ব্যাংক
আনসার-ভিডিপি ব্যাংকের নতুন চেয়ারম্যান মোতালেব সাজ্জাদ
আনসার-ভিডিপি উন্নয়ন ব্যাংকের চেয়ারম্যান পদে নিয়োগ পেয়েছেন বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর মহাপরিচালক মেজর জেনারেল আবদুল মোতালেব সাজ্জাদ মাহমুদ । সোমবার (৯ সেপ্টেম্বর) অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ একটি প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে এ তথ্য জানিয়েছে।
সাজ্জাদ মাহমুদ ১৯৯০ সালে বাংলাদেশ মিলিটারি একাডেমিতে অফিসার ক্যাডেট হিসেবে যোগ দেন। ১৯৯২ সালে ২৬তম দীর্ঘমেয়াদি কোর্সে পদাতিক কোরে কমিশন লাভ করেন। তার সামরিক জীবন শুরু হয় ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের ৯ম ব্যাটালিয়নে।
তিনি কানাডায় ইউনিমস্ক এবং যুক্তরাজ্য থেকে ইন্টারন্যাশনাল জয়েন্ট অপারেশনাল প্ল্যানিং কোর্স করেছেন। ন্যাশনাল ডিফেন্স ইউনিভার্সিটি, চায়না থেকে মাস্টার্স অব মিলিটারি সায়েন্স স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজ করেছেন। তিনি ডিএসসিএসসি এবং এনডিসি থেকে গ্র্যাজুয়েশন করেছেন।
তিনি চীনের ন্যাশনাল ডিফেন্স ইউনিভার্সিটি থেকে মাস্টার্স অব মিলিটারি সাইন্স স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজ সম্পন্ন করেছেন এবং মিরপুরের ডিফেন্স সার্ভিসেস কমান্ড অ্যান্ড স্টাফ কলেজ ও ন্যাশনাল ডিফেন্স কলেজ থেকে গ্র্যাজুয়েশন করেন।
মেজর জেনারেল আবদুল মোতালেব সাজ্জাদ মাহমুদ পার্বত্য চট্টগ্রামে পরিচালিত অপারেশন দাবানল চলাকালে বিলাইছড়ি জোনের সীমান্তবর্তী এলাকায় সন্ত্রাসী গুপ্তাশ্রয়ে সফল হানা পরিচালনার জন্য সেনা গৌরব পদক (এসজিপি) অর্জন করেন।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুঁজিবাজার
আইএফআইসি ব্যাংকের চাকরিচ্যুতদের পুনর্বহালের দাবিতে মানববন্ধন
পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত আইএফআইসি ব্যাংকের চাকরিচ্যুত কর্মকর্তারা চাকরি ফিরিয়ে দেওয়ার দাবিতে বাংলাদেশ ব্যাংকের সামনে মানববন্ধন ও অবস্থান কর্মসূচী পালন করেছেন।
আজ সোমবার (৯ সেপ্টেম্বর) সকাল থেকে ব্যাংকটির চাকরিচ্যুত কর্মকর্তারা তাদের দাবি নিয়ে বিভিন্ন ব্যানারে মানববন্ধনে অংশ নেন।
চাকরিচ্যুত কর্মকর্তাদের অভিযোগ, ব্যাংকের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা অন্যায়ভাবে তাদের চাকরিচ্যুত করেন। ব্যাংকের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) শাহ আলম সারোয়ারের আমলে অন্যায় ভাবে তাদের চাকরিচ্যুত করা হয়।
এসময় তাঁরা, সাবেক এমডি শাহ আলম সারোয়ারের আমলে অন্যায় ভাবে চাকরিচ্যুত সকল কর্মকর্তাদের চাকুরিতে বহাল করার দাবি জানান।
এসএম
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
ব্যাংক
বিএবির নতুন সভাপতি আব্দুল হাই সরকার
বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকস (বিএবি) সভাপতি হয়েছেন ঢাকা ব্যাংকের চেয়ারম্যান আব্দুল হাই সরকার। সোমবার (৯ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর গুলশানে বিএবি আয়োজিত এক বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। তিনি সাবেক চেয়ারম্যান নজরুল ইসলামের স্থলাভিষিক্ত হবেন।
জানা যায়, বিএবি সভাপতি হয়েছেন ঢাকা ব্যাংকের চেয়ারম্যান আব্দুল হাই সরকার, আর ভাইস চেয়ারম্যান হয়েছেন ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকের চেয়ারম্যান আব্দুল মান্নান ও ব্যাংক এশিয়ার চেয়ারম্যান রোমো রউফ চৌধুরী।
