জাতীয়
স্বাস্থ্য সংস্কার কমিটি থেকে সভাপতির পদত্যাগ
স্বাস্থ্য খাতে সংস্কারবিষয়ক বিশেষজ্ঞ প্যানেলের সভাপতির পদ থেকে সরে দাঁড়ালেন অধ্যাপক এম এ ফয়েজ। শুক্রবার (১৩ সেপ্টেম্বর) বিকেলে স্বাস্থ্যসচিব বরাবর পদত্যাগপত্র পাঠান তিনি।
গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন এম এ ফয়েজ নিজেই। শুক্রবার সন্ধ্যায় এম এ ফয়েজ বলেন, তিনি ব্যক্তিগত কারণে পদত্যাগ করেছেন। তার পক্ষে দায়িত্ব পালন করা সম্ভব হচ্ছে না।
দেশের স্বাস্থ্যব্যবস্থার বিষয়ভিত্তিক প্রয়োজনীয় সংস্কার, চিকিৎসাসেবার গুণগত মান উন্নয়ন ও স্বাস্থ্যব্যবস্থার কাঠামো শক্তিশালী করতে গত ৩ সেপ্টেম্বর বিশেষজ্ঞদের সমন্বয়ে একটি প্যানেল গঠন করে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। ১১ সদস্যের এই প্যানেলের সভাপতি করা হয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সাবেক মহাপরিচালক এম এ ফয়েজকে।
কমিটি গঠনের পর থেকেই নানা সমালোচনা শুরু হয়। কমিটিতে শুধু বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের রাখা হয়েছে। কমিটিতে কোনো জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ, পুষ্টি বিশেষজ্ঞ, জনসংখ্যা বিশেষজ্ঞ রাখা হয়নি। বিএনপি–সমর্থিত চিকিৎসকদের সংগঠন ডক্টরস অ্যাসোসিয়েন অব বাংলাদেশ (ড্যাব) সংবাদ সম্মেলনে আনুষ্ঠানিকভাবে এই কমিটিকে প্রত্যাখ্যান করেছে।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
বাংলাদেশকে শতভাগ শুল্কমুক্ত বাজার সুবিধা দেবে চীন
চীন বাংলাদেশকে শতভাগ শুল্কমুক্ত বাজার সুবিধা দেবে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন। গত বৃহস্পতিবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পররাষ্ট্র সচিব জসিম উদ্দিনের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতে এ কথা জানান।
সাক্ষাৎ শেষে পররাষ্ট্র সচিব বলেন, চীনের রাষ্ট্রদূত আমাদের যেটি জানিয়েছেন, কয়েকদিন আগে সেপ্টেম্বরের প্রথম সপ্তাহে সিনো-আফ্রিকান যে শীর্ষ সম্মেলন হয়েছে সেখানে একটি সিদ্ধান্ত হয়েছে যে বাংলাদেশসহ স্বল্পোন্নত দেশগুলোকে শতভাগ শুল্কমুক্ত বাজার সুবিধা দেবে চীন।
২০২২ সালে চীন ৯৮ শতাংশ বাংলাদেশি পণ্যে শুল্কমুক্ত সুবিধা দেয়, যার মধ্যে চামড়া ও চামড়াজাত পণ্যসহ ৩৮৩টি নতুন পণ্য ছিল। ২০২০ সালে ৯৭ শতাংশ বাংলাদেশি পণ্য এই সুবিধা পেতো।
বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় বাণিজ্যিক অংশীদার চীন। ২০২২-২৩ অর্থ বছরে চীন থেকে ১৮ দশমিক ছয় বিলিয়ন ডলার মূল্যমানের পণ্য আমদানি করে বাংলাদেশ। অপরদিকে, বাংলাদেশ থেকে চীনে রপ্তানি হয় ৬৭৬ মিলিয়ন ডলারের পণ্য।
জসিম জানান, অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের পর চীন থেকেই সবচেয়ে বেশি সরাসরি বিদেশি বিনিয়োগ এসেছে, যার পরিমাণ আট মিলিয়ন ডলার।
তিনি বলনে, ‘আমরা আশা করছি চীনে রপ্তানির পরিমাণ আরও বাড়বে’। তিনি জানান, দেশ থেকে চীনে আম রপ্তানির প্রক্রিয়া মোটামুটি চূড়ান্ত হয়েছে।
