শিল্প-বাণিজ্য
১৪ পণ্য আমদানিতে লাগবে শতভাগ নগদ মার্জিন
প্রক্রিয়াজাত খাদ্যদ্রব্য, সফট ড্রিংকস, চামড়াজাতসহ ১৪ পণ্য আমদানিতে দিতে হবে শতভাগ নগদ মার্জিন। মূলত বিলাসী পণ্য এবং অভ্যন্তরীণভাবে উৎপাদিত আমদানি বিকল্প পণ্যগুলোর আমদানি ঋণপত্র স্থাপনের ক্ষেত্রে নগদ মার্জিন সংরক্ষণের নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
বৃহস্পতিবার (৫ সেপ্টেম্বর) এ সংক্রান্ত নির্দেশনা জারি করেছে বাংলাদেশ ব্যাংকের ব্যাংকিং প্রবিধি ও নীতি বিভাগ।
কেন্দ্রীয় ব্যাংক নির্দেশনায় জানায়, বৈশ্বিক অর্থনৈতিক অস্থিতিশীল পরিস্থিতির প্রেক্ষাপটে দেশের মুদ্রা ও ঋণ ব্যবস্থাপনা অধিকতর সুসংহত রাখার লক্ষ্যে আমদানি ঋণপত্র স্থাপনের ক্ষেত্রে নগদ মার্জিনের হার নির্ধারণ সংক্রান্ত নির্দেশনা দেওয়া হয়। বিলাসজাতীয় পণ্য এবং অভ্যন্তরীণভাবে উৎপাদিত আমদানি বিকল্প পণ্যগুলোর আমদানি ঋণপত্র স্থাপনের ক্ষেত্রে শতভাগ নগদ মার্জিন সংরক্ষণ করতে হবে।
বিলাসী পণ্য ও অভ্যন্তরীণভাবে উৎপাদিত আমদানি বিকল্প পণ্যগুলোর মধ্যে রয়েছে- মোটরকার, প্রসাধনী, ইলেকট্রিক্যাল এবং ইলেকট্রনিক্স হোম বা অফিস অ্যাপ্লায়েন্স, আসবাবপত্র ও সাজসজ্জা সামগ্রী, সোনা ও স্বর্ণালঙ্কার, ফল ও ফুল, মূল্যবান ধাতু ও মুক্তা, নন সিরিয়াল ফুড অর্থাৎ অ-শস্য খাদ্যপণ্য, তৈরি পোশাক; প্রক্রিয়াজাত খাদ্যদ্রব্য ও পানীয় বা টিনজাত (ক্যান) খাদ্য, চকলেট, বিস্কুট, জুস, কফি, সফট ড্রিংকস্ ইত্যাদি। এছাড়া চামড়াজাত পণ্য, অ্যালকোহল জাতীয় পানীয়, পাটজাত পণ্য, তামাক, তামাকজাত বা এর বিকল্প পণ্য।
ব্যাংক কোম্পানী আইন, ১৯৯১ এর ২৯ ধারায় ক্ষমতাবলে এ নির্দেশনা জারি কেন্দ্রীয ব্যাংক। এ নির্দেশনা অবিলম্বে কার্যকর হবে বলে জানানো হয়।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
শিল্প-বাণিজ্য
কাল থেকে খোলা থাকবে সব পোশাক কারখানা: বিজিএমইএ
আইনশৃঙ্খলা বাহিনী নিরাপত্তার নিশ্চয়তা দেওয়ায় বৃহস্পতিবার (৫ সেপ্টেম্বর) থেকে দেশের সব পোশাক কারখানা খোলা রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতি (বিজিএমইএ)।
বুধবার (৪ সেপ্টেম্বর) বিজিএমইএ, গার্মেন্টস মালিক, সেনাবাহিনী, পুলিশ ও শিল্প পুলিশ ও বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার সঙ্গে আলোচনা করে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন বিজিএমইএর সভাপতি খন্দকার রফিকুল ইসলাম।
বিজিএমইএ সভাপতি বলেন, শ্রমিক আন্দোলনে ১৬৭টি পোশাক কারখানা বন্ধ ছিল। যদিও এ আন্দোলনে শ্রমিকদের সংশ্লিষ্টতা ছিল না। বহিরাগতদের হামলায় বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়েছে। তাই সেনা ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কারখানার নিরাপত্তার নিশ্চয়তা দেওয়ায় গার্মেন্টস চালু সিদ্ধান্ত নিয়েছেন মালিকরা।
