জাতীয়
আ. লীগের করা ৪ জ্বালানি চুক্তিতে স্বাক্ষর করবে না সরকার

সাবেক আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে বিদেশি ৪টি কোম্পানির সঙ্গে প্রণীত এবং প্রায় চূড়ান্ত পর্যায়ে থাকা গ্যাস উত্তোলন ও সরবরাহ চুক্তিগুলো স্বাক্ষর করবে না অন্তর্বর্তী সরকার। এমনটাই জানিয়েছেন জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের কর্মকর্তারা।
এ কোম্পানিগুলো হলো- ভারতের এইচ এনার্জি, রাশিয়ার গ্যাজপ্রম, চীনের সিনোপেক এবং উজবেকিস্তানের এরিয়েল।
কর্মকর্তারা বলছেন, দ্রুত সরবরাহ বৃদ্ধি আইনের আওতায় ছিল চুক্তিগুলো। অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পরে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সংক্রান্ত এ আইন বাতিল করায় ওইসব চুক্তি আর হচ্ছে না। অন্তর্বর্তী সরকার চুক্তিগুলো পর্যালোচনা করবে এবং যেগুলো প্রয়োজনীয় বলে মনে করবে, সেগুলো নিয়ে এগিয়ে যাবে।
জ্বালানি সচিব মো. নূরুল আলম বলেন, এখন উন্মুক্ত দরপত্রের মাধ্যমে আগ্রহী কোম্পানি বাছাই করে চুক্তিগুলো করা হবে।
কর্মকর্তারা বলছেন, হাসিনা সরকার বিদ্যুৎ ও জ্বালানির দ্রুত সরবরাহ বৃদ্ধি (বিশেষ বিধান) আইন, ২০১০-এর অধীনে এসব বিদেশি কোম্পানির সঙ্গে চুক্তির সম্ভাব্যতা যাচাই করে।
কোম্পানিগুলোর প্রস্তাব পর্যালোচনা, সম্ভাব্য ব্যয়ও চূড়ান্ত করা হয়েছিল। এছাড়া চুক্তি স্বাক্ষরের প্রস্তুতিও চলছিল বলে জানান কর্মকর্তারা।
তবে চুক্তি স্বাক্ষরের আগেই ৫ আগস্ট গণঅভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত হয় শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ সরকার।
জ্বালানি বিভাগের কর্মকর্তাদের মতে, গ্যাজপ্রমের সঙ্গে ভোলায় ৫টি গ্যাস কূপ খনন, এইচ এনার্জির সঙ্গে ভারত থেকে পাইপলাইনের মাধ্যমে তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) আমদানি এবং আমদানি করা এলএনজি সরবরাহে বাংলাদেশভিত্তিক কোম্পানি দীপন গ্যাসের সঙ্গে ভোমরা থেকে খুলনা পর্যন্ত পাইপলাইন নির্মাণের চুক্তি প্রায় চূড়ান্ত হয়েছিল।
এছাড়া, সিলেটে পাঁচটি গ্যাস কূপ খনন করার জন্য চীনের সিনোপেক এবং ছয়টি কূপ খনন ও অন্যটিতে ওয়ার্কওভারের কাজ করার জন্য উজবেকিস্তানের এরিয়েলের সঙ্গে আলোচনা চলছিল।
সূত্র জানায়, গৃহস্থালী গ্যাস সরবরাহ বৃদ্ধির জন্য সাবেক আওয়ামী লীগ সরকার নতুন কূপ খনন এবং বিদ্যমান কূপগুলোতে ওয়ার্কওভার কাজ করার পরিকল্পনা হাতে নিয়েছিল। এটি টেন্ডার প্রক্রিয়া ছাড়াই বিভিন্ন দেশি-বিদেশি কোম্পানির সঙ্গে আলোচনা চালাচ্ছিল।
গ্যাজপ্রম, সিনোপেক এবং এরিয়েলের সঙ্গে স্থলভাগে ১৭টি কূপে কাজ করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল। পাশাপাশি জ্বালানি বিভাগ এটির আর্থিক বিবরণ পর্যালোচনা করার পরে প্রস্তাবগুলো অনুমোদনের চূড়ান্ত পর্যায়ে ছিল বলেও জানায় সূত্র।
