জাতীয়
অধ্যাপক মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরাকে ওএসডি

জাতীয় প্রতিষেধক ও সামাজিক চিকিৎসা প্রতিষ্ঠানের (নিপসম) পরিচালক অধ্যাপক ডা. মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরাকে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওএসডি) হিসেবে বদলি করা হয়েছে।
স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের (পার-২) সিনিয়র সহকারী সচিব মো. আবু রায়হান দোলন স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, বিসিএস স্বাস্থ্য ক্যাডারের নিম্নবর্ণিত কর্মকর্তাদেরকে তাদের নামের পাশে বর্ণিত পদ ও কর্মস্থলে বদলিপূর্বক পদায়ন করা হলো। অধ্যাপক সেব্রিনা ফ্লোরার পদে নতুন পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে সেন্টার ফর মেডিকেল এডুকেশনের (সিএমই) পরিচালক অধ্যাপক ডা. মো. জিয়াউল ইসলামকে।
একই প্রজ্ঞাপনে আরও তিন কর্মকর্তাকে পদায়ন ও বদলি করা হয়েছে। তারা হলেন- স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ডা. জসিম উদ্দিনকে সুনামগঞ্জ জেলা সিভিল সার্জন পদে, অধিদপ্তরের আরেক বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ডা. হাদী জিয়া উদ্দিন আহমেদকে কুষ্টিয়া ম্যাটসের অধ্যক্ষ পদে, ঢাকার আইপিএইচএনের বিভাগীয় প্রধান ডা. মাহবুব আরেফীন রেজানুরকে ওএসডি হিসেবে বদলি করা হয়েছে।
এমআই

জাতীয়
নির্বাচনের সময় আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি ভালো থাকবে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেছেন, দেশের সব বাহিনীর প্রধানরা আজকে নিশ্চিত করেছে যে, নির্বাচনের সময় আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি ভালো থাকবে।
তিনি বলেন, নির্বাচন করতে যতো ধরনের সাহায্য সহযোগিতা দরকার হবে নির্বাচন কমিশনকে সেটা আমরা দেবো।
নির্বাচন কমিশন জাতিকে একটা ভালো নির্বাচন উপহার দেবে এটাই আমরা সবাই আশা করি।
মঙ্গলবার (২৪ জুন) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার সভাপতিত্বে আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির সভা শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
জাতীয় নির্বাচন নিয়ে কি আলোচনা হয়েছে জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, নির্বাচনে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি যেন ভালো থাকে। কীভাবে আমাদের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি ভালো রাখা যায় এবং ভালো থাকে এটা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। আজকে মোটামুটি সব বাহিনীর প্রধানরা উপস্থিত ছিলেন। তারা আজকে নিশ্চিত করেছে যে, নির্বাচনের সময় আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি ভালো থাকবে।
তিনি বলেন, নির্বাচনে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি ভালো থাকাটা শুধু আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর ওপর নির্ভর করে না। যারা নির্বাচনে অংশ নেন তাদের ওপর কিন্তু নির্ভর করে। সেটা আপনারাও তাদের বলবেন।
দিনের ভোট রাতে হয় সে সময়ও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী ছিল কিন্তু তারা পদক্ষেপ নেয়নি এমন প্রশ্নের উত্তরে উপদেষ্টা বলেন, সেসময়তো আপনারাও মাঠে ছিলেন, কোনো কিছু বলেননি।
সামনের নির্বাচনে রাতে ভোট যাতে না হয় পুলিশ কী সেটা নিশ্চিত করবে কিনা এমন প্রশ্নের উত্তরে উপদেষ্টা বলেন, এটা শুধু পুলিশ না, অন্যান্য আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীসহ পুলিশ অফিসার, রির্টানিং অফিসার, প্রিসাইডিং অফিসার এদেরও কিন্তু একটা ভূমিকা থাকে। তবে সর্বোপরি নির্বাচন কমিশন।
তিনি বলেন, যেহেতু পুরো নির্বাচন নির্ভর করে নির্বাচন কমিশনের ওপর। দেশের সব বাহিনী কিন্তু তখন তাদের আন্ডারে কাজ করে। নির্বাচন কমিশন জাতিকে একটা ভালো নির্বাচন উপহার দেবে এটাই আমরা সবাই আশা করি। নির্বাচন করতে যতো ধরনের সাহায্য সহযোগিতা দরকার হবে নির্বাচন কমিশনকে সেটা আমরা দেবো।
কাফি
জাতীয়
তেলের দাম আপাতত বাড়ছে না: জ্বালানি উপদেষ্টা