তিনি বলেন, এখন সেনাবাহিনী, শিল্প পুলিশ, গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা কঠোর অবস্থানে থাকবেন বলেছেন। তারা নিরাপত্তা নিশ্চিত করবেন বলে জানিয়েছেন। তাই কাল থেকে পোশাক কারখানা খোলা থাকবে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
শিল্প-বাণিজ্য
দুর্গাপূজায় এবার ভারতে ইলিশ যাবে না: প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা
দেশীয় খামারিদের কথা মাথায় রেখে সরকার মাংস আমদানি করবে না বলে জানিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফরিদা আখতার। তিনি বলেন, কিছু অর্থলোভী ব্যবসায়ী মাংস আমদানির পাঁয়তারা করছে। ওই চক্রের তৎপরতা থেমে নেই। প্রান্তিক খামারিদের বাঁচাতে সরকারিভাবে আমরা দৃঢ় প্রতিজ্ঞ যে আমরা মাংস আমদানি করব না। উৎপাদন ব্যয় কমিয়ে মাংসের দাম কমানোর বিষয়ে আমরা ব্যবস্থা নিচ্ছি। দুর্গাপূজা উপলক্ষ্যে বাংলাদেশ থেকে এবার ভারতে কোনো ইলিশ মাছ যাবে না বলেও জানান তিনি।
মঙ্গলবার বিকেলে সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ খাতের সাংবাদিকদের সংগঠন ফিশারিজ অ্যান্ড লাইভস্টক জার্নালিস্ট ফোরামের (এফএলজেএফ) সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময়কালে তিনি এসব কথা বলেন।
উপদেষ্টা ফরিদা আখতার বলেন, নতুন করে হিমায়িত গো মাংস আমদানির পক্ষে একটি পক্ষ তৎপরতা শুরু করেছে। আমরা কোনো মাংস আমদানি করতে চাচ্ছি না। এ দেশে এখন লাখ লাখ খামারি গবাদিপশু লালন-পালনের সঙ্গে জড়িত। প্রতি বছর কোরবানির ঈদে ২০-২৫ লাখ পশু অবিক্রিত থেকে যায়। এমন পরস্থিতিতে দাম বৃদ্ধির অজুহাত তুলে মাংস আমদানি করলে প্রথমে হয়ত কম দামে পাওয়া যাবে, কিন্তু মাংসের চাবিকাঠি চলে যেতে পারে অন্য দেশের কাছে। লাখ লাখ লোক গবাদিপশু পালন করছে। এই বাজারটা নষ্ট করে ফেললে আমাদের সমাজটা কোন অবস্থায় পড়বে এটাও চিন্তা করার বিষয়। উৎপাদন ব্যয় কমিয়ে মাংসের দাম কমানোর বিষয়ে আমরা ব্যবস্থা নিচ্ছি। আমরা সচেতন আছি, জনগণ যাতে স্বল্প ও ন্যায্য মূল্যে মাংস খেতে পারে এবং খামারিরা টিকে থাকতে পারে।
হিমায়িত মাংসের পুষ্টিগুন নিয়ে প্রশ্ন তুলে ফরিদা আখতার বলেন, বিদেশ থেকে এসব মাংস এসে পৌঁছাতে অনেক সময় লাগবে। সঠিকভাবে প্রক্রিয়াজাত না করার কারণে অনেক ক্ষেত্রে গরুর মাংসের পুষ্টিগুণ নষ্ট হতে পারে। ফলে এসব খাবারে নানা রোগ-ব্যাধি হওয়ার ঝুঁকি থাকে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
শিল্প-বাণিজ্য
নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ-গ্যাস ও নিরাপত্তা চান ব্যবসায়ীরা
শিল্পকারখানায় নিরবচ্ছিন্ন গ্যাস-বিদ্যুতের সরবরাহের দাবি জানিয়েছেন দেশের শীর্ষস্থানীয় ব্যবসায়ীরা। তারা বলেছেন, গ্যাস, বিদ্যুৎ, ইনফ্রাস্ট্রাকচার, পোর্ট, কাস্টম সার্ভিস ঠিকমতো পাওয়া না গেলে ব্যবসা বাড়ানো সম্ভব হবে না। পাশাপাশি চলমান পরিস্থিতিতে কারখানার নিরাপত্তা নিশ্চিতেরও দাবি তুলেছেন তারা।
