আন্তর্জাতিক
শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নিলেন দিশানায়েকে
বামপন্থী রাজনীতিবিদ অনূঢ়া কুমারা দিশানায়েকে শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জিতেছেন। ঐতিহাসিক দ্বিতীয় দফা ভোট গণনার পর রবিবার তাকে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়। এবার প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নিয়েছেন অনূঢ়া কুমারা দিসানায়েকে।
স্থানীয় সময় আজ সোমবার রাজধানী কলম্বোতে প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেন তিনি।
অর্থনৈতিক সংকট কাটিয়ে শ্রীলঙ্কার ইতিহাস ‘নতুন করে রচনার’ প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন অনুড়া। নির্বাচনে তার এই জয়কে দুর্নীতি ও স্বজনতোষণের সংস্কৃতির প্রত্যাখ্যান হিসেবে দেখছেন বিশ্লেষকেরা।
প্রথম বামপন্থী প্রেসিডেন্ট হিসেবে দিসানায়েকে শপথ নেওয়ার পরপরই বলেন, রাজনীতিবিদদের প্রতি জনগণের আস্থা পুনরায় ফিরিয়ে আনার জন্য আমি যথাসাধ্য চেষ্টা করব। তিনি আরো বলেন, আমি জাদু দেখাই না, আমি জাদুকর নই।
এমন কিছু আছে যা আমি জানি এবং এমন কিছু থাকতে পারে যা আমি জানি না। তবে আমি সেরা পরামর্শ চাইব এবং আমার সেরাটাই করব। এজন্য সবার সহযোগিতা চাই।’
এর আগে নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণার পর ৫৫ বছর বয়সী দিশানায়েকে বলেন, তার এই বিজয় বহু লোকের আত্মত্যাগের বিনিময়ে অর্জিত।
দীর্ঘ এই সংগ্রামের পেছনে রয়েছে বহু লোকের ঘাম, অশ্রু ও জীবনদানের মতো ঘটনা। তিনি বলেন, ‘আজ আমরা শ্রীলঙ্কার নতুন ইতিহাস রচনার জন্য একত্রিত হয়েছি।’
প্রথম দফায় কোনো প্রার্থী মোট ভোটের ৫০ শতাংশের বেশি পাননি। সেখানে দিশানায়েকে ৪২.৩১ শতাংশ ভোট পান এবং তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিরোধী নেতা সাজিথ প্রেমদাসা পান ৩২.৭৬ শতাংশ ভোট।
পরবর্তীতে ভোটারদের সু-শাসন ও দুর্নীতিবিরোধী কঠোর পদক্ষেপের প্রতিশ্রুতি দেওয়া দিশানায়েকে দ্বিতীয় দফা ভোট গণনার পর বিজয়ী হন।
দ্বিতীয় দফায় ভোটারদের দ্বিতীয় ও তৃতীয় পছন্দের প্রার্থীদের ভোট যোগ করা হয়। দ্বিতীয় দফায় ভোট গণনা শেষ হওয়ার পর নির্বাচন কমিশন জানায়, দিশানায়েকে তিনি মোট ৫৭ লাখ ৪০ হাজার ১৭৯ ভোট পেয়েছেন। অন্যদিকে প্রেমদাসা পেয়েছেন ৪৫ লাখ ৩০ হাজার ৯০২ ভোট।
শনিবারের এই নির্বাচনটি ছিল ২০২২ সালে শ্রীলঙ্কার সবচেয়ে খারাপ অর্থনৈতিক সংকটের পর গণবিক্ষোভে দেশের নেতা গোতাবায়া রাজাপক্ষেকে ক্ষমতাচ্যুত করার পর অনুষ্ঠিত প্রথম নির্বাচন।
বিদায়ী প্রেসিডেন্ট রনিল বিক্রমাসিংহের স্থলাভিষিক্ত হবেন বর্তমান প্রেসিডেন্ট দিশানায়েকে। বিক্রমাসিংহে এমন একটা সময়ে দায়িত্ব নিয়েছিলেন, যখন দ্বীপদেশটির সরকার প্রথমবারের মতো বিদেশি ঋণের কিস্তি পরিশোধে ব্যর্থ হয়। প্রথম দফায় বর্তমান প্রেসিডেন্ট রনিল বিক্রমাসিংহে ১৭ শতাংশ ভোট পেয়ে তৃতীয় স্থানে অবস্থান করেন। তিনি দ্বিতীয় দফার গণনা থেকে বাদ পড়েন, যা শুধু দুই প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বীর মধ্যে হয়।
