অর্থনীতি
বেপজায় ৩৬ মিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করবে বিদেশি কোম্পানি

বেপজা অর্থনৈতিক অঞ্চলে ৩৬ মিলিয়ন বা ৩ কোটি ৬০ লাখ মার্কিন ডলার বিনিয়োগে একটি পোশাক তৈরির কারখানা স্থাপন করবে ব্রিটেন-আয়ারল্যান্ড মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান ডেল্টাপোর্ট লিমিটেড।
রোববার (২২ সেপ্টেম্বর) ঢাকায় বেপজা কমপ্লেক্সে বাংলাদেশ রফতানি প্রক্রিয়াকরণ এলাকা কর্তৃপক্ষের (বেপজা) সঙ্গে এ বিষয়ে একটি চুক্তি স্বাক্ষর করেছে প্রতিষ্ঠানটি।
বেপজার বিনিয়োগ উন্নয়ন বিভাগের সদস্য মো. আশরাফুল কবীর ও ডেল্টাপোর্ট লিমিটেডের পক্ষে জুনাইদ ইকবাল উমেরানি নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের পক্ষে চুক্তিতে সই করেন। বেপজার নির্বাহী চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল আবুল কালাম মোহাম্মদ জিয়াউর রহমান চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে জানানো হয়, বিদেশি মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানটি বার্ষিক ২ কোটি পিস প্রটেক্টিভ ক্লথস, ওয়ার্ক-ওয়্যার, বিভিন্ন ধরনের গার্মেন্টস পণ্য, পিপিই, হাসপাতাল গাউন, মাস্ক, বেড শিট, পর্দা তৈরি করবে। কারখানায় ৫ হাজার ৯৮০ জন বাংলাদেশি নাগরিকের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে।
বাংলাদেশে বেপজা অর্থনৈতিক অঞ্চলে বিনিয়োগের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করায় ডেল্টাপোর্ট লিমিটেডকে ধন্যবাদ জানান বেপজার নির্বাহী চেয়ারম্যান। তিনি বলেন, দ্রুত কারখানার নির্মাণ কাজ শুরু করতে পারে প্রতিষ্ঠানটি।
এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন বেপজার প্রকৌশল বিভাগের সদস্য মোহাম্মদ ফারুক আলম ও অর্থ বিভাগের সদস্য আ ন ম ফয়জুল হক প্রমুখ।
উল্লেখ্য, ডেল্টাপোর্ট লিমিটেড পোশাক প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান ইস্টপোর্ট লিমিটেডের একটি সহযোগী প্রতিষ্ঠান। ২০১৩ সাল থেকে প্রতিষ্ঠানটি কুমিল্লা ইপিজেডে তাদের ব্যবসা পরিচালনা করে আসছে।
এমআই

অর্থনীতি
দেশের ৫৩টি বাজেট যেমন ছিলো

আগামী ২০২৫-২৬ অর্থবছরের জন্য ৭ লাখ ৯০ হাজার কোটি টাকার বাজেট দিতে যাচ্ছেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ। তিনি দেশের ১৪তম ব্যক্তি হিসেবে জাতীয় বাজেট দিচ্ছেন আজ। এর আগে আরও ১৩ জন জাতির সামনে বাজেট উপস্থান করেছেন। সালেহউদ্দিন আহমেদ এবারই প্রথম বাজেট পেশ করবেন। এটি দেশের ৫৪তম বাজেট।
সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে প্রতিবছরই বাজেটের আকার বাড়লেও এবার প্রথা ভেঙে বাজেটের আকার কমেছে। চলতি অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটের তুলনায় নতুন আগামী অর্থবছরের জন্য ৭ হাজার কোটি টাকা কমের বাজেটে দেওয়া হয়েছে। এটি দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম বাজেট।
