Connect with us
৬৫২৬৫২৬৫২

জাতীয়

দ্রুত অনুমোদন পাচ্ছে সোনালী ব্যাগ কারখানা ও বৈদ্যুতিক বাস কেনার প্রকল্প

Published

on

ইন্টারনেট

দীর্ঘ দিন ধরে অনুমোদন প্রক্রিয়ায় ঝুলে থাকা পরিবেশবান্ধব ও স্বল্প খরচের প্রকল্পগুলো অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সময় নতুন করে গুরুত্ব পাচ্ছে।

AdLink দ্বারা বিজ্ঞাপন ×

সরকার পরিবর্তনের পর পরিবেশগতভাবে টেকসই দুটি উদ্যোগের দ্রুত অনুমোদনের প্রক্রিয়া শুরু করেছে পরিকল্পনা কমিশন—একটি পাটের ব্যাগ তৈরির কারখানা স্থাপন, অপরটি ঢাকায় বৈদ্যুতিক বাস চালু করা।

AdLink দ্বারা বিজ্ঞাপন ×

পরিকল্পনা কমিশন এবং বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয় সূ্ত্র জানায়, পলিথিনের বিকল্প হিসেবে পাট থেকে পরিবেশবান্ধব ও পচনশীল ‘সোনালী ব্যাগ’ উদ্ভাবন হয় ২০১৬ সালে। ২০১৭ সাল পরীক্ষামূলকভাবে বাজারজাত করা হয় শপিং ব্যাগটি।

AdLink দ্বারা বিজ্ঞাপন ×

কিন্তু এর পর বাংলাদেশ পাটকল কর্পোরেশনের (বিজেএমসি) উদ্যোগের আওতায় সোনালী ব্যাগ উৎপাদনে কারখানা স্থাপনের প্রকল্প প্রস্তাব তৈরিতেই কেটে যায় ছয় বছর। ২০২৩ সালের শুরুর দিকে প্রকল্প প্রস্তাব অনুমোদনের জন্য পাঠানো হয় পরিকল্পনা কমিশনে। তারপর আবার দেড় বছর পরিকল্পনা কমিশনে আটকে থাকে প্রস্তাবটি।

অবশেষে ২৬ সেপ্টেম্বর প্রকল্প মূল্যায়ন কমিটির পর্যালোচনার পর প্রকল্পটি চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটিতে (একনেক) কাছে জমা দেওয়া হবে।

সোনালী ব্যাগের আবিষ্কারক করেন মোবারক আহমদ খান। তিনি বর্তমানে বিজেএমসির প্রধান বৈজ্ঞানিক উপদেষ্টা হিসেবে কর্মরত রয়েছেন। তিনি বলেন, বিগত সরকারের উদ্যোগের ঘাটতি ছিল বলে আবিষ্কারের পর প্রকল্প প্রস্তাব তৈরিতে লম্বা সময় লেগেছে।

‘এখন অনুমোদন প্রক্রিয়া আবার শুরু হয়েছে। তবে শেষপর্যন্ত প্রস্তাবিত কারখানটি হবে কি না, তা নিয়েও অশ্চিয়তা রয়েছে,’ বলেন তিনি।

মোবারক আহমদ খান আরও বলেন, এ প্রকল্পের ব্যাপক সম্ভাবনা রয়েছে। বিভিন্ন দেশ সোনালী ব্যাগে আগ্রহ দেখিয়েছে। প্রয়োজনে বেসরকারিভাবেও এ ব্যাগ উৎপাদন সম্ভব। তবে সেক্ষেত্রে সরকারের নীতি সহায়তার প্রয়োজন হবে।

বিজেএমসি তাদের প্রস্তাবিত প্রকল্পে ডেমরায় লতিফ বাওয়ানি জুট মিলসের জায়তায় ১০০ কোটি টাকা ব্যয়ে সোনালী ব্যাগ উৎপাদনের জন্য পাইলট কারখানার প্রস্তাব করেছে। এ প্রকল্পে সীমিত আকার বাণিজ্যিক উৎপাদনের লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে। প্রস্তাবিত কারখানায় বছরে ১ হাজার ৫০০ টন সোনারী ব্যাগ ও পলিথিনের বিকল্প মোড়ক সামগ্রী উৎপাদিত হবে। প্রতিদিন গড়ে উৎপাদন হবে ৫ টন পলিমার ব্যাগ।

বৈদ্যুতিক বাস

১২টি শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত (এসি) বৈদ্যুতিক বাস কিনতে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্পোরেশনের (বিআরটিসি) প্রকল্পেরও দ্রুত অনুমোদন শেষ করার উদ্যোগ নিয়েছে পরিকল্পনা কমিশন।

বিআরটিসির প্রস্তাবিত এ প্রকল্পের আওতায় মোট ৪৯.৮৭ কোটি টাকা ব্যয়ে এই ১২টি বৈদ্যুতিক বাস কেনা হবে। প্রতিটি বাসের মূল্য ধরা হয়েছে ২.৯৫ কোটি টাকা এবং দুটি চার্জিং স্টেশন স্থাপনের ব্যয় ধরা হয়েছে ৮.৪০ কোটি টাকা। এ প্রস্তাব নিয়ে সোমবার প্রকল্প মূল্যায়ন কমিটির সভা হবে।

পরিকল্পনা কমিশনের কর্মকর্তারা জানান, ৫০ কোটি টাকার কম ব্যয়ের প্রকল্প মন্ত্রী বা উপদেষ্টা পর্যায়ে অনুমোদিত হতে পারে, একনেক উপস্থাপনের প্রয়োজন নেই। মন্ত্রী বা উপদেষ্টা পর্যায়ে অনুমোদন হয় বলে এসব প্রকল্পের অনুমোদন প্রক্রিয়া দ্রুত হয়।

তারা আরও বলেন, বিগত সরকারের আমলে প্রস্তাব করা বড় আকারের বৈদ্যুতিক বাস প্রকল্পের প্রকল্পের বিভিন্ন অঙ্গের ব্যয় প্রস্তাব নিয়ে আপত্তি ছিল পরিকল্পনা কমিশনের।

