ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
দেশের ২৫ শতাংশ পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় শেখ পরিবারের নামে

দেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের এক-চতুর্থাংথে জড়িয়ে আছে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার পরিবারের নাম। এর মধ্যে, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, বঙ্গমাতা ফজিলাতুন নেছা ও স্বয়ং শেখ হাসিনার নামেও দেশের একাধিক জেলায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে।
তথ্য বিশ্লেষণে দেখা গেছে, দেশে মোট পাবলিক ৫৫টি বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে। এর মধ্যে ১৩টি শেখ পরিবারের নামে নামকরণ করা হয়েছে।
এর মধ্যে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নামে নয়টি বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে। দুইটি বিশ্ববিদ্যালয়ের নামকরণ করা হয়েছে ফজিলাতুন নেসা মুজিব ও দুইটি সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নামে। এর বাইরে মেহেরপুরে আরও একটি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন করা হয়েছে, যা মুজিবনগর বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে পরিচিত।
বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর নাম অনুমোদন দিয়েছে।
তবে, সেখানকার বর্তমান কর্মকর্তারা বলছেন, একই নাম ব্যবহার করা ঠিক হয়নি। বরং এই নাম পরিবর্তন করা প্রয়োজন বলে মনে করেন তারা।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. এস এম এ ফয়েজ জানান, এ বিষয় নিয়ে কথাবার্তা শুনছি। উচ্চপর্যায় থেকে চিন্তা-ভাবনা চলছে। একই নাম কীভাবে এত বিশ্ববিদ্যালয়ে দেওয়া হয়েছে, সেটি নিয়েও কাজ করা হচ্ছে। তবে, তখন আমি ছিলাম না। সে কারণে কীভাবে হয়েছে তাৎক্ষণিকভাবে সেটি বলতে পারছি না। নাম পরিবর্তনের যদি কোনো বিষয় আসে, সেটি অবশ্যই সরকারের দায়িত্ব।
এ বিষয়ে দৈনিক জনকণ্ঠের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, এমন অনেক জেলা রয়েছে যেখানে জেলার নামেই বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের সুযোগ ছিল। কিন্তু তৎকালীন সরকারের একটি স্বার্থান্বেষী গোষ্ঠী এই পরিবারের নাম ব্যবহার করে বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের সুযোগ নিয়েছিল। কারণ হিসেবে তারা জানান, নাম ব্যবহার করলে বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন সহজতর হতো। যে কারণে অনেকেই এই ধরনের উদ্যোগ নিয়েছেন। লালমনিরহাট থেকে জামালপুর এমনকি কিশোরগঞ্জ ও পিরোজপুরেও একই নাম ব্যবহার করে বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন করা হয়েছে। তবে, গোপালগঞ্জে এই নামে বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন সমীচীন বলেও তারা মনে করেন।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নামে যে নয়টি বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে সেগুলো হলো, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, গোপালগঞ্জ, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেরিটাইম বিশ্ববিদ্যালয়, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ডিজিটাল বিশ্ববিদ্যালয়, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এভিয়েশন ও অ্যারোস্পেস বিশ্ববিদ্যালয়, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিশ্ববিদ্যালয়, কিশোরগঞ্জ, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, পিরোজপুর, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিশ্ববিদ্যালয়, নওগাঁ।
এছাড়া, রয়েছে শেখ মুজিবুর রহমানের সহধর্মিণী বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়, সিলেট, বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, শেখ হাসিনা বিশ্ববিদ্যালয় ও শেখ হাসিনা মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়, খুলনা।
ইউজিসির দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, পিরোজপুর, বাংলাদেশ সরকারের অর্থায়নে নির্মিত একটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়। বিগত সরকারের মন্ত্রিসভা বৈঠকে ২০২১ সালের ১২ জানুয়ারি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, পিরোজপুর আইন, ২০২০ এর খসড়া অনুমোদন করা হয়।
