জাতীয়
আ. লীগের করা ৪ জ্বালানি চুক্তিতে স্বাক্ষর করবে না সরকার

সাবেক আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে বিদেশি ৪টি কোম্পানির সঙ্গে প্রণীত এবং প্রায় চূড়ান্ত পর্যায়ে থাকা গ্যাস উত্তোলন ও সরবরাহ চুক্তিগুলো স্বাক্ষর করবে না অন্তর্বর্তী সরকার। এমনটাই জানিয়েছেন জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের কর্মকর্তারা।
এ কোম্পানিগুলো হলো- ভারতের এইচ এনার্জি, রাশিয়ার গ্যাজপ্রম, চীনের সিনোপেক এবং উজবেকিস্তানের এরিয়েল।
কর্মকর্তারা বলছেন, দ্রুত সরবরাহ বৃদ্ধি আইনের আওতায় ছিল চুক্তিগুলো। অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পরে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সংক্রান্ত এ আইন বাতিল করায় ওইসব চুক্তি আর হচ্ছে না। অন্তর্বর্তী সরকার চুক্তিগুলো পর্যালোচনা করবে এবং যেগুলো প্রয়োজনীয় বলে মনে করবে, সেগুলো নিয়ে এগিয়ে যাবে।
জ্বালানি সচিব মো. নূরুল আলম বলেন, এখন উন্মুক্ত দরপত্রের মাধ্যমে আগ্রহী কোম্পানি বাছাই করে চুক্তিগুলো করা হবে।
কর্মকর্তারা বলছেন, হাসিনা সরকার বিদ্যুৎ ও জ্বালানির দ্রুত সরবরাহ বৃদ্ধি (বিশেষ বিধান) আইন, ২০১০-এর অধীনে এসব বিদেশি কোম্পানির সঙ্গে চুক্তির সম্ভাব্যতা যাচাই করে।
কোম্পানিগুলোর প্রস্তাব পর্যালোচনা, সম্ভাব্য ব্যয়ও চূড়ান্ত করা হয়েছিল। এছাড়া চুক্তি স্বাক্ষরের প্রস্তুতিও চলছিল বলে জানান কর্মকর্তারা।
তবে চুক্তি স্বাক্ষরের আগেই ৫ আগস্ট গণঅভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত হয় শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ সরকার।
জ্বালানি বিভাগের কর্মকর্তাদের মতে, গ্যাজপ্রমের সঙ্গে ভোলায় ৫টি গ্যাস কূপ খনন, এইচ এনার্জির সঙ্গে ভারত থেকে পাইপলাইনের মাধ্যমে তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) আমদানি এবং আমদানি করা এলএনজি সরবরাহে বাংলাদেশভিত্তিক কোম্পানি দীপন গ্যাসের সঙ্গে ভোমরা থেকে খুলনা পর্যন্ত পাইপলাইন নির্মাণের চুক্তি প্রায় চূড়ান্ত হয়েছিল।
এছাড়া, সিলেটে পাঁচটি গ্যাস কূপ খনন করার জন্য চীনের সিনোপেক এবং ছয়টি কূপ খনন ও অন্যটিতে ওয়ার্কওভারের কাজ করার জন্য উজবেকিস্তানের এরিয়েলের সঙ্গে আলোচনা চলছিল।
সূত্র জানায়, গৃহস্থালী গ্যাস সরবরাহ বৃদ্ধির জন্য সাবেক আওয়ামী লীগ সরকার নতুন কূপ খনন এবং বিদ্যমান কূপগুলোতে ওয়ার্কওভার কাজ করার পরিকল্পনা হাতে নিয়েছিল। এটি টেন্ডার প্রক্রিয়া ছাড়াই বিভিন্ন দেশি-বিদেশি কোম্পানির সঙ্গে আলোচনা চালাচ্ছিল।
গ্যাজপ্রম, সিনোপেক এবং এরিয়েলের সঙ্গে স্থলভাগে ১৭টি কূপে কাজ করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল। পাশাপাশি জ্বালানি বিভাগ এটির আর্থিক বিবরণ পর্যালোচনা করার পরে প্রস্তাবগুলো অনুমোদনের চূড়ান্ত পর্যায়ে ছিল বলেও জানায় সূত্র।
