জাতীয়
১৩৭ বাস কেনা নিয়ে কারসাজি, নেপথ্যে সাবেক মন্ত্রী-সচিব

চার হাজার কোটি টাকার বেশি ব্যয়ে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের বিমানবন্দর থেকে গাজীপুর পর্যন্ত প্রায় ২০ কিলোমিটার অংশে বিশেষায়িত লেন গড়ে তোলার কাজ চলছে প্রায় সাত বছর ধরে। আলোচিত এ প্রকল্পের (বিআরটি) কাজ শেষ পর্যায়ে। বিদেশি ঋণের কিস্তি শোধের সময়ও শুরু হয়ে গেছে। কিন্তু এই রাস্তায় চলাচলের ১৩৭টি বাস কেনার প্রক্রিয়া দেড় বছরেও শেষ হয়নি।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, সাবেক সড়ক পরিবহনমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের ও সাবেক সচিব এ বি এম আমিন উল্লাহ নূরী পছন্দের প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে শীতাতপনিয়ন্ত্রিত ১৩৭টি বাস কিনতে চেয়েছিলেন; কিন্তু সেটা করতে না পেরে পুরো প্রক্রিয়াকে ঝুলিয়ে দিয়েছেন।
জানা গেছে, দরপত্রে কারসাজি ধরা পড়ায় তাঁদের পছন্দের প্রতিষ্ঠান বাদ পড়ে যায়। বাকিদের মধ্যে নিয়মানুযায়ী যোগ্য প্রতিষ্ঠানকে কাজ না দিয়ে ‘কার্যকর প্রতিযোগিতা’ হচ্ছে না কারণ দেখিয়ে দরপত্র বাতিল করা হয়। পরবর্তী সময়ে নতুন করে দরপত্র ডাকা হয়। দুই মাস পার হলেও দরপত্রে কারা বা কতটা প্রতিষ্ঠান অংশ নিয়েছে, সেটা আর প্রকাশ করছে না।
এ বিষয়ে তথ্য চেয়ে গত ২৫ জুলাই তথ্য অধিকার আইনে আবেদন করেছিলেন গাজীপুরের বাসিন্দা ও ব্যবসায়ী জান্নাতুল বাকি। তবে তথ্য দিতে অপারগতা জানায় বিআরটি কর্তৃপক্ষ।
সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র জানায়, প্রথম দরপত্রে ছয়টি প্রতিষ্ঠান অংশ নিলেও দ্বিতীয় দরপত্রে অংশ নিয়েছে মাত্র দুটি। প্রথম সর্বনিম্ন দর ছিল প্রায় ১ কোটি ৭৭ লাখ মার্কিন ডলার (১৮৮ কোটি টাকা) এবং দ্বিতীয় সর্বনিম্ন দর ছিল প্রায় ১ কোটি ৯১ লাখ ডলার (২০৩ কোটি টাকা)। তখন ডলারের বিনিময়মূল্য ছিল ১০৬ টাকা।
আর নতুন দরপত্রে সর্বনিম্ন দর পড়েছে প্রায় ৩ কোটি ডলার (৩৬০ কোটি টাকা)। অপরটির দর প্রায় ৯ কোটি ৯৮ লাখ ডলার (প্রায় ১ হাজার ২০০ কোটি টাকা)। যদিও প্রাক্কলিত ব্যয় ধরা হয়েছিল ২০৫ কোটি টাকা।
প্রথম দরপত্রে ছয়টি প্রতিষ্ঠান অংশ নিলেও বলা হয়, কার্যকর প্রতিযোগিতা হয়নি। পরেরটায় মাত্র দুটি প্রতিষ্ঠান অংশ নেওয়ায় এটা কীভাবে কার্যকর প্রতিযোগিতামূলক হচ্ছে, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। অপর দিকে খরচও বাড়ছে অনেক বেশি।
সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে, সাবেক সড়ক পরিবহনমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের ও সাবেক সচিব এ বি এম আমিন উল্লাহ নূরী পছন্দের প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে শীতাতপনিয়ন্ত্রিত ১৩৭টি বাস কিনতে চেয়েছিলেন; কিন্তু সেটা করতে না পেরে পুরো প্রক্রিয়াকে ঝুলিয়ে দিয়েছেন।
শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকে সাবেক সড়ক পরিবহনমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের আত্মগোপনে রয়েছেন। তাই এ বিষয়ে তাঁর বক্তব্য পাওয়া যায়নি। সাবেক সচিব আমিন উল্লাহ নূরীর সঙ্গেও ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হয়। তাঁর ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।
পরে যোগাযোগ করা হয় বিআরটি কোম্পানি লিমিটেডের মহাব্যবস্থাপক মো. মহিউদ্দিনের সঙ্গে। প্রথমবার ছয়টি প্রতিষ্ঠান অংশ নিয়েও প্রতিযোগিতা হয়নি আর এবার দুটি প্রতিষ্ঠান অংশ নিয়ে কীভাবে প্রতিযোগিতা নিশ্চিত হচ্ছে?