২০২২ সালের ০২ নম্বর আইনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, পিরোজপুর প্রতিষ্ঠা লাভ করে। পিরোজপুর শহরে সাময়িকভাবে তিনতলা বিশিষ্ট একটি ভাড়া বাড়িতে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক কার্যক্রমসহ অন্যান্য সংশ্লিষ্ট কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে। একইসঙ্গে দাপ্তরিক যোগাযোগ ত্বরান্বিত করার লক্ষ্যে ঢাকায় মিরপুরে একটি লিয়াজোঁ অফিস খোলা হয়েছে।
সাবেক রাষ্ট্রপতি অ্যাডভোকেট মো. আবদুল হামিদের বিশেষ উদ্যোগে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নামে কিশোরগঞ্জ জেলায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিশ্ববিদ্যালয়, কিশোরগঞ্জ প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে দেখা যায়, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিশ্ববিদ্যালয়, কিশোরগঞ্জ আইন ২০২০ (২০২০ সালের ১৭ নম্বর আইন, ১৫ সেপ্টেম্বর, ২০২০) বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার জন্য প্রণীত হয়েছিল।
আইনটি ২০২০ সালে বাংলাদেশের সংসদে পাস হয়। এ আইনের বিধান অনুযায়ী, বিশ্ববিদ্যালয়টি কিশোরগঞ্জ জেলার সদর উপজেলার বৌলাই ইউনিয়নে প্রতিষ্ঠিত হবে। কিশোরগঞ্জ জেলার কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলার বৌলাই ইউনিয়নের পাটধা ও রঘুনন্দনপুর মৌজায় ১০৩.৮৭ একর জমিতে বিশ্ববিদ্যালয়টি স্থাপন করা হবে। এটি কিশোরগঞ্জ শহর থেকে মিঠামইন রোডের দিকে প্রায় ৮.৯ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এভিয়েশন অ্যান্ড অ্যারোস্পেস বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার তারিখ ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৯। বিশ্ববিদ্যালয়টির স্থায়ী ক্যাম্পাস লালমনিরহাটে, যার কার্যক্রম চলমান বলে জানা গেছে।
বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিব বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশের ৪৪তম পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে ২০১৭ সালের ২৪ নম্বর আইন অনুযায়ী ২৮ নভেম্বর ২০১৭ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। এজন্য জামালপুর জেলার মেলান্দহ উপজেলার মালঞ্চায় অবস্থিত ৫০০ একর জমি অনুমোদন রয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয়টির ওয়েবসাইটে বিশিষ্ট শিক্ষানুরাগী মির্জা আজমের আন্তরিক প্রচেষ্টায় জামালপুর জেলায় একটি বিশেষায়িত বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নেওয়ার কথা বলা হয়েছে। অর্থাৎ বিশ্ববিদ্যালয়গুলো শেখ মুজিবুর রহমানের নামে তৈরি করা হলেও ওয়েবসাইটে সংশ্লিষ্ট জেলা বা সংসদীয় আসনের সংসদ সদস্যের অবদানকেই বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।
জানা যায়, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ডিজিটাল ইউনিভার্সিটি, বাংলাদেশ, সরকারি অর্থায়নে প্রতিষ্ঠিত দেশের প্রথম বিশেষায়িত ডিজিটাল বিশ্ববিদ্যালয়। তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকার জাতীয় সংসদে আইন প্রণয়নের মাধ্যমে ২০১৬ সালের ২৬ জুলাই এই বিশ্ববিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠা করে। গাজীপুর জেলার কালিয়াকৈর উপজেলায় বঙ্গবন্ধু হাই-টেক পার্ক সংলগ্ন এলাকায় এ বিশ্ববিদ্যালয়ের অবস্থান। ডিজিটাল ইউনিভার্সিটি, বাংলাদেশ ২০১৯ সালের মার্চ থেকে অ্যাকাডেমিক কার্যক্রম শুরু করেছে।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশের একটি সরকারি অর্থায়নে ১৩তম পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়। এটি গাজীপুরের সালনায় অবস্থিত। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ১৯৯৮ সালে বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক প্রবর্তিত একটি আইনসহ একটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়। জানা যায়, ইনস্টিটিউট অব পোস্ট গ্র্যাজুয়েট স্টাডিজ ইন অ্যাগ্রিকালচার (আইপিএসএ) রূপান্তরিত করে বিশ্ববিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল।
