কর্পোরেট সংবাদ
ইসলামী ব্যাংকের পর্ষদ সভা অনুষ্ঠিত
ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসির পরিচালনা পর্ষদের এক সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
মঙ্গলবার (৩ সেপ্টেম্বর) ইসলামী ব্যাংক টাওয়ারে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন ব্যাংকের চেয়ারম্যান মো. ওবায়েদ উল্লাহ আল মাসুদ।
সভায় এক্সিকিউটিভ কমিটির চেয়ারম্যান মো. আবদুল জলিল, রিস্ক ম্যানেজমেন্ট কমিটির চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. এম মাসুদ রহমান, অডিট কমিটির চেয়ারম্যান মো. আবদুস সালাম, স্বতন্ত্র পরিচালক মোহাম্মদ খুরশীদ ওয়াহাব, ম্যানেজিং ডাইরেক্টর মুহাম্মদ মুনিরুল মওলা, অ্যাডিশনাল ম্যানেজিং ডাইরেক্টর মো. আলতাফ হুসাইন, শরী’আহ সুপারভাইজরি কমিটির সদস্য সচিব প্রফেসর ড. মুহাম্মাদ আব্দুস সামাদ ও কোম্পানি সেক্রেটারি (চলতি দায়িত্ব) মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম উপস্থিত ছিলেন।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
কর্পোরেট সংবাদ
বিকাশে অর্থ পরিশোধ করতে পারবেন আইডিএলসি গ্রাহকরা
দেশের শীর্ষ নন-ব্যাংকিং আর্থিক প্রতিষ্ঠান আইডিএলসির গ্রাহকরা এখন যেকোনো স্থান থেকে যেকোনো সময় আরও সহজে, দ্রুত ও নিরাপদে লোনের কিস্তি পরিশোধ সহ অন্যান্য সব সেবার ফি ও চার্জ পরিশোধ করতে পারছেন বিকাশে।
গ্রাহকদের জন্য আরও স্বাচ্ছন্দ্য নিশ্চিত করতে সম্প্রতি আইডিএলসি ও বিকাশ যৌথভাবে এই সেবা চালু করেছে। এর আওতায় আইডিএলসি গ্রাহকরা লোনের কিস্তি, ডুপ্লিকেট ডকুমেন্ট ইস্যু চার্জ, স্টেটমেন্ট ও সার্টিফিকেট চার্জ, আবগারি শুল্ক, লেট পেমেন্ট ইন্টারেস্ট এবং লোন
প্রসেসিং ফি পেমেন্টের মতো লেনদেনগুলো ঘরে বসেই বিকাশ অ্যাপের মাধ্যমে করতে পারবেন। এতে গ্রাহকদের সময় সাশ্রয়ের পাশাপাশি আইডিএলসি’র সার্বিক সেবায়ও গতিশীলতা আসবে।
আইডিএলসির লোনের কিস্তি বা অন্যান্য ফি ও চার্জ পরিশোধ করতে প্রথমে বিকাশ অ্যাপের ‘পে বিল’ আইকনে ট্যাপ করে ‘আদার্স’ বা ‘সার্চ’ অপশন থেকে আইডিএলসি সিলেক্ট করে নিতে হবে। এখানে ‘পারপাস’ অপশন থেকে গ্রাহক যে ধরনের পেমেন্টটি সম্পন্ন করতে চান সেটা সিলেক্ট করতে হবে এবং ‘অ্যাকাউন্ট’ বা ‘রেফারেন্স’ নাম্বার বসিয়ে পরবর্তী ধাপে যেতে হবে, যেখানে স্বয়ংক্রিয়ভাবে গ্রাহকের লোন বা ফি এর পরিমাণ চলে আসবে। এবার গ্রাহক পিন নাম্বার দিয়ে সম্মতি দিলেই পেমেন্টটি সম্পন্ন হয়ে যাবে। পেমেন্ট সম্পন্ন হওয়ার পর গ্রাহক চাইলে বিলের ডিজিটাল রিসিপ্ট ডাউনলোড করে নিতে পারবেন।
বর্তমানে বিদ্যুৎ, গ্যাস, পানি, ইন্টারনেট, টেলিফোন, টিভি, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, ক্রেডিট কার্ড, ইন্স্যুরেন্স, সরকারি ফি ইত্যাদি সহ প্রায় সব ধরনের ইউটিলিটি বিল পরিশোধ করার সবচেয়ে বড় প্ল্যাটফর্ম বিকাশ। পাশাপাশি, বিভিন্ন আর্থিক প্রতিষ্ঠানের পেমেন্ট আদায় প্রক্রিয়াকে আরও সহজ ও ডিজিটাল করার জন্য আধুনিক ও গ্রাহকবান্ধব সল্যুশনও রয়েছে বিকাশ-এর। এর ফলে একদিকে যেমন গ্রাহকদের লোন ও সঞ্চয়ের কিস্তি পরিশোধ নিরাপদ ও নিশ্চিন্ত হয়েছে, অন্যদিকে প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্যও লোন আদায় ও সঞ্চয়ের অর্থ সংগ্রহ ব্যবস্থাপনা আরও সহজ এবং সময়সাশ্রয়ী হয়েছে।