‘আগামী বছর থেকেই চীনে আম রপ্তানি শুরু হবে’, যোগ করেন পররাষ্ট্র সচিব। তিনি আরও জানান, কাঁঠাল ও পেয়ারার মতো অন্যান্য ফলও রপ্তানি করা হবে।
২০২০ অর্থবছরে চীন দুই দশমিক চার ট্রিলিয়ন মূল্যমানের পণ্য আমদানি করে, যার মধ্যে বাংলাদেশের অংশ মাত্র শুন্য দশমিক শুন্য পাঁচ শতাংশ। এই তথ্য এটাই নির্দেশ করছে যে চীনের সঙ্গে বাণিজ্য সম্প্রসারণের বিপুল সম্ভাবনা রয়েছে।
রিসার্চ অ্যান্ড পলিসি ইন্টিগ্রেশন ফর ডেভেলপমেন্টের চেয়ারম্যান এমএ রাজ্জাক একটি গবেষণাপত্রে উল্লেখ করেন, চীনের আমদানি বাজেটের এক শতাংশও যদি বাংলাদেশ থেকে যায়, তাহলেও আমরা বছরে ২৫ বিলিয়ন ডলার উপার্জন করতে পারব।
তবে অর্থনীতিবিদরা মন্তব্য করেন, চীনের বাজারে বড় আকারে প্রবেশ করত এহলে বাংলাদেশকে তাদের রপ্তানি পণ্যে আরও বৈচিত্র্য আনতে হবে। এ মুহুর্তে এটি বড় আকারে তৈরি পোশাকের ওপর নির্ভরশীল।
‘আমরা আঞ্চলিক ও বহুপাক্ষিক বিষয়গুলো নিয়েও আলোচনা করেছি। একে অপরকে আন্তর্জাতিক ফোরামে সহায়তার বিষয়ে আলোচনা হয়েছে’, যোগ করেন জসিম।
তিনি জানান, ইয়াও ওয়েন বাংলাদেশকে বন্যা ব্যবস্থাপনায় সহায়তার প্রস্তাব দিয়েছেন।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর ছেলে জ্যোতি গ্রেপ্তার
সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খানের ছেলে সাফি মুদ্দাসির খান জ্যোতিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ঢাকার আশুলিয়া থানার একটি মামলায় গতকাল শুক্রবার রাতে রাজধানী থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে ঢাকা জেলা পুলিশ।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ঢাকা জেলার পুলিশ সুপার (এসপি) আহম্মদ মুঈদ।
এসপি বলেন, ঢাকা জেলার আশুলিয়া থানায় দায়ের করা একটি মামলায় সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের ছেলে সাফি মুদ্দাসির খান জ্যোতিকে শুক্রবার রাত সাড়ে ৩টার দিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রিমান্ডে নিতে আদালতে পাঠানো হবে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
তরুণীকে কান ধরিয়ে ওঠবস করানো সেই যুবক ডিবি হেফাজতে
কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে এক তরুণীকে কান ধরিয়ে ওঠবস-মারধর করানোর দায়ে ফারুকুল ইসলাম নামে এক যুবককে গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) নিদের হেফাজতে নিয়েছে বলে জানা গেছে।
শুক্রবার (১৩ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাতে তাকে হেফাজতে নেওয়া হয়েছে বলে জানান কক্সবাজার জেলা পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের ওসি জাবেদ মাহমুদ। ডিবি জানিয়েছে, অভিযুক্ত ফারুকুল ইসলামের বাড়ি চট্টগ্রামের সাতকানিয়া উপজেলায়।
ডিবির ওসি জানান, সৈকতে এক নারীকে কান ধরিয়ে উঠবস এবং মারধর করায় অভিযুক্ত যুবক ফারুকুল ইসলামকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডিবি হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। তবে এখনো আটক বা গ্রেপ্তার দেখানো হয়নি।
