Connect with us

অর্থনীতি

ইউনিয়ন ব্যাংক থেকে ১৮ হাজার কোটি টাকা সরিয়েছেন এস আলম

Published

on

পাঁচ

বেসরকারি খাতে পরিচালিত ইউনিয়ন ব্যাংক থেকে ঋণের নামে ১৮ হাজার কোটি টাকা এস আলম গ্রুপ একাই নিয়েছে; যা ব্যাংকটির মোট ঋণের ৬৪ শতাংশ। এসব ঋণ নেওয়া হয়েছে কাল্পনিক লেনদেনের মাধ্যমে, যার জামানতও নেই। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পরিদর্শনে এসব বিষয় উঠে এসেছে। আবার ব্যাংকটির মোট ঋণের ৪২ শতাংশ খেলাপি হয়ে পড়ছে বলে ব্যাংকটির অভ্যন্তরীণ নথিতে উল্লেখ করা হয়েছে। যদিও কেন্দ্রীয় ব্যাংককে তারা জানিয়েছে, খেলাপি ঋণ ৪ শতাংশের কম।

নানা অনিয়মের কারণে আর্থিক বিপর্যয়ে পড়া এই ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ এক মাস আগে পুনর্গঠন করে এস আলমমুক্ত করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। ব্যাংকটিতে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে পাঁচজন স্বতন্ত্র পরিচালক। এরপরও ব্যাংকটিতে এস আলমের প্রভাব কমেনি। ফলে পরিচালকেরা প্রকৃত চিত্র জানতে পারছেন না। ব্যাংকটি স্বয়ংক্রিয় তথ্যভান্ডার থেকে এস আলমসহ কিছু প্রতিষ্ঠানের ঋণ ও লেনদেনের তথ্য সরিয়ে ফেলেছে বলে নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা গেছে। ফলে প্রকৃত তথ্য বের করা কঠিন হয়ে পড়বে বলে মনে করছেন খাত–সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কর্মকর্তারা এস আলমের ঋণ ও আমানতের বিষয়ে তথ্য চেয়ে ঠিকমতো পাচ্ছেন না। ফলে ব্যাংকটির প্রকৃত চিত্র বের করতে পারছেন না। এস আলমের পক্ষে ব্যাংকটিতে ভূমিকা রাখছেন ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মোকাম্মেল হক চৌধুরী। ২০২০ সাল থেকে তিনি ব্যাংকটির এমডি। এর আগে তিনি এস আলম গ্রুপের মালিকানাধীন ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকে কর্মরত ছিলেন। এই ব্যাংকের চেয়ারম্যান ছিলেন এস আলম গ্রুপের চেয়ারম্যান সাইফুল আলম নিজেই।

ব্যাংক দখল, অর্থ লুটপাট ও অর্থ পাচারে সাইফুল আলমের সহযোগী হিসেবে পরিচিত মোকাম্মেল হক চৌধুরী বিদায়ী সরকারেরও ঘনিষ্ঠ ছিলেন। এই তালিকায় আরও আছেন এস আলমের ছেলে আহসানুল আলম ও জামাতা বেলাল আহমেদ। তাঁরা দুজনই ইউনিয়ন ব্যাংকের চেয়ারম্যান-পরিচালক ছিলেন। পরে আহসানুল আলম ইসলামী ব্যাংক ও বেলাল আহমেদ সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংকের চেয়ারম্যান হন। এসব ব্যাংকও এস আলমের নিয়ন্ত্রণমুক্ত করা হয়েছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক প্রধান অর্থনীতিবিদ মোস্তফা কে মুজেরী এ নিয়ে বলেন, এই ব্যাংক ডুবছিল, তা আগে থেকেই সবাই জেনেছিল। এখন পর্ষদ পরিবর্তন হলেই উন্নতি হবে, তা বলা যাবে না। পরবর্তী ধাপ হিসেবে কী করা যায়, তা এখনই ঠিক করতে হবে। ব্যাংক একীভূত করা, মূলধন জোগান দেওয়া বা অন্য কোনো ব্যবস্থা করা যেতে পারে। ব্যাংকটি পরিচালনা ও ব্যবস্থাপনার সঙ্গে যাঁরা যুক্ত ছিলেন, তাঁদের বিদেশযাত্রা আটকে দেওয়া যায়। তাহলে তাঁদের কাছ থেকে তথ্য পাওয়া যাবে, জড়িত হলে বিচারের আওতায় নিতে সুবিধা হবে।

কার ব্যাংক, চালিয়েছে কে

ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে ক্ষমতা হারানো প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকারের সময়ে ২০১২ সালে ৯টি ব্যাংক অনুমোদন হয়। এর সব কটিই রাজনৈতিক বিবেচনায় অনুমোদন দেয় বাংলাদেশ ব্যাংক। এর মধ্যে ইউনিয়ন ব্যাংক একটি। ব্যাংকটির উদ্যোক্তাদের পেছনে শুরু থেকে এস আলম গ্রুপ থাকলেও সামনে রাখা হয় জাতীয় পার্টির প্রতিষ্ঠাতা হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ ও মহাসচিব জিয়াউদ্দিন বাবলুকে। তখন আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টি এক জোট হয়ে সরকারে ছিল। ২০১৩ সালে প্রতিষ্ঠার শুরুতেই ব্যাংকটির চেয়ারম্যান হন এস আলমের ভাই শহীদুল আলম। এতে ব্যাংকের পুরো নিয়ন্ত্রণ চলে যায় এস আলম গ্রুপের কাছে। ব্যাংকটির ভাইস চেয়ারম্যান ছিলেন প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা পরিদপ্তরের (ডিজিএফআই) সাবেক মহাপরিচালক লে. জেনারেল (অব.) মোল্লা ফজলে আকবর। বিভিন্ন সময় চেয়ারম্যান ও পরিচালক ছিলেন সাইফুল আলমের ভাই রাশেদুল আলম, ওসমান গনি, সাইফুল আলমের ছেলে আহসানুল আলম ও জামাতা বেলাল আহমেদ। এ ছাড়া হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ, জিয়াউদ্দিন বাবলু ও তাঁর স্ত্রী মেহেজুবেন্নেসা রহমানও পর্ষদে ছিলেন। পর্ষদ বিলুপ্তির আগে এস আলম গ্রুপের পক্ষে ইউনিয়ন ব্যাংকের চেয়ারম্যান ছিলেন মো. সেলিম উদ্দিন, তিনি আগে ইসলামী ব্যাংকের পরিচালক ছিলেন।