এসএম
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
কর্পোরেট সংবাদ
প্রধান উপদেষ্টার ত্রাণ তহবিলে কোটি টাকা অনুদান দিলেন সুফি মিজান
সাম্প্রতিক সময়ে আকস্মিক বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের সাহায্যে প্রধান উপদেষ্টার ত্রাণ তহবিলে এক কোটি টাকা অনুদান দিয়েছেন শীর্ষস্থানীয় শিল্প প্রতিষ্ঠান পিএইচপি’র চেয়ারম্যান একুশে পদকপ্রাপ্ত ব্যক্তিত্ব সুফি মিজানুর রহমান। এর আগে বন্যায় প্রায় ৫ হাজার ক্ষতিগ্রস্থ মানুষকে মুহুরিগঞ্জস্থ স্টিল মিল কারখানায় আশ্রয় এবং তিনবেলা খাবারের ব্যবস্থা করে প্রশংসিত হয়েছিল শীর্ষস্থানীয় শিল্প প্রতিষ্ঠান পিএইচপি ফ্যামিলি।
আজ মঙ্গলবার (৩ সেপ্টেম্বর) সকালে দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফারুক ই আজমের কাছে সুফি মিজানুর রহমানের পক্ষে চেক হস্তান্তর করা হয়। এসময় পিএইচপি ফ্যামেলির পক্ষে উপস্থিত ছিলেন, সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ডাইরেক্টর মোস্তফা জামাল হোসেন, সিনিয়ল জেনারেল ম্যানেজার (সিএ) শেখ কুতুব উদ্দিন, সিনিয়র ডিজিএম (ফাইনান্স অ্যন্ড কমার্স) জীবন বান্দা।
এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন, দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের জয়েন্ট সেক্রেটারি অঞ্জন চন্দ্রপাল।
এবিষয়ে জানতে চাইলে পিএইচপি ফ্যামেলির ভাইস চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মহসিন বলেন, বন্যা দুর্গতদের সাহায্য করতে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস একটি তহবিল গঠন করার চেষ্টা করছেন। দেশের সচেতন নাগরিক হিসেবে নতুন সরকার প্রধানের সেই আহ্বানে অংশগ্রহণ করার চেষ্টা করেছি।
তিনি আরও বলেন, আমরা বিশ্বাস করি বিপদের সময় মানুষের পাশে দাঁড়ানো প্রত্যেক মানুষের মানবিক দায়িত্ব। সে দায়বদ্ধতা থেকে ক্ষতিগ্রস্থ মানুষের পাশে থাকার চেষ্টা।
উল্লেখ্য, বন্যার শুরু থেকে হুরিগঞ্জস্থ স্টিল মিল কারখানায় প্রায় ৫ হাজার আশ্রয় দিয়েছিলো পিএইচপি। শুধু আশ্রয় দেওয়াই নয়- প্রায় ১৫দিন তিনবেলা খাবার এবং চিকিৎসা সেবা দিয়ে তাদের সুস্থ করে তুলেছে দেশ সেরা এই শিল্পগ্রুপ।
এছাড়া পিএইচপি ফ্যামিলি বন্যা দুর্গত এলাকায় উদ্ধারের জন্য একাধিক বোট সরবরাহ করেছে। শিল্প প্রতিষ্ঠানটির এই মানবিক উদ্যোগটি বন্যা দুর্গত মানুষদের জন্য একটি বড় সহায়তা হিসেবে এসেছে এবং সমাজের অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের জন্যও একটি অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত।
