জাতীয়
আ. লীগের করা ৪ জ্বালানি চুক্তিতে স্বাক্ষর করবে না সরকার
সাবেক আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে বিদেশি ৪টি কোম্পানির সঙ্গে প্রণীত এবং প্রায় চূড়ান্ত পর্যায়ে থাকা গ্যাস উত্তোলন ও সরবরাহ চুক্তিগুলো স্বাক্ষর করবে না অন্তর্বর্তী সরকার। এমনটাই জানিয়েছেন জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের কর্মকর্তারা।
এ কোম্পানিগুলো হলো- ভারতের এইচ এনার্জি, রাশিয়ার গ্যাজপ্রম, চীনের সিনোপেক এবং উজবেকিস্তানের এরিয়েল।
কর্মকর্তারা বলছেন, দ্রুত সরবরাহ বৃদ্ধি আইনের আওতায় ছিল চুক্তিগুলো। অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পরে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সংক্রান্ত এ আইন বাতিল করায় ওইসব চুক্তি আর হচ্ছে না। অন্তর্বর্তী সরকার চুক্তিগুলো পর্যালোচনা করবে এবং যেগুলো প্রয়োজনীয় বলে মনে করবে, সেগুলো নিয়ে এগিয়ে যাবে।
জ্বালানি সচিব মো. নূরুল আলম বলেন, এখন উন্মুক্ত দরপত্রের মাধ্যমে আগ্রহী কোম্পানি বাছাই করে চুক্তিগুলো করা হবে।
কর্মকর্তারা বলছেন, হাসিনা সরকার বিদ্যুৎ ও জ্বালানির দ্রুত সরবরাহ বৃদ্ধি (বিশেষ বিধান) আইন, ২০১০-এর অধীনে এসব বিদেশি কোম্পানির সঙ্গে চুক্তির সম্ভাব্যতা যাচাই করে।
কোম্পানিগুলোর প্রস্তাব পর্যালোচনা, সম্ভাব্য ব্যয়ও চূড়ান্ত করা হয়েছিল। এছাড়া চুক্তি স্বাক্ষরের প্রস্তুতিও চলছিল বলে জানান কর্মকর্তারা।
তবে চুক্তি স্বাক্ষরের আগেই ৫ আগস্ট গণঅভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত হয় শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ সরকার।
জ্বালানি বিভাগের কর্মকর্তাদের মতে, গ্যাজপ্রমের সঙ্গে ভোলায় ৫টি গ্যাস কূপ খনন, এইচ এনার্জির সঙ্গে ভারত থেকে পাইপলাইনের মাধ্যমে তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) আমদানি এবং আমদানি করা এলএনজি সরবরাহে বাংলাদেশভিত্তিক কোম্পানি দীপন গ্যাসের সঙ্গে ভোমরা থেকে খুলনা পর্যন্ত পাইপলাইন নির্মাণের চুক্তি প্রায় চূড়ান্ত হয়েছিল।
এছাড়া, সিলেটে পাঁচটি গ্যাস কূপ খনন করার জন্য চীনের সিনোপেক এবং ছয়টি কূপ খনন ও অন্যটিতে ওয়ার্কওভারের কাজ করার জন্য উজবেকিস্তানের এরিয়েলের সঙ্গে আলোচনা চলছিল।
সূত্র জানায়, গৃহস্থালী গ্যাস সরবরাহ বৃদ্ধির জন্য সাবেক আওয়ামী লীগ সরকার নতুন কূপ খনন এবং বিদ্যমান কূপগুলোতে ওয়ার্কওভার কাজ করার পরিকল্পনা হাতে নিয়েছিল। এটি টেন্ডার প্রক্রিয়া ছাড়াই বিভিন্ন দেশি-বিদেশি কোম্পানির সঙ্গে আলোচনা চালাচ্ছিল।
গ্যাজপ্রম, সিনোপেক এবং এরিয়েলের সঙ্গে স্থলভাগে ১৭টি কূপে কাজ করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল। পাশাপাশি জ্বালানি বিভাগ এটির আর্থিক বিবরণ পর্যালোচনা করার পরে প্রস্তাবগুলো অনুমোদনের চূড়ান্ত পর্যায়ে ছিল বলেও জানায় সূত্র।
