অর্থনীতি
সীমান্তে ‘ওয়ান স্টপ পয়েন্ট’ চালু করবে এনবিআর

বাণিজ্য সহজীকরণ ও সীমান্ত বাণিজ্য সমন্বয় করতে পদক্ষেপ নিচ্ছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। এর ধারাবাহিকতায় ওয়ান স্টপ বর্ডার পয়েন্ট চালু করতে চায় সংস্থাটি। সম্প্রতি অনুষ্ঠিত ন্যাশনাল ট্রেড ফ্যাসিলেটশন কমিটির ৭ম সভায় নথিপত্র বিশ্লেষণ করে এসব তথ্য জানা গেছে।
আমদানি ও রপ্তানি সহজীকরণ করতে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) নানামুখী উদ্যোগ গ্রহণ করছে। জানা যায়, দ্রুততম সময়ে কাস্টমস প্রক্রিয়াদি সম্পন্নের পরও কোনো কোনো পণ্যচালান খালাসে দীর্ঘসময় ব্যয় হচ্ছে। এতে করে বাণিজ্য ব্যয় বেড়ে যাচ্ছে এবং প্রতিযোগিতামূলক বাজারে বাংলাদেশ পিছিয়ে পড়ছে।
সভার নথি অনুযায়ী, আমদানি-রপ্তানি ও ট্রানজিট বাণিজ্য সহজীকরণের উদ্দেশ্য পূরণে স্থানীয় পর্যায়ে ‘বর্ডার এজেন্সি করপোরেশন’ এবং ‘কনসালটেশনের’ জন্য দেশের সব কাস্টম হাউজ, দুটি বিমানবন্দর ও কয়েকটি শুল্ক স্টেশনে একটি করে ‘সীমান্ত বাণিজ্য সমন্বয় কমিটি’ গঠন করা হয়েছে। বাণিজ্য সহজীকরণ নিশ্চিতকল্পে সীমান্ত বাণিজ্য সমন্বয়ে এনবিআর সম্প্রতি এই পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে।
এনবিআরের প্রথম সচিব মোহাম্মদ শহীদুল ইসলাম সই করা নথি অনুযায়ী, ছয়টি কাস্টম হাউজের কমিশনারকে আহ্বায়ক করে সীমান্ত বাণিজ্য কমিটি গঠন করা হয়েছে।
কাস্টমস হাউজগুলো হলো- কাস্টম হাউজ চট্টগ্রাম, কাস্টমস হাউজ ঢাকা, কাস্টমস হাউজ মোংলা, কাস্টমস হাউজ বেনাপোল, কাস্টমস হাউজ আইসিডি-কমলাপুর, কাস্টমস হাউজ পানগাঁও।
এছাড়া আমদানি-রপ্তানি ও ট্রানজিটের পরিমাণ বিবেচনায় যেসব কাস্টম স্টেশনসমূহ অধিক গুরুত্বপূর্ণ সেগুলো হলো- ভোমরা (সাতক্ষীরা), দর্শনা (চুয়াডাঙ্গা), সোনামসজিদ (চাঁপাইনবাবগঞ্জ), হিলি (দিনাজপুর), বাংলাবান্ধা (পঞ্চগড়), বুড়িমারী (লালমনিরহাট), তামাবিল (সিলেট), শেওলা (সিলেট), আখাউড়া (ব্রাহ্মণবাড়িয়া), টেকনাফ (কক্সবাজার) স্থল কাস্টমস স্টেশন। দুটি বিমানবন্দর হলো- ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর কাস্টমস স্টেশন সিলেট, শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর কাস্টমস স্টেশন চট্টগ্রাম।
এনবিআরের এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, প্রতিটি কাস্টম হাউজ ও শুল্ক স্টেশনের কমিশনারকে আহ্বায়ক ও উপ-কমিশনারকে সদস্যসচিব করে এই সীমান্ত বাণিজ্য সমন্বয় কমিটি গঠন করা হয়েছে। ২৪ সদস্যের কমিটিতে আরও ২২টি সংস্থার প্রতিনিধি থাকবেন। যেসব সংস্থার প্রতিনিধি থাকবেন তারা হলেন- বন্দর কর্তৃপক্ষ বা সিভিল এভিয়েশন; বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ; ইমিগ্রেশন বিভাগ; বাংলাদেশ বিমান; উদ্ভিদ সংগনিরোধ দপ্তর, কৃষি মন্ত্রণালয়; প্রাণিসঙ্গ নিরোধ দপ্তর, প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়; বিস্ফোরক অধিদপ্তর; বাংলাদেশ নৌবাহিনী; বিএসটিআই; সোনালী ব্যাংক; বাংলাদেশ ব্যাংক; পরমাণু শক্তি কমিশন; চেম্বার