এমন প্রশ্নের জবাবে মো. মহিউদ্দিন বলেন, আগেরবার অংশ নেওয়া ছয়টি প্রতিষ্ঠানই ছিল একই দেশের (চীন)। এবার যে দুটি প্রতিষ্ঠান অংশ নিয়েছে, তারা ভিন্ন ভিন্ন দেশের। বৈচিত্র্য আনতে এ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। তিনি জানান, দুটি প্রতিষ্ঠানের আর্থিক মূল্যায়নের কাজ চলছে। এটি চূড়ান্ত হওয়ার পর সর্বনিম্ন দরদাতা প্রতিষ্ঠানকে নোটিফিকেশন অব অ্যাওয়ার্ড (এনওএ) দেওয়া হবে।
কিন্তু এখন যে খরচ অনেক বেড়ে যাচ্ছে, সেটা কেন? এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিআরটি কোম্পানির মহাব্যবস্থাপক মহিউদ্দিন বলেন, বাসের ধরন পরিবর্তন করা হয়েছে বলে খরচও বাড়ছে।
শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকে সাবেক সড়ক পরিবহনমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের আত্মগোপনে রয়েছেন। তাই এ বিষয়ে তাঁর বক্তব্য পাওয়া যায়নি। সাবেক সচিব আমিন উল্লাহ নূরীর সঙ্গেও ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হয়। তাঁর ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।
বিআরটি কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা যায়, এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক, ফরাসি উন্নয়ন সংস্থা এএফডি ও বাংলাদেশ সরকারের যৌথ অর্থায়নে হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে গাজীপুর পর্যন্ত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হচ্ছে। প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের অধীন ঢাকা বাস র্যাপিড ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড (ডিবিআরটিসিএল)। বিমানবন্দর-গাজীপুর বিআরটি পথে বিশেষায়িত এই বাস সেবা পরিচালিত হবে ‘ঢাকা লাইন’ নামে।
এর মধ্যে ঢাকা লাইনের জন্য ১৩৭টি বাস কেনার ঋণসহায়তা দিচ্ছে ফ্রান্স। এ জন্য প্রথম দরপত্র ডাকা হয় গত বছরের ১৪ জানুয়ারি। দরপত্র দাখিল করে ছয়টি প্রতিষ্ঠান। গত বছরের ১৮ এপ্রিল মূল্যায়ন কমিটি চারটি প্রতিষ্ঠানকে কারিগরিভাবে যোগ্য (রেসপনসিভ) ঘোষণা করে। তাতে সর্বনিম্ন দরদাতা হিসেবে চীনের হাইগার বাস কোম্পানি লিমিটেডকে সুপারিশ করা হয়। কিন্তু একই ব্যবসায়ী গ্রুপের আরও একটি প্রতিষ্ঠানও একই দরপত্রে অংশ নেয়; যা বেআইনি। বিষয়টি ধরা পড়ার পর ওই দুই প্রতিষ্ঠানকেই অযোগ্য ঘোষণা করে।
পরে কর্তৃপক্ষ দরপত্র বাতিল করে দিলে, অবশিষ্ট যোগ্য দরদাতার অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে এ বিষয়ে কেন্দ্রীয় ক্রয়সংক্রান্ত কারিগরি ইউনিটের (সিপিটিইউ) রিভিউ প্যানেল দ্বিতীয় সর্বনিম্ন দরদাতাকে কার্যাদেশ দেওয়ার সিদ্ধান্ত দেয়। আইনেও তা–ই আছে। বিআরটি পরে উচ্চ আদালতে যায়। কার্যকর প্রতিযোগিতার ঘাটতির কথা তুলে ধরে নতুন দরপত্র ডাকার আবেদন করে। সেভাবে আদেশও পায়। যোগ্য দরদাতা দাবিদার প্রতিষ্ঠান এই আদেশের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে আবেদন করে, যা বর্তমানে বিচারাধীন।