উদাহরণস্বরূপ, ২০১৮ সালে কোরিয়ার ঋণে ৩৪০টি বৈদ্যুতিক বাস কেনার প্রস্তাব পাঠানো হয়েছিল । ১৪০টি সিএনজিচালিত সিঙ্গেল ডেকার এসি সিটি বাস ও ১৫ শতাংশ খুচরা যন্ত্রাংশসহ কিনতে ব্যয় ধরা হয়েছিল ৩৭১.৬০ কোটি টাকা।

এছাড়া ২০০টি সিএনজিচালিত সিঙ্গেল ডেকার এসি ইন্টারসিটি বাস কেনায় খরচ ধরা হয়েছিল ৬৫৯.৬৫ কোটি টাকা। ভারতীয় ঋণে ১০০টি দ্বিতল বৈদ্যুতিক বাস কেনার প্রস্তাবও ছিল।

বিআরটিসির পরিচালক কর্নেল মোহাম্মদ মোবারক হোসেন মজুমদার বলেন, বৈদেশিক অর্থায়নের বৈদ্যুতিক বাস কেনার প্রস্তাবিত প্রকল্পগুলো পাইপলাইনে থাকবে।

‘বাসের চাহিদা পূরণে সরকারি অর্থায়নের বাস কেনার উদ্যোগ নিয়েছে বিআরটিসি,’ বলেন তিনি।

বর্তমানে বিআরটিসির বহরে ১ হাজার ৩৫০টি বাস রয়েছে। বিআরটিসি তার বর্তমান বাস বহর দিয়ে জনগণের বিশাল পরিষেবার চাহিদা মেটাতে যথেষ্ট সক্ষম নয় বলে জানান সংস্থাটির কর্মকর্তারা।

অন্যদিকে শীঘ্রই ৮০০ বাসের আয়ুষ্কাল শেষ হবে এবং ২০২৫ সালের মধ্যে আয়ুষ্কালের হিসেবে মোট সচল বাসের সংখ্যা ৫৫০ হবে। তাই নতুন বাস সংগ্রহের পরিকল্পনা করা খুবই জরুরি বলে জানান বিআরটিসির কর্মকর্তারা।

নতুন প্রকল্প প্রস্তাবে বলা হয়েছে, ২০৩০ সালের মধ্যে পরিবহন বহরের কমপক্ষে ৩০ শতাংশ বৈদ্যুতিক বহরে রূপান্তরের লক্ষ্য রয়েছে। এছাড়াও ২০৩০ সালের মধ্যে ডিজেল ও অকটেনচালিত বাস বিশ্বব্যাপী পর্যায়ক্রমে বন্ধ হয়ে যাবে। ২০৩৫ সালের পর অটোমোবাইল উৎপাদনকারীরা আর ডিজেল ইঞ্জিনের গাড়ি তৈরি করবে না। তাই এখনই বিআরটিসির বহরে বৈদ্যুতিক গাড়ি যুক্ত করার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। তা না হলে হঠাৎ করেই বড় ধরনের সংকট তৈরি হবে।

শেয়ার করুন:-

জাতীয়

৬ মাসে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ২ হাজার ৭৭৮ জন

Published

on

ইন্টারনেট

সারাদেশে গত ছয়মাসে ১৭ হাজার ৯৫৭টি সড়ক দুর্ঘটনায় ১৭ হাজার ৮২৬ জন আহত হয়েছেন এবং নিহত হয়েছেন ২ হাজার ৭৭৮ জন। এটি অতীতের যে কোনো সময়ের চেয়ে বেশি। এমনটাই বলছে গবেষণা সংস্থা সেভ দ্য রোড। কারণ হিসেবে উঠে এসেছে, সড়কে বাইক লেন না থাকা, বেপরোয়া রাইড শেয়ারিং, ৩৫০ সিসিসহ দ্রুতগতি সম্পন্ন মোটরসাইকেল লাইসেন্সবিহীনভাবে পরিচালনা এবং প্রায় আড়াই লাখ অনুমোদনবিহীন ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার বিশৃঙ্খল চলাচল।

AdLink দ্বারা বিজ্ঞাপন ×

চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে ৩০ জুন পর্যন্ত সময়ের সড়ক দুর্ঘটনার সংবাদ বিশ্লেষণ করে এসব তথ্য তুলে ধরেছে সেভ দ্য রোড। শুক্রবার (৪ জুন) রাজধানীর বিজয় মিলনায়তনে এ সংক্রান্ত প্রতিবেদন পাঠ করেন সংস্থাটির মহাসচিব শান্তা ফারজানা।

AdLink দ্বারা বিজ্ঞাপন ×

লিখিত প্রতিবেদনে তিনি জানান, কেবল ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা, সিএনজিসহ থ্রি হুইলার ধরনের যানবাহনে ৮ হাজার ৮১২ টি দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন ৮ হাজার ৮১৫ জন এবং নিহত হয়েছেন ৭৯৫ জন। সেই সঙ্গে ৩ হাজার ৭১৪ টি মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় ৩ হাজার ৬২৩ জন আহত এবং ৬৭৩ জন নিহত হন। ৩ হাজার ৪০৪ টি বাস দুর্ঘটনায় ৩ হাজার ৩১৮ জন আহত এবং ৮২৫ জন নিহত হয়েছেন এবং ২ হাজার ২৭ টি ট্রাক-পিকআপ-লরি দুর্ঘটনায় ২ হাজার ৭০ জন আহত এবং ৪৮৫ জন নিহত হয়েছেন।

AdLink দ্বারা বিজ্ঞাপন ×

তিনি বলেন, পদ্মা সেতুর মতো দেশের অন্যান্য সেতু বা সড়কে বাইক লেন না থাকা, সেভ দ্য রোড-এর নিয়মিত প্রতিবেদন-সচেতনতা ক্যাম্পেইনসহ বিভিন্ন কর্মসূচির পরও বেপরোয়া রাইড শেয়ারিং, ৩৫০ সিসিসহ দ্রুতগতি সম্পন্ন মোটরসাইকেল লাইসেন্সবিহীনভাবে পরিচালনা এবং প্রায় আড়াই লাখ অনুমোদনবিহীন ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার বিশৃঙ্খল চলাচলে অহরহ রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশে দুর্ঘটনা বেড়েছে অতীতের যে কোনো সময়ের চেয়ে বেশি।