অব কর্মাস অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ; সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশন; ফ্রেইট ফরোয়ার্ডার্স অ্যাসোসিয়েশন বা ট্রান্সপোর্ট অ্যাসোসিয়েশন; শিপিং এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশন; কুরিয়ার সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন; বাংলাদেশ ইনল্যান্ড কন্টেইনার ডিপোস অ্যাসোসিয়েশন; স্থানীয় পুলিশ (মেট্রোপলিটন-থানা-ট্রাফিক-এপিবিএন); কাস্টমস গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তর; শুল্ক মূল্যায়ন ও অভ্যন্তরীণ নিরীক্ষা কমিশনারেট; অন্যান্য দপ্তর বা নিজ দপ্তরের অন্য কোন প্রতিনিধি।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থা ও ট্রেড ফ্যাসিলেটেশন এর আলোকে কমিটির কার্যপরিধি হলো- স্ব স্ব কাস্টম হাউস, আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর, স্থল কাস্টমস স্টেশনের মাধ্যমে আমদানি-রপ্তানি ও ট্রানজিট বাণিজ্যের ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধকতাসমূহ চিহ্নিতকরণ ও তা বিদ্যমান আইনের বিধান অনুযায়ী নিরসনের উদ্যোগ গ্রহণ করা।
ন্যাশনাল ট্রেড ফ্যাসিলিটেশন কমিটির সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের উদ্যোগ গ্রহণ করা ও প্রত্যেক তিন মাসে সংশ্লিষ্ট কাস্টমস হাউজে, বিমানবন্দর কাস্টমস স্টেশনে, স্থল কাস্টমস কাস্টমস স্টেশনে ন্যূনতম একটি সভা আয়োজন এবং সভায় উপস্থিত প্রতিনিধিদের মতামতের আলোকে বাণিজ্য সংক্রান্ত প্রতিবন্ধকতাসমূহ নিরসনে যথাযথ প্রস্তাব সংশ্লিস্ট কর্তৃপক্ষের নিকট প্রেরণ, ফলোআপ এবং সমন্বয় সাধন; কার্যদিবস ও কার্যঘণ্টা প্রয়োজন অনুসারে অভিন্ন রাখার লক্ষ্যে বিভিন্ন সংস্থার মধ্যে সমন্বয় সাধন করা।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

অর্থনীতি
ফের বাড়ল স্বর্ণের দাম, নতুন রেকর্ড

মাত্র একদিনের ব্যবধানে ফের স্বর্ণের দাম বাড়িয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)।
শনিবার (১২ এপ্রিল) সন্ধ্যায় বাজুস এক বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, সব থেকে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ৪ হাজার ১৮৭ টাকা বাড়িয়ে ১ লাখ ৬৩ হাজার ২১৪ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে, যা দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ দাম।
এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের স্বর্ণের দাম ভরিপ্রতি ১ লাখ ৫৫ হাজার ৭৯৬ টাকা, ১৮ ক্যারেটের ১ লাখ ৩৩ হাজার ৫৪১ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ১০ হাজার ২৭১ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
স্থানীয় বাজারে তেজাবি স্বর্ণের (পিওর গোল্ড) মূল্য বেড়েছে। ফলে সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় বাজুস স্বর্ণের নতুন দাম নির্ধারণ করেছে বলে জানায়। নতুন এ দাম রোববার (১৩ এপ্রিল) থেকে কার্যকর হবে।
