জাতীয়
আশুলিয়ার পোশাক কারখানা খুলছে আজ
আশুলিয়ার তৈরি পোশাক কারখানাগুলো আজ শনিবার (৭ সেপ্টেম্বর) খুলছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পাশাপাশি শ্রমিকনেতা ও স্থানীয় রাজনীতিবিদদের কাছ থেকে আশ্বাস পাওয়ার পর এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
এর আগে, শুক্রবার (৬ সেপ্টেম্বর) ব্যাপক শ্রমিক বিক্ষোভের জেরে আশুলিয়ার তৈরি পোশাক কারখানাগুলোতে চলমান অস্থিরতা নিয়ে বিজিএমইএর কার্যালয়ে দুই দফায় শিল্পমালিক, স্থানীয় রাজনৈতিক নেতা, বিভিন্ন সংগঠনের শ্রমিকনেতা ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের সঙ্গে বৈঠক হয়।
বিজিএমইএর সভাপতি খন্দকার রফিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে এ বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি আবদুল্লাহ হিল রাকিব, শ্রমিকনেতা মন্টু ঘোষ, নাজমা আক্তার প্রমুখ।
বৈঠক প্রসঙ্গে বিজিএমইএর জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি আবদুল্লাহ হিল রাকিব বলেন, ‘সব পক্ষই কারখানা সচল রাখার পক্ষে মত দিয়েছে। তারা বলেছে, শিল্প বন্ধ রাখা কোনোভাবে কাম্য নয়। উৎপাদন না হলে দেশের অর্থনীতি ক্ষতিগ্রস্ত হবে। ব্যবসাও অন্যত্র চলে যাওয়ার শঙ্কা থাকে।’
তিনি বলেন, শ্রমিকনেতারা সাধারণ শ্রমিকদের কাজে ফিরতে আহ্বান জানিয়েছেন। কোনো দাবি-দাওয়া থাকলে মালিকপক্ষকে লিখিতভাবে জানানোর কথা বলেছেন। অন্যদিকে স্থানীয় রাজনৈতিক নেতারা বর্তমান পরিস্থিতিতে ঝুট ব্যবসা থেকে বিরত থাকার আশ্বাস দিয়েছেন।
আশুলিয়ায় আল মুসলিম ও নাসা গ্রুপের শ্রমিকদের মধ্যে বেতন-ভাতা নিয়ে ক্ষোভ রয়েছে। এই দুই গ্রুপের শ্রমিকেরা দাবি আদায়ে একাধিক দিন কর্মবিরতিও পালন করেন। এ বিষয়ে বিজিএমইএর জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি আবদুল্লাহ হিল রাকিব বলেন, ‘আমরা উভয় গ্রুপের মালিকদের সঙ্গে কথা বলেছি। তাঁরা শ্রমিকদের পাওনা বুঝিয়ে দেওয়ার বিষয়ে আশ্বাস দিয়েছেন।’
প্রসঙ্গত, দুই সপ্তাহ ধরে গাজীপুর ও আশুলিয়ার ওষুধ ও তৈরি পোশাকশিল্পে শ্রমিক বিক্ষোভের ঘটনা ঘটছে। এ বিক্ষোভে শ্রমিকদের পাশাপাশি অংশ নেন বিভিন্ন সময় ছাঁটাইকৃতদের অনেকেই। এর মধ্যে গত বৃহস্পতিবার গাজীপুরের পরিস্থিতির উন্নতি হলেও আশুলিয়ায় বিক্ষোভ হয়েছে। সকালে কয়েকটি কারখানায় হামলা ও ভাঙচুর করেন বিক্ষুব্ধ শ্রমিকেরা। এতে অন্তত ৩৫ জন আহত হন। দুপুরের পর ছুটি দিয়ে দেওয়া হয় অধিকাংশ কারখানা। সব মিলিয়ে সেদিন ১২৯টি তৈরি পোশাক কারখানার উৎপাদন ব্যাহত হয়।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
বাজার কারসাজি নিয়ন্ত্রণে কঠোর অবস্থানে সরকার: অর্থ উপদেষ্টা