সেভ দ্য রোড এর ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বিকাশ রায়, প্রতিষ্ঠাতা মোমিন মেহেদী, মহাসচিব শান্তা ফারজানাসহ সংশ্লিষ্ট গবেষণা সেল সদস্যদের তত্ত্বাবধানে দৈনিক যুগান্তর, দৈনিক ইনকিলাব, দৈনিক নয়াদিগন্ত, দৈনিক দিনকাল, দৈনিক প্রথম আলো, দৈনিক ইত্তেফাক, দৈনিক কালের কণ্ঠ, বাংলাদেশ প্রতিদিন, দৈনিক জনকণ্ঠ, দৈনিক কালবেলাসহ ১৭ টি জাতীয় দৈনিক, বাংলাভিশন, আরটিভি, জিটিভি, যমুনা নিউজ, মাছরাঙ্গা, এটিএন বাংলাসহ ২০ টিভি-চ্যানেল, জাগো নিউজ, বাংলানিউজ, বিডিনিউজসহ ২২ টি নিউজ পোর্টাল এবং স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শী, সেভ দ্য রোড-এর স্বেচ্ছাসেবীদের দেওয়া তথ্যানুসারে এই প্রতিবেদন তৈরি করা হয়েছে।

সেভ দ্য রোড-এর মহাসচিব এসময় আরও বলেন, আকাশ-সড়ক- রেল ও নৌপথ দুর্ঘটনামুক্ত করার জন্য নিবেদিত দেশের একমাত্র সচেতনতামূলক, গবেষণা ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন সেভ দ্য রোড মনে করে ২০২৪ সালের জানুয়ারি থেকে যে বিশৃঙ্খলা শুরু হয়েছিল তৎকালীন যোগাযোগমন্ত্রীর অবহেলা আর উসকানির পাশাপাশি বিআরটিএর তৎকালীন চেয়ারম্যানসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের আশ্রয়ে-প্রশ্রয়ে, সেই ধারা এখনো অব্যাহত আছে। কারণ অতীতের সরকারগুলোর মতো এই সরকারও সড়কে ফিটনেসবিহীন বাস ও ড্রাইভিং লাইসেন্সবিহীন চালকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে এবং শৃঙ্খলা ফেরাতে ব্যর্থ হয়েছে কেবল সংশ্লিষ্ট সেক্টরে জগদ্দল পাথরের মতো চেপে থাকা দুর্নীতিবাজ আমলা ও শ্রমিক নেতাদের সীমাহীন দুর্নীতি-চাঁদাবাজি ও অপরিকল্পিত পদক্ষেপের কারণে। গত ৬ মাসে সড়কে চরম নৈরাজ্য-আইন না মানার সংস্কৃতি তৈরি হওয়ায় ক্রমশ সড়কে দুর্ঘটনা যেমন বেড়েছে, তেমন আহত এবং নিহতের সংখ্যাও বাড়ছে। এমন অবস্থায় সেভ দ্য রোড-এর পক্ষ থেকে সরকারি সহায়তার মাধ্যমে সমাজ সচেতনতা, গবেষণা ও স্বেচ্ছাসেবী কর্মকাণ্ডের গতি বাড়ানোর লক্ষ্যে অন্তবর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টাসহ সংশ্লিষ্টদের সুদৃষ্টি প্রত্যাশা করছি।

সংবাদ সম্মেলনে সংস্থার প্রতিষ্ঠাতা মোমিন মেহেদী বলেন. সেভ দ্য রোড-এর দাবি অনুযায়ী প্রতি ৩ কিলোমিটারে পুলিশ বুথ বা ওয়াচ টাওয়ার স্থাপন না করা ও হাইওয়ে পুলিশসহ জেলা-উপজেলা পর্যায়ের পুলিশ-প্রশাসনের দায়িত্বে অবহেলার কারণে সড়কপথে ৬ মাসে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে ১১৮ টি। এ সময়ের মধ্যে ডাকাতদের হামলায় আহত হয়েছেন ১০৪ জন। এছাড়াও নারী শ্লীলতাহানীর ঘটনা ঘটেছে ৬১৪ টি, ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে ২ টি। যার অধিকাংশই থানা-পুলিশের শরণাপন্ন হননি বলে প্রত্যক্ষদর্শী ও সেভ দ্য রোড-এর স্বেচ্ছাসেবীদের তথ্যে উঠে এসেছে। নৌপথে কোস্টগার্ড ও নৌ-পুলিশের দায়িত্বে অবহেলার সুযোগে অন্য বছরের তুলনায় ডাকাতি বেড়েছে। রেলপথে মহাখালীতে দুষ্কৃতিকারীদের ছোড়া ইট-পাটকেল ও ছিনতাইকারীদের হামলায় ৪১ জনসহ মোট ৫৩ জন আহত হয়েছেন। এছাড়াও ১ জানুয়ারি থেকে ৩০ জুন পর্যন্ত নৌপথে ছোট-বড় দুর্ঘটনা ঘটেছে ৬১৫ টি। আহত ৪৫১ জন, নিহত হয়েছেন ১৪ জন। ১ জানুয়ারি থেকে ৩০ জুন পর্যন্ত রেলপথে ছোট-বড় দুর্ঘটনা ঘটেছে ৫২৬ টি। আহত হয়েছেন ১৮৪ জন, নিহত হয়েছেন ১৪ জন।

উল্লিখিত সময়ের মধ্যে আকাশপথে কোনো দুর্ঘটনা না ঘটলেও বিমানবন্দরের অব্যবস্থাপনার কারণে অসুস্থ হয়েছেন ৩১৬ জন।

