রাজনীতি
বিজয়কে পরাজিত শক্তি নস্যাৎ করতে চায়: ফখরুল

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ছাত্র-জনতার বিজয়কে পরাজিত শক্তি নস্যাৎ করতে চায়। আজ সোমবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান কাজী জাফরের ৯ম মৃত্যু বার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভায় তিনি এই কথা বলেন।
বন্যা প্রসঙ্গে মির্জা ফখরুল বলেন, বন্যা হতে পারে। অতি বৃষ্টিতে বন্যা হবে। কিন্তু এবারের বন্যা ক্রিমিনাল অপরাধ। ভারত যে বাধ খুলে দিয়ে তা ভাসিয়ে কি অবস্থা হবে সেটা তাদের অবহিত করা হয়নি। যা আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্গন। অপ্রস্তুত অবস্থায় পানির ঢলে ভেসে গেছে বহু মানুষ। মৃত্যুবরণ করেছে মানুষ। তারা এখন মানবেতর জীবন যাপন করছে। আমি তাদের প্রতি সহানুভূতি প্রকাশ করছি।
দেশের সংকট কাল নিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, আমরা একটা ক্রান্তিকালে আছি। একটি সফল ছাত্র জনতার বিপ্লবের পরে একটি অন্তবর্তীকালীন সরকার এসেছে। আমাদের এই সরকারের প্রতি আস্থা আছে। এই সরকারের প্রধান সারাবিশ্বের গ্রহণযোগ্য ব্যাক্তিত্ব।
এই সরকারের দেশের জনগণের প্রত্যাশা আকাশচুম্বী জানিয়ে তিনি বলেন, এই ভয়াবহ ফ্যাসিবাদের পরে এমন একটা নির্বাচন দিবেন যে নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হবে। এরমধ্য যত ঝঞ্জাল আছে সেগুলো ছাপ করবে। এতদিন চিন্তিত ছিলাম প্রধান উপদেষ্টার কাছ থেকে কোন কিছু শুনতে পাচ্ছি না। কালকে উনি কথা কথা বলেছেন জাতির উদ্দেশ্য ভাষণ দিয়েছে।
তারমধ্য উল্লেখযোগ্য হলো, তিনি বলেছেন কবে নির্বাচন হবে সেটা রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত সঠিক। তবে রাজনৈতিক দলের সাথে এই ব্যাপারে আলোচনা করতে হবে। আমি আশা করবো প্রধান উপদেষ্টা সে প্রক্রিয়ায় যাবেন। তিনি রাজনৈতিক দলের সাথে কথা বলবেন।
প্রধান উপদেষ্টার মামলা প্রত্যাহারের বিষয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, আমাদের প্রায় ৬০ লাখ লোকের বিরুদ্ধে মামলা হয়ে সেগুলো প্রত্যাহার করতে হবে। পত্রিকায় দেখলাম প্রধান উপদেষ্টার মামলা ওঠানো হয়েছে। আরেকজন উপদেষ্টার মামলা তুলে নেয়া হয়েছে। আমরা চাই আমাদের এক লাক ৪৫ হাজার মামলা অবিলম্বে তুলে নিতে হবে।
আমরা আশা করেছিলাম প্রধান উপদেষ্টা একটি রোডম্যাপ দিবে, কিন্তু প্রধান উপদেষ্টার মুখ থেকে সেটা শুনতে পাই নাই।
কাফি

রাজনীতি
পিআর পদ্ধতির নির্বাচন ফ্যাসিবাদের পথ সুগম করবে: তারেক রহমান

পিআর বা সংখ্যানুপাতিক পদ্ধতিতে নির্বাচনের দাবি তুলছেন। কিন্তু বাংলাদেশে পিআর পদ্ধতির নির্বাচনী ব্যবস্থা প্রবর্তনের অর্থ কিন্তু রাষ্ট্র এবং রাজনীতিতে বিচ্ছিন্নতাবাদ, ফ্যাসিবাদ, চরমপন্থার পথ সুগম করবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
সোমবার (২১ জুলাই) রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন প্রাঙ্গণে বাংলাদেশ সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের আয়োজনে গণঅভ্যুত্থান, শোক ও বিজয়ের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে বিগত ১৬ বছরে আওয়ামী ফ্যাসিবাদী বিরোধী আন্দোলন ও চব্বিশের গণঅভ্যুত্থানে পেশাজীবীদের অবদান নিয়ে পেশাজীবী সমাবেশ এবং শহীদ-নির্যাতিত পরিবারকে সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এই মন্তব্য করেন।
