জাতীয়
আন্দোলনের নামে নাশকতাকারী আনসারদের চাকরিচ্যুতির প্রক্রিয়া শুরু

আন্দোলনের নামে যেসব আনসাররা নাশকতা করেছে তাদের বাহিনী থেকে চাকরিচ্যুত করার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। তাদের স্থলে বিশ্রামে থাকা সদস্যদের দায়িত্ব দেওয়ার বিষয়ে আলোচনা চলছে বলে জানা গেছে। আনসার বাহিনীর দায়িত্বশীল এক কর্মকর্তা এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
আনসার বাহিনীর কর্মকর্তারা জানান, গত রবিবার আন্দোলনকারী আনসার সদস্যদের নিরস্ত্রীকরণ করার কার্যক্রম শুরু হয়েছে। সচিবালয়ে নাশকতার অভিযোগে অনেককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। একাধিক মামলাও হয়েছে। ধীরে ধীরে সবাইকে নিরস্ত্রীকরণ করা হবে।
এর আগে, দাবি আদায় করতে গিয়ে সচিবালয় ঘেরাও এবং পরে ছাত্র-জনতার সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে এখন আলোচনায় আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর সদস্যরা। এরই মধ্যে আনসার বাহিনীকে বিলুপ্তের দাবিসহ তাদের কর্মকাণ্ড নিয়ে নানা ধরনের সমালোচনাও শুরু হয়েছে। আনসারের মারমুখী আচরণের কারণে প্রশ্ন উঠেছে, এই আন্দোলনের নেপথ্যে পতিত আওয়ামী লীগের কোনো ইন্ধন রয়েছে কি না?
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গত রোববার আনসার বাহিনীর সদস্যরা যে ধরনের আচরণ করেছেন, এর দায় পুরো বাহিনীর নয়। যারা আন্দোলন করছেন, তারা পুরো বাহিনীরও প্রতিনিধিত্বও করেন না। আন্দোলনকারীরা আনসার বাহিনীর অস্থায়ী সদস্য, যারা বাহিনীতে ‘অঙ্গীভূত আনসার’ হিসেবে পরিচিত। গত রোববার আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর মহাপরিচালক মেজর জেনারেল আবদুল মোতালেব সাজ্জাদ মাহমুদ সাংবাদিকদের বলেন, বিশৃঙ্খল আন্দোলনকারীরা অঙ্গীভূত আনসার, যাদের সঙ্গে ব্যাটালিয়ন আনসারের কোনো সম্পর্ক নেই। এ ব্যাপারে সবাইকে সজাগ থাকার অনুরোধ জানাই।
আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর নানা স্তরের কর্মকর্তা সূত্রে জানা গেছে, বাহিনীতে এই অঙ্গীভূত আনসার সদস্য রয়েছে অন্তত ৭০ হাজার, যারা সবাই আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহার করে থাকে। তবে প্রতি তিন বছর দায়িত্ব পালনের পর ৬ মাস করে তাদের ছুটিতে পাঠানো হয়। প্রয়োজনে তাদের আবার ডেকে দায়িত্ব দেওয়া হয়। মূলত তারা স্থায়ীভাবে নিয়োগ বা চাকরি জাতীয়করণের দাবিতে কর্মবিরতিসহ নানা আন্দোলন করে আসছিলেন।
কয়েকদিন ধরে অঙ্গীভূত এই আনসার সদস্যদের বড় একটা অংশ বিভিন্ন দায়িত্বপূর্ণ স্থানে কর্মবিরতি পালন করে আসছিলেন। তাদের অনেক দাবি যৌক্তিক বিবেচনায় তা যাচাই করে বাস্তবায়নের জন্য কমিটিও করেছিল স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ। এরপর তাদের কর্মে যোগ দিতেও নির্দেশনা দেওয়া হয়। কিন্তু গত রোববার কয়েক হাজার অঙ্গীভূত সদস্য প্রশাসনের প্রাণকেন্দ্র সচিবালয়ের প্রতিটি ফটক অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু করেন। দিনভর তাদের এই বিক্ষোভের কারণে কার্যত অচল হয়ে পড়ে সচিবালয়ের স্বাভাবিক কার্যক্রম। অফিস সময় শেষ হলেও ভেতরে আটকা পড়েন উপদেষ্টাসহ সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। তাদের দাবি আদায়ের আশ্বাস দেওয়া হলেও তারা অবরোধ না তুলে বরং মারমুখী হয়ে ওঠেন। এরপর রাত সাড়ে ৮টার দিকে ছাত্র-জনতা অবরোধকারী আনসার সদস্যদের সরিয়ে দিতে গেলে হামলা চালান আনসার সদস্যরা। এতে অর্ধশতাধিক ছাত্র আহত হন।