জ্বালানি বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, ২০২৫ সাল নাগাদ ৪৬টি কূপ খনন ও ওয়ার্কওভারের মাধ্যমে গ্যাস উত্তোলন বাড়ানোর পরিকল্পনা ছিল সাবেক সরকারের। এসব কূপ খননের মাধ্যমে জাতীয় গ্রিডে গ্যাসের সরবরাহ বাড়ানো হবে বলে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে জানিয়েছিলেন সাবেক বিদ্যুৎ ও জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ। এ পরিকল্পনার অংশ হিসেবে ১৭টি কূপে কার্যক্রম চালাতে বিদেশি তিন প্রতিষ্ঠানকে অন্তর্ভুক্ত করা হচ্ছিল।
যে-সব চুক্তি
বিদ্যুৎ ও জ্বালানির দ্রুত সরবরাহ বৃদ্ধি (বিশেষ বিধান) আইনে দেশে মোট ২০টি কূপ খনন করেছে গ্যাজপ্রম, যার মধ্যে ভোলার ৭টি কূপ ছিল। একই আইনের আওতায় নতুন করে ভোলায় বর্তমানে চারটি কূপ খননের কাজ করছে রাশিয়ান কোম্পানিটি। একই ফর্মুলায় ভোলার আরও ৫টি কূপ খননের কাজ তাদের দেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছিল হাসিনা সরকার।
ভোলার ৫টি কূপ খননে গ্যাজপ্রমের দেওয়া প্রস্তাবের কারিগরি ও অর্থনৈতিক বিষয়গুলো মূল্যায়ন শেষে জ্বালানি বিভাগে প্রতিবেদন দিয়েছে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম এক্সপ্লোরেশন অ্যান্ড প্রোডাকশন কোম্পানি লিমিটেড (বাপেক্স)। এ প্রস্তাব নিয়ে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ে বৈঠকও হয়েছে।
এ পাঁচ কূপের মধ্যে একটি অনুসন্ধান কূপ, বাকিগুলো উন্নয়ন কূপ। এগুলো খননের জন্য রুশ কোম্পানিটি ১২০ মিলিয়ন ডলার ব্যয় প্রস্তাব করেছে। সবশেষে এ ব্যয় নিয়ে জ্বালানি বিভাগ ও গ্যাজপ্রমের দরকষাকষি চলছিল।
ভারতের এইচ-এনার্জি থেকে বছরে ০.৮ এমটিপিএ থেকে ১ এমটিপিএ (মিলিয়ন টন পার অ্যানাম) এলএনজি আমদানির জন্য চুক্তি করা হচ্ছিল। প্রায় চার বছর ধরে দুপক্ষ আলোচনা করে বিষয়টি চূড়ান্ত পর্যায়ে এসেছিল। এ গ্যাস খুলনা ও দেশের পশ্চিমাঞ্চলে নির্মিত এবং নির্মাণাধীন বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোতে সরবরাহ করার পরিকল্পনা ছিল।
জ্বালানি বিভাগ সূত্র জানিয়েছে, গত ২৭ জুলাই ভারতের এইচ-এনার্জির সঙ্গে গ্যাস সরবরাহ চুক্তি (জিএসএ) বিষয়ে প্রস্তাব প্রক্রিয়াকরণ কমিটির বৈঠক হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু ওই সময় ছাত্র-জনতার আন্দোলনের কারণে সে বৈঠক আর হয়নি।
দীপন গ্যাস বাংলাদেশে প্রতিষ্ঠিত কোম্পানি। তবে ভারত ও সিঙ্গাপুরে এর কার্যক্রম রয়েছে বলে এটির ওয়েবসাইটে বলা হয়েছে। ভারতের নুমালীগড় থেকে পাইপলাইনে যে জ্বালানি তেল বাংলাদেশ আমদানি করছে, সে পাইপলাইন স্থাপনের কাজ করেছে এ কোম্পানিটি। মহেশখালীতে অ্যাক্সিলারেট এনার্জির এলএনজি টার্মিনাল নির্মাণ ও একটি পাইপলাইন স্থাপনের কাজেও সম্পৃক্ত ছিল দীপন গ্যাস।