সোমবার (২ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর একটি হোটেলে ‘চলমান পরিস্থিতিতে তৈরি পোশাক খাতের সংকট ও উত্তরণের উপায়’ শীর্ষক আলোচনা সভায় ব্যবসায়ীরা এসব কথা বলেন। বাংলাদেশ গার্মেন্ট বায়িং হাউস অ্যাসোসিয়েশন (বিজিবিএ) এ সভার আয়োজন করে। এতে বিজিবিএ সভাপতি মোহাম্মদ মোফাজ্জল হোসেন পাভেলের সভাপতিত্বে দেশের শীর্ষস্থানীয় ব্যবসায়ীরা অংশ নেন।
ব্যবসায়ীরা জানান, সম্ভাবনাময় খাত হওয়া সত্ত্বেও শিল্পখাতে নিরবচ্ছিন্ন জ্বালানি সরবরাহ নিশ্চিত না করার কারণে শিল্পের উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে। ফলে নানাবিধ সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন এই খাতের ব্যবসায়ীরা। নিরবচ্ছিন্ন জ্বালানির অভাবে উৎপাদন খরচ বাড়ছে। তাছাড়া শ্রমিকরা বিভিন্ন দাবি নিয়ে কারখানাগুলোতে কর্মবিরতি পালন করছেন। বহিরাগতরা এসে কারখানা ভাঙ্চুর করছেন। এ অবস্থায় শিল্প পুলিশের সহযোগিতা পাওয়া যাচ্ছে না। ব্যবসাবান্ধব পরিবেশ নিশ্চিত করতে অন্তর্বর্তী সরকারের সহায়তা চেয়েছেন ব্যবসায়ীরা।
বিপিএজিএমইএ সভাপতি মোহাম্মদ শাহরিয়ার বলেন, বড় সমস্যা হলো অভ্যন্তরীণ সমস্যা। দেশের যেকোনো অস্থিরতায় প্রথম চ্যালেঞ্জের মুখে পড়ে আরএমজি সেক্টর। আন্দোলন ঘিরে অস্থির পরিস্থিতিতে প্রতিবেশি দেশে অর্ডার চলে যাবে, বায়ার চাইলে তা যেতেই পারে। কিন্তু অন্য দেশে যাওয়ার আগে তারা ভাববে বাংলাদেশে অর্ডারগুলো উঠিয়ে নিতে পারবে কী না। নতুন সরকারকে তাদের সময় দেয়া উচিত। আমরা নিরবচ্ছিন্ন, গ্যাস ও ইউটিলিটি সুবিধা চাই।
বিজিএমইএ স্ট্যান্ডিং কমিটির চেয়ারম্যান কফিল উদ্দিন বলেন, আন্দোলন ঘিরে ইতিমধ্যেই ব্যবসায় অনেক ক্ষতি হয়ে গেছে। ঘুরে দাঁড়াতে গ্যাস, বিদ্যুতের সমস্যা সমাধানের বিকল্প নেই। পাশাপাশি আমরা নিরাপত্তার বড় অভাববোধ করছি। বহিরাগতরা বিভিন্ন দাবি নিয়ে আসছে। ইতিমধ্যে ৮০০ কারখানা বন্ধ। শিল্প পুলিশের সহযোগিতা পাওয়া যাচ্ছে না। আমরা কারখানার নিরাপত্তা চাই।
বিটিএমইএ সভাপতি শওকত রাসেল বলেন, আমরা আশাবাদী বিশ্বব্যাপী ড. ইউনূস স্যারের সুনামের জন্য আমাদের ব্যবসা বাড়বে। এই মুহূর্তে কারখানাগুলোতে জানমালের নিরাপত্তা দরকার। এলসি নিয়েছি, ছাড় হচ্ছে না। বিদ্যুৎ, গ্যাসের সরবরাহ নিশ্চিত করতে হবে।
বিজিবিএ সভাপতি মোহাম্মদ মোফাজ্জল হোসেন পাভেল বলেন, ১০০ বিলিয়নের স্বপ্ন দেখতে চাইলে অ্যাকশন প্লান তৈরি করতে হবে। বাংলাদেশে নিরাপত্তার অভাবে বিদেশিরা টিম পাঠাতে পারছেন না। নিরাপত্তা দরকার। নাহলে ব্যবসা কমে যাবে। ব্যাংকিং সেক্টোরে আস্থা ফিরিয়ে আনতে হবে। ব্যবসাবান্ধব দেশের জন্য ব্যবসার পরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে এফবিসিসিআই’র সাবেক সভাপতি আবদুল আউয়াল মিন্টু বলেন, সমস্যা কখনই