এর আগে, গত ১০ এপ্রিল ভরিতে ২ হাজার ৪০৩ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৫৯ হাজার ২৭ টাকা নির্ধারণ করেছিল সংগঠনটি।
উল্লেখ্য, ২০২৪ সালে দেশের বাজারে মোট ৬২ বার স্বর্ণের দাম সমন্বয় করা হয়েছিল। যেখানে ৩৫ বার দাম বাড়ানো হয়েছিল, আর কমানো হয়েছিল ২৭ বার।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
বিগত তিন বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন পর্যায়ে ডলারের মান

বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী মুদ্রা হিসেবে বিবেচিত মার্কিন ডলার। বিশ্ব বাজারে সবচেয়ে বেশি লেনদেন হয়ে থাকে এই মুদ্রাটির মাধ্যমে। কিন্তু, বিভিন্ন দেশের ওপর শুল্ক আরোপের জেরে টালমাটাল বৈশ্বিক বাজারে ইতিহাসের অন্যতম বড় দরপতনের মুখোমুখি মুদ্রাটি। করোনাকালের পর গত তিন বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন পর্যায়ে নেমেছে মার্কিন ডলারের মান।
যুক্তরাষ্ট্রের ডলারের সূচক (ডিএক্সওয়াই) ও মার্কিন সাময়িকী ফোর্বসের তথ্য অনুযায়ী, শুক্রবার (১১ এপ্রিল) তিন বছরের মধ্যে সর্বনিম্নে নেমে গেছে মার্কিন ডলারের মান। সাধারণত, এই মুদ্রার মানের ওপরই নির্ভর করে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মুদ্রার মান।
মার্কিন ডলারের সূচকে দেখা গেছে, যুক্তরাষ্ট্রের স্থানীয় সময় শুক্রবার ভোর ৫টার দিকে ডলারের মূল্য কমে ৯৯ দশমিক ০১-এ দাঁড়িয়েছে। যা এক বছরের মধ্যে ডলারের মানের প্রায় ৮ শতাংশ পতনের রেকর্ড।
ফোর্বসের প্রতিবেদন অনুযায়ী, গত বুধবার যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের শুল্ক ঘোষণার পর ডলারের মানের বেশি পতন ঘটেছে। ওই দিন বিশ্বের কয়েক ডজন দেশের বিরুদ্ধে নজিরবিহীন আমদানি শুল্ক আরোপ করেন তিনি।
ডোনাল্ড ট্রাম্পের যুক্তরাষ্ট্রের আমদানিতে উচ্চ শুল্ক আরোপের পর বৈশ্বিক বাজার ব্যবস্থায় ব্যাপক টালমাটাল পরিস্থিতি তৈরি হয়। আমেরিকা, ইউরোপ, এশিয়ার শেয়ার বাজারে ব্যাপক ধস শুরু হয়। যদিও পরবর্তীতে চীন ছাড়া বাকি সব দেশের ওপর আরোপিত এই শুল্ক আগামী তিন মাসের জন্য স্থগিতের ঘোষণা দিয়েছেন ট্রাম্প।
বিদেশি মুদ্রার লেনদেন হয় আলাদা দুটি দেশের মুদ্রায়। উদাহরণস্বরূপ, অস্ট্রেলিয়ান ডলার দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের ডলার ক্রয়। যার ফলে এক দেশের মুদ্রার মান আরেক দেশের মুদ্রার মানের মাধ্যমে নির্ধারিত হয়। যা ‘এক্সচেঞ্জ রেট’ নামে পরিচিত।
বিশ্বের বেশিরভাগ মুদ্রার মানই ওঠানামা করে। যার অর্থ চাহিদা এবং সরবরাহ অনুযায়ী দাম পরিবর্তন হয়ে থাকে। এক্ষেত্রে ব্যতিক্রম যুক্তরাষ্ট্রের ডলার, যা একটি নির্দিষ্ট দামে নির্ধারিত। ১৯৯৮ সাল পর্যন্ত মার্কিন ডলারের সঙ্গে অস্ট্রেলিয়ার ডলারের মানও নির্দিষ্ট করা ছিল। কিন্তু পরবর্তীতে সেটি বাতিল করা হয়।
এখন চাহিদা ও সরবরাহ অনুযায়ী অস্ট্রেলিয়ান ডলারের মূল্যও ওঠানামা করে। মুদ্রা শক্তিশালী হয় বিভিন্ন কারণে। যার মধ্যে অন্যতম হলো রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা, পণ্যের চাহিদা ইত্যাদি।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