মহসিন বলেন, আমরা আমাদের কারখানার দরজা খুলে দিয়েছি, সব বন্যা কবলিত মানুষ সেখানে আশ্রয় নিচ্ছেন। আমরা তাদের জন্য স্বাস্থ্যসম্মত খাবার, উষ্ণ পোশাক, নারীদের জন্য স্যানিটারি প্রোডাক্ট এবং শিশুদের জন্য বিশেষ খাবার সরবরাহ করছি। ইতিমধ্যে ৫ হাজার জনকে সেবা প্রদান করা হয়েছে।
অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি আরও বলেন, দুর্যোগ পরবর্তী সময়ে আমরা চেষ্টা করছি ক্ষতিগ্রস্থ মানুষগুলোকে পুনর্বাসনের। সে মাঠে কাজ করছে পিএইচপি ফ্যামলির আরও একটি টিম।
এসএম
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
কর্পোরেট সংবাদ
ইউনিয়ন ব্যাংকের নতুন পর্ষদের প্রথম সভা অনুষ্ঠিত
ইউনিয়ন ব্যাংকের নবগঠিত পরিচালনা পর্ষদের প্রথম সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সম্প্রতি ব্যাংকটির পরিচালনা পর্ষদ গঠন করে দেয় বাংলাদেশ ব্যাংক। সোমবার (২ সেপ্টেম্বর) প্রধান কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সভায় সভাপতিত্ব করেন ব্যাংকটির চেয়ারম্যান মু. ফরীদ উদ্দীন আহমদ।
সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন পরিচালনা পর্ষদের সদস্য মো. হুমায়ুন কবীর, মোহাম্মদ সাইফুল আলম, ড. শহিদুল ইসলাম জাহীদ এবং শেখ জাহিদুল ইসলাম।
কোরআন তিলাওয়াতের মাধ্যমে সভা শুরু হয় এবং শুরুতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার সাম্প্রতিক অভ্যুত্থানে নিহত সবার আত্মার মাগফিরাত এবং আহত ও ক্ষতিগ্রস্থদের প্রতি গভীর সমবেদনা প্রকাশ করা হয়।
নবগঠিত পর্ষদ ব্যাংকের সব আমানতকারী, ব্যবসায়িক অংশীদার, স্টেকহোল্ডার, শুভাকাঙ্ক্ষী ও শুভানুধ্যায়ীদের ব্যাংকের প্রতি আস্থা ও সহযোগিতা অব্যাহত রাখার জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন ও ধন্যবাদ জানায়। পর্ষদ ব্যাংকের সার্বিক আর্থিক অবস্থা গভীরভাবে পর্যালোচনা করেন এবং বর্তমান সমস্যাবলি সবস্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারী, ব্যবসায়িক অংশীদার, আমানতকারী-সহ অন্যান্য সকল স্টেকহোল্ডার এবং বাংলাদেশ ব্যাংক-সহ সব নিয়ন্ত্রনকারী সংস্থার নির্দেশ ও সহযোগিতা নিয়ে সম্ভাব্য স্বল্পতম সময়ে সমাধানের সংকল্প ব্যক্ত করেন।
সবার সহযোগিতায় ইউনিয়ন ব্যাংককে শরিয়াহ মোতাবেক পরিচালনার মাধ্যমে একটি আদর্শ ব্যাংক হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করার বিষয়ে দৃঢ় আশাবাদ ব্যক্ত করে নতুন পর্ষদ।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
কর্পোরেট সংবাদ
আন্দোলনে আহত ছাত্র-জনতার পাশে এনআরবিসি ব্যাংক
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে আহত ও বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ব্যক্তিদের পাশে দাঁড়িয়েছে এনআরবিসি ব্যাংক। আহতদের চিকিৎসা এবং পুনর্বাসনের জন্য কর্পোরেট সামাজিক দায়বদ্ধতা (সিএসআর) তহবিল থেকে ৫০ লাখ টাকা প্রদান করা হয়েছে।
সোমবার (০২ সেপ্টেম্বর) এনআরবিসি ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে ৪৩জন আন্দোলনকারীকে ওই অর্থ প্রদান করা হয়।