জ্বালানি বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, ২০২৫ সাল নাগাদ ৪৬টি কূপ খনন ও ওয়ার্কওভারের মাধ্যমে গ্যাস উত্তোলন বাড়ানোর পরিকল্পনা ছিল সাবেক সরকারের। এসব কূপ খননের মাধ্যমে জাতীয় গ্রিডে গ্যাসের সরবরাহ বাড়ানো হবে বলে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে জানিয়েছিলেন সাবেক বিদ্যুৎ ও জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ। এ পরিকল্পনার অংশ হিসেবে ১৭টি কূপে কার্যক্রম চালাতে বিদেশি তিন প্রতিষ্ঠানকে অন্তর্ভুক্ত করা হচ্ছিল।
যে-সব চুক্তি
বিদ্যুৎ ও জ্বালানির দ্রুত সরবরাহ বৃদ্ধি (বিশেষ বিধান) আইনে দেশে মোট ২০টি কূপ খনন করেছে গ্যাজপ্রম, যার মধ্যে ভোলার ৭টি কূপ ছিল। একই আইনের আওতায় নতুন করে ভোলায় বর্তমানে চারটি কূপ খননের কাজ করছে রাশিয়ান কোম্পানিটি। একই ফর্মুলায় ভোলার আরও ৫টি কূপ খননের কাজ তাদের দেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছিল হাসিনা সরকার।
ভোলার ৫টি কূপ খননে গ্যাজপ্রমের দেওয়া প্রস্তাবের কারিগরি ও অর্থনৈতিক বিষয়গুলো মূল্যায়ন শেষে জ্বালানি বিভাগে প্রতিবেদন দিয়েছে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম এক্সপ্লোরেশন অ্যান্ড প্রোডাকশন কোম্পানি লিমিটেড (বাপেক্স)। এ প্রস্তাব নিয়ে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ে বৈঠকও হয়েছে।
এ পাঁচ কূপের মধ্যে একটি অনুসন্ধান কূপ, বাকিগুলো উন্নয়ন কূপ। এগুলো খননের জন্য রুশ কোম্পানিটি ১২০ মিলিয়ন ডলার ব্যয় প্রস্তাব করেছে। সবশেষে এ ব্যয় নিয়ে জ্বালানি বিভাগ ও গ্যাজপ্রমের দরকষাকষি চলছিল।
ভারতের এইচ-এনার্জি থেকে বছরে ০.৮ এমটিপিএ থেকে ১ এমটিপিএ (মিলিয়ন টন পার অ্যানাম) এলএনজি আমদানির জন্য চুক্তি করা হচ্ছিল। প্রায় চার বছর ধরে দুপক্ষ আলোচনা করে বিষয়টি চূড়ান্ত পর্যায়ে এসেছিল। এ গ্যাস খুলনা ও দেশের পশ্চিমাঞ্চলে নির্মিত এবং নির্মাণাধীন বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোতে সরবরাহ করার পরিকল্পনা ছিল।
জ্বালানি বিভাগ সূত্র জানিয়েছে, গত ২৭ জুলাই ভারতের এইচ-এনার্জির সঙ্গে গ্যাস সরবরাহ চুক্তি (জিএসএ) বিষয়ে প্রস্তাব প্রক্রিয়াকরণ কমিটির বৈঠক হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু ওই সময় ছাত্র-জনতার আন্দোলনের কারণে সে বৈঠক আর হয়নি।
দীপন গ্যাস বাংলাদেশে প্রতিষ্ঠিত কোম্পানি। তবে ভারত ও সিঙ্গাপুরে এর কার্যক্রম রয়েছে বলে এটির ওয়েবসাইটে বলা হয়েছে। ভারতের নুমালীগড় থেকে পাইপলাইনে যে জ্বালানি তেল বাংলাদেশ আমদানি করছে, সে পাইপলাইন স্থাপনের কাজ করেছে এ কোম্পানিটি। মহেশখালীতে অ্যাক্সিলারেট এনার্জির এলএনজি টার্মিনাল নির্মাণ ও একটি পাইপলাইন স্থাপনের কাজেও সম্পৃক্ত ছিল দীপন গ্যাস।
দীপন গ্যাস কোম্পানি লিমিটেডের পরিচালক (প্রশাসন ও জিএস) মোহাম্মদ ইউনুস জানান, দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে গ্যাসের উল্লেখযোগ্য চাহিদা রয়েছে। ভেড়ামারা থেকে খুলনা পর্যন্ত গ্যাস পাইপলাইন বসানো হলেও বর্তমানে গ্যাস সরবরাহ নেই। এতে সার কারখানা স্থাপনসহ এ অঞ্চলে শিল্পায়ন বাধাগ্রস্ত হয়েছে। বিগত সরকার গ্যাস আমদানি করে খুলনা বিভাগ ও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের জেলাগুলোতে সরবরাহের পরিকল্পনা নিয়েছিল।