এর আগের ২০২৪-২৫ অর্থবছরের জন্য অর্থমন্ত্রী হিসেবে আবুল হাসান মাহমুদ আলী জাতির সামনে ৭ লাখ ৯৭ হাজার কোটি টাকার বাজেট দিয়েছিলেন। এখন পর্যন্ত এটিই বাংলাদেশের ইতিহাসে সব থেকে বড় বাজেট। অবশ্য দেশের জন্য সব থেকে বড় বাজেট দেওয়ার কিছুদিন পরেই ছাত্র-জনতার প্রবল আন্দোলনের মুখে আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হয়।
প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করে শেখ হাসিনা দেশ ছেড়ে পালিয়ে গিয়ে ভারতে আশ্রয় নেন। বর্তমানে তিনি ভারতের অবস্থান করছেন। আর সরকার পতনের আগেই দেশ ছেড়ে পালিয়ে যান দেশের জন্য সব থেকে বড় বাজেট উপস্থান করা আবুল হাসান মাহমুদ আলী। বর্তমানে তিনি পলাতকই রয়েছেন।
এদিকে, জাতির সামনে সব থেকে বেশিবার জাতীয় বাজেট তুলে ধরেছেন আবুল মাল আবদুল মুহিত এবং এম সাইফুর রহমান। এই দুজনই ১২ বার করে জাতির সামনে বাজেট পেশ করেছেন।
প্রায়ত অর্থমন্ত্রী মুহিত প্রথম ১৯৮২-৮৩ অর্থবছরে ৪ হাজার ৮৫৪ কোটি টাকার বাজেট দেন। এরপর ১৯৮৩-৮৪ অর্থবছরে ৬ হাজার ৫৬ কোটি টাকা, ২০০৯-১০ অর্থবছরে ১ লাখ ১৩ হাজার ৮১৯ কোটি টাকা, ২০২১০-১১ অর্থবছরে ১ লাখ ৩২ হাজার ১৭০ কোটি টাকা, ২০১১-১২ অর্থবছরে ১ লাখ ৬৩ হাজার ৫৮৯ কোটি টাকা, ২০১২-১৩ অর্থবছরে ১ লাখ ৯১ হাজার ৭৩৮ কোটি টাকা, ২০১৩-১৪ অর্থবছরে ২ লাখ ২২ হাজার ৪৯১ কোটি টাকা, ২০১৪-১৫ অর্থবছরে ২ লাখ ৫০ হাজার ৫০৬ কোটি টাকা, ২০১৫-১৬ অর্থবছরে ২ লাখ ৯৫ হাজার ১০০ কোটি টাকা, ২০১৬-১৭ অর্থবছরে ৩ লাখ ৪০ হাজার ৬০৫ কোটি টাকা, ২০১৭-১৮ অর্থবছরে ৪ লাখ ২৬৬ কোটি টাকা এবং ২০১৮-১৯ অর্থবছরে ৪ লাখ ৬৪ হাজার কোটি টাকার বাজেট দেন মুহিত।
অপরদিকে এম সাইফুর রহমান প্রথম বাজেট দেন ১৯৮০-৮১ অর্থবছরে। ওই অর্থবছরে তিনি ৪ হাজার ২২৭ কোটি টাকার বাজেট দেন। এরপর ১৯৮১-৮২ অর্থবছরে ৪ হাজার ৭৮৮ কোটি টাকা, ১৯৯১-৯২ অর্থবছরে ১৬ হাজার ৩৭৩ কোটি টাকা, ১৯৯২-৯৩ ১৮ হাজার ২৮৬ কোটি টাকা, ১৯৯৩-৯৪ অর্থবছরে ১৯ হাজার ৯৫২ কোটি টাকা, ১৯৯৪-৯৫ অর্থবছরে ২১ হাজার ৭৩৩ কোটি টাকা, ১৯৯৫-৯৬ ২৪ হাজার ৭০৭ কোটি টাকা, ২০০২-০৩ অর্থবছরে ৪৪ হাজার ৮৫৪ কোটি টাকা, ২০০৩-০৪ অর্থবছরে ৫১ হাজার ৯৮০ কোটি টাকা, ২০০৪-০৫ অর্থবছরে ৫৭ হাজার ২৪৮ কোটি টাকা, ২০০৫-০৬ অর্থবছরে ৬৪ হাজার ৩৮৩ কোটি টাকা এবং ২০০৬-০৭ অর্থবছরে ৬৯ হাজার ৭৪০ কোটি টাকার বাজেট দেন এম সাইফুর রহমান।
বাংলাদেশের প্রথম বাজেট দেন তাজউদ্দীন আহমেদ। তিনি ১৯৭২-৭৩ অর্থবছরের জন্য ৭১৯ কোটি টাকার বাজেট দেন। এরপর ১৯৭৩-৭৪ অর্থবছরে ৮২০ কোটি টাকা ও ১৯৭৪-৭৫ অর্থবছরে ৯৯৫ কোটি টাকার বাজেট দেন তাজউদ্দীন আহমেদ।
এরপর ড. আজিজুর রহমান ১৯৭৫-৭৬ অর্থবছরের জন্য ১ হাজার ৫৪৯ কোটি টাকার বাজেট দেন। মেজর জেনারেল জিয়াউর রহমান ১৯৭৬-১৯৭৭ অর্থবছরে ১ হাজার ৯০৮ কোটি টাকা, ১৯৭৭-৭৮ অর্থবছরে ২ হাজার ৯৭ কোটি টাকা এবং ১৯৭৮-৭৯ অর্থবছরে ২ হাজার ৪৯৮ কোটি টাকার বাজেট দেন। ড. এম এন হুদা ১৯৭৯-৮০ অর্থবছরে ৩ হাজার ৩১৭ কোটি টাকার বাজেট দেন।