দীপন গ্যাস কোম্পানি লিমিটেডের পরিচালক (প্রশাসন ও জিএস) মোহাম্মদ ইউনুস জানান, দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে গ্যাসের উল্লেখযোগ্য চাহিদা রয়েছে। ভেড়ামারা থেকে খুলনা পর্যন্ত গ্যাস পাইপলাইন বসানো হলেও বর্তমানে গ্যাস সরবরাহ নেই। এতে সার কারখানা স্থাপনসহ এ অঞ্চলে শিল্পায়ন বাধাগ্রস্ত হয়েছে। বিগত সরকার গ্যাস আমদানি করে খুলনা বিভাগ ও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের জেলাগুলোতে সরবরাহের পরিকল্পনা নিয়েছিল।
তিনি আরও বলেন, ‘উচ্চ চাপের পাইপলাইন স্থাপনে ৫০ বছরের অভিজ্ঞতাসম্পন্ন একটি কোম্পানি হিসেবে দীপন গ্যাস সাতক্ষীরা থেকে খুলনা পর্যন্ত পাইপলাইনের প্রস্তাব করেছিল, যা সাবেক সরকার বিবেচনা করছিল।’
ইউনুস আরও উল্লেখ করেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার টেন্ডারের মাধ্যমে প্রকল্পটি এগিয়ে নিলে দীপন গ্যাস অংশ নেবে।
পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান জেনেন্দ্র নাথ সরকার এ বছরের ১৭ এপ্রিল বলেছেন, ভারতের এইচ-এনার্জির সঙ্গে আলোচনা প্রায় শেষ পর্যায়ে।
জানা গেছে, চীনা কোম্পানি সিনোপেকের সঙ্গে সিলেট গ্যাস ফিল্ডস কোম্পানি লিমিটেডের (এসজিএফসিএল) আওতাধীন পাঁচটি কূপ খনন নিয়ে আলোচনা চলছিল। কূপগুলো হলো রশীদপুর-১১ ও ১৩, কৈলাশটিলা-৯ এবং সিলেটের ডুপি টিলা-১ আর একমাত্র উন্নয়ন কূপ সিলেট-১১। এসব প্রকল্পে এক হাজার ২০০ কোটি টাকার মতো ব্যয় প্রাক্কলন করা হয়েছিল। সূত্র: টিবিএস
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

জাতীয়
টানা ৯ দিনের ছুটি শেষে কাল খুলছে অফিস

পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে আজ শনিবার (০৫ এপ্রিল) শেষ হচ্ছে সরকারি চাকরিজীবীদের টানা ৯ দিনের ছুটি। আগামীকাল রোববার (০৬ এপ্রিল) থেকে আবারও কার্যক্রম শুরু করবে সব সরকারি, আধা সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ও আধা স্বায়ত্তশাসিত অফিস।
ঈদের আগে, ২৭ মার্চ (বৃহস্পতিবার) ছিল সরকারি অফিসের কর্মচারীদের শেষ কর্মদিবস। এরপর শুক্রবার (২৮ মার্চ) থেকে শুরু হয় ৯ দিনের সরকারি ছুটি।
গত ২০ মার্চ পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে ৩ এপ্রিল নির্বাহী আদেশে ছুটি দেওয়ার প্রস্তাব অনুমোদন করা হয়, যার ফলে এই দীর্ঘ ছুটি সম্ভব হয়।
