পুঁজিবাজার
বিএসইসি চেয়ারম্যানের পদত্যাগের দাবি বিনিয়োগকারীদের
পুঁজিবাজার সংক্রান্ত বিষয়ে সকল স্টেকহোল্ডারদের সুচিন্তিত মতামত গ্রহন করে পারস্পরিক অনাস্থা দূর করে বিনিয়োগকারীদেরকে আস্থায় নেয়ার কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে। অন্যাথায় ধারাবাহিক মার্কেট পতন ও অযোগ্যতার দায়ভার নিয়ে বিএসইসির চেয়ারম্যানকে নিজ দায়িত্ব থেকে সরে যাওয়ার দাবি জানিয়েছেন বিনিয়োগকারীরা।
শনিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) এক সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ পুজিবাজার বিনিয়োগকারী সম্মিলিত পরিষদের ব্যানারে এ দাবি জানানো হয়।
লিখিত বক্তব্যে সংগঠনটির সভাপতি আতাউল্লাহ নাঈম বলেন, পুঁজিবাজার সংক্রান্ত সকল প্রতিষ্ঠানে ঘাপটি মেরে থাকা বিগত সরকারের সুবিধাভোগীরা ছাত্র-জনতার সরকারকে বেকাদায় ফেলতে এবং পুঁজিবাজারে অস্থিরতার সৃষ্টি করে স্বার্থ হাসিলে বিগত বিএসইসির জেড ক্যাটাগরি সংক্রান্ত উদ্যোগ বর্তমান সময়ে বাস্তবায়নে কারা অসৎ উদ্দেশ্য আছে কিনা তা খতিয়ে দেখে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
১২টি দাবি তুলে ধরেন সংগঠনটির সভাপতি। এগুলোর মধ্যে রয়েছে-
২। পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ২৮টি কোম্পানীকে জেড ক্যাটাগরিতে পাঠানোর কারণে শেয়ারধারীরা মূলধন হারাচ্ছে। এই ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্টকোম্পানীগুলোকে নির্দিষ্ট সময়সীমা বেঁধে দেয়া যেতে পারে। পাশাপাশি উক্ত কোম্পানীগুলোর পরিচালকদের দেশ ত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দেয়া যেতেপারে। কোম্পানী সম্পর্কিত নন-কমপ্ল্যায়েন্স এর জন্য পরিচালকদের ব্যাক্তিগত অ্যাকাউন্ট ফ্রীজ করে কমপ্ল্যায়েন্স ঠিক করতে হবে। এক্ষেত্রে ডিভিডেন্ট বিতরণের অনিয়ম দূর হবে।
৩। পুঁজিবাজারের বিনিয়োগকারীদের জন্য পুঁজির নিরাপত্তা বিধানের লক্ষ্যে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের ন্যায় আমাদের দেশে “পুঁজি বিনিয়োগ আইন” প্রণয়নও কার্যকর করতে হবে। প্রকৃত লভ্যাংশ না পেলে এবং কোম্পানীগুলো প্রতারণার আশ্রয় নিলে যাতে বিনিয়োগকারীরা আইনী সুযোগ নিতে পারেতা নিশ্চিত করতে হবে। বিএসইসিকে পুঁজিবাজারের স্বচ্ছতা বাড়াতে আইনের সময়োপযোগী সংশোধন করতে হবে।
৪। বিগত ১৫ বছর কারসাজির কারণে সৃষ্ট পতনে সর্বস্ব হারিয়ে যে সব বিনিয়োগকারী আত্মহত্যা ও হার্ট অ্যাটাকে মারা গেছেন, সে সব বিনিয়োগকারীদের পরিবার থেকে ০১ জনকে চাকুরীর সু-ব্যবস্থা করে দেওয়ার জন্য জোর দাবী জানাচ্ছি।
৫। ২০১০ সালের ধসের পর থেকে আজ অবদি পুঁজিহারা বিনিয়োগকারীদের ৫০% পুঁজির যোগান দেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট জোর দাবী জানাচ্ছি।
