পুঁজিবাজার
লভ্যাংশ সংক্রান্ত তথ্য জানালো ছয় মিউচুয়াল ফান্ড
পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ছয় মিউচুয়াল ফান্ড লভ্যাংশ সংক্রান্ত তথ্য ঘোষণা করেছে। ফান্ডগুলো হলো- এক্সিম ব্যাংক ফার্স্ট মিউচুয়াল ফান্ড, ফার্স্ট বাংলাদেশ ফিক্সড ইনকাম ফান্ড, ফার্স্ট জনতা ব্যাংক মিউচুয়াল ফান্ড, আইএফআইসি ব্যাংক ফার্স্ট মিউচুয়াল ফান্ড, ট্রাস্ট ব্যাংক ফার্স্ট মিউচুয়াল ফান্ড এবং ইবিএল ফার্স্ট মিউচুয়াল ফান্ড।
ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সূত্র মতে, গত ৩০, ২০২৪ তারিখে সমাপ্ত হিসাববছরের জন্য ফান্ডগুলো বিনিয়োগকারীদের জন্য কোন লভ্যাংশ প্রদান করবে না। একইসাথে আগামী ৬ অক্টোবর সবগুলো ফান্ডের রেকর্ড তারিখ ঘোষণা করা হয়েছে।
একনজরে ছয় মিউচুয়াল ফান্ডের তথ্য
এক্সিম ব্যাংক ফার্স্ট মিউচুয়াল ফান্ড: গত ৩০, ২০২৪ তারিখে সমাপ্ত হিসাববছর শেষে ফান্ডটির ইউনিট প্রতি লোকসান হয়েছে ১ টাকা ৯১ পয়সা। আগের বছর একই সময়ে ২০ পয়সা লোকসান ছিল। সমাপ্ত বছর শেষে ফান্ডটির বাজার মূল্যে এনএভি ছিল ৮ টাকা ১৬ পয়সা।
ফার্স্ট বাংলাদেশ ফিক্সড ইনকাম ফান্ড: গত ৩০, ২০২৪ তারিখে সমাপ্ত হিসাববছর শেষে ফান্ডটির ইউনিট প্রতি লোকসান হয়েছে ১ টাকা ৮২ পয়সা। আগের বছর একই সময়ে ১১ পয়সা লোকসান ছিল। সমাপ্ত বছর শেষে ফান্ডটির বাজার মূল্যে এনএভি ছিল ৮ টাকা ৩২ পয়সা।
ফার্স্ট জনতা ব্যাংক মিউচুয়াল ফান্ড: গত ৩০, ২০২৪ তারিখে সমাপ্ত হিসাববছর শেষে ফান্ডটির ইউনিট প্রতি লোকসান হয়েছে ২ টাকা ২৪ পয়সা। আগের বছর একই সময়ে ৩২ পয়সা লোকসান ছিল। সমাপ্ত বছর শেষে ফান্ডটির বাজার মূল্যে এনএভি ছিল ৭ টাকা ৫৪ পয়সা।
আইএফআইসি ব্যাংক ফার্স্ট মিউচুয়াল ফান্ড: গত ৩০, ২০২৪ তারিখে সমাপ্ত হিসাববছর শেষে ফান্ডটির ইউনিট প্রতি লোকসান হয়েছে ১ টাকা ৭৯ পয়সা। আগের বছর একই সময়ে ২২ পয়সা লোকসান ছিল। সমাপ্ত বছর শেষে ফান্ডটির বাজার মূল্যে এনএভি ছিল ৮ টাকা ১৯ পয়সা।
ট্রাস্ট ব্যাংক ফার্স্ট মিউচুয়াল ফান্ড: গত ৩০, ২০২৪ তারিখে সমাপ্ত হিসাববছর শেষে ফান্ডটির ইউনিট প্রতি লোকসান হয়েছে ১ টাকা ৯৬ পয়সা। আগের বছর একই সময়ে ১০ পয়সা লোকসান ছিল। সমাপ্ত বছর শেষে ফান্ডটির বাজার মূল্যে এনএভি ছিল ৮ টাকা ১৬ পয়সা।
ইবিএল ফার্স্ট মিউচুয়াল ফান্ড: গত ৩০, ২০২৪ তারিখে সমাপ্ত হিসাববছর শেষে ফান্ডটির ইউনিট প্রতি লোকসান হয়েছে ১ টাকা ৮৯ পয়সা। আগের বছর একই সময়ে ২৯ পয়সা লোকসান ছিল। সমাপ্ত বছর শেষে ফান্ডটির বাজার মূল্যে এনএভি ছিল ৭ টাকা ৮৮ পয়সা।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুঁজিবাজার
পর্ষদ সভা করবে কে অ্যান্ড কিউ
পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানি কে অ্যান্ড কিউ বাংলাদেশ লিমিটেড পর্ষদ সভার তারিখ ঘোষণা করেছে। আগামী ১ ডিসেম্বর বিকাল সাড়ে ৩টায় কোম্পানিটির পর্ষদ সভা অনুষ্ঠিত হবে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সূত্র মতে, আলোচিত সভায় ৩০ সেপ্টেম্বর,২০২৪ তারিখে সমাপ্ত প্রথম প্রান্তিকের (জুলাই’২৪-সেপ্টেম্বর’২৪) অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করা হবে। পর্ষদ এ প্রতিবেদন অনুমোদন করলে তা প্রকাশ করবে কোম্পানিটি।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুঁজিবাজার
পর্ষদ সভার তারিখ জানালো দুলামিয়া কটন
পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানি দুলামিয়া কটন স্পিনিং মিলস লিমিটেড পর্ষদ সভার তারিখ ঘোষণা করেছে। আগামী ২ ডিসেম্বর বিকাল সাড়ে ৩টায় কোম্পানিটির পর্ষদ সভা অনুষ্ঠিত হবে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সূত্র মতে, আলোচিত সভায় ৩০ সেপ্টেম্বর,২০২৪ তারিখে সমাপ্ত প্রথম প্রান্তিকের (জুলাই’২৪-সেপ্টেম্বর’২৪) অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করা হবে। পর্ষদ এ প্রতিবেদন অনুমোদন করলে তা প্রকাশ করবে কোম্পানিটি।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুঁজিবাজার
জেড ক্যাটাগরিতে ন্যাশনাল ফিড
পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ন্যাশনাল ফিড মিল লিমিটেডের ক্যাটাগরি পরিবর্তন করা হয়েছে। কোম্পানিটিকে ‘বি’ ক্যাটাগরি থেকে ‘জেড’ ক্যাটাগরিতে স্থানান্তরিত করা হয়েছে।
ঢাকা স্টক এক্সচঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সূত্র মতে, বিএসইসির শর্ত অনুযায়ী টানা দুই বছর লভ্যাংশ ঘোষণা করতে ব্যর্থ হওয়ায় কোম্পানিটিকে ‘জেড’ ক্যাটাগরিতে স্থানান্তর করা হয়। আজ (২৬ নভেম্বর) থেকে কোম্পানিটি ‘জেড’ ক্যাটাগরিতে লেনদেন করবে।
এদিকে ক্যাটাগরি পরিবর্তনের কারণে কোম্পানিটিকে ঋণ সুবিধা দিতে ব্রোকার হাউজ এবং মার্চেন্ট ব্যাংককে নিষেধ করেছে ডিএসই। যা আজ থেকে কার্যকর হবে।
উল্লেখ্য, গত ২০ মে বিএসইসির জেড শ্রেণি নিয়ে জারি করা নির্দেশনায় বলা হয়- পরপর দুই বছর বিনিয়োগকারীদের কোনো লভ্যাংশ না দিলে, আইন অনুযায়ী নিয়মিত এজিএম না করলে, সুনির্দিষ্ট কোনো কারণ ছাড়া ছয় মাসের বেশি উৎপাদন বা কার্যক্রম বন্ধ থাকলে, পুঞ্জীভূত লোকসান পরিশোধিত মূলধনের বেশি হলে, নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ঘোষিত লভ্যাংশের ন্যূনতম ৮০ শতাংশ বিতরণ না করলে কোনো কোম্পানিকে ‘জেড’ শ্রেণিভুক্ত করা যাবে।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুঁজিবাজার
জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারি থেকে পুঁজিবাজারে টাকা আসবে: আবু আহমেদ
আগামী জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারি সুদের হার কমতে পারে। আর সুদের হার কমলে পুঁজিবাজারে টাকা আসা শুরু করবে বলে মন্তব্য করেছেন আইসিবি চেয়ারম্যান অধ্যাপক আবু আহমেদ।