তিনি আরও বলেন, ‘উচ্চ চাপের পাইপলাইন স্থাপনে ৫০ বছরের অভিজ্ঞতাসম্পন্ন একটি কোম্পানি হিসেবে দীপন গ্যাস সাতক্ষীরা থেকে খুলনা পর্যন্ত পাইপলাইনের প্রস্তাব করেছিল, যা সাবেক সরকার বিবেচনা করছিল।’
ইউনুস আরও উল্লেখ করেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার টেন্ডারের মাধ্যমে প্রকল্পটি এগিয়ে নিলে দীপন গ্যাস অংশ নেবে।
পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান জেনেন্দ্র নাথ সরকার এ বছরের ১৭ এপ্রিল বলেছেন, ভারতের এইচ-এনার্জির সঙ্গে আলোচনা প্রায় শেষ পর্যায়ে।
জানা গেছে, চীনা কোম্পানি সিনোপেকের সঙ্গে সিলেট গ্যাস ফিল্ডস কোম্পানি লিমিটেডের (এসজিএফসিএল) আওতাধীন পাঁচটি কূপ খনন নিয়ে আলোচনা চলছিল। কূপগুলো হলো রশীদপুর-১১ ও ১৩, কৈলাশটিলা-৯ এবং সিলেটের ডুপি টিলা-১ আর একমাত্র উন্নয়ন কূপ সিলেট-১১। এসব প্রকল্পে এক হাজার ২০০ কোটি টাকার মতো ব্যয় প্রাক্কলন করা হয়েছিল। সূত্র: টিবিএস
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আইন-আদালত
সরকার নিত্যপণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণ করতে পারছে না: রিজভী
অন্তর্বর্তী সরকার নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম নিয়ন্ত্রণ করতে পারছে না মন্তব্য করে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, জনগণের দুর্ভোগ আগের মতোই রয়ে গেছে। দিনমজুর-শ্রমিকদের জীবনযাত্রা কঠিন হয়ে পড়ছে।
শুক্রবার (২২ নভেম্বর) বিকেলে জাতীয়তাবাদী রিকশা-ভ্যান-অটো চালক দলের বিক্ষোভ সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।
জনগণের দুর্ভোগ আগের মতোই আছে উল্লেখ করে রিজভী বলেন, নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম আগের মতোই আছে। অন্তর্বর্তী সরকার নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম নিয়ন্ত্রণ করতে না পারায় দিনমজুর-শ্রমিকদের জীবনযাত্রা কঠিন হয়ে পড়ছে।
তবে দেশের মানুষকে কষ্টে রেখে উপদেষ্টাদের যাচ্ছেতাই কর্মকাণ্ড মেনে নেয়া হবে না জানিয়ে তিনি বলেন, উপদেষ্টারা চাকরিজীবীর মতো কাজ করছেন। তাদের কাজে বিপ্লবের গতিশীলতা নেই।
অন্তর্বর্তী সরকারকে জুলাই বিপ্লবে হতাহতদের পরিবারের দায়িত্ব নেয়ার আহ্বান জানান বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব।
এ সময় রিজভী অভিযোগ করে বলেন, ছাত্রলীগ ও যুবলীগকে হত্যার লাইসেন্স দেয়া হয়েছিল। আর শেখ হাসিনা হত্যাকাণ্ড চালিয়ে মায়াকান্নার অভিনয় করতেন।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
রাজউক কর্মকর্তাদের সম্পদের হিসাব দেওয়ার নির্দেশ
কর্মকর্তাদের সম্পদের হিসাব দাখিল করতে নির্দেশ দিয়েছে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক)। শুক্রবার (২২ নভেম্বর) রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
এর আগে রাজউকের পরিচালক (প্রশাসন) মমিন উদ্দিন একটি অফিস আদেশ জারি করে কর্মকর্তাদের সম্পদের হিসাব দিতে নির্দেশনা দিয়েছেন।
