জাতীয়
রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান ঠিক করতে সংবিধান পুনর্লিখন জরুরি: আলী রীয়াজ
যুক্তরাষ্ট্রের ইলিনয় স্টেট ইউনিভার্সিটির রাজনীতি ও সরকার বিভাগের ডিস্টিংগুইশড অধ্যাপক আলী রীয়াজ বলেছেন, রাষ্ট্রের গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে ঠিক করতে কনস্টিটিউশনাল অ্যাসেম্বলি(গণপরিষদ) করে হলেও সংবিধান পুনর্লিখন জরুরি।
বৃহস্পতিবার (২৯ আগস্ট) রাজধানীর একটি হোটেলে সেন্টার ফর গভর্ন্যান্স স্টাডিজ (সিজিএস) আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে অধ্যাপক আলী রীয়াজ এ মন্তব্য করেন। সিজিএসের উপদেষ্টা তাঁর মূল বক্তব্য তুলে ধরার পর প্রশ্নোত্তর পর্বে দেশের সংবিধান, গণতন্ত্র, নির্বাচনসহ নানা বিষয় নিয়ে কথা বলেন।
অধ্যাপক আলী রীয়াজ বলেন, ‘আমার ব্যক্তিগত মতামত হচ্ছে, সংবিধানের পুনর্লিখন করতে হবে। এর বাইরে আপনি প্রতিষ্ঠানগুলো তৈরি করতে পারবেন না।’
সরকারপ্রধান হিসেবে একজন সর্বোচ্চ কত মেয়াদে থাকতে পারবেন, এমন প্রশ্ন উঠলে বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত এই মার্কিন অধ্যাপক বলেন, ‘দুই মেয়াদ, নাকি তিন মেয়াদ—এই প্রশ্নটা থেকে যাচ্ছে। বিষয়টি নিয়ে সবার সঙ্গে আলোচনা করতে হবে। তবে আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করি, সরকারপ্রধান হিসেবে একই ব্যক্তি সর্বোচ্চ দুই মেয়াদ থাকতে পারেন।’
গণপরিষদের প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের জবাবে আলী রীয়াজ বলেন, ‘সংবিধান পুনর্লিখনের কথা বলছি এই কারণে যে সংবিধান সংশোধনের উপায় নেই। বর্তমান সংবিধান সংশোধনের উপায় সীমিত। কারণ, সংবিধানের এক–তৃতীয়াংশ এমনভাবে লেখা যে তাতে হাতই দেওয়া যাবে না। এর মধ্যে এমন সব বিষয় আছে, যেগুলো না সরালে কোনো কিছুই করতে পারবেন না। এ কারণে পুনর্লিখন শব্দটা আসছে। পুনর্লিখনের পথ হিসেবে গণপরিষদের কথা বলছি। আর কোনো পথ আছে কি না, আমি জানি না।’
টিআইবির প্রস্তাবিত একই ব্যক্তি ‘দলীয় প্রধান, সংসদ নেতা ও প্রধানমন্ত্রী হতে পারবেন না’—এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে আলী রীয়াজ বলেন, ক্ষমতা যাতে এক হাতে কেন্দ্রীভূত না হয়, সেটাই টিআইবি বলেছে। এসব সংস্কার জরুরি। ক্ষমতার কেন্দ্রভূত করার এসব পথ সাংবিধানিকভাবে বন্ধ করা না হলে ভবিষ্যতে আরও একজন স্বৈরাচার তৈরির পথ বন্ধ করা যাবে না।
ভারতীয় গণমাধ্যমের অপতথ্য প্রসঙ্গে আলী রীয়াজ বলেন, ‘ভারতীয় গণমাধ্যমগুলো ৫ আগস্ট থেকে যেসব অপতথ্য (ডিসইনফরমেশন) ও ভুল তথ্য (মিসইনফরমেশন) প্রচার করছে, সেগুলোর বড় জবাব হচ্ছে সত্য ঘটনা তুলে ধরা। বিভিন্ন আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম আমার সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করে। আমি তাদের বলেছি, আপনারা ঢাকায় যান, দেখুন, তারপর তা তুলে ধরুন। একই কথা আপনাদের (সাংবাদিক) জন্যও। আপনারা সত্য তথ্য তুলে ধরুন।’