বাজার কারসাজি নিয়ন্ত্রণে সরকার কঠোর অবস্থানে রয়েছে। বাজারে কেউ চাঁদাবাজি করলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে জেলা প্রশাসকদের (ডিসি) বলেছি বলে জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ।
শনিবার (৭ সেপ্টেম্বর) শেরেবাংলা নগরের বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব গভর্ন্যান্স ম্যানেজমেন্টের সভা শেষে (বিআইজিএম) তিনি এসব কথা বলেন।
অর্থ উপদেষ্টা বলেন, আস্তে আস্তে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্য নিয়ন্ত্রণে আসবে। বাজারে পণ্যের দাম একেবারে যে কমেনি তা কিন্তু নয়। আমরা চেষ্টা করছি কৃষকরা যাতে ন্যায্য মূল্যটা পায়। এজন্য আমরা কাজ করে যাচ্ছি। ভোক্তার ডিজেকে বাজার মনিটর করতে বলেছি, যাতে করে বাজার মূল্য নিয়ন্ত্রণে আনা যায় । যদিও সে এখন নেই। খুব শিগগিরই ভালো লোক আসবে এখানে। বাজারে চাঁদাবাজি করলে ডিসিরা এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নিতে।
দুর্নীতিবাজদের বিচারের আওতায় আনা হবে কি না এমন এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সরকারের বিভিন্ন সংস্থা এ নিয়ে কাজ করছে। দুর্নীতিবাজদের বিষয়ে তারা বিভিন্ন ইনভেস্টিগেশন করবে। এরপর কোর্টে যাবে, সেখান থেকে একটা ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তবে দুর্নীতিবাজ সবাইকে ধরা হবে। দুর্নীতি করে যারা অর্থ পাচার করেছে এবং যারা দুর্নীতি করে অর্থ বানিয়েছে তাদের বিষয়ে এনবিআর ব্যবস্থা নেবে। বাকিগুলো মানিলন্ডারিং আইনের আওতায় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বিভিন্ন সিন্ডিকেট কেন ভাঙতে পারছেন না— এমন প্রশ্নের জবাবে ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, শর্ট করে নৌকা একেবারে নাড়ায় দিয়েন না তাহলে আপনারাও পড়ে যাবেন আমরাও পড়ে যাব। আস্তে আস্তে করে আমরা নির্দেশ দিচ্ছি সবকিছু ঠিক হয়ে যাবে। আমরা অবশ্যই ব্যবস্থা নেব। এ ব্যাপারে আপনাদের সহযোগিতা লাগবে।
তিনি আরও বলেন, শিল্পখাতে অস্তিত্ব শিগগিরই কমে যাবে। আমার মালিকদের সহযোগিতা করছি। এ অস্থিরতার মধ্যে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল সহযোগিতা করছে। এটা আইনশৃঙ্খলা বাহিনী পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করবে। এ ব্যাপারে ট্রেডবডি এবং কমার্স মিনিস্ট্রির সঙ্গে আমার আলোচনা হচ্ছে। বাংলাদেশ ব্যাংকে শিগগিরই ডেপুটি গভর্নর নিয়োগ হবে।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
ভিয়েতনামে বাংলাদেশিদের সতর্ক থাকার আহ্বান
