অর্থনীতি
যাত্রী সংকটে নভোএয়ারের ভারতগামী ফ্লাইট বন্ধ ঘোষণা

যাত্রী খরায় পুরোপুরি বন্ধ হলো নভোএয়ারের ভারতগামী ফ্লাইট। সোমবার (১৬ সেপ্টেম্বর) থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ হয়ে গেল এয়ারলাইন্সটির ঢাকা টু কলকাতা ফ্লাইট।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, নয়া দিল্লি ভিসা নিয়ে কঠোর অবস্থান থেকে না সরলে ক্ষতির মুখে পড়বে দু’দেশ। শিগগিরই দরকার সমাধান।
গত ৫ আগস্টের পর বাংলাদেশিদের ভিসা দেয়া নিয়ে নয়া দিল্লির কঠোর অবস্থানের মুখে একের পর কমতে থাকে ভারতগামী ফ্লাইট। বিমান বাংলাদেশ, ইউএস বাংলার ফ্লাইট সংখ্যা কমেছে অর্ধেকের বেশি। এমন বাস্তবতায় অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ হলো নভোএয়ারের ঢাকা টু কলকাতা ফ্লাইট।
এর আগে নভোএয়ারের ভারতগামী ফ্লাইট ছিল সপ্তাহে ৭টি। শুধু এই ফ্লাইটেই মাসে প্রায় ২ হাজার ১০০ যাত্রী যাতায়ত করতেন ঢাকা-কলকাতা রুটে। ভিসা কড়াকড়িতে যাত্রী খরায় ফ্লাইট সংখ্যা কমিয়ে ৩টি করা হলেও পাওয়া যাচ্ছিল না অর্ধেক যাত্রীও। অবশেষে ফ্লাইট বন্ধের পথেই হাঁটে এয়ারলাইন্সটি।
নভোএয়ারের হেড অব মার্কেটিং অ্যান্ড সেলস মেসবাহ-উল ইসলাম বলেন, প্রতিদিন একটি করে ফ্লাইট পরিচালিত হত। যাত্রী সংখ্যা কম হওয়ার কারণে মাঝখানে আমরা কমিয়ে সপ্তাহে ৩টি ফ্লাইট পরিচালনা করি। এখন যাত্রী তো একেবারে কমে গেছে। তাই এ পরিস্থিতিতে আপাতত ফ্লাইট বন্ধ রাখতে বাধ্য হয়েছি।
এদিকে, অর্ধেকের বেশি কমে ইউএস- বাংলার ঢাকা টু কলকাতা রুটে ১৪টির জায়গায় চলছে মাত্র ৬টি ফ্লাইট। বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ঢাকা-কলকাতা রুটে সপ্তাহে ১৪টির জায়গায় যাচ্ছে ৭টি ফ্লাইট।
এমআই

অর্থনীতি
২০ দিনে রেমিট্যান্স এলো ২৩ হাজার ২১৬ কোটি টাকা

চলতি মাস সেপ্টেম্বরের প্রথম ২০ দিনে ১৯০ কোটি ৩০ লাখ ডলার রেমিট্যান্স বা প্রবাসী আয় এসেছে দেশে। দেশীয় মুদ্রায় প্রায় ২৩ হাজার ২১৬ কোটি ৬০ লাখ টাকা (প্রতি ডলার ১২২ টাকা ধরে)।
বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র আরিফ হোসেন খান জানান, সেপ্টেম্বরের ২০ দিনে ১৯০ কোটি ৩০ লাখ ডলারের রেমিট্যান্স এসেছে। যা গত বছরের (২০২৪ সালের সেপ্টেম্বরের ২০ দিন) একই সময়ের চেয়ে ২৮ কোটি ৯০ ডলার বেশি। গত বছরের একই সময়ে রেমিট্যান্স আসার পরিমাণ ছিল ১৬১ কোটি ৪০ লাখ ডলার।
আর চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাই থেকে সেপ্টেম্বরের ২০ দিন পর্যন্ত ৬৮০ কোটি ৩০ লাখ ডলার। যা গত ২০২৪-২৫ অর্থবছরে এসেছিল ৫৭৫ কোটি ২০ লাখ ডলার। অর্থবছর হিসাবে গত অর্থবছরে একই সময়ের চেয়ে ১০৫ কোটি ১০ ডলার বেশি এসেছে। যা প্রবৃদ্ধি হয়েছে ১৮ দশমিক ৩০ শতাংশ।
চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাইয়ে দেশে এসেছিল ২৪৭ কোটি ৭৯ লাখ ১০ হাজার ডলারের রেমিট্যান্স, যা বাংলাদেশি টাকায় প্রায় ৩০ হাজার ২৩৯ কোটি টাকা। আর সদ্য বিদায়ী আগস্টের পুরো সময়ে এসেছিল ২৪২ কোটি ২০ লাখ ডলার বা ২৯ হাজার ৫৪৮ কোটি ৪০ লাখ টাকার রেমিট্যান্স এসেছে।
এর আগে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের মার্চ মাসে সর্বোচ্চ ৩২৯ কোটি ডলারের রেমিট্যান্স এসেছিল, যা ছিল বছরের রেকর্ড পরিমাণ। আর পুরো অর্থবছর (২০২৪-২৫) জুড়ে প্রবাসী আয় এসেছে ৩০ দশমিক ৩৩ বিলিয়ন ডলার, যা আগের অর্থবছরের তুলনায় ২৬ দশমিক ৮ শতাংশ বেশি। উল্লেখ্য, ২০২৩-২৪ অর্থবছরে রেমিট্যান্স এসেছিল ২৩ দশমিক ৯১ বিলিয়ন ডলার।
২০২৪-২৫ অর্থবছরের মাসভিত্তিক রেমিট্যান্স প্রবাহ ছিল নিম্নরূপ: জুলাই: ১৯১.৩৭ কোটি ডলার, আগস্ট: ২২২.১৩ কোটি ডলার, সেপ্টেম্বর: ২৪০.৪১ কোটি ডলার, অক্টোবর: ২৩৯.৫০ কোটি ডলার, নভেম্বর: ২২০ কোটি ডলার, ডিসেম্বর: ২৬৪ কোটি ডলার, জানুয়ারি: ২১৯ কোটি ডলার, ফেব্রুয়ারি: ২৫৩ কোটি ডলার, মার্চ: ৩২৯ কোটি ডলার, এপ্রিল: ২৭৫ কোটি ডলার, মে: ২৯৭ কোটি ডলার এবং জুন: ২৮২ কোটি ডলারের রেমিট্যান্স।
বিশ্লেষকরা বলছেন, সরকার ঘোষিত প্রণোদনা ও প্রবাসী আয়ের পথ সহজ করায় রেমিট্যান্স প্রবাহ ইতিবাচক ধারায় রয়েছে।
অর্থনীতি
সিসিসিআই নির্বাচন: ২৪ পরিচালক পদে ৭১ জনের মনোনয়ন পেশ

শতবর্ষী বাণিজ্য সংগঠন চিটাগাং চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (সিসিসিআই) নির্বাচনে ২৪টি পরিচালক পদের জন্য মোট ৭১ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। রোববার ( ২১ সেপ্টেম্বর) বিকেলে চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়ে তারা এই মনোনয়নপত্র জমা দেন। এই নির্বাচনে দুটি প্যানেলে প্রার্থীদের প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার সম্ভাবনা রয়েছে।
জানা গেছে, গত ১১ আগস্ট চিটাগাং চেম্বারের ২০২৫-২৬ এবং ২০২৬-২৭ মেয়াদের পরিচালকমণ্ডলীর নির্বাচনের তফশিল ঘোষণা করে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় (বাণিজ্য সংগঠন-১) কর্তৃক গঠিত নির্বাচন বোর্ড। ১৪ সেপ্টেম্বর প্রকাশিত চূড়ান্ত ভোটার তালিকায় মোট ছয় হাজার ৭৮০ জন সদস্য রয়েছেন। এর মধ্যে সাধারণ সদস্য চার হাজার একজন, সহযোগী সদস্য দুই হাজার ৭৬৪ জন, টাউন অ্যাসোসিয়েশনের সদস্য পাচঁজন এবং ট্রেড গ্রুপের ১০ জন সদস্য রয়েছে।
