জাতীয়
ঢাকা আসছেন জাতিসংঘ মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনার
জাতিসংঘ মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনার ভলকার টুর্ক আগামী সেপ্টেম্বরে বাংলাদেশে আসবেন। আশা করা হচ্ছে, সবকিছু ঠিক থাকলে সেপ্টেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহে তিনি ঢাকা সফরে আসবেন।
এ বিষয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, ইতোমধ্যে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে ভলকার টুর্কের কথা হয়েছে। জাতিসংঘের পক্ষ থেকে সর্বোচ্চ সহায়তার আশ্বাসও দেওয়া হয়েছে। টুর্কের সফরে সহায়তার বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনার সুযোগ তৈরি হবে।
বাংলাদেশে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময়ে ভলকার টুর্ক একাধিক বিবৃতি দিয়ে মানবাধিকার রক্ষার আহ্বান জানিয়েছেন। নতুন উপদেষ্টা পরিষদ গঠনের পর ছাত্র আন্দোলন চলাকালে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের ন্যায় বিচার ও অপরাধীদের আইনের আওতায় আনার জন্য জাতিসংঘের ফ্যাক্ট-ফাইন্ডিং মিশনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়।
গতকাল রবিবারও জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মাদ ইউনূস বলেছেন যে জাতিসংঘের তদন্তকাজ দ্রুত শুরু হবে।
এদিকে গত ১৬ আগস্ট ছাত্র আন্দোলন নিয়ে জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশনের (ইউএনএইচআরসি) প্রাথমিক প্রতিবেদন প্রকাশ উপলক্ষে এক বার্তায় হাইকমিশনার ভলকার টুর্ক বলেছেন, বাংলাদেশে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ দমনে প্রয়োজনের অতিরিক্ত বল প্রয়োগ করেছে দেশটির আইন প্রয়োগকারী সংস্থা, এমন ইঙ্গিত পাওয়া গেছে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আইন-আদালত
চার বিভাগে নতুন বিভাগীয় কমিশনার
খুলনা, রাজশাহী, সিলেট ও চট্টগ্রাম বিভাগে নতুন বিভাগীয় কমিশনার নিয়োগ দিয়েছে সরকার। মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) চার বিভাগের নতুন বিভাগীয় কমিশনার নিয়োগ দিয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।
খুলনার নতুন বিভাগীয় কমিশনার নিয়োগ পেয়েছেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগে সংযুক্ত অতিরিক্ত সচিব মো. ফিরোজ সরকার।
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের অতিরিক্ত সচিব খোন্দকার আজিম আহমেদ রাজশাহীর বিভাগীয় কমিশনার নিয়োগ পেয়েছেন। এছাড়া পদোন্নতিজনিত ওএসডি (বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা) অতিরিক্ত সচিব মো. রেজা-উন নবীকে সিলেটের বিভাগীয় কমিশনার করা হয়েছে। চট্টগ্রামের নতুন বিভাগীয় কমিশনার নিয়োগ পেয়েছেন স্বাস্থ্য সেবা বিভাগে সংযুক্ত অতিরিক্ত সচিব মো. জিয়াউদ্দীন।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আইন-আদালত
দেশকে অস্থিতিশীল করার সর্বশেষ ট্রাম্পকার্ড খেলা হচ্ছে: আজহারী
বাংলাদেশকে অস্থিতিশীল করতে এখন সর্বশেষ ট্রাম্পকার্ড খেলা হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন জনপ্রিয় ইসলামি বক্তা মাওলানা মিজানুর রহমান আজহারী।
মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) রাত ৮টার পর নিজের ভেরিফাইড ফেসবুক পেজে দেওয়া এক পোস্টে এ কথা লেখেন। একই সঙ্গে তিনি সবাইকে শান্ত থাকার আহ্বান জানান।
ফেসবুক পোস্টে আজহারী লিখেছেন, সম্ভবত দেশকে অস্থিতিশীল করার সর্বশেষ ট্রাম্পকার্ড খেলা হচ্ছে। দয়া করে সবাই শান্ত থাকুন। কোনো উসকানিতে পা দেওয়া যাবে না। বিজয় আমাদেরই হবে, ইনশাআল্লাহ।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আইন-আদালত
চিন্ময় ইস্যুতে ভারতের প্রতিক্রিয়ায় ঢাকার পাল্টা বিবৃতি