অঙ্গীভূত আনসারের কাজ কী: খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, অঙ্গীভূত আনসার সদস্যরা মূলত বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে ‘বৈধ ভাড়াটে কর্মী’ হিসেবে নিরাপত্তা দায়িত্ব পালন করে থাকেন। অর্থাৎ কোনো প্রতিষ্ঠানের নিরাপত্তার দায়িত্বে আনসার সদস্য প্রয়োজন হলে বাহিনীতে আবেদন করলে তাদের সেই দায়িত্বে পাঠানো হয়। সেক্ষেত্রে বাহিনীর অনুকূলে চুক্তি অনুযায়ী এই দায়িত্ব পালনের জন্য সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান অর্থ পরিশোধ করে থাকে। তবে বাহিনী থেকে বেতন হয় এই সদস্যদের।
জানা গেছে, অঙ্গীভূত আনসাররা মোট ১৬ হাজার ৫০০ টাকা বেতনে চাকরি করেন। এ ছাড়া তাদের প্রতি মাসে রেশন হিসেবে ২৮ কেজি চাল, ২৮ কেজি গম, দুই কেজি ডাল, দুই কেজি চিনি ও দুই লিটার ভোজ্যতেল দেওয়া হয়। এই রেশন তুলতে তাদের কাছ থেকে ৫৯৮ টাকা জমা রাখা হয়। তবে ৬ মাসের বিশ্রামে গেলে তাদের কোনো বেতন বা রেশন দেওয়া হয় না। অঙ্গীভূত আনসারে যোগ দিতে বাহিনী থেকে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। এতে ন্যূনতম এসএসসি পাস প্রার্থী চাওয়া হলেও মাস্টার্স পাস প্রার্থীরাও আবেদন করে থাকেন।
আনসার বাহিনীর সূত্র জানায়, এই অঙ্গীভূত আনসার সদস্যরা সারা দেশে ৫ হাজার ৭০১টি সংস্থায় দায়িত্ব পালন করছিলেন। এর মধ্যে বিমানবন্দর, রেলস্টেশন, শিল্পকারখানা, বিনিয়োগ প্রতিষ্ঠান, মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল, ব্যাংক, গ্যাস ও বিদ্যুৎকেন্দ্র, শপিংমল, গার্মেন্টস শিল্প, লঞ্চ ও সমুদ্রবন্দর, ট্রাফিক ও ইপিজেড রয়েছে। এ ছাড়া গুরুত্বপূর্ণ সরকারি ও বেসরকারি স্থাপনাতেও দায়িত্ব পালন করছেন এই আনসার সদস্যরা।
ব্যাটালিয়ন আনসার কারা: মূলত আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীতে ব্যাটালিয়ন আনসার সদস্যরা স্থায়ী সদস্য। সরকারি বিধি অনুযায়ী তাদের নিয়োগ ও বেতন-ভাতা হয়। বাহিনীতে বতর্মানে কয়েকটি ব্যাটালিয়নে নারী-পুরুষ মিলে ১৫ হাজারের বেশি সদস্য রয়েছে।
আনসার বাহিনীর কর্মকর্তারা বলছেন, এই ব্যাটালিয়ন আনসার সদস্যরা জাতীয় সংসদ ভবনে প্রবেশ গেট, ঢাকা ফাস্ট এলিভেডেট এক্সপ্রেসওয়ে, প্রত্নতাত্ত্বিক জাদুঘর, রামপুরা টিভি ভবন, রাষ্ট্রীয় তোষাখানা, হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর, কক্সবাজার ও ভাষাণচরে শরণার্থী ক্যাম্প, রামু বৌদ্ধমন্দির, মেট্রোরেল প্রকল্প, পদ্মা বহুমুখী সেতু প্রকল্প এলাকা, কর্ণফুলী নদীর তলদেশে টানেল, মাতারবাড়ী তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্র, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র, রামপাল বিদ্যুৎ-কেন্দ্রসহ ঢাকা এবং ঢাকার বাইরে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় দায়িত্ব পালন করে আসছেন।
আনসার গার্ড ব্যাটালিয়ন বা এজিবি: আনসার বাহিনীর কর্মকর্তারা বলছেন, এজিবি মূলত আনসার বাহিনীর একটি গুরুত্বপূর্ণ বিশেষায়িত ইউনিট হিসেবে দায়িত্ব পালন করছে। এই ইউনিটের সদস্যরা গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি ও স্থাপনার নিরাপত্তা দায়িত্ব পালন করে থাকেন। বাহিনী সূত্র জানায়, বর্তমানে এজিবি সদস্যরা ঢাকায় ফিলিস্তিন দূতাবাস, মার্কিন দূতাবাস, রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন, আইসিডিডিআর’বিতে বিদেশি ব্যক্তিদের নিরাপত্তা দেওয়া ছাড়াও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং বাহিনীর মহাপরিচালকের নির্দেশে আনসার গার্ড ব্যাটালিয়নের সদস্যরা বিভিন্ন আভিযানিক ও দুর্যোগ মোকাবিলায় দায়িত্ব পালন করে আসছেন।