বিক্রমাসিংহে তার উত্তরসূরিকে অভিনন্দন জানিয়েছেন। এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, ‘এই প্রিয় জাতির প্রতি গভীর ভালোবাসা ও সম্মানের সঙ্গে আমি এর ভবিষ্যৎ নতুন প্রেসিডেন্টের হাতে তুলে দিচ্ছি।’
অর্থনীতি পুনরুদ্ধারের জন্য দিশানায়েকে উৎপাদন, কৃষি ও তথ্যপ্রযুক্তির মতো খাতগুলোর উন্নয়নের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। তিনি শ্রীলঙ্কাকে অর্থনৈতিক সংকট থেকে উদ্ধার করার জন্য আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের সঙ্গে করা চুক্তি চালিয়ে যাওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। তবে তিনি দেশের দরিদ্রতম মানুষের ওপর সংস্থাটির কঠোর প্রভাব কমানোর চেষ্টা করবেন বলে জানিয়েছেন।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আন্তর্জাতিক
জাপানের নতুন প্রধানমন্ত্রী হচ্ছেন শিগেরু ইশিবা
জাপানের নতুন প্রধানমন্ত্রী হচ্ছেন শিগেরু ইশিবা। তিনি দেশটির সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন। দেশটির ক্ষমতাসীন দল লিবারেল ডেমোক্র্যাটিক পার্টির (এলডিপি) আইনপ্রণেতারা তাকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে বেছে নিয়েছেন। খবর রয়টার্সের।
শুক্রবার (২৭ সেপ্টেম্বর) ভোটের মাধ্যমে নতুন নেতা নির্বাচিত করেন এলডিপির আইনপ্রণেতারা। জাপানের পার্লামেন্টে এলডিপি সংখ্যাগরিষ্ঠ, তাই দলের নতুন নেতাই হবেন জাপানের নতুন প্রধানমন্ত্রী। আগামী ১ অক্টোবর আনুষ্ঠানিকভাবে পার্লামেন্টে প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত করা হবে।
গত দুই সপ্তাহ ধরে এলডিপির নেতৃত্ব দিতে ৯ প্রার্থী প্রচারণা চালিয়েছেন। শুক্রবার টোকিওতে নতুন নেতা নির্বাচনে ভোট দেন দলটির আইনপ্রণেতা ও আঞ্চলিক নেতারা। ৭৩৬ ভোটের মধ্যে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়ে কট্টরপন্থি জাতীয়তাবাদী নেতা তাকাইচিকে পরাজিত করেন ইশিবা।
গত আগস্ট মাসে জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা ঘোষণা দিয়েছিলেন দেশটির ক্ষমতাসীন লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) নেতৃত্বের এই নির্বাচনে তিনি লড়বেন না। ২০২১ সালের সেপ্টেম্বরে পরবর্তী তিন বছরের জন্য এলডিপির প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন ফুমিও কিশিদা। এরপর জাতীয় নির্বাচনে জিতে একই বছরের অক্টোবরে তিনি জাপানের প্রধানমন্ত্রী হন।