আগামী ১ নভেম্বর সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত বিরতিহীনভাবে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচিত পরিচালকদের মধ্যে সাধারণ ক্যাটাগরিতে ১২ জন, সহযোগী ক্যাটাগরিতে ৬ জন, ট্রেড গ্রুপে ৩ জন এবং টাউন অ্যাসোসিয়েশন গ্রুপে ৩ জন থাকবেন।
সীকম গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ আমিরুল হক একটি প্যানেলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন। তিনি বলেন, আনন্দমুখর পরিবেশে প্রার্থীরা মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। এটি ব্যবসায়ীদের ভোট, কোনো রাজনৈতিক প্রতিযোগিতা নয়। আমরা চাই নির্বাচিত যেই আসুক, সবাই একসঙ্গে চট্টগ্রামের ব্যবসা, বাণিজ্য, বিনিয়োগ এবং কর্মসংস্থান নিয়ে কাজ করবে। চট্টগ্রামের প্রতি বিদ্যমান বৈষম্য দূর করতেও আমরা কথা বলবো।
আরেক প্যানেলে প্রধান হিসেবে মনোনয়ন জমা দিয়েছেন চট্টগ্রাম সচেতন ব্যবসায়ী সমাজের আহ্বায়ক এসএম নুরুল হক। তিনি বলেন, গত ২০ বছর ধরে চিটাগাং চেম্বারে সুন্দর নির্বাচন দেখা যায়নি। আমরা চাই ভোটাররা কেন্দ্রে এসে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করুক এবং যোগ্য নেতৃত্ব নির্বাচন করুক। নির্বাচনী কার্যক্রমে কোনো বাধা না থাকায় আমরা খুশি।
ফ্রেশ ফ্রুটস অ্যান্ড ভেজিটেবলস এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মাহবুবু রানা বলেন, দীর্ঘদিন পর চিটাগাং চেম্বারে একটি সত্যিকারের নির্বাচন হচ্ছে। আমরা ভোটারদের প্রতি আহ্বান জানাব, তারা যেন কেন্দ্রে এসে সঠিক নেতৃত্ব নির্বাচনের জন্য ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন।
অর্থনীতি
ই-ব্যাংকিংয়ে লেনদেন বেড়েছে ৮ হাজার ৫৩৫ কোটি টাকা

দেশে ইন্টারনেট ব্যাংকিংয়ের ব্যবহার দিন দিন বেড়েই চলেছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ প্রতিবেদনে দেখা যায়, চলতি বছরের জুন মাসে ইন্টারনেট ব্যাংকিং ও অ্যাপসের মাধ্যমে লেনদেন হয়েছিল ১ লাখ ৪ হাজার ৯৩৫ কোটি টাকা। জুলাই মাসে সেই অঙ্ক বেড়ে দাঁড়ায় ১ লাখ ১৩ হাজার ৪৭০ কোটি টাকা। অর্থাৎ এক মাসে লেনদেন বেড়েছে ৮ হাজার ৫৩৫ কোটি টাকা।
ব্যাংক কর্মকর্তাদের মতে, তথ্যপ্রযুক্তির অগ্রগতির সঙ্গে সঙ্গে গ্রাহকরা সশরীরে ব্যাংকে না গিয়ে অনলাইন ব্যাংকিং ও অ্যাপস ব্যবহারকে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছেন। সাম্প্রতিক সময়ে কেনাকাটা ও বিল পরিশোধের ক্ষেত্রেও ইন্টারনেট ব্যাংকিংয়ের ব্যবহার উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে।
তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের জুনে ইন্টারনেট ব্যাংকিং গ্রাহক ছিল ১ কোটি ১৩ লাখ ৬৬ হাজার ৫৬৩ জন। জুলাইয়ে তা বেড়ে দাঁড়ায় ১ কোটি ১৬ লাখ ৪২ হাজার ৫৯৪ জন। অর্থাৎ মাত্র এক মাসেই নতুন গ্রাহক যোগ হয়েছে ২ লাখ ৭৬ হাজার ৩১ জন। একই সময়ে লেনদেন সংখ্যাও বেড়েছে—জুনে লেনদেন হয়েছিল ১ কোটি ৮৩ লাখ ৫ হাজার ২৪টি, আর জুলাইয়ে তা দাঁড়িয়েছে ২ কোটি ৩ লাখ ৬১ হাজার ৭৮২টিতে।
দেশের বিভিন্ন ব্যাংকের মধ্যে ইসলামী ব্যাংকের সেলফিন অ্যাপস ও ইন্টারনেট প্ল্যাটফর্মে সর্বাধিক লেনদেন হয়, যা মোট লেনদেনের প্রায় অর্ধেক। এর পরেই রয়েছে ডাচ্-বাংলা ব্যাংকের নেক্সাস পে, সিটি ব্যাংকের সিটি টাচ, ব্র্যাক ব্যাংকের আস্থা, ইস্টার্ণ ব্যাংকের স্কাই ব্যাংকিংসহ আরও কয়েকটি ব্যাংকের অ্যাপস।
অতীতে কেনাকাটা বা বিল পরিশোধের জন্য নগদ টাকা বা ব্যাংকের লাইনের ওপরই নির্ভর করতে হতো। মোবাইল রিচার্জও করতে হতো দোকান থেকে। কিন্তু প্রযুক্তির প্রসারে এখন গ্রাহকেরা ঘরে বসেই বিভিন্ন ব্যাংকিং সেবা পাচ্ছেন। বর্তমানে প্রায় ৮০ লাখ গ্রাহক নিয়মিত ইন্টারনেট ব্যাংকিং ও অ্যাপসের মাধ্যমে লেনদেন করছেন। এসব সেবার মাধ্যমে সহজেই টাকা স্থানান্তর, বিল পরিশোধ, রিচার্জ, টিকিট ক্রয়, কার্ড বিল প্রদানসহ নানা কাজ সম্পন্ন করা যাচ্ছে।
অর্থনীতি
দুই মাসে এনবিআরের রাজস্ব ঘাটতি ৬ হাজার ৫৭৭ কোটি টাকা

আন্দোলন থেমে যাওয়ার পরও রাজস্ব আদায়ে ভালো করতে পারেনি জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। চলতি অর্থবছরের প্রথম দুই মাসে (জুলাই–আগস্ট) শুল্ক–কর আদায়ে ঘাটতি হয়েছে সাড়ে ছয় হাজার কোটি টাকা।
আজ রবিবার গত জুলাই–আগস্টের শুল্ক–কর আদায়ের হালনাগাদ চিত্র প্রকাশ করেছে এনবিআর। সেখানে দেখা গেছে, গত জুলাই–আগস্টে এনবিআরের রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্য ছিল ৬১ হাজার কোটি টাকা। কিন্তু এ সময়ে আদায় হয়েছে ৫৪ হাজার ৪২৩ কোটি টাকা এবং ঘাটতি ৬ হাজার ৫৭৭ কোটি টাকা।
গত মে ও জুনে এনবিআরের আন্দোলনের কারণে গত অর্থবছরের বড় আকারের রাজস্ব ঘাটতি হয়। শেষ দুই মাসে কাঙ্ক্ষিত রাজস্ব হয়নি। আন্দোলনের নানা কর্মসূচিতে রাজস্ব আদায় বিঘ্ন হয়। কিন্তু জুলাই–আগস্টেও রাজস্ব আদায়ে গতি আসেনি।
এনবিআরের কয়েকজন কর্মকর্তা জানান, আন্দোলনের পর এনবিআরের কর্মকর্তাদের মধ্যে বরখাস্ত ও বদলি–আতঙ্ক বিরাজ করছে। রাজস্ব আদায়ে মনোযোগ কম।
এনবিআরের হিসাবে, এ বছরের জুলাই–আগস্টে ভ্যাট থেকে সবচেয়ে বেশি রাজস্ব আদায় হয়। এই খাত থেকে আদায় হয়েছে ২২ হাজার ৪৩৭ কোটি টাকা। এ ছাড়া কাস্টমস খাতে ১৭ হাজার ২৪৮ কোটি টাকা এবং আয়করে ১৪ হাজার ৭৩৮ কোটি টাকা আদায় হয়।
