ব্যাংক
অগ্রণী ব্যাংকে নতুন চেয়ারম্যান আবু নাসের বখতিয়ার
অগ্রণী ব্যাংক পিএলসির পরিচালনা পর্ষদের পরিচালক ও চেয়ারম্যান হিসেবে সৈয়দ আবু নাসের বখতিয়ার আহমেদকে নিয়োগ দিয়েছে সরকার।
আজ মঙ্গলবার (৩ সেপ্টেম্বর) অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের পক্ষ থেকে তার নিয়োগের বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।
আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের উপসচিব আফসানা বিলকিস স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, সৈয়দ আবু নাসের বখতিয়ার আহমেদকে তার যোগদানের তারিখ থেকে তিন বছর মেয়াদে অগ্রণী ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদে পরিচালক ও চেয়ারম্যান হিসেবে নিয়োগ দেওয়ার জন্য ব্যাংক কম্পানি আইন, ১৯৯১-এর বিধান অনুসারে বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমোদন গ্রহণসহ প্রয়োজনীয় কার্যক্রম গ্রহণের জন্য অনুরোধ করা হলো।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুঁজিবাজার
আল-আরাফাহ ও কমার্স ব্যাংকের পর্ষদ ভেঙে পুনর্গঠন
আল-আরাফাহ ইসলামী ব্যাংক ও বাংলাদেশ কমার্স ব্যাংক লিমিটেডের বিদ্যমান পরিচালনা পর্ষদ বাতিল করে নতুন পরিচালকদের নিয়োগ দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এরমধ্য দিয়ে ঋণ জালিয়াতির জন্য বহুল আলোচিত এস আলম গ্রুপের প্রভাবমুক্ত হলো ব্যাংক দুটির পর্ষদ।
ব্যাংক-কোম্পানী আইন, ১৯৯১ (২০২৩ পর্যন্ত সংশোধিত) এর ৪৭(১) এবং ৪৮(১) ধারায় প্রদত্ত ক্ষমতাবলে আগের পরিচালনা পর্ষদ বাতিল ঘোষণা করা হয়েছে।
একইসঙ্গে ব্যাংক-কোম্পানী আইন, ১৯৯১ এর ৪৫ ধারায় প্রদত্ত ক্ষমতাবলে বাংলাদেশ ব্যাংক এ দুটি ব্যাংকে পরিচালকদের নিয়োগ দিয়েছে।
মঙ্গলবার (৩ সেপ্টেম্বর) পৃথক দুটি প্রজ্ঞাপনে এবিষয়ে জানিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
বাংলাদেশ কমার্স ব্যাংকের নতুন পরিচালকরা হলেন- মো. আতাউর রহমান (স্বতন্ত্র পরিচালক); মো. মহসিন মিয়া (স্বতন্ত্র পরিচালক), কামরুল হক মারুফ (পরিচালক); মো. গোলাম মুরতুজা (পরিচালক) এবং শেখ আশ্বাফুজ্জামান (স্বতন্ত্র পরিচালক)।
আর আল-আরাফাহ ইসলামী ব্যাংকের পর্ষদে- খাজা শাহরিয়ার স্বতন্ত্র পরিচালক ও পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান হিসেবে নিয়োগ দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। পর্ষদের অন্য স্বতন্ত্র পরিচালকরা হলেন- মো. শাহীন উল ইসলাম, মো. আব্দুল ওয়াদুদ, এম আবু ইউসুফ ও মোহাম্মদ আশরাফুল হাসান।
এসএম
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংকের দুই ডিএমডির পদত্যাগ
এস আলম গ্রুপ নিয়ন্ত্রণ হারানোর পর সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক লিমিটেড (এসআইবিএল) ছাড়লেন ব্যাংকটির দুই ডিএমডি মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান ও মোহাম্মদ খোরশেদ আলম। আজ মঙ্গলবার (৩ সেপ্টেম্বর) তারা পদত্যাগ করেছেন বলে জানা গেছে।
দুই ডিএমডি পদত্যাগের বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া গেলেও ব্যবস্থাপনা পরিচালক জাফর আলমের পদত্যাগের বিষয়ে নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
