অর্থনীতি
সাবেক মন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের ব্যাংক হিসাব তলব

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সাবেক সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের ব্যাংক হিসাবের বিস্তারিত তথ্য চেয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের আর্থিক গোয়েন্দা সংস্থা বাংলাদেশ ফিন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ)।
আজ রোববার ব্যাংক হিসাবের তথ্য চেয়ে দেশের বিভিন্ন ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের কাছে নির্দেশনা পাঠিয়েছে।
ওবায়দুল কাদেরের নামে থাকা ব্যাংক হিসাবে কত টাকা জমা হয়েছে, কবে জমা হয়েছে, কে জমা করেছে—এ ধরনের বিস্তারিত তথ্য জানতে চেয়েছে বিএফআইইউ। এর আগে গত ২৭ আগস্ট ওবায়দুল কাদেরের ব্যাংক হিসাব স্থগিত করে সংস্থাটি।
বিএফআইইউর নির্দেশনায় ওবায়দুল কাদেরের পিতা-মাতার নাম, স্ত্রীর নাম, জন্মতারিখ, জাতীয় পরিচয়পত্র ও স্মার্টকার্ডের তথ্য উল্লেখ করা হয়েছে।
২০১৬ সালের অক্টোবর থেকে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্বে রয়েছেন ওবায়দুল কাদের। ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের আগপর্যন্ত তিনি সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ছিলেন। বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সাবেক এই সভাপতি নোয়াখালী-৫ আসনের সংসদ সদস্য ছিলেন।
এমআই

অর্থনীতি
জুয়েলারি প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার কর্মসূচি স্থগিত

বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বাজুস) সহ-সভাপতি মো. রিপনুল হাসানকে গ্রেফতারের প্রতিবাদে ঢাকাসহ সারাদেশে জুয়েলারি প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার যে কর্মসূচি দিয়েছিল বাজুস তা স্থগিত করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৯ মে) বাজুস থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ভুয়া ও বানোয়াট রাজনৈতিক পদ দেখিয়ে মিথ্যা ও হয়রানিমূলক মামলায় গতকাল ২৮ মে, সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায়, রাজধানীর তাঁতীবাজারে নিজ ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান থেকে ডিবি পুলিশের সদস্যরা রিপনুল হাসানকে গ্রেফতার করেন।
পুলিশ ওই মামলায় যে রাজনৈতিক পরিচয় উল্লেখ করেছেন, রিপনুল হাসান কখনোই সেই পদে ছিলেন না। এমনকি কোনো রাজনৈতিক সংগঠনের সঙ্গে তিনি জড়িত নয় এবং কোনো রাজনৈতিক দলের সদস্যপদ কোনোদিনও রিপনুল হাসান গ্রহণ করেননি।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, বাজুসের সহ-সভাপতি মো. রিপনুল হাসানকে মিথ্যা ও হয়রানিমূলক মামলায় গ্রেফতারের কারণে সারাদেশের জুয়েলারি প্রতিষ্ঠানসমূহের মালিকরা ক্ষুব্ধ ও মর্মাহত। এই নিরপরাধ ব্যবসায়ীকে গ্রেফতারের ঘটনায় গভীর উদ্বেগ ও উৎকণ্ঠা প্রকাশ করেছেন সারাদেশের জুয়েলারি ব্যবসায়ীরা।
বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে, ন্যায়বিচার ও নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে আজ সারাদেশের সকল জুয়েলারি প্রতিষ্ঠান বন্ধ রেখে দিনভর প্রতিবাদ সমাবেশ, মিছিল ও মানববন্ধন কর্মসূচি পালনের মাধ্যমে প্রতিবাদ জানিয়েছে। সারাদেশের ব্যবসায়ীদের এই ঐক্যবদ্ধ প্রতিবাদ কর্মসূচি এক অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। সেজন্য বাজুস কেন্দ্রীয় কমিটির পক্ষ থেকে সব জুয়েলারি মালিকদের ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছে।
এমন পরিস্থিতিতে বাজুসের সহ-সভাপতি মো. রিপনুল হাসানকে মিথ্যা ও হয়রানিমূলক মামলা থেকে অব্যাহতি ও ন্যায় বিচারের প্রত্যাশায় প্রধান উপদেষ্টা, স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা, আইন উপদেষ্টা, অর্থ উপদেষ্টা, বাণিজ্য উপদেষ্টা, শিল্প উপদেষ্টা, আইজিপি ও ডিএমপি কমিশনারের দৃষ্টি আকর্ষণ করছে বাজুস।
পাশাপাশি আসন্ন ঈদুল আজহা ও সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে ন্যায় বিচার পাওয়ার প্রত্যাশায় অনির্দিষ্টকালের বন্ধের কর্মসূচি স্থগিত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাজুস- এ তথ্য উল্লেখ করা হয়েছে বিজ্ঞপ্তিতে।
এতে বলা হয়েছে, জুয়েলারি প্রতিষ্ঠানের মালিকদের আগামীকাল ৩০ মে থেকে সকল জুয়েলারি প্রতিষ্ঠান খোলা রাখার অনুরোধ জানিয়েছে। তবে মিথ্যা ও হয়রানিমূলক মামলা থেকে রিপনুল হাসানের নাম প্রত্যাহার ও ন্যায়বিচার না পেলে পরবর্তীতে কর্মসূচি ঘোষণা করতে বাধ্য হবে বাজুস।
অর্থনীতি
১০ মাসে বিদেশি ঋণ পরিশোধ ৩৫০ কোটি ডলার