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে নাগরিকদের সংলাপের যে আহ্বান জানিয়েছেন, সেই প্রেক্ষাপট তুলে ধরে ইলিনয় স্টেট ইউনিভার্সিটির এই অধ্যাপক বলেন, টেকসই গণতন্ত্র ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে বিভিন্ন সংলাপের আয়োজন করে সেগুলোর মাধ্যমে দেশব্যাপী নাগরিক সমাজ, সুশীল সমাজ এবং বিভিন্ন খাতের বিশেষজ্ঞদের মতামত ও পরামর্শ সংগ্রহ করা হবে। তার ভিত্তিতে ভবিষ্যতের একটি সুস্পষ্ট রোডম্যাপ প্রণয়ন সম্ভব হবে, যা গণতান্ত্রিক পুনর্গঠনপ্রক্রিয়াকে সহজতর এবং দেশের রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করবে।
আগামী পাঁচ মাস জাতীয় ও আঞ্চলিক পর্যায়ে সিজিএস ধারাবাহিক সংলাপের আয়োজন করবে উল্লেখ করে আলী রীয়াজ বলেন, জাতীয় পর্যায়ের সংলাপের অংশ হিসেবে ঢাকায় আটটি জাতীয় সংলাপ অনুষ্ঠিত হবে। এতে বিষয়বস্তুর মধ্যে থাকছে সংবিধান, মানবাধিকার ও গুরুতর আইন লঙ্ঘনের শিকার ভুক্তভোগীদের বিচার নিশ্চিতকরণ, বিচারব্যবস্থা, নাগরিক প্রশাসন, সাংবিধানিক সংস্থা, আইন প্রয়োগকারী সংস্থা, অর্থনৈতিক নীতিমালাসহ ব্যাংকিং খাত ও বৈদেশিক ঋণ এবং গণমাধ্যম।
এই অধ্যাপক আরও বলেন, ঢাকার বাইরে চট্টগ্রাম, রাজশাহী, সিলেট ও খুলনায় চারটি আঞ্চলিক সংলাপ হবে। এতে অংশগ্রহণকারীরা নিজেদের প্রত্যাশা, প্রস্তাবনা ও সুপারিশ খোলাখুলি প্রকাশ করতে পারবেন।
আলী রীয়াজ বলেছেন, দীর্ঘ ১৫ বছর এক ব্যক্তিকেন্দ্রিক শাসনের কারণে রাষ্ট্রের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ধ্বংস হয়েছে। বিচারব্যবস্থা, প্রশাসন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও নির্বাচনব্যবস্থা—সবই পরিকল্পিতভাবে রাজনীতিকরণ হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে ড. আলী রীয়াজ বলেন, ছাত্র-জনতার অভাবনীয় অভ্যুত্থানে প্রায় এক হাজার প্রাণহানি হয়েছে বলে তথ্য পাওয়া যাচ্ছে। ৫ আগস্ট দেশের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে বিশাল পরিবর্তন হয়েছে।
আলী রীয়াজ বলেন, অর্থনৈতিক ক্ষেত্রেও নীতিমালা জনগণের কল্যাণের পরিবর্তে স্বার্থান্বেষী গোষ্ঠীর মুনাফা অর্জনের হাতিয়ার হিসেবে পরিচালিত হয়েছে। ব্যাংকিং ব্যবস্থা ও জ্বালানি খাতে স্বার্থবাদী একটি নেটওয়ার্ক গঠিত হয়েছিল, যারা নিজেদের স্বার্থে এই গুরুত্বপূর্ণ খাতগুলোকে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে। ঋণখেলাপিদের বিচার থেকে রক্ষা করা হয়েছে। বিগত সরকারের সঙ্গে যুক্ত একটি ক্ষুদ্র গোষ্ঠী জ্বালানি খাতের ভর্তুকি পকেটে ভরেছে।
এই সবকিছুর পরিপ্রেক্ষিতে অন্তর্বর্তী সরকারকে বিশাল চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে হচ্ছে। একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও অন্তর্ভুক্তিমূলক নির্বাচন আয়োজন এবং গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থায় দেশকে ফিরিয়ে আনার পাশাপাশি সংবিধানসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সংস্কার অপরিহার্য হয়ে উঠেছে। গণজাগরণের মাধ্যমে তৈরি হওয়া আশা ও প্রত্যাশা পূরণ করতে সরকারের ওপর বিশাল দায়িত্ব আরোপিত হয়েছে।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