এসআইবিএলের চেয়ারম্যান ছিলেন এস আলমের জামাতা বেলাল আহমেদ। নামে–বেনামে ব্যাংকটিতে এস আলমের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট শেয়ার রয়েছে ৪৭ শতাংশ। বিপুল অংকের ঋণ বের করে নিয়েছে গ্রুপটি।
বাংলাদেশ ব্যাংক গত ২৫ আগস্ট ব্যাংকটির পরিচালনা পর্ষদ ভেঙে ৫ সদস্যের পর্ষদ পুনর্গঠন করে দিয়েছে। পরিচালনা পর্ষদ বসে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. এম সাদিকুল ইসলামকে চেয়ারম্যান নির্বাচিত করে। আর পরিচালক হিসেবে আছেন– ব্যাংকটির অন্যতম উদ্যোক্তা ও সাবেক চেয়ারম্যান মেজর (অব.) ডা. রেজাউল করিম, স্বতন্ত্র পরিচালক বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক নির্বাহী পরিচালক মাকসুদা বেগম, রূপালী ব্যাংকের সাবেক ডিএমডি মো. মোরশেদ আলম খন্দকার ও চার্টার্ড অ্যাকাউন্টেন্ট মো. আনোয়ার হোসেন।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত সাত ব্যাংকের তথ্য চেয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক
সম্প্রতি শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত ৭ ব্যাংকের পর্ষদ পুনর্গঠন করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এসব ব্যাংকের চলমান সংকট কাটানোর পদক্ষেপ সম্পর্কে জানতে চেয়েছে আর্থিক খাতের নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি।
ব্যাংকগুলো হলো- ইসলামী ব্যাংক, সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক, গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক, ইউনিয়ন ব্যাংক, ন্যাশনাল ব্যাংক, ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক ও ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক (ইউসিবি)। এর মধ্যে প্রথম ছয়টি এস আলম গ্রুপের মালিকানাধীন। তবে পর্ষদ পুনর্গঠন করে গ্রুপটির নিয়ন্ত্রণমুক্ত করা হয়েছে এসব ব্যাংক।
বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
তথ্য অনুযায়ী, অনিয়ম ও দুর্নীতি ঠেকাতে যেসব ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ পুনর্গঠন করা হয়েছে, ওই ব্যাংকগুলোর কী পরিমাণ টাকা প্রভাবশালীদের কাছে আটকে রয়েছে, তা জানতে চেয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। পাশাপাশি এসব ব্যাংকে যে তারল্য সংকট চলছে, তা থেকে উত্তরণে কী পরিকল্পনা করা হয়েছে, তা–ও জানতে চাওয়া হয়েছে।
আজ এসব তথ্য নিয়ে পুনর্গঠন করা ব্যাংকগুলোর পরিচালনা পর্ষদের সঙ্গে আলোচনায় বসছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুর।
গত ৫ আগস্ট আওয়ামী সরকারের পতনের পর নিরুদ্দেশ হয়ে যান গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার। পরে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর হিসেবে যোগ দেন আহসান এইচ মনসুর।
সম্প্রতি গভর্নর সাংবাদিকদের বলেন, যারা ব্যাংকের টাকা নিয়ে ফেরত দেননি, তাদের ছাড় দেওয়া হবে না। দুর্বল ব্যাংকগুলোর পরিচালনা পর্ষদ ভেঙে দেওয়া হবে।
২০ আগস্ট ন্যাশনাল ব্যাংকের পর্ষদ বিলুপ্তের মাধ্যমে সেই প্রক্রিয়া শুরু করা হয়। এখন পুনর্গঠিত পর্ষদের মাধ্যমে কীভাবে ব্যাংকগুলোর উন্নতি করা যায়, তা নিয়ে কাজ শুরু করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
ব্যাংক
ব্যাংকারদের পদোন্নতিতে বাতিল হচ্ছে ব্যাংকিং ডিপ্লোমা