কমেনি। দিন দিন বেড়ে গেছে। রাজনীতি ভালো না হলে অর্থনীতি ভালো হবে না। লক্ষ লক্ষ কোটি টাকা বিনিয়োগ করে রাখা হয়েছে, চাহিদার থেকে বেশি বিদ্যুৎক্ষেত্রে। সম্পদ সৃষ্টিকারীদের চেয়ে সম্পদ অর্জনকারীদের সুবিধা দিতে এটা করা হয়েছে। রাজনীতিবিহীন সরকার কোনো সংস্কার করলে সেগুলো টেকসই হবে তার গ্যারান্টি কই! সামাজিক মূল্যবোধ, আর্থিক বিশৃঙ্খলা সবাই মিলে ঠিক করতে পারলে খুব ভালো। রাজনীতিবিদ, মন্ত্রীকে তেল দেয়া ব্যবসায়ীদের কাজ নয়। ব্যবসায়ী সমাজের উচিত নিজেদের সম্মান নিজেদের বজায় রাখা।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
শিল্প-বাণিজ্য
পোশাক শিল্পের নিরাপত্তায় রাতেই যৌথ অভিযান
পোশাক শিল্পের নিরাপত্তায় সাভার, আশুলিয়া, গাজীপুরে আজ সোমবার (২ সেপ্টেম্বর) রাতেই সেনাবাহিনী ও শিল্প পুলিশ যৌথ অভিযান পরিচালনা করবে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রফতানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) সভাপতি খন্দকার রফিকুল ইসলাম।
সোমবার (২ সেপ্টেম্বর) অন্তর্বর্তী সরকারের স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লে. জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী সঙ্গে বৈঠক শেষে এ তথ্য জানান বিজিএমইএ সভাপতি।
তিনি বলেন, পোশাক শিল্পের নিরাপত্তায় সাভার, আশুলিয়া, গাজীপুরে আজ সোমবার (২ সেপ্টেম্বর) রাতেই সেনাবাহিনী, শিল্প পুলিশের যৌথ অভিযান পরিচালনা করবে। প্রয়োজনে পরবর্তীতে যৌথ অভিযানে যোগ দেবে র্যাব ও বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।
রফিকুল ইসলাম বলেন, কারখানাগুলোয় যাতে করে শ্রম অসন্তোষের মতো পরিস্থিতির সৃষ্টি না হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। যারা অপ্রীতিকর পরিস্থিতি তৈরি করতে চায় তারা কেউ পোশাক শ্রমিক না। মঙ্গলবার (৩ সেপ্টেম্বর) পর্যন্ত পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করবে শিল্প মালিকরা। পরবর্তীতে আলোচনা করে কারখানা খোলা বা বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।
এদিকে, বিকেলে সচিবালয়ে বিজিএমইএ ও নিট শিল্প মালিকদের শীর্ষ সংগঠন বাংলাদেশ নিটওয়্যার ম্যানুফ্যাকচার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিকেএমইএ) শ্রমিক প্রতিনিধির সঙ্গে বৈঠক করেছেন শ্রম ও কর্মসংস্থান উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজিব ভূঁইয়া।
বৈঠক শেষে বাংলাদেশ লেবার ফেডারেশেন সাধারণ সম্পাদক শাকিল আক্তার চৌধুরী বলেন, কারখানার ক্ষতি করে কোনো আন্দোলন করা যাবে না।
আর বিএকেএমইএ সভাপতি মো. হাতেম বলেন, কারখানায় হামলা বিশৃঙ্খলা বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। ষড়যন্ত্র করে বহিরাগতরা অযৌক্তিক দাবি নিয়ে শ্রমিক অসন্তোষের চেষ্টা করছে। সে বিষয়ে উপদেষ্টাকে অবহিত করা হয়েছে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