জ্বালানি বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, ২০২৫ সাল নাগাদ ৪৬টি কূপ খনন ও ওয়ার্কওভারের মাধ্যমে গ্যাস উত্তোলন বাড়ানোর পরিকল্পনা ছিল সাবেক সরকারের। এসব কূপ খননের মাধ্যমে জাতীয় গ্রিডে গ্যাসের সরবরাহ বাড়ানো হবে বলে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে জানিয়েছিলেন সাবেক বিদ্যুৎ ও জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ। এ পরিকল্পনার অংশ হিসেবে ১৭টি কূপে কার্যক্রম চালাতে বিদেশি তিন প্রতিষ্ঠানকে অন্তর্ভুক্ত করা হচ্ছিল।
যে-সব চুক্তি
বিদ্যুৎ ও জ্বালানির দ্রুত সরবরাহ বৃদ্ধি (বিশেষ বিধান) আইনে দেশে মোট ২০টি কূপ খনন করেছে গ্যাজপ্রম, যার মধ্যে ভোলার ৭টি কূপ ছিল। একই আইনের আওতায় নতুন করে ভোলায় বর্তমানে চারটি কূপ খননের কাজ করছে রাশিয়ান কোম্পানিটি। একই ফর্মুলায় ভোলার আরও ৫টি কূপ খননের কাজ তাদের দেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছিল হাসিনা সরকার।
ভোলার ৫টি কূপ খননে গ্যাজপ্রমের দেওয়া প্রস্তাবের কারিগরি ও অর্থনৈতিক বিষয়গুলো মূল্যায়ন শেষে জ্বালানি বিভাগে প্রতিবেদন দিয়েছে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম এক্সপ্লোরেশন অ্যান্ড প্রোডাকশন কোম্পানি লিমিটেড (বাপেক্স)। এ প্রস্তাব নিয়ে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ে বৈঠকও হয়েছে।
এ পাঁচ কূপের মধ্যে একটি অনুসন্ধান কূপ, বাকিগুলো উন্নয়ন কূপ। এগুলো খননের জন্য রুশ কোম্পানিটি ১২০ মিলিয়ন ডলার ব্যয় প্রস্তাব করেছে। সবশেষে এ ব্যয় নিয়ে জ্বালানি বিভাগ ও গ্যাজপ্রমের দরকষাকষি চলছিল।
ভারতের এইচ-এনার্জি থেকে বছরে ০.৮ এমটিপিএ থেকে ১ এমটিপিএ (মিলিয়ন টন পার অ্যানাম) এলএনজি আমদানির জন্য চুক্তি করা হচ্ছিল। প্রায় চার বছর ধরে দুপক্ষ আলোচনা করে বিষয়টি চূড়ান্ত পর্যায়ে এসেছিল। এ গ্যাস খুলনা ও দেশের পশ্চিমাঞ্চলে নির্মিত এবং নির্মাণাধীন বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোতে সরবরাহ করার পরিকল্পনা ছিল।
জ্বালানি বিভাগ সূত্র জানিয়েছে, গত ২৭ জুলাই ভারতের এইচ-এনার্জির সঙ্গে গ্যাস সরবরাহ চুক্তি (জিএসএ) বিষয়ে প্রস্তাব প্রক্রিয়াকরণ কমিটির বৈঠক হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু ওই সময় ছাত্র-জনতার আন্দোলনের কারণে সে বৈঠক আর হয়নি।
দীপন গ্যাস বাংলাদেশে প্রতিষ্ঠিত কোম্পানি। তবে ভারত ও সিঙ্গাপুরে এর কার্যক্রম রয়েছে বলে এটির ওয়েবসাইটে বলা হয়েছে। ভারতের নুমালীগড় থেকে পাইপলাইনে যে জ্বালানি তেল বাংলাদেশ আমদানি করছে, সে পাইপলাইন স্থাপনের কাজ করেছে এ কোম্পানিটি। মহেশখালীতে অ্যাক্সিলারেট এনার্জির এলএনজি টার্মিনাল নির্মাণ ও একটি পাইপলাইন স্থাপনের কাজেও সম্পৃক্ত ছিল দীপন গ্যাস।
দীপন গ্যাস কোম্পানি লিমিটেডের পরিচালক (প্রশাসন ও জিএস) মোহাম্মদ ইউনুস জানান, দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে গ্যাসের উল্লেখযোগ্য চাহিদা রয়েছে। ভেড়ামারা থেকে খুলনা পর্যন্ত গ্যাস পাইপলাইন বসানো হলেও বর্তমানে গ্যাস সরবরাহ নেই। এতে সার কারখানা স্থাপনসহ এ অঞ্চলে শিল্পায়ন বাধাগ্রস্ত হয়েছে। বিগত সরকার গ্যাস আমদানি করে খুলনা বিভাগ ও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের জেলাগুলোতে সরবরাহের পরিকল্পনা নিয়েছিল।