ট্রাফিক আইন ভঙ্গে ৬২৭ মামলা, জরিমানা সাড়ে ২৬ লাখ
রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় ট্রাফিক আইন লঙ্ঘনকারীদের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করে ৬২৭টি মামলা ও ২৬ লাখ ৭৮ হাজার টাকা জরিমানা করেছে ডিএমপির ট্রাফিক বিভাগ।
শনিবার (৫ অক্টোবর) ডিএমপির ট্রাফিক বিভাগের পরিচালিত অভিযানে এসব মামলা ও জরিমানা করা হয়। এ ছাড়া অভিযানকালে ১৬৭টি গাড়ি ডাম্পিং ও ৫৫টি গাড়ি রেকার করা হয়েছে।
রবিবার (৬ অক্টোবর) ডিএমপির মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
ঢাকা মহানগর এলাকায় ট্রাফিক শৃঙ্খলা রক্ষায় ডিএমপির ট্রাফিক বিভাগের এ অভিযান অব্যাহত থাকবে বলেও জানান মুহাম্মদ তালেবুর রহমান।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
নীতিবান অফিসাররাই উচ্চতর পদোন্নতির দাবিদার: প্রধান উপদেষ্টা
‘সেনাসদর নির্বাচনী পর্ষদ-২০২৪’ আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। রবিবার (৬ আগস্ট) সেনাবাহিনী সদর দপ্তরে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে তিনি এ উদ্বোধন করেন।
প্রথম পর্বের এই পদোন্নতি পর্ষদে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর কর্নেল ও লেফটেন্যান্ট কর্নেল পদবির যোগ্য কর্মকর্তারা পরবর্তী পদোন্নতির জন্য বিবেচিত হবেন।
আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছেন।
আইএসপিআর জানায়, পদোন্নতি পর্ষদের মূল্যবান বক্তব্যে প্রধান উপদেষ্টা ছাত্র-জনতার বিপ্লবে সিক্ত নতুন বাংলাদেশে সবাইকে স্বাগত জানান। এসময় তিনি গভীর শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করেন জুলাই-আগস্ট মাসে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহত সবার প্রতি। তিনি আরও স্মরণ করেন মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে অংশগ্রহণকারী সশস্ত্র বাহিনী তথা সেনাবাহিনীর শহিদসহ সব বীর সেনানীদের যাদের আত্মত্যাগ জাতি চিরদিন শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করবে।
প্রধান উপদেষ্টা পদোন্নতির জন্য অফিসারদের পেশাগত দক্ষতা, নেতৃত্বের গুণাবলী, শৃঙ্খলার মান, সততা, বিশ্বস্ততা ও আনুগত্য এবং সর্বোপরি নিযুক্তিগত উপযুক্ততার ওপর গুরুত্বারোপ করতে নির্বাচনী পর্ষদের সদস্যদের নির্দেশনা দেন।
এছাড়া সৎ, নীতিবান এবং নেতৃত্বের অন্যান্য গুণাবলী সম্পন্ন অফিসাররাই উচ্চতর পদোন্নতির দাবিদার বলে তিনি মন্তব্য করেন। রাজনৈতিক মতাদর্শের ঊর্ধ্বে থেকে যে সমস্ত অফিসার সামরিক জীবনের বিভিন্ন কর্মকাণ্ডে যোগ্য নেতৃত্ব প্রদানে সফল হয়েছেন সেই সব অফিসারদের পদোন্নতির জন্য নির্বাচন করার নির্দেশনা দেন।
