আইন-আদালত
বিচার বিভাগের স্বাধীনতার জন্য আলাদা সচিবালয় হবে: প্রধান বিচারপতি
বিচার বিভাগের স্বাধীনতার জন্য আলাদা সচিবালয় করা হবে বলে জানিয়েছেন প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ। তিনি বলেছেন, বিচার বিভাগের স্বাধীনতার জন্য সরকারের সহযোগিতা চেয়েছি। তাই এই স্বাধীনতা নিশ্চিতে বিচার বিভাগের জন্য পৃথক সচিবালয় করা হবে। যা সুপ্রিম কোর্টের অধীনে পরিচালিত হবে। বিচারকদের পদায়নের জন্য পৃথক নীতিমালা করা হবে। সুপ্রিম কোর্টে বিচারক নিয়োগের নিয়ম করতে হবে।
শনিবার (২১ সেপ্টেম্বর) দুপুরে সারাদেশের অধস্তন আদালতের বিচারকদের উদ্দেশ্যে অভিভাষণে এসব কথা বলেন প্রধান বিচারপতি। সুপ্রিম কোর্টের মূল ভবনের ইনার গার্ডেনে এই অভিভাষণের আয়োজন করা হয়।
অনুষ্ঠানে অন্তর্বর্তী সরকারের আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল, সুপ্রিম কোর্টের আপিল ও হাইকোর্ট উভয় বিভাগের বিচারপতি ছাড়াও বিচার বিভাগ সংস্কার সংক্রান্ত কমিশনের চেয়ারম্যান আপিল বিভাগের সাবেক বিচারপতি শাহ আবু নাঈম মমিনুর রহমান, অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান এবং সুপ্রিম কোর্ট বারের সভাপতি ও সম্পাদক উপস্থিত ছিলেন।
এসময় প্রধান বিচারপতি বলেন, একটি ন্যায়ভিত্তিক বিচারব্যবস্থার কাজ হলো নিরপেক্ষভাবে স্বল্প সময় ও স্বল্প খরচে বিরোধের মীমাংসা নিশ্চিত করে জনগণ, সমাজ, রাষ্ট্রকে সুরক্ষা দেওয়া। এজন্য বিচার বিভাগকে নির্বাহী বিভাগ ও আইনসভা থেকে পৃথক ও স্বাধীন করা সবচেয়ে জরুরি। কেন না শাসকের আইন নয়, বরং আইনের শাসন করাই বিচার বিভাগের মূল দায়িত্ব।
তিনি বলেন, বাংলাদেশে নির্বাচন কমিশন সচিবালয়, জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের মতো বিচার বিভাগের জন্য পৃথক সচিবালয় প্রতিষ্ঠার জন্য পরিপূর্ণ প্রস্তাব প্রস্তুতক্রমে আমরা শিগগির আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠাবো। এই প্রস্তাব দ্রুত বাস্তবায়নের জন্য প্রধান উপদেষ্টা ও আইন উপদেষ্টার দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
তিনি আরও বলেন, কোনো সন্দেহ নেই যে বিদ্যমান সমস্যাগুলোর মধ্যে প্রধান সমস্যা হচ্ছে, নির্বাহী বিভাগ থেকে বিচার বিভাগ কার্যকর রূপে পৃথক না হওয়া। দেড় দশক ধরে এর কুফল আমরা সবাই ভোগ করেছিলা। এছাড়া আছে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহির অভাব। মামলা অনুপাতে বিচারকের নিদারুণ স্বল্পতা, বার ও বেঞ্চের মধ্যে মনোভাবের ঘাটতি, আদালতগুলোর অবকাঠামোগত সংকট, অধস্তন আদালতের বিচারকদের বদলি ও পদোন্নতির ক্ষেত্রে যৌক্তিক ও গ্রহণযোগ্য নীতিমালা না থাকা, উচ্চ আদালতের বিচারক নিয়োগ ও স্থায়ীকরণের ক্ষেত্রে কোনো আইন না থাকা এবং প্রথাগত জ্যেষ্ঠতার নীতিকে বৃদ্ধাঙ্গুলি প্রদর্শন ইত্যাদি বিষয়গুলো যা আমাদের বারবার পিছিয়ে দিয়েছে।
বিচার বিভাগ যেন স্বাধীন ও নিরপেক্ষভাবে কাজ করতে পারে সে জন্য জরুরি ভিত্তিতে বিচার বিভাগের কিছু সংস্কার বাস্তবায়নের জন্য সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করে সহযোগিতা কামনা করেন প্রধান বিচারপতি। তিনি বলেন, এই সংস্কারের উদ্দেশ্য হবে বিচার বিভাগের প্রতি মানুষের যে আস্থার সংকট হয়েছে তা দ্রুত দূর করে একটি স্বাধীন, শক্তিশালী, আধুনিক, দক্ষ ও প্রগতিশীল বিচার বিভাগ প্রতিষ্ঠা করা।