তিনি আরও বলেন, ‘উচ্চ চাপের পাইপলাইন স্থাপনে ৫০ বছরের অভিজ্ঞতাসম্পন্ন একটি কোম্পানি হিসেবে দীপন গ্যাস সাতক্ষীরা থেকে খুলনা পর্যন্ত পাইপলাইনের প্রস্তাব করেছিল, যা সাবেক সরকার বিবেচনা করছিল।’
ইউনুস আরও উল্লেখ করেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার টেন্ডারের মাধ্যমে প্রকল্পটি এগিয়ে নিলে দীপন গ্যাস অংশ নেবে।
পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান জেনেন্দ্র নাথ সরকার এ বছরের ১৭ এপ্রিল বলেছেন, ভারতের এইচ-এনার্জির সঙ্গে আলোচনা প্রায় শেষ পর্যায়ে।
জানা গেছে, চীনা কোম্পানি সিনোপেকের সঙ্গে সিলেট গ্যাস ফিল্ডস কোম্পানি লিমিটেডের (এসজিএফসিএল) আওতাধীন পাঁচটি কূপ খনন নিয়ে আলোচনা চলছিল। কূপগুলো হলো রশীদপুর-১১ ও ১৩, কৈলাশটিলা-৯ এবং সিলেটের ডুপি টিলা-১ আর একমাত্র উন্নয়ন কূপ সিলেট-১১। এসব প্রকল্পে এক হাজার ২০০ কোটি টাকার মতো ব্যয় প্রাক্কলন করা হয়েছিল। সূত্র: টিবিএস
কাফি

জাতীয়
দেশের জন্য সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন করে যেতে চাই: সিইসি

ব্যক্তিগত লক্ষ্য বা স্বার্থ নয়, বরং দেশের জন্য একটি সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন করে যেতে চাই বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এএমএম নাসির উদ্দীন।
শুক্রবার (২৫ জুলাই) যশোর কালেক্টরেট মসজিদে জুমার নামাজের আগে মুসল্লিদের উদ্দেশে সংক্ষিপ্ত শুভেচ্ছা বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
সিইসি বলেন, জীবনের শেষপ্রান্তে এসে রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পেয়েছি। গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের হারানো আস্থা ফিরিয়ে দিতে চাই। তবে এটি আমার একার পক্ষে সম্ভব নয়- এজন্য আমি দেশবাসীর সার্বিক সহযোগিতা এবং দোয়া কামনা করছি।
নাসির উদ্দীন বলেন, দেশ ও জাতির জন্য একটি সুন্দর ভবিষ্যৎ নির্মাণ করতে হলে গণতান্ত্রিক চর্চাকে সুদৃঢ় ভিত্তির ওপর প্রতিষ্ঠা করতে হবে। আর এজন্য অবাধ, নিরপেক্ষ এবং অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন নিশ্চিত করা জরুরি। নির্বাচন কমিশন সে লক্ষ্যেই কাজ করছে।
খুলনায় যাওয়ার পথে যশোরে সংক্ষিপ্ত যাত্রাবিরতির সময় এই মসজিদে জুমার নামাজ আদায় করেন তিনি। জুমার নামাজ ও দোয়ায় যশোরের জেলা প্রশাসক (ডিসি) আজাহারুল ইসলাম অংশ নেন।
এসময় ঢাকার মাইলস্টোন কলেজে বিমান বিধ্বস্তে নিহতদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে বাদ জুমা বিশেষ দোয়া ও মোনাজাতে অংশ নেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার।
জাতীয়
দুই চোখ ক্ষতিগ্রস্ত ১১ জুলাই আহতকে ওমরাহ করাবে সরকার