সোমবার (২৫ নভেম্বর) রাজধানীর রেডিসন ব্লু হোটেলে ‘বাংলাদেশের পুঁজিবাজারের সম্ভাবনা ও চ্যালেঞ্জ’ শীর্ষক এক আলোচনা সভার আয়োজন করে বাংলাদেশ মার্চেন্ট ব্যাংকার্স এ্যাসোসিয়েশন। এসময় তিনি এসব কথা বলেন।
আইসিবি চেয়ারম্যান অধ্যাপক আবু আহমেদ বলেন, প্রাইস সেনসেটিভ ইনফরমেশন অনেক ক্ষেত্রে ভূয়া। এসব তথ্য প্রকাশের পর দেখা যায় শেয়ারের দাম অনেক বেড়ে গেছে। এরপর দেখা গেলো আর্থিক প্রতিবেদনের তথ্য সঠিক না। কিছু প্রণোদনা ছাড়া ভালো কোম্পানি পুঁজিবাজারে আনা কঠিন। সরকার কোথাও কোনো টাকা দিতে চায় না। বাংলাদেশ ব্যাংক আরও বেশি দিতে চায়না। এরপরও পুঁজিবাজারের জন্য আইসিবিকে টাকা দেওয়া হচ্ছে। মার্কেটের সমস্যাগুলো অনেক আগেই চিহ্নত করা হয়েছে।
আইসিবিকে টাকা দিলে পুঁজিবাজারের স্বার্থে ব্যবহার করা হবেও জানান তিনি।
এসময় অর্থ সচিব বলেন, এখন দেশের পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে পুঁজিবাজারের সমস্যাগুলো আজকের আলচনায় উঠে এসেছে। সরকার সহ বড় বড় সবাই ব্যাংক থেকে ঋণ নেয়। এখন ব্যাংকগুলোর অবস্থা শোচনীয়। এজন্য দীর্ঘমেয়াদী অর্থায়নের জন্য পুঁজিবাজারে আসতে হবে, এজন্য মানসিকতার পরিবর্তন করতে হবে
তিনি আরও বলেন, আইসিবি সরকারের পক্ষে কাজ করছে। বিএসইসি রেগুলেশন নিয়ে কাজ করছে। আইসিবিকে যে ৩ হাজার কোটি টাকা দিচ্ছে, তা পুঁজিবাজারের প্রতি সরকারের পজিটিভ চিন্তার ফল।
অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব নাজমা মোবারেক। ইনভেস্টমেন্ট কর্পোরেশন অব বাংলাদেশের (আইসিবি) অধ্যাপক আবু আহমেদ, আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের অতিরিক্ত সচিব অমল কৃষ্ণ মন্ডল, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সদস্য (কর নীতি) একেএম বদিউল আলম, বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর জাকির হোসেন চৌধুরী, বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের চেয়ারম্যান (বিএসইসি) খন্দকার রাশেদ মকসুদ, বিএসইসির কমিশনার মহসিন চৌধুরী, আলী আকবর, ফারজানা লালারুখ, ফারুক আহমদ সিদ্দিকী।
এছাড়া আরও উপস্থিত ছিলেন ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) চেয়ারম্যান মুমিনুল ইসলাম, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) চেয়ারম্যান একেএম হাবিবুর রহমান, বিএসইসির সাবেক কমিশনার আরিফ খান, ডিএসই ব্রোকার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের সভাপতি সাইফুল ইসলাম, বাংলাদেশ মোর্চেন্ট ব্যাংকার্স অ্যাসোসিয়েশনের সদস্য মিনহাজ জিয়া।
বিএসইসি কমিশনার আলী আকবর বলেন, পুঁজিবাকারে অনেকগুলো আইন রয়েছে। কমিশন অনেকদূর এগিয়েছি। আমরা এখন কেউ বলতে পারবো না যে, আমরা চাপে আছি। এমন পরিস্থিতিতে যার যার যায়গা থেকে পুঁজিবাজারকে এগিয়ে নিতে না পারি তাহলে সবার ব্যর্থতা হবে। এখন থেকে পুঁজিবাজার তার নিজের গতিতে চলবে।