অভিভাষণে প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ বলেন, বিচার বিভাগের প্রাতিষ্ঠানিক স্বাধীনতা নিশ্চিত করার স্বার্থে মাসদার হোসেন মামলার রায়ের পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়ন এখন আবশ্যক। দেশের সংবিধানের ১১৬ ক অনুচ্ছেদে অধস্তন আদালতের বিচারকেরা বিচারকার্য পালনের ক্ষেত্রে স্বাধীন থাকবেন বলে উল্লেখ রয়েছে। কিন্তু বিচারকদের প্রকৃত স্বাধীনতা তত দিন পর্যন্ত নিশ্চিত হবে না, যত দিন না বিচার বিভাগে দীর্ঘদিন ধরে বিরাজমান দ্বৈত শাসনব্যবস্থা অর্থাৎ সুপ্রিম কোর্ট ও আইন মন্ত্রণালয়ের যৌথ এখতিয়ার সম্পূর্ণরূপে বিলোপ করে জরুরি ভিত্তিতে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের অধীনে পৃথক সচিবালয় প্রতিষ্ঠা করা হবে। এটিই হবে বিচার বিভাগের স্বাধীনতা নিশ্চিতকল্পে প্রয়োজনীয় সংস্কারের প্রথম ধাপ।
অভিভাষণে প্রধান বিচারপতি বলেন, বর্তমানে বিচারকদের পদায়ন ও পদোন্নতির ক্ষেত্রে কোনো ঘোষিত নীতিমালা নেই। ফলে পদায়ন ও পদোন্নতির ক্ষেত্রে অনেক সময়ই বিচারকরা বৈষম্যের শিকার হয়েছেন। এ বিষয়ে যথোপযুক্ত নীতিমালা দ্রুত প্রণয়ন করবো। শুধু বিচার বিভাগের পৃথক সচিবালয় প্রতিষ্ঠা করলেই হবে না সুপ্রিম কোর্টের বিচারক নিয়োগের ক্ষেত্রে সুনির্দিষ্ট আইন প্রণয়ন করতে হবে। সুপ্রিম কোর্টে বিচারক নিয়োগের ক্ষেত্রে যোগ্যতা হিসেবে সংবিধানের ৯৫(২) অনুচ্ছেদে যে বিধান রয়েছে কেবল সেটুকু নিশ্চিত করে বিচারক নিয়োগের ফলে সুপ্রিম কোর্টে এক অভূতপূর্ব অরাজক অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। যেখানে সিদ্ধান্ত গ্রহণের অনেক ক্ষেত্রেই রাজনীতি একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা হিসেবে পালন করেছে। এটি ন্যায়বিচারের ধারণার সঙ্গে সম্পূর্ণ সাংঘর্ষিক।
তাই উচ্চ আদালতে বিচারক নিয়োগে অন্যান্য দেশে অনুসৃত আধুনিক পদ্ধতিগুলো বিবেচনায় নিয়ে দেশে উচ্চ আদালতে বিচারক নিয়োগে একটি কলোজিয়াম ব্যবস্থা চালু করতে সচেষ্ট হওয়ার কথাও জানান প্রধান বিচারপতি।
এর আগে বক্তব্যের শুরুতে প্রধান বিচারপতি বলেন, বিগত বছরগুলোতে বিচার বিভাগের ওপর নগ্ন হস্তক্ষেপ করা হয়েছে। ন্যায়বিচারের মূল্যবোধকে বিনষ্ট ও বিকৃত করা হয়েছে। বঞ্চনা, নিপীড়ন ও নির্যাতনের হাতিয়ার হিসেবে বিচার বিভাগকে ব্যবহার করার চেষ্টা করা হয়েছে। এতে বিচার বিভাগের ওপর মানুষের আস্থার সংকট তৈরি হয়েছে। অথচ বিচার বিভাগের সবচেয়ে শক্তির জায়গা হচ্ছে মানুষের আস্থা ও বিশ্বাস। তাই নতুন এই বাংলাদেশে আমরা একটা বিচার বিভাগ গড়তে চাই, যেটি সততা ও অধিকার বোধের নিশ্চয়তার একটি নিরাপদ দুর্গে পরিণত হবে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আইন-আদালত
জয়-সাদ্দামসহ ৬৬ জনকে আসামি করে ছাত্রদলের মামলা