এরপর গত ১৮ এপ্রিল দ্বিতীয় দফায় দরপত্র আহ্বান করা হয়। যাতে মাত্র দুটি কোম্পানি অংশ নেয়। এরপর থেকে বিষয়টি নিয়ে রাখঢাক করে চলছে বিআরটি কর্তৃপক্ষ।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান বলেন, প্রথমত, বিআরটি প্রকল্পটি নেওয়া কতটা যৌক্তিক ছিল, অন্তর্বর্তী সরকারের তা খতিয়ে দেখা উচিত। দ্বিতীয়ত, উন্নয়নের নামে প্রকল্প নিয়ে প্রভাবশালী ব্যক্তিরা যেভাবে নিজেদের স্বার্থ হাসিল করেছেন, অবৈধ সুবিধা নিয়েছেন, তা খুঁজে বের করতে হবে। তৃতীয়ত, প্রথমবার কেন দরপত্র বাতিল করা হলো, সেটিও অনুসন্ধান করতে হবে। দোষী ব্যক্তিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে না পারলে প্রকল্পে অনিয়ম–দুর্নীতি বন্ধ হবে না বলে মনে করেন তিনি।
প্রসঙ্গত, বাস র্যাপিড ট্রানজিট বা বিআরটি প্রকল্পটির কার্যকারিতা নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়। ২০১২ সালে কাজ শুরু করে ২০১৬ সালে শেষ করার কথা ছিল। কিন্তু কাজ শুরু ২০১৭ সালে। এর মধ্যে তিন দফা সময় বাড়িয়েও প্রকল্পের কাজ শেষ করা যায়নি। প্রকল্পের ব্যয় ২ হাজার ৩৯৮ কোটি টাকা থেকে বেড়ে ৪ হাজার ২৬৮ কোটি টাকায় ঠেকেছে। প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করতে গিয়ে গাফিলতির কারণে ১০ জনের বেশি মানুষ মারা গেছেন। সর্বশেষ প্রাপ্ত খবর অনুযায়ী কাজ শেষ হয়েছে ৮০ শতাংশ। এখন এতে চলাচলের জন্য বাস কেনা নিয়ে নতুন বিতর্ক শুরু হয়েছে।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

জাতীয়
বাংলাদেশকে ৭২৪ কোটি টাকা দেবে জার্মানি

জলবায়ু পরিবর্তন অভিযোজন প্রচেষ্টায় বাংলাদেশকে ৫২ দশমিক ৫ মিলিয়ন ইউরো (প্রায় ৭২৪ কোটি টাকা) দেবে জার্মানি। বুধবার (১৬ এপ্রিল) জার্মান দূতাবাস এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) সচিব মো. শাহরিয়ার কাদের ছিদ্দিকী ও বাংলাদেশে জার্মান রাষ্ট্রদূত আচিম ট্রস্টার আজ দুই দেশের সরকারের পক্ষে এই বিষয়ে একটি চুক্তিতে স্বাক্ষর করেছেন। এই চুক্তির আওতায় জলবায়ু পরিবর্তন অভিযোজিত নগর উন্নয়ন কর্মসূচি প্রকল্পের (অষ্টম) জন্য তহবিল বিতরণ করা হবে।