জ্বালানি তেলের দাম আপাতত বাড়ছে না বলে জানিয়েছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান।
মঙ্গলবার (২৪ জুন) রাজধানীর বিদ্যুৎ ভবনে লাফার্জহোলসিম এবং জালালাবাদ গ্যাস পিএলসির মধ্যে গ্যাস বিক্রয় চুক্তি সই অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন তিনি।
তিনি বলেন, ‘‘মধ্যপ্রাচ্যের সংঘাত পরিস্থিতি নিয়মিত পর্যবেক্ষণ করছি। জ্বালানি সরবরাহ ব্যাহত হবে কি না, তা নির্ভর করছে যুদ্ধ কতদিন চলে তার ওপর। তবে স্বল্প মেয়াদে জ্বালানির ব্যবস্থা করা আছে। আপাতত বিশ্ববাজারে দাম কিছুটা বেড়েছে। তবে জ্বালানি তেলের দাম এখন বাড়বে না। বিপিসির মুনাফা থেকেই সমন্বয় করা হবে।’’
তিনি আরও বলেন, ‘‘ভর্তুকিও বাড়ানো হবে না, জ্বালানি তেলের দামও না। আমদানিতে নিয়মিত সাশ্রয় করা হচ্ছে। গত সপ্তাহেও একটি দরপত্রে ২১ কোটি টাকা সাশ্রয় হয়েছে।’’
অনুষ্ঠানে ফাওজুল কবির বলেন, ‘‘জ্বালানি নিরাপত্তা গুরুত্বের সঙ্গে নেওয়া হয়েছে। বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে অনেক ভর্তুকি চলছে, এটি আর বাড়ানো যাবে না। তাই খরচ কমাতে হবে। ইতিমধ্যে মিলিয়ন মিলিয়ন ডলার সাশ্রয় করা হয়েছে।’’
অনুষ্ঠানে বিডার নির্বাহী চেয়ারম্যান চৌধুরী আশিক মাহমুদ বিন হারুন বলেন, ‘‘বেসরকারি খাত দীর্ঘ সময় ধরে নানা চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করছে। বিশ্বজুড়ে এখন এফডিআই কমলেও বর্তমান বিনিয়োগকারীদের বিনিয়োগ বাড়ছে। তাই তাঁদের আরও বিনিয়োগে উৎসাহী করতে হবে এবং নতুন বিনিয়োগকারীদেরও আকৃষ্ট করতে হবে।’’
চুক্তি অনুযায়ী, জালালাবাদ গ্যাস পিএলসি সুনামগঞ্জের ছাতকে অবস্থিত লাফার্জহোলসিমের সিমেন্ট কারখানায় গ্যাস সরবরাহ করবে। চুক্তিতে বিইআরসির নির্ধারিত হারে গ্যাসের দাম পরিশোধ করবে লাফার্জ। এতে সই করেন লাফার্জহোলসিমের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ইকবাল চৌধুরী এবং জালালাবাদের মহাব্যবস্থাপক জিতেন্দ্র কুমার দাস।
কাফি
জাতীয়
১ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত নানা অনুষ্ঠান করবে সরকার

গত বছরের বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের ধারাবাহিকতায় ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার সরকারের পতন ঘটে। সেই অভ্যুত্থানকে কেন্দ্র করে জুলাই মাসের পুরো আন্দোলনকে সরকারিভাবে ‘জুলাই গণ-অভ্যুত্থান’ বা ‘জুলাই বিপ্লব’ নামে অভিহিত করা হয়।
এই বিপ্লবের বর্ষপূর্তি উদ্যাপনে শুরু হচ্ছে ৩৬ দিনের (মাঝে বিরতি দিয়ে) ‘জুলাই স্মৃতি উদ্যাপন অনুষ্ঠানমালা’। মঙ্গলবার সাংবাদিকদের এ তথ্য জানায় প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং।
ঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী, ১ জুলাই শুরু হবে উপাসনালয়ে শহীদদের স্মরণে প্রার্থনার মাধ্যমে। মসজিদ, মন্দির, গির্জা, প্যাগোডাসহ সব ধর্মীয় স্থানে হবে এই আয়োজন। একই দিনে ‘জুলাই ক্যালেন্ডার’ উন্মোচন ও ‘জুলাই হত্যাকাণ্ডের খুনিদের বিচারের’ দাবিতে গণ-সাক্ষর কর্মসূচি শুরু হবে, যা চলবে ১ আগস্ট পর্যন্ত। একই দিনে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে ‘জুলাই শহীদ স্মৃতি শিক্ষাবৃত্তি’ চালু করা হবে।
প্রতিদিন অনুষ্ঠান না থাকলেও বিভিন্ন সময়ে ধারাবাহিকভাবে কর্মসূচি চলবে। যেমন, ১ জুলাইয়ের পর ৫, ৭ ও ১৪ জুলাই রয়েছে বিভিন্ন আয়োজন।
সবচেয়ে বড় আয়োজন রাখা হয়েছে ৫ আগস্টে, যা ‘৩৬ জুলাই’ হিসেবে চিহ্নিত। ওইদিন থাকছে ৩৬ জুলাইয়ের ভিডিও শেয়ারিং, দেশের ৩৬টি জেলার কেন্দ্রীয় শহীদ স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পস্তবক অর্পণ, শহীদ পরিবারের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার সাক্ষাৎ, মানিক মিয়া অ্যাভিনিউ অভিমুখে বিজয় মিছিল, এয়ার শো, গানের অনুষ্ঠান, ‘৩৬ ডেইস অব জুলাই’ ও অন্যান্য ডকুমেন্টারি প্রদর্শনী এবং ড্রোন শো।
কাফি
জাতীয়
মব ঠেকাতে ব্যর্থ হলে পুলিশ সদস্যদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা: ডিএমপি কমিশনার