এম সায়েদুজ্জামান ১৯৮৪-৮৫ অর্থবছরে ৬ হাজার ৯৩৩ কোটি টাকা, ১৯৮৫-৮৬ অর্থবছরে ৭ হাজার ২৬৮ কোটি টাকা, ১৯৮৬-৮৭ অর্থবছরে ৯ হাজার ১১২ কোটি টাকা ও ১৯৮৭-৮৮ অর্থবছরে ১০ হাজার ৩০০ কোটি টাকার বাজেট দেন।
মেজর জেনারেল এম এ মুনিম ১৯৮৮-৮৯ অর্থবছরে ১১ হাজার ৬০ কোটি টাকা ও ১৯৯০-৯১ অর্থবছরে ১৩ হাজার ৯৮৯ কোটি টাকার বাজেট দেন। ড. ওয়াহিদুল হক ১৯৮৯-৯০ অর্থবছরে ১৩ হাজার ৪৬২ কোটি টাকার বাজেট দেন।
শাহ্ এএমএস কিবরিয়া ১৯৯৬-৯৭ অর্থবছরে ২৫ হাজার ২৫৮ কোটি টাকা, ১৯৯৭-৯৮ অর্থবছরে ২৭ হাজার ৭৮৬ কোটি টাকা, ১৯৯৮-৯৯ অর্থবছরে ৩০ হাজার ৯৬ কোটি টাকা, ১৯৯৯-২০০০ অর্থবছরে ৩৬ হাজার ১৭৮ কোটি টাকা, ২০০০-০১ অর্থবছরে ৪২ হাজার ৮৫৯ কোটি টাকা ও ২০০১-০২ অর্থবছরে ৪৪ হাজার ৭৬৫ কোটি টাকার বাজেট দেন। ড. এ বি মির্জ্জা আজিজুল ইসলাম ২০০৭-০৮ অর্থবছরে ৮৭ হাজার ১৩৭ কোটি টাকা ও ২০০৮-০৯ অর্থবছরে ৯৯ হাজার ৯৬২ কোটি টাকার বাজেট দেন।
আ হ ম মুস্তফা কামাল ২০১৯-২০ অর্থবছরে ৫ লাখ ২৩ হাজার ১৯০ কোটি টাকা, ২০২০-২১ অর্থবছরে ৫ লাখ ৬৮ হাজার কোটি টাকা, ২০২১-২২ অর্থবছরে ৬ লাখ ৩ হাজার ৬৮১ কোটি টাকা, ২০২২-২৩ অর্থবছরে ৬ লাখ ৭৮ হাজার ৬৪ কোটি টাকা এবং ২০২৩-২৪ অর্থবছরে ৭ লাখ ৬১ হাজার ৭৮৫ কোটি টাকার বাজেট দেন।
অর্থনীতি
আজ থেকে ১১ ব্যাংকে পাওয়া যাবে নতুন টাকা

বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুরের স্বাক্ষরযুক্ত নতুন সিরিজের ১ হাজার, ৫০ ও ২০ টাকার ব্যাংক নোট আজ থেকে বাজারে আসছে। বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রে জানা গেছে, মোট ১১টি ব্যাংকের মাধ্যমে এই নতুন টাকা বিতরণ করা হবে। এসব ব্যাংকের নির্দিষ্ট শাখা থেকে গ্রাহকরা নতুন নোট সংগ্রহ করতে পারবেন।
যেসব ব্যাংকে নতুন টাকা বিনিময় করা যাবে সেগুলো হলো— সোনালী ব্যাংক, জনতা ব্যাংক, অগ্রণী ব্যাংক, পূবালী ব্যাংক, উত্তরা ব্যাংক, রূপালী ব্যাংক, ডাচ-বাংলা ব্যাংক, ইসলামী ব্যাংক, আল-আরাফাহ ইসলামী ব্যাংক, ব্র্যাক ব্যাংক এবং ইস্টার্ন ব্যাংক।
নিয়ম অনুযায়ী, বাংলাদেশ ব্যাংক প্রতিটি ঈদ উৎসবের আগে বাজারে নতুন নোট ছাড়ে, যাতে মানুষ স্বচ্ছ, আকর্ষণীয় ও ঝকঝকে টাকা দিয়ে উপহার লেনদেন করতে পারে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র আরিফ হোসেন গতকাল বলেন, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সরাসরি গ্রাহক হচ্ছে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো। তাই কয়েকটি ব্যাংকে সীমিত পরিমাণে নতুন নোট সরবরাহ করা হয়েছে। এসব নোট সোমবার বা তার পরদিন থেকেই গ্রাহকদের কাছে পৌঁছাতে শুরু করবে।
প্রথম ধাপে ২০, ৫০ এবং ১০০০ টাকার নতুন নোট ছাড়া হচ্ছে। ধাপে ধাপে আরও নতুন নোট ছাপানো হবে এবং সরবরাহের পরিমাণ বাড়ানো হবে বলে জানান বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তারা।