এলডিপির ভেতরে বড় ধরনের আর্থিক কেলেঙ্কারির খবর প্রকাশিত হওয়ায় ফুমিও কিশিদার জনপ্রিয়তায় ভাটা পড়ে। করোনা মহামারি সামাল দেয়ার ক্ষেত্রে ব্যর্থতা নিয়ে তীব্র সমালোচনা মাথায় নিয়ে ইউশিহিদে সুগা বিদায় নিলে এলডিপির প্রধান হয়ে জাপানের প্রধানমন্ত্রী হন ফুমিও কিশিদা। এর আগে তিনি দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেছিলেন।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আন্তর্জাতিক
পাকিস্তানকে আরো ৭০০ কোটি ডলার ঋণ দিচ্ছে আইএমএফ
অর্থনীতিকে চাঙ্গা করতে পাকিস্তানকে আরও ৭০০ কোটি মার্কিন ডলার ঋণ দিচ্ছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ)। বুধবার (২৫ সেপ্টেম্বর) এই বর্ধিত তহবিল সুবিধার (ইএফএফ) অনুমোদন করেছে আইএমএফের পরিচালনা পর্ষদ, যা দক্ষিণ এশীয় দেশটির চাপে থাকা অর্থনীতিকে চাঙ্গা করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে আশা করা হচ্ছে।
পাকিস্তানি প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরীফের কার্যালয় থেকে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে।
এ ঘোষণার কিছুক্ষণ পরেই শাহবাজ শরীফ নিউইয়র্কে আইএমএফ প্রধান ক্রিস্টালিনা জর্জিয়েভার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন এবং এই ঋণ প্যাকেজের অনুমোদনের জন্য তার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
সাক্ষাতে আইএমএফ প্রধান পাকিস্তানের অর্থনৈতিক উন্নতির প্রশংসা করেন। তিনি সরকারের নেওয়া গুরুত্বপূর্ণ সংস্কারগুলোর প্রতিও সন্তোষ প্রকাশ করেন, যা আইএমএফের ঋণ অনুমোদন সহজ করেছে বলে উল্লেখ করেন।
আইএমএফ প্রধান বলেন, আমাদের কাছে সুসংবাদ রয়েছে। আমরা সফলভাবে ঋণ কর্মসূচির পর্যালোচনা সম্পন্ন করেছি। পাকিস্তানের সরকার এবং জনগণকে অভিনন্দন জানাই তাদের নিজস্ব সংস্কার এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য, যা এরই মধ্যে সুফল বয়ে আনছে। পাকিস্তানের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি বেড়েছে, মুদ্রাস্ফীতি কমেছে এবং অর্থনীতি একটি দৃঢ় পথে রয়েছে।
সংস্কারগুলো পাকিস্তানের দরিদ্র জনগোষ্ঠীর উপকারে আসছে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি অনুভব করছি, এটি ঘটছে। সরকার ধনীদের কাছ থেকে কর সংগ্রহের উদ্যোগ নিয়েছে এবং বেনাজির কর্মসূচিকে শক্তিশালী করেছে, যা দরিদ্রদের সহায়তা করছে।
পাকিস্তানি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে দেওয়া বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, শাহবাজ শরীফ এই ঋণ অনুমোদনে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেছেন, পাকিস্তানে অর্থনৈতিক সংস্কারের বাস্তবায়ন দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলছে।
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, দেশের ব্যবসা-বাণিজ্য এবং বিনিয়োগের বৃদ্ধি সরকারের অর্থনৈতিক দলের কঠোর পরিশ্রমেরই প্রমাণ।