প্রত্যক্ষদর্শী ও সেভ দ্য রোড-এর স্বেচ্ছাসেবীদের মাধ্যমে এই তথ্য সংগৃহীত হয়েছে বলে জানানো হয় সংবাদ সম্মেলনে। এ সময় সেভ দ্য রোড-এর পক্ষ থেকে জানানো হয়, আকাশ, সড়ক, রেল ও নৌপথ দুর্ঘটনামুক্ত করার লক্ষ্যে গত ১৭ বছর ধরে রাজপথে থাকা স্বেচ্ছাসেবী, গবেষণা ও সচেতনতামূলক সংগঠন সেভ দ্য রোড মনে করে- সড়কপথ, নৌপথ ও রেলপথের দুর্ঘটনামুক্ত পথে চলাচলের অধিকার রক্ষায় মালিক-শ্রমিক-প্রশাসনিক এবং সাধারণ জনগণের সমন্বয়ের কোনো বিকল্প নেই। পাশাপাশি সেভ দ্য রোড সড়ক দুর্ঘটনামুক্ত করতে ৭ দফা দাবি নিয়ে কাজ করছে।

তাদের ৭ দফা দাবি হলো-
১. মিরেরসরাই ট্র্যাজেডিতে নিহতদের স্মরণে ১১ জুলাইকে ‘দুর্ঘটনামুক্ত পথ দিবস’ ঘোষণা করতে হবে।

২. ফুটপাত দখলমুক্ত করে যাত্রীদের চলাচলের সুবিধা দিতে হবে।

৩. সড়ক পথে ধর্ষণ-হয়রানি রোধে ফিটনেসবিহীন বাহন নিষিদ্ধ এবং কমপক্ষে অষ্টম শ্রেণি উত্তীর্ণ ও জাতীয় পরিচয়পত্র ব্যতীত চালক-সহযোগী নিয়োগ ও হেলপার দ্বারা পরিবহন চালানো বন্ধে সংশ্লিষ্ট সবাইকে কঠোর পদক্ষেপ নিতে হবে।

৪. স্থল-নৌ-রেল ও আকাশপথে দুর্ঘটনায় নিহতদের কমপক্ষে ১০ লাখ ও আহতদের ৩ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ সরকারিভাবে দিতে হবে।

৫. ‘ট্রান্সপোর্ট ওয়ার্কার্স রুল’ বাস্তবায়নের পাশাপাশি সত্যিকারের সম্মৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে ‘ট্রান্সপোর্ট পুলিশ ব্যাটেলিয়ন’ গঠন করতে হবে।

৬. সড়ক দুর্ঘটনার তদন্ত ও সাজা ত্বরান্বিতকরণের মধ্য দিয়ে সতর্কতা তৈরি করতে হবে এবং ট্রান্সপোর্ট পুলিশ ব্যাটেলিয়ন গঠনের আগ পর্যন্ত হাইওয়ে পুলিশ, নৌ-পুলিশসহ সংশ্লিষ্টদের আন্তরিকতা-সহমর্মিতা-সচেতনতার পাশাপাশি সব সড়কের চালক-শ্রমিক ও যাত্রীদের আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হতে হবে। সব পরিবহন চালকের লাইসেন্স থাকতে হবে।

৭. ইউলুপ বৃদ্ধি, পথ-সেতুসহ সংশ্লিষ্ট সব মন্ত্রণালয়ে দুর্নীতি প্রতিরোধে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। যাতে ভাঙা সড়ক, ভাঙা সেতু আর ভাঙা কালভার্টের কারণে আর কোনো প্রাণ দিতে না হয়।

শেয়ার করুন:-
পুরো সংবাদটি পড়ুন

জাতীয়

মুরাদনগরে ভিডিও ছড়ানোর নেপথ্যে ছিল দুই ভাইয়ের দ্বন্দ্ব: র‍্যাব

Published

on

ইন্টারনেট

কুমিল্লার মুরাদনগরে এক নারীকে ‘ধর্ষণ’ ও নির্যাতনের পর ঘটনার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার নেপথ্যে রয়েছে ভিডিও ছড়ানোর মূল হোতা শাহ পরান ও তার ভাই ফজর আলীর বিরোধ। পূর্বশত্রুতার জেরে বড় ভাই ফজর আলীকে বিপদে ফেলে প্রতিশোধ নিতেই পুরো ঘটনা সাজিয়েছিলেন ছোট ভাই শাহ পরান।

AdLink দ্বারা বিজ্ঞাপন ×

শুক্রবার (৪ জুলাই) রাজধানীর কাওরান বাজারে র‌্যাব মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান র‌্যাব-১১ এর অধিনায়ক লে. কর্নেল এইচ এম সাজ্জাদ হোসেন।

AdLink দ্বারা বিজ্ঞাপন ×

এর আগে, বৃহস্পতিবার (৩ জুলাই) কুমিল্লার বুড়িচং থানার কাবিলা বাজার এলাকা থেকে শাহ পরানকে গ্রেফতার করে র‌্যাব-১১। তার কাছ থেকে একটি মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়েছে।

AdLink দ্বারা বিজ্ঞাপন ×

র‌্যাবের ভাষ্য অনুযায়ী, শাহ পরান গত ২৬ জুন সংঘটিত এ ঘটনার মূল পরিকল্পনাকারী ছিলেন। বড় ভাই ফজর আলীর হাতে আগে প্রকাশ্যে অপমানিত হওয়ায় প্রতিশোধ নিতে একটি মব গঠন করে এই নারকীয় ঘটনা ঘটান তিনি। পরে সেই মুহূর্তের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেন।

স্থানীয়দের বরাত দিয়ে এইচ এম সাজ্জাদ হোসেন জানান, বেশ কিছুদিন ধরে ওই নারীকে উত্যক্ত করে আসছিলেন ফজর আলী ও শাহ পরান। এ নিয়ে দুই ভাইয়ের মধ্যে বিরোধের জেরে কয়েক মাস আগে গ্রাম্য সালিশে জনসম্মুখে শাহ পরানকে চড়-থাপ্পড় মারেন ফজর আলী। সেই অপমানের প্রতিশোধ নিতে সুযোগ খুঁজতে থাকেন শাহ পরান।