ভিয়েতনামে শক্তিশালী টাইফুন ইয়াগি আঘাত হানার কারণে দেশটিতে বসবাসরত সব বাংলাদেশি নাগরিকদের সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়েছে হ্যানয়ের বাংলাদেশ দূতাবাস। শুক্রবার (৬ সেপ্টেম্বর) এক বার্তায় এ আহ্বান জানায় দূতাবাস।
বার্তায় বলা হয়, শক্তিশালী টাইফুন ইয়াগি ইতোমধ্যে ভিয়েতনামে আঘাত হানতে শুরু করেছে এবং এর প্রভাবে আগামী দুই দিন উত্তর ও মধ্য-ভিয়েতনামে ভারী বর্ষণ এবং বন্যা সংঘটিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
বাংলাদেশিদের করণীয় জানিয়ে বার্তায় বলা হয়: জরুরি মুহূর্তে সব-প্রকার দোকান-পাট বন্ধ থাকার সম্ভাবনা রয়েছে বিধায় আপদকালীন সময়ের জন্য প্রয়োজনীয় খাবার ও ওষুধ সংগ্রহে রাখা যেতে পারে। টাইফুন আক্রান্ত এলাকায় ভ্রমণ না করে এ সময়ে নিরাপদে যার যার বাসস্থানে অবস্থান করার জন্য অনুরোধ করা হলো। আপডেটের জন্য স্থানীয় সংবাদ মনিটর করুন। ভিয়েতনামের সঙ্গে আন্তর্জাতিক বিমান চলাচল প্রভাবিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বিধায় ভিয়েতনাম ভ্রমণে ইচ্ছুক বাংলাদেশি নাগরিককে এ বিষয়ে খোঁজ-খবর নিয়ে ভ্রমণ করার জন্য অনুরোধ করা হলো। টাইফুনকালীন জরুরি সাহায্যের জন্য ভিয়েতনামের
নিম্নের নাম্বারে যোগাযোগ করুন:
১১২ (জীবন বিপন্ন হওয়ার ঝুঁকি দেখা দিলে), ১১৩ (পুলিশ সহায়তা), ১১৫ (অ্যাম্বুলেন্স সহায়তা)।
বাংলাদেশ দূতাবাস, আগামী সোমবার ৯ সেপ্টেম্বর যথারীতি খোলা থাকলেও প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে স্বাভাবিক সেবা দেওয়া বিঘ্ন ঘটতে পারে। এ অবস্থায়, জরুরি প্রয়োজনে দূতাবাসের নিচের নাম্বারে যোগাযোগ করার জন্য অনুরোধ করা হলো: জরুরি মোবাইল নাম্বার: +৮৪-৮৯৬৩২১৮৬৮ (দূতালয় প্রধান)।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
১৩৭ বাস কেনা নিয়ে কারসাজি, নেপথ্যে সাবেক মন্ত্রী-সচিব
চার হাজার কোটি টাকার বেশি ব্যয়ে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের বিমানবন্দর থেকে গাজীপুর পর্যন্ত প্রায় ২০ কিলোমিটার অংশে বিশেষায়িত লেন গড়ে তোলার কাজ চলছে প্রায় সাত বছর ধরে। আলোচিত এ প্রকল্পের (বিআরটি) কাজ শেষ পর্যায়ে। বিদেশি ঋণের কিস্তি শোধের সময়ও শুরু হয়ে গেছে। কিন্তু এই রাস্তায় চলাচলের ১৩৭টি বাস কেনার প্রক্রিয়া দেড় বছরেও শেষ হয়নি।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, সাবেক সড়ক পরিবহনমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের ও সাবেক সচিব এ বি এম আমিন উল্লাহ নূরী পছন্দের প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে শীতাতপনিয়ন্ত্রিত ১৩৭টি বাস কিনতে চেয়েছিলেন; কিন্তু সেটা করতে না পেরে পুরো প্রক্রিয়াকে ঝুলিয়ে দিয়েছেন।