তিনি জানান, রাজউকের ৯ম গ্রেডে ও তদূর্ধ্ব কর্মকর্তাদের এবং অবশিষ্ট গ্রেড ১০ থেকে অন্য গ্রেডের কর্মকর্তাদের সম্পদ বিবরণী আগামী ৩০ নভেম্বর মধ্যে চেয়ারম্যান দপ্তরে দাখিল করতে হবে।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আইন-আদালত
পাঁচ দেশে যাওয়ার নিয়ে বাংলাদেশিদের সতর্কতা
বিশ্বের পাঁচটি দেশে যেতে চাওয়া বাংলাদেশিদের জন্য সতর্কতা দিয়েছে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়। দেশ পাঁচটি হলো থাইল্যান্ড, মিয়ানমার, লাওস, ভিয়েতনাম ও কম্বোডিয়া।
সতর্কতা বার্তায় বলা হয়েছে, বাংলাদেশি নাগরিকদের প্রবাসী কিছু অসাধু ব্যক্তি ও এসব দেশে গড়ে ওঠা বেশ কিছু স্ক্যাম প্রতিষ্ঠান কম্পিউটার অপারেটর, টাইপিস্ট, কল সেন্টার অপারেটরসহ বিভিন্ন পদে আকর্ষণীয় বেতনের প্রলোভন দিয়ে নিয়োগের লক্ষ্যে বিভিন্ন অনলাইন মাধ্যমে (ভুয়া ওয়েবসাইট, ই-মেইল, ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপ, টেলিগ্রাম ইত্যাদি) প্রচার কার্যক্রম বা নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রচার করছে।
এসব ক্ষেত্রে স্ক্যাম সেন্টারগুলো বিভিন্ন দেশের নাগরিকদের সঙ্গে বাংলাদেশিদেরও সুকৌশলে স্ক্যাম সেন্টারের ভেতরে নিয়ে গিয়ে অস্ত্রের মুখে জোরপূর্বক জিম্মি করে স্ক্যামের কাজে নিয়োজিত করছে।
ব্যাংককের বাংলাদেশ দূতাবাস মিয়ানমার ও কম্বোডিয়ায় গড়ে ওঠা স্ক্যাম সেন্টারগুলো থেকে মুক্তিপ্রাপ্ত বা পালিয়ে আসা বেশ কিছু বাংলাদেশিকে ইতোমধ্যে দেশে ফেরত পাঠাতে সক্ষম হয়েছে বলে জানিয়েছে মন্ত্রণালয়। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট সরকারসমূহকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য অনুরোধ করা হয়েছে।
সতর্কতা বার্তায় আরও বলা হয়েছে, এসব দেশে সাইবার স্ক্যাম নিয়ে কাজ করছে এরূপ এনজিওসহ সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে থাইল্যান্ড ও মিয়ানমারের বাংলাদেশ দূতাবাস সার্বক্ষণিক যোগাযোগ অব্যাহত রেখেছে।
বিদেশে চাকরির উদ্দেশ্যে গমনেচ্ছু বাংলাদেশিদের এসব দেশে কম্পিউটার পরিচালনা সংক্রান্ত চাকরির প্রস্তাব পেলে অধিকতর সতর্কতা অবলম্বনের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। প্রয়োজনে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট শাখা অথবা জনশক্তি, কর্মস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর সংশ্লিষ্ট শাখার মাধ্যমে বিদেশে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাসগুলোর সহযোগিতায় নিয়োগকারী প্রতিষ্ঠানের বিস্তারিত তথ্য যাচাই করে নেওয়ার অনুরোধ জানানো হয়েছে।
এ ছাড়াও স্ক্যাম সেন্টার থেকে ফেসবুক ও হোয়াটসঅ্যাপ আইডির মাধ্যমে বিভিন্ন দেশে-বিদেশে বসবাসরত বাংলাদেশিসহ বিভিন্ন দেশের নাগরিকদের টার্গেট করে আর্থিকভাবে প্রতারণা করা হচ্ছে। দেশে-বিদেশে বসবাসরত বাংলাদেশিরা ক্রিপ্টো কারেন্সির মাধ্যমে প্রতারকদের অ্যাকাউন্টে বিনিয়োগ করলে প্রতারক চক্রটি তাৎক্ষণিকভাবে এসব লেনদেনের অ্যাকাউন্ট বন্ধের মাধ্যমে অর্থ আত্মসাৎ করে।
এ বিষয়ে দেশে-বিদেশে বসবাসরত বাংলাদেশিদের সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারে আরও বেশি সতর্কতা অবলম্বনের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আইন-আদালত