সংগঠনটির সর্বশেষ চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম মজুমদার ২০০৮ সালের জানুয়ারি থেকে টানা ক্ষমতায় ছিলেন। যদিও বিএবির নিয়ম অনুযায়ী, এক কমিটির মেয়াদ তিন বছর।
আওয়ামী লীগ সরকার পরিবর্তনের পর নজরুল ইসলাম মজুমদারকে এক্সিম ব্যাংকের পরিচালক ও চেয়ারম্যান পদ থেকে সরিয়ে দেয় বাংলাদেশ ব্যাংক। ফলে বিএবির চেয়ারম্যান পদও হারান তিনি।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
দেউলিয়া অবস্থায় আছে দেশের ১০ ব্যাংক: গভর্নর মনসুর
বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুর বলেছেন, দেশের ১০টি ব্যাংক ইতোমধ্যে দেউলিয়া অবস্থায় আছে, আমরা চাই না কোনও ব্যাংক বন্ধ হোক। গ্রাহকদের স্বার্থকে আমরা সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিব।
আজ রোববার (৮ সেপ্টেম্বর) বিকেলে সাংবাদিকদের সঙ্গে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে গভর্নর এসব কথা বলেন।
আহসান এইচ মনসুর বলেন, ‘আমাদের চেষ্টা থাকবে দেউলিয়া পর্যায়ে থাকা ব্যাংকগুলো যেন ঘুরে দাঁড়াতে পারে, আমরা সেই চেষ্টা করব। ব্যাংকগুলোকে টেকনিক্যাল, অ্যাডভাইজারি ও লিকিউডিটি সুবিধা দিব।’
গভর্নর বলেন, ব্যাংক যে অবস্থাতেই থাকুক গ্রাহকদের কোনো ক্ষতি হবে না। এজন্য আমানতের সুরক্ষা বীমার পরিমাণ ১ লাখ টাকা থেকে বাড়িয়ে ২ লাখ টাকা করা হয়েছে। দেশের ব্যাংক খাতের ৯৫ শতাংশ গ্রাহকদের স্বার্থ নিশ্চিত হবে।
তিনি আরো বলেন, ‘কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পক্ষ থেকে কোন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের একাউন্ট ফ্রিজ করা হয়নি। যেকোনো ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান হোক- তাদের কার্যক্রম স্বাভাবিক অবস্থানে চলবে। তাদের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতনভাতা দিবে। কেউ কেউ এই বিষয়গুলো নিয়ে অপপ্রচার চালিয়েছে, হতে পা্রে কোন ব্যাংক নিজ থেকে অতি-উৎসাহিত হয়ে করেছে।’
গভর্নর বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছে ২৫ হাজার কোটি টাকার ফান্ড রয়েছে, যা বিতরণ হচ্ছে না। ব্যাংকের সমস্যাগুলো লিখিত আকারে দিতে বলা হয়েছে। নমনীয় ভাবে এসএমই খাতে এসব ফান্ড বিতরণ করা হবে।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
বাংলাদেশ ব্যাংকে নতুন দুই ডেপুটি গভর্নর নিয়োগ
বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক মো. জাকির হোসেন চৌধুরী ও ড. মো. কবির আহাম্মদকে ডেপুটি গভর্নর হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। রোববার (৮ সেপ্টেম্বর) অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত এক প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।
বিভাগের উপসচিব আফসানা বিলকিস স্বাক্ষরিত এ প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক মো. জাকির হোসেন চৌধুরী এবং ড. মো. কবির আহাম্মদকে বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর পদে তাদের যোগদানের তারিখ থেকে ৩ (তিন) বছরের জন্য চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ প্রদান করা হলো।