জানা গেছে, দরপত্রে কারসাজি ধরা পড়ায় তাঁদের পছন্দের প্রতিষ্ঠান বাদ পড়ে যায়। বাকিদের মধ্যে নিয়মানুযায়ী যোগ্য প্রতিষ্ঠানকে কাজ না দিয়ে ‘কার্যকর প্রতিযোগিতা’ হচ্ছে না কারণ দেখিয়ে দরপত্র বাতিল করা হয়। পরবর্তী সময়ে নতুন করে দরপত্র ডাকা হয়। দুই মাস পার হলেও দরপত্রে কারা বা কতটা প্রতিষ্ঠান অংশ নিয়েছে, সেটা আর প্রকাশ করছে না।
এ বিষয়ে তথ্য চেয়ে গত ২৫ জুলাই তথ্য অধিকার আইনে আবেদন করেছিলেন গাজীপুরের বাসিন্দা ও ব্যবসায়ী জান্নাতুল বাকি। তবে তথ্য দিতে অপারগতা জানায় বিআরটি কর্তৃপক্ষ।
সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র জানায়, প্রথম দরপত্রে ছয়টি প্রতিষ্ঠান অংশ নিলেও দ্বিতীয় দরপত্রে অংশ নিয়েছে মাত্র দুটি। প্রথম সর্বনিম্ন দর ছিল প্রায় ১ কোটি ৭৭ লাখ মার্কিন ডলার (১৮৮ কোটি টাকা) এবং দ্বিতীয় সর্বনিম্ন দর ছিল প্রায় ১ কোটি ৯১ লাখ ডলার (২০৩ কোটি টাকা)। তখন ডলারের বিনিময়মূল্য ছিল ১০৬ টাকা।
আর নতুন দরপত্রে সর্বনিম্ন দর পড়েছে প্রায় ৩ কোটি ডলার (৩৬০ কোটি টাকা)। অপরটির দর প্রায় ৯ কোটি ৯৮ লাখ ডলার (প্রায় ১ হাজার ২০০ কোটি টাকা)। যদিও প্রাক্কলিত ব্যয় ধরা হয়েছিল ২০৫ কোটি টাকা।
প্রথম দরপত্রে ছয়টি প্রতিষ্ঠান অংশ নিলেও বলা হয়, কার্যকর প্রতিযোগিতা হয়নি। পরেরটায় মাত্র দুটি প্রতিষ্ঠান অংশ নেওয়ায় এটা কীভাবে কার্যকর প্রতিযোগিতামূলক হচ্ছে, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। অপর দিকে খরচও বাড়ছে অনেক বেশি।
সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে, সাবেক সড়ক পরিবহনমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের ও সাবেক সচিব এ বি এম আমিন উল্লাহ নূরী পছন্দের প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে শীতাতপনিয়ন্ত্রিত ১৩৭টি বাস কিনতে চেয়েছিলেন; কিন্তু সেটা করতে না পেরে পুরো প্রক্রিয়াকে ঝুলিয়ে দিয়েছেন।
শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকে সাবেক সড়ক পরিবহনমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের আত্মগোপনে রয়েছেন। তাই এ বিষয়ে তাঁর বক্তব্য পাওয়া যায়নি। সাবেক সচিব আমিন উল্লাহ নূরীর সঙ্গেও ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হয়। তাঁর ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।
পরে যোগাযোগ করা হয় বিআরটি কোম্পানি লিমিটেডের মহাব্যবস্থাপক মো. মহিউদ্দিনের সঙ্গে। প্রথমবার ছয়টি প্রতিষ্ঠান অংশ নিয়েও প্রতিযোগিতা হয়নি আর এবার দুটি প্রতিষ্ঠান অংশ নিয়ে কীভাবে প্রতিযোগিতা নিশ্চিত হচ্ছে?
