ব্যাংক
বাংলাদেশ ব্যাংকের ৮৫ কর্মকর্তাকে একযোগে বদলি

তিন বছরের বেশি সময় একই বিভাগে দায়িত্ব পালন করছেন এমন ২২ জন অতিরিক্ত পরিচালক (সাবেক উপমহাব্যবস্থাপক) পর্যায়ের কর্মকর্তাকে বদলি করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। একই সঙ্গে ৬৩ জন যুগ্ম-পরিচালকের দপ্তর পরিবর্তন করে দেওয়া হয়েছে। সব মিলিয়ে ৮৫ কর্মকর্তাকে এক সঙ্গে বদলি করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (২০ আগস্ট) কেন্দ্রীয় ব্যাংকের হিউম্যান রিসোর্সেস ডিপার্টমেন্ট-১ পৃথক দুটি অভ্যন্তরীণ চিঠিতে এসব কর্মকর্তাদের বিভিন্ন বিভাগ ও অফিসে বদলি করেছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তারা জানান, এতদিন বদলি নীতিমালা মানা হয়নি। বছরের পর বছর বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারা একই বিভাগে বহাল থাকছেন। একই সঙ্গে দুটি বিভাগেও দায়িত্ব পালন করছেন কোনো কোনো কর্মকর্তা। ফলে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কর্মকর্তাদের মধ্যে এক ধরনের শিথিলতা তৈরি হয়েছে। তবে নতুন গভর্নর এসে তিন বছরের বেশি সময় ধরে যারা একই বিভাগে দায়িত্বে রয়েছেন, তাদের বদলি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। পর্যায়ক্রমে বাকিদেরও বদলি করা হবে।
জানা যায়, ফাইন্যান্সিয়াল সেক্টর সাপোর্ট এন্ড স্ট্র্যাটেজিক প্ল্যানিং ডিপার্টমেন্টের ফিরোজ মাহমুদ ইসলামকে হিউম্যান রিসোর্সেস ডিপার্টমেন্ট-১-এ বদলি করা হয়। ব্যাংকিং প্রবিধি ও নীতি বিভাগের (ডিভিশন-২) রাশিদা খানমকে ফরেক্স রিজার্ভ এন্ড ট্রেজারি ম্যানেজমেন্ট ডিপার্টমেন্টে (ডিভিশন-১), ফরেক্স রিজার্ভ অ্যান্ড ট্রেজারি ম্যানেজমেন্ট ডিপার্টমেন্টের (ডিভিশন-১) কাজী শৈবাল সিদ্দিকীকে ব্যাংকিং প্রবিধি ও নীতি বিভাগ (ডিভিশন-২), অ্যাকাউন্ট অ্যান্ড বাজেটিং ডিপার্টমেন্টের (ডিভিশন-১) মোহাম্মদ আবদুল হাইকে ব্যাংকিং পরিদর্শন বিভাগ-২, ডেট ম্যানেজমেন্ট ডিপার্টমেন্টের আনেয়ার হোসেনকে ফরেক্স রিজার্ভ অ্যান্ড ট্রেজারি ম্যানেজমেন্ট ডিপার্টমেন্টে (ডিভিশন-১) বদলি করা হয়।
বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের সৈয়দ কামরুল ইসলাম, জোবায়দা আফরোজ এবং মো. মাসুদ রানাকে যথাক্রমে ডেট ম্যানেজমেন্ট ডিপার্টমেন্ট, সাসটেইনেবল ফাইন্যান্স ডিপার্টমেন্ট এবং বাংলাদেশ ব্যাংক ট্রেনিং একাডেমিতে বদলি করা হয়।