বাংলাদেশ সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র ও চট্টগ্রামের হাটহাজারীর পুণ্ডরীক ধামের অধ্যক্ষ চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীকে গ্রেফতারে ভারতের প্রতিক্রিয়ায় পাল্টা বিবৃতি দিয়েছে বাংলাদেশ।
মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) ঢাকার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দেয়া এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, অত্যন্ত হতাশার সঙ্গে বাংলাদেশ সরকার উল্লেখ করেছে যে শ্রী চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে নির্দিষ্ট অভিযোগে গ্রেফতার করার পর থেকে তার গ্রেফতারকে কিছু মহল ভুলভাবে ব্যাখ্যা করছে। বাংলাদেশ সরকার বলতে চায়, এই ধরনের ভিত্তিহীন বিবৃতি শুধু সত্যকে বিকৃত করে না বরং দুই প্রতিবেশী দেশের মধ্যে বন্ধুত্ব ও বোঝাপড়ার চেতনার পরিপন্থি।
এর আগে চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের গ্রেফতারে উদ্বেগ প্রকাশ করে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে বলা হয়, বাংলাদেশ সম্মিলিত সনাতন জাগরণ জোটের মুখপাত্র শ্রী চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে গ্রেফতার ও জামিন নাকচ করার বিষয়টি আমরা গভীর উদ্বেগের সঙ্গে দেখছি। বাংলাদেশের হিন্দু ও অন্যান্য সংখ্যালঘুদের ওপর একাধিক হামলার পরে এ ঘটনা ঘটলো।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, এই ঘটনার অপরাধীরা ধরাছোঁয়ার বাইরে থাকলেও একজন ধর্মীয় নেতার বিরুদ্ধে অভিযোগ চাপানো হয়েছে; যিনি শান্তিপূর্ণ সমাবেশের মাধ্যমে ন্যায্য দাবিগুলো উপস্থাপন করেছিলেন।
হিন্দুসহ সব সংখ্যালঘুর নিরাপত্তা, শান্তিপূর্ণ সমাবেশ ও মত প্রকাশের স্বাধীনতা নিশ্চিতে বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানানো হয় বিবৃতিতে।
এর প্রতিবাদ জানিয়ে ঢাকার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে বলেছে, বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) গণমাধ্যমে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জারি করা একটি বিবৃতি বাংলাদেশ সরকারের নজরে এসেছে।
ঢাকা বলছে, অত্যন্ত হতাশা এবং গভীর দুঃখের সঙ্গে বাংলাদেশ সরকার উল্লেখ করছে যে শ্রী চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে নির্দিষ্ট অভিযোগে গ্রেফতার করার পর থেকে তার গ্রেফতারকে কিছু মহল ভুলভাবে ব্যাখ্যা করছে। বাংলাদেশ সরকার বলতে চায়, এই ধরনের ভিত্তিহীন বিবৃতি শুধু সত্যকে বিকৃত করে না বরং দুই প্রতিবেশী দেশের মধ্যে বন্ধুত্ব ও বোঝাপড়ার চেতনার পরিপন্থি।
বিবৃতিটি সকল ধর্মের জনগণের মধ্যে বিদ্যমান সম্প্রীতি এবং এই বিষয়ে সরকার ও জনগণের প্রতিশ্রুতি এবং প্রচেষ্টাকে প্রতিফলিত করে না বলে মন্তব্য করেছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
বিবৃতিতে বলা হয়, বাংলাদেশে জনগণের ওপর গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিচারহীনতার যে সংস্কৃতি চলে আসছিল তা সমাপ্ত করার বিষয়ে সরকারের যে দৃঢ়প্রতিজ্ঞা রয়েছে এবং সংখ্যাগুরু ও সংখ্যালঘুদের একই নজরে দেখার যে দৃষ্টিভঙ্গি রয়েছে, ভারতের বিবৃতি সেটি সম্পূর্ণ উপেক্ষা করেছে।
বিবৃতিতে বলা হয়, বাংলাদেশ দৃঢ়ভাবে নিশ্চিত করে যে, প্রত্যেক বাংলাদেশির, তার ধর্মীয় পরিচয় নির্বিশেষে, নিজ নিজ ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠান প্রতিষ্ঠা, বজায় রাখা বা পালন করার বা বাধা ছাড়াই মতামত প্রকাশ করার অধিকার রয়েছে। সকল নাগরিকের, বিশেষ করে ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা বাংলাদেশ সরকারের একটি দায়িত্ব। গত মাসে বাংলাদেশে শান্তিপূর্ণভাবে দুর্গাপূজা পালনের মাধ্যমে এটি আবারও প্রমাণিত হয়েছে।
এতে আরও বলা হয়, বাংলাদেশ সরকার আবারো বলতে চায় যে, দেশের বিচার বিভাগ সম্পূর্ণ স্বাধীন এবং এটি বিচার বিভাগের কাজে হস্তক্ষেপ করে না। প্রশ্নধীন বিষয়টি বর্তমানে আদালতে বিচারাধীন।