এমন প্রশ্নের জবাবে মো. মহিউদ্দিন বলেন, আগেরবার অংশ নেওয়া ছয়টি প্রতিষ্ঠানই ছিল একই দেশের (চীন)। এবার যে দুটি প্রতিষ্ঠান অংশ নিয়েছে, তারা ভিন্ন ভিন্ন দেশের। বৈচিত্র্য আনতে এ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। তিনি জানান, দুটি প্রতিষ্ঠানের আর্থিক মূল্যায়নের কাজ চলছে। এটি চূড়ান্ত হওয়ার পর সর্বনিম্ন দরদাতা প্রতিষ্ঠানকে নোটিফিকেশন অব অ্যাওয়ার্ড (এনওএ) দেওয়া হবে।
কিন্তু এখন যে খরচ অনেক বেড়ে যাচ্ছে, সেটা কেন? এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিআরটি কোম্পানির মহাব্যবস্থাপক মহিউদ্দিন বলেন, বাসের ধরন পরিবর্তন করা হয়েছে বলে খরচও বাড়ছে।
শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকে সাবেক সড়ক পরিবহনমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের আত্মগোপনে রয়েছেন। তাই এ বিষয়ে তাঁর বক্তব্য পাওয়া যায়নি। সাবেক সচিব আমিন উল্লাহ নূরীর সঙ্গেও ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হয়। তাঁর ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।
বিআরটি কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা যায়, এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক, ফরাসি উন্নয়ন সংস্থা এএফডি ও বাংলাদেশ সরকারের যৌথ অর্থায়নে হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে গাজীপুর পর্যন্ত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হচ্ছে। প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের অধীন ঢাকা বাস র্যাপিড ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড (ডিবিআরটিসিএল)। বিমানবন্দর-গাজীপুর বিআরটি পথে বিশেষায়িত এই বাস সেবা পরিচালিত হবে ‘ঢাকা লাইন’ নামে।
এর মধ্যে ঢাকা লাইনের জন্য ১৩৭টি বাস কেনার ঋণসহায়তা দিচ্ছে ফ্রান্স। এ জন্য প্রথম দরপত্র ডাকা হয় গত বছরের ১৪ জানুয়ারি। দরপত্র দাখিল করে ছয়টি প্রতিষ্ঠান। গত বছরের ১৮ এপ্রিল মূল্যায়ন কমিটি চারটি প্রতিষ্ঠানকে কারিগরিভাবে যোগ্য (রেসপনসিভ) ঘোষণা করে। তাতে সর্বনিম্ন দরদাতা হিসেবে চীনের হাইগার বাস কোম্পানি লিমিটেডকে সুপারিশ করা হয়। কিন্তু একই ব্যবসায়ী গ্রুপের আরও একটি প্রতিষ্ঠানও একই দরপত্রে অংশ নেয়; যা বেআইনি। বিষয়টি ধরা পড়ার পর ওই দুই প্রতিষ্ঠানকেই অযোগ্য ঘোষণা করে।
পরে কর্তৃপক্ষ দরপত্র বাতিল করে দিলে, অবশিষ্ট যোগ্য দরদাতার অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে এ বিষয়ে কেন্দ্রীয় ক্রয়সংক্রান্ত কারিগরি ইউনিটের (সিপিটিইউ) রিভিউ প্যানেল দ্বিতীয় সর্বনিম্ন দরদাতাকে কার্যাদেশ দেওয়ার সিদ্ধান্ত দেয়। আইনেও তা–ই আছে। বিআরটি পরে উচ্চ আদালতে যায়। কার্যকর প্রতিযোগিতার ঘাটতির কথা তুলে ধরে নতুন দরপত্র ডাকার আবেদন করে। সেভাবে আদেশও পায়। যোগ্য দরদাতা দাবিদার প্রতিষ্ঠান এই আদেশের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে আবেদন করে, যা বর্তমানে বিচারাধীন।
