জাতীয়
জাতিসংঘ মহাসচিবের সঙ্গে ড. ইউনূসের বৈঠক বৃহস্পতিবার
জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেসের সঙ্গে আগামী বৃহস্পতিবার (২৬ সেপ্টেম্বর)বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস বৈঠক করবেন।
প্রধান উপদেষ্টার নির্ধারিত কর্মসূচি অনুযায়ী জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনের ফাঁকে স্থানীয় সময় দুপুর ২টা ১৫ মিনিটে জাতিসংঘ সচিবালয়ে বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হবে।
আজ মঙ্গলবার (২৪ সেপ্টেম্বর) মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গেও দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করবেন প্রধান উপদেষ্টা। একই দিন তিনি ইতালির প্রধানমন্ত্রী জর্জিয়া মেলোনি এবং কুয়েতের যুবরাজ শেখ সাবাহ খালেদ আল-হামাদ আল-সাবাহ্র সাথেও দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করবেন।
এছাড়া প্রধান উপদেষ্টা ২৫ সেপ্টেম্বর পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী মুহাম্মদ শেহবাজ শরীফ ও নেপালের প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা এবং ২৬ সেপ্টেম্বর নেদারল্যান্ডস এর প্রধানমন্ত্রী ডিক স্কুফর সঙ্গে বৈঠক করবেন।
চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই, ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট উরসুলা ভন ডার লেইন, জাতিসংঘ মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনার ভলকার তুর্ক, যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এন্টনি ব্লিঙ্কেন, জাতিসংঘের আন্ডার সেক্রেটারি জেনারেল এবং এলডিসি, এলএলডিসি এবং সিআইডিএসর উচ্চ প্রতিনিধি রাবাব ফাতিমা, জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক হাইকমিশনার ফিলিপ্পো গ্র্যান্ডি, আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার মহাপরিচালক গিলবার্ট এফ হাউংবো, বিশ্বব্যাংক গ্রুপের প্রেসিডেন্ট অজয় বাঙ্গা, ইউএনডিপি প্রশাসক আচিম স্টেইনার এবং ইউএসএআইডি প্রশাসক সামান্থা পাওয়ার নিউইয়র্কে অবস্থানকালে ড. ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন।
ইউএনজিএর ৭৯তম অধিবেশনে যোগদানের জন্য প্রধান উপদেষ্টা এবং তার সফরসঙ্গীদের নিয়ে কাতার এয়ারওয়েজের একটি বাণিজ্যিক ফ্লাইট সোমবার স্থানীয় সময় রাত ১০টা ১০ মিনিটে নিউইয়র্কের জেএফকে আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে। এর আগে ভোর ৫টা ৫ মিনিটে (বাংলাদেশ সময়) ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ফ্লাইটটি ছেড়ে যায়।
২৪ সেপ্টেম্বর, অধ্যাপক ইউনূস জাতিসংঘ সদর দপ্তরে ৭৯তম ইউএনজিএ (উচ্চ পর্যায়ের সপ্তাহ উদ্বোধন) উদ্বোধনী অধিবেশনে যোগ দেবেন। তিনি আগামী ২৭ সেপ্টেম্বর সকাল ১০টায় (নিউইয়র্ক সময়) জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে ভাষণ দেবেন।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
জাতিসংঘ বাংলাদেশের সংস্কারে সহায়তা করতে প্রস্তুত: মহাসচিব
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেসের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। বৃহস্পতিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) নিউইয়র্কের স্থানীয় সময় দুপুর ২টায় জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনের ফাঁকে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
বৈঠকে ড. মুহাম্মদ ইউনূস অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করায় তাকে অভিনন্দন জানিয়ে তার সরকারের প্রতি সমর্থন জানান জাতিসংঘ মহাসচিব।
এ ছাড়া ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও অ্যান্তোনিও গুতেরেসের মধ্যকার আলোচনায় রোহিঙ্গা ইস্যুতে জাতিসংঘের ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং মিশনের প্রতি পূর্ণ সমর্থনের গুরুত্ব ও জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে বাংলাদেশের অংশগ্রহণের প্রতিশ্রুতির বিষয়টি উঠে আসে।