ঢাকায় যুক্তরাষ্ট্রের শ্রম প্রতিনিধিদল
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের শ্রম বিষয়ক একটি প্রতিনিধি দল ঢাকায় এসেছে। শুক্রবার (২২ নভেম্বর) প্রতিনিধি দল ঢাকায় পৌঁছেছে। মার্কিন প্রতিনিধিদল ২২-২৫ নভেম্বর ঢাকা সফর করবে। প্রতিনিধিদলের নেতৃত্বে রয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের আন্তর্জাতিক শ্রম বিষয়ক বিশেষ প্রতিনিধি কেলি এম ফে রদ্রিগেজ। এছাড়া রয়েছেন শ্রম বিভাগের ডেপুটি আন্ডার সেক্রেটারি থিয়া লি।
ঢাকা সফরের প্রথম দিনে বাংলাদেশের শ্রমিক সংগঠন সলিডারিটি সেন্টারের নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন তারা।
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তর জানিয়েছে, সফরকালে মার্কিন প্রতিনিধি দলের সদস্যরা অন্তর্বর্তী সরকারের কর্মকর্তা, বেসরকারি খাতের পোশাক শ্রমিক এবং শ্রমিক ইউনিয়নের নেতাদের সঙ্গে দেখা করবেন।
প্রতিনিধি দলটি তৈরি পোশাক খাতে বিনিয়োগ করা আমেরিকান কোম্পানির প্রতিনিধি এবং বৈশ্বিক শ্রম বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে বাংলাদেশের অর্থনীতি, গণতন্ত্র এবং শ্রমিকদের কীভাবে সর্বোত্তমভাবে সহায়তা করা যায় সে বিষয়ে আলোচনা করবে।
এ সফর অর্থনৈতিক উন্নয়ন, আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত শ্রমের মান, সে সঙ্গে টেকসই প্রবৃদ্ধি এবং ব্যাপকভাবে ভাগাভাগি করা সমৃদ্ধির উন্নতি-অগ্রগতির জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিশ্রুতির ওপর জোর দেয়।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আইন-আদালত
ফ্যাসিবাদ নিয়ে সতর্ক থাকতে হবে: উপদেষ্টা আদিলুর
ফ্যাসিবাদ বারবার ফিরে আসবে, তাই সবাইকে সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের গৃহায়ন ও গণপূর্ত উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান। শুক্রবার (২২ নভেম্বর) সকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) টিএসসি মিলনায়তনে আয়োজিত আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় বিতর্ক প্রতিযোগিতার উদ্বোধন অনুষ্ঠানে এমন মন্তব্য করেন তিনি।
উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান বলেন, ফ্যাসিবাদ শেষ হলেও আমাদের সংগ্রাম শেষ হয়নি। ফ্যাসিবাদের অনুসঙ্গগুলো থেকে যায়, এখনও রয়েছে। এগুলো উপড়ে ফেলতে হবে। কারণ, ফ্যাসিবাদ বারবার ফিরে আসে। তাই সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে। এ সময় হতাশ না হয়ে লক্ষ্যে স্থির থাকতে শিক্ষার্থীদের ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানান উপদেষ্টা।
এ সময় তিনি বলেন, সংস্কারের জন্য ১১টি কমিশন করা হয়েছে। এসব কমিশনের সঙ্গে তরুণ শিক্ষার্থীদের কীভাবে সম্পৃক্ত করা যায়, তা চিন্তা করতে হবে।
অ্যাকশন এইড এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ডিবেটিং সোসাইটির উদ্যোগে অনুষ্ঠিত হচ্ছে ‘টুওয়ার্ডস বাংলাদেশ টু পয়েন্ট জিরো’ প্রতিপাদ্য নিয়ে এবারের আয়োজন।
এমআই