৬। চিহ্নিত কারসাজীকারকদের কারণে ২০১০ সালের মহাধসের পর থেকে বিনিয়োগকারীদের পুঁজি রক্ষার আন্দোলন করতে গিয়ে বিগত সরকারের হামলা-মামলার রোষানলে পড়ে নিরীহ বিনিয়োগকারীরা। চরম আর্থিক সংকট, পারিবারিক ও সামাজিক বৈষম্যের শিকার হয়ে মানবেতর জীবনযাপন করতে বাধ্য হয়েছে। যার খবর কেউ রাখেনি। সুতরাং সকল হয়রানিমূলক মিথ্যা মামলা নিঃশর্ত প্রত্যাহার করতে হবে। মিথ্যা মামলা চালাতে গিয়ে যত টাকা খরচ হয়েছে তার ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা করতে হবে ।
৭। পুঁজিবাজারে তালিকাভূক্ত কোম্পানীগুলোতে স্বেচ্ছাচারিতার কারণে বিনিয়োগকারীদের সঠিক তথ্য না দেওয়া, প্রকৃত লভ্যাংশ থেকে বিনিয়োগকারীদের বঞ্চিত করা, কোম্পানীর বিভিন্ন অনিয়ম তুলে ধরে কথা বলার সুযোগ না দেওয়া এবং দুর্নীতি ও অপকর্মের মাধ্যমে এজিএম সম্পন্ন করে কোম্পানীর এজেন্ডা পাশ করানোর মধ্য দিয়ে বিনিয়োগকারীদের সর্বপ্রকার অধিকার হরণ করা হচ্ছে। পাশাপাশি আইপিওতে আসা কোম্পানীগুলোতে গিয়ে বিভিন্ন সংস্থার নামে চাঁদা আদায়ও এজিএম কে ঘিরে চলমান অনিয়ম দুর্নীতি অনুসন্ধান করে প্রকৃত দায়ীদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে অবিলম্বে মনিটরিং ব্যবস্থা জোরদার করতে হবে।
৮। পুঁজিবাজারের বর্তমান সংকটকালে ব্যাংকগুলোকে সংকট উত্তরণে এগিয়ে আসতে হবে, কারণ রাইট শেয়ার ছেড়ে সুবিধামতো সময়ে ব্যাংকগুলো পুঁজিবাজার থেকে হাজার-হাজার কোটি টাকা সংগ্রহ করেছিল। তাই পুঁজিবাজারে ব্যাংকগুলোর বিনিয়োগ নিশ্চিত করার কার্যকর ভূমিকা ও উদ্যোগগ্রহণ করতে হবে। এই ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ব্যাংক কে পলিসি সাপোর্ট দিতে হবে।
৯। সবকিছু শুধু আইন দিয়েই হয় না, মানবিক বিষয়টি অনেক সময় আইনের উর্ধ্বে উঠে যায়। কারণ আইন যেহেতু মানুষের জন্যই। বর্তমান ধারাবাহিক দরপতনে বিনিযোগকারীরা নিঃস্ব। সুতরাং মানবিক কারণে ফোর্সসেল আপাতত বন্ধ রাখার আকুল আবেদন জানাই। বর্তমান প্রেক্ষাপটে পুঁজিবাজারকে অব্যাহতভাবে গতিশীল রাখার স্বার্থে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী ও বড় বিনিয়োগকারীদের বাজারে সক্রিয় করতে উদ্যোগ গ্রহণ করলেই ক্যুইটি মাইনাস একাউন্টগুলো দ্রুত লেনদেনের আওতায় আসবে। এক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় আইনী কাঠামোয় মার্চেন্ট ব্যাংক ও ব্রোকার হাউজগুলোকে তহবিল বৃদ্ধির জন্য তাদের কে নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় অর্থ সংগ্রহের সুযোগ দেওয়া যায় কিনা সে বিষয়ে বিএসইসির মনোযোগ আকর্ষণ করছি।
১০। অতিদ্রুত বাইব্যাক আইন করতে হবে। কারণ সেকেন্ডারি মার্কেটে মৌলভিত্তি সম্পন্ন অনেক শেয়ারের মূল্য ফেসভ্যালুর কাছাকাছি। এমতাবস্থায় প্রিমিয়ামসহ ইস্যু মূল্যের নিচে শেয়ার দর নামলে তা সংশ্লিষ্ট কোম্পানী/ মালিককে বাইব্যাক করতে হবে ।
১১। আইনি নির্দেশনা থাকা সত্বেও ইস্যু ম্যানেজাররা মৌলভিত্তি সম্পন্ন ইস্যু না এনে, নাম সর্বস্ব কোম্পানীর শেয়ার ছেড়ে অধিক প্রিমিয়ামসহ আইপিওএর মাধ্যমে অর্থ উত্তোলন করার পর আর কোন দায়বদ্ধতা নিতে চায় না। অথচ তালিকাভূক্তির ৩ বা ৬ মাসের মাথায় অনেক কোম্পানী বিভিন্ন অজুহাতে বিনিয়োগকারীদের অর্থ বছরের পর বছর আটকে যায়। এর জন্য দায়ী ইস্যু ম্যানেজারদের চিহ্নিত করে জরিমানা আদায় পূর্বক লাইসেন্স বাতিল ও আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। নতুন কোম্পানীর সেকেন্ডারী মার্কেটে তালিকাভূক্তির পর তাদের সার্বিক কার্যক্রম সঠিক মনিটরিংএর আওতায় আনতে হবে।