তিনি বলেন, দেশের ক্রান্তিলগ্নে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী দেশের মানুষের পাশে এসে দাঁড়িয়েছে এবং একটি অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠনের প্রক্রিয়াকে ত্বরান্বিত করে দেশকে এক অস্থিতিশীল পরিস্থিতির হাত থেকে রক্ষা করেছে। ফলশ্রুতিতে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী আবারও দেশের মানুষের কাছে আস্থার প্রতীক হিসেবে স্বীকৃতি লাভ করেছে বলে তিনি তার মূল্যবান বক্তব্যে উল্লেখ করেন।
আইএসপিআর আরও জানায়, অনুষ্ঠানস্থলে পৌঁছালে প্রধান উপদেষ্টাকে স্বাগত জানান সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান। প্রধান উপদেষ্টার প্রতিরক্ষা ও জাতীয় সংহতি উন্নয়ন বিষয়ক বিশেষ সহকারী, চিফ অব জেনারেল স্টাফ এবং সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার।
নির্বাচনী পর্ষদ উদ্বোধন করায় সেনাবাহিনী প্রধান অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার প্রতি কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন। সেনাসদর নির্বাচনী পর্ষদের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সেনাবাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের পাশাপাশি প্রতিরক্ষা সচিব উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠান শেষে প্রধান উপদেষ্টা সেনাবাহিনীর উপস্থিত কর্মকর্তাদের সঙ্গে ফটোসেশনে অংশগ্রহণ করেন এবং পরিদর্শন বইয়ে মন্তব্য লিপিবদ্ধ করেন
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
দেউলিয়া হওয়ার ঝুঁকিতে থাকা ৭ দেশের তালিকায় বাংলাদেশ
বাংলাদেশসহ বিশ্বের ৫০টি দেশ দেউলিয়া হওয়ার ঝুঁকিতে রয়েছে। দুই বছর আগে বিষয়টি নিয়ে সতর্ক করেছিলেন জাতিসংঘের এক শীর্ষ কর্মকর্তা। এবার ঝুঁকিতে থাকা সাতটি দেশ নিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম সিএনবিসি টিভি১৮।
সংবাদমাধ্যমটির শনিবার (৫ অক্টোবর) প্রকাশিত ওই প্রতিবেদনে এরকম সাতটি দেশের ভঙ্গুর অর্থনৈতিক পরিস্থিতির চিত্র তুলে ধরা হয়েছে। যেখানে বাংলাদেশ ছাড়াও রয়েছে- পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা, ভেনেজুয়েলা, আর্জেন্টিনা, জাম্বিয়া ও ঘানা।
প্রতিবেদনে বাংলাদেশ সম্পর্কে বলা হয়েছে, বর্তমানে বাংলাদেশের মোট ঋণের পরিমাণ ১৫৬ বিলিয়ন ডলার, যা ২০০৮ সালের তুলনায় পাঁচগুণ বেশি। যেখানে এসঅ্যান্ডপি গ্লোবালের মতো বিশ্বব্যাপী রেটিং এজেন্সিগুলো বাংলাদেশকে ‘জাঙ্ক’ বা জঞ্জালের স্থান হিসেবে চিহ্নিত করেছে।
এছাড়া সম্প্রতি যে রাজনৈতিক সংকট ও ক্ষমতার পটপরিবর্তন হয়েছে তার আগে থেকেই বাংলাদেশের ঋণ গ্রহণ এবং তা পরিশোধের সক্ষমতা ছিল নিম্নমুখী।
এর ফলে দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ২০২৩ সালের জানুয়ারিতে ৩২ বিলিয়ন ডলার থেকে কমে ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বরে ২০ বিলিয়ন ডলারে নেমেছে।