এর আগে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের সুগন্ধা পয়েন্টে এক তরুণীকে কান ধরে উঠবস এবং মারধর করা হচ্ছে; এ রকম একটি ভিডিও শুক্রবার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়। ভিডিওতে দেখা যায়, রাতে সৈকতে এক তরুণীকে কান ধরিয়ে ওঠবস করানো এবং লাঠি দিয়ে পেটানো হচ্ছে এবং তা পাশে দাঁড়িয়ে দেখছেন একদল অতিউৎসাহী জনতা।
কান ধরে ওঠবস করানোর ওই ভিডিও ছাড়াও ফেসবুকে আরও দু’টি ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে। এর একটিতে দেখা যায়, সৈকতে চেয়ারে বসা এক নারীকে একদল যুবক গিয়ে চলে যেতে বলছেন। এক পর্যায়ে তাঁকে পেটানোর ভয় দেখিয়ে চলে যেতে বাধ্য করা হয়। সেখানেও লাঠি হাতে ওই যুবককে দেখা যায়।
আনেকটি দেখা যায়, কক্সবাজার সমুদ্রসৈকতের ‘কড়াই’ রেস্তোরাঁর সামনে টুরিস্ট পুলিশ বক্সে পুলিশ সদস্যের সামনে ভীতসন্ত্রস্ত এক নারী। মোবাইল ফোন চাচ্ছেন আর উপস্থিত জনতার কাছে বারবার ক্ষমা চাচ্ছেন। তিনি (নারী) বলছেন, তার ফোনটা ফেরত দিলেই টিকিট কেটে চলে যাবেন।
এ ধরনের ভিডিও ছড়িয়ে পড়লে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নিন্দা ও ক্ষোভের ঝড় ওঠে। কেউ কেউ আবার যৌনকর্মী- তৃতীয় লিঙ্গের বলে হেনস্তাকারীদের পক্ষে ও সাফাই গাইছেন।
সচেতন মহলের অভিযোগ, ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের পর থেকে ছাত্র বা সমন্বয়ক পরিচয় ব্যবহার করে এখন অনেকেই বিভিন্ন জায়গায় আইন নিজের হাতে তুলে নিচ্ছে।
তবে এ প্রসঙ্গে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কক্সবাজারের সমন্বয়কেরা বলছেন, সৈকতে নারীকে পেটানো যুবক বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেউ নয়। এমন অপরাধের সঙ্গে আমাদেরও কেউ জড়িত থাকলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হোক।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
ঢাকায় মার্কিন প্রতিনিধি দল, বিকেলে আসবেন লু
যুক্তরাষ্ট্রে অর্থ দপ্তরের সহকারী আন্ডার সেক্রেটারি ব্রেন্ট নেইম্যানের নেতৃত্বে উচ্চ পর্যায়ের ৫ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল ঢাকায় এসে পৌঁছেছে।
মার্কিন এই প্রতিনিধি দলটি ঢাকায় এলেও এখনো ভারতে অবস্থান করছেন মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের দক্ষিন ও মধ্য এশিয়া বিষয়ক অ্যাসিসট্যান্ট সেক্রেটারি ডোনাল্ড লু।
দিল্লি সফর শেষে শনিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) বিকেলে ঢাকায় আসবেন ডোনাল্ড লু। অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর যুক্তরাষ্ট্রের কোনো প্রতিনিধি দলের এটাই প্রথম ঢাকা সফর।
ঢাকায় এসে ডোনাল্ড লু বাংলাদেশের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক এগিয়ে নিতে অন্তর্বর্তী সরকারের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন সংস্থার কয়েকটি সমন্বিত বৈঠকে অংশ নেবেন।
এবারের সফরে তিনি ভারত ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে স্থিতিশীলতা ও যুক্তরাষ্ট্রের অংশীদারদের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জনে দেশটি কী সহায়তা দিতে পারে, তা নিয়ে কাজ করবেন।