এ ছাড়া ব্যাংক পরিদর্শন বিভাগ-২ এর মোহাম্মদ আরফান আলীকে অ্যাকাউন্ট অ্যান্ড বাজেটিং ডিপার্টমেন্টে (ডিভিশন-১), কমন সার্ভিসেস ডিপার্টমেন্ট-১ এর মো. তারিকুল ইসলামকে ব্যাংক পরিদর্শন বিভাগ-৭, বাংলাদেশ ব্যাংক ট্রেনিং অ্যাকাডেমির আমাতুর রাব ও তাহমিদা জামানকে যথাক্রমে ফাইন্যান্সিয়াল স্ট্যাবিলিটি ডিপার্টমেন্ট ও ডেট ম্যানেজমেন্ট ডিপার্টমেন্টে, হিউম্যান রিসোর্সেস ডিপার্টমেন্ট-২ এর হাসনে আরা বেগমকে সচিব বিভাগ, পেমেন্ট সিস্টেমস ডিপার্টমেন্টের (ডিভিশন-১) শাহ জিয়া-উল-হককে ফাইন্যান্সিয়াল সেক্টর সাপোর্ট অ্যান্ড স্ট্রাটেজিক প্ল্যানিং ডিপার্টমেন্টে, সাসটেইনেবল ফাইন্যান্স ডিপার্টমেন্টের রাবেয়া খন্দকারকে পেমেন্ট সিস্টেমস ডিপার্টমেন্টে (ডিভিশন-১), সচিব বিভাগের মো. কামরুজ্জামান কল্লোলকে হিউম্যান রিসোর্সেস ডিপার্টমেন্ট-২, হিউম্যান রিসোর্সেস ডিপার্টমেন্ট-২ এর শেখ আহমেদ জামীকে হিউম্যান রিসোর্সেস ডিপার্টমেন্ট-১, হিউম্যান রিসোর্সেস ডিপার্টমেন্ট-২ এর আঞ্জুমান আরা বেগমকে কমন সার্ভিসেস ডিপার্টমেন্ট-১, ব্যাংক পরিদর্শন বিভাগ-৭ এর মোহাম্মদ উল্ল্যাহকে সরঘাট অফিস, ফরেক্স রিজার্ভ অ্যান্ড ট্রেজারি ম্যানেজমেন্ট ডিপার্টমেন্টের (ডিভিশন-১) সৈয়দ গোলাম শাহাজারুল ও ব্যাংক পরিদর্শন বিভাগ-৭ এর মো. রায়হানুল ইসলামকে বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটে বদলি করা হয়। এ ছাড়া মতিঝিল অফিসের রেজিয়া খাতুনকে ডিপোজিট ইন্স্যুরেন্স ডিপার্টমেন্টে বদলি করা হয়।
কেন্দ্রীয় ব্যাংক সূত্র জানায়, ২০০০ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের ২১২তম সভায় বদলি নীতিমালা পর্যালোচনা ও অনুমোদিত হয়। সভায় আন্তবিভাগীয় বদলির ক্ষেত্রে পরিদর্শন বিভাগে পাঁচ বছর ও অন্যান্য বিভাগে তিন বছর বদলি রাখার নীতিমালা অনুমোদিত হয়।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মানবসম্পদ বিভাগ সূত্র বলছে, বর্তমানে অনেকগুলো গুরুত্বপূর্ণ বিভাগের উপমহাব্যবস্থাপক পর্যায়ের কর্মকর্তা তিন বছরের বেশি সময় ধরে একই বিভাগে দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন। তাই তাদের সরানো হচ্ছে।

ব্যাংক
চলমান ঋণের সীমাতিরিক্ত অংশ পরিশোধ ছাড়া নবায়ন নয়: বাংলাদেশ ব্যাংক

এখন থেকে চলমান ঋণের অনুমোদিত সীমার অতিরিক্ত অংশ পরিশোধ না করে অন্য কোনো উপায়ে ওই ঋণ নবায়ন না করতে সব তফসিলি ব্যাংককে নির্দেশনা দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
কেন্দ্রীয় ব্যাংক বুধবার (২৫ জুন) এক সার্কুলারের মাধ্যমে এই নির্দেশনা জারি করেছে।
এ নির্দেশনার মূল লক্ষ্য প্রকৃত পরিশোধ ছাড়াই ঋণ নবায়নের চর্চা বন্ধ করা। এই নির্দেশনা অবিলম্বে কার্যকর হবে এবং দেশের সব ব্যাংকের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য হবে।
সার্কুলারে বলা হয়েছে, অনেক ব্যাংক গ্রাহকদের অনুমোদিত সীমা অতিক্রম করার পরেও তাদের চলমান ঋণ নিয়মিত নবায়ন করে আসছে।
অনেক সময় ব্যাংকগুলো এই বাড়তি অংশ পরিশোধ না করে আলাদা ঋণ সৃষ্টি করছে। এতে চলমান ঋণের এক টাকাও পরিশোধ না করে খেলাপিমুক্ত থাকার সুযোগ পাচ্ছে গ্রাহক।