৩১ মার্চ সোমবার ঈদুল ফিতর উদযাপন শুরু হয়, তবে সরকারি ছুটির তালিকা আগেই নির্ধারিত ছিল। এর আগে, উপদেষ্টা পরিষদ গত বছর ১৭ অক্টোবর ঈদুল ফিতরের জন্য পাঁচ দিনের ছুটির অনুমোদন দেয়, যা আগে ছিল ৩ দিন। গত ২১ অক্টোবর প্রজ্ঞাপন জারি করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।
এদিকে, ৩ এপ্রিল (বৃহস্পতিবার) নির্বাহী আদেশে ছুটি ঘোষণা হওয়ায় এবার সরকারি চাকরিজীবীরা ৯ দিন ছুটি ভোগ করছেন, কারণ ৩ এপ্রিলের পর সাপ্তাহিক ছুটি ৪ ও ৫ এপ্রিল (শুক্রবার ও শনিবার) ছিল।
এখন, রোববার থেকে সরকারি অফিসগুলো পুনরায় খুলে যাবে এবং কর্মচারীরা তাদের দায়িত্বে ফিরে আসবেন।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
দেশে খাদ্য নিরাপত্তা নিয়ে কোনো শঙ্কা নেই: খাদ্য উপদেষ্টা

খাদ্য ও ভূমি উপদেষ্টা আলী ইমাম মজুমদার বলেছেন, সরকারের কাছে যথেষ্ট খাদ্য মজুত রয়েছে, এ কারণে খাদ্য নিরাপত্তা নিয়ে কোনো ধরণের শঙ্কা নেই।
তিনি বলেন, গত বন্যায় আমন ধানের যে ক্ষতি হয়েছে, তা পুষিয়ে নিতে সরকার খাদ্যশস্য আমদানি করছে। এবার হাওরসহ সারা দেশে বোরো ধানের বাম্পার ফলন হবে। সবকিছু ঠিক থাকলে খাদ্য উদ্বৃত্ত হবে দেশ। কৃষক যেন ফসলের ন্যায্য মূল্য পান, সেটি নিশ্চিত করতে নিরলস চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে সরকার।
শনিবার (৫ এপ্রিল) দুপুরে কিশোরগঞ্জের অষ্টগ্রাম উপজেলার অলওয়েবার সড়কের পাশে ভাতশালা হাওরে বোরো ধানের ফলন সরেজমিন পরিদর্শন ও কৃষকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
আলী ইমাম মজুমদার বলেন, কৃষক ও জিরাতিরা (হাওরে বোরো ধান কাটা বা রোপণ করতে আসা লোকদের) হলো দেশ উন্নয়নের প্রথম সারির সৈনিক। তারা ভালো থাকলে দেশ ভালো থাকবে। মাথার ঘাম পায়ে ফেলে তারা যে ফসল ফলান, তা দিয়ে আমাদের বিপুল জনগোষ্ঠীর খাদ্যের জোগান হয়।
তিনি এ সময় হাওরের সেচ সমস্যা, মাছ ধরার অজুহাতে অবৈধভাবে খালবিল শুকিয়ে ফেলার প্রবনতা, সার বীজের প্রাপ্যতা নিশ্চিত করা, ফসল সংরক্ষণ ও ফসলের ন্যায্য মূল্য নিশ্চিত করতে সরকার কাজ করছে বলেও উপস্থিত সবাইকে আশ্বস্থ করেন।
হাওরের খাল বিল, নদ-নদী শুকিয়ে যাওয়া প্রসঙ্গে উপদেষ্টা বলেন, মেঘনাসহ বড় বড় নদীগুলো আজ নাব্য সঙ্কটে ভুগছে। হাওরের খাল-বিলগুলো শুকিয়ে যাচ্ছে। বড় নদ-নদীগুলো খনন করতে সরকার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
তিনি আরো বলেন, হাওর এলাকায় এখন কৃষকরা কেবল ধান নয়, ভুট্টা, সবজি, হাঁসমুরগি পালন, মাছ চাষসহ নানাবিধ অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে জড়িত। কাজেই হাওর বিপুল সম্ভাবনাময় এক জনপদ। সরকার হাওরের যোগাযোগ ব্যবস্থাসহ আর্থ সামাজিক উন্নয়নে ব্যাপকভাবে কাজ করছে।
