রাজনীতি
বিজয়কে পরাজিত শক্তি নস্যাৎ করতে চায়: ফখরুল

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ছাত্র-জনতার বিজয়কে পরাজিত শক্তি নস্যাৎ করতে চায়। আজ সোমবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান কাজী জাফরের ৯ম মৃত্যু বার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভায় তিনি এই কথা বলেন।
বন্যা প্রসঙ্গে মির্জা ফখরুল বলেন, বন্যা হতে পারে। অতি বৃষ্টিতে বন্যা হবে। কিন্তু এবারের বন্যা ক্রিমিনাল অপরাধ। ভারত যে বাধ খুলে দিয়ে তা ভাসিয়ে কি অবস্থা হবে সেটা তাদের অবহিত করা হয়নি। যা আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্গন। অপ্রস্তুত অবস্থায় পানির ঢলে ভেসে গেছে বহু মানুষ। মৃত্যুবরণ করেছে মানুষ। তারা এখন মানবেতর জীবন যাপন করছে। আমি তাদের প্রতি সহানুভূতি প্রকাশ করছি।
দেশের সংকট কাল নিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, আমরা একটা ক্রান্তিকালে আছি। একটি সফল ছাত্র জনতার বিপ্লবের পরে একটি অন্তবর্তীকালীন সরকার এসেছে। আমাদের এই সরকারের প্রতি আস্থা আছে। এই সরকারের প্রধান সারাবিশ্বের গ্রহণযোগ্য ব্যাক্তিত্ব।
এই সরকারের দেশের জনগণের প্রত্যাশা আকাশচুম্বী জানিয়ে তিনি বলেন, এই ভয়াবহ ফ্যাসিবাদের পরে এমন একটা নির্বাচন দিবেন যে নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হবে। এরমধ্য যত ঝঞ্জাল আছে সেগুলো ছাপ করবে। এতদিন চিন্তিত ছিলাম প্রধান উপদেষ্টার কাছ থেকে কোন কিছু শুনতে পাচ্ছি না। কালকে উনি কথা কথা বলেছেন জাতির উদ্দেশ্য ভাষণ দিয়েছে।
তারমধ্য উল্লেখযোগ্য হলো, তিনি বলেছেন কবে নির্বাচন হবে সেটা রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত সঠিক। তবে রাজনৈতিক দলের সাথে এই ব্যাপারে আলোচনা করতে হবে। আমি আশা করবো প্রধান উপদেষ্টা সে প্রক্রিয়ায় যাবেন। তিনি রাজনৈতিক দলের সাথে কথা বলবেন।
প্রধান উপদেষ্টার মামলা প্রত্যাহারের বিষয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, আমাদের প্রায় ৬০ লাখ লোকের বিরুদ্ধে মামলা হয়ে সেগুলো প্রত্যাহার করতে হবে। পত্রিকায় দেখলাম প্রধান উপদেষ্টার মামলা ওঠানো হয়েছে। আরেকজন উপদেষ্টার মামলা তুলে নেয়া হয়েছে। আমরা চাই আমাদের এক লাক ৪৫ হাজার মামলা অবিলম্বে তুলে নিতে হবে।
আমরা আশা করেছিলাম প্রধান উপদেষ্টা একটি রোডম্যাপ দিবে, কিন্তু প্রধান উপদেষ্টার মুখ থেকে সেটা শুনতে পাই নাই।
কাফি

প্রবাস
চীনে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৪৪তম শাহাদাত বার্ষিকী পালন