ঢাকায় মব জাস্টিস ঠেকাতে ব্যর্থ হলে সংশ্লিষ্ট পুলিশ সদস্যদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন ডিএমপি কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী।
মঙ্গলবার (২৪ জুন) দুপুরে জাপানি সংস্থা জাইকার কারিগরি সহযোগিতায় ও ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) ডিআরএসপি প্রজেক্টের অধীনে ‘সড়ক নিরাপত্তা পোস্টার ও স্লোগান প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণ শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি একথা বলেন।
ডিএমপি কমিশনার বলেন, উত্তরায় সাবেক সিইসি নূরুল হুদার মবকাণ্ডে একজন অ্যারেস্ট আছে। আমরা একটা মামলাও নিচ্ছি। আমরা মব জাস্টিস অ্যালাউ করছি না। অনেক মামলাও নিয়েছি। মব জাস্টিসের ঘটনায় আমরা ছিনতাই ও ডাকাতির মামলা নিয়েছি। মব জাস্টিসের এক-দুটি ঘটনায় পুলিশ অফিসাররা তাদের কর্তব্যে অবহেলার কারণে তাদের বিরুদ্ধেও সাসপেন্ড ও শাস্তি দিয়েছি। তিন-মাস চার মাস আগে যে পরিমাণ মব জাস্টিস ছিল এখন সে পরিমাণ নেই।
তিনি বলেন, রাতে বাড়িতে আসামি আছে সেই বাড়িতে হানা দেওয়া, দরজা ভাঙা বা কিছু করা এ ধরনের ঘটনা অ্যালাও করছি না। এ কারণে সম্প্রতি এ ধরনের ঘটনা কমে গেছে। কেউ যেন কোনো অপরাধীকে ধরার জন্য না যায়। আপনারা পুলিশকে খবর দেবেন, আমরা সেখানে যাবো এবং আমরা তাদেরকে ধরবো। কেউ আইন নিজের হাতে তুলে নেওয়ার এখতিয়ার রাখে না। যেসব অফিসার এ ধরনের ঘটনায় ব্যবস্থা নেবে না তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবো।
চাঁদাবাজির এক প্রশ্নের জবাবে ডিএমপি কমিশনার বলেন, চাঁদাবাজির অভিযোগ পেলেই আমরা ব্যবস্থা নিচ্ছি। আদাবর থানায় একটি চাঁদাবাজির ঘটনায় আমরা মামলা নিয়েছি এবং গ্রেফতার করেছি।
অনুষ্ঠানে জাইকার কারিগরি সহযোগিতায় ও ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) ডিআরএসপি প্রজেক্টের অধীনে ‘সড়ক নিরাপত্তা পোস্টার ও স্লোগান’ প্রতিযোগিতায় ১০জন শিক্ষার্থীকে পুরস্কার তুলে দেন ডিএমপি কমিশনার।
এ সময় অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) মো. সরওয়ার এবং জাইকার কর্মকর্তারাও উপস্থিত ছিলেন।
জাতীয়
গুম কমিশনের মেয়াদ বাড়লো আরও ৬ মাস

আওয়ামী লীগ শাসনামলে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হাতে গুম হওয়া ব্যক্তিদের সন্ধানে গঠিত তদন্ত কমিশনের মেয়াদ আগামী ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে।
রাষ্ট্রপতির আদেশে মন্ত্রিপরিষদ সচিব ড. শেখ আব্দুর রশীদ স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, সরকার Commissions of Inquiry Act, 1956 (Act No.VI of 1956) এর সেকশন ৩-এ প্রদত্ত ক্ষমতাবলে ২০২৪ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর জারি করা প্রজ্ঞাপনে গঠিত গুম সংক্রান্ত তদন্ত কমিশনের মেয়াদ এ বছর ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত বর্ধিত করা হলো। এই প্রজ্ঞাপন ১ জুলাই থেকে কার্যকর হবে।
প্রসঙ্গত, দেশের আইন প্রয়োগকারী কোনো সংস্থার সদস্যের মাধ্যমে গুম হওয়া ব্যক্তিদের সন্ধানে এই তদন্ত কমিশন গঠন করা হয়েছে। এই কমিশন ২০১০ সালের ১ জানুয়ারি থেকে গত বছরের ৫ আগস্ট পর্যন্ত গুম হওয়া ব্যক্তিদের সন্ধান, তাদের শনাক্ত ও কোন পরিস্থিতিতে গুম হয়েছিল তা নির্ধারণ করবে।
সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরীকে চেয়ারম্যান করে পাঁচ সদস্যের কমিশন গঠিত হয়। বাকি সদস্যরা হলেন—হাইকোর্ট বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি মো. ফরিদ আহমেদ শিবলী, মানবাধিকারকর্মী নূর খান, ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক নাবিলা ইদ্রিস ও মানবাধিকারকর্মী সাজ্জাদ হোসেন।