অর্থনীতি
৭ লাখ ৯০ হাজার কোটি টাকার বাজেট পেশ আজ

আজ সোমবার (২ জুন) জাতির সামনে ২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেট উপস্থাপন করবেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ। বিকেল ৩টায় বাংলাদেশ টেলিভিশনে অর্থ উপদেষ্টার বাজেট বক্তব্য সম্প্রচার করা হবে।
রবিবার (১ জুন) সরকারি এক তথ্য বিবরণীতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। বাজেট বক্তব্য বাংলাদেশ টেলিভিশন থেকে ফিড নিয়ে অন্য সব বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল ও বেতারে একই সময়ে প্রচারের অনুরোধ জানানো হয়েছে সরকারি তথ্য বিবরণীতে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ২০২৫-২৬ অর্থবছরের জন্য অর্থ উপদেষ্টা ৭ লাখ ৯০ হাজার কোটি টাকার বাজেট দিতে পারেন। এই বাজেটে রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হতে পারে ৫ লাখ ৬৪ হাজার কোটি টাকা। এর মধ্যে এনবিআরের মাধ্যমে ৪ লাখ ৯৯ হাজার কোটি টাকা সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হতে পারে। এনবিআরবহির্ভূত রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হতে পারে ১৯ হাজার কোটি টাকা। এছাড়া করবহির্ভূত রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হতে পারে ৪৬ হাজার কোটি টাকা।
নতুন অর্থবছরের বাজেটে অনুন্নয়ন ব্যয় ধরা হতে পারে ৪ লাখ ৮৬ হাজার ৯০০ কোটি টাকা। এডিপির আকার ধরা হতে পারে ২ লাখ ৩০ হাজার কোটি টাকা। এছাড়া বাজেটের ঘাটতি ধরা হতে পারে ২ লাখ ২৬ হাজার কোটি টাকা। এই ঘাটতি পূরণে এক লাখ ২১ হাজার কোটি টাকা অভ্যন্তরীণ ঋণ নেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা ধরা হতে পারে। পাশাপাশি বৈদেশিক ঋণের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হতে পারে এক লাখ ৫ হাজার কোটি টাকা।
আগামী অর্থবছরের বাজেটে মোট দেশজ উৎপাদনের প্রবৃদ্ধি (জিডিপি) ধরা হতে পারে ৫ দশমিক ৫ শতাংশ। একই সঙ্গে মূল্যস্ফীতি ৬ দশমিক ৫ শতাংশে নামিয়ে আনার আশার কথা বলতে পারেন অর্থ উপদেষ্টা।
অর্থনীতি
বাজেটে দাম বাড়তে পারে যেসব পণ্যের

বাংলাদেশকে স্বল্পোন্নত দেশের (এলডিসি) তালিকা থেকে উন্নয়নশীল দেশের তালিকায় যেতে হলে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি বাড়ানো প্রয়োজন। এই লক্ষ্যে আগামী বাজেটে সরকার বেশকিছু কর ও শুল্ক ব্যবস্থা চালু করতে যাচ্ছে। যার প্রভাবে বাজারে কিছু পণ্যের দাম বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে।
সোমবার (২ জুন) আগামী ২০২৫-২৬ অর্থবছরের জন্য বাজেট ঘোষণা করতে যাচ্ছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ। ৭ লাখ ৯০ হাজার কোটি টাকার প্রস্তাবিত বাজেটে রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে চার লাখ ৯৯ হাজার কোটি টাকা। বাংলাদেশ বেতার ও টেলিভিশনে বিকেল ৩টায় এ বাজেট বক্তব্য সম্প্রচার করা হবে।