ভারত থেকে আরও এলো ৩৬ হাজার টন চাল

ভারত থেকে আরও ৩৬ হাজার ১শ মেট্রিক টন সিদ্ধ চাল নিয়ে এমভি ফ্রসো কে নামের একটি জাহাজটি চট্টগ্রাম বন্দরে পৌঁছেছে। আজ শনিবার (১২ এপ্রিল) খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র তথ্য অফিসার ও জনসংযোগ কর্মকর্তা ইমদাদ ইসলাম স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এতে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, আন্তর্জাতিক উন্মুক্ত দরপত্র চুক্তির আওতায় (প্যাকেজ-৭) ভারত থেকে ৩৬ হাজার ১শ মেট্রিক টন সিদ্ধ চাল নিয়ে এমভি ফ্রসো কে জাহাজটি চট্টগ্রাম বন্দরে পৌঁছেছে।
উন্মুক্ত দরপত্র চুক্তির আওতায় ভারত থেকে মোট পাঁচ লাখ টন চাল আমদানির সিদ্ধান্ত হয়েছে। এরমধ্যে নয়টি প্যাকেজে মোট চার লাখ ৫০ হাজার টন চাল আমদানির চুক্তি হয়েছে। ইতোমধ্যে চুক্তি মোতাবেক তিন লাখ ১৭ হাজার ছয়শ ১৯ টন চাল দেশে পৌঁছেছে।
জাহাজে রক্ষিত চালের নমুনা পরীক্ষা শেষ হয়েছে এবং চাল খালাসের কার্যক্রম দ্রুত শুরু হবে। এজন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
ঈদের ছুটির পর ৯৯ শতাংশ পোশাক কারখানা চালু

ঈদের পর তৈরি পোশাক শিল্পে কার্যক্রম প্রায় স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে এসেছে। গত ১০ এপ্রিল পর্যন্ত (বুধবার) সংগঠনটির আওতাভুক্ত ২ হাজার ২৪টি কারখানার মধ্যে ২ হাজার ১২টি কারখানা খোলা হয়েছে। অর্থাৎ মোট কারখানার ৯৯ দশমিক ৪০ শতাংশ এখন চালু রয়েছে বলে জানিয়েছে শিল্প মালিকদের সংগঠন বাংলাদেশ গার্মেন্টস ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিজিএমইএ)।
এরমধ্যে সবচেয়ে বেশি কারখানা রয়েছে গাজীপুর ও ময়মনসিংহ অঞ্চলে। এখানে ৮৫৪টি কারখানার মধ্যে ৮৫১টি খোলা রয়েছে। সাভার, আশুলিয়া ও জিরানি এলাকায় ৪০৩টি কারখানার মধ্যে ৩৯৯টি চালু রয়েছে। নারায়ণগঞ্জে চালু রয়েছে ১৮৬টি, ডেমরায় ৩২০টি এবং চট্টগ্রামে খোলা রয়েছে ৩৩৬টি কারখানা।
বিজিএমইএর তথ্য বিশ্লেষণ করে আরও দেখা গেছে, এরইমধ্যে ফেব্রুয়ারি মাসের বেতন দিয়েছে ২ হাজার ১৯টি কারখানা। বেতন দেয়নি মাত্র ৫টি কারখানা। এর মধ্যে ৪টি ঢাকা অঞ্চলে এবং ১টি চট্টগ্রামে। অন্যদিকে মার্চ মাসের বেতন (১৫/৩০ দিনের হিসাবে) দিয়েছে ২ হাজার ৮টি কারখানা। বাকি ১৬টি প্রতিষ্ঠান এখনো বেতন পরিশোধ করেনি।
ফেব্রুয়ারির বেতন না দেওয়া কারখানার মধ্যে ৪টি ঢাকার এবং চট্টগ্রামের ১টি (মোট ৫টি) কারখানা রয়েছে। এছাড়া, মার্চ মাসের আংশিক বেতন দেয়নি ১৬টি কারখানা।
অন্যদিকে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন সময় মতো বেতন-বোনাস পরিশোধ ও নির্ধারিত সময়ে কারখানা চালু রাখায় ঈদের পরবর্তী সময়ে শ্রমিক অসন্তোষের কোনো ঘটনা ঘটেনি।
বিজিএমইএ সূত্রে জানা গেছে, এখন পর্যন্ত মাত্র ১২টি কারখানা ঈদের ছুটিতে রয়েছে, যা মোট কারখানার মাত্র ০ দশমিক ৫৯ শতাংশ।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
পাচার অর্থ ফেরাতে আপসের পথ ভাবছে সরকার: গভর্নর

বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুর বলেছেন, পাচার হওয়া অর্থ আপসের মাধ্যমে অর্থ ফেরত আনার বিষয়টি বিবেচনা করছে সরকার।
শুক্রবার (১২ এপ্রিল) বাংলাদেশ ব্যাংকের চট্টগ্রাম অফিসে আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় এ কথা বলেন তিনি।
গভর্নর বলেন, ‘দীর্ঘসূত্রিতার কারণে আইনি পথে অর্থ ফেরত আনা সময়সাপেক্ষ হয়ে পড়ে। অনেক দেশই আইনি কাঠামোর বাইরে বিকল্প উপায়ে ব্যবস্থা নেয়। আপসের মাধ্যমে টাকা ফেরত আনা গেলে তা অনেক দ্রুত হয়।’
তিনি বলেন, ‘আইনি প্রক্রিয়া হোক বা আপসের মাধ্যমে—যেভাবেই হোক, তার আগে কোন দেশে কত সম্পদ পাচার হয়েছে, সে বিষয়ে সুনির্দিষ্ট তথ্য সংগ্রহ করতে হবে। যত বিস্তারিত তথ্য থাকবে, তত ভালোভাবে দর কষাকষি করা যাবে।’
তিনি বলেন, ‘এসব ফার্ম পাচার হওয়া সম্পদ শনাক্ত করতে আমাদের সহায়তা করছে। তথ্য সংগ্রহের পর সংশ্লিষ্ট দেশের সরকারি সংস্থার সঙ্গে আলোচনা করব। সে দেশের আইনি কাঠামো মেনেই আমাদের কাজ করতে হবে। ইতোমধ্যে যোগাযোগ শুরু হয়েছে এবং তাদের পক্ষ থেকেও ইতিবাচক সাড়া মিলছে।’
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে আহসান এইচ মনসুর বলেন, ‘চট্টগ্রামের একটি বৃহৎ ব্যবসায়িক গ্রুপ—এস আলম প্রায় ১ লাখ ২৫ হাজার কোটি থেকে দেড় লাখ কোটি টাকা পাচার করেছে। বেক্সিমকোসহ আরও কয়েকটি বড় গ্রুপকে যুক্ত করলে এই অঙ্ক দাঁড়াতে পারে আড়াই থেকে তিন লাখ কোটি টাকায়।’
‘দেশের প্রায় ৫ লাখ কোটি টাকার অপ্রদত্ত ঋণের একটি বড় অংশই পাচার হয়েছে। অবশিষ্ট অর্থ পাচার না হলেও এখনো আদায় করা যায়নি। এই অর্থ আদায়ের জন্য অর্থঋণ আদালতের মাধ্যমে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে,’ যোগ করেন তিনি।
অর্থপাচারে বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তাদের জড়িত থাকার অভিযোগ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হয়। শুধু অনুমান বা অভিযোগের ভিত্তিতে ব্যবস্থা নেওয়া যায় না। যদি দুদক বা রাষ্ট্রের কোনো সংস্থা প্রমাণসহ অভিযোগ দেয়, তখন তা বিবেচনা করা হয়। শুধু ধারণা বা অভিযোগের ভিত্তিতে কাউকে চাকরি থেকে বাদ দেওয়া সমীচীন নয়।’
দেশের অর্থনীতি পুনরুদ্ধারের পথে রয়েছে জানিয়ে গভর্নর বলেন, ‘বর্তমানে দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা ভালো। রিজার্ভ, মুদ্রাস্ফীতি, রপ্তানি আয়—সবকিছু ইতিবাচক প্রবণতায় রয়েছে। ইসলামী ব্যাংকসহ যেসব বেসরকারি ব্যাংক অনিয়মে দুর্বল হয়ে পড়েছিল, তারাও ঘুরে দাঁড়িয়েছে এবং গ্রাহকদের আস্থা পুনরুদ্ধার করতে পেরেছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘ব্যাংক কর্মকর্তাদের জন্য চট্টগ্রামে একটি আন্তর্জাতিক মানের প্রশিক্ষণ কেন্দ্র স্থাপনের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। আমরা ইতোমধ্যে একটি জায়গা নির্ধারণ করেছি, যেটি বড় পরিসরের একটি ট্রেনিং সেন্টারের জন্য উপযুক্ত মনে হয়েছে। দেশ-বিদেশের বিশেষজ্ঞদের সহায়তায় ব্যাংকারদের আরও বাস্তবমুখী করে গড়ে তোলা হবে।’