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের পর ঢাকা যুক্তরাষ্ট্রের প্রথম উচ্চ পর্যায়ের একটি প্রতিনিধিদলকে স্বাগত জানিয়ে বিস্তৃত ও বহুমুখী আলোচনার প্রস্তুতি নিচ্ছে। মার্কিন প্রতিনিধিদের সফরকালে প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস, পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন, অর্থ ও বাণিজ্য উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ ও পররাষ্ট্রসচিব মো. জসীম উদ্দিনের সঙ্গে বৈঠকের কথা রয়েছে।
জানা গেছে, পররাষ্ট্র সচিব মো. জসিম উদ্দিন একটি মধ্যাহ্নভোজের আয়োজন করবেন, এতে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধিরা উপস্থিত থাকবেন। লু’র সফর প্রসঙ্গে পররাষ্ট্র সচিব গণমাধ্যমকে বলেছেন, আলোচনায় শুধু একটি নয়, বিস্তৃত বিষয় থাকবে।
৫ আগস্ট শেখ হাসিনার সরকার পতনের পর ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে প্রধান করে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন করা হয় এবং দ্রুত নতুন সরকারকে অভিনন্দন জানানোর পাশাপাশি সহযোগিতার প্রতিশ্রুতি দেয় যুক্তরাষ্ট্র। এর ধারাবাহিকতায় দেশটির প্রতিনিধিদল ঢাকায় আসছে আলোচনার জন্য। ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর এটি হবে ওয়াশিংটন থেকে উচ্চপর্যায়ের কোনো প্রতিনিধিদলের প্রথম বাংলাদেশ সফর।
এ ছাড়া যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য প্রতিনিধি (ইউএসটিআর) এবং মার্কিন সরকারের অধীন বেসামরিক বৈদেশিক সাহায্য প্রদানকারী সংস্থা ইউএসএআইডির প্রতিনিধিরাও দলে রয়েছেন। প্রতিনিধিদলটি আগামীকাল রোববার অন্তর্বর্তী সরকারের বিভিন্ন উপদেষ্টা ও সংস্থার সঙ্গে বৈঠক করবে বলে কূটনৈতিক সূত্রে জানা গেছে।
কূটনৈতিক সূত্রে জানা গেছে, প্রতিনিধিদলটি অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূসের সঙ্গে রোববার সকালে সাক্ষাৎ করবে। এ ছাড়া অর্থ উপদেষ্টা সালেহ উদ্দিন আহমেদ, পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেনের সঙ্গেও বৈঠক করবে দলটি। পরে পররাষ্ট্র সচিবের সঙ্গে ওয়ার্কিং লাঞ্চ করবেন মার্কিন অতিথিরা। পৃথকভাবে দলের কয়েকজন সদস্য বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ও অর্থ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে টেকনিক্যাল মিটিং করবেন।
এদিকে, গত ১০ সেপ্টেম্বর ওয়াশিংটনে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্রের দপ্তর এক বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারকে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি, আর্থিক স্থিতিশীলতা ও উন্নয়নের চাহিদা মেটাতে যুক্তরাষ্ট্র কীভাবে সহায়তা করতে পারে, তা নিয়ে আলোচনার জন্য ওয়াশিংটন থেকে একটি প্রতিনিধিদল ঢাকা সফর করবে।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
বিএসএফের গুলি, সীমান্তে ১৫ বছরে ছয় শতাধিক হত্যা