২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রথম ১০ মাসে ৩৫০ কোটি ডলার বিদেশি ঋণ পরিশোধ করেছে বাংলাদেশ। গত অর্থবছরের চেয়ে চলতি অর্থবছরে এ সময়ে ঋণ বেশি পরিশোধ করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৯ মে) প্রকাশিত অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) তৈরি জুলাই-এপ্রিল মাসের বিদেশি ঋণ পরিস্থিতির হালনাগাদ প্রতিবেদনে এ তথ্য পাওয়া গেছে।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০২৩-২৪ অর্থবছরে বাংলাদেশ উন্নয়ন সহযোগীদের মোট পরিশোধ করেছিল ৩৩৭ কোটি ডলার। চলতি অর্থছরের প্রথম ১০ মাসে পরিশোধ করেছে ৩৫০ কোটি ডলার।
ইআরডির তথ্য অনুযায়ী, গত অর্থবছরের একই সময়ে (জুলাই-এপ্রিল) বাংলাদেশে বৈদেশিক ঋণের আসল ও সুদ বাবদ মোট পরিশোধ করেছিল প্রায় ২৮১ কোটি ডলার। যার তুলনায়, চলতি অর্থবছরে বৈদেশিক ঋণের পরিশোধ বেড়েছে ২৪ দশমিক ৭৩ শতাংশ।
এ সময়ে আসল পরিশোধ বেড়েছে ৩২ দশমিক ৮৬ শতাংশ। ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রথম ১০ মাসে বিভিন্ন উন্নয়ন সহযোগীকে আসল বাবদ ২০০ কোটি ডলারের বেশি (২.০২১ বিলিয়ন) পরিশোধ করেছে সরকার। এর আগের অর্থবছরে একই সময়ে আসল পরিশোধের পরিমাণ ছিল ১৬৬ কোটি ডলার।
অন্যদিকে জুলাই-এপ্রিল সময়ে সুদ পরিশোধ বেড়েছে ১২ দশমিক ৯৫ শতাংশ। চলতি অর্থবছরের এপ্রিল পর্যন্ত উন্নয়ন সহযোগীদের সুদ বাবদ পরিশোধ করা হয়েছে প্রায় ১২৯ কোটি ডলার; যা গত অর্থবছরের একই সময়ে ছিল ১১৪ কোটি ৮০ লাখ ডলার।
ইআরডির কর্মকর্তারা জানান, মূলত বিগত সময়ে নেওয়া অনেক মেগা প্রকল্পের বড় অংকের ঋণ ও বাজেট সহায়তার গ্রেস পিরিয়ড শেষ হয়ে যাওয়ায় ঋণ পরিশোধের চাপ ক্রমাগত বাড়ছে। এরসঙ্গে বাজারভিত্তিক উচ্চ সুদের হারও এতে প্রভাব ফেলেছে।
অর্থনীতিবিদরা জানান, বাংলাদেশ বিগত সময়ে অনেক বড় বড় ঋণ নিয়েছে। এর অনেক ঋণের শর্তই ছিল কঠিন। পরিশোধের সময় কম, আবার সুদহারও বেশি। এর মধ্যে বেশকিছু ঋণের গ্রেস পিরিয়ড শেষ হয়ে গেছে। এ কারণে ঋণ পরিশোধ বেড়েছে।
অর্থনীতি
আ.লীগের সময়ে পাচার ২০ বিলিয়ন অর্থের সন্ধান মিলেছে

আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে পাচার হওয়া ২০ বিলিয়ন অর্থের সন্ধান পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর। তিনি বলেন, এটা প্রাথমিক হিসাব। এখনো অধিকতর তদন্ত চলছে। দিন দিন এ অর্থের পরিমাণ বাড়ছে।
মঙ্গলবার (২৮ মে) বাংলাদেশ ব্যাংকে এক সংবাদ সম্মেলনে গভর্নর এ কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, একজনই ৩৫০টি বাড়ি কিনেছেন। ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে এসব অর্থ পাচার করা হয়েছে। এসব ঘটনা উদঘাটন করা গেছে। অর্থ পাচার প্রতিরোধে সমন্বয়কের দায়িত্বে থাকা বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের (বিএফআইইউ) ২০২৩-২৪ অর্থবছরের বার্ষিক প্রতিবেদন প্রকাশ অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন। বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ের জাহাঙ্গীর আলম কনফারেন্স হলে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়।
এক প্রশ্নের জবাবে গভর্নর বলেন, পাচারের অর্থ ফেরত আনতে হবে, এ ধরনের অভিজ্ঞতা বাংলাদেশের জন্য নতুন। আমরা কেউ এ ধরনের কাজ করার জন্য প্রস্তুত ছিলাম না। পাচারের অর্থ ফেরত আনার কাজ গতিশীল করতে আমলাতান্ত্রিক জটিলতা কমিয়ে আনার চেষ্টা চলছে। সে জন্য আইনে পরিবর্তন আনা হবে। ১১টি গ্রুপ নিয়ে যৌথ তদন্ত চলছে।
পাচারের অর্থ কবে নাগাদ ফেরত আসতে পারে, এমন এক প্রশ্নের জবাবে গভর্নর বলেন, পাচারের অর্থ ফেরত আনতে তিন থেকে পাঁচ বছর সময় লেগে যাবে। ইতোমধ্যে বিদেশে একজনের সম্পদ জব্দ হয়েছে। সামনে আরও সম্পদ জব্দ হবে। আমাদের উদ্দেশ্য, পাচারকারীদের ওপর চাপ তৈরি করা, যাতে আদালতের বাইরে গিয়ে অর্থ উদ্ধার করা যায়। কাউকে জেলে নিয়ে হয়রানি করা আমাদের উদ্দেশ্য নয়। কারও ব্যবসা বন্ধ করা আমাদের উদ্দেশ্য নয়। আমরা কারও ব্যবসা বন্ধ করিনি। যাদের ব্যবসা বন্ধ হয়েছে, অন্য কারণে তা হয়েছে।
দুর্বল ব্যাংকগুলোকে আগে সরকারের নিয়ন্ত্রণে নিয়ে পরে বিদেশি বিনিয়োগকারীদের কাছে ছেড়ে দেওয়া হবে উল্লেখ করে আহসান মনসুর বলেন, এতে আমানতকারীদের উদ্বিগ্ন হওয়ার কোনো কারণ নেই, কারণ তারা একটি শক্তিশালী ব্যাংকের অংশ হয়ে যাবেন।
তিনি আমানতকারীদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, তারা যেন টাকা উত্তোলন না করেন, কারণ সরকার নিয়ন্ত্রণ নেওয়ায় তাদের আমানত নিরাপদই থাকবে। একীভূতকরণের আগে ব্যাংক রেজল্যুশন ফান্ড গঠনের জন্য কেন্দ্রীয় ব্যাংক তহবিল সংগ্রহ করবে।
ঋণ জালিয়াতি ও অনিয়মের কারণে আর্থিকভাবে দুর্বল ছয়টি ব্যাংককে আগামী জুলাইয়ের মধ্যে একীভূত করার পরিকল্পনা রয়েছে বলে জানান তিনি।
সভায় জানানো হয়, চলতি অর্থবছরে বিএফআইইউতে মোট ১৭ হাজার ৩৪৫টি সন্দেহজনক লেনদেন ও কার্যক্রম সংক্রান্ত প্রতিবেদন (এসটিআর/এসএআর) দাখিল হয়েছে; আগের বছরের তুলনায় যা প্রায় ২৩ শতাংশ বেশি। এ ছাড়া বিএফআইইউ গত অর্থবছরে ১১৪টি আর্থিক গোয়েন্দা প্রতিবেদন বিভিন্ন তদন্তকারী সংস্থার কাছে পাঠিয়েছে। আইন প্রয়োগকারী, নিয়ন্ত্রক সংস্থাসহ মোট ১ হাজার ২২০টি তথ্য বিনিময়ও হয়েছে, আগের বছরের তুলনায় যা ১৩ দশমিক ৯১ শতাংশ বেশি।
বিএফআইইউর প্রধান এ এফ এম শাহীনুল ইসলাম বলেন, অর্থ পাচার ও হুন্ডি ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। দেশের আর্থিক স্থিতিশীলতা ও লেনদেন ভারসাম্যে নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে এই প্রবণতা। অন্তর্বর্তী সরকারের নির্দেশনা ও পৃষ্ঠপোষকতায় স্থিতিশীলতা ফেরাতে নানা উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। পাচার করা অর্থ ফেরত আনতে কাজ চলছে। ১১টি গ্রুপ নিয়ে যৌথ তদন্ত চলছে। এ কাজে পরামর্শ ও সহায়তা দিয়ে যাচ্ছে বিশ্বব্যাংক।
সভায় বিএফআইইউর পরিচালক মুহাম্মদ আনিছুর রহমান বলেন, অর্থ পাচার ধরা ও উদ্ধার করা ধারাবাহিক প্রক্রিয়া। এটা চলতেই থাকবে। গত বছরের জুলাই মাসের পর বিএফআইইউর কাজ কয়েক গুণ বেড়ে গেছে। সন্দেহজনক প্রতিবেদন অনেক বেড়েছে। বিভিন্ন সংস্থার প্রতিবেদন পাঠানো চার গুণ বেড়েছে।
অর্থনীতি
জাতীয় বাজেট ঘোষণা ২ জুন