নবগঠিত ছাত্রদলের সোহেল-আরিফ কমিটির ওপর হামলার অভিযোগে ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয়, বর্তমান সভাপতি সাদ্দাম হোসেনসহ ৬৬ জনকে আসামি করে হত্যাচেষ্টার মামলা করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আক্তারুজ্জামানের আদালতে ছাত্রদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আরিফুল ইসলাম এ মামলা করেন। আদালত বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করে শাহবাগ থানাকে অভিযোগটি এজাহার হিসেবে গ্রহণের নির্দেশ দেন।
মামলার উল্লেখযোগ্য আসামিরা হলেন-ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক প্রক্টর গোলাম রাব্বানী, ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য, ছাত্রলীগ নেতা সঞ্জিত চন্দ্র দাস, রিয়াজুল ইসলাম, মোনেম শাহরিয়ার হাসান মুন, সামিউজ্জামান সামি, আসিফ হোসেন, রেহানুল লাভলী, সাব্বির হোসেন, আরিফুল ইসলাম আরিফ, অহিদুল ইসলাম আকাশ, বাধন মিয়া, আজিজুল হক, ওবায়দুল হোসেন, সোলায়মান হাবিব।
মামলার অভিযোগ থেকে জানা গেছে, ছাত্রদলের নবগঠিত সোহেল-আরিফ কমিটি ২০২২ সালের ২৭ সেপ্টেম্বর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসির সঙ্গে দেখা করতে যাচ্ছিলেন। বিকেল ৪টার দিকে স্যার এ এফ রহমান হলের সামনে পৌঁছালে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা তাদের ওপর হামলা চালায়। এতে আরিফুল ইসলামসহ কয়েকজন আহত হন।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আইন-আদালত
আবারও ৬ দিনের রিমান্ডে ডায়মন্ড ওয়ার্ল্ডের এমডি
ছাত্র আন্দোলনে বিএনপিকর্মী হৃদয় হত্যা মামলায় ডায়মন্ড ওয়াল্ডের এমডি দিলীপ কুমার আগরওয়ালের ৬ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। আজ বৃহস্পতিবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোশাররফ হোসেন এ আদেশ দেন।
এদিন, আসামিকে আদালতে হাজির করে মামলার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য ১০ দিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করেন মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ। অন্যদিকে আসামি পক্ষের আইনজীবী রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিনের আবেদন করেন। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে আদালত দিলীপ কুমারের ৬ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
এর আগে, রাজধানীর গুলশান থেকে মঙ্গলবার (৩ সেপ্টেম্বর) দিলীপ কুমার আগরওয়ালাকে গ্রেপ্তার করে র্যাব-১।
গত ১৯ জুলাই কোটা আন্দোলন চলাকালে ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে বিএনপিকর্মী হৃদয় আহম্মেদ গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান। এ ঘটনায় গত ২২ আগস্ট বাড্ডা থানায় হত্যা মামলা হয়।
মামলায় ডায়মন্ড ওয়ার্ল্ডের এমডি, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, তার বোন শেখ রেহানা, শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়সহ ১৬১ জনকে আসামি করা হয়।
এদিকে দিলীপ কুমার আগারওয়ালারের বিরুদ্ধে বিদেশ থেকে চোরাচালানের মাধ্যমে স্বর্ণ ও হীরা আমদানির নামে বিদেশে অর্থপাচার, প্রতারণা ও জালিয়াতির অভিযোগ রয়েছে।
এ ছাড়া তার বিরুদ্ধে দুবাই ও সিঙ্গাপুরে স্বর্ণ চোরাচালান সিন্ডিকেট নিয়ন্ত্রণ, ভারতের কলকাতায় তিনটি জুয়েলারি দোকান ও ১১টি বাড়ি এবং মালয়েশিয়া, দুবাই ও কানাডায় বিপুল পরিমাণ অবৈধ সম্পদ অর্জন করে পাচার করেছেন বলে তথ্য রয়েছে।