গত ২৭ আগস্ট আগে পর্ষদ বিলুপ্ত করে নতুন পর্ষদে চেয়ারম্যান করা হয় এক্সিম ব্যাংকের সাবেক এমডি মু. ফরীদ উদ্দিন আহমদকে। তাঁর সঙ্গে থাকা অপর চার স্বতন্ত্র পরিচালক হলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক নির্বাহী পরিচালক মো. হুমায়ুন কবীর, রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংকের সাবেক উপব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ সাইফুল আলম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যাংকিং অ্যান্ড ইনস্যুরেন্স বিভাগের অধ্যাপক শহিদুল ইসলাম জাহীদ ও হিসাববিদ শেখ জাহিদুল ইসলাম।

অনিয়মের যত ধরন

২০১৩ সালে যাত্রার পর বেসরকারি এই ব্যাংক সরকারি প্রতিষ্ঠানের আমানতের দিকে নজর দেয়। এরপর নামসর্বস্ব ট্রেডিং প্রতিষ্ঠান দেখিয়ে ঋণের নামে টাকা তুলে নেওয়া হয়। জনবল নিয়োগে এককভাবে চট্টগ্রামের পটিয়ার ব্যক্তিরা গুরুত্ব পান। পরিস্থিতি আরও খারাপ হয় ২০২০ সালে ব্যাংকটির এমডি হিসেবে মোকাম্মেল হক চৌধুরী যোগ দেওয়ার পর। তিনিও চট্টগ্রামের বাসিন্দা ও এস আলম পরিবারের আত্মীয়।

২০২১ সালের সেপ্টেম্বরে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কর্মকর্তারা ইউনিয়ন ব্যাংকের গুলশান শাখার ভল্ট পরিদর্শনে গিয়ে ঘোষণার চেয়ে কম টাকা থাকার বিষয়টি দেখতে পান। কাগজপত্রে ওই শাখার ভল্টে যে পরিমাণ টাকা থাকার তথ্য রয়েছে, বাস্তবে তার চেয়ে প্রায় ১৯ কোটি টাকা কম পান। নিয়ম অনুযায়ী, ভল্টের টাকার গরমিল থাকলে তা আইনি ব্যবস্থা নিতে হয়। অথচ আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। এমনকি তখনকার কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর ফজলে কবিরও কোনো ব্যবস্থা নেননি। তখন পুলিশের সাবেক আইজি বেনজীর আহমেদের সঙ্গেও ব্যাংকটির এমডি মোকাম্মেল হক চৌধুরীর ঘনিষ্ঠতা ছিল।

বাংলাদেশ ব্যাংক ২০২১ সালভিত্তিক ঋণের তথ্য পর্যালোচনা করে ইউনিয়ন ব্যাংককে চিঠি দিয়ে জানায়, ব্যাংকটির বিতরণ করা ঋণের ১৮ হাজার ৩৪৬ কোটি টাকা খেলাপি হওয়ার যোগ্য, যা ব্যাংকটির মোট ঋণের ৯৫ শতাংশ। অর্থাৎ ব্যাংকটি প্রতিষ্ঠার পর থেকে যত ঋণ বিতরণ করেছে, তার সিংহভাগই খেলাপি বা অনিয়মযোগ্য। তখন পরিদর্শনে উঠে আসে শুধু ট্রেড লাইসেন্সের ভিত্তিতে কোম্পানি গঠন করে ঋণের বড় অংশই বের করে নিয়েছে প্রায় ৩০০ প্রতিষ্ঠান। আবার অনেক ক্ষেত্রে ট্রেড লাইসেন্সও ছিল না। কাগুজে এসব কোম্পানিকে দেওয়া ঋণের বেশির ভাগেরই খোঁজ মিলছে না এখন। ফলে এসব ঋণ আদায়ও হচ্ছে না। রাজধানীর পান্থপথ, গুলশান, বনানী, দিলকুশা, চট্টগ্রামের আগ্রাবাদ, খাতুনগঞ্জসহ আরও কয়েকটি শাখার মাধ্যমে এই অর্থ বের করে নেওয়া হয়। এসব ঋণের যথাযথ নথিপত্রও ব্যাংকের কাছে নেই। অনেক ক্ষেত্রে ঋণ অনুমোদন ছাড়া বিতরণ করা হয়েছে।

এরপরও ইউনিয়ন ব্যাংককে প্রাথমিক গণপ্রস্তাব বা আইপিওর মাধ্যমে শেয়ারবাজার থেকে ৪২৮ কোটি টাকা উত্তোলন করার সুযোগ দেয় বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। ২০২২ সালের জানুয়ারিতে ব্যাংকটি শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্তও হয়। ১০ টাকা অভিহিত মূল্যের এই ব্যাংকের শেয়ারের দাম এখন ৭ টাকা।

আর্থিক খাতের বহুল আলোচিত ব্যক্তি প্রশান্ত কুমার হালদার (পি কে হালদার) বিভিন্ন আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে টাকা বের করতে অসংখ্য কাগুজে কোম্পানি গঠন করেছিলেন। তবে সেসব কোম্পানি যৌথ মূলধন ও কোম্পানিসমূহের পরিদপ্তরে (আরজেএসসি) নিবন্ধিত ছিল। কিন্তু ইউনিয়ন ব্যাংক থেকে যেসব কোম্পানির নামে ঋণ বের করে নেওয়া হয়েছে, সেসব কোম্পানির অস্তিত্ব বলতে শুধু ট্রেড লাইসেন্স। এ ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠানগুলোর বেশির ভাগেরই কোনো অস্তিত্ব নেই। এভাবে ব্যাংকটি থেকে নানা উপায়ে অর্থ বের করে নেওয়া হয়।

ব্যাংকটির একজন কর্মকর্তা প্রথম আলোকে বলেন, উচ্চপর্যায়ের নির্দেশে জাতীয় নির্বাচনের আগে অনেক প্রার্থীকে নগদ টাকা দেওয়া হয়েছে। তারকা থেকে খেলোয়াড়—অনেকেই টাকা নেওয়ার তালিকায় ছিলেন। অনেক ক্ষেত্রে তাঁদের নামে ঋণ তৈরি করে টাকা দেওয়া হয়েছে। সরকার পরিবর্তনের পর এসব নথি সরিয়ে ফেলা হয়েছে বলে জানা গেছে।