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর বাংলাদেশ ব্যাংকের দুই ডেপুটি গভর্নর কাজী সাইদুর রহমান ও খুরশীদ আলম পদত্যাগ করেন। ফলে ডেপুটি গভর্নরের দুটি পদ ফাঁকা হয়।
নতুন ডেপুটি গভর্নর নিয়োগের জন্য গত ১২ আগস্ট সাবেক কম্পট্রোলার অ্যান্ড অডিটর জেনারেল মোহাম্মদ মুসলিম চৌধুরীকে আহ্বায়ক একটি সার্চ কমিটি গঠন করে সরকার।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
এক্সিম ব্যাংককে হাজার কোটি টাকা ধার দিল কেন্দ্রীয় ব্যাংক
বেসরকারি খাতের এক্সিম ব্যাংককে ১ হাজার কোটি টাকার বিশেষ ধার দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। সাড়ে ১০ শতাংশ সুদে ৯০ দিনের জন্য এ অর্থ দেওয়া হয়েছে। প্রচলিত পদ্ধতিতে টাকা ধার নেওয়ার জন্য ব্যাংকটির কাছে বন্ড না থাকায় ডিমান্ড প্রমিসরি (ডিপি) নোটের বিপরীতে এ অর্থ দেওয়া হয়েছে। ফলে কেন্দ্রীয় ব্যাংককে টাকা ছাপিয়ে এই অর্থ দিতে হয়েছে।
গত ৩ সেপ্টেম্বর এই অর্থ ধার দেয় বাংলাদেশ ব্যাংক। সংশ্লিষ্ট সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সূত্র বলছে, শর্ত সাপেক্ষে কেন্দ্রীয় ব্যাংক এই অর্ধ ধার দিয়েছে। শুধু রপ্তানি কার্যক্রম অব্যাহত রাখার স্বার্থে এই টাকা ব্যবহার করা যাবে। সেই সঙ্গে শ্রমিকদের মজুরি ও বেতন–ভাতা দেওয়ার জন্য অর্থ ব্যবহার করা যাবে। এই অর্থ কোনোভাবে নগদে দেওয়া যাবে না, বরং ব্যাংক হিসাব বা মোবাইলে আর্থিক সেবা (এমএফএস) হিসাবে টাকা দিতে হবে।
এক্সিম ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মোহাম্মদ ফিরোজ হোসেন বলেন, ‘পোশাক খাতের প্রায় ৩০০ প্রতিষ্ঠান আমাদের গ্রাহক। এ ছাড়া পোশাকসংশ্লিষ্ট গ্রাহক রয়েছে আরও ৩০০ প্রতিষ্ঠান। এসব প্রতিষ্ঠানকে প্রায় হাজার কোটি টাকা বেতন হিসেবে পরিশোধ করতে হয়। সে জন্য কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে বিশেষ ব্যবস্থায় টাকা ধার নিতে হয়েছে।’
সংশ্লিষ্টরা জানান, এক্সিম ব্যাংক আগে থেকেই তারল্য সংকটে ছিল। ব্যাংকটি বাংলাদেশ ব্যাংকে বিধিবদ্ধ তারল্য সংরক্ষণে ব্যর্থ হচ্ছে। গত ৫ আগস্ট সরকার পতনের পর থেকে আত্মগোপনে চলে গেছেন ২০০১ সাল থেকে ব্যাংকটির পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করে আসা নজরুল ইসলাম মজুমদার। গত ২৯ আগস্ট মজুমদারকে সরিয়ে ব্যাংকটির পর্ষদ পুনর্গঠন করে দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এর পর গত ৩ সেপ্টেম্বর ১ হাজার কোটি টাকা বিশেষ ধার দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
জানা যায়, এক্সিম ব্যাংক শরিয়াহ নীতিমালার আলোকে পরিচালিত হয়। সাধারণভাবে এ ধরনের ব্যাংক প্রচলিত সুদভিত্তিক রীতিতে টাকা ধার নিতে পারে না। তবে বাংলাদেশ ব্যাংক বিদ্যমান নিয়মে ‘লেন্ডার অব দ্য লাস্ট রিসোর্ট’ হিসেবে সুদভিত্তিক বিশেষ ধার দিতে পারে। এর বিপরীতে স্ট্যান্ডিং লেন্ডিং ফ্যাসিলিটিতে (এসএলএফ) প্রযোজ্য সাড়ে ১০ শতাংশ সুদহার প্রযোজ্য হবে। বাংলাদেশ ব্যাংক অর্ডারের ১৬(৪) (ডি) ধারা ও ১৭(১) (বি) ধারা অনুযায়ী, ৯০ দিন মেয়াদে এ অর্থ দেওয়া হয়। ব্যাংকিং পরিভাষায় যা ওভারনাইট ঋণসুবিধা হিসেবে বিবেচিত।
বিশেষ ব্যবস্থার এই অর্থ ধার দেওয়ার জন্য এক্সিম ব্যাংকের কাছ থেকে সমমূল্যের ‘ডিমান্ড প্রমিসরি নোট’ নেওয়া হয়েছে। এই নোটের অর্থ হলো, কোনো কারণে ব্যাংকটি দেউলিয়া হলে তার সম্পদ বিক্রি করে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের দায় মেটানো হবে।
এমআই