দাম বাড়তে পারে যেসব পণ্যের-
রড ও স্টিলে ভ্যাট বৃদ্ধি
নির্মাণ শিল্পের অন্যতম উপাদান হলো রড। রাজস্ব আদায়ে প্রস্তাবিত বাজেটে অগ্রিম আয়কর (এআইটি) ও মূল্য সংযোজন কর (ভ্যাট) বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত নিতে যাচ্ছে সরকার। বর্তমানে আমদানি ও উৎপাদন পর্যায়ে শুল্ক-ভ্যাট ৪০ শতাংশের বেশি। প্রস্তাবিত বাজেটে আমদানিতে ভ্যাট ২০-২৩ শতাংশ ও উৎপাদনে ভ্যাট ২০ শতাংশ—বাড়ানোর পরিকল্পনা রয়েছে। তবে বাতিল হতে পারে বিদ্যমান ফিক্সড আমদানি শুল্ক। শুল্ককর বাড়ানো হলে ভোক্তা পর্যায়ে প্রতি টনে রডের দাম বাড়তে পারে প্রায় ১ হাজার ৪০০ টাকা।
প্রসঙ্গত, বর্তমানে স্টিলের মূল কাঁচামাল স্ক্র্যাপ আমদানিতে প্রতি টনে ফিক্সড শুল্ক আদায় করা হয় ১ হাজার ৫০০ টাকা। অন্যদিকে স্টিল থেকে বিলেট ও রড উৎপাদনে প্রতি টনে ফিক্সড ভ্যাট ২ হাজার ২০০ টাকা। সবমিলিয়ে আমদানি শুল্ক ও ভ্যাট মিলিয়ে সরকার প্রতি টনে পাচ্ছে ৩ হাজার ৭০০ টাকা।
এসি-ফ্রিজে ভ্যাট বাড়ছে
মাত্র ছয় মাস আগে ফ্রিজ ও এয়ার কন্ডিশনার প্রস্তুতকারকদের ওপর কর্পোরেট কর দ্বিগুণ করার পর। এবার তাদের পণ্যে মূল্য সংযোজন কর (ভ্যাট) বাড়ানোর পরিকল্পনা করেছে সরকার। ফলে দেশীয় উৎপাদনকারীদের কপালে চিন্তার ভাঁজ দেখা দিতে পারে। বর্তমানে ফ্রিজ ও এয়ার কন্ডিশনারের উৎপাদন পর্যায়ে সাড়ে ৭ শতাংশ হারে ভ্যাট আরোপিত রয়েছে। তবে এনবিআর আগামী ২০২৫-২৬ অর্থবছরে তা ১৫ শতাংশ করার পরিকল্পনা করছে।
মোটরসাইকেল ও সাইকেলের যন্ত্রাংশ
বিগত ২০২৪-২০২৫ অর্থবছরের বাজেটে মোটরসাইকেলের ইঞ্জিনের যন্ত্রাংশ আমদানিতে ৩ শতাংশের অতিরিক্ত সব আমদানি, নিয়ন্ত্রণমূলক ও সম্পূরক শুল্ক প্রত্যাহার করা হয়েছিল। কিন্তু এতে মোটরসাইকেলের দাম সেই অর্থে কমতে দেখা যায়নি। আগামী অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে শুল্ক-ভ্যাট কিছুটা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত আসতে পারে। ২০১৮ সালের পর দেশে মোটরসাইকেল উৎপাদনে ১০টির বেশি কারখানা স্থাপিত হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে জাপানের হোন্ডা, ইয়ামাহা ও সুজুকি এবং ভারতের উত্তরা মোটরস, টিভিএস অটো ও হিরোর মতো প্রতিষ্ঠান। দেশীয় ব্র্যান্ড হিসেবে রয়েছে রানার অটোমোবাইলস।
দেশীয় মোবাইল ফোন
মোবাইল ফোন উৎপাদন ও সংযোজনে হ্রাসকৃত ভ্যাটহার বাড়ানো হচ্ছে। উৎপাদনের ক্যাটাগরিভেদে ২ থেকে আড়াই শতাংশ ভ্যাট বাড়ানোর প্রস্তাব রাখা হচ্ছে প্রস্তাবিত বাজেটে। এর ফলে দেশে তৈরি মোবাইল ফোনের দাম বাড়তে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
ব্যাটারিচালিত রিকশার ব্যাটারিতে বাড়তি শুল্ক