ব্যাংকারদের পদোন্নতির জন্য ডিপ্লোমা ডিগ্রির বাধ্যবাধকতা বাতিল করতে যাচ্ছে বাংলাদেশ ব্যাংক। পদোন্নতিতে ব্যাংকিং ডিপ্লোমা রাখা হবে কি না, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কাছে ইনস্টিটিউট অব ব্যাংকার্স বাংলাদেশের (আইবিবি) চিঠির পরিপ্রেক্ষিতে এমন সিদ্ধান্ত নিতে যাচ্ছে।
সূত্র জানায়, আইবিবির সর্বশেষ গভর্নিং কাউন্সিলে আইবিবি প্রেসিডেন্ট ও বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুর পদোন্নতিতে ব্যাংকিং ডিপ্লোমা বাতিলের পক্ষে মত দেন।
২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারিতে ব্যাংক কর্মকর্তাদের সিনিয়র অফিসার ও তার ওপরের পদে পদোন্নতিতে ব্যাংকিং ডিপ্লোমা পাশ বাধ্যতামূলক করে।
ওই সময় কেন্দ্রীয় ব্যাংক বলেছিল, ব্যাংক কর্মকর্তাদের দক্ষতা, যোগ্যতা ও সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য ব্যাংকের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা বা সিনিয়র অফিসারের পরের পদে পদোন্নতিতে দুই পর্বের ব্যাংকিং ডিপ্লোমা পাশ বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।
অবশ্য পরে ওই বছরেরই জুলাই মাসে এই বাধ্যবাধকতা শিথিল করা হয়।
ওই সময় জারি করা এক সার্কুলারে কেন্দ্রীয় ব্যাংক বলে, ব্যাংকিং ডিপ্লোমা বাধ্যতামূলক করার আগে যেসব সিনিয়র বা উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা নিয়োগ বা পদোন্নতি পেয়েছেন, তাদের ব্যাংকিং ডিপ্লোমার প্রয়োজন হবে না।
তবে একটি পদোন্নতি প্রাপ্তির পর পরবর্তী যেকোনো স্তরের পদোন্নতির জন্য একটি ডিপ্লোমা আবশ্যক হবে।
একইসঙ্গে ব্যাংকিং কার্যক্রমের সঙ্গে যুক্ত নন, এমন কর্মকর্তাদের সাধারণ ব্যাংকিং কার্যক্রমের সঙ্গে যুক্ত যেকোনো বিভাগে পদোন্নতিতে জন্য ব্যাংকিং ডিপ্লোমা পাশ করা বাধ্যতামূলক করে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
ব্যাংক
গ্রামীণ ব্যাংকের পরিচালক ফারহানা ফেরদৌসী
সাউথইস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগী অধ্যাপক ড. ফারহানা ফেরদৌসীকে গ্রামীণ ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের পরিচালক হিসেবে নিয়োগ দিয়েছে সরকার। একই সঙ্গে প্রতিষ্ঠানটির পরিচালক হিসেবে মোহাম্মদ সালাহ উদ্দিনের নিয়োগ বাতিল করা হয়েছে।
গতকাল সোমবার অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ থেকে এ বিষয়ে দুটি পৃথক প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।
ফারহানা ফেরদৌসীকে গ্রামীণ ব্যাংকের পরিচালক নিয়োগ দিয়ে জারি করা প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, গ্রামীণ ব্যাংক আইন ২০১৩ এর ধারা (৯)(১)(ক) অনুযায়ী সাউথইস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগী অধ্যাপক ড. ফারহানা ফেরদৌসীকে গ্রামীণ ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের পরিচালক হিসেবে যোগদানের তারিখ থেকে তিন বছরের জন্য নিয়োগ দেওয়া হলো।
অপরদিকে মোহাম্মদ সালাহ উদ্দিনের নিয়োগ বাতিল করা সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, গ্রামীণ ব্যাংকের পরিচালনা বোর্ডের পরিচালক হিসেবে মোহাম্মদ সালাহ উদ্দিনের নিয়োগের অবশিষ্ট মেয়াদ বাতিল করা হলো।
এমআই