ঘটনার দিন রাত সাড়ে ১১টার দিকে ফজর আলী ৫০ হাজার টাকা সুদের লেনদেনের অজুহাতে ওই নারীর ঘরে প্রবেশ করেন। টের পেয়ে ইমো অ্যাপে মেসেজ দিয়ে অন্যদের ডেকে আনেন শাহ পরান। এর প্রায় ২০ মিনিট পর পূর্বপরিকল্পিতভাবে শাহ পরান ও তার সঙ্গে থাকা আবুল কালাম, অনিক, আরিফ, সুমন, রমজান এবং আরও আট থেকে দশজন অজ্ঞাত সহযোগী ওই ঘরে হানা দেন। তারা দরজা ভেঙে ঘরে ঢুকে ফজর আলীকে মারধর করেন এবং ভুক্তভোগী নারীকে নির্যাতন করেন। একপর্যায়ে ফজর আলীকেও তারা এই কর্মকাণ্ডে অংশ নিতে বাধ্য করেন। এরপর নৃশংস ওইসব দৃশ্যের ভিডিও ধারণ করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়া হয়।

এ ঘটনার পর এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয় এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সমালোচনার ঝড় ওঠে। পরে পুলিশ ও র‌্যাব মিলে এ পর্যন্ত অভিযুক্ত ফজর আলীসহ ছয়জনকে গ্রেপ্তার করেছে।

লে. কর্নেল এইচ এম সাজ্জাদ হোসেন বলেন, শাহ পরান প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ঘটনার পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নের দায় স্বীকার করেছে। তাকে মুরাদনগর থানায় হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছে। বাকি অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

গত ২৬ জুন রাতে মুরাদনগরের বাহেরচর গ্রামে ওই নারীকে ধর্ষণ ও নির্যাতন করা হয় এবং সেই ভিডিও ২৯ জুন সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। একই দিন ভুক্তভোগী বাদী হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ও পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা দায়ের করেন।

শেয়ার করুন:-
পুরো সংবাদটি পড়ুন

জাতীয়

গোলাম মাওলা রনিকে নিয়ে প্রেস সচিবের বিস্ফোরক মন্তব্য

Published

on

ইন্টারনেট

সাবেক সংসদ সদস্য ও রাজনীতিবিদ গোলাম মাওলা রনি মিথ্যা ও বিভ্রান্তিকর তথ্যের প্রধান উৎস উঠেছেন বলে মন্তব্য করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।

AdLink দ্বারা বিজ্ঞাপন ×

শুক্রবার (৪ জুলাই) নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেওয়া এক পোস্টে এ মন্তব্য করেন তিনি।

AdLink দ্বারা বিজ্ঞাপন ×

শফিকুল আলম লিখেন, গোলাম মাওলা রনি এখন আমাদের টিভি টকশো ও ইউটিউব ভিডিওগুলোর মিথ্যাচার ও বিভ্রান্তির অন্যতম প্রধান উৎস হয়ে উঠেছেন।

AdLink দ্বারা বিজ্ঞাপন ×

তিনি লিখেন, সম্প্রতি সময় টিভির এক টকশোতে রনি দাবি করেছেন যে, নূর হোসেন-স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনের কিংবদন্তি শহীদ নাকি জনতার হাতে নিহত হয়েছেন। কিন্তু, আমরা সবাই জানি, ১৯৮৭ সালের ১০ নভেম্বর জেনারেল এরশাদের নিরাপত্তা বাহিনীই গুলি করে হত্যা করেছিল নূর হোসেনকে। রনি কি এখন ইতিহাস থেকে এরশাদের অপরাধ মুছে ফেলার দায়িত্ব নিয়েছেন?

টকশোতে গোলাম মাওলা রনির মিথ্যাচারে উপাস্থাপক কোনো প্রতিবাদ করেননি দাবি করে প্রেস সচিব বলেন, দুঃখজনক বিষয় হলো, সময় টিভির সেই অনুষ্ঠানে উপস্থাপক এই নির্লজ্জ মিথ্যাচারের কোনো প্রতিবাদও করেননি। যখন আপনি মিথ্যাবাদী ও বিভ্রান্তিকর কণ্ঠকে প্ল্যাটফর্ম দেন, তখন আপনি নিজেও সেই অপরাধের অংশীদার হয়ে ওঠেন।

শেয়ার করুন:-
পুরো সংবাদটি পড়ুন

জাতীয়

২০ বাংলাদেশি পাসপোর্টসহ ভারতীয় ট্রাকচালক আটক

Published

on

ইন্টারনেট

বেনাপোল বন্দরে ২০টি বাংলাদেশি পাসপোর্টসহ বেচারাম প্রামাণিক (৪৩) নামে একজন ভারতীয় ট্রাকচালককে আটক করেছেন আনসার সদস্যরা। বৃহস্পতিবার (৩ জুলাই) রাত সাড়ে ১১টার দিকে বন্দরের কার্গো ভেহিকেল টার্মিনাল গেট থেকে তাকে আটক করা হয়।

AdLink দ্বারা বিজ্ঞাপন ×

সূত্র জানায়, সার্বিয়ার ভিসা লাগানো পাসপোর্টগুলো ভারত থেকে অবৈধভাবে বাংলাদেশে আনছিলেন বেচারাম প্রামাণিক। সবগুলো পাসপোর্টে ২৪ জুন তারিখে সার্বিয়ার ভিসা লাগানো রয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের অন্তর্ভুক্ত কোনো দেশে ঢোকার জন্য তারা এ ভিসা লাগিয়ে ছিলেন।