তিনি অভিবাসী পাকিস্তানিদের রেমিট্যান্স বৃদ্ধির কথা উল্লেখ করে বলেন, এটি সরকারের নীতির প্রতি তাদের আস্থার প্রতিফলন।
শাহবাজ শরীফ আরও আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, যদি এভাবে কাজ চলতে থাকে, তাহলে এটিই হবে আইএমএফর কাছ থেকে পাকিস্তানের শেষ ঋণ কর্মসূচি। তিনি সৌদি আরব, চীন, এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, এই ঋণ প্যাকেজে এসব দেশের গুরুত্বপূর্ণ অবদান ছিল।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আন্তর্জাতিক
মধ্যপ্রাচ্য হবে অতি ধনীদের বসবাসের সবচেয়ে প্রিয় জায়গা
বিশ্বের সবচেয়ে বেশি ধনী মানুষের বসবাস চীন ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে। মধ্যপ্রাচ্যের শহরগুলোও এখন তাদের ধরে ফেলছে। ১০ কোটি ডলার বা তার চেয়ে বেশি অর্থের মালিক এমন মানুষের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি হারে বাড়বে মধ্যপ্রাচ্যের শহর দুবাই, আবুধাবি ও রিয়াদে।
সাম্প্রতিক প্রবণতা অব্যাহত থাকলে ২০৪০ সাল নাগাদ মধ্যপ্রাচ্যের এই শহরগুলোতে ১০ কোটি ডলার বা তার চেয়ে বেশি অর্থের মালিকের (সেন্টি-মিলিয়নিয়ার) সংখ্যা বাড়বে ১৫০ শতাংশ। খবর অ্যারাবিয়ান বিজনেস।
লন্ডনভিত্তিক হেনলি অ্যান্ড পার্টনার্সের ‘সেন্টি-মিলিয়নেয়ার রিপোর্ট ২০২৪’ অনুযায়ী, এখন বিশ্বের ২৯ হাজার ৩৫০ জন মানুষের ব্যাংক হিসাবে ১০ কোটি ডলার বা তার চেয়ে বেশি বিনিয়োগযোগ্য অর্থ আছে। এই ধনীদের সংখ্যা গত এক দশকে বিশ্বব্যাপী ৫৪ শতাংশ বেড়েছে, যদিও এ ক্ষেত্রে অঞ্চলভেদে চোখে পড়ার মতো ব্যবধান আছে। যেমন যুক্তরাষ্ট্র ও চীনে সেন্টি-মিলিয়নিয়ারদের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি বেড়েছে; এমনকি ইউরোপকেও অতিক্রম করে গেছে তারা।
সবচেয়ে বেশি হারে বেড়েছে চীনে। গত ১০ বছরে সেখানে সেন্টি-মিলিয়নিয়ার বেড়েছে ১০৮ শতাংশ। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে এ সময় বেড়েছে ৮১ শতাংশ। সে তুলনায় ইউরোপে সম্পদের পুঞ্জীভবনের গতি অনেকটাই কম। গত এক দশকে সেখানে সেন্টি-মিলিয়নিয়ার বেড়েছে ২৬ শতাংশ।
ইউরোপে অতি ধনী বৃদ্ধির হার কমে যাওয়ার পেছনে যুক্তরাজ্য, জার্মানি ও ফ্রান্সের মতো প্রধান অর্থনীতিগুলোর প্রবৃদ্ধির গতি কমে যাওয়াকে দায়ী করেছেন হেনলি অ্যান্ড পার্টনার্সের প্রধান নির্বাহী জুয়ের্গ স্টেফেন। যদিও ইউরোপের কিছু দেশে সেন্টি-মিলিয়নিয়ার বৃদ্ধির হার যুক্তরাষ্ট্রের কাছাকাছি। তিনি বলেন, মোনাকো, মাল্টা, মন্টিনিগ্রো ও পোল্যান্ডের মতো ছোট ইউরোপীয় দেশে এখনো গতি আছে; এসব দেশে সেন্টি-মিলিয়নিয়ার ৭৫ শতাংশ বা তার চেয়েও বেশি বেড়েছে।
স্টেফেন বলেন, আর্থিক সমৃদ্ধির ভৌগোলিক সীমারেখা বদলে যাচ্ছে। বিষয়টি হলো, অভিজাত গোষ্ঠী যেমন আকারে বড় হচ্ছে, তেমনি তাঁদের এক দেশ থেকে আরেক দেশে যাওয়ার প্রবণতাও বাড়ছে। বৈশ্বিক অর্থনীতি, রাজনীতি ও সমাজে এর গভীর ও সুদূরপ্রসারী প্রভাব পড়তে পারে।