ঢাকাসহ সারা দেশে বিপদজ্জনক বাহনের নাম ব্যাটারিচালিত রিকশা। অনিয়ন্ত্রিত পরিবহন ব্যাটারিচালিত রিকশার দাম বাড়ানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এই রিকশার ১২০০ ওয়াটের ডিসি মোটরের কাস্টমস শুল্ক ১ শতাংশ থেকে ১৫ শতাংশ করা হচ্ছে।
কসমেটিক্স পণ্যে বাড়তি খরচ
নারীদের সৌন্দর্যবর্ধনে ব্যবহৃত লিপস্টিক, লিপলাইনার, আইলাইনার, ফেসওয়াশ, মেকআপের সরঞ্জাম আমদানির ন্যূনতম মূল্য বিভিন্ন হারে বাড়ানো হচ্ছে। বর্তমানে প্রতি কেজি লিপস্টিক আমদানির ক্ষেত্রে শুল্কায়নের ন্যূনতম মূল্য ২০ ডলার আছে। সেটি বাড়িয়ে ৪০ ডলার করা হতে পারে। একইভাবে অন্য সব কসমেটিক্সের ন্যূনতম মূল্য বাড়ানো হচ্ছে বলে জানা গেছে।
ওয়ান টাইম প্লাস্টিক পণ্যে ভ্যাট দ্বিগুণ
একবার ব্যবহারযোগ্য (ওয়ান টাইম) প্লাস্টিক পণ্যের ওপর ভ্যাট দ্বিগুণ করার উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। এর মাধ্যমে চা-কফি কাপ, প্লাস্টিক প্লেট ও বাটির মতো পণ্যের ওপর ভ্যাট বেড়ে ১৫ শতাংশে পৌঁছাবে। এর ফলে এসব পণ্যের দাম বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে। তবে এসব পণ্যের বিকল্প হিসেবে ব্যবহৃত পরিবেশবান্ধব এবং প্রাকৃতিক উপকরণ দিয়ে তৈরি পণ্যের ওপর কোনো ভ্যাট আরোপ করা হবে না। পরিবেশ সুরক্ষায় এমন প্রস্তাব করা হচ্ছে বলে জানা গেছে।
ব্লেড
সেলুনে শেভিং কাজে ব্যবহৃত ব্লেডের দাম বাড়তে পারে। কারণ স্টেইনলেস স্টিলের স্ট্রিপ থেকে প্রস্তুত ব্লেড এবং কার্বন স্টিলের স্ট্রিপ থেকে প্রস্তুত ব্লেডের উৎপাদন পর্যায়ে ভ্যাট ৫ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৭ শতাংশ করা হচ্ছে।
টেবিলওয়্যার
বাসা-বাড়িতে ব্যবহৃত প্লাস্টিকের তৈরি টেবিলওয়্যার, কিচেনওয়্যার, গৃহস্থালি সামগ্রী, হাইজেনিক ও টয়লেটসামগ্রী উৎপাদনে ভ্যাট সাড়ে ৭ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ১৫ শতাংশ করা হচ্ছে। এতে এসব পণ্যের দাম বাড়বে।
হেলিকপ্টার
নতুন অর্থবছরে হেলিকপ্টার আমদানিতে ১০ শতাংশ আমদানি শুল্ক বসানো হতে পারে। তাতে হেলিকপ্টার আমদানির খরচ বাড়বে। এর আগে হেলিকপ্টার আমদানিতে শুল্ক ছিল না।
বিদেশি চকলেট
চকলেট আমদানির ক্ষেত্রে শুল্কায়নের ন্যূনতম মূল্য বাড়ানোর প্রস্তাব থাকছে বাজেটে। বর্তমানে বিভিন্ন ধরনের চকলেটের শুল্কায়নের ন্যূনতম মূল্য চার ডলার। এটি বাড়িয়ে ১০ ডলার করা হচ্ছে। এতে আমদানি করা সব ধরনের চকলেটের দাম বাড়তে পারে।
বিদেশি খেলনা
স্থানীয় শিল্প সুরক্ষায় প্রস্তাবিত বাজেটে বিদেশি খেলনার ট্যারিফ মূল্য বাড়ানো হচ্ছে। এতে বিদেশি খেলনার দাম বাড়তে পারে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
সিগারেট
গত জানুয়ারিতে সিগারেটের চারটি স্তরে দাম ও শুল্ক দুটোই বাড়ানো হয়েছিল। আদেশে নিম্ন, মধ্যম ও উচ্চ স্তরে ১০ শলাকা প্রতি সিগারেটে সম্পূরক শুল্ক ৫ থেকে ৭ শতাংশ বৃদ্ধি করা হয়েছিল। ফলে প্রস্তাবিত বাজেটে এ বিষয়ে নতুন সিদ্ধান্ত নেওয়া হচ্ছে না। তবে তামাক শিল্পে ব্যবহৃত সিগারেট পেপারের ওপর সম্পূরক শুল্ক ৬০ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ১০০ শতাংশ করার প্রস্তাব আসছে বাজেটে। সেক্ষেত্রে আরেক দফায় দামে প্রভাব পড়তে পারে।