ভিডিপি (গ্রাম প্রতিরক্ষা দল) সদস্য যারা: আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীতে দেশের প্রত্যেক গ্রামেই ভিডিপি বা গ্রাম প্রতিরক্ষা দল রয়েছে। মূলত পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর নারী-পুরুষদের নানা প্রশিক্ষণের মাধ্যমে কর্মমুখী করা হয় বাহিনীর পক্ষ থেকে। বাহিনীতে এ ধরনের সদস্য রয়েছে ৬২ লাখের বেশি। জাতীয় ও স্থানীয় নির্বাচনকেন্দ্রে এবং দুর্গাপূজাসহ বিভিন্ন সামাজিক অনুষ্ঠানে এই ভিডিপি সদস্যরা দায়িত্ব পালন করে থাকেন।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

জাতীয়
গাইবান্ধার সাবেক এমপি সারোয়ার কবির গ্রেফতার

গাইবান্ধা-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য শাহ সারোয়ার কবিরকে দিনাজপুর থেকে গ্রেপ্তার করেছে গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।
মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) রাত সোয়া ৮টার দিকে পৌর শহরের ঈদগাহ বস্তি এলাকায় দীবা গার্ডেন নামে একটি বাসা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম) আনোয়ার হোসেন।
তবে কোন মামলায় তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, তা তাৎক্ষণিক জানা যায়নি।
শাহ সারওয়ার কবির দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে গাইবান্ধা-২ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। এর আগে তিনি গাইবান্ধা সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ছিলেন। সারওয়ার গাইবান্ধা জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক। তিনি সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক।
জেলা পুলিশ সুপার মারুফাত হুসাইন আনোয়ার হোসেন গণমাধ্যমকে বলেন, গত মার্চ মাস থেকে শহরের এই বাসায় আত্মগোপনে ছিলেন। তিনি গাইবান্ধায় দুটি মামলার বর্তমান আসামি। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
আমাদের পূর্ণ গতিতে এগোতে হবে: প্রধান উপদেষ্টা

স্বল্পোন্নত দেশ (এলডিসি) থেকে উত্তরণের প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি গ্রহণে সংশ্লিষ্টদের পূর্ণ উদ্যমে কাজ করার নির্দেশ দিয়েছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) ঢাকায় প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এলডিসি উত্তরণবিষয়ক এক সভায় প্রধান উপদেষ্টা এই নির্দেশনা দেন।
তিনি বলেন, এলডিসি থেকে উত্তরণের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত হয়ে গেছে। উই হ্যাভ টু মুভ ইন ফুল স্পিড (আমাদের পূর্ণ গতি নিয়ে এগোতে হবে)। সে অনুযায়ী যত ধরনের প্রস্তুতি দরকার সে প্রস্তুতি নেওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম এসব জানান।
তিনি জানান, ‘অধ্যাপক ইউনূস বলেছেন- এলডিসি উত্তরণের বিষয়ে আমাদের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়ে গেছে। এখন পূর্ণ উদ্যমে কাজ এগিয়ে নিতে হবে। সে অনুযায়ী যত ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া দরকার তা নিতে হবে, একইসঙ্গে সতর্ক থাকতে হবে এলডিসি উত্তরণের প্রেক্ষিতে কোনো খাত যেন কোনো ধরনের ক্ষতির মুখে না পড়ে। পাশাপাশি এলডিসি উত্তরণের প্রেক্ষিতে সর্বোচ্চ সুবিধা কীভাবে আদায় করা যায়, সেটাও নিশ্চিত করতে হবে।’ প্রেস সচিব জানান, এলডিসি উত্তরণের বিষয়টি সার্বক্ষণিক মনিটারিং করতে একটি ডেডিকেটেড টিম গঠনের নির্দেশ দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা।
শফিকুল আলম বলেন, অধ্যাপক ইউনূস বাংলাদেশকে দক্ষিণ এশীয় অঞ্চলের উৎপাদন কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলার কথা বারবার বলে আসছেন। তিনি আজ বলেছেন, এলডিসি উত্তরণের পরে এই কাজে যেন আরও গতি পায়।