ঋণের ৬৫ শতাংশ নিয়েছে এস আলম গ্রুপ

গত ২৭ আগস্ট পর্ষদ পুনর্গঠনের পর এস আলম নামে ও বেনামে কত টাকা ঋণ নিয়েছে, তা জানতে চায় বাংলাদেশ ব্যাংক। পাশাপাশি এস আলমের নামে ও বেনামে কোনো আমানত থাকলে তা উত্তোলনে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়। এ ছাড়া জব্দ করা হয় ব্যাংকটিতে থাকা এস আলমের নামে ও বেনামি সব শেয়ার।

ব্যাংকটির গত ৩১ আগস্টভিত্তিক অভ্যন্তরীণ এক প্রতিবেদনে দেখা গেছে, তখন ঋণ ছিল ২৭ হাজার ৭৬৭ কোটি টাকা। এর মধ্যে খেলাপি হয়ে পড়েছে ১১ হাজার ৫৭৮ কোটি টাকা বা ৪২ শতাংশ। এর মধ্যে ৯ হাজার ২৬২ কোটি টাকা খেলাপি হয়েছে ক্ষতিজনক মানে, যা আদায় করা বেশ কঠিন। যদিও ব্যাংকটি গত জুনে কেন্দ্রীয় ব্যাংককে জানিয়েছে, খেলাপি ঋণ মাত্র ১ হাজার ৪৪ কোটি টাকা, যা মোট ঋণের ৪ শতাংশের কম।

২৪ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিদর্শক দল ব্যাংকটির এমডির কাছে পাঠানো এক চিঠিতে জানায়, ‘ব্যাংকে এস আলম গ্রুপের ঋণ প্রায় ১৮ হাজার কোটি টাকা। যার বেশির ভাগই কাল্পনিক লেনদেন ও এসব ঋণের বিপরীতে পর্যাপ্ত জামানত নেই।’ ফলে ২৭ হাজার ৭৬৭ কোটি টাকা ঋণের মধ্যে ৬৫ শতাংশই এস আলম গ্রুপের।

ব্যাংকটির একজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা নতুন চেয়ারম্যানের কাছে পাঠানো চিঠিতে বলেছেন, ‘গত ১৭ সেপ্টেম্বর কেন্দ্রীয় ব্যাংক ইউনিয়ন ব্যাংকে এস আলমের নামে ও বেনামে ঋণের তথ্য ও নথিপত্র চায়। এটা জানতে আমি সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাকে ই-মেইল করি, যার অনুলিপি দেওয়া হয় এমডির কাছেও। এর পরদিন এমডি টেলিফোনে আমাকে বলেন, এরপর যেন এস আলমের ঋণের ব্যাপারে কোনো তথ্য কারও কাছে না চাওয়া হয়, নইলে তাকে সরিয়ে দেওয়া হবে। এরপর তাকে ননপারফরমার আখ্যা দিয়ে দুই দিনের মধ্যে ২৫ কোটি টাকা খেলাপি ঋণ আদায়ের লক্ষ্য দেওয়া হয়।’

এভাবে যারা এস আলম–সংশ্লিষ্ট বিষয়ে কোনো উদ্যোগ নিচ্ছে, তাদেরই কোণঠাসা করে ফেলছেন এমডি। মোকাম্মেল হক চৌধুরীর বক্তব্য জানতে গত এক মাসে তিন দিন ব্যাংকটিতে গেলেও তিনি দেখা দেননি। তাঁকে মুঠোফোনে বারবার যোগাযোগ করা হলেও সাড়া দেননি।

ব্যাংকটি এখন তারল্য সংকটে ভুগছে। অনেক শাখার নগদ লেনদেন বন্ধ রয়েছে। নতুন পর্ষদও কোনো উদ্যোগ নিতে পারছে না। ব্যাংকটির চেয়ারম্যান মু. ফরীদ উদ্দিন আহমদ এ নিয়ে বলেন, ‘বাংলাদেশ ব্যাংক তারল্য সহায়তা না দিলে ব্যাংক চালানো কঠিন হয়ে পড়বে। বাংলাদেশ ব্যাংক সবকিছু দেখছে। তারাই বের করবে কে কত টাকা নিয়েছে। এ ক্ষেত্রে আমাদের কিছু করার নেই।’

এমআই

শেয়ার করুন:-
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

অর্থনীতি

জুনের মধ্যে ৬০০ কোটি ডলারের তহবিল প্রত্যাশা করছে সরকার: অর্থ উপদেষ্টা

Published

on

পাঁচ

চলতি অর্থবছরের মধ্যে বিশ্বব্যাংক ও আইএমএফসহ উন্নয়ন সহযোগীদের কাছ থেকে সরকার প্রায় ৬০০ কোটি ডলারের তহবিল পাওয়ার প্রত্যাশা করছে বলে জানিয়েছেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ।

গতকাল মঙ্গলবার উন্নয়ন সহযোগীদের সঙ্গে আলোচনার পর সচিবালয়ে তার কার্যালয়ে এই প্রত্যাশার কথা জানিয়েছেন।

অর্থ উপদেষ্টা বলেন, ৪৭০ কোটি ডলারের ঋণচুক্তির চতুর্থ কিস্তি ছাড়ার শর্ত পূরণের অগ্রগতি মূল্যায়ন করতে আইএমএফের তৃতীয় পর্যালোচনা মিশন মঙ্গলবার ঢাকায় পৌঁছেছে। ওয়াশিংটনে বিশ্বব্যাংক, আইএমএফ ও ওপেক তহবিলের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে এবং সরকার আগামী জুনের মধ্যে কিছু প্রতিশ্রুতি আশা করছে।

তিনি আরও বলেন, আমরা অদূর ভবিষ্যতে এডিবি এবং ওপেক তহবিল থেকেও অর্থায়ন আশা করছি। প্রতিশ্রুতি আসবে, কিন্তু এক বছরেও সহায়তা সরবরাহ আসবে না।

আইএমএফ মিশন তাদের পরবর্তী কর্মপন্থা নিয়ে আরও আলোচনার জন্য আগামী বছরের মার্চ মাসে আবারও আসতে পারে বলেও জানান অর্থ উপদেষ্টা।