মার্বেল-গ্রানাইট
বাসা-বাড়ির মেঝেতে ব্যবহৃত মার্বেল-গ্রানাইট পাথর আমদানির সম্পূরক শুল্ক ২০ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৪৫ শতাংশ করা হচ্ছে। এতে মার্বেল-গ্রানাইটের দাম বাড়তে পারে।
দেশে তৈরি সুতা
দেশীয় টেক্সটাইল মিলে উৎপাদিত সুতার ভ্যাট বাড়ানো হচ্ছে। প্রতি কেজি কটন সুতা ও মেন মেইড ফাইবারে তৈরি সুতার সুনির্দিষ্ট কর তিন টাকা থেকে বাড়িয়ে পাঁচ টাকা করা হচ্ছে। এতে দেশীয় সুতায় তৈরি গামছা, লুঙ্গিসহ পোশাকের দাম বাড়তে পারে।
এ ছাড়া শুল্ক-কর বৃদ্ধিতে দাম বাড়ার আশঙ্কা আছে- তারকাঁটা, সব ধরনের স্ক্রু, নাট-বোল্ট, ইলেকট্রিক লাইন হার্ডওয়্যার, পোল ফিটিংস, তামাক বীজ ও দরজার তালা ইত্যাদি।
অর্থনীতি
বাজারে আসছে নতুন ডিজাইনের আরও ৬ নোট

নতুন ডিজাইনের ৫০০, ২০০, ১০০ ও ১০ টাকা মূল্যমান ব্যাংক নোট এবং ৫ ও ২ টাকা মূল্যমান কারেন্সি নোট পর্যায়ক্রমে বাজারে আসছে। প্রথম দফায় ১০০০ টাকা, ৫০ টাকা ও ২০ টাকা মূল্যমানের ব্যাংক নোট বাজারে আসার পর নতুন এই ছয়টি নোট বাজারে আসছে। নতুন এই ছয় নোটেও থাকছে না শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতি।
রোববার (১ জুন) এ তথ্য জানিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
এসব নোট ইস্যুর তারিখ এবং মুদ্রিত নোটের নিরাপত্তা বৈশিষ্ট্য পরবর্তীতে সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জনসাধারণকে অবহিত করা হবে। উল্লিখিত মূল্যমানের নতুন নোটের পাশাপাশি বর্তমানে প্রচলিত সব কাগুজে নোট এবং ধাতব মুদ্রাও যথারীতি চালু থাকবে।
বাজারে আসার অপেক্ষায় ‘বাংলাদেশের ঐতিহাসিক এবং প্রত্নতাত্তিক স্থাপত্য’ শীর্ষক নতুন ডিজাইনের নোটগুলো হলো:
বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর স্বাক্ষরিত ৫০০ টাকা মূল্যমান ব্যাংক নোটটির আকার নির্ধারণ করা হয়েছে ১৫২ মি.মি. × ৬৫ মি.মি.। নোটের সম্মুখভাগে বামপাশে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার এবং মাঝখানের ব্যাকগ্রাউন্ডে পাতা ও কলিসহ প্রস্ফুটিত জাতীয় ফুল শাপলার ছবি মুদ্রিত থাকবে। নোটের পেছনভাগে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের ছবি থাকবে। নোটটিতে সবুজ রঙের আধিক্য থাকবে। জলছাপ হিসেবে নোটে ‘রয়েল বেঙ্গল টাইগারের মুখ’, মূল্যমান ‘৫০০’ এবং ‘বাংলাদেশ ব্যাংকের মনোগ্রাম’ থাকবে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর স্বাক্ষরিত ২০০ টাকা মূল্যমান ব্যাংক নোটটির আকার নির্ধারণ করা হয়েছে ১৪৬ মি.মি. × ৬৩ মি.