AdLink দ্বারা বিজ্ঞাপন ×

বেনাপোল বন্দরের আনসার কমান্ডার হেলালউজ্জামান জানান, আগে থেকে তাদের কাছে গোপন সংবাদ ছিল, ভারত থেকে অবৈধভাবে এক ট্রাকচালককে দিয়ে বাংলাদেশি বেশ কিছু পাসপোর্ট পাঠানো হচ্ছে। পরে তারা বন্দরের ভেহিকেল টার্মিনাল গেটে নিরাপত্তাব্যবস্থা জোরদার করে। একপর্যায়ে সন্দেহভাজন ওই ট্রাকচালক পেট্রাপোল বন্দরের কার্যক্রম শেষ করে বাংলাদেশে প্রবেশ করে বন্দর ভেহিকেল টার্মিনাল গেটে এলে তার কাছে থাকা ব্যাগ তল্লাশি করা হয়।

AdLink দ্বারা বিজ্ঞাপন ×

এসময় ওই ব্যাগের মধ্যে ২০টি বাংলাদেশি পাসপোর্ট পাওয়া যায়। ওই পাসপোর্টের প্রত্যেকটিতে সার্বিয়ার ভিসা লাগানো রয়েছে। আটক ট্রাকচালককে পাসপোর্টসহ থানা পুলিশে সোপর্দ করার কার্যক্রম চলমান।

উদ্ধার পাসপোর্টগুলো হলো- চাঁদপুরের মনোহরগাজীর ছেলে মোজাম্মেল হোসেনের, নোয়াখালীর রফিউল্লার ছেলে ইমরান হোসেন, কিশোরগঞ্জের রিপন মিয়ার ছেলে অপূর্ব মিয়া, ঢাকার আব্দুল মাজিদের ছেলে ফয়সাল আহম্মেদ, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার হাজি আব্দুল মান্নানের ছেলে ইসহাক, সাতক্ষীরার খলিল গাজীর ছেলে হুমায়ন কবির, ঢাকার দানেশ আলীর ছেলে নাজমুল ইসলাম, গাজীপুরের আব্দুর রশিদের ছেলে আবুল হোসেন, মানিকগঞ্জের আবুল কাশেমের ছেলে শরিফুল ইসলাম, নোয়াখালীর আব্দুল মোতালেবের ছেলে আব্দুল কাদের, আলাউদ্দীনের ছেলে আব্দুল আজিজ, সাহেব উদ্দীনের ছেলে আব্দুর রহিম, অমল চন্দ্র দাসের ছেলে রুপম চন্দ্র দাস, সাতক্ষীরার রেজাউল ইসলামের ছেলে তানভির হাসান, নজরুল ইসলামের ছেলে আরিফুল ইসলাম, নূর হোসেনের ছেলে পলাশ হোসেন, নুর মোহাম্মদ শেখের ছেলে জাকারিয়া, ইউনুছের ছেলে আবু সাঈদ, ফেনির মোরশেদ আলমের ছেলে আব্দুল করিম ও নরসিংদীর বাতেন মিয়ার ছেলে ফাইম মিয়ার।

শেয়ার করুন:-
পুরো সংবাদটি পড়ুন

জাতীয়

শহরে নিম্নআয়ের ৬৯ শতাংশ মানুষ টয়লেট ব্যবহার করে

Published

on

ইন্টারনেট

গত পাঁচ বছরে শহরাঞ্চলের সুনির্দিষ্ট কিছু এলাকায় নিম্নআয়ের মানুষের মধ্যে স্যানিটারি টয়লেট ব্যবহারের হার ১০ শতাংশ থেকে বেড়ে ৬৯ শতাংশে পৌঁছেছে। পাশাপাশি নিরাপদ পানির প্রাপ্যতা এবং মাতৃ স্বাস্থ্যসেবাসহ আরও কিছু ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হয়েছে।

AdLink দ্বারা বিজ্ঞাপন ×

এ সময়কালে এসব এলাকায় নিরাপদ পানি ব্যবহার ৫১ শতাংশ থেকে বেড়ে ৮০ শতাংশে উন্নীত হয়েছে। নারীদের মধ্যে স্যানিটারি প্যাড ব্যবহারের হার ৫৩ শতাংশ থেকে বেড়ে হয়েছে ৯০ শতাংশ এবং অন্তত চারবার প্রসবপূর্ব সেবা গ্রহণের হার ৪৫ শতাংশ থেকে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭১ শতাংশে। প্রসব-পরবর্তী সেবা নেওয়ার হার ২১ শতাংশ থেকে ৪৯ শতাংশে উন্নীত হয়েছে। এছাড়া ৯৪ শতাংশ পরিবার বর্তমানে তাদের খাবার পানি ঢেকে রাখে এবং এই এলাকাগুলোতে মশা নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রম ৫৪ শতাংশ থেকে বেড়ে হয়েছে ৮৫ শতাংশ।

AdLink দ্বারা বিজ্ঞাপন ×

বুধবার (২ জুলাই) ঢাকার ব্র্যাক সেন্টারে ব্র্যাক আয়োজিত এক কর্মশালায় এসব তথ্য জানানো হয়। যেখানে ব্র্যাকের পাঁচ বছর মেয়াদি ‘স্বাস্থ্য ও ওয়াশ সেবার জন্য সমন্বিত পুনর্বাসন কর্মসূচি’-এর তথ্য-উপাত্ত এবং নীতিগত সুপারিশগুলো উপস্থাপন করা হয়।

AdLink দ্বারা বিজ্ঞাপন ×

ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মিরপুর ও মোহাম্মদপুর এবং সৈয়দপুর পৌরসভায় অবস্থিত নিম্নআয়ের নগর বসতিগুলোতে বাস্তবায়িত এই কর্মসূচিটি অর্থায়ন করে কিং আবদুল্লাহ বিন আব্দুল আজিজ প্রোগ্রাম এবং ইসলামিক ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক (আইএসডিবি)।

সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ইমরুল কায়েস চৌধুরী বিভিন্ন সংস্থা ও প্রতিষ্ঠানের মধ্যে পারস্পরিক অংশিদারত্বের ওপর গুরুত্বারোপ করেন।

তিনি বলেন, স্বাস্থ্য ও ওয়াশ এমন একটি খাত যেখানে ১ ডলার বিনিয়োগে ৪.৩ ডলার ফেরত পাওয়া সম্ভব। তিনি প্রকল্পটিতে বৈচিত্র্য আনা বা ভিন্ন কোনো দিক তুলে ধরার প্রস্তাব দেন যা সিটি করপোরেশনের জন্য গুরুত্বপূর্ণ সুফল বয়ে আনবে এবং তা নগরবাসীর জীবনমান উন্নয়নেও ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে।