হেনলি অ্যান্ড পার্টনার্সের প্রতিবেদন অনুসারে, বর্তমানে সবচেয়ে বেশি সেন্টি-মিলিয়নিয়ার বসবাস করে এমন ২০ শহরের মধ্যে প্রথম তিনটি শহরই যুক্তরাষ্ট্রের। এগুলোর মধ্যে প্রথম হলো নিউইয়র্ক; ৭৪৪ জন সেন্টি মিলিয়নিয়ারের বসবাস এই শহরে। এরপর আছে বে এরিয়া (৬৭৫) ও লস অ্যাঞ্জেলস (৪৯৬)।
শীর্ষ ২০–এর বাকি শহরগুলো হলো যথাক্রমে যুক্তরাজ্যের লন্ডন (৩৭০), চীনের বেইজিং (৩৪৭), সিঙ্গাপুর (৩৩৬), চীনের সাংহাই (৩২২), হংকং (৩২০), যুক্তরাষ্ট্রের শিকাগো (২৯০), ফ্রান্সের প্যারিস (২৮৬), জাপানের টোকিও (২৬৭), যুক্তরাষ্ট্রের হিউস্টন (২৫৮), সুইজারল্যান্ডের জেনেভা (২৪৪), ভারতের মুম্বাই (২৩৬), সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাই (২১২), রাশিয়ার মস্কো (২০৭), অস্ট্রেলিয়ার সিডনি (২০৫), সুইজারল্যান্ডের জুরিখ (২০৫), কানাডার টরন্টো (১৯৫) ও দক্ষিণ কোরিয়ার সিউল (১৯৫)। এ ছাড়া আবুধাবি ও রিয়াদের সেন্টি-মিলিয়নিয়ারদের সংখ্যা যথাক্রমে ৬৮ ও ৬৭ জন।
সংবাদে বলা হয়েছে, এই ধনীদের ৬০ শতাংশেরও বেশি উদ্যোক্তা ও কোম্পানির প্রতিষ্ঠাতা। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ণ সূচকের অন্তর্ভুক্ত এই ধনীদের কোম্পানি, যেমন ফরচুন ৫০০, এসঅ্যান্ডপি ৫০০, সিএসি ৪০, এফটিএসএ ১০০ ও নিক্কেই ২২৫।
সেন্টি-মিলিয়নিয়ারদের যেসব দেশে বসবাস করছেন, তার সঙ্গে ব্যবসা ও বিনিয়োগের সম্পর্ক আছে। সে কারণেই দুবাই শহর এখন বিশ্বের ধনীদের চোখের মণিতে পরিণত হয়েছে।
এই ধারা অব্যাহত থাকবে বলেই ধারণা করছে হেনলি অ্যান্ড পার্টনার্স। ধনীরা যেখানে সহজে বিনিয়োগ ও বসবাসের সুযোগ পান, সেখানেই তাঁরা ধাবিত হন। প্রতিবেদনে দেখা যাচ্ছে, সেন্টি-মিলিয়নিয়াররা যেসব দেশে বসবাস করছেন, সেই শীর্ষ ৫০টি শহরের প্রায় দুই-তৃতীয়াংশ শহরেই বিনিয়োগের বিপরীতে অভিবাসনের সুবিধা দেওয়া হয়। অর্থাৎ বৈশ্বিক সম্পদের পুঞ্জীভবন ও স্থানান্তরের সঙ্গে দেশগুলোর কৌশলগত অবস্থান ও পরিকল্পনার যোগ আছে।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
সাইফুজ্জামানের সম্পদ বাংলাদেশকে ফিরিয়ে দিতে ব্রিটিশ এমপির চিঠি
যুক্তরাজ্যের লন্ডনে সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরীর সম্পদ জব্দ করতে দেশটির ন্যাশনাল ক্রাইম এজেন্সি কী ব্যবস্থা নিয়েছে, তা জানতে চেয়েছেন ক্ষমতাসীন লেবার পার্টির পার্লামেন্ট সদস্য ও বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ এমপি আপসানা বেগম। একইসঙ্গে অর্থপাচারের মাধ্যমে গড়া এসব সম্পদ বাংলাদেশকে অবশ্যই ফিরিয়ে দেওয়া দরকার বলে মনে করেন তিনি।