১৯৮৩ সালে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের (ইঅজও) একটি অ্যাকাডেমিক অঙ্গ হিসেবে বাংলাদেশ কৃষি বিজ্ঞান কলেজ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয় এবং ১৯৯১ সাল পর্যন্ত অ্যাকাডেমিকভাবে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে অধিভুক্ত ছিল। ১৯৯১ সালে এটি স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় শাখা জানায়, জেলা পর্যায়ের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো জেলার নামে হওয়াই সমীচীন। যেমন রংপুরে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে। একই নামে ওই জেলায় একাধিক কলেজ আছে। এতে নামের বিভ্রাট তৈরি হয়। বঙ্গবন্ধুর নামের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতেও একই সমস্যা দেখা যাচ্ছে।
কাফি

ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
আরও ২৪ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে বাদ শেখ পরিবারের নাম

দেশের আরও ২৪টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে শেখ পরিবার ও তাদের সদস্যদের নাম বাদ দেওয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে এসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের নতুন নামকরণও করা হয়েছে। আজ বুধবার (৪ জুন) শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের উপ-সচিব রহিমা অক্তারের সই করা এক প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়।
প্রজ্ঞাপনে দেখা যায়, নাম পরিবর্তন হওয়া ২৪ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মধ্যে ১০টিতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নাম, ৫টি শেখ ফজিলাতুননেছা মুজিব, ৪টি শেখ রাসেলের নামে ছিল। এছাড়া শেখ হাসিনা, শেখ কামাল, শেখ জামাল, শেখ আরজু মনি ও আব্দুর রব সেরনিয়াবাতের নামে একটি করে প্রতিষ্ঠানের নাম ছিল।
এর আগেও অন্তর্বর্তী সরকার শেখ মুজিবুর রহমান ও তার পরিবারের সদস্যদের নামে থাকা বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে তাদের নাম বাদ দেয়। শেখ পরিবারের নামে থাকা ১৩টি বিশ্ববিদ্যালয়ের নামও পরিবর্তন করা হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে শেখ মুজিবুর রহমানের নামে ১০টি, শেখ ফজিলাতুননেছা মুজিবের নামে একটি, শেখ হাসিনার নামে একটি এবং মুজিবনগর নামে একটি বিশ্ববিদ্যালয় ছিল।
এছাড়া সম্প্রতি ৬৮টি কলেজের নাম পরিবর্তন করা হয়েছে। এর মধ্যে ৬৬টি শেখ পরিবারের নামে ছিল। ৩৭টিতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নাম ছিল। শেখ ফজিলাতুননেছা মুজিবের নাম ছিল ১৬টি কলেজে। এছাড়া শেখ হাসিনার নামে ছিল ৫টি, শেখ রাসেল এবং আব্দুর রব সেরনিয়াবতের নামে দুটি কলেজ ছিল।
ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
১৮তম শিক্ষক নিবন্ধনের ফল প্রকাশ

১৮তম শিক্ষক নিবন্ধনের চূড়ান্ত ফল প্রকাশ করেছে বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ)। আজ বুধবার (০৪ জুন) বিকেল ৫টা ১০ মিনিটের পর ফল প্রকাশ করা হয়েছে। এতে পাসের হার ৭০ শতাংশ বলে জানানো হয়েছে।
জানা গেছে, এদিন বিকেল ৫টায় শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীন এনটিআরসিএর বোর্ড সভা শেষ হওয়ার পরই ফল প্রকাশের সিদ্ধান্ত কার্যকর করা হয়। দুপুর থেকে রাজধানীর তেজগাঁওয়ে এনটিআরসিএর কার্যালয়ে এ বোর্ড সভা অনুষ্ঠিত হয়।
বোর্ড সভা সম্পর্কে জানতে চাইলে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের যুগ্মসচিব (বেসরকারি মাধ্যমিক) হেলালুজ্জামান সরকার বলেন, মূলত ১৮তম শিক্ষক নিবন্ধনের ফল প্রকাশ নিয়েই আজকের বোর্ড সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সর্বসম্মতিক্রমে আজ বিকেলে ফল প্রকাশের সিদ্ধান্ত হয়।
২০২৩ সালের ২ নভেম্বর ১৮তম শিক্ষক নিবন্ধনের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে এনটিআরসিএ। এ পর্যায়ে রেকর্ডসংখ্যক প্রায় ১৯ লাখ প্রার্থী আবেদন করেন। প্রিলিমিনারি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয় ২০২৪ সালের ১৫ মার্চ।
এরপর গত বছরের ১৪ অক্টোবর লিখিত পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হয়। সেখানে ৮৩ হাজার ৮৬৫ জন উত্তীর্ণ হন, পাসের হার ছিল ২৪ শতাংশ। তখনই জানা যায়, উত্তীর্ণদের মধ্য থেকে সর্বোচ্চ যোগ্যদের নিয়েই চূড়ান্ত ফল প্রস্তুত করা হবে।
কোন স্তরে কতজন?