শুধু তাই নয়, ডায়মন্ড ওয়ার্ল্ডের বিরুদ্ধে অন্তত ২৫ হাজার কোটি টাকার কর ফাঁকি দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আইন-আদালত
ভারতে ইলিশ রপ্তানির অনুমতি বাতিলে হাইকোর্টে রিট
ভারতে তিন হাজার টন ইলিশ রপ্তানির অনুমতি বাতিলসহ পদ্মা, মেঘনার ইলিশ রপ্তানিতে স্থায়ী নিষেধাজ্ঞা চেয়ে হাইকোর্টে একটি রিট করা হয়েছে। আজ বুধবার (২৫ সেপ্টেম্বর) সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. মাহমুদুল হাসান হাইকোর্টে এই রিট দায়ের করেন।
ভারতে ইলিশ রপ্তানির অনুমতির প্রতিবাদে লিগ্যাল নোটিশ দেওয়ার পর রিটটি করলেন এই আইনজীবী। এতে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান ও আমদানি-রপ্তানির কার্যালয়ের প্রধান নিয়ন্ত্রককে বিবাদী করা হয়েছে।
এই রিটের আগে দেওয়া লিগ্যাল নোটিশে বলা হয়, ইলিশ মাছ বাংলাদেশ, ভারত, মিয়ানমারসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে পাওয়া যায়। প্রতিবেশী দেশ ভারতের বিশাল ও বিস্তৃত সমুদ্রসীমা রয়েছে। ভারতের জলসীমায় ব্যাপকভাবে ইলিশ উৎপাদন হয়। এই বিবেচনায় বাংলাদেশ থেকে ভারতের ইলিশ মাছ আমদানির কোনো প্রয়োজন নেই।
নোটিশে আরও বলা হয়, ভারত মূলত বাংলাদেশের পদ্মা নদীর ইলিশ আমদানি করে থাকে। বাংলাদেশে ভারতীয় এজেন্টরা ও মাছ রপ্তানিকারকরা সারা বছর ধরে পদ্মা নদীর ইলিশ মাছ মজুত করে রাখেন এবং বাংলাদেশ সরকারের অনুমতিসাপেক্ষে পদ্মা নদীর ইলিশ মাছ ভারতে রপ্তানি করে। আবার ক্ষেত্রবিশেষে সীমান্ত দিয়ে অবৈধভাবে পাচার করে।
লিগ্যাল নোটিশে আরও বলা হয়, বাংলাদেশের পদ্মা নদীর ইলিশ মাছ ভারতে রপ্তানি ও পাচার হওয়ার কারণে বাংলাদেশের জনগণ বাজারে গিয়ে পদ্মার নদীর ইলিশ পায় না। ফলশ্রুতিতে বাংলাদেশের জনগণকে সামুদ্রিক ইলিশ খেতে হয়, যা পদ্মার ইলিশের মতো সুস্বাদু নয় বলেও লিগ্যাল নোটিশে উল্লেখ করা হয়।
প্রসঙ্গত, সম্প্রতি দুর্গাপূজা উপলক্ষে ভারতে ৩ হাজার টন ইলিশ রপ্তানির অনুমতি দিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। গত ২১ সেপ্টেম্বর বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের রপ্তানি-২ শাখা থেকে এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
ভারতে ইলিশ রপ্তানি বাতিল চেয়ে হাইকোর্টে রিট
আসন্ন দুর্গাপূজা উপলক্ষে ভারতে ইলিশ না পাঠানোর কথা থাকলেও শেষমেশ ৩ হাজার টন ইলিশ রপ্তানির অনুমতি দিয়েছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। তবে বিষয়টি ভালোভাবে নেয়নি দেশের সাধারণ জনগণ। এবার ভারতে ৩ হাজার টন ইলিশ রপ্তানির অনুমতি বাতিলসহ পদ্মা, মেঘনার ইলিশ রপ্তানিতে স্থায়ী নিষেধাজ্ঞা চেয়ে হাইকোর্টে একটি রিট করা হয়েছে।
বুধবার (২৫ সেপ্টেম্বর) সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. মাহমুদুল হাসান হাইকোর্টে এই রিট দায়ের করেন।
ভারতে ইলিশ রপ্তানির অনুমতির প্রতিবাদে লিগ্যাল নোটিশ দেওয়ার পর রিটটি করলেন এই আইনজীবী। এতে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান ও আমদানি-রপ্তানির কার্যালয়ের প্রধান নিয়ন্ত্রককে বিবাদী করা হয়েছে।
