জাতীয়
ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির শাহরিয়ার কবির গ্রেপ্তার
একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির সভাপতি শাহরিয়ার কবিরকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। সোমবার দিবাগত ১২টার দিকে রাজধানীর মহাখালীর বাসা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
ঢাকা মহানগর পুলিশের একটি সূত্র এ তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছে।
পরিচয় গোপন রাখার শর্তে ওই পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, ‘ডিএমপির তেজগাঁও বিভাগের একটি দল অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করেছে। পরবর্তীতে এ ব্যাপারে বিস্তারিত তথ্য জানানো সম্ভব হবে।’
গত ২০ আগস্ট আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে হেফাজতের যুগ্ম মহাসচিব (শিক্ষা ও আইন) মুফতি হারুন ইজাহার চৌধুরী মতিঝিলের শাপলা চত্বরে ২০১৩ সালের ৫ মে হেফাজতে ইসলামের সমাবেশ ঘিরে মানবতাবিরোধী অপরাধ ও গণহত্যার অভিযোগ করেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও আরও ২৩ জনের বিরুদ্ধে। অভিযুক্তদের একজন শাহরিয়ার কবির।
এছাড়া, গত ৫ আগস্ট যাত্রাবাড়ীর কুতুবখালীতে শিক্ষার্থী ইমরান হোসেনের মৃত্যুর ঘটনায় দায়ের হত্যা মামলার আসামি তিনি।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
মাদকের গডফাদারদের ধরার নির্দেশ স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার
মাদকের গডফাদারদের ধরে আইনের আওতায় আনার জন্য মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরকে নির্দেশনা দিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
আজ (১৭ সেপ্টেম্বর) সকালে রাজধানীর সেগুনবাগিচায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তাদেরকে এ নির্দেশনা দেন তিনি।
উপদেষ্টা বলেন, শুধু বাহক নয়, মাদকের সঙ্গে জড়িত বড় বড় গডফাদারদের ধরতে হবে। চলমান যৌথ অভিযানে এ কার্যক্রম জোরদার করতে হবে এবং দৈনিক অগ্রগতির রিপোর্ট প্রদান করতে হবে। এ বিষয়ে সাফল্যের ওপর নির্ভর করে অধিদপ্তরের পারফরম্যান্স মূল্যায়ন করা হবে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
উপদেষ্টা বলেন, দুর্নীতি না কমাতে পারলে এ সরকারের সাফল্য আসবে না। তিনি এ সময় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ঘুষ, দুর্নীতি থেকে দূরে থাকার আহ্বান জানান।
উপদেষ্টা বলেন, “মাদক ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে ধ্বংসের মাধ্যমে পরিবার, সমাজ ও রাষ্ট্রের জন্য ভয়াবহ পরিণতি বয়ে আনে। তাই মাদক নির্মূলে অধিদপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মানসিকতার পরিবর্তন করে আন্তরিকভাবে কাজ করতে হবে। যেভাবেই হোক মাদক নিয়ন্ত্রণ করতে হবে।”
উপদেষ্টা বলেন, “মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের ইউনিফর্ম আছে, কিন্তু অস্ত্র বা হাতিয়ার নেই। তাই সফল অভিযান পরিচালনার স্বার্থে তাদেরকে অস্ত্র দেওয়া প্রয়োজন। এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।”
তাছাড়া যেসব অভিযান পরিচালনার সময় হামলার আশঙ্কা রয়েছে, সেখানে পুলিশসহ অভিযান পরিচালনার জন্য তিনি পরামর্শ প্রদান করেন।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
সাত দিনের রিমান্ডে শ্যামল দত্ত, মোজাম্মেল বাবু ও শাহরিয়ার কবির
পৃথক হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার একাত্তরের ঘাতক-দালাল নির্মূল কমিটির উপদেষ্টামণ্ডলীর সভাপতি শাহরিয়ার কবির, দৈনিক ভোরের কাগজের সম্পাদক শ্যামল দত্ত ও একাত্তর টিভির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোজাম্মেল বাবুর ৭ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টেম্বর) ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে তাদের হাজির করে ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করে পুলিশ। পরে শুনানি শেষে ঢাকার অতিরিক্ত মুখ্য মহানগর হাকিম মো. ছানাউল্লাহ ৭ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
জানা গেছে, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে গৃহকর্মী লিজা হত্যার ঘটনায় রাজধানীর রমনা মডেল থানার মামলায় একাত্তর টিভির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোজাম্মেল হক বাবু ও একাত্তরের ঘাতক-দালাল নির্মূল কমিটির উপদেষ্টামণ্ডলীর সভাপতি শাহরিয়ার কবিরের ৭ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
এ ছাড়া গণঅভ্যুত্থানে গুলি করে যুবক ফজলুকে হত্যার অভিযোগে ভাষানটেক থানায় করা মামলায় ভোরের কাগজের সম্পাদক শ্যামল দত্তের ৭ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