চলমান ৪৭০ কোটি ডলারের ঋণ প্যাকেজ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এবার ১১১ কোটি ডলার ছাড় করা হবে বলে আশা করা হচ্ছে। আইএমএফ মিশনের এই সফরে প্রাথমিকভাবে রাজস্ব খাত, রাজস্ব ঘাটতি, প্রবৃদ্ধি ও মূল্যস্ফীতির ওপর গুরুত্বারোপ করা হবে। আমরা এখন পর্যন্ত যে কৌশলগুলো নিয়েছি এবং আগামীর জন্য যে পরিকল্পনাগুলো করেছি, তাও তারা মূল্যায়ন করবেন। ব্যাংকিং সংস্কার, খেলাপি ঋণ, আমানতকারীদের চাপসহ অন্যান্য বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের সঙ্গে আলোচনা করবে আইএমএফ মিশন।

পুরোপুরি না হলেও অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতার উন্নতি হয়েছে মন্তব্য করে সালেহউদ্দিন বলেন, বিনিয়োগ আকৃষ্ট এবং বিদেশি দাতাদের অবদান রাখতে উৎসাহিত করার এখনই সময়। বৈদেশিক মুদ্রার বিনিময় হার তুলনামূলকভাবে স্থিতিশীল। কিছু ব্যাংকের তারল্য সহায়তার প্রয়োজন হলেও বেসরকারি খাতের সবচেয়ে বড় ব্যাংক—ইসলামী ব্যাংক ঘুরে দাঁড়াচ্ছে এবং অন্যান্য ব্যাংকগুলো ধীরে ধীরে স্থিতিশীল হবে বলে আশা করা হচ্ছে। বিধিনিষেধের কারণে অভ্যন্তরীণ রেমিট্যান্স ও রপ্তানি প্রবৃদ্ধি শক্তিশালী থাকলেও আমদানি কম, বিশেষ করে উৎপাদনকারী উপকরণ।

অর্থ উপদেষ্টা আরও বলেন, আমরা তাদের আশ্বস্ত করেছি যে, আমরা যেসব ব্যবস্থা গ্রহণ করবো, তা দীর্ঘমেয়াদে দেশকে উপকৃত করবে। আমরা এই পরিস্থিতি মোকাবিলায় সম্ভাব্য পদক্ষেপের কথা বিবেচনা করছি।

আইএমএফ দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য বাস্তবসম্মত লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করবে আশাবাদ ব্যক্ত করে তিনি বলেন, চলতি ঋণ প্যাকেজ নিয়ে আলোচনার পর বাড়তি অর্থায়নের বিষয়টি বিবেচনা করা হবে। আমরা এখন চলমান ঋণ প্যাকেজ নিয়ে আলোচনা করছি, পরে অতিরিক্ত তহবিল চাওয়ার বিষয়টি বিবেচনা করবো।

শেয়ার করুন:-
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুরো সংবাদটি পড়ুন

অর্থনীতি

পাকিস্তানের কাছ থেকে ২৫ হাজার টন চিনি কিনল বাংলাদেশ

Published

on

পাঁচ

পাকিস্তানের কাছ থেকে উচ্চ মানসম্পন্ন ২৫ হাজার টন চিনি কিনেছে বাংলাদেশ। আগামী মাসেই বাংলাদেশের চট্টগ্রাম বন্দরে এসে পৌঁছাবে এই চিনি। কয়েক দশক পর এই দেশটির কাছ থেকে এতো বিপুল পরিমাণে চিনি কিনল ঢাকা। এর আগে ভারতের কাছ থেকে চিনি কিনতো বাংলাদেশ।

মঙ্গলবার (৩ ডিসেম্বর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম দ্য নিউজ ইন্টারন্যাশনাল।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পাকিস্তানের কাছ থেকে ২৫ হাজার টন উচ্চমানের চিনি কিনেছে বাংলাদেশ, যা আগামী মাসে করাচি বন্দর থেকে চট্টগ্রাম বন্দরে পৌঁছাবে। কর্মকর্তাদের মতে, বহু দশক পর ভ্রাতৃপ্রতিম দেশ বাংলাদেশে এত বিপুল পরিমাণে নিজেদের উৎপাচিত পণ্য পাঠাচ্ছে পাকিস্তানি চিনি শিল্প।

গত সোমবার (২ ডিসেম্বর) আন্তর্জাতিক বাজারে চিনির দাম প্রতি টনে ৫৩০ মার্কিন ডলারে পৌঁছেছে।

দ্য নিউজ ইন্টারন্যাশনাল বলছে, এর আগে ভারত থেকে চিনি আমদানি করে আসছিল বাংলাদেশ। প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফের অনুমোদনের পর এই বছর কমবেশি ৬ লাখ টন চিনি রপ্তানির চুক্তি করেছে পাকিস্তানের চিনি শিল্প।

এর মধ্যে ৭০ হাজার টন চিনি পাকিস্তান থেকে পাঠানো হবে মধ্য এশিয়ার দেশগুলোতে। থাইল্যান্ড পাকিস্তানের চিনি শিল্প থেকে ৫০ হাজার টন চিনি কিনেছে। পাকিস্তানের চিনি ব্যবসায়ীদের কর্মকর্তা মজিদ মালিকের মতে, উপসাগরীয় রাষ্ট্র, আরব দেশ এবং আফ্রিকান দেশগুলোও পাকিস্তান থেকে চিনি কেনার চুক্তি করেছে।

চিনি রপ্তানি থেকে পাকিস্তান ৪০০-৫০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার আয় করবে। মূলত পাকিস্তানের চিনি শিল্প দক্ষিণ এশিয়ার এই দেশটির জন্য একটি প্রধান বৈদেশিক মুদ্রা উপার্জনকারী শিল্প হয়ে উঠেছে।

পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম বলছে, দেশের রাজনৈতিক ও সামরিক নেতৃত্বের যৌথ প্রচেষ্টায় দেশের চিনি শিল্পও সফলভাবে বিপুল পরিমাণ চিনি রপ্তানি করে চলেছে। এর আগে এসব চিনি আফগানিস্তানের মধ্য দিয়ে উজবেকিস্তান, তাজিকিস্তান, তুর্কমেনিস্তান, কাজাখস্তান এবং আজারবাইজানে পাচার হয়ে যেত।

কাফি

শেয়ার করুন:-
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুরো সংবাদটি পড়ুন