২০২৪ সালের ডিসেম্বরে দুই দেশের সরকারের মধ্যে স্বাক্ষরিত বাংলাদেশ-জার্মান জলবায়ু ও উন্নয়ন অংশীদারিত্ব (সিডিপি) নিয়ে যৌথ অভিপ্রায় ঘোষণার (জেডিআই) পর এটিই প্রথম তহবিল। এই তহবিলের আওতায় প্রকল্পটি স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানগুলোতে অভিযোজন সক্ষমতা জোরদার করতে এবং জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠীর জীবনযাত্রার মান উন্নত করে ঝুঁকি কমাতে সহায়তা করবে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, এই তহবিল জলবায়ু-সংবেদনশীল পরিকল্পনা ও জলবায়ু অভিযোজনের জন্য অবকাঠামো প্রকল্প বাস্তবায়নেও সহায়তা করবে।
এই তহবিল জার্মান সহযোগিতা প্রকল্পের পরিপূরণ ও ভবিষ্যতে পরবর্তী প্রকল্পগুলোর জন্যও ব্যবহার করা যেতে পারে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
জুনের মধ্যে বিডিআর হত্যাকাণ্ডের তদন্ত প্রতিবেদন চূড়ান্ত: কমিশন

বিডিআর হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় তদন্ত কার্যক্রম পুরোদমে এগিয়ে চলছে জানিয়ে তদন্ত প্রতিবেদন আগামী জুনের মধ্যে চূড়ান্ত করা হবে বলে প্রত্যাশা ব্যক্ত করেছেন বিডিআর হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় গঠিত তদন্ত কমিশন।
বুধবার (১৬ এপ্রিল) বিকেল ৫টায় রাষ্ট্রীয় অতিথিভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ করে তদন্ত কমিশনের সদস্যরা তাকে তদন্তের অগ্রগতি সম্পর্কে অবহিত করেন। প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে পাঠানো এক বার্তায় এ তথ্য জানানো হয়েছে।
কমিশন প্রধান মেজর জেনারেল (অব.) আলম ফজলুর রহমান বলেন, ‘আমরা বিভিন্ন পক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করছি। যেহেতু ১৬ বছর আগের ঘটনা তাই অনেকের সঙ্গে যোগাযোগ করতে গিয়ে কিছুটা বিলম্ব হচ্ছে। অভিযুক্ত অনেকেই দেশের বাইরে অবস্থান করছেন। আমরা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে সমন্বয় করে তাদের বিষয়ে খোঁজ নিচ্ছি।’
‘আমরা কারাগারে থাকা কয়েকজনের সাক্ষাৎকার নিয়েছি। তদন্তের জন্য যোগাযোগ করা প্রয়োজন এমন ২৩ জন বিদেশে অবস্থান করছেন। তার মধ্যে ৮ জন সাক্ষাৎকার দেওয়ার জন্য যোগাযোগ করেছেন,’— বলেন তিনি।
কমিশন প্রধান আরও বলেন, ‘আমরা হত্যাকাণ্ড ও নির্যাতনের প্যাটার্নটা নিয়ে তদন্ত করছি। ডিজিকে হত্যার পর বাকিদের হত্যা করা হয়েছিল। এটি ছিল একটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড। পরিকল্পনা ছাড়া এমন হত্যাকাণ্ড হতে পারে না।’
‘এটা যেন একটা পলাশীর পুনরাবৃত্তি। এটার শেকড় আমাদের খুঁজে বের করতে হবে,’ যোগ করেন তিনি।
কমিশনের সদস্য মেজর জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর কবির তালুকদার বলেন, ‘এমন জঘন্য হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় একজন কর্মকর্তা/কর্মচারীকেও সরানো হয়নি। কাউকে দায়ী করা হয়নি। এটি গোয়েন্দা সংস্থা, সামরিক বাহিনী এবং রাজনৈতিক ব্যর্থতা।’