অর্থনীতি
অর্থনীতির মূল লক্ষ্য হতে হবে ব্যয় থেকে উদ্বৃত্ত তৈরি করা: বাণিজ্য উপদেষ্টা

আমাদের অর্থনীতির মূল লক্ষ্য হতে হবে ব্যয় থেকে উদ্বৃত্ত তৈরি করা– বলে মন্তব্য করেছেন বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন। তিনি বলেন, আমরা ৪০০ বিলিয়ন ডলারের অর্থনীতির দেশ। তা সত্ত্বেও কেন আমরা উদ্বৃত্ত হতে পারছি না? সম্পদের পর্যাপ্ততা বিবেচনা না করেই যদি আমরা অতিরিক্ত ব্যয় করি, তখন তো উদ্বৃত্ত আসবে না। নিজস্ব সক্ষমতায় ব্যয় থেকে উদ্বৃত্ত তৈরি করে আমাদের ভবিষ্যৎ শক্তিশালী অর্থনীতি গড়ে তুলতে হবে।
রবিবার (২১ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর তেজগাঁও শিল্প এলাকায় ‘অটোমোবাইলস অ্যান্ড এগ্রো-মেশিনারি ফেয়ার ২০২৫-রোড টু মেইড ইন বাংলাদেশ’ মেলার সমাপনী দিনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
বাংলাদেশ অটোমোবাইলস অ্যাসেম্বলার্স অ্যান্ড ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন ও অ্যাগ্রিকালচার মেশিনারি ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন বাংলাদেশের সহযোগিতায় এ মেলার আয়োজন করেছে বাংলাদেশ চেম্বার অব ইন্ডাস্ট্রিজ (বিসিআই)।
বাণিজ্য উপদেষ্টা বলেন, আমাদেরকে নিজস্ব সক্ষমতার ওপর ভিত্তি করে এগিয়ে যেতে হবে। পলিসি সাপোর্ট দিয়ে বেশি দূর যাওয়া সম্ভব না। আমাদের দেশে গার্মেন্টস সেক্টর ছাড়া অন্য কোনো সেক্টর পলিসি সাপোর্ট নিয়ে কিছুই করতে পারেনি।
শেখ বশিরউদ্দীন বলেন, স্বাধীনতার পূর্বে আমাদের শিল্পের যে বৈশিষ্ট্য ছিল, এখন সেটি নেই। পূর্বে এখানে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের ইন্ডাস্ট্রি গড়ে উঠেছিল। এখন সেটি নেই। আমরা স্বাধীনতার পর সেই সুযোগ কাজে লাগাতে পারিনি।
অনুষ্ঠানে সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অর্থনীতিবিদ হোসেন জিল্লুর রহমান। প্যানেল আলোচক ছিলেন ডিসিসিআই প্রেসিডেন্ট তাসকিন আহমেদ, এফবিসিসিআই সাবেক প্রেসিডেন্ট ও হামিম গ্রুপের কর্ণধার এ কে আজাদ, বারবিডা সভাপতি আব্দুল হক প্রমুখ।
প্রসঙ্গত, নাবিস্কো বাসস্ট্যান্ডের কাছে এডিসন প্রাইম ভবনে অবস্থিত বিসিআই অফিস ভবনের টপ ফ্লোরে দুই দিনব্যাপী এ মেলা শুরু হয় শনিবার (২০ সেপ্টেম্বর)। এতে কৃষি যন্ত্রপাতি ও হালকা প্রকৌশল খাতের ২৬টি স্টল এবং ১২টি শিল্প সহায়ক প্রতিষ্ঠানের স্টল রয়েছে। শিল্প মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান মেলার উদ্বোধন করেন।