অর্থনীতি

এলডিসি থেকে উত্তরণ ২০২৬ সালের নভেম্বরেই: বাণিজ্য উপদেষ্টা

Published

on

পাঁচ

স্বল্পোন্নত দেশের (এলডিসি) তালিকা থেকে ২০২৬ সালের নভেম্বরেই বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত হতে চলেছে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন। তিনি বলেন, আমাদের অর্থনৈতিক যাত্রার একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক হবে এটি এবং এ পরিবর্তন বিপুল পরিমাণ সুযোগ তৈরি করবে। তবে এ জন্য আমাদের ব্যবসায়িক সংগঠন ও মানবসম্পদের সক্ষমতা বাড়াতে হবে।

মঙ্গলবার (৩ ডিসেম্বর) ঢাকার একটি হোটেলে বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার বিরোধ নিষ্পত্তি–সংক্রান্ত জাতীয় কর্মশালাবিষয়ক তিন দিনব্যাপী অনুষ্ঠানের উদ্বোধনী অধিবেশনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাণিজ্য উপদেষ্টা এ কথাগুলো বলেন।

অনুষ্ঠানে বাণিজ্যসচিব মোহাং সেলিম উদ্দিন, বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার (ডব্লিউটিও) লিগ্যাল অ্যাফেয়ার্স বিভাগের পরিচালক জর্জ ক্যাস্ট্রো ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের ডব্লিউটিও অনুবিভাগের অতিরিক্ত সচিব নাজনীন কাওসার চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন। কর্মশালায় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়সহ বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগের মধ্যম শ্রেণির কর্মচারী ও ব্যবসায়ী নেতারা অংশ নেন।

এর আগে গত শনিবার ঢাকা চেম্বার আয়োজিত এক বাণিজ্য সম্মেলনে ব্যবসায়ীদের একাংশ ২০২৬ সালে এলডিসি তালিকা থেকে বের হওয়া পিছিয়ে দেওয়া যায় কি না, সেই প্রশ্ন তুলেছিলেন।

ওই দিন ফরেন ইনভেস্টরস চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (এফআইসিসিআই) সভাপতি জাভেদ আখতার বলেছিলেন, ২০২৬ সালে এলডিসি থেকে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণ হওয়ার দরকার আছে কি না, সম্ভাব্য চ্যালেঞ্জগুলো নেওয়া যাবে কি না, এখনই তা ভেবে দেখা দরকার। অন্য ব্যবসায়ীরাও এ বিষয়ে একই ভাষায় কথা বলছিলেন।

এলডিসি থেকে উত্তরণ নিয়ে ওই দিন শেখ বশিরউদ্দীনের জবাব ছিল, এটা করতে হবে। ২০২৬ না ২০৩০, তা নিয়ে আলোচনা হতে পারে, কিন্তু এটা করতেই হবে। যথাযথ নীতি তৈরি করতে পারলে এটা সম্ভব।

এর আগে গত ১২ আগস্ট ঢাকা চেম্বারের সাবেক সভাপতি শামস মাহমুদ এক বক্তব্যে বলেছিলেন, এলডিসি থেকে উত্তরণ ১০ বছর পিছিয়ে দেওয়া দরকার। বর্তমান প্রেক্ষাপটে অর্থায়নের সুযোগ ও জিএসপি প্লাসের প্রস্তুতির জন্য প্রয়োজনীয় বিনিয়োগ এবং সেই বিনিয়োগের জোগান দেওয়ার মতো অবস্থায় নেই দেশের ব্যাংক খাত। এ কারণেই এলডিসি থেকে উত্তরণের দরকার নেই বলে তিনি মত দেন।

এলডিসি থেকে বের হলে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল হবে। গরিব বা এলডিসির তকমা থাকবে না। পুরোপুরি উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে বিবেচিত হবে বাংলাদেশ, যাতে সামাজিক ও অর্থনৈতিক সক্ষমতার বহিঃপ্রকাশ হবে। ডব্লিউটিওর এক প্রতিবেদন অনুযায়ী, এলডিসি থেকে বের হলে বাংলাদেশের পণ্যের ওপর নিয়মিত হারে শুল্ক বসবে। বাড়তি শুল্কের কারণে রপ্তানি কমতে পারে বছরে ৫৩৭ কোটি মার্কিন ডলারের (প্রায় ৫০ হাজার কোটি টাকা)।

আজ সকালে কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বাণিজ্য উপদেষ্টা বলেন, বহুপক্ষীয় বাণিজ্য ব্যবস্থায় নিরাপত্তা ও পূর্বাভাস দেওয়ার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে বিরোধ নিষ্পত্তি ব্যবস্থা। এ ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

বাণিজ্য উপদেষ্টা বলেন, আমরা যতই এগিয়ে যাব, ততই অর্থনৈতিক অংশীদারত্ব চুক্তি (ইপিএ), সমন্বিত অর্থনৈতিক অংশীদারত্ব চুক্তি (সিইপিও) করার জন্য দ্বিপক্ষীয় আলোচনার পাশাপাশি বহুপক্ষীয় আলোচনা করতে হবে। ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ), দক্ষিণ এশীয় উপ–আঞ্চলিক অর্থনৈতিক সহযোগিতা (সাসেক) ও আসিয়ানের মতো আঞ্চলিক সংস্থাগুলোর সঙ্গে সম্পর্কও গভীরতর করতে হবে।

শেয়ার করুন:-
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুরো সংবাদটি পড়ুন

অর্থনীতি

আইএমএফের ঋণের চতুর্থ কিস্তি পাওয়া যাবে ফেব্রুয়ারি-মার্চে

Published

on

পাঁচ

আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) ঋণের চতুর্থ কিস্তির ১.১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার আগামী ফেব্রুয়ারি-মার্চে পাওয়া যাবে বলে জানিয়েছেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালাহউদ্দীন আহমেদ।

মঙ্গলবার (৩ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় আইএমএফ প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা জানান। ১৩ সদস্যের প্রতিনিধি দলটি সরকারের শীর্ষ পর্যায়, বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা ও সরকারি বিভিন্ন সংস্থার প্রধানদের সঙ্গে বৈঠক করবেন।