গণঅভ্যুত্থানে দুই চোখ ক্ষতিগ্রস্ত ১১ জুলাইযোদ্ধাকে বেসরকারি সহযোগিতায় ওমরাহ করাবে সরকার। সঙ্গে থাকবে তাদের আরও ১১ সহযোগী। বেসামরিক বিমান ও পর্যটন মন্ত্রণালয় এটি সমন্বয় করছে। অর্থায়ন করছে ইউএস বাংলা এয়ারলাইন্স ও সিলেটের এক রাজনীতিবিদ।
জানা গেছে, বেসরকারি উদ্যোগে ৫/৭ জন জুলাই আহতকে ওমরাহ করানোর প্রস্তাব আসে। বিষয়টি সরকারের বিভিন্ন মহলে আলোচনা হয়। এক্ষেত্রে কাদের নেওয়া হবে তা নিয়ে বাছাই জটিলতায় পড়ে কর্তৃপক্ষ। হাসপাতাল থেকে জানানো এ সংখ্যা নির্ধারণ করা সম্ভব নয়। তবে ১১ জন একেবারেই দেখতে পান না। অন্যের সাহায্য ছাড়া চলাফেরা করতে পারে না। তাদের মনোনীত করা সহজ, তবে সেক্ষেত্রে তাদের সহযোগীসহ ২২ জন হবে।
সে থেকে ২২ জনকে ওমরাহ করানোর সিদ্ধান্ত হয়। এর মধ্যে ১৮ জনের ব্যয় বহন করবে ইউএস বাংলা এয়ারলাইন্স এবং ৪ জনের ব্যয় বহন করবেন সিলেটের সাবেক মেয়র আরিফুল হক।
বেসামরিক বিমান ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব আব্দুন নাসের খান বলেন, এ বিষয়ে শনিবার হোটেল সোনারগাঁওয়ে এক সভায় ঘোষণা দেওয়া হবে। সেখানে আসলে সব জানা যাবে।
জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সময় পুলিশের গুলিতে দুই চোখ একেবারেই নষ্ট হয়ে যায় ১১ জনের। তারা অন্যের সহযোগিতা ছাড়া চলাফেরা করতে পারেন না। এর বাইরে আরও ২৮ জনের দুই চোখ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউটের তথ্য বলছে, তারা এক হাজার ৭৪ জনকে চিকিৎসা দিয়েছেন। সরকারি হিসাব বলছে, প্রায় ১৪ হাজার জুলাই গণঅভ্যুত্থানে আহত হয়ে বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন।
জাতীয়
মাইলস্টোন ট্রাজেডি: মাকিন নামের আরও শিক্ষার্থীর মৃত্যু

রাজধানীর উত্তরার মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে যুদ্ধবিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় দগ্ধ শিক্ষার্থী মাকিনের (১৪) মৃত্যু হয়েছে। সে মাইলস্টোনের সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিল।
শুক্রবার (২৫ জুলাই) দুপুর ১টার দিকে জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আবাসিক সার্জন ডা. শাওন বিন রহমান।
এর আগে শুক্রবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের ফিমেল হাই ডিপেন্ডেন্সি ইউনিটে (এফএইচডিইউ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় যুদ্ধবিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় দগ্ধ মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের চতুর্থ শ্রেণির শিক্ষার্থী আয়মান (১০) মারা গেছে।
আয়মানের বাড়ি শরীয়তপুর জেলার বেদরগঞ্জ থানার বাসুদেবপুর গ্রামে। সে ওই এলাকার ইসমাইল হোসেনের মেয়ে।
প্রসঙ্গত, গত ২১ জুলাই সকালে বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর একটি যুদ্ধবিমান মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের একটি ভবনের ওপর বিধ্বস্ত হয়। দুর্ঘটনার সময় প্রতিষ্ঠানটির ক্লাসে উপস্থিত ছিলেন বহু শিক্ষার্থী ও শিক্ষক। এ ঘটনায় দেশজুড়ে শোকের ছায়া নেমে আসে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের শুক্রবার সকাল ১০টার হালনাগাদ তথ্য অনুযায়ী, এ ঘটনায় মারা গেছে ৩২ জন। বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছে ৫১ জন।