সমাপনী বক্তব্যে ব্র্যাকের জলবায়ু পরিবর্তন কর্মসূচি, নগর উন্নয়ন কর্মসূচি ও দুর্যোগ ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা কর্মসূচির পরিচালক ড. মো. লিয়াকত আলী বলেন, এই প্রকল্পের মূল লক্ষ্য ছিল সাশ্রয়ী মূল্যে পানি, স্যানিটেশন ও স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করা। তবে এতে মাতৃসেবা, প্রসবপূর্ব ও পরবর্তী সেবা, মাসিক স্বাস্থ্যবিধি, স্যানিটেশন এবং আচরণগত পরিবর্তনের মতো খাতে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি লক্ষ্য করা গেছে। এই অর্জনগুলো ভবিষ্যতের নতুন উদ্যোগ গ্রহণ এবং চলমান কার্যক্রম আরও শক্তিশালী করার ভিত্তি হিসেবে কাজ করবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।

ইসলামিক ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকের কান্ট্রি কো-অর্ডিনেটর মো. আরিফ শহীদ স্বাস্থ্যখাতকে অন্যতম প্রধান অগ্রাধিকার হিসেবে রেখে কমিউনিটির অংশগ্রহণসহ যৌথ অর্থায়নের কাজ করার ব্যাপারে আশাবাদ ব্যক্ত করেন। প্রকল্প বাস্তবায়নে সংশ্লিষ্ট সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়ে তিনি আগামীতেও এমন আরও উদ্যোগ নেওয়ার আশা প্রকাশ করেন।

ব্র্যাক স্বাস্থ্য কর্মসূচির সহযোগী পরিচালক ডা. শায়লা ইসলাম প্রসব-পরবর্তী সেবা ও যক্ষ্মা রোগ ব্যবস্থাপনায় অগ্রগতির কথা তুলে ধরেন। এ ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট সবার মধ্যে সমন্বিতভাবে কাজের বিষয়টিকে একটি গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষণ হিসেবে উল্লেখ করেন তিনি। এসব কার্যক্রমের সমন্বয়ের জন্য স্থানীয় সরকার বা সিটি করপোরেশনের নেতৃত্বের গুরুত্ব তুলে ধরে ডা. শায়লা ইসলাম বলেন, স্থানীয় জনগোষ্ঠীকে সম্পৃক্ত করে দীর্ঘমেয়াদে আচরণগত পরিবর্তন আনা সম্ভব।

জনস্বাস্থ্য নীতি, পরিকল্পনা ও গবেষণা বিশেষজ্ঞ এবং ভালো অ্যাভান্ট-গার্ড লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ডাক্তার নাজনীন আখতার জাতীয় নগর স্বাস্থ্য ও ওয়াশ পরিস্থিতি নিয়ে একটি বিশদ প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন।

ঢাকা ও সৈয়দপুরের কমিউনিটি প্রতিনিধিরাও কর্মশালায় অংশ নেন। তারা বাংলাদেশের ক্রমবর্ধমান নগর বস্তিগুলোর স্বাস্থ্য ও স্যানিটেশন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় অংশীদারত্বমূলক আলোচনা ও সম্মিলিত উদ্যোগের গুরুত্ব তুলে ধরেন।

এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের জোন ২-এর জোনাল এক্সিকিউটিভ অফিসার মো. জিয়াউর রহমান, জোন ৫-এর জোনাল এক্সিকিউটিভ অফিসার এ এন এম বদরুদ্দোজা ও প্রধান সমাজ কল্যাণ ও বস্তি উন্নয়ন কর্মকর্তা মোহাম্মদ মামুন-উল-হাসান এবং সৈয়দপুর পৌরসভার বর্তমান প্রশাসক মো. নুর-ই-আলম সিদ্দিকী।

শেয়ার করুন:-
পুরো সংবাদটি পড়ুন

পুঁজিবাজারের সর্বশেষ

ইন্টারনেট ইন্টারনেট
পুঁজিবাজার1 hour ago

ডিএসইর বাজার মূলধন বাড়লো সাড়ে ৪ হাজার কোটি টাকা

বিদায়ী সপ্তাহে (২৯ জুন থেকে ০৩ জুলাই) দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সূচকের উত্থানের মধ্য দিয়ে লেনদেন হয়েছে।...

ইন্টারনেট ইন্টারনেট
পুঁজিবাজার1 day ago

ব্যাক অফিস সফটওয়্যার বাস্তবায়নে ৮৫ ব্রোকারেজ হাউজকে সময়সীমা বেধে দিলো বিএসইসি

পুঁজিবাজারের সদস্যভুক্ত ৮৫টি ব্রোকারেজ হাউজগুলোকে অসংশোধনযোগ্য ব্যাক অফিস সফটওয়্যার পরিপূর্ণভাবে বাস্তবায়ন করার জন্য নতুন সময়সীমা বেঁধে দিয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ...

ইন্টারনেট ইন্টারনেট
পুঁজিবাজার1 day ago

প্রাইম ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্সের পর্ষদ সভার তারিখ ঘোষণা

পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত বীমা খাতের খাতের প্রতিষ্ঠান প্রাইম ইসলামী লাইফ ইন্সুরেন্স লিমিটেড পর্ষদ সভার তারিখ ঘোষণা করেছে। কোম্পানিটির পর্ষদ সভা আগামী...

ইন্টারনেট ইন্টারনেট
পুঁজিবাজার1 day ago

ব্লকে ১৬ কোটি টাকার লেনদেন

সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) ব্লক মার্কেটে ৩৩টি প্রতিষ্ঠান লেনদেনে অংশ নিয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানের মোট ১৬ কোটি ৭৮...

ইন্টারনেট ইন্টারনেট
পুঁজিবাজার1 day ago

ইসলামিক ফাইন্যান্সের সর্বোচ্চ দরপতন

সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৯৭টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ১৮১ টির দর কমেছে। আজ...