শিল্প-বাণিজ্য
আদানির দুই ইউনিটেরই বিদ্যুৎ পাচ্ছে বাংলাদেশ
আদানি গ্রুপের কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র ভারতের ঝাড়খণ্ড রাজ্যের গোড্ডায় নির্মিত। এটিতে ৮০০ মেগাওয়াট ক্ষমতার দুটি ইউনিট আছে। এ বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে বিদ্যুৎকেন্দ্রে বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (পিডিবি)। কারিগরি ত্রুটির কারণে ১৩ আগস্ট বিদ্যুৎকেন্দ্রটির দ্বিতীয় ইউনিট বন্ধ হয়ে যায়। এরপর একটি ইউনিট থেকে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হচ্ছিল। গতকাল সোমবার রাত ১০টা ১০ মিনিটে দ্বিতীয় ইউনিটও উৎপাদনে ফিরেছে।
গতকাল মঙ্গলবার আদানি গ্রুপের পক্ষে একটি জনসংযোগ প্রতিষ্ঠানের পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। এতে বলা হয়, আজ (মঙ্গলবার) সকাল ৮টায় প্রথম ইউনিট থেকে ৫১৩ দশমিক ৩২ মেগাওয়াট ও দ্বিতীয় ইউনিট থেকে ৬৬৮ দশমিক ৫৭ মেগাওয়াট এবং দুপুর ১টা নাগাদ প্রথম ইউনিট থেকে ৫৯৩ দশমিক ৩৫ মেগাওয়াট ও দ্বিতীয় ইউনিট থেকে ৭৬৩ দশমিক ৯৪ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হয়েছে।
বাংলাদেশে বিদ্যুৎ বিক্রির জন্য গোড্ডায় এক হাজার ৬০০ মেগাওয়াট ক্ষমতার বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ করেছিল আদানি। বিদ্যুৎ কিনতে ২০১৭ সালে আদানি গ্রুপের সঙ্গে বিদ্যুৎ ক্রয় চুক্তি করে পিডিবি। চুক্তি অনুযায়ী আদানি গ্রুপের বিদ্যুৎকেন্দ্রটি থেকে ২৫ বছর বিদ্যুৎ কিনে নেবে পিডিবি। গত বছরের এপ্রিল থেকে বাণিজ্যিকভাবে বিদ্যুৎ সরবরাহ করছে তারা।
এটি থেকে ভারতে বিদ্যুৎ বিক্রির সুযোগ ছিল না। তবে ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার পদত্যাগের এক সপ্তাহের মাথায় বাংলাদেশে রপ্তানির পাশাপাশি স্থানীয় পর্যায়ে আদানির এ কেন্দ্রের বিদ্যুৎ বিক্রির সুযোগ দিয়েছে ভারত সরকার।
তবে চুক্তি অনুযায়ী পিডিবির চাহিদা অনুসারে এক হাজার ৪৯৬ মেগাওয়াট পর্যন্ত বিদ্যুৎ সরবরাহ করতে বাধ্য থাকবে আদানি। এটি দিতে না পারলে আদানিকে জরিমানা দিতে হবে। আবার বিদ্যুৎ না নিলেও আদানিকে বিদ্যুৎকেন্দ্রের ভাড়া (ক্যাপাসিটি পেমেন্ট) পরিশোধ করতে হয় পিডিবির। এ বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে বাংলাদেশে বিদ্যুৎ প্রবেশ করে চাঁপাইনবাবগঞ্জের রহনপুর হয়ে।
এ বিষয়ে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ভারতে জ্বালানি আইনের সংশোধন দুই দেশের মধ্যে বিদ্যুৎ সরবরাহের চুক্তিতে কোনো প্রভাব ফেলবে না। চুক্তি অনুযায়ী নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহে আদানি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। প্রায় ৮০ কোটি ডলার বকেয়া থাকা সত্ত্বেও বিদ্যুৎ দিয়ে যাচ্ছে আদানি।