প্রতিবেদনে আরো বলা হয়, গত কয়েক বছরে টাকার অবমূল্যায়ন করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। কিন্তু এ ধরনের পদক্ষেপে এখনো পর্যন্ত কোনো সমাধান আসেনি। খাদ্যমূল্য বাড়ার কারণে ২০২৫ সালে মূল্যস্ফীতি বেড়ে ১০ দশমিক ১ শতাংশ হতে পারে বলে ধারণা করছে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি)।
প্রতিবেদন বলছে, অপরিশোধিত ঋণের পরিমাণ বাড়ায় ব্যাংকগুলোতে তারল্য সংকট আরো তীব্র হতে পারে। যদিও এখনই কোনো ঋণ সংকট নেই, তবে অর্থনীতির ক্রমাবনতি ঘটছে। এর দ্রুত সমাধান প্রয়োজন। আইএমএফের ৪ দশমিক ৭ বিলিয়ন ডলারের ঋণ বাংলাদেশের অর্থনীতিকে কিছুটা চাঙ্গা করেছে। ২০২৬ সাল পর্যন্ত সাড়ে তিন বছরে এই ঋণের অর্থ ছাড় করছে তারা।
২০২২ সালে জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচির (ইউএনডিপি) প্রধান আচিম স্টেইনার সতর্কবার্তা দিয়ে বলেছিলেন, ৫০টি দরিদ্র দেশ দেউলিয়া হওয়ার ঝুঁকির মুখোমুখি। দেউলিয়া হওয়ার কারণগুলোর মধ্যে রয়েছে- উচ্চ মূল্যস্ফীতি, জ্বালানি সংকট এবং ক্রমবর্ধমান ঋণের বোঝা।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ইউএনডিপি প্রধানের সেই সতর্কবার্তা এখনো প্রাসঙ্গিক। কারণ, এরই মধ্যে বিশ্বের বেশ কয়েকটি দেশের দেউলিয়াত্ব প্রকাশ পেয়েছে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
আন্দোলনে আহতদের চাকরি দেবে বাক্কো
তথ্যপ্রযুক্তি ভিত্তিক সমৃদ্ধশালী ও বৈষম্যহীন বাংলাদেশ গড়তে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আহতদের কর্মসংস্থানের সুযোগ দিতে চায় দেশের বিপিও ও কল সেন্টার খাতের ব্যবসায়ীদের সংগঠন বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব কন্ট্যাক্ট সেন্টার অ্যান্ড আউটসোর্সিং (বাক্কো)।
শনিবার (৫ অক্টোবর) ‘জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশন’ এবং বাক্কোর মধ্যে একটি মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় নবগঠিত বাক্কোর কার্যনির্বাহী কমিটির পক্ষ থেকে জুলাই-আগস্ট মাসে গণ-অভ্যুত্থানে নিহত পরিবারের সদস্য ও আহতদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করতে সর্বাত্মক সহযোগিতার আশ্বাস প্রদান করা হয়।
বাক্কো সভাপতি তানভীর ইব্রাহীম বলেন, আন্দোলনে যারা আহত হয়েছেন তাদের পাশে দাঁড়াতে চায় বাক্কো। গণ-অভ্যুত্থানে আহতরা যেন পরিপূর্ণ সুস্থ হয়ে স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে পারে সেজন্য আমরা তাদের দক্ষতা বৃদ্ধির মাধ্যমে যোগ্যতা অনুযায়ী কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টিতে কাজ করতে চাই।
বাক্কোর সাধারণ সম্পাদক ফয়সল আলিম বলেন, গণ-অভ্যুত্থানে যারা শহীদ হয়েছেন, আহত হয়েছেন, পঙ্গুত্ব বরণ করেছেন এবং দৃষ্টি শক্তি হারিয়েছেন তারা দেশের শ্রেষ্ঠ সন্তান। নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণের এই আত্মত্যাগকে আমরা বৃথা যেতে দেবো না। বাক্কো পরিবার সবসময় তাদের পাশে থাকবে।