এ সময় তারেক রহমান বলেন, আমরা দেখছি কয়েকটি রাজনৈতিক দল দেশে হঠাৎ করেই পিআর বা সংখ্যানুপাতিক পদ্ধতিতে নির্বাচনের দাবি তুলছেন। কিন্তু বাংলাদেশে পিআর পদ্ধতির নির্বাচনী ব্যবস্থা প্রবর্তনের অর্থ কিন্তু রাষ্ট্র এবং রাজনীতিতে বিচ্ছিন্নতাবাদ, ফ্যাসিবাদ, চরমপন্থার পথ সুগম করে দেবে। এতে করে বিভ্রান্তিমূলক সমাজ সৃষ্টি ও সরকার অস্থিতিশীলতার কারণ হয়ে উঠবে। দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব হুমকিতে পড়বে।
দেশের জনগণের ঐক্য চাইলে কোনোভাবেই সংখ্যানুপাতিক পদ্ধতিতে নির্বাচন ব্যবস্থা চালু হওয়া উচিত না জানিয়ে তিনি বলেন, এই ধরনের দাবিকে কোনো দল গণতান্ত্রিক অধিকার বিবেচনা করলেও দেশ ও জনগণের স্বার্থে পিআর পদ্ধতির নির্বাচনের জন্য বাংলাদেশ উপযোগী নয় বলেই আমরা মনে করি।
সংবিধিবদ্ধ বিধিবিধান আর আইনকানুন দিয়ে ফ্যাসিবাদ ও স্বৈরাচারকে আটকানো যায় না মন্তব্য করে তারেক রহমান আরও বলেন, আইন না মানার কারণেই কেউ ফ্যাসিস্ট হয়ে উঠতে পারে। এ জন্য জনগণকে যেকোনো মূল্যে রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিকভাবে শক্তিশালী হিসেবে গড়ে তুলতে হবে। রাষ্ট্রে তাদের সকল প্রকার গণতান্ত্রিক চর্চা নিশ্চিত করতে হবে। জনগণের ক্ষমতা ও রাজনৈতিক চর্চা যদি থাকে, ফ্যাসিবাদ বা স্বৈরাচার মোকাবিলায় জনগণের ঐক্যবদ্ধ শক্তিই কিন্তু যথেষ্ট।
এ সময় বিএনপি প্রথম থেকেই জনগণের সরাসরি ভোটে জনগণের কাছে জবাবদিহিমূলক সরকার প্রতিষ্ঠার দাবি জানিয়ে আসছে বলেও জানান বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান। এছাড়া তিনি বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারের ঘাড়ে বন্দুক রেখে কেউ কেউ নিজেদের খবরদারি বহাল রাখতে চায়, কিংবা প্রভাব খাটিয়ে বিভিন্নভাবে ফায়দা হাসিল বা নিজেদের আখের গোছাতে চায়, তাদেরকেই আমরা দেখছি যে, সুকৌশলে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানে ব্যাপারে বাধার সৃষ্টি করছে। এই কথা বিভিন্ন জায়গা থেকে সামনে আসছে। বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ কথা বলছে।
এর আগে অনুষ্ঠানের শুরুতে রাজধানীর উত্তরায় বিমান দুর্ঘটনায় হতাহতের খবরে শোক প্রকাশ করেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান। এ সময় তিনি বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দকে সহায়তার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে জানান। এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনার কারণে এই অনুষ্ঠান সংক্ষিপ্ত করার নির্দেশনাও দেন তিনি।
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের আহ্বায়ক অধ্যাপক ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেনের সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব কাদের গণি চৌধুরী এবং ইউনিভার্সিটি টিচার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ-ইউট্যাব’র মহাসচিব অধ্যাপক ড. মোর্শেদ হাসান খানের যৌথ পরিচালনায় বক্তব্য দেন বিগত ফ্যাসিবাদ বিরোধী আন্দোলনে বিভিন্ন পেশায় ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিবর্গ এবং চব্বিশের জুলাই অভ্যুত্থানে শহীদ পরিবারের সদস্যবৃন্দ।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহম্মেদ, ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুস সালাম পিন্টুসহ বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ।
কাফি
রাজনীতি