এ ছাড়া কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোসহ বেশ কয়েকজন সরকারপ্রধান ও বিভিন্ন সংস্থার প্রধানের সঙ্গে বৈঠক করেছেন প্রধান উপদেষ্টা।
প্রসঙ্গত, জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭৯তম অধিবেশনে যোগ দিতে বর্তমানে নিউইয়র্কে অবস্থান করছেন প্রধান উপদেষ্টা। শুক্রবার (২৭ সেপ্টেম্বর) স্থানীয় সময় সকাল ১০টায় তিনি ওই অধিবেশনে ভাষণ দেবেন।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
জাতিসংঘে আজ বাংলায় ভাষণ দেবেন প্রধান উপদেষ্টা
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের ৭৯তম অধিবেশনে আজ বাংলায় ভাষণ দেবেন। নিউইয়র্কের স্থানীয় সময় সকাল ১০টায় জাতিসংঘ সদর দপ্তরের জেনারেল অ্যাসেম্বলি হলে তিনি এ ভাষণ দেবেন।
ভাষণে কী প্রেক্ষাপটে তিনি অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন ও রাষ্ট্র সংস্কারে কী কী উদ্যোগ নিয়েছেন তা তুলে ধরবেন। এ ছাড়া ফিলিস্তিনে গণহত্যা ও রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ অনতিবিলম্বে বন্ধ এবং রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে বিশ্ববাসীর সহযোগিতা ও সহায়তা চাইবেন তিনি। পাশাপাশি জলবায়ু পরিবর্তন, সরকারের অন্তর্ভুক্তিমূলক অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও অন্যান্য বৈশ্বিক-আঞ্চলিক বিষয়গুলোও তার ভাষণে উঠে আসবে।
একইসঙ্গে ছাত্র-জনতার বিপ্লবের পর নতুন বাংলাদেশ গঠনে বিশ্ববাসীর সহায়তা, বিদ্যমান রাষ্ট্র কাঠামো ও প্রতিষ্ঠানগুলোর আমূল রূপান্তরের এক নতুন সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচনের রূপরেখাও তিনি বিশ্ববাসীকে জানাবেন।
এ ছাড়া বাংলাদেশের মানুষ যেভাবে একনায়কতন্ত্র, নিপীড়ন, বৈষম্য, অবিচার ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে রাজপথ এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দৃঢ়ভাবে রুখে দাঁড়িয়েছিল, সেটিরও বর্ণনা দেবেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
ভাষণে বিগত দুই মাসে বাংলাদেশে ঘটে যাওয়া অভাবনীয় গণ-অভ্যুত্থানের বিবরণ ও আগামী দিনে জনভিত্তিক, কল্যাণমুখী ও জনস্বার্থে নিবেদিত একটি রাষ্ট্রব্যবস্থা গড়ে তোলার দৃঢ় প্রত্যয়ও প্রধান উপদেষ্টা বিশ্বদরবারে তুলে ধরবেন।
জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের ৭৯তম অধিবেশনের এবার বিতর্কের মূল প্রতিপাদ্য ঠিক হয়েছে, ‘কাউকে পিছিয়ে রাখা নয়: বর্তমান ও ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য শান্তি, টেকসই উন্নয়ন এবং মানব মর্যাদার অগ্রগতিতে একসঙ্গে কাজ করা’।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
সমালোচনাকে আমন্ত্রণ জানাতে চায় অন্তর্বর্তী সরকার
অন্তর্বর্তী সরকার কোনো সমালোচনায় বিচলিত নয় জানিয়ে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, আমরা সমালোচনাকে আমন্ত্রণ জানাচ্ছি। সরকার দেশে কারও কণ্ঠরোধ করবে না।
যুক্তরাষ্ট্রের স্থানীয় সময় বুধবার (২৫ সেপ্টেম্বর) নিউইয়র্কের একটি হোটেলে শীর্ষস্থানীয় মানবাধিকার সংগঠনের বেশ কয়েকজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা দেখা করতে এলে তিনি এ মন্তব্য করেন।
ড. ইউনূস বলেন, অন্তর্বর্তী সরকার তার কর্মকাণ্ডের যেকোনো সমালোচনাকে স্বাগত জানাবে। সরকার দেশে মানবাধিকার ও বাকস্বাধীনতা সমুন্নত রাখতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
বৈঠকে জুলাই-আগস্টের গণ-অভ্যুত্থান এবং শেখ হাসিনার দীর্ঘ স্বৈরশাসনের সময় সংঘটিত নৃশংসতা ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিচার ও জবাবদিহিতা নিয়ে আলোচনা হয়।