এসময় উপদেষ্টা আলী ইমাম মজুমদার জিরাতিদের কাছে তাদের সমস্যাগুলো জানতে চান। কয়েকজন জিরাতি, তাদের সেচ সমস্যা, রাস্তাঘাটের সঙ্কট, পানযোগ্য পানির অভাব নিয়ে কথা বলেন। জেলা প্রশাসককে এই সমস্যগুলো দ্রুত সমাধানের নির্দেশ দেন উপদেষ্টা।
মতবিনিময় সভায় পুলিশ সুপার মোহাম্মদ হাছান চৌধুরী, অষ্টগ্রামের ইউএনও দিলশাদ জাহান, অষ্টগ্রামের কৃষি অফিসার অভিজিত সরকার উপস্থিত ছিলেন।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
বাংলাদেশের মতো সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি কোথাও নেই: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

বাংলাদেশে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি সবসময় আছে। বাংলাদেশের মতো এত সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি কোথাও নেই। আশপাশে দেখবেন কীভাবে কী ঘটছে। আমাদের দেশে সবাই একসঙ্গে কাজ করছেন বলে মন্তব্য করেছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
শনিবার (৫ এপ্রিল) দুপুরে নারায়ণগঞ্জের লাঙ্গলবন্দে ব্রহ্মপুত্র নদের তীরে ধর্মাবলম্বীদের মহাঅষ্টমী পূণ্য স্নানোৎসব পরিদর্শন শেষে তিনি এসব কথা বলেন। শুক্রবার দিনগত রাত ২টা থেকে শুরু হয়ে ৫ এপ্রিল রাত ১২ টা ৪৫ পর্যন্ত দুই দিনব্যাপী এই উৎসব চলবে।
মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, অন্যান্য বারের তুলনায় এবার নদীর পানি ভালো ছিল। নদী যেন সবসময় ভালো থাকে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। পূণ্যার্থীদের সংখ্যাও অনেক বেশি। আমাদের সব রকমের নিরাপত্তা ব্যবস্থা রয়েছে। সেই সঙ্গে সবরকমের ব্যবস্থা রয়েছে সেবা দেওয়ার জন্য। আমরা সবাই একসঙ্গে কাজ করছি। হিন্দু, মুসলমান, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টান কোনো ভেদাভেদ নেই। আমরা সবাই বাংলাদেশি। বাংলাদেশি হিসেবেই আমরা সবাই এসেছি।
লাঙ্গলবন্দ পর্যটন কেন্দ্র করা প্রসঙ্গে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে আলাপ করে কীভাবে পর্যটনকেন্দ্র করা যায় সে বিষয়টি দেখা হবে। পর্যটন কেন্দ্র থেকে বড় বিষয় হলো এটা পূণ্যভূমি। এটা ধর্মীয় অনুভূতির বিষয়। ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্য যেন নষ্ট না হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।
তিনি আরও বলেন, অনেকে আছেন মিথ্যা সংবাদ দিলে প্রচার বেশি হয়, বেশি পয়সা পায় এজন্য তারা মিথ্যা সংবাদ দেন। বিদেশি মিডিয়া অনেক সময় মিথ্যা সংবাদ দেয়। আপনারা সত্য সংবাদ দিন। তাদের মুখে চুনকালি পড়বে। আমাদের যদি কোনো ভুল থাকে আপনারা বলেন কোনো আপত্তি নাই। কিন্তু কোনো মিথ্যা সংবাদ দিবেন না। সত্যি সংবাদ দিবেন।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
ভাগাড়ে কোনোভাবেই ময়লা পোড়ানো যাবে না: পরিবেশ উপদেষ্টা