অনুষ্ঠানে ব্যাংকের চেয়ারম্যান পারভেজ তমাল, ভাইস চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম মিয়া আরজু, ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা কমিটির চেয়ারম্যান ও পরিচালক একেএম মোস্তাফিজুর রহমান, পরিচালক লকিয়ত উল্যাহ, ব্যবস্থাপনা পরিচালক (চলতি দায়িত্ব) মো. রবিউল ইসলাম, ডিএমডি কবীর আহমেদ, হারুনুর রশীদ ও মো. হুমায়ুন কবীর, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. মিজানুর রহমান, সহযোগী অধ্যাপক আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ, সাদিক কায়েম, শফিউল আলম শাহিন, আব্দুল হান্নান মাসুদ, তাহমিদ আল মুদাসসির চৌধুরী, আরাফাত হোসেন ভুইয়া, রায়হান উদ্দিন, এবি যুবায়ের, মুসাদ্দিক আলী ইবনে মোহাম্মদ, সাব্বির উদ্দিন রিওন, আবিদ হাসান রাফিসহ অন্যান্য সমন্বয়ক ও সহ-সমন্বয়ক উপস্থিত ছিলেন।
সমন্বয়ক সাদিক কায়েম বলেন, নতুন বাংলাদেশ হবে বৈষম্যহীন। অধিকার আদায়ের এই আন্দোলনে যারা শহীদ ও আহত হয়েছেন তাদের পাশে দাঁড়াতে হবে। তাঁদের আত্মত্যাগকে স্বরণ কবে নতুন বাংলাদেশ গঠনে এগিয়ে আসতে হবে।
সমন্বয়ক শফিউল আলম শাহিন বলেন, এনআরবিসি ব্যাংকের মতো অন্যান্য আর্থিক প্রতিষ্ঠানও আহত ও শহীদ পরিবারের পাশে দাঁড়াবে। আহত ও শহীদ পরিবারের কর্মক্ষম সদস্যদের স্থায়ী কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করতে আহ্বান জানান। সকলের সহযোগিতা নিয়ে আমরা বৈষম্যমুক্ত স্বাধীন বাংলাদেশ গড়ে তুলতে চাই।
সমন্বয়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেন, আহতদের চিকিৎসা ও পুনর্বাসন এই মুহূর্তে সবচেয়ে জরুরি। শহীদ ও আহতদের পাশে দাঁড়িয়ে এনআরবিসি ব্যাংক উদাহরণ সৃষ্টি করেছে। সম্প্রীতির বাংলাদেশে যার যার অবস্থান থেকে দেশ গঠনে এগিয়ে আসতে হবে। দেশের বিরুদ্ধে যড়যন্ত্র রুখে দিতে হবে। কোন অবস্থাতেই স্বাধীনতা বেহাত হতে দেয়া হবেনা। যে উদ্দেশ্যে ছাত্র-জনতার বিপ্লব হয়েছে যেকোন মূল্যে আমাদের সেই উদ্দেশ্য বাস্তবায়ণ করতে হবে। না হলে শহীদের রক্তের প্রতি বেইমানি করা হবে। হাজার হাজার আহত ভাইদের মূল্যায়ন তখন বাস্তবিক অর্থে করা হবে যখন ফ্যাসিবাদমুক্ত বৈষম্যহীন স্বাধীন বাংলাদেশ গড়ে উঠবে।
অধ্যাপক ড. মিজানুর রহমান বলেন, নতুন বাংলাদেশ গঠনে এনআরবিসি ব্যাংক যেভাবে এগিয়ে এসেছে তা প্রশংসনীয়। তিনি আশা করেন অন্যান্য আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো এগিয়ে আসবে।
ব্যাংকের চেয়ারম্যান এসএম পারভেজ তমাল বলেন, নতুন বাংলাদেশ গড়তে যারা স্বপ্ন দেখেছে, তাঁদের স্বপ্ন বাস্তবায়নে এনআরবিসি ব্যাংক পাশে থাকবে। আহতদের চিকিৎসা ও অনুদানের পাশাপাশি ভবিষ্যতে কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করবে এনআরবিসি ব্যাংক। এছাড়া, আহত শিক্ষার্থীদের বৃত্তির ব্যবস্থা করবে। শহীদ পরিবারে কর্মক্ষম সদস্যদের কর্মসংস্থানেরও ব্যবস্থা করা হবে।