বাংলাদেশ ব্যাংকের একজন সিনিয়র কর্মকর্তা নাম না প্রকাশের শর্তে বলেন’, চলমান ঋণ পরিশোধ না করে নিয়মিত থাকার সংস্কৃতি শুরু হয়েছে। মূলত ব্যবসায়ী প্রয়োজনে নির্ধারিত সীমার মধ্যে পরিশোধ করবেন, ঋণ নেবেন–-এটা নিয়ম। বছর শেষে পুরো ঋণ সমন্বয় করবেন কিংবা নির্ধারিত সীমার আলোকে পরিশোধ করবেন। তবে বেশিরভাগ ব্যবসায়ী তা না করে বছর শেষে ঋণসীমার অতিরিক্ত অংশটি আলাদা একটি ঋণে রূপান্তর করে পুরোটা নবায়ন করে নিচ্ছেন, কিংবা সীমা বাড়িয়ে নতুন করে অনুমোদন করিয়ে নিচ্ছেন। ফলে কোনো টাকা পরিশোধ করা ছাড়াই ঋণটি নিয়মিত থাকছে।’
নতুন নির্দেশনায় বলা হয়েছে, চলমান ঋণ বিদ্যমান মেয়াদের মধ্যে নবায়ন করতে হবে। তবে ঋণের সীমাতিরিক্ত অংশ সমন্বয় ছাড়া নবায়ন করা যাবে না। চলমান ঋণের সীমাতিরিক্ত অংশ মূল ঋণ থেকে আলাদা করে নতুন ঋণ সৃষ্টি বা অন্য কোনো ঋণ হিসাবে স্থানান্তর করা যাবে না। সীমাতিরিক্ত অংশ পরিশোধ করতে হবে।
ব্যাংক
এমটিবির পরিচালনা পর্ষদে তপন চৌধুরী, নাসিম মঞ্জুর ও জারিন মাহমুদ

দেশের শীর্ষস্থানীয় শিল্পপতি তপন চৌধুরী ও সৈয়দ নাসিম মঞ্জুর মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক (এমটিবি) পিএলসির পরিচালক হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন। এছাড়া, স্বতন্ত্র পরিচালক হিসেবে বোর্ডে যোগ দিয়েছেন জারিন মাহমুদ হোসেন।
সোমবার (২৩ জুন) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানিয়েছে এমটিবি।
তপন চৌধুরী আস্ট্রাজ লিমিটেডের প্রতিনিধি হিসেবে বোর্ডে আসছেন। তিনি স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালসে কর্মজীবন শুরু করে ১৯৯৫ সালে প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক নিযুক্ত হন। বর্তমানে তিনি স্কয়ার টেক্সটাইলসের চেয়ারম্যান। তিনি তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন এবং এমসিসিআই, বিটিএমএ, বিএপিএলসি ও ওয়াইএমসিএ’র সভাপতির দায়িত্বে ছিলেন।
সৈয়দ নাসিম মঞ্জুর এপেক্স ফুটওয়্যারের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং ল্যান্ডমার্ক ফুটওয়্যারের চেয়ারম্যান। তিনি এপেক্স ট্যানারি, এপেক্স ফার্মা ও ব্লু ওশান ফুটওয়্যারের পরিচালক এবং এলএফএমইএবির বর্তমান সভাপতি। পেনসিলভানিয়ার ওয়ারটন স্কুল থেকে অর্থনীতিতে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন তিনি।
জারিন মাহমুদ হোসেন স্নেহাশীষ মাহমুদ অ্যান্ড কোম্পানির প্রতিষ্ঠাতা অংশীদার এবং হারস্টোরি ফাউন্ডেশন ও চল পড়ির প্রতিষ্ঠাতা। নিউইয়র্কে কেপিএমজি এলএলপিতে কর্মরত অবস্থায় সিপিএ সার্টিফিকেশন অর্জন করেন তিনি। স্মিথ কলেজ থেকে বিএ এবং নিউইয়র্ক ইউনিভার্সিটি থেকে এমপিএ ডিগ্রি অর্জনের পাশাপাশি তিনি আইসিএবি’র একজন ফেলো সদস্য।