এরপর গত ১৮ এপ্রিল দ্বিতীয় দফায় দরপত্র আহ্বান করা হয়। যাতে মাত্র দুটি কোম্পানি অংশ নেয়। এরপর থেকে বিষয়টি নিয়ে রাখঢাক করে চলছে বিআরটি কর্তৃপক্ষ।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান বলেন, প্রথমত, বিআরটি প্রকল্পটি নেওয়া কতটা যৌক্তিক ছিল, অন্তর্বর্তী সরকারের তা খতিয়ে দেখা উচিত। দ্বিতীয়ত, উন্নয়নের নামে প্রকল্প নিয়ে প্রভাবশালী ব্যক্তিরা যেভাবে নিজেদের স্বার্থ হাসিল করেছেন, অবৈধ সুবিধা নিয়েছেন, তা খুঁজে বের করতে হবে। তৃতীয়ত, প্রথমবার কেন দরপত্র বাতিল করা হলো, সেটিও অনুসন্ধান করতে হবে। দোষী ব্যক্তিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে না পারলে প্রকল্পে অনিয়ম–দুর্নীতি বন্ধ হবে না বলে মনে করেন তিনি।
প্রসঙ্গত, বাস র্যাপিড ট্রানজিট বা বিআরটি প্রকল্পটির কার্যকারিতা নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়। ২০১২ সালে কাজ শুরু করে ২০১৬ সালে শেষ করার কথা ছিল। কিন্তু কাজ শুরু ২০১৭ সালে। এর মধ্যে তিন দফা সময় বাড়িয়েও প্রকল্পের কাজ শেষ করা যায়নি। প্রকল্পের ব্যয় ২ হাজার ৩৯৮ কোটি টাকা থেকে বেড়ে ৪ হাজার ২৬৮ কোটি টাকায় ঠেকেছে। প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করতে গিয়ে গাফিলতির কারণে ১০ জনের বেশি মানুষ মারা গেছেন। সর্বশেষ প্রাপ্ত খবর অনুযায়ী কাজ শেষ হয়েছে ৮০ শতাংশ। এখন এতে চলাচলের জন্য বাস কেনা নিয়ে নতুন বিতর্ক শুরু হয়েছে।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
সাবেক ভূমিমন্ত্রীর ছেলে তমাল গ্রেপ্তার
সাবেক ভূমিমন্ত্রী শামসুর রহমান শরীফ ডিলুর ছেলে শিরহান শরীফ তমালকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে র্যাব। শুক্রবার সকালে র্যাব-১২ গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
র্যাব জানায়, গ্রেপ্তারকালে তমালের কাছে একটি বিদেশি পিস্তল, একটি ম্যাগাজিন, চার রাউন্ড গুলি ও ১০ পিস ইয়াবা পাওয়া গেছে। তার ব্যবহৃত প্রাইভেটকারও জব্দ করা হয়েছে।
তবে কোন মামলায় তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে সে বিষয়ে বিস্তারিত কিছু জানা যায়নি।
শিরহান শরীফ তমাল ঈশ্বরদী উপজেলা যুবলীগের সভাপতি ছিলেন। পরে দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গসহ সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে যুবলীগ থেকে তাকে বহিষ্কার করা হয়।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
এনটিআরসিএর নতুন সচিব রিজওয়ানুল হক
সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের উপসচিব এ এমএম রিজওয়ানুল হককে বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষের (এনটিআরসিএ) সচিব নিয়োগ দিয়েছে সরকার।
বৃহস্পতিবার (৫ সেপ্টেম্বর) জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের (প্রেষণ-১ অধিশাখা) সিনিয়র সহকারী সচিব মোহাম্মদ মামুন শিবলীর সই করা প্রজ্ঞাপনে তাকে এ পদে পদায়ন করা হয়।
জনস্বার্থে এ আদেশ অবিলম্বে কার্যকর হবে বলে প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়।
রিজওয়ানুল হক এনটিআরসিএর সাবেক সচিব মো. ওবায়দুর রহমানের স্থলভিত্তিক হয়েছেন।
এর আগে সাবেক সচিব মো. ওবায়দুর রহমানকে বিদ্যুৎ বিভাগের একটি দফতর বদলি করা হয়েছে। এর পর থেকে এনটিআরসিএর সচিব পদটি শূন্য ছিল।
এমআই