এ সময় মানবাধিকার কর্মকর্তারা স্বৈরশাসকের সময় সম্পাদিত প্রায় তিন হাজার বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের অধিকতর তদন্তের প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেন। তারা নিরাপত্তা খাতের সংস্কার, সাইবার নিরাপত্তা আইন প্রত্যাহার ও নির্বিঘ্নে ন্যায়বিচার প্রাপ্তি এবং শেখ হাসিনার স্বৈর-শাসনামলে বলপূর্বক গুমের শিকার ব্যক্তিদের আটক কেন্দ্রের কার্যক্রমের জবাবদিহিতা নিশ্চিত করার আহ্বান জানান।
বৈঠকে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের মহাসচিব অ্যাগনেস ক্যালামার্ড বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারের উচিত একটি শক্তিশালী বার্তা পাঠানো যে, এটি এক নতুন বাংলাদেশ।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
স্কুলে এবারও লটারিতে ভর্তি
মাধ্যমিক স্কুলে এ বছরও লটারির মাধ্যমে শিক্ষার্থী নির্বাচন এবং ভর্তি প্রক্রিয়া বহাল থাকছে। বৃহস্পতিবার বিকেলে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে ‘ভর্তি নীতিমালা সংশোধন’ নিয়ে অনুষ্ঠিত সভায় এ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। বিষয়টি অবহিত করা হবে শিক্ষা উপদেষ্টাকে। তিনি সম্মতি দিলে ভর্তি নীতিমালা চূড়ান্ত করে প্রকাশ করা হবে।
সভায় অংশ নেওয়া মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) কর্মকর্তারা জানান, লটারি, নাকি পরীক্ষার মাধ্যমে স্কুলে ভর্তি করা হবে– সভায় তা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। সেখানে সার্বিক অবস্থা বিবেচনায় এবারও লটারি পদ্ধতি রাখার পক্ষে মতামত দেন অধিকাংশ সদস্য। ফলে লটারি পদ্ধতিতে ভর্তির সিদ্ধান্ত হয়েছে।
সরকারি-বেসরকারি বিদ্যালয়গুলোতে গত কয়েক বছর ধরে ভর্তির ক্ষেত্রে লটারির মাধ্যমে শিক্ষার্থী নির্বাচন করে আসছে সরকার। এবার বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও অভিভাবকদের পক্ষ থেকে দাবি ওঠে, পরীক্ষার মাধ্যমে মেধা যাচাই করে শিক্ষার্থী ভর্তি করাতে হবে। তাদের সেই দাবি পর্যালোচনা করে ভর্তি নীতিমালা সংশোধনে বৃহস্পতিবার সভা ডাকে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। সেখানে লটারি পদ্ধতি বহাল রাখার সিদ্ধান্ত হয়।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
বাংলাদেশসহ দক্ষিণ এশিয়ার তরুণদের নিয়ে কাজ করবে যুক্তরাষ্ট্র
বাংলাদেশসহ দক্ষিণ এশিয়ার কয়েকটি দেশের তরুণ নেতাদের সমন্বয়ে নতুন একটি উদ্যোগ চালু করেছে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তর। গতকাল বুধবার এ দপ্তরের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, গতকাল যুক্তরাষ্ট্রের জনকূটনীতিবিষয়ক ভারপ্রাপ্ত আন্ডার সেক্রেটারি লি স্যাটারফিল্ড এবং দেশটির দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়াবিষয়ক সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লু ‘ইয়ং সাউথ এশিয়ান লিডার্স ইনিশিয়েটিভ (ওয়াইএসএএলআই)’ নামের এ উদ্যোগ চালু করেন।
প্ল্যাটফর্মটি বাংলাদেশ, ভুটান, ভারত, মালদ্বীপ, নেপাল, পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কার তরুণদের একত্র করবে। অর্থনৈতিক সুবিধা, পরিবেশগত পুনর্জাগরণ, নাগরিক অংশগ্রহণসহ গুরুত্বপূর্ণ নানা অভিন্ন ইস্যুতে কাজ করবে এ প্ল্যাটফর্ম।
দক্ষিণ এশিয়ায় ৪২০ মিলিয়নের (৪২ কোটি) বেশি তরুণের বসবাস। ওয়াইএসএএলআই এই তরুণদের নেটওয়ার্ক–সুবিধা, নেতৃত্বের প্রশিক্ষণ, পেশাগত বিনিময় ও একাডেমিক ফেলোশিপের সুযোগ দেবে; যাতে নিজেদের দেশের ভেতরে ও এ অঞ্চলে ইতিবাচক প্রভাব সৃষ্টিতে তাঁরা তাঁদের প্রচেষ্টায় সহায়তা পান।
গতকাল যুক্তরাষ্ট্রের জনকূটনীতিবিষয়ক ভারপ্রাপ্ত আন্ডার সেক্রেটারি লি স্যাটারফিল্ড এবং দেশটির দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়াবিষয়ক সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লু ‘ইয়ং সাউথ এশিয়ান লিডার্স ইনিশিয়েটিভ (ওয়াইএসএএলআই)’ নামের এ উদ্যোগ চালু করেন।
এমআই