ব্যাংক
ইসলামী ব্যাংকের সাবেক এমডি মনিরুল মাওলা গ্রেফতার

ইসলামী ব্যাংকের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মুহাম্মদ মনিরুল মাওলাকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।
রবিবার (২২ জুন) দিনগত রাত সোয়া ১২টার দিকে রাজধানীর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় তার নিজ বাসা থেকে গ্রেফতার করা হয়। পরে তাকে মিন্টো রোডে ডিবি কার্যালয়ে নেওয়া হয়েছে।
রাতে গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ডিবির যুগ্ম-পুলিশ কমিশনার (দক্ষিণ) মোহাম্মদ নাসিরুল ইসলাম।
তিনি বলেন, মুহাম্মদ মনিরুল মাওলার বিরুদ্ধে দুদকের মামলা রয়েছে। সেই মামলায় রাত সোয়া ১২টার দিকে বসুন্ধরায় তার নিজ বাসা থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গ্রেফতারের পর তাকে ডিবি হেফাজতে রাখা হয়েছে। পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন৷
গত বছরের ১৯ ডিসেম্বর অফিস ছেড়ে পদত্যাগপত্র ই-মেইল যোগে পাঠান মুহাম্মদ মনিরুল মওলা।
জানা গেছে, জালিয়াতির মাধ্যমে ইসলামী ব্যাংক থেকে ১ হাজার ৯২ কোটি ৪৬ লাখ টাকা ঋণ নিয়ে আত্মসাতের অভিযোগে ইসলামী ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান ও বিতর্কিত ব্যবসায়ী এস আলম, ব্যাংকটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক সিইও ও এমডি মনিরুল মাওলাসহ ৫৮ জনের বিরুদ্ধে মামলা করে দুদক।
কর্পোরেট সংবাদ
এবিবি’র নতুন চেয়ারম্যান মাসরুর আরেফিন, ভাইস চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আলী

দেশের শীর্ষ ব্যাংকারদের সংগঠন অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স বাংলাদেশের (এবিবি) নতুন চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন সিটি ব্যাংক পিএলসির ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মাসরুর আরেফিন। এছাড়া, সংগঠন ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন পূবালী ব্যাংক পিএলসির ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও মোহাম্মদ আলী।
সম্প্রতি এবিবির বোর্ড অব গভর্নরসের এক সভায় তাদের নির্বাচিত করা হয়।
নতুন চেয়ারম্যান মাসরুর আরেফিন এবিবির আগামী বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) পর্যন্ত অন্তর্বর্তীকালীন সময়ে এই দায়িত্ব পালন করবেন। এবিবির চেয়ারম্যান সেলিম আর এফ হুসেইন সম্প্রতি ব্র্যাক ব্যাংক পিএলসির এমডি ও সিইও পদ থেকে পদত্যাগ করার প্রেক্ষিতে এই সংগঠনের চেয়ারম্যান পদটি শূন্য হয় এবং নতুন চেয়ারম্যান নির্বাচনের প্রয়োজনীয়তা দেখা দেয়।