বিবৃতিতে বলা হয়, বাংলাদেশ সরকারও দেশে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি সমুন্নত রাখতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। আজ বিকেলে চট্টগ্রামে অ্যাডভোকেট সাইফুল ইসলাম আলিফের নৃশংস হত্যাকাণ্ডে বাংলাদেশ সরকার গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। যেকোনো মূল্যে ধর্মীয় সম্প্রীতি বজায় রাখার জন্য কর্তৃপক্ষ বন্দর নগরীতে নিরাপত্তা জোরদার করেছে।
উল্লেখ্য, চিন্ময় কৃষ্ণ দাশ ব্রহ্মচারীকে চট্টগ্রাম যাওয়ার পথে সোমবার (২৫ নভেম্বর) বিকেলে রাজধানীর শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে গ্রেফতার করে গোয়েন্দা পুলিশ। মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) দুপুরে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন-৬ এর কাজী শরিফুল ইসলামের আদালতে তোলা হলে রাষ্ট্রদ্রোহের মামলায় জামিন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন বিচারক।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আইন-আদালত
আইনজীবী হত্যার ঘটনায় সবাইকে শান্ত থাকার আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার
বন্দরনগরী চট্টগ্রামে আইনজীবী হত্যার নিন্দা জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি হত্যাকাণ্ডের তদন্ত ও যথাযথ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছেন।
মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) রাতে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম এক ফেসবুক পোস্টে এসব তথ্য জানান।
পোস্টে তিনি লিখেছেন, প্রধান উপদেষ্টা জনগণকে শান্ত থাকার এবং অপ্রীতিকর কার্যকলাপে অংশ না নেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলোকে বন্দর নগরীসহ সমস্ত ঝুঁকিপূর্ণ আশপাশের এলাকায় নিরাপত্তা জোরদার করার নির্দেশ দিয়েছেন।
অন্তর্বর্তী সরকার যেকোনো মূল্যে বাংলাদেশে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নিশ্চিত করতে ও সমুন্নত রাখতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ বলেও পোস্টে উল্লেখ করেন প্রেস সচিব।
এরআগে, দুপুরে চট্টগ্রামের আদালতে সনাতন জাগরণ মঞ্চের মুখপাত্র চিন্ময় কৃষ্ণ দাশের মুক্তির দাবিতে বিক্ষোভরত লোকজন আদালত চত্বরে প্রায় তিন ঘণ্টা পুলিশের প্রিজনভ্যান আটকে রাখেন। পরে বিক্ষোভকারীদের সরিয়ে দিতে পুলিশ পদক্ষেপ নেয়। এ সময় ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষের মধ্যে দুষ্কৃতিকারীরা আইনজীবী সাইফুল ইসলামকে কুপিয়ে হত্যা করে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আইন-আদালত
সকল রাষ্ট্রদ্রোহীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে: উপদেষ্টা মাহফুজ
সরকার দ্রুতই সকল রাষ্ট্রদ্রোহী ও সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নিশ্চিত করবে বলে জানিয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা ও অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা মাহফুজ আলম।
মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক প্রোফাইলে এক পোস্টে এসব কথা বলেন তিনি।
পোস্টে মাহফুজ আলম লিখেছেন, গণ-অভ্যুত্থান ও বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষার্থে শান্ত থাকুন। নিরীহ সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠীর সামাজিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করুন। সরকার দ্রুতই সকল রাষ্ট্রদ্রোহী ও সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নিশ্চিত করবে।
এর আগে গতকাল সোমবার এক পোস্টে মাহফুজ বলেছিলেন, অনেক মিত্রই আজ হঠকারীর ভূমিকায়। আমরা আমাদের ব্যর্থতা স্বীকার করি। আমরা শিখছি এবং ব্যর্থতা কাটানোর চেষ্টাও করছি। আমরা আরও চেষ্টা করব সবাইকে নিয়ে এগোনোর। কিন্তু হঠকারিতা এবং ছাত্রদের অন্যায্যতার চেষ্টা জাতিকে ক্ষতিগ্রস্ত করবে।