এনটিআরসিএ সূত্রে জানা গেছে চূড়ান্তভাবে উত্তীর্ণদের মধ্যে— স্কুল-২ পর্যায়ে ২৯ হাজার ৫১৬ জন, স্কুল পর্যায়ে ২ লাখ ২১ হাজার ৬৫২ জন, কলেজ পর্যায়ে: ২ লাখ ২৮ হাজার ৮১৩ জন রয়েছেন। সবমিলিয়ে মোট ৪ লাখ ৭৯ হাজার ৯৮১ জন প্রার্থী চূড়ান্তভাবে উত্তীর্ণ হয়েছেন।
যেভাবে দেখা যাবে ফল
১৮তম নিবন্ধনের ফল জানতে প্রার্থীরা http://ntrca.gov.bd এবং http://ntrca.teletalk.com.bd ওয়েবসাইটের যেকোনটিতে গিয়ে প্রয়োজনীয় তথ্য দিয়ে লগইন করলেই ফলাফল দেখতে পারবেন।
সামনে কী?
চূড়ান্ত ফল প্রকাশের মধ্যদিয়ে এখন প্রার্থীদের নিয়োগ সুপারিশের অপেক্ষা। এনটিআরসিএ সূত্রে জানা গেছে, দেশের বেসরকারি স্কুল-কলেজ, মাদরাসা ও কারিগরি প্রতিষ্ঠানে শূন্যপদের তথ্য সংগ্রহ ও যাচাই-বাছাইয়ের কাজ চলছে। এসব পদে নিয়োগে সুপারিশ পাওয়া প্রার্থীদের যাচাইয়ের পর যথাযথ প্রক্রিয়ায় নিয়োগ কার্যক্রম শুরু হবে।
উল্লেখ্য, বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ) হলো শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীন একটি স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান, যা দেশের বেসরকারি স্কুল, কলেজ, মাদরাসা ও কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যোগ্য ও দক্ষ শিক্ষক নিয়োগ নিশ্চিত করার লক্ষ্যে কাজ করে। প্রতিষ্ঠানটি ২০০৫ সাল থেকে শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষার মাধ্যমে প্রার্থীদের লিখিত, মৌখিক ও প্রিলিমিনারি যাচাইয়ের মাধ্যমে যোগ্যতার ভিত্তিতে নিয়োগের জন্য সুপারিশ করে থাকে। নিবন্ধনের মাধ্যমে প্রার্থীদের যোগ্য শিক্ষক হিসেবে প্রত্যয়ন দেওয়া হয়।
কাফি
ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
অভিজ্ঞতা ছাড়াও চাকরি দেবে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স

ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে। দেশের সর্ববৃহৎ বেসরকারি বিমান সংস্থাটির সেলস অ্যান্ড মার্কেটিং বিভাগ এক্সিকিউটিভ পদে একাধিক জনবল নিয়োগের জন্য এ বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে। গত ২৯ মে থেকেই আবেদন নেওয়া শুরু হয়েছে। আবেদন করা যাবে আগামী ১৪ জুন পর্যন্ত। আগ্রহী প্রার্থীরা অনলাইনে আবেদন করতে পারবেন। নির্বাচিত প্রার্থীরা মাসিক বেতন ছাড়াও মোবাইল বিল, সাপ্তাহিক ২ দিন ছুটি, বিমা,দুপুরের খাবার সুবিধা, প্রতি বছর বেতন পর্যালোচনা, বছরে ২টি উৎসব বোনাস, কোম্পানির নীতিমালা অনুযায়ী বিমান টিকিটে ছাড় পাবেন।
প্রতিষ্ঠানের নাম: ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স
পদের নাম: এক্সিকিউটিভ
বিভাগ: সেলস অ্যান্ড মার্কেটিং
পদসংখ্যা: ১০টি
শিক্ষাগত যোগ্যতা: বিবিএ/এমবিএ
অন্যান্য যোগ্যতা: সংশ্লিষ্ট বিষয়ে দক্ষতা
অভিজ্ঞতা: কমপক্ষে ২ বছর, তবে অভিজ্ঞতা না থাকলেও আবেদন করতে পারবেন আগ্রহীরা।
চাকরির ধরন: ফুলটাইম
কর্মক্ষেত্র: অফিসে
প্রার্থীর ধরন: শুধু পুরুষ
বয়সসীমা: ২১ থেকে ২৮ বছর
কর্মস্থল: দেশের যেকোনো স্থানে
বেতন: ৩০,০০০ টাকা (মাসিক)