এই রিটের আগে দেওয়া লিগ্যাল নোটিশে বলা হয়, ইলিশ মাছ বাংলাদেশ, ভারত, মিয়ানমারসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে পাওয়া যায়। প্রতিবেশী দেশ ভারতের বিশাল ও বিস্তৃত সমুদ্রসীমা রয়েছে। ভারতের জলসীমায় ব্যাপকভাবে ইলিশ উৎপাদন হয়। এই বিবেচনায় বাংলাদেশ থেকে ভারতের ইলিশ মাছ আমদানির কোনো প্রয়োজন নেই।
নোটিশে আরও বলা হয়, ভারত মূলত বাংলাদেশের পদ্মা নদীর ইলিশ আমদানি করে থাকে। বাংলাদেশে ভারতীয় এজেন্টরা ও মাছ রপ্তানিকারকরা সারা বছর ধরে পদ্মা নদীর ইলিশ মাছ মজুত করে রাখেন এবং বাংলাদেশ সরকারের অনুমতিসাপেক্ষে পদ্মা নদীর ইলিশ মাছ ভারতে রপ্তানি করে। আবার ক্ষেত্রবিশেষে সীমান্ত দিয়ে অবৈধভাবে পাচার করে।
লিগ্যাল নোটিশে আরও বলা হয়, বাংলাদেশের পদ্মা নদীর ইলিশ মাছ ভারতে রপ্তানি ও পাচার হওয়ার কারণে বাংলাদেশের জনগণ বাজারে গিয়ে পদ্মার নদীর ইলিশ পায় না। ফলশ্রুতিতে বাংলাদেশের জনগণকে সামুদ্রিক ইলিশ খেতে হয়, যা পদ্মার ইলিশের মতো সুস্বাদু নয় বলেও লিগ্যাল নোটিশে উল্লেখ করা হয়।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আইন-আদালত
জামাতুল আনসার শারক্বীয়ার ৩২ সদস্যের জামিন
আটক হওয়া নিষিদ্ধ সংগঠন জামায়াতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বীয়ার ৩২ জন সদস্যকে জামিন দিয়েছেন আদালত। আজ মঙ্গলবার বান্দরবানের জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. মোসলেহ উদ্দিন তাদের জামিন মঞ্জুর করেন।
সশস্ত্র সংগঠন কুকি চীন ন্যাশনাল ফ্রন্টের (কেএনএফ) আস্তানায় প্রশিক্ষণ নেওয়া ও জঙ্গি তৎপরতা চালানোর অভিযোগে গত বছর এই ৩২ জনকে বান্দরবানের বিভিন্ন জায়গা থেকে গ্রেপ্তার করেছিল র্যাব।
এদের বিরুদ্ধে কুকি চীন ন্যাশনাল ফ্রন্টের (কেএনএফ) আস্তানায় প্রশিক্ষণ নেওয়া ও বিভিন্ন জায়গায় জঙ্গি তৎপরতা চালানোর অভিযোগ আনা হয়েছিল। কেএনএফের সন্ত্রাসী তৎপরতা দমনে পাহাড়ে নিরাপত্তা বাহিনীর অভিযান শুরু হলে সে সময় র্যাব অভিযান চালিয়ে এদের গ্রেপ্তার করে। গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে জামায়াতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বীয়ার প্রশিক্ষক ও অর্থ শাখার গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিও ছিলেন বলে সে সময় র্যাব গণমাধ্যমকে জানায়।
আসামিপক্ষের আইনজীবী মো. আলমগীর চৌধুরী জানান, বিনা অপরাধে দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে আটক করে জঙ্গি সম্পৃক্ততার অভিযোগ এনে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের বিরুদ্ধে জঙ্গি সম্পৃক্ততার কোনো প্রমাণ না পাওয়ায় আদালত জামিন দিয়েছেন।
প্রসঙ্গত, ২০২২ সালে বান্দরবানে সশস্ত্র সংগঠন কুকি চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট (কেএনএফ) অপতৎপরতা শুরু করে। তাদের আস্তানায় অর্থের বিনিময়ে প্রশিক্ষণ নেওয়ার অভিযোগ ওঠে জামায়াতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বীয়ার সদস্যদের বিরুদ্ধে।
২০২৩ সালের ৯ আগস্ট জামায়াতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বীয়া নিষিদ্ধ করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ থেকে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।
কাফি