ভাইস চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম মিয়া আরজু বলেন, ছাত্র-জনতার সকল শুভ উদ্যোগের সাথে এনআরবিসি ব্যাংক সবসময় থাকবে। সকল অনিয়ম ও দুর্নীতি দূর করে সুশাসন প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে দেশকে এগিয়ে নিতে হবে।
পরিচালক লকিয়ত উল্লাহ বলেন, যেকোন দুর্যোগে এনআরবিসি ব্যাংক যেমন সাধারণ মানুষের পাশে থেকে আগামীতেও নতুন বাংলাদেশ এনে দেওয়া জাতির এই সূর্য সন্তানদের পাশে এনআরবিসি ব্যাংক পাশে থাকবে।
পরিচালক একেএম মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, দেশ গঠনে ছাত্র-জনতার পাশে থাকবে এনআরবিসি ব্যাংক। সারাদেশের মানুষের একটাই দাবী বৈষম্যহীন সমাজ কাঠামো। এনআরবিসি ব্যাংক শুরু থেকেই চেষ্টা করছে প্রতিবন্ধকতার দেওয়াল ভেঙ্গে সমৃদ্ধি বাংলাদেশ গড়ার।
উল্লেখ্য, প্রথাগত ব্যাংকিংয়ের পাশাপাশি এনআরবিসি ব্যাংক গণমানুষের কল্যাণ বিভিন্ন ধরনের কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে। প্রতিবছর মুনাফার ১০ শতাংশ সিএসআর কার্যক্রমে ব্যয় করে। সাম্প্রতিক বন্যা পরিস্থিতিতে সিএসআর তহবিল থেকে প্রধান উপদেষ্টার ত্রাণ তহবিলে ৫০ লাখ টাকা প্রদানসহ ১ কোটি টাকা অনুদান প্রদান করা হয়েছে। এছাড়া ব্যাংকের পরিচালকদের ব্যক্তিগত অনুদান এবং কর্মকর্তা-কর্মচারীদের একদিনের বেতনের সমপরিমান অর্থ বন্যার্তদের মাঝে বিতরণ করা হয়েছে। কল্যাণমুখী কর্মকান্ডের জন্য এনআরবিসি ব্যাংক ‘মানবিক ব্যাংক’ হিসেবে অ্যাখ্যায়িত হয়েছে।
এসএম
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
কর্পোরেট সংবাদ
বন্যার্তদের এক দিনের বেতন দিলেন রূপালী ব্যাংক কর্মীরা
টানা বৃষ্টি ও ভারতের উজানের পানিতে সৃষ্ট ভয়াবহ বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের সহযোগিতায় অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার ত্রাণ ও কল্যাণ তহবিলে ১ কোটি ৯২ লাখ ১৭ হাজার টাকা আর্থিক অনুদান দিয়েছে রাষ্ট্র মালিকানাধীন রূপালী ব্যাংক পিএলসি।
সোমবার (২ সেপ্টেম্বর) রূপালী ব্যাংকের জনসংযোগ দপ্তর থেকে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
অনুদানের মধ্যে, ব্যাংকটির কর্মকর্তা-কর্মচারিদের একদিনের বেতন বাবদ ৬৭ লাখ ১৭ হাজার ৪শ টাকা দেওয়া হয়। এই অর্থ সোমবার তহবিলের হিসাবে জমা করা হয়েছে। এর আগে গত ২৫ আগস্ট বিশেষ অনুদান হিসেবে ১ কোটি ২৫ লাখ টাকা জমা দিয়েছে রূপালী ব্যাংক।
জনসংযোগ দপ্তর জানিয়েছে, দেশের ও মানুষের যেকোনো প্রয়োজনে রূপালী ব্যাংক সর্বাত্মক সামর্থ্য নিয়ে এগিয়ে আসে। এর অংশ হিসেবে বন্যার্তদের জন্য দুই ধাপে এই অনুদান প্রদান করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, ভারত থেকে নেমে আসা উজানের ঢল ও টানা বৃষ্টির কারণে কুমিল্লা, ফেনী, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুরসহ দেশের ১২ জেলা বন্যায় প্লাবিত হয়েছে। এ বন্যায় বহু হতাহতের পাশাপাশি এখন পর্যন্ত প্রায় ৫০ লাখ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
এসএম