মি.। নোটের সম্মুখভাগে বামপাশে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অপরাজেয় বাংলার ছবি এবং মাঝখানে ব্যাকগ্রাউন্ডে পাতা ও কলিসহ প্রস্ফুটিত জাতীয় ফুল শাপলার ছবি মুদ্রিত থাকবে। নোটের পেছনভাগে জুলাই-২০২৪ গণঅভ্যুত্থানের সময় ছাত্রদের আঁকা একটি গ্রাফিতি ‘গ্রাফিতি-২০২৪’ মুদ্রিত থাকবে। নোটটিতে হলুদ রঙের আধিক্য থাকবে। জলছাপ হিসেবে নোটে ‘রয়েল বেঙ্গল টাইগারের মুখ’, মূল্যমান ‘২০০’ এবং ‘বাংলাদেশ ব্যাংকের মনোগ্রাম’ থাকবে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর স্বাক্ষরিত ১০০ টাকা মূল্যমান ব্যাংক নোটটির আকার নির্ধারণ করা হয়েছে ১৪০ মি.মি. × ৬২ মি.মি.। নোটের সম্মুখভাগে বামপাশে ষাট গম্বুজ মসজিদ, বাগেরহাটের ছবি এবং মাঝখানে ব্যাকগ্রাউন্ডে পাতা ও কলিসহ প্রস্ফুটিত জাতীয় ফুল শাপলার ছবি মুদ্রিত থাকবে। নোটের পেছনভাগে বাংলাদেশের সুন্দরবনের ছবি মুদ্রিত থাকবে। নোটটিতে নীল রঙের আধিক্য থাকবে। জলছাপ হিসেবে নোটে ‘রয়েল বেঙ্গল টাইগারের মুখ’, মূল্যমান ‘১০০’ এবং ‘বাংলাদেশ ব্যাংকের মনোগ্রাম’ থাকবে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর স্বাক্ষরিত ১০ টাকা মূল্যমান ব্যাংক নোটটির আকার নির্ধারণ করা হয়েছে ১২৩ মি.মি. × ৬০ মি.মি.। নোটের সম্মুখভাগে বামপাশে বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের ছবি এবং মাঝখানে ব্যাকগ্রাউন্ডে পাতা ও কলিসহ প্রস্ফুটিত জাতীয় ফুল শাপলার ছবি মুদ্রিত থাকবে। নোটের পেছনভাগে জুলাই-২০২৪ গণঅভ্যুত্থানের সময় ছাত্রদের আঁকা একটি গ্রাফিতি ‘গ্রাফিতি ২০২৪’ মুদ্রিত থাকবে। নোটটিতে গোলাপি রঙের আধিক্য থাকবে। জলছাপ হিসেবে নোটে ‘রয়েল বেঙ্গল টাইগারের মুখ’, ‘মূল্যমান ১০’ এবং ‘বাংলাদেশ ব্যাংকের মনোগ্রাম’ থাকবে।
অর্থসচিব স্বাক্ষরিত ৫ টাকা মূল্যমান কারেন্সি নোটটির আকার নির্ধারণ করা হয়েছে ১১৭ মি.মি. × ৬০ মি.মি.। নোটটির সম্মুখভাগে বামপাশে তারা মসজিদ, ঢাকা এর ছবি এবং মাঝখানে ব্যাকগ্রাউন্ডে পাতা ও কলিসহ প্রস্ফুটিত জাতীয় ফুল শাপলার ছবি মুদ্রিত থাকবে। নোটের পেছনভাগে জুলাই-২০২৪ গণঅভ্যুত্থান এর সময় ছাত্রদের আঁকা একটি গ্রাফিতি ‘গ্রাফিতি-২০২৪’ মুদ্রিত থাকবে। নোটটিতে গোলাপি রঙের আধিক্য থাকবে। জলছাপ হিসেবে নোটে ‘রয়েল বেঙ্গল টাইগারের মুখ’, মূল্যমান ‘৫’ এবং ‘গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মনোগ্রাম’ থাকবে।
অর্থসচিব স্বাক্ষরিত ২ টাকা মূল্যমান কারেন্সি নোটটির আকার নির্ধারণ করা হয়েছে ১০০ মি.মি. × ৬০ মি.মি.। নোটটির সম্মুখভাগে বামপাশে শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধ, মিরপুর, ঢাকা-এর ছবি এবং ব্যাকগ্রাউন্ডে পাতা ও কলিসহ প্রস্ফুটিত জাতীয় ফুল শাপলার ছবি মুদ্রিত রয়েছে। নোটের পেছনভাগের ডিজাইন হিসেবে রায়ের বাজার বধ্যভূমি স্মৃতিসৌধ ছবি থাকবে। নোটটিতে হালকা সবুজ রঙের আধিক্য থাকবে। জলছাপ হিসেবে নোটে ‘রয়েল বেঙ্গল টাইগার এর মুখ’, মূল্যমান ‘২’ এবং ‘গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মনোগ্রাম’ থাকবে।
কাফি