ইন্টারনেট ইন্টারনেট
পুঁজিবাজার1 day ago

দর বৃদ্ধির শীর্ষে রূপালী ব্যাংক

সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৯৭ টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ১৫৪ টির দর বেড়েছে।...

ইন্টারনেট ইন্টারনেট
পুঁজিবাজার1 day ago

লেনদেনের শীর্ষে ব্র্যাক ব্যাংক

সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেনের শীর্ষে উঠে এসেছে ব্র্যাক ব্যাংক পিএলসি। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই)...

Advertisement
AdLink দ্বারা বিজ্ঞাপন ×

সোশ্যাল মিডিয়া

তারিখ অনুযায়ী সংবাদ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
 
১০১১
১৩১৫১৬১৯
২০২১২২২৩২৪২৫২৬
২৭৩০৩১  
ইন্টারনেট
পুঁজিবাজার1 hour ago

ডিএসইর বাজার মূলধন বাড়লো সাড়ে ৪ হাজার কোটি টাকা

ইন্টারনেট
আন্তর্জাতিক2 hours ago

পুতিনের সঙ্গে ফোনালাপে ইউক্রেন বিষয়ে অগ্রগতি হয়নি: ট্রাম্প

ইন্টারনেট
জাতীয়2 hours ago

৬ মাসে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ২ হাজার ৭৭৮ জন

ইন্টারনেট
ধর্ম ও জীবন2 hours ago

আশুরায় রোজা রাখার ফজিলত

ইন্টারনেট
রাজনীতি2 hours ago

এখন থেকে বাংলাদেশপন্থিরাই দেশ চালাবে: নাহিদ ইসলাম

ইন্টারনেট
বিনোদন3 hours ago

করোনায় মারা গেলেন জনপ্রিয় অভিনেতা কেনেথ কলি

ইন্টারনেট
শিল্প-বাণিজ্য3 hours ago

তুলা আমদানিতে অগ্রিম কর প্রত্যাহার চান ব্যবসায়ীরা

ইন্টারনেট
রাজনীতি3 hours ago

মৌলিক সংস্কার ছাড়া ভালো নির্বাচন সম্ভব নয়: জামায়াত আমির

ইন্টারনেট
ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার3 hours ago

১ লাখ শিক্ষক নিয়োগের আবেদন প্রক্রিয়া ফের শুরু

ইন্টারনেট
জাতীয়4 hours ago

মুরাদনগরে ভিডিও ছড়ানোর নেপথ্যে ছিল দুই ভাইয়ের দ্বন্দ্ব: র‍্যাব

ইন্টারনেট
পুঁজিবাজার1 hour ago

ডিএসইর বাজার মূলধন বাড়লো সাড়ে ৪ হাজার কোটি টাকা

ইন্টারনেট
আন্তর্জাতিক2 hours ago

পুতিনের সঙ্গে ফোনালাপে ইউক্রেন বিষয়ে অগ্রগতি হয়নি: ট্রাম্প

ইন্টারনেট
জাতীয়2 hours ago

৬ মাসে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ২ হাজার ৭৭৮ জন

ইন্টারনেট
ধর্ম ও জীবন2 hours ago

আশুরায় রোজা রাখার ফজিলত

ইন্টারনেট
রাজনীতি2 hours ago

এখন থেকে বাংলাদেশপন্থিরাই দেশ চালাবে: নাহিদ ইসলাম

ইন্টারনেট
বিনোদন3 hours ago

করোনায় মারা গেলেন জনপ্রিয় অভিনেতা কেনেথ কলি

ইন্টারনেট
শিল্প-বাণিজ্য3 hours ago

তুলা আমদানিতে অগ্রিম কর প্রত্যাহার চান ব্যবসায়ীরা

ইন্টারনেট
রাজনীতি3 hours ago

মৌলিক সংস্কার ছাড়া ভালো নির্বাচন সম্ভব নয়: জামায়াত আমির

ইন্টারনেট
ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার3 hours ago

১ লাখ শিক্ষক নিয়োগের আবেদন প্রক্রিয়া ফের শুরু

ইন্টারনেট
জাতীয়4 hours ago

মুরাদনগরে ভিডিও ছড়ানোর নেপথ্যে ছিল দুই ভাইয়ের দ্বন্দ্ব: র‍্যাব

ইন্টারনেট
পুঁজিবাজার1 hour ago

ডিএসইর বাজার মূলধন বাড়লো সাড়ে ৪ হাজার কোটি টাকা

ইন্টারনেট
আন্তর্জাতিক2 hours ago

পুতিনের সঙ্গে ফোনালাপে ইউক্রেন বিষয়ে অগ্রগতি হয়নি: ট্রাম্প

ইন্টারনেট
জাতীয়2 hours ago

৬ মাসে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ২ হাজার ৭৭৮ জন

ইন্টারনেট
ধর্ম ও জীবন2 hours ago

আশুরায় রোজা রাখার ফজিলত

ইন্টারনেট
রাজনীতি2 hours ago

এখন থেকে বাংলাদেশপন্থিরাই দেশ চালাবে: নাহিদ ইসলাম

ইন্টারনেট
বিনোদন3 hours ago

করোনায় মারা গেলেন জনপ্রিয় অভিনেতা কেনেথ কলি

ইন্টারনেট
শিল্প-বাণিজ্য3 hours ago

তুলা আমদানিতে অগ্রিম কর প্রত্যাহার চান ব্যবসায়ীরা

ইন্টারনেট
রাজনীতি3 hours ago

মৌলিক সংস্কার ছাড়া ভালো নির্বাচন সম্ভব নয়: জামায়াত আমির

ইন্টারনেট
ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার3 hours ago

১ লাখ শিক্ষক নিয়োগের আবেদন প্রক্রিয়া ফের শুরু

ইন্টারনেট
জাতীয়4 hours ago

মুরাদনগরে ভিডিও ছড়ানোর নেপথ্যে ছিল দুই ভাইয়ের দ্বন্দ্ব: র‍্যাব