জাতীয়
ঢাকা-সিলেট রুটে ট্রেন চলাচল শুরু আজ

সিলেট অঞ্চলে বন্যা পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হওয়ায় ঢাকা-সিলেট-ঢাকা রুটে ট্রেন চালানোর ঘোষণা দিয়েছে বাংলাদেশ রেলওয়ে। প্রায় দেড় দিন বন্ধ থাকার পর আজ থেকে এ পথের যাত্রীরা ট্রেনে ভ্রমণ করতে পারবেন।
শুক্রবার (২৩ আগস্ট) মধ্যরাতে বাংলাদেশ রেলওয়ে পরিচালক (জনসংযোগ) মো. নাহিদ হাসান খাঁন গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, ঢাকা থেকে সিলেটের উদ্দেশ্যে আজ শনিবার বেলা ১১টা ১৫ মিনিটে জয়ন্তিকা এক্সপ্রেস প্রথম ছেড়ে যাবে। এছাড়া, কালনী এক্সপ্রেস (৭৭৩), উপবন এক্সপ্রেস (৭৩৯/৭৪০) এবং ১০ নং সুরমা মেইল পরিচালনা করা হবে। রাত থেকেই ওই পথের ট্রেনগুলোর টিকিট অনলাইনে পাওয়া যাচ্ছে।
এর আগে ২১ আগস্ট অতিরিক্ত বৃষ্টিপাত ও খোয়াই নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় শায়েস্তাগঞ্জ-লস্করপুর সেকশনের ২৬০/৯ থেকে ২৬১/১ কিলোমিটার পর্যন্ত ৯৮ নম্বর রেল সেতুর গার্ডার সমান পানি হওয়ায় ট্রেন চলাচল ঝুঁকিপূর্ণ মনে করে বন্ধ রাখা হয়।
কাফি

জাতীয়
বিমান দুর্ঘটনায় হতাহতদের রক্তের প্রয়োজন, সাহায্যে এগিয়ে আসার আহ্বান

উত্তরায় বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর (এফ-৭ বিজিআই) প্রশিক্ষণ বিমানটি মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের একটি ভবনে বিধ্বস্ত হয়েছে। আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, আজ সোমবার বেলা ১টা ৬ মিনিটে বিমানটি উড্ডয়ন করে।
এখন পর্যন্ত নারী শিশুসহ ২৯ জনকে জাতীয় বার্ন ইউনিটে ভর্তি হয়েছে। এই সংখ্যা ক্রমশ বাড়ছে। ইতোমধ্যে, হতাহতদের জন্য প্রচুর রক্ত লাগবে, সেজন্য হাসপাতালের আশেপাশে রক্তদাতাদের প্রস্তুত থাকার আহবান জানানো হয়েছে।
জাতীয় বার্ন ইনস্টিটিউটে এরইমধ্যে অর্ধশতাধিক দগ্ধ মানুষ ভর্তি হয়েছেন বলে জানিয়েছেন হাসপাতালের পরিচালক ডা. নাসির উদ্দিন।
এদিকে, হতাহতদের সাহায্যে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে অনেকেই এগিয়ে আসছেন। শেখ মইনুল খোকন পোস্ট করে লিখেছেন, উত্তরায় দুর্ঘটনায় হতাহত কারো আইসিইউ লাগলে ‘হিউম্যান এইড রিসার্চ ল্যাব এন্ড হাসপাতালের আইইসিইউ’র সকল সেবা বিনা খরচে প্রদান করা হবে।
কেউ কেউ লিখেছেন যেকোন প্রয়োজনে সহায়তায় করতে প্রস্তুত। অনেকেই আবার এই মর্মান্তিক ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করে দোয়া করেছেন।
কাফি
জাতীয়
বিমান বিধ্বস্তে হতাহতের ঘটনায় প্রধান উপদেষ্টার শোক

মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজ ক্যাম্পাসে বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় শোক জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। সোমবার (২১ জুলাই) প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইংয়ের পাঠানো এক শোক বার্তায় বিষয়টি জানানো হয়েছে।
শোক বার্তায় বলা হয়, রাজধানীর দিয়াবাড়ি এলাকায় মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজ ক্যাম্পাসে বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর এফ-৭ বিজেআই প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্তে হতাহতের ঘটনায় আমি গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করছি। এ দুর্ঘটনায় বিমানসেনা ও মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও শিক্ষক-কর্মচারীসহ অন্যান্যদের যে ক্ষতি হয়েছে তা অপূরণীয়। জাতির জন্য এটি একটি গভীর বেদনার ক্ষণ।
প্রধান উপদেষ্টা তার শোক বার্তায় আহতদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করেন ও সংশ্লিষ্ট হাসপাতালসহ সব কর্তৃপক্ষকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে পরিস্থিতি মোকাবিলার নির্দেশ দেন।
সরকার দুর্ঘটনার কারণ অনুসন্ধানে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে এবং সব ধরনের সহায়তা নিশ্চিত করবে বলেও বার্তায় উল্লেখ করেন তিনি।
কাফি
জাতীয়
রাজধানীর উত্তরায় বিমান বিধ্বস্ত

রাজধানীর উত্তরায় একটি প্রশিক্ষণ বিমান দুর্ঘটনার খবর পাওয়া গেছে। সোমবার (২১ জুলাই) দুপুরের দিকে মাইলস্টোন কলেজ এলাকায় বিমানটি বিধ্বস্ত হয়েছে।
ফায়ার সার্ভিসের ডিউটি অফিসার লিমা খানম এ তথ্য নিশ্চিত করে জানান, এটি একটি প্রশিক্ষণ বিমান।
তিনি বলেন, খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের তিনটি ইউনিট ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে। আরও দুটি ইউনিট ঘটনাস্থলের দিকে রওনা হয়েছে।
এদিকে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের পাঠানো (আইএসপিআর) এক ক্ষুদে বার্তায় জানানো হয়েছে, বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর এফ-৭ বিজিআই প্রশিক্ষণ বিমান উত্তরায় বিধ্বস্ত হয়েছে। বিমানটি দুপুর ১টা ৬মিনিটে উড্ডয়ন করেছিল।
এ বিষয়ে ডিএমপির উত্তরা বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মহিদুল ইসলাম বলেন, কিছুক্ষণ আগে শুনতে পেরেছি মাইলস্টোন কলেজ এলাকায় একটি প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্ত হয়েছে। তবে আমি ঘটনাস্থলে যাচ্ছি এবং বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ার চেষ্টা করছি।
জাতীয়
১০ দিনের মধ্যে সব বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে হবে: আলী রীয়াজ

জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহ-সভাপতি অধ্যাপক ড. আলী রিয়াজ বলেছেন, আজসহ আগামী ১০ দিনের মতো সময় আমাদের হাতে আছে। এর মধ্যেই আমাদের সবগুলো সংস্কারের বিষয়ে সিদ্ধান্তে আসতে হবে।
সোমবার (২১ জুলাই) সকালে রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের দ্বিতীয় ধাপের ১৬তম দিনের বৈঠকের শুরুতে স্বাগত বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, সবকিছুর ঊর্ধ্বে আমাদের মুক্তিযুদ্ধ। আমরা মুক্তিযুদ্ধে রক্তক্ষয়ী সংগ্রামের মাধ্যমে একটি স্বাধীন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করতে পেরেছিলাম। তার জন্য লাখ লাখ মানুষকে প্রাণ দিতে হয়েছে। শুধু একদিনের সংগ্রাম, একটি যুদ্ধের মধ্য দিয়েই সেটি হয়নি। দীর্ঘদিনের সংগ্রামের মধ্য দিয়ে আমরা সেই জায়গায় এসেছি, রাষ্ট্র অর্জন করেছি।
আলী রীয়াজ বলেন, পরবর্তী সময় ৫৩ বছর ধরে আমরা গণতন্ত্রের সংগ্রাম করেছি। আমরা চেষ্টা করেছি, একটি গণতান্ত্রিক জবাবদিহিমূলক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার। সেই সংগ্রাম অব্যাহত আছে। তারই এক পর্যায়ে আমরা ভয়াবহ ফ্যাসিবাদের শাসনে নিপতিত হয়েছিলাম। সেখান থেকে সব রকম ভয়ভীতির ঊর্ধ্বে উঠে সবাই মিলে সব মতপার্থক্য ভুলে একটা সংগ্রামের মধ্য দিয়ে আমরা আজকের এই জায়গায় এসেছি।
ঐকমত্য কমিশনের সহ-সভাপতি রাজনৈতিক দলসমূহের নেতাদেরকে মুক্তিযুদ্ধ, অভূতপূর্ব গণঅভ্যুত্থান, রক্তপাত এবং হাজারো প্রাণনাশের কথা বিবেচনায় রেখে সামনে অগ্রসর হওয়ার অনুরোধ জানিয়ে বলেন, সেখান থেকে পেছানোর কোন উপায় নেই। এগুলোকে পাশ কাটিয়ে যাবার কোন উপায় নেই। সেই বিবেচনায় আমরা চাই, আগামী ১০ দিনের মতো সময় আছে। এর মধ্যে একটা ঐকমত্যে আসতে। হয়তো এক-দুইদিন বিশেষ বিবেচনায় বাড়িয়ে নেওয়া যেতে পারে। কিন্তু আজসহ আমাদের হাতে থাকা ১০ দিনের মধ্যে বাকি বিষয়গুলোতে আমাদের সিদ্ধান্তে আসতে হবে।
বৈঠকটি বেলা সাড়ে ১১টার দিকে শুরু হয়। আজকের বৈঠকের আলোচ্য বিষয়, প্রধানমন্ত্রীর একাধিক পদে থাকার বিধান এবং রাষ্ট্র পরিচালনার মূলনীতি।
জাতীয়
রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি পাচ্ছেন মাদ্রাসা শিক্ষার্থীরা