চীনের গুয়াংডং প্রদেশের শেনজেন শহরে মহান স্বাধীনতার ঘোষক, বহুদলীয় গণতন্ত্রের প্রবক্তা ও শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান বীর উত্তমের ৪৪তম শাহাদাত বার্ষিকী উপলক্ষে এক দোয়া মাহফিল ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শুক্রবার (৩০ মে) বিএনপির বৃহত্তর চীন শাখার উদ্যোগে এই সভা আয়োজিত হয়।
মো. ওয়ালী উল্লাহর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বৃহত্তর চীন শাখার বিএনপির নেতা শেখ মাহবুবুর রশীদ।
আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন মো. হাসমত আলী মৃধা জেমস, এস এম আল-আমিন, মো. সালাউদ্দিন রিক্তা, মনোয়ার মো. বায়েজীদ, মো. রোমান, জসিম উদ্দিন, খোরশেদ আলম অপু, রাসেল আহমেদ সহ আরও অনেকে। এছাড়া ভার্চুয়ালি বক্তব্য রাখেন মোঃ সাখাওয়াত হোসেন কানন এবং মো. আসিফ হক রুপু।
দোয়া মাহফিলে শহীদ জিয়ার রুহের মাগফিরাত কামনা এবং বাংলাদেশের শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করে বিশেষ প্রার্থনা করা হয়।
আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে বিএনপির নেতাকর্মী এবং প্রবাসী বাংলাদেশিরা অংশগ্রহণ করেন।
রাজনীতি
২ জুন বিএনপিকে যমুনায় আমন্ত্রণ জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা

আলোচনা জন্য বিএনপিকে আবারও আমন্ত্রণ জানিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। আগামী ২ জুন দ্বিতীয় দফার এ আলোচনা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।
শনিবার (৩১ মে) দুপুরে রাজধানীতে এক আলোচনা সভায় এ কথা জানান বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ।
সালাহউদ্দিন বলেন, সরকার একের পর এক রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনার আনুষ্ঠানিকতা চালিয়ে যাচ্ছে, কিন্তু তাতে বাস্তব কোনো অগ্রগতি নেই। আলোচনা হচ্ছে, কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হচ্ছে না। জনগণের আস্থার সংকট কাটিয়ে উঠতে হলে বাস্তব পদক্ষেপ প্রয়োজন, কেবল আনুষ্ঠানিকতা নয়।
‘সংবিধান সংস্কার কমিশন যদি নিজেদের মতো করে সংবিধান পরিবর্তন করতে চায়, তবে সে বিষয়ে জাতিকে একমত হতে হবে’ উল্লেখ করে বিএনপির সিনিয়র এই নেতা বলেন, জোর করে চাপিয়ে দিলে সেটা গণতন্ত্র নয়, তা হবে আরেকটি বাকশাল।’
সালাহউদ্দিন বলেন, আমরা গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে বিশ্বাস করি, মতের ভিন্নতা থাকবেই। আর ডিসেম্বরের পর নির্বাচন দেওয়ার পক্ষে একটি যুক্তিও নেই। দেশের মানুষ চায় অবিলম্বে একটি নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন।
রাজনীতি
সমাবেশের অনুমতি চেয়ে ডিএমপিতে জামায়াতের চিঠি

স্বৈরাচার শেখ হাসিনার পতনের পর রাজধানীতে প্রথম বড় সমাবেশ করতে যাচ্ছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। আগামী ২১ জুন রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জনসভা করার জন্য ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কাছে আবেদন করেছে দলটি।
শনিবার (৩১ মে) জামায়াতের কেন্দ্রীয় মিডিয়া ও প্রচার বিভাগের প্রধান এবং সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল অ্যাডভোকেট এহসানুল মাহবুব জুবায়ের একটি গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, আগামী ২১ জুন দুপুর ২টায় রাজধানীতে আমরা জনসভা করবো। প্রাথমিকভাবে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের জন্য ডিএমপির কাছে আবেদন করা হয়েছে। সমাবেশে জামায়াতের শীর্ষ নেতারা উপস্থিত থাকবেন। পাশাপাশি সমমনা রাজনৈতিক দলের নেতাদের আমন্ত্রণ জানানো হবে।
৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের মুখে দেশ ছেড়ে পালিয়ে ভারতে আশ্রয় নেন শেখ হাসিনা। এরপর রাজধানীতে একাধিক সমাবেশ করে বিএনপিসহ বেশ কয়েকটি রাজনৈতিক দল। তবে জামায়াতের পক্ষ থেকে রাজধানীতে বড় কোনো সমাবেশ করতে দেখা যায়নি।
সম্প্রতি আপিল বিভাগের রায়ে মানবতাবিরোধী অপরাধের সাজা থেকে খালাস পেয়ে মুক্তি পান দলটির সিনিয়র নেতা এটিএম আজহারুল ইসলাম। তাৎক্ষণিকভাবে শাহবাগ মোড়ে সমাবেশ করে এ নেতাকে সংবর্ধনা দেয় জামায়াত।
রাজনীতি
সাবেক পিএ পরিচয়ে সংবাদ প্রকাশ, উদ্দেশ্য প্রণোদিত বললেন নাহিদ