অন্যান্য সুবিধা: মোবাইল বিল, সাপ্তাহিক ২ দিন ছুটি, বিমা,দুপুরের খাবার সুবিধা, প্রতি বছর বেতন পর্যালোচনা, বছরে ২টি উৎসব বোনাস, কোম্পানির নীতিমালা অনুযায়ী বিমান টিকিটে ছাড়।
আবেদন যেভাবে: আগ্রহী প্রার্থীরা আবেদন করতে ও বিস্তারিত বিজ্ঞপ্তিটি দেখতে এখানে ক্লিক করুন।
আবেদনের শেষ সময়: ১৪ জুন ২০২৫
ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
ইবির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের শাহাদাৎ বার্ষিকীতে দোয়া ও মোনাজাত

কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) প্রতিষ্ঠাতা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৪৪তম শাহাদাৎ বার্ষিকীতে তাঁর রুহের মাগফেরাত কামনায় দোয়া ও মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। এসময় দোয়া ও মোনাজাত অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন কেন্দ্রীয় মসজিদের খতিব আশরাফ উদ্দিন খান আজহারি।
শুক্রবার (৩০ মে) বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদে জুম্মা নামাজের পরে এ দোয়া অনুষ্ঠিত হয়। এর পূর্বে বেলা ১১টার দিকে প্রশাসন ভবনের সামনে থেকে একটি শোক যাত্রা শুরু হয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিত্তিপ্রস্তর চত্বরে গিয়ে শেষ হয়। সেখানে শহীদ রাষ্ট্রপতির স্থাপিত ভিত্তিপ্রস্তরে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ।
এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম. এয়াকুব আলী, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম এবং ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. মো. মনজুরুল হকসহ অন্যান্য শিক্ষক ও কর্মকর্তাবৃন্দ।
দোয়া অনুষ্ঠানে উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম. এয়াকুব আলী বলেন, শহীদ জিয়া ১৯৭৬ সালের পহেলা ডিসেম্বর ঘোষণা করেছিলেন দেশে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা হবে। তিনি ১৯৭৯ সালের ২২ নভেম্বর ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার ভিত্তিপ্রস্থর স্থাপন করেন। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন আজ তাকে শুধু রাষ্ট্রপতি হিসেবে নয় বরং ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠাতা হিসেবে তার মৃত্যুবার্ষিকী পালন করছে। বিরূপ আবহাওয়া থাকলেও আমাদের আন্তরিকতার কোনো অভাব নাই। শহীদ জিয়ার স্মরণে আজ গরিব দুস্থদের মধ্যে খাবার বিতরণ করা হচ্ছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ বলেন, মহান স্বাধীনতার ঘোষক, বহুদলীয় গণতন্ত্রের প্রবক্তা, সাবেক রাষ্ট্রপতি শহীদ জিয়াউর রহমানকে আজকের দিনে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসে হত্যা করা হয়েছিল। দেশের উন্নত-সমৃদ্ধ করতে চেয়েছিলেন তাই জনগণ তাকে ক্ষমতায় বসিয়েছিলো। তিনি অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি সহ বহুদলীয় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় ভূমিকা রেখেছিলেন। তিনি দেশে এই ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। আজকে আমরা তাকে বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠাতা হিসেবে স্মরণ করছি। জুলাই গণঅভ্যুত্থানের পরে তার স্বপ্ন উন্নত সমৃদ্ধ বাংলাদেশ, ঐক্যবদ্ধভাবে বহুদলীয় রাজনীতি প্রতিষ্ঠা করতে পারবো ইনশাআল্লাহ।