তদন্ত কমিশনকে সরকারের পক্ষ থেকে সর্বোচ্চ সহযোগিতা করা হবে জানিয়ে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘নৃশংসভাবে নিজেদের অফিসারদেরই তারা মেরেছিল। মসৃণভাবে এই হত্যাকাণ্ড ঘটানো হয়েছে।’
পুরো জাতি তদন্ত কমিশনের দিকে তাকিয়ে আছে উল্লেখ করে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘আমরা সবাই উত্তর খুঁজছি। কমিশনকে এ ঘটনা তদন্তে সফল হতেই হবে। এ রহস্য উদঘাটন করতেই হবে।’
বৈঠকে আরও উপস্থিত ছিলেন বিডিআর হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় গঠিত তদন্ত কমিশনের সদস্য বিগ্রেডিয়ার জেনারেল মো. সাইদুর রহমান, মুন্সী আলাউদ্দিন আল আজাদ, ড. এম আকবর আলী, মো. শরীফুল ইসলাম, শাহনেওয়াজ খান চন্দন, এ টি কে এম ইকবাল।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
আ.লীগের এমপিকে হাতিয়ার করে সীমান্তে অবৈধ ভোলাহাট ফিলিং স্টেশন অনুমোদন

জ্বালানী তেল বিক্রয়ের লক্ষ্যে সীমান্তের শূন্য লাইন থেকে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে ৮ কিলোমিটারের মধ্যে কোনো প্রকার ফিলিং স্টেশন স্থাপন করা যাবে না। বাংলাদেশ সরকারের গেজেটে জারিকৃত এমন আইন থাকা সত্ত্বেও বিপুল অর্থের বিনিময়ে চাঁপাইনবাবগঞ্জ সীমান্ত এলাকায় মাত্র ২.৪ কিলোমিটারের মধ্যে জ্বালানী তেল বিক্রয়ের লক্ষ্যে ‘মেসার্স ভোলাহাট ফিলিং স্টেশন’ নামে অবৈধভাবে অনুমোদন নেওয়া হয়েছে। এতে চাঁপাইনবাবগঞ্জ-০২ এর সাবেক সংসদ সদস্য (এমপি) মু. জিয়াউর রহমানকে হাতিয়ার হিসাবে ব্যবহার করা হয়। ফ্যাসিস্ট সরকারের আমলে ক্ষমতার প্রভাব খাটিয়ে যমুনা অয়েল কোম্পানী লিমিটেড হতে অবৈধ অনুমোদনের ব্যবস্থা করেন এমপি মু. জিয়াউর রহমান। তখন তিনি বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতিও ছিলেন।
সূত্র জানায়, সাবেক এমপি মু. জিয়াউর রহমান মেসার্স ভোলাহাট ফিলিং স্টেশনের স্বত্তাধিকারী মো. আব্দুল লতিফের সঙ্গে মোটা অংকের অর্থের চুক্তিতে এই অবৈধ অনুমোদনের ব্যবস্থা করে দেন। সে সময়ে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি পদে থাকায় এমপির জন্য এই অসাধ্য কাজটি করা সম্ভব হয়েছে। তিনি ক্ষমতার অপব্যবহার করে এই অবৈধ অনুমোদনের ব্যবস্থা করে দেন। প্রতিটি ক্ষেত্রেই এমপি সরাসরি সংশ্লিষ্ট সকল দপ্তরে গিয়ে হুমকি ও তার পরামর্শ মোতাবেক পরবর্তীতে মালিক আব্দুল লতিফ অর্থ প্রদানের চুক্তিতে বিভিন্ন দফতর হতে অবৈধ এনওসি বা অনুমোদন লাভ করে।
এবিষয়ে জানতে চাইলে মেসার্স ভোলাহাট ফিলিং স্টেশনের স্বত্তাধিকারী মো. আব্দুল লতিফ অর্থসংবাদকে বলেন, অভিযোগের বিষয়ে স্বাক্ষাতে কথা বলবো। আমি মোবাইলে বক্তব্য দেই না।