ভাগাড়ে কোনোভাবেই ময়লা পোড়ানো যাবে না বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের পরিবেশ ও বন উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।
শনিবার (৫ এপ্রিল) রাজধানীর মাতুয়াইলে স্যানিটারি ল্যান্ডফিল (ময়লার ভাগাড়) এলাকা পরিদর্শন শেষে তিনি এ কথা জানান।
রিজওয়ানা হাসান বলেন, একইসঙ্গে ভাগাড়ে ব্যাটারি পোড়ানো বা ব্যাটারির সিসাও আলাদা করা যাবে না।
মাতুয়াইল স্যানিটারি ল্যান্ডফিলের আশপাশের এলাকার মানুষের জীবনযাত্রা এবং স্বাস্থ্য সুরক্ষায় বিভিন্ন উদ্যোগ নেওয়া হবে।
শিগগিরই এই ময়লার ভাগাড় মাতুয়াইল থেকে পুরোপুরি সরিয়ে নেওয়া সম্ভব নয় জানিয়ে তিনি আরও বলেন, পার্শ্ববর্তী দুটি স্টিলমিল বন্ধে নির্দেশ দেওয়া হবে।
ঢাকার বায়ুর মান উন্নয়নে সরকারের পক্ষ থেকে কমিটি গঠন করা হবে বলেও এ সময় জানান উপদেষ্টা।
প্রসঙ্গত, বায়ু দূষণ থেকে বাঁচতে মাতুয়াইল স্যানিটারি ল্যান্ডফিল (ময়লার ভাগার) দ্রুত সরিয়ে নেওয়ার দাবি জানিয়ে আসছেন স্থানীয়রা। সেই সঙ্গে স্বাস্থ্য সুরক্ষায় ময়লা পোড়ানো বন্ধেও দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার জোর দাবি তাদের।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
জরুরি সভা ডেকেছেন প্রধান উপদেষ্টা

যুক্তরাষ্ট্রেরে শুল্কারোপ ইস্যুতে জরুরি সভা ডেকেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। শনিবার (৫ এপ্রিল) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় এ সভা অনুষ্ঠিত হবে।
এতে শীর্ষস্থানীয় বিশেষজ্ঞ, উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ও কর্মকর্তারা যোগ দেবেন।
গত বুধবার (২ এপ্রিল) ওয়াশিংটনের স্থানীয় সময় বিকেল ৪টায় হোয়াইট হাউসে সংবাদ সম্মেলন করে নতুন করে
পারস্পরিক শুল্ক আরোপের ঘোষণা দেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। যুক্তরাষ্ট্রের প্রায় সব বাণিজ্যিক অংশীদারদের ওপর বহুল আলোচিত পাল্টা শুল্কারোপ করেন তিনি।
ট্রাম্পের ঘোষণা অনুযায়ী বাংলাদেশি পণ্যের শুল্ক বাড়িয়ে ৩৭ শতাংশ করা হয়েছে। এতদিন দেশটিতে বাংলাদেশি পণ্যের ওপর গড়ে ১৫ শতাংশ করে শুল্ক ছিল।
বাংলাদেশের প্রধান রপ্তানি পণ্য তৈরি পোশাকের একটি বড় অংশ রপ্তানি হয় যুক্তরাষ্ট্রে। যুক্তরাষ্ট্রে বছরে বাংলাদেশি পণ্য রপ্তানি হয় প্রায় ৮ দশমিক ৪ বিলিয়ন (৮৪০ কোটি) ডলার, যা প্রধানত তৈরি পোশাক।
গত বছর যুক্তরাষ্ট্রে তৈরি পোশাক রপ্তানি দাঁড়ায় ৭ দশমিক ৩৪ বিলিয়ন (৭৩৪ কোটি) ডলারে। নতুন করে উচ্চ মাত্রার শুল্ক আরোপে বাংলাদেশের রপ্তানি, বিশেষ করে তৈরি পোশাক খাতে বড় ধরনের নেতিবাচক প্রভাব পড়বে আশঙ্কা করা হচ্ছে।