আগামী ২ জুন জাতির উদ্দেশে ২০২৫-২৬ অর্থবছরের জাতীয় বাজেট উপস্থাপন করবেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ।
বৃহস্পতিবার (২৯ মে) এক সরকারি তথ্যবিবরণীতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এতে আরও জানানো হয়, পূর্ব-রেকর্ড করা বাজেট ভাষণটি ওই দিন (২ জুন) বিকেল ৪টায় বাংলাদেশ টেলিভিশন (বিটিভি) ও বাংলাদেশ বেতারের মাধ্যমে সম্প্রচারিত হবে।
এছাড়া, জাতীয় বাজেটের ব্যাপক প্রচার নিশ্চিত করার জন্য সমস্ত বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল ও রেডিও স্টেশনগুলোকে বিটিভি থেকে ফিড গ্রহণ করে বাজেট ভাষণটি একই সঙ্গে সম্প্রচার করার অনুরোধ করা হয়।
জানা যায়, আগামী বাজেটের আকার নির্ধারিত হয়েছে ৭ লাখ ৯০ হাজার কোটি টাকা, যা গত অর্থবছরের তুলনায় ৭ হাজার কোটি টাকা কম। অর্থ মন্ত্রণালয় ও পরিকল্পনা কমিশনের ভাষ্য অনুযায়ী, ব্যয় সংকোচনের মূল কারণ—আইএমএফের শর্ত পূরণ, অপ্রয়োজনীয় প্রকল্প বাদ দেওয়া এবং রাজস্ব ঘাটতি নিয়ন্ত্রণ।
আগামী ৫ থেকে ১৪ জুন পর্যন্ত ঈদুল আজহার ছুটি। তাই এবার জাতীয় বাজেট আগামী ২ জুন ঘোষণার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। জাতীয় সংসদ না থাকায় এবারের বাজেট টেলিভিশনের মাধ্যমে উপস্থাপন করবেন অর্থ উপদেষ্টা। বাজেট কার্যকর করতে রাষ্ট্রপতির অধ্যাদেশ জারি করা হবে, যা বর্তমান ব্যবস্থার আওতায় অন্তর্বর্তী সরকারের মাধ্যমে বাজেট ঘোষণার আনুষ্ঠানিক প্রক্রিয়া সম্পন্ন করবে।
অর্থনীতি
অনলাইনে ভ্যাট রিটার্ন জমা দেওয়ার সময় বাড়লো

ঈদুল আজহার দীর্ঘ ছুটি বিবেচনায় নিয়ে মে মাসের অনলাইন ভ্যাট রিটার্ন জমা দেওয়ার সময় ১৯ জুন পর্যন্ত বৃদ্ধি করা হয়েছে।
সাধারণত প্রতি মাসের ১৬ তারিখে ভ্যাট রিটার্ন দাখিলের শেষ দিন থাকলেও ঈদের ১০ দিনের ছুটি থাকায় সময়সীমা বাড়িয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)
বৃহস্পতিবার (২৯ মে) কাস্টমস ও মূল্য সংযোজন কর (মূসক) সংক্রান্ত মাঠ পর্যায়ের অফিসগুলোকে পাঠানো এক চিঠির সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
এনবিআরের জনসংযোগ কর্মকর্তা আল আমিন শেখ এ বিষয়ে বলেন, মে ২০২৫ কর মেয়াদের অনলাইনে রিটার্ন দাখিলের সময়সীমা ১৬ জুনের পরিবর্তে ১৯ জুন পর্যন্ত বৃদ্ধি করা হয়েছে।
বর্তমানে প্রায় সাড়ে ৩ লাখ ভ্যাট নিবন্ধিত প্রতিষ্ঠান অনলাইনে রিটার্ন দাখিল করে, ২৩ শতাংশ হার্ড কপি জমা দেয়। সব মিলিয়ে প্রায় ৪ লাখ প্রতিষ্ঠান নিয়মিত ভ্যাট রিটার্ন দাখিল করে বলে জানা গেছে।