প্রেস ব্রিফিংয়ে এক প্রশ্নের উত্তরে প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ড. আনিসুজ্জামান চৌধুরী অধ্যাপক ইউনূসের বরাত দিয়ে জানান, পোশাকসহ রপ্তানি খাতের কোথাও যেন ক্ষতিগ্রস্ত না হয়, সেজন্য প্রধান উপদেষ্টা এই ইস্যুগুলোতে দ্রুতগতিতে কাজ করার নির্দেশ দিয়েছেন।
তিনি আরও জানান, সংস্কার কমিশনের সুপারিশসমূহ বাস্তবায়ন হলে দেশের শ্রম পরিস্থিতির ক্ষেত্রে বিদেশি ক্রেতাদের শর্ত পূরণের অনেক জায়গায় দ্রুত উন্নতি ঘটবে। আগামী ২০২৬ সালে এলডিসি থেকে বাংলাদেশের উত্তরণ ঘটবে। প্রেস ব্রিফিংয়ে প্রধান উপদেষ্টার উপ-প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার উপস্থিত ছিলেন।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
বিমান ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বেও উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন

বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বও পেয়েছেন উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন। মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) তাকে বিমান ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টার দায়িত্ব দিয়ে মন্ত্রপরিষদ বিভাগ থেকে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।
শেখ বশিরউদ্দীন এতদিন বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এবং বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টার দায়িত্ব পালন করছিলেন।
গত বছরের ২০ ডিসেম্বর অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের ভূমি মন্ত্রণালয় এবং বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা এ এফ হাসান আরিফ ইন্তেকাল করেন।
এরপর থেকে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের হাতে ছিল। এখন বিমান ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব শেখ বশিরউদ্দীনকে দেওয়ায় প্রধান উপদেষ্টার হাতে পাঁচটি মন্ত্রণালয় ও বিভাগের দায়িত্ব থাকলো।
এখন প্রধান উপদেষ্টার অধীনে রয়েছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়, সশস্ত্র বাহিনী বিভাগ, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় এবং ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
জাতীয় সনদ রাষ্ট্র সংস্কারের আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন হবে: আলী রীয়াজ

জাতীয় সনদ জনগণের রাষ্ট্র সংস্কারের আকাঙ্ক্ষাকে বাস্তবায়ন করবে বলে উল্লেখ করেছেন জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহ-সভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ।
তিনি বলেছেন, রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে আলোচনার সময় আমরা টেবিলের দুই প্রান্তে বসলেও আমরা দুইপক্ষ নই। আমরা একপক্ষ, আমাদের লক্ষ্য এক। আমরা রাষ্ট্র সংস্কারের একটি সুনির্দিষ্ট পথ খুঁজে বের করে একটি জাতীয় সনদ তৈরি করতে সবাই চেষ্টা করছি।
মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) সংসদ ভবনের এল.ডি হলে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সাথে জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক আন্দোলন (বাংলাদেশ)-এনডিএমের আলোচনার শুরুতে অধ্যাপক আলী রীয়াজ এ কথা বলেন।
এ সময় কমিশনের সদস্য হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সফর রাজ হোসেন, ড. ইফতেখারুজ্জামান, এবং প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দার।
আলোচনার শুরুতে অধ্যাপক আলী রীয়াজ আরও বলেন, আমাদের পথের ক্ষেত্রে সামান্য ভিন্নতা আছে। আলোচনার মাধ্যমে এই মত ভিন্নতা দূর করা যাবে। যে ঐক্যের মাধ্যমে আমরা একটা ফ্যাসিবাদী শাসনকে পরাস্ত করতে পেরেছি, সেই ঐক্যের জায়গাকে অব্যাহত রেখে তা আরও সুদৃঢ় করতে পারব।