জুলাই অভ্যুত্থানে প্রবল প্রতিরোধ গড়ে তুলেছিলেন মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা। গুলির সামনে বুক পেতে শহীদ হয়েছিলেন তাদের অনেকেই। বিশেষ করে রাজধানীর যাত্রাবাড়ী এলাকার সড়ক মাদ্রাসাশিক্ষার্থীদের রক্তে লাল হয়েছিল।
সেই আত্মত্যাগকে স্মরণে সোমবার (২১ জুলাই) রাষ্ট্রীয়ভাবে পালন হবে ‘মাদ্রাসা রেজিস্ট্যান্স ডে’।
সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়, শিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির আয়োজনে দিবসটি পালন হবে। সে জন্য সমন্বিতভাবে কর্মসূচি ঠিক করা হয়েছে। যাত্রাবাড়ীর ইবনে সিনা হাসপাতালসংলগ্ন রাজপথে অনুষ্ঠান আয়োজনের জোর প্রস্তুতি চলছে।
এই অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে সরকার মাদ্রাসাশিক্ষার্থীদের এই বীরত্বপূর্ণ ভূমিকা প্রথমবারের মতো রাষ্ট্রীয়ভাবে স্বীকৃতি দিতে যাচ্ছে বলে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়।
অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রীয় অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন সরকারের শিক্ষা উপদেষ্টা ড. সি আর আবরার। তিনি ছাড়াও আরও কয়েকজন উপদেষ্টা, সচিব এবং শিল্প, সাহিত্য ও শিক্ষা অঙ্গনের বিশিষ্টজনদের উপস্থিত থাকার কথা রয়েছে।
এ দিন বিকেল ৩টায় আনুষ্ঠানিকভাবে ‘মাদ্রাসা রেজিস্ট্যান্স ডে’-এর কর্মসূচি শুরু হবে। চলবে রাত ১১টা পর্যন্ত। অনুষ্ঠানে থাকবে শহীদ পরিবারের স্মৃতিচারণ, আহতদের অভিজ্ঞতা এবং ২০১৩, ২০২১ ও ২০২৪ সালের ফ্যাসিবাদবিরোধী ছাত্র-আন্দোলনের প্রামাণ্য গল্প।
কবিতা আবৃত্তি, হামদ, নাত ও নাশিদের পাশাপাশি পরিবেশিত হবে দ্রোহের গান। প্রদর্শন হবে দুটি প্রামাণ্য তথ্যচিত্র— ‘ছত্রিশে জুলাই’ ও ‘সাদা জোব্বা, লাল রক্ত’। আরও থাকবে ‘প্রতিরোধ ও পুনর্জাগরণের প্রতীকী উপস্থাপনা’, ড্রোন শো। আর ক্ষণে ক্ষণে জুলাইয়ের সেইসব জ্বালাময়ী স্লোগানে প্রকম্পিত হবে যাত্রাবাড়ীর রাজপথ।