সীমান্তে গত ১৫ বছরে ছয় শতাধিক বাংলাদেশিকে হত্যা করেছে ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনী-বিএসএফ। বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি সংস্থা ও গণমাধ্যমের খবরে এ তথ্য উঠে এসেছে। চলতি বছরের সেপ্টেম্বরেও ৮ দিনের ব্যবধানে দুজনকে গুলি করে হত্যা করে বিএসএফ। গত মাসেও তিনজন নিহত ও তিনজন আহত হয়েছে।
সীমান্ত হত্যা শূন্যে নামিয়ে আনার জন্য বাংলাদেশের পক্ষ থেকে অনেক দিন ধরে তাগিদ দেয়া হচ্ছে ভারতকে। বিএসএফ ও বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) মধ্যে সীমান্ত সম্মেলন বা পতাকা বৈঠকে হয়। সেখানে প্রতিবারই সীমান্তে আর গুলি চালাবে না বলে প্রতিশ্রুতি দেয় বিএসএফ। কিন্তু সেই প্রতিশ্রুতি আর রক্ষা হয় না।
এসব হত্যাকাণ্ডের একটিরও বিচার হয়নি। এমনকি বিএসএফ বা ভারত সরকার হত্যাকাণ্ডের কোনো ঘটনায় কখনো উদ্বেগও প্রকাশ করেনি। এমন পরিস্থিতিতে বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, জবাবদিহির বাইরে থাকার কারণেই মূলত সীমান্ত হত্যা বন্ধ হচ্ছে না। আন্তর্জাতিক আইন কোনো বাহিনীকে বিশ্বের কোথাও নিরস্ত্র বেসামরিক নাগরিকদের গুলি বা নির্যাতন করার অনুমতি দেয় না। তাই এই মুহূর্তে সুষ্ঠু সমাধান জরুরি। কারণ বিজিবির গুলিতে তো কেউ মারা যাচ্ছে না।
আইন ও সালিশ কেন্দ্রের (আসক) পরিসংখ্যান বলছে, ২০০৯ থেকে ২০২৪ সালের জুন পর্যন্ত বিএসএফের গুলিতে ও নির্যাতনে অন্তত ৬০৭ জন বাংলাদেশির মৃত্যু হয়েছে। এ ছাড়া অধিকার নামের একটি মানবাধিকার সংস্থার মতে, ২০০৯ থেকে চলতি বছরের জুন পর্যন্ত বিএসএফ সদস্যদের হাতে অন্তত ৫৮২ বাংলাদেশি নিহত এবং ৭৬১ জন আহত হয়েছে।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্রিমিনোলজি অ্যান্ড পুলিশ সায়েন্স বিভাগের সভাপতি সাখাওয়াত হোসেন জানান, সীমান্ত হত্যাকাণ্ডের ব্যাপারটি খুবই উদ্বেগের ও দুশ্চিন্তার। হত্যাকাণ্ডের স্থানটি নির্ধারণ হলেই বেশ কিছু বিষয় সামনে চলে আসবে। নো ম্যানস ল্যান্ড অতিক্রম করার আগেই অপর পাশ থেকে গুলি আসে কি না এটা চিহ্নিত করা জরুরি। সীমান্তে প্রবেশ করলেও সরাসরি নিরস্ত্র মানুষকে গুলি করার বিধান নেই।
সাখাওয়াত হোসেনের মতে, প্রতিটি হত্যাকাণ্ডের ব্যাপারে ভারতকে লিখিতভাবে অভিযোগ করে অফিশিয়ালি জবাব চাইতে পারে বাংলাদেশ। যদি এতে সমাধান না হয়, তাহলে বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক আদালতের দ্বারস্থ হতে পারে। দেশীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত আইনের মাধ্যমে সীমান্ত হত্যা বন্ধে বাংলাদেশ সরকারকে ব্যবস্থা নিতে হবে।
মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্রিমিনোলজি ও পুলিশ সায়েন্স বিভাগের অধ্যাপক মুহাম্মদ উমর ফারুক জানান, সীমান্তে হত্যার পরিসংখ্যান মূলত গণমাধ্যমের প্রতিবেদনের ভিত্তিতে করা। প্রকৃতপক্ষে হত্যার সংখ্যা বেশি, যা পরিসংখ্যানে আসে না। আন্তর্জাতিকভাবে সীমান্ত হত্যার যে আইন আছে, বাংলাদেশ সরকার ন্যূনতমভাবে তা প্রয়োগ করেনি। তাই আজও এর সমাধান হয়নি।
কাফি