অর্থ উপদেষ্টা বলেন, আজকে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) প্রতিনিধিদল এসেছিল। তাদের সঙ্গে ঋণ প্যাকেজ ৪.৭ বিলিয়ন ডলারে মধ্যে চতুর্থ কিস্তির ১.১ বিলিয়ন ডলার নিয়ে আলোচনা হয়েছে। আমরা আশা করছি আগামী ফেব্রুয়ারি-মার্চের মধ্যে এটা পেয়ে যাব।

তিনি বলেন, আমাদের স্থিতিশীলতা কিন্তু ফিরে আসছে। সম্পূর্ণ আসে নাই, তবে এখন সময় বিনিয়োগের। আপনারা দেখবেন ফরেন এক্সচেঞ্জ রেট আগের মতো ওঠানামা করছে না। ব্যাংকিং খাতের মধ্যে বেশ কয়েকটি ব্যাংকের লিকুইডিটি সার্পোট লাগছে। তবে ইসলামী ব্যাংকের মতো বড় ব্যাংক কিছুটা ফিরে আসছে। ইসলাসী ব্যাংক সব বেসরকারি ব্যাংকগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বড় ব্যাংক। অন্যান্য ব্যাংকগুলোও ধীরে ধীরে ফিরে আসবে।

তিনি বলেন, রেমিট্যান্স খুবই ভালো। রপ্তানিও হচ্ছে ভালো, আমদানি একটু কম আছে। তবে আগের থেকে একটু বেড়েছে। মূলধনি যন্ত্রপাতি কিছু কম আসছে, সেটা কিছু রেস্ট্রিকশনের কারণে। সেটা আমরা চিন্তা করছি, কী করা যায়। তারা আমাদের এখানে থাকবে কিছুদিন। আমরা তাদের বলেছি আমরা এমন কিছু নেব যেটা ভবিষ্যতে বাংলাদেশের জন্য মঙ্গলজনক হয়। আমরা এমন কিছু নেব না যেটা নিজের।

অর্থ উপদেষ্টা বলেন, তারা কতগুলো লক্ষ্যমাত্রা দেবে সেটা করতে পারব কিনা, সেটা অন্য ব্যাপার। কিন্তু আমি আশা করি তারা বাংলাদেশের অর্থনীতির উন্নয়নের জন্য সহায়তা দেবে।

অতিরিক্ত ফান্ডের বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে উপদেষ্টা বলেন, অতিরিক্ত ফান্ডের বিষয়ে আমরা আবার আলোচনা করে বলব। চলমান ৪.৭ বিলিয়ন ডলার তো প্রথম প্যাকেজের। কিন্তু সংস্কার করতে হলে আমাদের ফান্ড লাগবে। আমাদের অনেক কিছু সংস্কার করতে হচ্ছে, যেমন- ব্যাংকিং খাত, রাজস্ব খাত। এগুলো করতে আমাদের ফান্ড লাগবে।

তিনি বলেন, কিছুদিন পর এডিবি আসবে, ওপেক ফান্ডের টাকা আসবে। সব মিলিয়ে আগামী জুনের মধ্যে ৬ বিলিয়ন ডলার পাব।

শ্বেতপত্র নিয়ে তাদের সঙ্গে কোনো আলোচনা হয়েছে কিনা- জানতে চাইলে তিনি বলেন, এ বিষয়ে আইএমএফের সঙ্গে কোনো আলোচনা হয়নি।

উল্লেখ্য, বৈদেশিক মুদ্রা রিজার্ভ কমতে থাকার মধ্যে গত বছরের ৩০ জানুয়ারি আইএমএফের সঙ্গে ৪৭০ কোটি ডলারের ঋণচুক্তি করে বাংলাদেশ। এর তিনদিন পর প্রথম কিস্তিতে ৪৭ কোটি ৬২ লাখ ৭০ হাজার ডলার ছাড় করে সংস্থাটি। এরপর গত ১৬ ডিসেম্বর দ্বিতীয় কিস্তির ৬৮ কোটি ২০ লাখ ডলার ছাড় করা হয়।

২০২৬ সাল পর্যন্ত মোট সাতটি কিস্তিতে ঋণের পুরো অর্থ ছাড় করার কথা রয়েছে। দ্বিতীয় কিস্তির পরবর্তীগুলোতে সমান অর্থ থাকার কথা ছিল। কিন্তু রিজার্ভ আরও কমে যাওয়ায় তৃতীয় ও চতুর্থ কিস্তিতে বেশি অর্থ চায় বাংলাদেশ। ইতোমধ্যে বেশকিছু কঠিন শর্তের বাস্তবায়ন এবং আগামীতে আরও বড় সংস্কার কার্যক্রমের প্রতিশ্রুতি দেওয়ায় সংস্থাটি তৃতীয় কিস্তিতে ৬৮ কোটি ডলারের পরিবর্তে ১১৫ কোটি ডলার দিয়েছে। এখন চতুর্থ কিস্তিতে ১.১ বিলিয়ন ডলার দিতে সম্মত হয়েছে। তবে মোট ঋণের পরিমাণ এবং মেয়াদ একই থাকবে।

শেয়ার করুন:-
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুরো সংবাদটি পড়ুন

অর্থনীতি

ইউসিবি ও ন্যাশনাল ফাইন্যান্স চেয়ারম্যানের ব্যাংক হিসাব জব্দ

Published

on

পাঁচ

ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক পিএলসির (ইউসিবি) চেয়ারম্যান শরীফ জহির ও তার ভাই ন্যাশনাল ফাইন্যান্স লিমিটেডের (এনএফএল) চেয়ারম্যান আসিফ জহিরের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট জব্দ করা হয়েছে। একই সঙ্গে তার মা কামরুন নাহারের ব্যাংক হিসাব স্থগিত রাখার নির্দেশ দিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর)।

জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সেন্ট্রাল ইন্টেলিজেন্স সেল দেশের ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের কাছে এ সংক্রান্ত চিঠি পাঠিয়ে অ্যাকাউন্ট জব্দ করতে বলেছে। হিসাব জব্দ করা ব্যক্তি ও তাদের ব্যক্তি মালিকানা ব্যবসায়িক অ্যাকাউন্টের সব লেনদেন বন্ধ থাক‌বে।