জাতীয় নাগরিক পার্টির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলামের পরিচয় জড়িয়ে তার সাবেক পিএ আতিক মোর্শেদের বিরুদ্ধে সংবাদ প্রকাশ হয়েছে। তবে এ বিষয়ে নাহিদ ইসলাম বলেন, আমার পিএ থাকা অবস্থায় আতিক মোর্শেদের বিরুদ্ধে এমন কোনো অভিযোগ ছিল না। আমি উপদেষ্টা থাকাকালীন নগদ বিষয়ক সম্পূর্ণ কার্যক্রম বাংলাদেশ ব্যাংকের অধীনে পরিচালিত হতো। আমি পদত্যাগের পর আতিক মোর্শেদ বর্তমানে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তিবিষয়ক বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব সাহেবের সঙ্গে কাজ করছেন।
তিনি আরো বলেন, আতিক মোর্শেদের সঙ্গে বর্তমানে আমার কোনো সম্পর্ক না থাকলেও আমার সাবেক পিএ পরিচয়ে সংবাদ প্রকাশ করা হচ্ছে। এটা উদ্দেশ্য প্রণোদিত এবং বিভ্রান্তিকর। যে সংবাদের রেফারেন্সে তথ্য ছড়ানো হচ্ছে সেখানেও আমার নাম নেই। আমরা অফিসিয়ালি এ বিষয়ে আমাদের বক্তব্য দেব।
শুক্রবার দুপুরে আতিক মোর্শেদের বিরুদ্ধের নগদের ১৫০ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ তুলে একটি ফেসবুক পোস্ট দেন গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খাঁন। যেখানে তিনি আতিক মোর্শেদকে সাবেক তথ্য উপদেষ্টার সাবেক পিএ পরিচয়ে তুলে ধরেন।
নাহিদ ইসলামের পরামর্শেই আতিক মোর্শেদ এসব কাজে জড়িত কি না- এমন প্রশ্ন তোলেন রাশেদ খাঁন।
ফেসবুক পোস্টে রাশেদ খাঁন বলেন, সাবেক তথ্য উপদেষ্টা নাহিদ ইসলামের বিশেষ সহকারী (পিএ) আতিক মোর্শেদের বিরুদ্ধে বেশকিছু গুরুতর অভিযোগ আসলেও নাহিদ ইসলাম দায়িত্বে থাকাকালীন সময়ে তার বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ বা মন্ত্রণালয় থেকে তদন্ত কমিটি গঠন করেননি।
এক্ষেত্রে প্রশ্ন থেকে যায় নাহিদ ইসলামের পরামর্শেই আতিক মোর্শেদ এসব কাজে জড়িত কি না? অন্যথায় এসব বিষয়ে নাহিদ ইসলাম কেন চুপ ছিলেন বা এখনো চুপ আছেন?
রাজধানী
রাজধানীর মান্ডায় জামায়াতের পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা অভিযান

রাজধানীর মান্ডায় বায়তুন নুর মসজিদ পরিষ্কারের মধ্য দিয়ে দুই মাসব্যাপী পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা অভিযানের উদ্বোধন করেছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী।
শুক্রবার (৩০ মে) দুই মাসব্যাপী এ পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা অভিযানের উদ্বোধন করা হয়।
অভিযানে ৭২ নং ওয়ার্ডের আমীর ও কাউন্সিলর প্রার্থী মাওলানা ইসহাক প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন। আরও উপস্থিত ছিলেন থানা সেক্রেটারি প্রভাষক ওমর ফারুক, ওয়ার্ড সভাপতি মুহা. সোলাইমান, ইমরান মুন্সি সহ এলাকার ও মসজিদের দায়িত্বশীলগণ।
এসময় মান্ডা ৭২ নং ওয়ার্ড আমীর মাওলানা ইসহাক বলেন, মসজিদ পরিস্কার করার মাধ্যমে সমাজ ও রাষ্ট্রকে পরিস্কার করার ভূমিকা পালন করতে হবে।