যমুনা ওয়েল কোম্পানী লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মোস্তফা কুদরত-ই-ইলাহীর সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলেও তা সম্ভব হয়নি। বেশ কয়েকবার তার মুঠোফোনে কল করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
আইন অনুযায়ী, প্রস্তাবিত ফিলিং স্টেশনটি সীমান্তের শূন্য লাইন হতে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে ৮ কিলোমিটারের মধ্যে স্থাপন করা যাবে না। এবিষয়ে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় কর্তৃক বাংলাদেশ গেজেট জারি করা হয়। যা জ্বালানী তেল বিক্রয়ের লক্ষ্যে নতুন ফিলিং স্টেশন/সার্ভিস স্টেশন স্থাপনে ডিলার নিয়োগ সংক্রান্ত নীতিমালা (সংশোধিত), ২০১৪ অনুযায়ী মেসার্স ভোলাহাট ফিলিং স্টেশনটি অবৈধ। ২০১৪ সালের সরকারি গেজেটে বিপিসি কর্তৃক কোন নতুন ফিলিং স্টেশন স্থাপনের প্রস্তাব অনুমোদিত হওয়ার পর বিপণন কোম্পানীগুলো কর্তৃক বেশকিছু শর্তসমূহ প্রতিপালন করতে হবে বলে উল্লেখ করা হয়। তার মধ্যে অন্যতম হলো প্রস্তাবিত ফিলিং স্টেশনটি সীমান্তের শূন্য লাইন হতে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে ৮ কিলোমিটারের মধ্যে স্থাপন করা যাবে না। তবে আইনভঙ্গ করে, বিপুল অর্থের বিনিময়ে ও প্রভাব খাটিয়ে যমুনা ওয়েল কোম্পানী লিমিটেড হতে ভোলাহাট ফিলিং স্টেশনের অবৈধ অনুমোদন নেওয়া হয়।
এছাড়া, এরআগে বিপিসির সাবসিডিয়ারি কোম্পানি পদ্মা, মেঘনা ও যমুনা কর্তৃক সারাদেশে ফিলিং স্টেশনের কিছু ডিলারের বিরুদ্ধে ভেজাল ও পরিমাপে কম তেল সরবরাহের অভিযোগে নতুন ফিলিং স্টেশন/সার্ভিস স্টেশন স্থাপনের অনুমোদন বন্ধ রাখে সরকার।
বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের আদেশে বলা হয়, ভেজাল তেল ও পরিমাপে কম সরবরাহের কারণে ভোক্তা সাধারণ প্রতারিত ও আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে। এতদসত্ত্বেও, দেশের প্রত্যন্ত বা বিভিন্ন স্থানে নতুন ডিলার নিয়োগের আবেদন পাওয়া যাচ্ছে এবং পদ্মা, মেঘনা ও যমুনা কর্তৃক ডিলার নিয়োগের কার্যক্রম গ্রহণ করা হচ্ছে। প্রত্যন্ত এলাকায় আরো নতুন ফিলিং স্টেশন স্থাপিত হলে ভেজাল রোধ ও সঠিক পরিমাপে জ্বালানি সরবরাহ নিশ্চিত করা দূরূহ হবে। বিপিসি ও এর সাবসিডিয়ারি কোম্পানী কর্তৃক জ্বালানি তেল বিপণন ব্যবস্থায় ভেজাল রোধে ও সঠিক পরিমাপে জ্বালানি সরবরাহে কার্যকর্মী জরুরী ব্যবস্থা গড়ে তোলা না পর্যন্ত নতুন কোন ফিলিং স্টেশন বা সার্ভিস স্টেশন স্থাপনের অনুমোদন আপাতত বন্ধ থাকবে। অথচ এমন আদেশ থাকলেও আইন বর্হিভূতভাবে মেসার্স ভোলাহাট ফিলিং স্টেশনের অনুমোদন দেওয়া হয়।