চিঠিতে বলা হয়েছে, আয়কর আইন ২০২৩-এর ২২৩ ধারার ক্ষমতাবলে শরীফ জহির, তার ভাই আসিফ জহির ও তাদের মা কামরুন নাহার এবং সৈয়দ ইশতিয়াক ইসলাম (পিতা- সৈয়দ দিদারুল আলম) ও তাদের পরিবারের (পিতা, মাতা, ভাই, বোন, স্ত্রী, পুত্র ও কন্যা) নামে পরিচালিত সব হিসাব (ক্রেডিট কার্ড, ডেবিট কার্ড, ভল্ট লকার) অর্থসম্পদ লেনদেন স্থগিত করতে বলা হয়েছে।

শরীফ জহির ইউসিবি ব্যাংকের নবগঠিত বোর্ডের চেয়ারম্যান। তিনি পোশাক ও বস্ত্র খাতের প্রতিষ্ঠান অনন্ত গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক। তার ভাই আসিফ জহির সম্প্রতি এনএফএলের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি অনন্ত গ্রুপে উপব্যবস্থাপনা পরিচালক পদে দায়িত্ব পালন করছেন। এ ছাড়া, তিনি আসিফ জহির সিন্দাবাদডটকম লিমিটেডের প্রতিষ্ঠাতা ও এমডি।

শেয়ার করুন:-
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুরো সংবাদটি পড়ুন

পুঁজিবাজারের সর্বশেষ

পাঁচ পাঁচ
পুঁজিবাজার15 minutes ago

পাঁচ কোম্পানির লেনদেন চালু আগামীকাল

অর্থসংবাদ whatsapp চ্যানেল ফলো করুন রেকর্ড তারিখের পর পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত পাঁচ কোম্পানির শেয়ার লেনদেন আগামীকাল বৃহস্পতিবার (৫ ডিসেম্বর) চালু হবে।...

পাঁচ পাঁচ
পুঁজিবাজার41 minutes ago

১৩ কোম্পানির লেনদেন বন্ধ আগামীকাল

অর্থসংবাদ whatsapp চ্যানেল ফলো করুন রেকর্ড ডেটের কারণে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ১৩ কোম্পানির শেয়ার লেনদেন আগামীকাল বৃহস্পতিবার (০৫ ডিসেম্বর) বন্ধ থাকবে।...

পাঁচ পাঁচ
পুঁজিবাজার56 minutes ago

বৃহস্পতিবার স্পট মার্কেটে যাচ্ছে তিন কোম্পানি

অর্থসংবাদ whatsapp চ্যানেল ফলো করুন পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত তিন কোম্পানি রেকর্ড ডেটের আগে আগামীকাল বৃহস্পতিবার (০৫ ডিসেম্বর) স্পট মার্কেটে যাচ্ছে। ঢাকা...

পাঁচ পাঁচ
পুঁজিবাজার1 hour ago

শেয়ার বিক্রি করবে একমি ল্যাবরেটরিজের উদ্যোক্তা

অর্থসংবাদ whatsapp চ্যানেল ফলো করুন পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানি একমি ল্যাবরেটরিজ লিমিটেডের এক উদ্যোক্তা শেয়ার বিক্রয়ের ঘোষণা দিয়েছেন। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ...

পাঁচ পাঁচ
পুঁজিবাজার3 hours ago

সূচক ঊর্ধ্বমুখী, দেড় ঘণ্টায় লেনদেন ১৮৫ কোটি টাকা

অর্থসংবাদ whatsapp চ্যানেল ফলো করুন সপ্তাহের চতুর্থ কার্যদিবসে দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সূচকের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতায় চলছে লেনদেন।...

পাঁচ পাঁচ
পুঁজিবাজার3 hours ago

সিকদার ইন্স্যুরেন্সের এজিএমের তারিখ পরিবর্তন

অর্থসংবাদ whatsapp চ্যানেল ফলো করুন পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত সিকদার ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেডের ১১তম বার্ষিক সাধারণ সভার (এজিএম) তারিখ পরিবর্তন করা হয়েছে।...

পাঁচ পাঁচ
পুঁজিবাজার4 hours ago

ইস্টার্ন হাউজিংয়ের ক্রেডিট রেটিং সম্পন্ন

অর্থসংবাদ whatsapp চ্যানেল ফলো করুন পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানি ইস্টার্ন হাউজিং লিমিটেডের ক্রেডিট রেটিং সম্পন্ন করা হয়েছে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই)...

পাঁচ পাঁচ
পুঁজিবাজার4 hours ago

লভ্যাংশ দেবে না জুট স্পিনার্স

অর্থসংবাদ whatsapp চ্যানেল ফলো করুন গত ৩০ জুন, ২০২৪ তারিখে সমাপ্ত হিসাববছরের জন্য লভ্যাংশ সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত জানিয়েছে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানি...

পাঁচ পাঁচ
পুঁজিবাজার4 hours ago

ঢাকা ডাইংয়ের পর্ষদ সভার তারিখ ঘোষণা

অর্থসংবাদ whatsapp চ্যানেল ফলো করুন পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানি দ্য ঢাকা ডাইং অ্যান্ড ম্যানুফ্যাকচারিং কোম্পানি লিমিটেড পর্ষদ সভার তারিখ ঘোষণা করেছে।...

পাঁচ পাঁচ
পুঁজিবাজার19 hours ago

পুঁজিবাজারকে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে নিম্নমানের আইপিও: ডিএসই পরিচালক

অর্থসংবাদ whatsapp চ্যানেল ফলো করুন গত ১৫ বছরে অনেক নিম্নমানের আইপিও এসেছে। যা পুঁজিবাজারকে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে বলে জানিয়েছেন ঢাকা স্টক...

পাঁচ পাঁচ
পুঁজিবাজার20 hours ago

শেয়ারবাজারে ছাত্র-জনতার জন্য সুযোগ দেওয়া উচিৎ

অর্থসংবাদ whatsapp চ্যানেল ফলো করুন শেয়ারবাজারে ছাত্র-জনতার জন্য সুযোগ দেওয়া উচিৎ। তাঁরা দেশের অভ্যুত্থানে করেছে। বর্তমান কমিশনের উচিৎ ছাত্র-জনতার জন্য...

পাঁচ পাঁচ
পুঁজিবাজার22 hours ago

বুধবার স্পট মার্কেটে যাচ্ছে তিন কোম্পানি

অর্থসংবাদ whatsapp চ্যানেল ফলো করুন পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত তিন কোম্পানি রেকর্ড ডেটের আগে আগামীকাল বুধবার (০৪ ডিসেম্বর) স্পট মার্কেটে যাচ্ছে। কোম্পানিগুলো...

পাঁচ পাঁচ
পুঁজিবাজার22 hours ago

ব্লকে ম্যারিকোর সর্বোচ্চ লেনদেন

অর্থসংবাদ whatsapp চ্যানেল ফলো করুন সপ্তাহের তৃতীয় কার্যদিবসে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) ব্লকে ২৬টি প্রতিষ্ঠান লেনদেনে অংশ নিয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানের...

Confidence Cement Confidence Cement
পুঁজিবাজার22 hours ago

কনফিডেন্স সিমেন্টের ক্যাটাগরি পরিবর্তন

অর্থসংবাদ whatsapp চ্যানেল ফলো করুন পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কনফিডেন্স সিমেন্ট পিএলসির ক্যাটাগরির অবনতি হয়েছে। কোম্পানিটিকে ‘এ’ ক্যাটাগরি থেকে ‘জেড’ ক্যাটাগরিতে স্থানান্তর...

পাঁচ পাঁচ
পুঁজিবাজার22 hours ago

পাঁচ কোম্পানির লেনদেন বন্ধ বুধবার

অর্থসংবাদ whatsapp চ্যানেল ফলো করুন রেকর্ড ডেট সংক্রান্ত কারণে আগামীকাল বুধবার (০৪ ডিসেম্বর) ২০২৪ তারিখ বন্ধ থাকবে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ৫...

Advertisement
Advertisement

সোশ্যাল মিডিয়া

২০১৮ সাল থেকে ২০২৩

অর্থসংবাদ আর্কাইভ

তারিখ অনুযায়ী সংবাদ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১৩
১৫১৬১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭
৩০৩১  
পাঁচ
পুঁজিবাজার15 minutes ago

পাঁচ কোম্পানির লেনদেন চালু আগামীকাল

পাঁচ
পুঁজিবাজার41 minutes ago

১৩ কোম্পানির লেনদেন বন্ধ আগামীকাল

পাঁচ
পুঁজিবাজার56 minutes ago

বৃহস্পতিবার স্পট মার্কেটে যাচ্ছে তিন কোম্পানি

পাঁচ
পুঁজিবাজার1 hour ago

শেয়ার বিক্রি করবে একমি ল্যাবরেটরিজের উদ্যোক্তা

পাঁচ
অর্থনীতি2 hours ago

জুনের মধ্যে ৬০০ কোটি ডলারের তহবিল প্রত্যাশা করছে সরকার: অর্থ উপদেষ্টা

পাঁচ
অর্থনীতি2 hours ago

পাকিস্তানের কাছ থেকে ২৫ হাজার টন চিনি কিনল বাংলাদেশ

পাঁচ
আইন-আদালত2 hours ago

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে সাবেক দুই মন্ত্রী

পাঁচ
আইন-আদালত3 hours ago

লেবানন থেকে দেশে ফিরবেন আরও ১০৫ বাংলাদে‌শি

পাঁচ
আন্তর্জাতিক3 hours ago

ভারতে ৫.৩ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্পের আঘাত

পাঁচ
পুঁজিবাজার3 hours ago

সূচক ঊর্ধ্বমুখী, দেড় ঘণ্টায় লেনদেন ১৮৫ কোটি টাকা

পাঁচ
পুঁজিবাজার15 minutes ago

পাঁচ কোম্পানির লেনদেন চালু আগামীকাল

পাঁচ
পুঁজিবাজার41 minutes ago

১৩ কোম্পানির লেনদেন বন্ধ আগামীকাল

পাঁচ
পুঁজিবাজার56 minutes ago

বৃহস্পতিবার স্পট মার্কেটে যাচ্ছে তিন কোম্পানি

পাঁচ
পুঁজিবাজার1 hour ago

শেয়ার বিক্রি করবে একমি ল্যাবরেটরিজের উদ্যোক্তা

পাঁচ
অর্থনীতি2 hours ago

জুনের মধ্যে ৬০০ কোটি ডলারের তহবিল প্রত্যাশা করছে সরকার: অর্থ উপদেষ্টা

পাঁচ
অর্থনীতি2 hours ago

পাকিস্তানের কাছ থেকে ২৫ হাজার টন চিনি কিনল বাংলাদেশ

পাঁচ
আইন-আদালত2 hours ago

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে সাবেক দুই মন্ত্রী

পাঁচ
আইন-আদালত3 hours ago

লেবানন থেকে দেশে ফিরবেন আরও ১০৫ বাংলাদে‌শি

পাঁচ
আন্তর্জাতিক3 hours ago

ভারতে ৫.৩ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্পের আঘাত

পাঁচ
পুঁজিবাজার3 hours ago

সূচক ঊর্ধ্বমুখী, দেড় ঘণ্টায় লেনদেন ১৮৫ কোটি টাকা

পাঁচ
পুঁজিবাজার15 minutes ago

পাঁচ কোম্পানির লেনদেন চালু আগামীকাল

পাঁচ
পুঁজিবাজার41 minutes ago

১৩ কোম্পানির লেনদেন বন্ধ আগামীকাল

পাঁচ
পুঁজিবাজার56 minutes ago

বৃহস্পতিবার স্পট মার্কেটে যাচ্ছে তিন কোম্পানি

পাঁচ
পুঁজিবাজার1 hour ago

শেয়ার বিক্রি করবে একমি ল্যাবরেটরিজের উদ্যোক্তা

পাঁচ
অর্থনীতি2 hours ago

জুনের মধ্যে ৬০০ কোটি ডলারের তহবিল প্রত্যাশা করছে সরকার: অর্থ উপদেষ্টা

পাঁচ
অর্থনীতি2 hours ago

পাকিস্তানের কাছ থেকে ২৫ হাজার টন চিনি কিনল বাংলাদেশ

পাঁচ
আইন-আদালত2 hours ago

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে সাবেক দুই মন্ত্রী

পাঁচ
আইন-আদালত3 hours ago

লেবানন থেকে দেশে ফিরবেন আরও ১০৫ বাংলাদে‌শি

পাঁচ
আন্তর্জাতিক3 hours ago

ভারতে ৫.৩ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্পের আঘাত

পাঁচ
পুঁজিবাজার3 hours ago

সূচক ঊর্ধ্বমুখী, দেড় ঘণ্টায় লেনদেন ১৮৫ কোটি টাকা