গতকাল মঙ্গলবার যুক্তরাজ্যের ন্যাশনাল ক্রাইম এজেন্সির মহাপরিচালক গ্রায়েম বিগারকে দেওয়া এক চিঠিতে এ বিষয়ে জানতে চেয়েছেন আপসানা বেগম। চিঠিতে তিনি বলেছেন, সম্ভবত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার শাসনামলে দুর্নীতি ও নানা ধরনের আর্থিক অপরাধের মাধ্যমে এসব সম্পদ অর্জিত হয়েছে।
চিঠিতে আপসানা বেগম বলেন, লন্ডনে সাইফুজ্জামান চৌধুরীর যে সম্পদ আছে, তার মালিকানা বাংলাদেশের। তিনি বিশ্বাস করেন, বাংলাদেশের মানুষ গণতন্ত্র ও নিজেদের স্বার্থ সংরক্ষণে লড়াই–সংগ্রাম করছে, তাতে সহায়তা করতে এই সম্পদ ফিরিয়ে দেওয়া উচিত। দুর্নীতির কারণে বাংলাদেশের মানুষের জীবনমানের অবনমন এবং কর্মক্ষেত্রের অধিকার ও গণতান্ত্রিক স্বাধীনতা ক্ষুণ্ন হয়েছে, এমন প্রমাণও আছে।
আপসানা বেগম আরও বলেন, সাইফুজ্জামান চৌধুরীর সম্পদ জব্দ করে ফিরিয়ে দেওয়া শুধু বাংলাদেশের মানুষের ন্যায্যতা প্রাপ্তি ও তাদের ভবিষ্যৎ অধিকার সংরক্ষণের জন্য গুরুত্বপূর্ণই নয়, বরং যুক্তরাজ্যের সুনাম ও আন্তর্জাতিক রেকর্ড অক্ষুণ্ণ রাখার জন্যও জরুরি।
চিঠিতে আরও বলা হয়েছে, যুক্তরাজ্যে ১৫ কোটি পাউন্ড মূল্যের যে ২৮০টি সম্পত্তি সাইফুজ্জামান চৌধুরীর মালিকানধীন প্রতিষ্ঠানের নামে আছে বলে ভূমি কার্যালয়ের নথি থেকে জানা গেছে, তার মধ্যে ৭৪টি সম্পদ আপসানা বেগমের নিজের আসন পপলার অ্যান্ড লাইমহাউসে অবস্থিত।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আন্তর্জাতিক
শ্রীলঙ্কার নতুন প্রধানমন্ত্রী হলেন হরিনি অমরসুরিয়া
শ্রীলঙ্কার প্রধানমন্ত্রী হিসেবে হরিনি অমরসুরিয়াকে বেছে নিয়েছেন দেশটির নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট অনুরা কুমারা দিশানায়েকে। মঙ্গলবার (২৪ সেপ্টেম্বর) হরিনি প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন।
খবরে বলা হয়, মন্ত্রিপরিষদ প্রধানের পাশপাশি বিচার, শিক্ষা, স্বাস্থ্য এবং শ্রম মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বও পেয়েছেন হরিনি অমরসুরিয়া।
প্রেসিডেন্ট দিশানায়েকের নেতৃত্বাধীন রাজনৈতিক দলের নাম জনতা ভিমুক্তি পেরেুমুনার (পিপলস লিবারেশন ফ্রন্ট-জেভিপি)। সদ্য সমাপ্ত নির্বাচনে ৪২ শতাংশের বেশি ভোট পেয়ে এবং ৩৭ জন প্রার্থীকে পরাজিত করে বিজয়ী হন তিনি।
তবে পার্লামেন্টে তার দলের অবস্থা তেমন ভালো নয়। দেশটির ২২৫ আসনের পার্লামেন্টে বর্তমানে জেভিপির আইনপ্রণেতা রয়েছেন মাত্র ৩ জন। হরিনি অমরসুরিয়া এ তিন এমপির একজন।
চুয়ান্ন বছর বয়সি হরিনি একসময় সমাজবিজ্ঞানের প্রভাষক ছিলেন। বর্তমানে তিনি লিঙ্গ সমতা এবং সংখ্যালঘু অধিকার বিষয়ক একজন কর্মী।
জেভিপির জ্যেষ্ঠ নেতা নামাল করুণারত্নে জানিয়েছেন, সংবিধান অনুযায়ী আপাতত দলের তিন জন এমপি সমস্ত মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে থাকবেন। এ অবস্থায় পার্লামেন্ট ভেঙে দেয়া হবে এবং তারপর নতুন এমপিরা শপথ নেবেন।