সম্প্রতি তদন্ত পূর্বক অবৈধ, দুর্নীতি ও বিপুল অর্থের বিনিময়ে আইন বর্হিভূতভাবে অনুমোদিত ফিলিং স্টেশনটির অনুমতি বাতিলসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে আইনের আওতায় আনার অনুরোধ জানিয়ে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় উপদেষ্টা বারবর চিঠি পাঠানো হয়েছে।
চিঠিতে বলা হয়, আইনভঙ্গ করে, বিপুল অর্থের বিনিময়ে ও প্রভাব খাটিয়ে ভোলাহাট উপজেলা, চাঁপাইনবাবগঞ্জে সীমান্ত এলাকায় ২.৪ কিলোমিটারের মধ্যে ‘মেসার্স ভোলাহাট ফিলিং স্টেশন’ নামে যমুনা ওয়েল কোম্পানী লিমিটেড হতে অবৈধ অনুমোদন নেওয়া হয়েছে। সাবেক এমপি মু. জিয়াউর রহমান মেসার্স ভোলাহাট ফিলিং স্টেশনের স্বত্তাধিকারী মো. আব্দুল লতিফের সঙ্গে মোটা অংকের অর্থের চুক্তিতে এই অবৈধ অনুমোদনের ব্যবস্থা করে দেন। বিগত ফ্যাসিস্ট সরকার নিজেই নতুন কোন ফিলিং স্টেশন অনুমোদনের বিষয়ে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিল কিন্তু উল্লিখিত নিষেধাজ্ঞাকালীন সময়েই ফিলিং স্টেশনটি অনুমোদন করে।
বিষয়টি তদন্ত পূর্বক অবৈধ, দুর্নীতি ও বিপুল অর্থের বিনিময়ে আইন বর্হিভূতভাবে অনুমোদিত ফিলিং স্টেশনটির অনুমতি বাতিলসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে আইনের আওতায় আনার জন্য চিঠিতে অনুরোধ করা হয়।
অর্থসংবাদ/এসএম/কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
সারাদেশে রেলপথ অবরোধের ঘোষণা পলিটেকনিক শিক্ষার্থীদের

ছয় দফা দাবি নিয়ে চলমান আন্দোলনের অংশ হিসেবে আগামীকাল বৃহস্পতিবার ঢাকাসহ সারাদেশে রেলপথ অবরোধের ঘোষণা দিয়েছেন সরকারি ও বেসরকারি পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীরা।
বুধবার (১৬ এপ্রিল) সন্ধ্যায় রাজধানীর তেজগাঁও সাতরাস্তা মোড়ে এ ঘোষণা দেন কারিগরি ছাত্র আন্দোলনের প্রতিনিধি জুবায়ের পাটোয়ারী।
তিনি বলেন, কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক শোয়াইব আহমাদ খান, ঢাকা পলিটেকনিকের অধ্যক্ষ মো. মোস্তাফিজুর রহমানসহ সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে আমাদের বৈঠক হয়েছে। তবে বৈঠকে আমরা একমত হতে পারিনি। তারা লিখিতভাবে আমাদের দাবিগুলো মেনে নেননি। তাই আমরা আন্দোলনের অংশ হিসেবে আগামীকাল (বৃহস্পতিবার) রেলপথ ব্লকেড কর্মসূচি ঘোষণা করছি।
জুবায়ের পাটোয়ারী বলেন, কর্তৃপক্ষ আমাদের যৌক্তিক দাবিগুলো বাস্তবায়নে ব্যর্থ হয়েছে। সরকারের যদি সাধারণ একজন প্রিন্সিপালকে বদলি করতে সারা দিন লেগে যায়, সেই সরকার কর্তৃপক্ষ কীভাবে আমাদের দাবি বাস্তবায়ন করবে? দেশের উন্নয়নে কারিগরি শিক্ষার্থীদের ভূমিকা কীভাবে তবে রাখবে?