এর আগে সোমবার (১৬ সেপ্টেম্বর) একাত্তর টিভির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোজাম্মেল বাবু ও দৈনিক ভোরের কাগজের সম্পাদক শ্যামল দত্তকে ময়মনসিংহ সীমান্ত এলাকা থেকে এবং শাহরিয়ার কবিরকে তার বনানীর বাসা থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
ডিএমপির ১৪ কর্মকর্তাকে বদলি
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (এডিসি) পদমর্যাদার ১৪ জন কর্মকর্তাকে বদলি করা হয়েছে।
সোমবার (১৬ সেপ্টেম্বর) ডিএমপি কমিশনার মো. মাইনুল হাসান স্বাক্ষরিত এক আদেশে এই বদলি করা হয়।
বদলি হওয়া কর্মকর্তাদের তালিকা-
অর্থসংবাদ/এসএম
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
সাবেক রেলমন্ত্রী সুজন গ্রেপ্তার
সাবেক রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন গ্রেপ্তার হয়েছেন। সোমবার (১৬ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় রাজধানীর শ্যামলীতে অবস্থিত বাংলাদেশ স্পেশালাইজড হাসপাতালের ৮৩৩ নাম্বার রুম থেকে গ্রেপ্তার করা হয় তাকে।
সাবেক এই মন্ত্রীর গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন তারই এক আত্মীয়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বাংলাদেশ স্পেশালাইজড হাসপাতালের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, সাবেক রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন অসুস্থ হওয়ায় হাসপাতালের ৮৩৩ নাম্বার রুমে পুলিশি হেফাজতে আছেন।
তিনি ২০০১ সালে অষ্টম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রথমবারের মতো আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে পঞ্চগড়-২ আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। কিন্তু সেবার তিনি বিএনপির প্রার্থী মোজাহার হোসেনের কাছে পরাজিত হন।
কিন্তু এর পরের বার ২০০৮ সালের নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিয়ে প্রথমবারের মতো সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন নূরুল ইসলাম সুজন। এরপর ২০১৪ সালে দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জাসদের প্রার্থী এমরান আল আমিনকে পরাজিত করে দ্বিতীয় বারের মতো সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।
পরবর্তীতে ২০১৮ সালের একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি তৃতীয়বারের মতো সংসদ সদস্য নির্বাচিত হলে রেলপথ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দেওয়া হয় তাকে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
আন্দোলনে মানবাধিকার লঙ্ঘনের তথ্য চেয়েছে জাতিসংঘের দলের
চলতি বছরের ১ জুলাই থেকে ১৫ আগস্ট পর্যন্ত আন্দোলনের প্রেক্ষাপটে মানবাধিকার লঙ্ঘনের প্রাথমিক তথ্য দেয়ার আমন্ত্রণ জানিয়েছে জাতিসংঘের ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং দল।
বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের আমন্ত্রণে উদ্ভূত মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনার স্বাধীন ও নিরপেক্ষ তদন্ত পরিচালনা করছে জাতিসংঘের মানবাধিকার অফিস। সোমবার (১৬ই সেপ্টেম্বর) এই সংক্রান্ত সংবাদ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে তারা।
এতে বলা হয়, চলতি বছরের ১ জুলাই থেকে ১৫ আগস্ট পর্যন্ত মানবাধিকার লঙ্ঘন এবং ক্ষমতার অপব্যবহার সম্পর্কিত প্রাথমিক তথ্য দেয়ার জন্য সব ব্যক্তি, গোষ্ঠী ও সংস্থাকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।
এই ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং দল এমন সব তথ্য চেয়ে অনুরোধ করেছে যেগুলো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পাওয়া যাবে না এবং প্রকাশিত বা প্রচার হয়নি। OHCHR-FFTB-Submissions@un.org – এই ই-মেইলে সব তথ্য জমা দিতে অনুরোধ করেছে দলটি।
ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তি, আইন প্রয়োগকারী সংস্থার কর্মকর্তা, চিকিৎসা পেশাজীবী এবং ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শীদের সাক্ষাৎকার নেয়ার পরিকল্পনাও রয়েছে তদন্ত দলের। তবে এই ফ্যাক্ট-ফাইন্ডিং দলের তদন্ত কোনো আইনি তদন্ত নয়। এটি যেকোনো জাতীয় ফৌজদারি বিচার প্রক্রিয়া থেকে স্বাধীনভাবে পরিচালিত।
এই তথ্য অনুসন্ধান প্রক্রিয়াতে কঠোরভাবে গোপনীয়তা বজায় রাখা হবে। তদন্ত চলাকালীন দলের সদস্যরা কোনো গণমাধ্যমে সাক্ষাৎকার দেবেন না। তারা সবাইকে তথ্য অনুসন্ধান প্রক্রিয়ার গোপনীয়তার প্রতি শ্রদ্ধাশীল হওয়ার জন্য বিনীত অনুরোধ করেছে।
ঘটনাস্থলে পরিচালিত পরীক্ষা- নীরিক্ষা ও উপাত্ত বিশ্লেষণের পর, তদন্তের প্রধান ফলাফল, উপসংহার ও সুপারিশসহ একটি বিস্তারিত মানবাধিকার প্রতিবেদন প্রকাশ করবে জাতিসংঘের মানবাধিকার অফিস।