অর্থসংবাদ/সাকিব/এসএম
ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
ইফাজের ওপর হামলার প্রতিবাদে ইবি ছাত্রদলের বিক্ষোভ

খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) শিক্ষার্থী ইফাজের ওপর হামলার প্রতিবাদে এবং সন্ত্রাসীদের দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করেছে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি) শাখা ছাত্রদল।
শুক্রবার (৩০ মে) দুপুর ১২টার দিকে ইবি থানা-ফটক থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল শুরু হয়। পরবর্তী বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুষদ ভবনের সামনে এসে সমবেত হন। সেখানে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করেন সংগঠনটি।
বিক্ষোভ সমাবেশে শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক সাহেদ আহম্মেদ ও সদস্য সচিব মাসুদ রুমী মিথুনের নেতৃত্বে উপস্থিত ছিলেন সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক আনোয়ার পারভেজ, যুগ্ম আহবায়ক আবু দাউদ, আনারুল ইসলাম, আহসান হাবিব, সদস্য সাব্বির হোসাইন, রাফিজ আহমেদ, নুর উদ্দিন, উল্লাস মাহমুদ, রাকিব হোসেন সাক্ষর, রনি, তৌহিদুল ইসলাম, ইব্রাহিম, আলামিন, রিয়াজ, রায়হান, মেহেদী, সাবিক, ওয়াশিকুর, জনি, উৎস, অনিক, বাপ্পী প্রমুখ।
ইবি শাখা ছাত্রদলের সদস্য সচিব মাসুদ রুমী মিথুন বলেন, আপনারা জানেন, একদল সন্ত্রাসী কুয়েটের মেধাবী ছাত্র ইফাজের ওপর হামলা করেছে। গুপ্ত সংগঠন এই হামলা চালিয়েছে। আমরা এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। দ্রুত বিচারের আওতায় নিয়ে আনার দাবি জানাই।
ইবি শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক সাহেদ আহম্মেদ বলেন, সারাদেশের প্রতিটি ক্যাম্পাসে প্রতিনিয়ত যে গুপ্ত হামলার শিকার হচ্ছেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা। আজ ক্যাম্পাসে সাধারণ শিক্ষার্থীরা নিরাপদ নয়। আমাদের ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়েও নিরাপত্তা চাই। সব বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনের প্রতি অনুরোধ, আপনারা জাতির মেধাবী সন্তানদের নিরাপত্তা ব্যবস্থা করুন এবং ক্যাম্পাসগুলোতে শিক্ষার পরিবেশ তৈরি করার জন্য সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করুন। আমাদের অভিভাবক তারেক রহমানের নির্দেশে আমরা ধৈর্যের পরিচয় দিয়ে আসছি। বর্তমান দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটেছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার জন্য ইন্টেরিম গভর্মেন্টের প্রতি এবং ইফাজের ওপর হামলালারীদের দ্রুত গ্রেফতারের দাবি জানাচ্ছি।
অর্থসংবাদ/সাকিব/এসএম