আলোচনায় এনডিএম-বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা এবং চেয়ারম্যান ববি হাজ্জাজের নেতৃত্বে আট সদস্যের প্রতিনিধি দলে আরও ছিলেন দলটির মহাসচিব মোমিনুল আমিন, ভাইস-চেয়ারম্যান ফারুক উজ জামান চৌধুরী, যুগ্ম-মহাসচিব সৈয়দ জাহাঙ্গীর আলম, সাংগঠনিক সম্পাদক ব্যারিস্টার সাহিদুল আজমসহ প্রমুখ।
প্রথম পর্যায়ে গঠিত সংস্কার কমিশনগুলোর মধ্যে সংবিধান সংস্কার কমিশন, জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশন, নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশন, বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশন এবং দুর্নীতি দমন কমিশন সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদনে উল্লিখিত গুরুত্বপূর্ণ সুপারিশগুলোর ওপর রাজনৈতিক দলের সুনির্দিষ্ট মতামত জানাতে অনুরোধ করে সুপারিশগুলোর স্প্রেডশিট আকারে ৩৯টি রাজনৈতিক দলের কাছে পাঠানো হয়। এ পর্যন্ত সংস্কার বিষয়ে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন ৩৪টি দলের কাছ থেকে মতামত পেয়েছে এবং এ পরিপ্রেক্ষিতে নয়টি রাজনৈতিক দলের সাথে আলোচনা করেছে কমিশন। আগামী ১৭ এপ্রিল বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) সাথে ঐকমত্য কমিশনের আলোচনা হওয়ার কথা রয়েছে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
নির্বাচন নিয়ে প্রধান উপদেষ্টার নির্দেশনা পরিষ্কার: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেছেন, প্রধান উপদেষ্টা নির্বাচনের ব্যাপারে পরিষ্কার নির্দেশনা দিয়েছেন—আগামী জানুয়ারি থেকে জুনের মধ্যেই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এটি নিয়ে আমার ব্যক্তিগত কোনো বক্তব্য নেই।
মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা দাবি করেন, তার একটি বক্তব্য ভুলভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে। “এই সরকার পাঁচ বছর ক্ষমতায় থাকতে চায়”—এমন কোনো মন্তব্য তিনি করেননি বলে সাফ জানিয়ে দেন। বরং তার মতে, “জনগণ এ সরকারের কার্যক্রমে সন্তুষ্ট।”
বাংলা নববর্ষ নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, “এবারের নববর্ষ সার্বজনীন রূপ নিয়েছে। ধর্ম, বর্ণ, পেশা নির্বিশেষে সবার অংশগ্রহণ ছিল প্রাণবন্ত। সরকারের আয়োজন সফল হয়েছে, নিরাপত্তা ব্যবস্থাও ছিল প্রত্যাশিত।”
তিনি আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, সশস্ত্র বাহিনী ও সাধারণ মানুষকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, “সবাই দায়িত্বশীল ভূমিকা রেখেছেন এবং উৎসব শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন হয়েছে।”
সাংবাদিকদের প্রশ্নে মডেল মেঘনা আলমকে গ্রেপ্তার প্রসঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী খোদা বক্স চৌধুরী বলেন, “মডেল মেঘনাকে বেআইনিভাবে গ্রেপ্তার করা হয়নি। বিষয়টি বর্তমানে উচ্চ আদালতের বিচারাধীন, তাই এ বিষয়ে মন্তব্য করা সমীচীন নয়।”
তিনি আরও বলেন, “বিশেষ আইনে গ্রেপ্তারের ঘটনা এবারই প্রথম নয়, অতীতেও এমন ঘটনা ঘটেছে।”
ডিবি প্রধানকে সরিয়ে দেওয়ার প্রসঙ্গে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, “মডেল মেঘনা ঘটনার সঙ্গে এর কোনো সম্পর্ক নেই। এটি একটি নিয়মিত প্রশাসনিক প্রক্রিয়ার অংশ।”
চট্টগ্রামে পহেলা বৈশাখে ঘটে যাওয়া ঘটনার বিষয়ে তিনি বলেন, “এ ধরনের ঘটনা অনাকাঙ্ক্ষিত। এমন কিছু না ঘটলে ভালো হতো।” ভবিষ্যতে এমন পরিস্থিতি এড়াতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে আরও সতর্ক থাকার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি।