অর্থনীতি
কৃষিঋণ বিতরণের লক্ষ্যমাত্রা ৩৮ হাজার কোটি টাকা

চলতি অর্থবছরে দেশের কৃষি খাতে ৩৮ হাজার কোটি টাকার ঋণ বিতরণের লক্ষ্য নির্ধারণ করে দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এর মধ্যে রাষ্ট্রায়ত্ত বাণিজ্যিক ও বিশেষায়িত ব্যাংকগুলোকে ১২ হাজার ৬১৫ কোটি টাকার ঋণ বিতরণের লক্ষ্য দেয়া হয়েছে। বাকি ২৫ হাজার ৩৮৫ কোটি টাকার ঋণ বিতরণ করবে দেশের বেসরকারি ও বিদেশী ব্যাংকগুলো।
গতকাল বৃহস্পতিবার কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পক্ষ থেকে চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের কৃষি ও পল্লী উন্নয়ন ঋণ নীতিমালা প্রকাশ করা হয়। এক সংবাদ সম্মেলনে গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর এ নীতিমালার ঘোষণা দেন। অনুষ্ঠানে বিভিন্ন ব্যাংকের শীর্ষ নির্বাহীরা উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে জানানো হয়, ২০২৩-২৪ অর্থবছরে কৃষি ও পল্লী উন্নয়ন খাতে ৩৫ হাজার কোটি টাকার ঋণ বিতরণের লক্ষ্য ছিল। এর বিপরীতে ব্যাংকগুলো ৩৭ হাজার ১৫৪ কোটি টাকা কৃষি ও পল্লী ঋণ বিতরণ করেছে। অর্থাৎ ব্যাংকগুলো লক্ষ্যের চেয়েও কৃষি খাতে বেশি ঋণ বিতরণ করতে পেরেছে। ঋণ বিতরণের লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের জন্য ব্যাংকগুলোকে নিজস্ব নেটওয়ার্ক (শাখা, উপশাখা, এজেন্ট ব্যাংকিং, কন্ট্রাক্ট ফার্মিং, দলবদ্ধ ঋণ বিতরণ) ও ব্যাংক-এমএফআই লিংকেজ ব্যবহার করতে পারবে। এক্ষেত্রে ব্যাংকের নিজস্ব নেটওয়ার্কের মাধ্যমে বিতরণ করা ঋণের পরিমাণ ৫০ শতাংশের কম হতে পারবে না। এবার মোট লক্ষ্যমাত্রার ৬০ শতাংশ শস্য ও ফসল খাতে, ১৩ শতাংশ মৎস্য খাতে এবং ১৫ শতাংশ প্রাণিসম্পদ খাতে ঋণ বিতরণ করতে হবে।
ব্যাংকগুলোর কৃষি ও পল্লী ঋণ বিতরণের লক্ষ্যমাত্রার অনর্জিত অংশ কৃষি খাতেই বিনিয়োগের লক্ষ্যে বাংলাদেশ ব্যাংক এগ্রিকালচারাল ডেভেলপমেন্ট কমন ফান্ড (বিবিএডিসিএফ) নামে একটি ফান্ড গঠন করেছে। লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে ব্যর্থ ব্যাংকগুলোর অনর্জিত অংশ এ ফান্ডে জমা করতে হবে। এ জমাকৃত অর্থের বিপরীতে তাদের ২ শতাংশ হারে সুদ দেয়া হবে। এ কমন ফান্ডে জমাকৃত অর্থ লক্ষ্যমাত্রা অর্জনকারী ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে কৃষি ও পল্লী ঋণ নীতিমালার আওতায় গ্রাহক পর্যায়ে বিতরণ করা হবে বলে বাংলাদেশ ব্যাংক কর্মকর্তারা জানান।
বাংলাদেশ ব্যাংকের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, প্রতি বছরই কৃষি খাতসংশ্লিষ্ট নিত্যনতুন বিষয় নিয়ে কৃষি ও গ্রামীণ ঋণ নীতিমালা তৈরি করছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এবারের নীতিমালায় উল্লেখযোগ্য সংযোজনগুলোর মধ্যে রয়েছে কৃষি ও গ্রামীণ ঋণের সুযোগ বাড়াতে শজিনা, মুর্তা, পেরিলার মতো নতুন নতুন ফসল আবাদ ও উৎপাদন এবং মৎস্য খাতে শুঁটকি ও ঝিনুক প্রক্রিয়াকরণকে এ ঋণ নীতিমালার আওতায় আনা হয়েছে। সংযোজিত হয়েছে কৃষি উৎপাদনে ইসলামী ব্যাংকিং পদ্ধতির আওতায় শরিয়াহভিত্তিক বিনিয়োগ পদ্ধতি।
বাংলাদেশ ব্যাংকের নতুন কৃষিঋণ নীতিমালায় পশুপালন খাতে ১ লাখ টাকা পর্যন্ত এবং গ্রামীণ খাতে ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত ঋণের ক্ষেত্রে ডিপি নোট (সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী ১০ থেকে ৫০ টাকার স্ট্যাম্প), ব্যক্তিগত জামানতপত্র (স্ট্যাম্পের প্রয়োজন নেই) ও জামানতের অঙ্গীকারনামা (লেটার অব হাইপোথিকেশন; স্ট্যাম্পের প্রয়োজন নেই) ছাড়া অন্য কোনো অঙ্গীকারপত্রের (চার্জ ডকুমেন্টস) প্রয়োজন নেই বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
এমআই

অর্থনীতি
ভরিতে ১ হাজার ৮৯০ টাকা বাড়লো স্বর্ণের দাম

২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রথম দিন দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম বাড়ানোর ঘোষণা দিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি (বাজুস)। প্রতি ভরিতে সর্বোচ্চ এক হাজার ৮৯০ টাকা বাড়ানো হয়েছে।
নতুন দাম অনুযায়ী— সবচেয়ে ভালো মানের ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম দাঁড়িয়েছে এক লাখ ৭২ হাজার ১২৬ টাকা। আজ প্রতি ভরি স্বর্ণ এক লাখ ৭০ হাজার ২৩৬ টাকায় বেচাকেনা হয়েছে।
মঙ্গলবার (১ জুলাই) এক বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানিয়েছে বাজুস। আগামীকাল ২ জুলাই থেকে নতুন এ দাম কার্যকর হবে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, স্থানীয় বাজারে তেজাবি সোনার (পিওর গোল্ড) মূল্য বেড়েছে। ফলে সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় সোনার নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে।
নতুন দাম অনুযায়ী, সবচেয়ে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের এক ভরি সোনার দাম এক লাখ ৭২ হাজার ১২৬ টাকা, ২১ ক্যারেট প্রতি ভরি এক লাখ ৬৪ হাজার ২৯৯ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি সোনার দাম এক লাখ ৪০ হাজার ৮৩১ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি সোনার দাম এক লাখ ১৬ হাজার ৪৮৮ টাকা।
সোনার দাম কমানো হলেও দেশের বাজারে অপরিবর্তিত রয়েছে রুপার দাম। দেশে ২২ ক্যারেটের এক ভরি রুপার দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ২ হাজার ৮১১ টাকা। এছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ২ হাজার ৬৮৩ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ২ হাজার ২৯৮ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি রুপার দাম ১ হাজার ৭২৬ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
অর্থনীতি
অনলাইনে আয়কর রিটার্ন জমা ১৭ লাখের বেশি

অনলাইনে রিটার্ন দাখিল প্রক্রিয়া করদাতাদের মাঝে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে। অনলাইনে আয়কর রিটার্ন দাখিল করেছেন ১৭ লাখের বেশি করদাতা।
জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) জানিয়েছে, অনলাইনে রিটার্ন দাখিল প্রক্রিয়া ক্রমেই সহজ ও অধিকতর করদাতাবান্ধব করার ফলে ২০২৪-২০২৫ অর্থবছরে ১৭ লাখ ১২ হাজার ৪৯২ জন করদাতা অনলাইনে আয়কর রিটার্ন দাখিল করেছেন। একইসঙ্গে ২১ লাখ ৬৫ হাজার ৩২১ জন করদাতা ই-রিটার্নের জন্য রেজিস্ট্রেশন করেছেন।
এনবিআর বলছে, সকল প্রকার আয়কর সেবা করদাতাদের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের অটোমেশনের আওতায় অনলাইনে রিটার্ন দাখিল প্রক্রিয়া এক যুগান্তকারী পদক্ষেপ হিসেবে করদাতাদের মাঝে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে, যা স্বতঃস্ফূর্ত রিটার্ন দাখিলে করদাতাদের উদ্বুদ্ধ করেছে।
করদাতাদের নিরবচ্ছিন্ন সেবা দেওয়ার লক্ষ্যে সারা বছর অনলাইনে রিটার্ন দাখিল এবং অনলাইনে তাৎক্ষণিক আয়কর সনদ প্রদান অব্যাহত ছিল, যা চলমান থাকবে। সেই সঙ্গে রিটার্ন দাখিলের পর এতে কোনো ত্রুটি দেখা গেলে আয়কর আইন ২০২৩ এর ১৮০(১) ধারা মোতাবেক মূল রিটার্ন দাখিলের ১৮০ দিনের মধ্যে ঘরে বসেই সহজে অনলাইনে সংশোধিত রিটার্ন দাখিলের সুযোগ অব্যাহত থাকবে।
জাতীয় রাজস্ব বোর্ড অনলাইনে আয়কর রিটার্ন দাখিল ও আয়কর সনদ প্রাপ্তিতে বছরব্যাপী অনলাইন সেবা গ্রহণে উৎসাহিত করছে।
অর্থনীতি
২৩৯ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মাণ হবে বিদ্যুতের ১০ সাবস্টেশন

বিদ্যুৎ বিভাগের অধীনে ভূমি উন্নয়নসহ ১০টি ৩৩/১১ কেভি জিআইএস সাবস্টেশন নির্মাণের প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি। এতে মোট ব্যয় হবে ২৩৯ কোটি ৭০ লাখ ৫৭৩ টাকা।
মঙ্গলবার (১ জুলাই) সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সম্মেলন কক্ষে অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠকে এ অনুমোদন দেওয়া হয়।
বৈঠক সূত্রে জানা গেছে, বিদ্যুৎ বিভাগের এক প্রস্তাবের পরিপ্রেক্ষিতে টার্নকি ভিত্তিতে পাঁচটি ৩৩/১১ কেভি উপকেন্দ্রের ডিজাইন, সাপ্লাই, ইনস্টলেশন, টেস্টিং অ্যান্ড কমিশনিং প্রভৃতি যা যা প্রয়োজন এবং ভূমি উন্নয়নসহ কাজের ক্রয় প্রস্তাবে অনুমোদন দিয়েছে উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি।
জানা গেছে, ‘বাপবিবো’র বৈদ্যুতিক বিতরণ ব্যবস্থার আধুনিকায়ন ও ক্ষমতাবর্ধন, (ঢাকা-ময়মনসিংহ বিভাগ)’ (বিশেষ সংশোধিত) প্রকল্পের প্যাকেজ নম্বর ডব্লিউ-১, লট-১ এর আওতায় টার্নকি ভিত্তিতে উপকেন্দ্রের পূর্ত কাজ ক্রয়ের জন্য এক ধাপ দুই খাম পদ্ধতিতে দরপত্র আহ্বান করা হলে সাতটি প্রতিষ্ঠান দরপত্র দাখিল করে।
তার মধ্যে পাঁচটি প্রস্তাব বাণিজ্যিক ও কারিগরিভাবে রেসপনসিভ হয়। দরপত্রের সকল প্রক্রিয়া শেষে টিইসি কর্তৃক সুপারিশ করা রেসপনসিভ সর্বনিম্ন দরদাতা প্রতিষ্ঠান আইডিয়াল ইলেকট্রিক্যাল এন্টারপ্রাইজ প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে। এতে ব্যয় হবে ১২৩ কোটি ২ লাখ ৭৮ হাজার ২৬ টাকা।
বৈঠকে বিদ্যুৎ বিভাগের আরেক প্রস্তাবের পরিপ্রেক্ষিতে টার্নকি ভিত্তিতে পাঁচটি ৩৩/১১ কেভি উপকেন্দ্রের ডিজাইন, সাপ্লাই, ইনস্টলেশন, টেস্টিং অ্যান্ড কমিশনিং প্রভৃতি যা যা প্রয়োজন এবং ভূমি উন্নয়নসহ কাজের ক্রয় প্রস্তাবে অনুমোদন দিয়েছে উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি।
জানা গেছে, ‘বাপবিবো’র বৈদ্যুতিক বিতরণ ব্যবস্থার আধুনিকায়ন ও ক্ষমতাবর্ধন, (ঢাকা-ময়মনসিংহ বিভাগ)’ (বিশেষ সংশোধিত) প্রকল্পের প্যাকেজ নং ডব্লিউ-১, লট-১ এর আওতায় টার্নকি ভিত্তিতে উপকেন্দ্রের পূর্ত কাজ ক্রয়ের জন্য এক ধাপ দুই খাম পদ্ধতিতে দরপত্র আহ্বান করা হলে ৮টি প্রতিষ্ঠান দরপত্র দাখিল করে। তার মধ্যে ৫টি প্রস্তাব বাণিজ্যিক ও কারিগরিভাবে রেসপনসিভ হয়।
দরপত্রের সকল প্রক্রিয়া শেষে টিইসি কর্তৃক সুপারিশ করা রেসপনসিভ সর্বনিম্ন দরদাতা প্রতিষ্ঠান আইডিয়াল ইলেক্ট্রিকাল এন্টারপ্রাইজ প্রকল্পটি বাস্তায়ন করবে। এতে ব্যয় হবে ১১৬ কোটি ৬৭ লাখ ২২ হাজার ৫৪৭ টাকা।
অর্থনীতি
কনটেইনার হ্যান্ডলিংয়ে চট্টগ্রাম বন্দরের নতুন রেকর্ড

কনটেইনার পরিবহনে নতুন রেকর্ড গড়েছে দেশের প্রধান সমুদ্রবন্দর চট্টগ্রাম। বিদায়ী ২০২৪-২৫ অর্থবছরে এ বন্দর কনটেইনার পরিবহন করেছে প্রায় ৩২ লাখ ৯৬ হাজার টিইইউস। বন্দরের ইতিহাসে এটিই সর্বোচ্চ হ্যান্ডলিং। আগের অর্থবছরের তুলনায় এবারে কনটেইনার পরিবহন বেড়েছে প্রায় ৪ শতাংশ।
চট্টগ্রাম বন্দরের সচিব ওমর ফারুক জানান, চট্টগ্রাম বন্দরের চারটি টার্মিনাল, কমলাপুর ইনল্যান্ড কনটেইনার ডিপো (আইসিডি) ও পাঁনগাঁও নৌ টার্মিনালের মাধ্যমে এসব কনটেইনার পরিবহন হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে আমদানি, রপ্তানি ও খালি কনটেইনারও।
জিপিএইচ ইস্পাতের অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক আলমাস শিমুল বলেন, বাংলাদেশে কনটেইনার পরিবহনের জন্য দুটি সমুদ্রবন্দর রয়েছে। এর একটি চট্টগ্রামে। আরেকটি মোংলাতে। এর মধ্যে ৯৯ শতাংশ কনটেইনার চট্টগ্রাম বন্দর দিয়েই আনা-নেওয়া করা হয়। মোংলার মাধ্যমে হয় মাত্র ১ শতাংশ। এ অবস্থার পরিবর্তন দরকার। দ্বিতীয় বন্দরকে আরও কার্যকর করা দরকার।
বন্দর সচিব জানান, চট্টগ্রাম বন্দরে এর আগে ২০২১-২২ অর্থবছরে সর্বোচ্চ সাড়ে ৩২ লাখ কনটেইনার পরিবহন হয়েছিল। সেই হিসেবে এটা নতুন রেকর্ড। বন্দরের ইতিহাসে এর আগে এত কনটেইনার হ্যান্ডেল হয়নি আর কখনোই।’
তিনি জানান, বিদায়ী অর্থবছরে বন্দরের কার্যক্রম নানামুখী বাধার মুখে পড়েছে। অর্থবছরের শেষের দিকে কাস্টমস কর্মকর্তাদের কর্মসূচিসহ কিছু প্রতিবন্ধকতা না থাকলে কনটেইনার পরিবহনের সংখ্যা আরও বাড়ত। ৩৩ লাখের মাইলফলক অল্পের জন্য ছুঁতে পারেনি তারা।
প্রসঙ্গত, ৪৮ বছর আগে কনটেইনার হ্যান্ডলিংয়ের কাজ শুরু করে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ। তখন থেকে হিসেব করলেও এবার সর্বোচ্চ কনটেইনার হ্যান্ডেল করেছে তারা।
অর্থনীতি
নির্বাচনী বাজেটে কোনো কার্পণ্য করা হবে না: অর্থ উপদেষ্টা

আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের অর্থ বরাদ্দের ক্ষেত্রে কোনো কার্পণ্য করা হবে না বলে জানিয়েছেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ।
মঙ্গলবার (১ জুলাই) সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠক শেষে তিনি সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।
আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের অর্থ বরাদ্দের বিষয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, নির্বাচনের জন্য অর্থের যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছিল, সেখানে আমরা কোনো কার্পণ্য করব না।
বৈঠকের সিদ্ধান্তের বিষয়ে তিনি বলেন, চট্টগ্রাম বন্দরে কনটেইনার হ্যান্ডলিংয়ের বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়েছে। ডিএপি, ইউরিয়া সার কেনার অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এলএনজির বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এলএনজি এলে আমরা হয়তো সারের সরবরাহ বাড়াতে পারবো। রংপুরে ৩০টি স্কুল রিনভেন্ট করার বিষয়ে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
বৈঠক শেষে শ্রম ও কর্মসংস্থান উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. এম সাখাওয়াত হোসেনের কাছে এনবিআরকে অত্যাবশ্যকীয় সেবা ঘোষণা করে জারি করা প্রজ্ঞাপনের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, যে প্রজ্ঞাপন আপনারা দেখেছেন দ্যাট ইজ ফাইনাল। এর পরেও কোনো প্রজ্ঞাপন নেই, আগেও প্রজ্ঞাপন নেই। আমি প্রজ্ঞাপন জারি করার লোক। আই এম নট এ ডিসিশন মেকার (আমি কোনো সিদ্ধান্তদাতা নই)। ওনারা সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, আমি প্রজ্ঞাপন জারি করেছি।
আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আলোচনার দরকার আছে কি নেই, সে বিষয়ে কথা বলার আগেই ওনারা প্রত্যাহার করে নিয়েছেন। এখন ওনাদের দাবি-দাওয়া আছে কি না সেটা বুঝলে পরে আমরা বসবো।
বন্দরের স্থবিরতা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, পুরোপুরি বন্ধ ছিল না। পণ্য যা বন্দরে ঢুকেছে সেগুলো এখন জাহাজিকরণ হবে। ক্ষতির পরিমাণ এখনো নিরূপণ করা হয়নি। তবে খুব বেশি একটা ক্ষতি হয়নি।
আন্দোলনকারীদের ইঙ্গিত করে শ্রম উপদেষ্টা বলেন, আপনি নেই বলে কোনো কাজ থেমে থাকবে এটা বাংলাদেশে হবে না, পৃথিবীর কোনো দেশে হয় না।