১২। “পুঁজিবাজার বিষয়ক তথ্য ব্যাংক” গঠন করে বিনিয়োগকারীদের জন্য পুঁজিবাজার সংক্রান্ত সকল প্রকার তথ্য নির্দিষ্ট স্থান থেকে সংগ্রহ করার সহজ সুবিধা নিশ্চিত করতে বিএসসিইকে ডিএসই ও সিএসই সমন্বয়ে কার্যকর ব্যবস্থা নিতে হবে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুঁজিবাজার
ডিএসইতে পিই রেশিও কমেছে ১.৯২ শতাংশ
বিদায়ী সপ্তাহে (২২ সেপ্টেম্বর থেকে ২৬ সেপ্টেম্বর) দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সার্বিক মূল্য আয় অনুপাত (পিই রেশিও) কমেছে। আলোচ্য সময়ে ডিএসইর পিই রেশিও কমেছে ১ দশমিক ৯২ শতাংশ।
ডিএসইর সাপ্তাহিক বাজার পর্যালোচনা সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সূত্র মতে, বিদায়ী সপ্তাহের শুরুতে ডিএসইর পিই রেশিও ছিল ১০ দশমিক ৯১ পয়েন্টে। আর সপ্তাহ শেষে তা অবস্থান করছে ১০ দশমিক ৭০ পয়েন্টে। ফলে সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইর পিই রেশিও ০ দশমিক ২১ পয়েন্ট বা ১ দশমিক ৯২ শতাংশ কমেছে।
এর আগের সপ্তাহের (১৫ থেকে ১৯ সেপ্টেম্বর) শুরুতে ডিএসইর পিই রেশিও ছিল ১০ দশমিক ৮৮ পয়েন্টে। আর সপ্তাহ শেষে তা অবস্থান করছে ১০ দশমিক ৯১ পয়েন্টে। ফলে সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইর পিই রেশিও ০ দশমিক ০৩ পয়েন্ট বা ০ দশমিক ২৮ শতাংশ বেড়েছে।
এসএম
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুঁজিবাজার
সাপ্তাহিক দরপতনের শীর্ষে নিউ লাইন ক্লোথিংস
বিদায়ী সপ্তাহে (২২ সেপ্টেম্বর-২৬ সেপ্টেম্বর) দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেন হওয়া ৩৯৬ কোম্পানির মধ্যে ৩৪৯ টির শেয়ারদর কমেছে। তাতে সপ্তাহ শেষে দরপতনের শীর্ষে উঠে এসেছে নিউলাইন ক্লোথিংস লিমিটেড।
ডিএসইর সাপ্তাহিক বাজার পর্যালোচনায় এ তথ্য উঠে এসেছে।
তথ্য মতে, বিদায়ী সপ্তাহে নিউলাইন ক্লোথিংসের শেয়ারদর আগের সপ্তাহের তুলনায় ২৫ দশমিক ০৮ শতাংশ কমেছে। সপ্তাহ শেষে কোম্পানিটির সমাপনী মূল্য ছিলো ২২ টাকা ৭০ পয়সা।
দরপতনের তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে উঠে আসা খুলনা পাওয়ারের শেয়ারদর কমেছে ২৩ দশমিক ৭৮ শতাংশ। আর শেয়ারের দাম ২৩ দশমিক ৫৬ শতাংশ কমায় তালিকার তৃতীয় স্থানে অবস্থান নিয়েছে শাইনপুকুর সিরামিকস।
সাপ্তাহিক দর পতনের শীর্ষ তালিকায় স্থান পাওয়া অন্যান্য কোম্পানিগুলোর মধ্যে বিবিএস ক্যাবলসের ২২ দশমিক ৮৬ শতাংশ, নাভানা ফার্মার ২২ দশমিক ৮৫ শতাংশ, খান ব্রাদার্সের ২১ দশমিক ৯১ শতাংশ, মেট্রো স্পিনিংয়ের ২১ দশমিক ৭৪ শতাংশ, খুলনা প্রিন্টিংয়ের ২১ দশমিক ০৯ শতাংশ, অলিম্পিক এক্সেসরিজের ২০ দশমিক ৮৩ শতাংশ এবং ফু-ওয়াং ফুড লিমিটেডের ২০ দশমিক ৭৯ শতাংশ শেয়ার দর কমেছে।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুঁজিবাজার
সপ্তাহজুড়ে ইসলামী ব্যাংকের শেয়ারদর বেড়েছে ৩০ শতাংশ
বিদায়ী সপ্তাহে (২২ সেপ্টেম্বর-২৬ সেপ্টেম্বর) দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেন হওয়া ৩৯৬ কোম্পানির মধ্যে ৪০টির শেয়ার ও ইউনিট দর বেড়েছে। এর মধ্যে দরবৃদ্ধির শীর্ষে উঠে এসেছে ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেড।
ডিএসইর সাপ্তাহিক বাজার পর্যালোচনায় এ তথ্য উঠে এসেছে।
সূত্র মতে, সমাপ্ত সপ্তাহে ইসলামী ব্যাংকের শেয়ারদর আগের সপ্তাহের তুলনায় ৩০ দশমিক ৩৬ শতাংশ বেড়েছে। সপ্তাহ শেষে কোম্পানিটির সমাপনী মূল্য দাঁড়িয়েছে ৬৪ টাকা ৪০ পয়সায়।
দরবৃদ্ধির তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে উঠে আসা সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংকের শেয়ারদর বেড়েছে ২৬ দশমিক ২১ শতাংশ। আর ১৭ দশমিক ৯৯ শতাংশ শেয়ারদর বাড়ায় তালিকার তৃতীয়স্থানে অবস্থান করেছে ইসলামীক ফাইন্যান্স।
সাপ্তাহিক দর বৃদ্ধির শীর্ষ তালিকায় উঠে আসা অন্যান্য কোম্পানিগুলোর মধ্যে গ্রামীণ ওয়ান : স্কিম টু’র ১৩ দশমিক ৪৩ শতাংশ, ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকের ১৩ দশমিক ২৪ শতাংশ, রহিম টেক্সটাইলের ১১ দশমিক ৮১ শতাংশ, গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংকের ১০ দশমিক ৭৭ শতাংশ, ইউনিয়ন ব্যাংকের ৯ দশমিক ৩৮ শতাংশ, আইসিবি ইসলামীক ব্যাংকের ৮ দশমিক ৮২ শতাংশ এবং ঢাকা ব্যাংক পিএলসির ৭ দশমিক ৭৬ শতাংশ শেয়ার দর বেড়েছে।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুঁজিবাজার
সাপ্তাহিক লেনদেনের শীর্ষে ব্রাক ব্যাংক
বিদায়ী সপ্তাহে (২২ সেপ্টেম্বর-২৬ সেপ্টেম্বর) দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) ৩৯৬ কোম্পানির শেয়ার লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে লেনদেনের শীর্ষে উঠে এসেছে ব্রাক ব্যাংক পিএলসি।
ডিএসইর সাপ্তাহিক বাজার পর্যালোচনায় এ তথ্য উঠে এসেছে।
সূত্র মতে, সমাপ্ত সপ্তাহে কোম্পানিটির প্রতিদিন গড়ে ৪৮ কোটি ৩৯ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। তাতে লেনদেনের শীর্ষে জায়গা নিয়েছে কোম্পানিটি। আলোচ্য সপ্তাহে ডিএসইর মোট লেনদেনের ৭ দশমিক ১২ শতাংশ ব্রাক ব্যাংকের।
লেনদেনের দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে গ্রামীণফোন লিমিটেড। সপ্তাহজুড়ে কোম্পানিটির প্রতিদিন গড়ে ৩৮ কোটি ৬৯ লাখ ৪০ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। যা ছিল ডিএসইর লেনদেনের ৫ দশমিক ৭০ শতাংশ।
তৃতীয় স্থানে রয়েছে ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসি। সপ্তাহজুড়ে ব্যাংকটির প্রতিদিন গড়ে ৩১ কোটি ১৯ লাখ ২০ হাজার হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। যা ছিল ডিএসইর লেনদেনের ৪ দশমিক ৫৯ শতাংশ।
এছাড়া, প্রতিদিন গড় লেনদেনে সাপ্তাহিক শীর্ষ তালিকায় থাকা অন্যান্য কোম্পানিগুলোর মধ্যে সোনালী আঁশের ২১ কোটি ৬৯ লাখ ১০ হাজার টাকা, সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংকের ২০ কোটি ৮০ লাখ ৬০ হাজার টাকা, ইবনে সিনা ফার্মার ১৮ কোটি ৩০ লাখ ৫০ হাজার টাকা, লিনডে বাংলাদেশের ১৬ কোটি ৯১ লাখ ৯০ হাজার টাকা, লাভেলো আইসক্রিমের ১৪ কোটি ৩৮ লাখ ৫০ হাজার টাকা, অগ্নি সিস্টেমসের ১৩ কোটি ৮ লাখ ১০ হাজার টাকা এবং স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস পিএলসির ৯ কোটি ২৯ লাখ ৯০ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুঁজিবাজার
পুঁজিবাজারে ফ্লোর প্রাইস দীর্ঘমেয়াদি ক্ষতি করে: ডিসিসিআই প্রেসিডেন্ট
পুঁজিবাজারে দীর্ঘমেয়াদি বিনিয়োগকারীদের কাছে আমরা পৌঁছাতে পারছি না। এর মধ্যে ফ্লোর প্রাইস ছিলো রেগুলেটরি ব্যর্থতা। ফ্লোর প্রাইস পদ্ধতি পুঁজিবাজারে দীর্ঘমেয়াদি ক্ষতি করে বলে জানিয়েছে ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই)।
আজ শনিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) ‘Bi-annual Economic State & Future Outlook of Bangladesh Economy- Private Sector Perspective’- শীর্ষক এক সেমিনারে মূল প্রবন্ধে এসব কথা বলেন ডিসিসিআই প্রেসিডেন্ট আশরাফ আহমেদ।
ডিসিসিআই প্রেসিডেন্ট বলেন, পুঁজিবাজারে দীর্ঘমেয়াদি বিনিয়োগকারীদের কাছে পৌঁছানো সম্ভব হচ্ছে না। ফার্মাসিউটিক্যালসে খাতের মাত্র ৪-৫ টা কোম্পানি তালিকাভুক্ত। এ খাতসহ অন্যান্য খাতের ভালো কোম্পানিগুলোকে পুঁজিবাজারে আনতে উৎসাহ দেওয়ার মতো কিছু নেই। বন্ড মার্কেট আইপিও মার্কেটের ২০ গুণ হলেও এখানে লেনদেন হচ্ছে না। বন্ড মার্কেটে নামকাওয়াস্তে সামান্য লেনদেন হয় বলেও জানান তিনি।
আশরাফ আহমেদ বলেন, সুদহার বাড়িয়ে সাময়িকভাবে মূল্যস্ফীতি কমানো যায়। অপরদিকে সুদহার বৃদ্ধি পেলে ঋণ প্রবাহ কমে যায়। পাশাপাশি বিনিয়োগ ও কর্মসংস্থানও কমবে। তাই সুদহার বৃদ্ধির এ প্রক্রিয়া দীর্ঘমেয়াদে অনুসরণ করা ঠিক হবে না। এসএমই খাতে ঋণের সংকট রয়েছে। তাই এ খাতে ঋণ প্রবাহ বাড়ানো দরকার। আমাদের ফরেন ট্রেড ক্রেডিটের পরিমাণও কমে গেছে।
ডলারের বিপরীতে টাকার দরপতন বড় আকারে হবে না বলে বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রে জানা গেছে বলে জানান ডিসিসিআই প্রেসিডেন্ট। তিনি বলেন, টাকার বড় বড় দরপতনের পরিবর্তে ছোট ছোট দরপতন হবে। এটা একটি স্বস্তির বিষয়। রিজার্ভ বৃদ্ধির জন্য অনেক পথ খোলা রয়েছে। দেশের ঋণ অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে। ঋণ ফেরত দেওয়ার সক্ষমতা বাড়াতে ট্যাক্স রেভিনিউ বাড়াতে হবে।
সেমিনারে প্যানেল আলোচক হিসেবে উপস্থিত রয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রধান অর্থনীতিবিদ ইউনিটের পরিচালক (গবেষণা) ডঃ মোঃ সেলিম আল মামুন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের অধ্যাপক এবং রিসার্চ অ্যান্ড পলিসি ইন্টিগ্রেশন ফর ডেভেলপমেন্টের (RAPID) নির্বাহী পরিচালক ড. মোহাম্মদ আবু ইউসুফ, অর্থনীতিবিদ এবং বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অফ ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ (BIDS) এর সাবেক মহাপরিচালক ডক্টর খান আহমেদ সাঈদ মুরশিদ।