তিনি বলেন, আমরা সরকারকে স্পষ্ট করে বলতে চাই, আমাদের দাবি বাস্তবায়ন না হওয়া পর্যন্ত ঢাকাসহ সারা বাংলাদেশে রেলপথ অবরোধ কর্মসূচি ঘোষণা করছি। এরমধ্য দিয়ে অসহযোগ আন্দোলন শুরু হলো।
জুবায়ের পাটোয়ারী আরও বলেন, দেশের সংস্কারে, জাতির সংস্কারে শিক্ষার্থীদের ভূমিকার কথা যদি আপনারা অস্বীকার করেন, তুচ্ছতাচ্ছিল্য করেন তাহলে দেশের উন্নয়ন কখনোই সম্ভব না।
এ সময় তিনি সড়ক অবরোধ কর্মসূচি আজকের মতো স্থগিত করার ঘোষণা দেন এবং যানচলাচল স্বাভাবিক করতে শিক্ষার্থীদের অনুরোধ জানান।
আরেক আন্দোলনকারী মাশফি রহমান বলেন, জনভোগান্তি বিবেচনায় কর্মসূচি আজকের মতো প্রত্যাহার। আগামীকাল রেলপথ অবরোধ কখন শুরু হবে, তা আমাদের কারিগরি ছাত্র আন্দোলনের ফেসবুক পেজে জানিয়ে দেওয়া হবে।
এর আগে বুধবার সকাল ১০টার দিকে শিক্ষার্থীরা ছয় দাবিতে রাজধানীর তেজগাঁও সাতরাস্তা সড়ক অবরোধ করে দিনব্যাপী বিক্ষোভ করেন। বিক্ষোভে অংশ নেন মহিলা পলিটেকনিকের ছাত্রীরাও। শিক্ষার্থীদের অবরোধে সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এর ফলে সড়কে চলাচলকারী মানুষ পড়েন সীমাহীন দুর্ভোগে।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
বিএনপির মতামত অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে নিয়েছে সরকার: আইন উপদেষ্টা

অন্তর্বর্তী সরকারের আইন উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. আসিফ নজরুল বলেছেন, বিএনপির মতামত অত্যন্ত গুরত্বের সঙ্গে নিয়েছে সরকার।
তিনি বলেছেন, অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী ডিসেম্বর থেকে আগামী বছরের জুনের মধ্যে যত দ্রুত সম্ভব নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। যে যাই বলুক জুনের পরে নির্বাচন যাবে না।
বুধবার (১৬ এপ্রিল) দুপুরে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনার সামনে এক বিফ্রিংয়ে তিনি এসব কথা বলেন। প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বিএনপির প্রতিনিধি দলের বৈঠক শেষে এ বিফ্রিংয়ের আয়োজন করা হয়।
তিনি বলেন, সংস্কারের ব্যাপারে বিএনপি অত্যন্ত আন্তরিক। বিএনপি নেতাদের সঙ্গে খোলামেলা পরিবেশে কথা হয়েছে। বিএনপি ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন চেয়েছে বলেও জনান আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল।
আসিফ নজরুল সংবাদ সম্মেলনে আরও বলেন, ‘নির্বাচন অনুষ্ঠান নিয়ে সরকারের কালবিলম্বের বিন্দুমাত্র ইচ্ছা নেই। ডিসেম্বর থেকে জুন মানে ডিসেম্বরে নির্বাচন হবে না, তেমন নয়। আমরা বলেছি, এই সময়র মধ্যে যত দ্রুত সম্ভব নির্বাচন অনুষ্ঠানের চেষ্টা করা হবে।’
বৈঠক নিয়ে বিএনপির অসন্তোষ প্রসঙ্গে আসিফ নজরুল বলেন, ‘বৈঠকে ওনাদের (বিএনপির প্রতিনিধি দল) হ্যাপি মনে হয়েছে। ওনারা অনেক বিষয়ে আমাদের সঙ্গে একমত হয়েছেন এবং তাদের সন্তুষ্ট মনে হয়েছে।’
নির্বাচনসহ নানা ইস্যুতে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বৈঠক করতে বুধবার দুপুর ১২টার দিকে যমুনায় প্রবেশ করে বিএনপির প্রতিনিধি দল। মিটিং শেষে দুপুর ২টার দিকে বিএনপির প্রতিনিধি দল যমুনা থেকে বের হয়ে আসে।
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের নেতৃত্বে বিএনপির প্রতিনিধি দলে ছিলেন স্থায়ী কমিটির সদস্য জমিরউদ্দিন সরকার, মির্জা আব্বাস, নজরুল ইসলাম খান, আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, সালাহউদ্দিন আহমেদ, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু।
কাফি