বিএসইসির সাবেক চেয়ারম্যান ফারুক আহমেদ সিদ্দিক বলেন, ট্যাক্স জিডিপি রেশিও আমাদের বড় দুর্বলতা। এরজন্য সরকারকে অর্থের জন্য ব্যাংক খাতের উপর নির্ভরতা বাড়ছে। আমাদের এখানে আইন বেশি হয়, তবে এর প্রয়োগ কম হয়। পুঁজিবাজারে কোনো সুশাসন নেই। বাজারে বিনিয়োগ না হলে ভালো কোম্পানি কেন আসবে। আইপিওর প্রাইসিং পলিসি নিয়ে টাস্কফোর্সের কাজ করা উচিত।
বিএমবিএর প্রেসিডেন্ট মাজেদা খাতুন বলেন, বিএমবিএ পুঁজিবাজারের চাহিদা ও যোগান দুই পাশেই কাজ করে। বাংলাদেশের পুঁজিবাজার কাঙ্খিত পর্যায়ে পৌঁছায়নি। নতুন বাংলাদেশে যাতে করে সিদ্ধান্ত নিতে সহায়তা হয় এজন্য আজকের এই আলোচনার আয়োজন করা হয়েছে।
ডিএসইর চেয়ারম্যান মুমিনুল ইসলাম বলেন, আমাদের টেকনোলজিতে বেশ পরিবর্তন এসেছে। তবে ৫ বছর পরে দেখা গেলো পুঁজিবাজারে ডিমিউচুয়ালাইজেশনে দেখা গেছে চাহিদা পূরণ হয়নি। বিনিয়োগকারীরা বিনিয়োগের সিদ্ধান্ত নেয় আর্থিক অবস্থা দেখে। তবে আমাদের আর্থিক প্রতিবেদন বিশ্বাস করার মতো কিনা সেটা নিজেদের প্রশ্ন করা উচিত।
সিএসইর চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমান বলেন, এতদিন আমরা যেসব সমস্যার মুখোমুখি হয়েছি, সেগুলো আবারও বলছি। কারণ বিএসইসি কিছু রিফর্ম উদ্যোগ গ্রহণ করা হছে। সেই রিফর্মের মাধ্যমে আমাদের সমস্যাগুলো সমাধান হবে বলে আশা করছি।
তিনি আরও বলেন, দুই স্টক এক্সচেঞ্জে আলাদাভাবে তালিকাভুক্ত হতে হয়। এতে খরচ বাড়ে বলেও আলোচনায় উঠে এসেছে। এজন্য আঞ্চলিক যেসব কোম্পানি তালিকাভুক্ত হতে চায় সেগুলো সিএসইতে লিস্টেড করা যেতে পারে। এছাড়া মূলধনের ভিত্তিতে কোম্পানিগুলোকে ভাগ করা যায় কিনা সেটি নিয়ে কাজ চলমান রয়েছে।
বাংলাদেশ ফাইন্যান্স ক্যাপিটালের সিইও সুমিত পোদ্দার বলেন, দেশের অর্থনীতিতে মানি মার্কেটের উপর নির্ভরতা বেশি। অথচ আমরা সবসময় বলি, পুঁজিবাজার দীর্ঘমেয়াদী অর্থায়নের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। পুঁজিবাজার থেকে দীর্ঘমেয়াদী অর্থায়ন করার জন্য সরকারের সহায়তা দরকার।
সুমিত পোদ্দার আরও বলেন, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ফ্লোর প্রাইসের ব্যাপক প্রভাব পড়েছে পুঁজিবাজারে। বাজারে আর কখনো ফ্লোর ফেরত আসবে না এখন বিদেশি বিনিয়োগকারীদের এটা ভালো করে বুঝাতে হবে। তাহলে বিদেশি বিনিয়োগকারীরা আবারো আস্থা ফিরে পাবে। পাশাপাশি মার্কেট ডেভেলপমেন্ট করতে ফাইন্যান্সিয়াল লিটেরেসির দিকে নজর দেওয়া যেতে পারে বলেও মনে করছেন তিনি।
বিএসইসির সাবেক কমিশনার আরিফ খান বলেন, মিউচুয়াল ফান্ডের মাধ্যমে বিনিয়োগকারীদের আরও বেশি আকৃষ্ট করা যায়। ভারত এটি করে দেখিয়েছে। বিএসইসিও মিউচুয়াল ফান্ডের উন্নয়ন করতে কাজ করছে। এরফলে বাজারে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী বাড়বে। আমাদের দেশের বাজারে প্রাইস সেনসেটিভ তথ্যের উন্নতিতে কাজ করা দরকার। কারণ একটা কোম্পানি বিক্রি হবে বা বন্ধ হওয়ার একবছর আগেই সবাই জানতে পারে। তবে সেই তথ্য স্টক এক্সচেঞ্জে সেই তথ্য জানানো হয় না।
তিনি আরও বলেন, আমাদের পুঁজিবাজারে সব সমস্যা শুরু হয় ফাইন্যান্সিয়াল ডিসক্লোজার থেকে। ভুল তথ্যের উপর ভ্যালুয়েশন করা হয়। এটি যেন না হয়, সেজন্য ফরেন্সিক আর্থিক প্রতিবেদন তৈরির কাজ স্টক এক্সচেঞ্জ ডিএসইকে দেওয়া উচিত। আমরা এখনো অডিট কোয়ালিটি নিশ্চিত করতে পারিনি।
বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর জাকির হোসেন চৌধুরী বলেন, সিঙ্গেল ব্রোয়ার এক্সপোজার ঝুঁকির সঙ্গে জড়িত। বাজার স্থিতিশীল হলে এক্সপোজার উঠিয়ে আরও বাড়ানো হতে পারে। ব্যাংকগুলো ফাইন্যান্স করার আগে দেখে, ইক্যুয়েটি পার্টিসিপ্যান্ট কতটুকু। পুঁজিবাজার ভালো করতে বাংলাদেশ ব্যাংক আরও ভালো সিদ্ধান্ত নিতে প্রস্তত।
এসএম
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুঁজিবাজার
ডিজিটালাইজেশনের মাধ্যমে শেয়ার কারসাজি দূর করা সম্ভব: অর্থসচিব
পুঁজিবাজারে শেয়ার কারসাজি ডিজিটালাইজেশনের মাধ্যমে দূর করা সম্ভব। এবিষয়ে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) কাজ করবে বলেও মনে করছেন আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব নাজমা মোবারক।
সোমবার (২৫ নভেম্বর) রাজধানীর রেডিসন ব্লু হোটেলে ‘বাংলাদেশের পুঁজিবাজারের সম্ভাবনা ও চ্যালেঞ্জ’ শীর্ষক এক আলোচনা সভার আয়োজন করে বাংলাদেশ মার্চেন্ট ব্যাংকার্স এ্যাসোসিয়েশন। এসময় তিনি এসব কথা বলেন।
অর্থ সচিব বলেন, এখন দেশের পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে পুঁজিবাজারের সমস্যাগুলো আজকের আলচনায় উঠে এসেছে। সরকার সহ বড় বড় সবাই ব্যাংক থেকে ঋণ নেয়। এখন ব্যাংকগুলোর অবস্থা শোচনীয়। এজন্য দীর্ঘমেয়াদী অর্থায়নের জন্য পুঁজিবাজারে আসতে হবে, এজন্য মানসিকতার পরিবর্তন করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, আইসিবি সরকারের পক্ষে কাজ করছে। বিএসইসি রেগুলেশন নিয়ে কাজ করছে। আইসিবিকে যে ৩ হাজার কোটি টাকা দিচ্ছে, তা পুঁজিবাজারের প্রতি সরকারের পজিটিভ চিন্তার ফল।
অনুষ্ঠানে, সভাপতিত্ব করেন বিএমবিএর প্রেসিডেন্ট মাজেদা খাতুন।
অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব নাজমা মোবারেক। ইনভেস্টমেন্ট কর্পোরেশন অব বাংলাদেশের (আইসিবি) অধ্যাপক আবু আহমেদ, আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের অতিরিক্ত সচিব অমল কৃষ্ণ মন্ডল, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সদস্য (কর নীতি) একেএম বদিউল আলম, বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর জাকির হোসেন চৌধুরী, বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের চেয়ারম্যান (বিএসইসি) খন্দকার রাশেদ মকসুদ, বিএসইসির কমিশনার মহসিন চৌধুরী, আলী আকবর, ফারজানা লালারুখ, ফারুক আহমদ সিদ্দিকী।
এছাড়া আরও উপস্থিত ছিলেন ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) চেয়ারম্যান মুমিনুল ইসলাম, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) চেয়ারম্যান একেএম হাবিবুর রহমান, বিএসইসির সাবেক কমিশনার আরিফ খান, ডিএসই ব্রোকার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের সভাপতি সাইফুল ইসলাম, বাংলাদেশ মোর্চেন্ট ব্যাংকার্স অ্যাসোসিয়েশনের সদস্য মিনহাজ জিয়া।
বিএসইসি কমিশনার আলী আকবর বলেন, পুঁজিবাকারে অনেকগুলো আইন রয়েছে। কমিশন অনেকদূর এগিয়েছি। আমরা এখন কেউ বলতে পারবো না যে, আমরা চাপে আছি। এমন পরিস্থিতিতে যার যার যায়গা থেকে পুঁজিবাজারকে এগিয়ে নিতে না পারি তাহলে সবার ব্যর্থতা হবে। এখন থেকে পুঁজিবাজার তার নিজের গতিতে চলবে।
আইসিবি চেয়ারম্যান অধ্যাপক আবু আহমেদ বলেন, প্রাইস সেনসেটিভ ইনফরমেশন অনেক ক্ষেত্রে ভূয়া। এসব তথ্য প্রকাশের পর দেখা যায় শেয়ারের দাম অনেক বেড়ে গেছে। এরপর দেখা গেলো আর্থিক প্রতিবেদনের তথ্য সঠিক না। কিছু প্রণোদনা ছাড়া ভালো কোম্পানি পুঁজিবাজারে আনা কঠিন। সরকার কোথাও কোনো টাকা দিতে চায় না। বাংলাদেশ ব্যাংক আরও বেশি দিতে চায়না। এরপরও পুঁজিবাজারের জন্য আইসিবিকে টাকা দেওয়া হচ্ছে। মার্কেটের সমস্যাগুলো অনেক আগেই চিহ্নত করা হয়েছে।
আইসিবিকে টাকা দিলে পুঁজিবাজারের স্বার্থে ব্যাবহার করা হবে। আগামী জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারি সুদের হার কমতে পারে। আর সুদের হার কমলে পুঁজিবাজারে টাকা আসা শুরু করবে বলেও মনে করছেন আইসিবি চেয়ারম্যান।
বিএসইসির সাবেক চেয়ারম্যান ফারুক আহমেদ সিদ্দিক বলেন, ট্যাক্স জিডিপি রেশিও আমাদের বড় দুর্বলতা। এরজন্য সরকারকে অর্থের জন্য ব্যাংক খাতের উপর নির্ভরতা বাড়ছে। আমাদের এখানে আইন বেশি হয়, তবে এর প্রয়োগ কম হয়। পুঁজিবাজারে কোনো সুশাসন নেই। বাজারে বিনিয়োগ না হলে ভালো কোম্পানি কেন আসবে। আইপিওর প্রাইসিং পলিসি নিয়ে টাস্কফোর্সের কাজ করা উচিত।
বিএমবিএর প্রেসিডেন্ট মাজেদা খাতুন বলেন, বিএমবিএ পুঁজিবাজারের চাহিদা ও যোগান দুই পাশেই কাজ করে। বাংলাদেশের পুঁজিবাজার কাঙ্খিত পর্যায়ে পৌঁছায়নি। নতুন বাংলাদেশে যাতে করে সিদ্ধান্ত নিতে সহায়তা হয় এজন্য আজকের এই আলোচনার আয়োজন করা হয়েছে।
ডিএসইর চেয়ারম্যান মুমিনুল ইসলাম বলেন, আমাদের টেকনোলজিতে বেশ পরিবর্তন এসেছে। তবে ৫ বছর পরে দেখা গেলো পুঁজিবাজারে ডিমিউচুয়ালাইজেশনে দেখা গেছে চাহিদা পূরণ হয়নি। বিনিয়োগকারীরা বিনিয়োগের সিদ্ধান্ত নেয় আর্থিক অবস্থা দেখে। তবে আমাদের আর্থিক প্রতিবেদন বিশ্বাস করার মতো কিনা সেটা নিজেদের প্রশ্ন করা উচিত।
সিএসইর চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমান বলেন, এতদিন আমরা যেসব সমস্যার মুখোমুখি হয়েছি, সেগুলো আবারও বলছি। কারণ বিএসইসি কিছু রিফর্ম উদ্যোগ গ্রহণ করা হছে। সেই রিফর্মের মাধ্যমে আমাদের সমস্যাগুলো সমাধান হবে বলে আশা করছি।
তিনি আরও বলেন, দুই স্টক এক্সচেঞ্জে আলাদাভাবে তালিকাভুক্ত হতে হয়। এতে খরচ বাড়ে বলেও আলোচনায় উঠে এসেছে। এজন্য আঞ্চলিক যেসব কোম্পানি তালিকাভুক্ত হতে চায় সেগুলো সিএসইতে লিস্টেড করা যেতে পারে। এছাড়া মূলধনের ভিত্তিতে কোম্পানিগুলোকে ভাগ করা যায় কিনা সেটি নিয়ে কাজ চলমান রয়েছে।
বাংলাদেশ ফাইন্যান্স ক্যাপিটালের সিইও সুমিত পোদ্দার বলেন, দেশের অর্থনীতিতে মানি মার্কেটের উপর নির্ভরতা বেশি। অথচ আমরা সবসময় বলি, পুঁজিবাজার দীর্ঘমেয়াদী অর্থায়নের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। পুঁজিবাজার থেকে দীর্ঘমেয়াদী অর্থায়ন করার জন্য সরকারের সহায়তা দরকার।
সুমিত পোদ্দার আরও বলেন, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ফ্লোর প্রাইসের ব্যাপক প্রভাব পড়েছে পুঁজিবাজারে। বাজারে আর কখনো ফ্লোর ফেরত আসবে না এখন বিদেশি বিনিয়োগকারীদের এটা ভালো করে বুঝাতে হবে। তাহলে বিদেশি বিনিয়োগকারীরা আবারো আস্থা ফিরে পাবে। পাশাপাশি মার্কেট ডেভেলপমেন্ট করতে ফাইন্যান্সিয়াল লিটেরেসির দিকে নজর দেওয়া যেতে পারে বলেও মনে করছেন তিনি।
বিএসইসির সাবেক কমিশনার আরিফ খান বলেন, মিউচুয়াল ফান্ডের মাধ্যমে বিনিয়োগকারীদের আরও বেশি আকৃষ্ট করা যায়। ভারত এটি করে দেখিয়েছে। বিএসইসিও মিউচুয়াল ফান্ডের উন্নয়ন করতে কাজ করছে। এরফলে বাজারে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী বাড়বে। আমাদের দেশের বাজারে প্রাইস সেনসেটিভ তথ্যের উন্নতিতে কাজ করা দরকার। কারণ একটা কোম্পানি বিক্রি হবে বা বন্ধ হওয়ার একবছর আগেই সবাই জানতে পারে। তবে সেই তথ্য স্টক এক্সচেঞ্জে সেই তথ্য জানানো হয় না।
তিনি আরও বলেন, আমাদের পুঁজিবাজারে সব সমস্যা শুরু হয় ফাইন্যান্সিয়াল ডিসক্লোজার থেকে। ভুল তথ্যের উপর ভ্যালুয়েশন করা হয়। এটি যেন না হয়, সেজন্য ফরেন্সিক আর্থিক প্রতিবেদন তৈরির কাজ স্টক এক্সচেঞ্জ ডিএসইকে দেওয়া উচিত। আমরা এখনো অডিট কোয়ালিটি নিশ্চিত করতে পারিনি।
বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর জাকির হোসেন চৌধুরী বলেন, সিঙ্গেল ব্রোয়ার এক্সপোজার ঝুঁকির সঙ্গে জড়িত। বাজার স্থিতিশীল হলে এক্সপোজার উঠিয়ে আরও বাড়ানো হতে পারে। ব্যাংকগুলো ফাইন্যান্স করার আগে দেখে, ইক্যুয়েটি পার্টিসিপ্যান্ট কতটুকু। পুঁজিবাজার ভালো করতে বাংলাদেশ ব্যাংক আরও ভালো সিদ্ধান্ত নিতে প্রস্তত।