জাতীয়
বিমানবন্দরে যাত্রীর সঙ্গে দুজনের বেশি প্রবেশ নয়

ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর এলাকায় যাত্রীবরণ ও বিদায় জানাতে আগত ব্যক্তিদের জন্য নতুন নির্দেশনা জারি করেছে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ। আগামী রোববার (২৭ জুলাই) থেকে এ নির্দেশনা কার্যকর হবে।
বৃহস্পতিবার রাতে এক বার্তায় কর্তৃপক্ষ এ ঘোষণা দিয়েছে।
বিমানবন্দরের নির্বাহী পরিচালকের মুখপাত্র স্কোয়ার্ডন লিডার মো. মাহমুদুল হাসান মাসুম জানান, নতুন নির্দেশনা অনুযায়ী যাত্রীদের সঙ্গে সর্বোচ্চ দুজন ব্যক্তি ডিপারচার ড্রাইভওয়ে ও এরাইভাল ক্যানোপি এলাকায় প্রবেশ করতে পারবেন।
এই পদক্ষেপের উদ্দেশ্য হলো যাত্রীদের যাতায়াত স্বাভাবিক রাখা, বিমানবন্দর এলাকায় যানজট নিয়ন্ত্রণ এবং সর্বোপরি নিরাপত্তা নিশ্চিত করা।
তিনি বলেন, সম্মানিত যাত্রীদের বিদায় ও স্বাগত জানাতে আসা ব্যক্তিদের সুশৃঙ্খলভাবে চলাচলের অনুরোধ জানানো হচ্ছে। সকলের সহযোগিতা কাম্য।
বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ আদেশক্রমে এ নির্দেশনা বাস্তবায়নের সিদ্ধান্ত নিয়েছে এবং সংশ্লিষ্ট সবাইকে নির্দেশনা মেনে চলার আহ্বান জানিয়েছে।
বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের তথ্যানুযায়ী, বর্তমানে বছরে এক কোটি ২৫ লাখ যাত্রী শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ব্যবহার করে থাকেন। প্রতিদিন ১৪০-১৫০টি আন্তর্জাতিক ফ্লাইট পরিচালিত হয়।
জাতীয়
সিঙ্গাপুরের আরেকটি চিকিৎসক দল ঢাকায়

বিমান দুর্ঘটনায় আহতদের চিকিৎসা দিতে সিঙ্গাপুর থেকে এসেছে আরও একটি মেডিকেল টিম। পাঁচ সদস্যের দলটি বৃহস্পতিবার রাত ১০টা ৪০ মিনিটে বাংলাদেশে পৌঁছায়। আজ শুক্রবার সকাল ১০টার দিকে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেওয়া এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সিঙ্গাপুরের দ্বিতীয় এই মেডিকেল টিমের সদস্যসংখ্যা ৫। তাঁরা গতকাল বৃহস্পতিবার রাত ১০টা ৪০ মিনিটে ঢাকায় পৌঁছান।
সিঙ্গাপুর থেকে আসা এই দ্বিতীয় মেডিকেল টিমের সদস্যরা ঢাকার জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে গঠিত বিশেষজ্ঞ দলের সঙ্গে যৌথভাবে চিকিৎসা কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করবেন বলে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, সিঙ্গাপুরের এই মেডিকেল টিমের সদস্যরা কারিগরির পাশাপাশি পেশাগত সহায়তাও দেবেন।
গত সোমবার মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত হয়। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের গতকাল বৃহস্পতিবার রাত ৯টার হালনাগাদ তথ্য অনুযায়ী, এ ঘটনায় মারা গেছেন ৩১ জন। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন ৫১ জন।