একই সভায় পূবালী ব্যাংক পিএলসি-র ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও মোহাম্মদ আলী এবিবির নতুন ভাইস চেয়ারম্যান হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন। উল্লেখ্য, ডাচ বাংলা ব্যাংক পিএলসি-র ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও আবুল কাশেম মো. শিরীন এবিবির ভাইস চেয়ারম্যান হিসেবে তাঁর আগের দায়িত্ব পালন করে যাবেন।
মাসরুর আরেফিন ১৯৯৫ সালে এএনজেড গ্রিন্ডলেজ ব্যাংকে ম্যানেজমেন্ট ট্রেইনি হিসেবে তাঁর ব্যাংকিং ক্যারিয়ার শুরু করেন। ৩০ বছরের পেশাগত জীবনে তিনি স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংক কাতার, এএনজেড ব্যাংকের মেলবোর্ন হেড অফিস, আমেরিকান এক্সপ্রেস ব্যাংক ও সিটি ব্যাংক এন.এ.-সহ অন্যান্য ব্যাংকে কাজ করেন। গত ছয় বছর ধরে তিনি সিটি ব্যাংক পিএলসি-র সিইও হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। এবিবিতে প্রায় চার বছর ভাইস চেয়ারম্যান হিসেবে কাজ করার পর এবার তিনি সংগঠনটির নেতৃত্বে এলেন। ব্যাংকার পরিচয়ের বাইরে তিনি একজন লেখক ও অনুবাদক হিসেবেও সুপরিচিত।
মোহাম্মদ আলী ২০০৮ সালে পূবালী ব্যাংক পিএলসি-র চিফ টেকনোলজি অফিসার হিসেবে যোগ দেন। এরপর ২০১৬ সালে তিনি ব্যাংকটির ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর এবং ২০২০ সালে অ্যাডিশনাল ম্যানেজিং ডিরেক্টর এবং পরে ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও পদে উন্নীত হন। এই ব্যাংকে তাঁর দীর্ঘ কর্মজীবনে তিনি চিফ অপারেটিং অফিসার, চিফ অ্যান্টি মানিলন্ডারিং অফিসার, চিফ রিস্ক অফিসার এবং ক্রেডিট কমিটির চেয়ারম্যান হিসেবেও কাজ করেছেন। তাঁর নেতৃত্বে পূবালী ব্যাংক পিএলসি মুনাফা ও সুনামের দিক থেকে অনন্য উচ্চতায় পৌঁছেছে। এবিবি-তে নতুন ভাইস চেয়ারম্যান হিসেবে নির্বাচিত হওয়ার আগে তিনি সংগঠনটির গভর্নিং বডির একজন সক্রিয় সদস্য হিসেবে গত কয়েক বছর ধরে কাজ করছিলেন।
এসএম
ব্যাংক
আর্থিক খাত সংস্কার হলে অর্থনীতিতে ইতিবাচক পরিবর্তন আসবে: এনআরবি ব্যাংক এমডি

বাংলাদেশের আর্থিক খাতের বর্তমান পরিস্থিতি ও সংস্কার নিয়ে অনলাইন বিজনেস নিউজ পোর্টাল অর্থসংবাদ-এর সাথে কথা বলেছেন বেসরকারি এনআরবি ব্যাংক পিএলসির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) তারেক রিয়াজ খান। তিনি এনআরবি ব্যাংকের বর্তমান ও ভবিষ্যত পরিকল্পনা নিয়েও আলোচনা করেন।
অর্থসংবাদ: আর্থিকখাত সংস্কার হলে কতটা টেকসই হবে?
তারেক রিয়াজ খান: এটা একটি দীর্ঘমেয়াদি প্রক্রিয়া। তবে আমরা আশাবাদী বাংলাদেশের ব্যাংকিং সেক্টরের পুনর্গঠন ও সংস্কার উদ্যোগ সফল হবে এবং দেশের অর্থনীতিতে ইতিবাচক পরিবর্তন আসবে।
অর্থসংবাদ: দেশের ব্যাংকিং সেক্টরের দুর্বলতার মূল কারণ কী?