এবার বায়তুল মোকাররম মসজিদে জামায়াতের পরিচ্ছন্নতা অভিযান

বাংলাদেশ জামায়াত ইসলামী আয়োজিত জাতীয় মহাসমাবেশ নির্ধারিত সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের আশেপাশের বিস্তীর্ণ এলাকায় ছাড়িয়ে যায়। যে কারণে মসজিদসহ বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ স্থানে পরিস্কার-পরিচ্ছন্নতা অভিযান পরিচালনা করেছেন দলটির নেতাকর্মীরা। এরই ধারাবাহিকতায় জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে পরিস্কার-পরিচ্ছন্নতা করা হয়।
সোমবার (২১ জুলাই) সকালে পল্টন থানা জামায়াতের উদ্যোগে এ কর্মসূচি পালন করা হয়। এসময় পল্টন, মতিঝিল, শাহবাগ ও রমনা (ঢাকা- ৮) আসনের সংসদ সদস্য প্রার্থী, জামায়াতের কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও নায়েবে আমীর ড. মো. হেলাল উদ্দিনের নেতৃত্বে অভিযানটি পরিচালিত হয়।
সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে অনুষ্ঠিত জামায়াতের মহাসমাবেশে অংশ নিতে সারাদেশ থেকে বিপুলসংখ্যক নেতাকর্মী সমবেত হন। সমাবেশ স্থান থেকে গুলিস্তান, পল্টন, কাকরাইল, বাংলামোটর, কাঁটাবন, নীলক্ষেত, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকাজুড়ে ছড়িয়ে ছিটিয়ে অবস্থান নেন নেতাকর্মীরা। প্রতিটি গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় পরিস্কার অভিযান এখনো অব্যাহত রয়েছে।
হেলাল উদ্দিন বলেন, সমাবেশের পর আমাদের সন্মানিত আমিরে জামায়াতের নির্দেশনায় এ অভিযান পরিচালনা করে আসছি। তিনি চিকিৎসা নিয়ে বাসায় পৌঁছার পর থেকে পরিস্কার অভিযানের প্রতি বিশেষ নজর রাখছেন। হেলাল উদ্দিন দেশবাসীর কাছে আহ্বান জানান সবাই যেন সম্মানিত আমীরে জামাতের জন্য দোয়া করেন আল্লাহ যেন তাকে পরিপূর্ণ সুস্থতা দান করেন।
তিনি আরও বলেন, আমরা বিশ্বাস করি, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা ইমানের অঙ্গ। সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে অনুষ্ঠিত মহাসমাবেশে লক্ষ লক্ষ নেতাকর্মীর সমাগম হয়েছিল। এর একটি অংশ বায়তুল মোকাররম মসজিদেও অবস্থান নেয়। যে কারণে মসজিদের ভেতরের কিছু কিছু অংশে পরিস্কার করতে হয়েছে।
তিনি জানান, জামায়াত ইসলামী মানুষের কল্যাণে ও সামাজিক দায়বদ্ধতার অংশ হিসেবে এমন উদ্যোগ গ্রহণ করেছে।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সমাজ কল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক ও পল্টন থানা আমির শাহীন আহমেদ খান। পল্টন মতিঝিল এলাকার সাবেক কাউন্সিলর খন্দকার আব্দুর রব ও এনামুল হক শামীমসহ প্রায় শতাধিক স্বেচ্ছাসেবক অংশ নেন।
জামায়াতের আমির ডা শফিকুর রহমানের সমাবেশের মূল ম্যাসেজ ছিল- আগামীর বাংলাদেশ গড়তে হলে আমাদের আরেকটি লড়াই করতে হবে আর তা হলো দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াই। চাঁদাবাজ ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে আমাদের এক হয়ে কাজ করতে হবে।
হেলাল উদ্দিন জানান, আমিরে জামায়াত সেই সঙ্গে ঢাকাবাসী ও দেশবাসীকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশের স্বাধীনতার পর প্রথমবারের মতো এককভাবে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জাতীয় মহাসমাবেশের আয়োজন করেছে জামায়াত ইসলামী। স্বাধীনতা-উত্তর এই প্রথম সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশ করে জামায়াত। এই সমাবেশে তাদের মূল দাবি ছিলো অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও শান্তিপূর্ণভাবে নির্বাচন অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে সবার জন্য সমান সুযোগ তৈরি করা, মৌলিক সংস্কার, জুলাই সনদ ও ঘোষণাপত্র বাস্তবায়ন, সংখ্যানুপাতিক (পিআর) পদ্ধতিতে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠান প্রভৃতি।
