টুর্নামেন্টটি আয়োজন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সাদ্দাম হোসেন হলের শিক্ষার্থীরা।
শনিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) বিকেল সাড়ে ৪টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে টুর্নামেন্টের উদ্বোধন করা হয়।
এসময় উপস্থিত ছিলেন খেলা পরিচালনা কমিটির আহ্বায়ক দিদারুল ইসলাম রাসেল, সদস্য সচিব আসিবুর রহমান, সদস্য বাপ্পি কুমার কুন্ডু, সদস্য হাবিবুল্লাহ, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ইবি সমন্বয়ক এস এম সুইট, সহ-সমন্বয়ক তানভীর মন্ডল এবং ইয়াশিরুল কবির সৌরভ।
উদ্বোধনী খেলায় হলের দক্ষিণ ব্লকের ধানসিঁড়ি ও স্বাধীনতা ফ্লোর একে অপরের মোকাবেলা করে। টুর্নামেন্টে হলের ৮টি ফ্লোর থেকে ৮টি দল অংশ নিয়েছে। বাকি দলগুলো হলো- উত্তর ব্লক থেকে অরুণোদয়, ক্ষণিকালয়, বিজয় ২.০ ও প্রয়াস এবং দক্ষিণ ব্লক থেকে ইনকিলাব, স্বপ্নীল, স্বাধীনতা ও ধানসিঁড়ি।
এবিষয়ে কমিটির আহ্বায়ক দিদারুল ইসলাম রাসেল বলেন, ২০২৪ এ গণভ্যুত্থানে নিহত শহীদদের আত্মার মাগফিরাত ও তাদের স্মরণে আমাদের এ খেলা আয়োজন করা হয়েছে। পাশাপাশি নতুন স্বাধীনতার পরে এই খেলাধুলার মাধ্যমে সকলের সাথে ভালোবাসা ও সৌহার্দপূর্ণ সম্পর্ক বৃদ্ধির করতে পারবো বলে আমরা বিশ্বাস করি। একই সঙ্গে এই সৌহার্দপূর্ণ সম্পর্কের মাধ্যমে আমাদের মাঝে ঐক্য স্থাপন হবে যার মাধ্যমে আমরা সংস্কারের কাজ ঐক্যবদ্ধভাবে সম্পন্ন করতে পারবো।
এবিষয়ে সহ-সমন্বয়ক নাহিদ হাসান বলেন, গত তিন মাস ধরে দেশে অচল অবস্থা ছিল। সেখানে শিক্ষার্থীরা কাজ করেছে তাদের একটা ভূমিকা ছিল। খেলাধুলা মানসিক বিকাশে একটা অন্যতম মাধ্যম। যেহেতু নতুন করে একাডেমিক কার্যক্রম শুরু হয়েছে এখানে শিক্ষার্থীদের মানসিক বিকাশ এবং উদ্যমতার প্রয়োজন আছে। সেই লক্ষ্যে প্রত্যেকটা হলে বিভিন্ন ধরনের যেমন একসাথে বসে খাওয়া দাওয়া, খেলাধুলা, সাঁতার, বিতর্ক প্রতিযোগিতা ইত্যাদির আয়োজন করা হচ্ছে। এতে করে শিক্ষার্থীরা পড়াশোনার পাশাপাশি মানসিক বিকাশ এবং আনুষঙ্গিক কার্যক্রমে স্বাভাবিকভাবে ফিরতে পারবে।
অর্থসংবাদ/সাকিব/এসএম