সভায় ‘জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের’ সাধারণ সম্পাদক মীর মাহবুবুর রহমান (স্নিগ্ধ) বলেন, আমি পেশাগত জীবনের শুরু থেকেই আউটসোর্সিংয়ের সঙ্গে সম্পৃক্ত। তথ্যপ্রযুক্তি খাতে তরুণদের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টির অপার সম্ভাবনা রয়েছে, যা দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
সভায় উপস্থিত ছিলেন বাক্কো পরিচালক আব্দুল কাদের, জায়েদ উদ্দীন আহমেদ, সায়মা শওকত, নির্বাহী পরিচালক লে. কর্নেল (অব) মো. মাহতাবুল হক এবং দুই প্রতিষ্ঠানের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
রাজনৈতিক ঐকমত্যের ওপর নির্ভর করবে নির্বাচনের টাইমলাইন
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেছেন, সংস্কার কমিশনগুলো তিন মাসের মধ্যে প্রতিবেদনগুলো দেবে। সেগুলো নিয়ে উপদেষ্টা পরিষদ রাজনৈতিক দল, সমাজের বিভিন্ন স্তরের মানুষের সঙ্গে কথা বলবে। এরপর রিফর্মের বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলো একটা ন্যূনতম ঐকমত্যে আসবে। ঐকমত্যের ওপর নির্ভর করবে নির্বাচনের টাইমলাইন। কারণ কতটুকু রিফর্ম লাগবে সেটা দেখার বিষয়।
রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে তৃতীয় দফার সংলাপ শেষে শনিবার (৫ অক্টোবর) রাতে রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে বৈঠকের বিষয়ে সংবাদ সম্মেলন করেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মাহফুজ আলম ও প্রেস সচিব শফিকুল আলম। এসময় নির্বাচনী রোডম্যাপ নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর আলোচনার বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন তিনি।
শফিকুল আলম বলেন, নির্বাচনী রোড ম্যাপের ব্যাপারে যে আলাপটা হচ্ছে সেটা হচ্ছে ছয়টা কমিশন গঠন করা হয়েছে, তার পাঁচটি পূর্ণাঙ্গ করা হয়েছে। বাকিটা দু’একদিনের মধ্যে ঘোষণা হবে।
রাজনৈতিক দলগুলোকে নির্বাচনী রোডম্যাপ নিয়ে উপদেষ্টা পরিষদের বক্তব্য প্রসঙ্গে প্রেস সচিব বলেন, ছয়টি কমিশন বাংলাদেশের বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, স্টেকহোল্ডারের সঙ্গে কথা বলবে, তাদের তিন মাসের টাইমলাইনের মধ্যে। এরপর তিন মাসের মধ্যে একটা রিপোর্ট দেবেন। প্রতিবেদনগুলো নিয়ে আবার উপদেষ্টা পরিষদ রাজনৈতিক দল, সমাজের বিভিন্ন স্তরের মানুষের সঙ্গে কথা বলবেন। এরপর রিফর্মের বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলো একটা ন্যূনতম ঐকমত্যে আসবে। ঐকমত্যের ওপর নির্ভর করবে টাইমলাইনটা। কারণ কতটুকু রিফর্ম লাগবে সেটা দেখার বিষয়।
তিনি আরও বলেন, একইসঙ্গে প্রধান উপদেষ্টা বলেছেন নির্বাচনী কাজগুলো এগিয়ে যাবে, নির্বাচনের প্রস্তুতি, নির্বাচন কমিশন গঠনের কাজগুলো এগিয়ে যাবে। কারণ ঐকমত্যটা রিফর্মের ব্যাপারে রিচ হলে যাতে খুব দ্রুত নির্বাচনটা দিয়ে দেওয়া যায়।
শফিকুল আলম বলেন, এখনই আমরা টাইমটা বলতে পারছি না। প্রসিডিওরটা কীভাবে হবে তা স্পষ্ট দেখতে পাচ্ছি।