তারেক রিয়াজ খান: বাংলাদেশের ব্যাংকিং সেক্টরে গত ১৬-১৭ বছর ধরে যা ঘটেছে, তা দেশটির অর্থনৈতিক উন্নতির জন্য বিপজ্জনক হয়ে দাঁড়িয়েছে। অতীতে ব্যাংকিং সেক্টরে ম্যানেজমেন্টের অব্যবস্থাপনা, দুর্নীতি, অপ্রত্যাশিত লোন প্রোভিশন ও অবৈধ কার্যক্রম লক্ষ্য করা গেছে, যা দেশের অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতার উপর বিশাল প্রভাব ফেলেছে। তবে, সরকারের উদ্যোগে এ সেক্টর সংস্কারের পথচলা শুরু হয়েছে এবং ব্যাংকিং ইন্ডাস্ট্রির সুশাসন এবং স্বচ্ছতার দিকে দৃঢ় পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে।
অর্থসংবাদ: রেগুলেটরি দুর্বলতায় অর্থ পাচার বাড়ে কি-না, এটাকে আপনি কিভাবে দেখেন?
তারেক রিয়াজ খান: আমাদের এজেন্ডা হচ্ছে সঠিকভাবে ডিপোজিট মবিলাইজেশন করা, ব্যাংকের জন্য লিকুইডিটি বৃদ্ধি করা এবং দেশে সুশীল অর্থনীতির উন্নয়নে অবদান রাখা। কিন্তু যখনই ব্যাংকিং সেক্টরের রেগুলেটরি ডিটেকটিভ ও রিস্ক ম্যানেজমেন্ট পলিসি নিয়ে বিশৃঙ্খলা হয়, তখনই ঘটতে পারে অপ্রত্যাশিত ও অবৈধ লেন্ডিং, যা আর্থিক খাতে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে। এতে অর্থ পাচার, মানিলন্ডারিং এবং অবৈধ কার্যক্রম বাড়ে, যা দেশের উন্নয়ন ও ব্যাংকিং সেক্টরের সুস্থতা ক্ষতিগ্রস্ত করে।
অর্থসংবাদ: গভার্নেন্স শক্তিশালী হলে ব্যাংকিং সেক্টরে কী পরিবর্তন আসবে?
তারেক রিয়াজ খান: বর্তমান ব্যাংকিং সংস্কার উদ্যোগে ব্যাংকগুলোর গভার্নেন্সকে শক্তিশালী করা হচ্ছে, যাতে স্বচ্ছতা, ট্রান্সপারেন্সি এবং সঠিক রেগুলেটরি ম্যানেজমেন্ট নিশ্চিত করা যায়। বিশেষভাবে, ব্যাংকিং সেক্টরের বোর্ড রিকনস্টিটিউশন এবং গভর্নমেন্টের সাপোর্টের মাধ্যমে এটি করা হচ্ছে। এর পাশাপাশি, গ্রামীণ গৃহঋণ ও এসএমই ফাইন্যান্সিংয়ের মাধ্যমে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ও কর্মসংস্থান সৃষ্টি করা হচ্ছে।
অর্থসংবাদ: আগামী দুই বছরে এনআরবি ব্যাংক কোন পর্যায়ে থাকবে?
তারেক রিয়াজ খান: আমি ব্যাংকিং সেক্টরের পুনর্গঠনে জোর দেওয়া এবং আমাদের ব্যাংকের ক্ষেত্রে গ্রামীণ গৃহঋণসহ এসএমই সেক্টরে আরও বেশি ফোকাস করা হচ্ছে। যার মাধ্যমে দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে অর্থনৈতিক উন্নয়ন আনা সম্ভব হবে। এ ছাড়া, ডিজিটাল ব্যাংকিং ও ন্যানো লোনিংয়ের মাধ্যমে সেবা পৌঁছানো হচ্ছে গ্রাহকদের কাছে।