কাফি
রাজনীতি
বিমান বিধ্বস্তে হতাহতের ঘটনায় গণঅধিকার পরিষদের শোক

ঢাকার উত্তরার মাইলস্টোন কলেজ প্রাঙ্গণে একটি প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্ত হওয়ার মর্মান্তিক ঘটনায় গভীর শোক ও উদ্বেগ প্রকাশ করেছে গণঅধিকার পরিষদ।
সোমবার (২১ জুলাই) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানা গেছে।
বিবৃতিতে জানানো হয়, বাংলাদেশ এভিয়েশন একাডেমির একটি প্রশিক্ষণ ফ্লাইট আকস্মিকভাবে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে কলেজের একটি অংশে আছড়ে পড়ে, যার ফলে বহু শিক্ষার্থী হতাহত হয়েছেন বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে।
প্রত্যক্ষদর্শীদের ভাষ্যমতে, এই হৃদয়বিদারক দুর্ঘটনায় অনেক শিক্ষার্থী গুরুতর আহত হয়েছেন এবং তাদের দ্রুত নিকটস্থ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। নিহতের সংখ্যা আশঙ্কাজনক হলেও, এখনো পর্যন্ত আনুষ্ঠানিকভাবে নিশ্চিত করা হয়নি।
এই দুর্ঘটনা কলেজে চরম আতঙ্ক সৃষ্টি করে। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিস, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এবং সিভিল এভিয়েশনের প্রতিনিধি দল দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে উদ্ধার অভিযান শুরু করেছে। ঘটনার পর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটি সাময়িকভাবে বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর এবং সাধারণ সম্পাদক মো. রাশেদ খাঁন এই ঘটনায় গভীর শোক প্রকাশ করেছেন। হতাহত সকলের পাশে দাঁড়ানোর জন্য সরকারের প্রতি জোর আহ্বান জানিয়েছেন এবং আহতদের দ্রুত সুস্থতা কামনা করেছেন।
একইসাথে, নিহতদের আত্মার শান্তি এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানিয়েছেন।
নেত্বদ্বয় ভবিষ্যতে এ ধরনের দুর্ঘটনা এড়াতে কার্যকর ও সুদূরপ্রসারী পদক্ষেপ গ্রহণের দাবিও জানিয়েছেন তিনি।
কাফি
রাজনীতি
বিমান বিধ্বস্তে হতাহতের ঘটনায় জামায়াত আমিরের শোক

রাজধানী ঢাকার উত্তরার দিয়াবাড়িতে বিমান বাহিনীর একটি প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্ত হয়ে অনেক হতাহতের ঘটনায় গভীর শোক প্রকাশ করেছেন বাংলাদেশ জামায়াত ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান। সোমবার (২১ জুলাই) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি শোক প্রকাশ করেন।
বিবৃতিতে তিনি বলেন, আজ রাজধানী ঢাকার উত্তরার দিয়াবাড়ি এলাকায় মাইল স্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজ ভবনের উপর বিমান বাহিনীর একটি প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্ত হয়ে আগুন ধরে যায়। এতে পাইলট ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট তৌকির এবং অনেক শিক্ষার্থী শাহাদাত বরণ করেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। এ ঘটনায় এখনো শতাধিক শিক্ষার্থী দগ্ধ হয়ে গুরুতর আহত হয়েছেন। এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় আমি গভীরভাবে শোকাহত।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সর্বস্তরের জনশক্তি ও এলাকাবাসীকে উদ্ধার কাজে অংশগ্রহণ এবং আহতদের চিকিৎসায় সর্বাত্মক সহায়তার উদাত্ত আহ্বান জানাচ্ছি। আমি নিহতদের রূহের মাগফিরাত কামনা করছি এবং তাদের শহীদ হিসেবে কবুল করার জন্য মহান রবের নিকট কায়মনোবাক্যে দোয়া করছি। নিহতদের শোকসন্তপ্ত পরিবার-পরিজন ও আহতদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানাচ্ছি। পাশাপাশি আহত সকলের পরিপূর্ণ সুস্থতা কামনা করছি এবং সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা ও সহায়তা নিশ্চিত করার আহ্বান জানাচ্ছি।
কাফি
রাজনীতি
তত্ত্বাবধায়ক ব্যবস্থায় একমত এবি পার্টি

তৃতীয় দফা বৈঠকে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা নিয়ে আলোচনায় একমত পোষণ করেছেন আমার বাংলাদেশ (এবি) পার্টির সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদ।
তিনি বলেছেন, ‘এটি আদালতের রায়ের মাধ্যমে পুনঃপ্রতিষ্ঠা হয়ে গেছে। কমিশন সকল দলের মতের ওপর ভিত্তি করে একটি প্রস্তাবনা দিয়েছে। যেখানে সংসদে প্রতিনিধিত্ব করা রাজনৈতিক দলের নেতারাই সমাধান করবেন। সংসদের প্রধান দল, বিরোধী দল, দ্বিতীয় বৃহত্তম রাজনৈতিক দল মতামত দেবেন।’
রোববার (২০ জুলাই) ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের বৈঠক শেষে মিডিয়া ব্রিফিংয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
এসময় এবি পার্টির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার জুবায়ের আহমেদ ভূইয়া, সাংগঠনিক সম্পাদক (রাজশাহী) সাঈদ নোমান, সাংগঠনিক সম্পাদক (বরিশাল) গাজী নাসির, ঢাকা মহানগর উত্তরের সদস্যসচিব সেলিম খান ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণের যুগ্ম আহ্বায়ক আনোয়ার ফারুক উপস্থিত ছিলেন।
আসাদুজ্জামান ফুয়াদ বলেন, ‘মতামতের ওপর ভিত্তি করে ৭ সদস্যের একটি প্যানেল করার ব্যাপারে সকল রাজনৈতিক দল একমত হয়েছে। যেখানে প্যানেল ৫ জন করে বাছাই করবেন। বাছাই প্রক্রিয়া শেষে সরকারি দলের প্রস্তাব, বিরোধীদলের প্রস্তাব, দ্বিতীয় বিরোধীদলের প্রস্তাব মিলে ৫ সদস্যের একটা প্যানেল হতে পারে। যদি প্রথম স্টেজে সকল দল মিলে একমত হতে না পারে, তাহলে ৫ সদস্যের ওই প্যানেলে র্যাংক চয়েজ ভোট হতে পারে। এক্ষেত্রে কিছু দ্বিমত আছে, যেখানে সংসদে সকল প্রতিনিধিত্ব দলগুলোকে মতামতে অংশগ্রহণ করানো যায় কিনা সেই বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।’
এবি পার্টির সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘প্রধান উপদেষ্টা নিয়োগের পদ্ধতির ব্যাপারে এবি পার্টি একমত। যদিও প্রধান উপদেষ্টা নিয়োগের ব্যাপারে আরও একটি প্রস্তাব এসেছে।’
ব্যারিস্টার ফুয়াদ আরও বলেন, ‘যেহেতু কোটার বিরুদ্ধে আন্দোলন হয়েছে। তাই জুলাই গণঅভ্যুত্থানে আহতদের জন্য কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ে রাখা ৫% কোটাকে অবমাননামূলক মনে করছি। কোটার বিরুদ্ধে মেধার ভিত্তিতে সমাজ ও একটি রাষ্ট্র তৈরির এই আজাদির লড়াইয়ে আবার কোটা ফিরিয়ে আনা অন্যায্য। তাই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ভর্তিতে জুলাই কোটার বিরুদ্ধে কমিশনে আলোচন হওয়া উচিত। পাশাপাশি পুলিশ ও জনপ্রশাসন সংস্কার নিয়ে এখন পর্যন্ত তেমন কোনো উদ্যোগ চোখে পড়েনি। এজন্য এবি পার্টি মনে করে, কমিশনে গুরুত্বের সঙ্গে এই বিষয়গুলো নিয়ে দ্রুত আলোচনা হওয়া দরকার।’
কাফি