পুঁজিবাজার
ডিএসই-সিএসইর সব স্বতন্ত্র পরিচালককে পদত্যাগের নির্দেশ বিএসইসির

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) এবং চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সকল স্বতন্ত্র পরিচালকদের বোর্ড থেকে পদত্যাগ করার নির্দেশ দিয়েছে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)।
বিএসইসির একটি সূত্র গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
সূত্র জানায়, যত তাড়াতাড়ি সম্ভব, সিএসইর চেয়ারম্যানসহ সকল স্বতন্ত্র পরিচালককে এবং ডিএসইর সমস্ত স্বতন্ত্র পরিচালককে পদত্যাগ করার জন্য মৌখিকভাবে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পরিচালকদের পদত্যাগপত্র পাওয়ার পর বিএসইসি এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে।
জানা গেছে, আজ মঙ্গলবার সন্ধ্যায় দুই স্টক এক্সচেঞ্জের এমডিদের বিএসইসির পক্ষ থেকে স্বতন্ত্র সব পরিচালককে পদত্যাগের বিষয়ে মৌখিকভাবে নির্দেশনা দেওয়া হয়। বিএসইসির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, যদি মৌখিক নির্দেশনায় এসব পরিচালক স্বেচ্ছায় পদত্যাগ না করেন, তাহলে তাঁদের অপসারণের বিষয়ে উদ্যোগ নেবে নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি। যেহেতু স্টক এক্সচেঞ্জের স্বতন্ত্র পরিচালকেরা সমাজের সম্মানিত ব্যক্তি, তাই বিএসইসি শুরুতে তাঁদের অপসারণ না করে স্বেচ্ছায় পদত্যাগের সুযোগ দিতে এই নির্দেশনা দেয়।
ডিএসইর চেয়ারম্যানসহ পরিচালনা পর্ষদে মোট স্বতন্ত্র পরিচালক সাতজন। এই সাতজনের মধ্যে সংস্থাটির চেয়ারম্যান হাফিজ মো. হাসান বাবু গত রোববার রাতে পদত্যাগ করেছেন। তাঁর পদত্যাগের পর বর্তমানে ডিএসইতে স্বতন্ত্র পরিচালক রয়েছেন ছয়জন। এই ছয় পরিচালক হলেন সেনা কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এম ইমরান হামিদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ, ট্যারিফ কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান আফজাল হোসেন, ওরাকলের বাংলাদেশ, নেপাল ও ভুটানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক রুবাবা দৌলা, সাবেক ব্যাংকার শাহেদুল ইসলাম ও মানবাধিকার কমিশনের সদস্য কাউসার আহমেদ।
এ ছাড়া সিএসইতেও স্বতন্ত্র পরিচালক রয়েছেন মোট সাতজন। তাঁরা হলেন ব্যবসায়ী আসিফ ইব্রাহীম, সাবেক ব্যাংকার আবদুল হালিম চৌধুরী, তথ্যপ্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ কাশহিফ রেজা চৌধুরী, সাংবাদিক নেতা মনজুরুল আহসান বুলবুল, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ইশতার মহল, সংগীতশিল্পী মোহাম্মদ নকিব উদ্দিন খান ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসার প্রশাসন ইনস্টিটিউটের (আইবিএ) অধ্যাপক রেজওয়ানুল হক খান।
এছাড়া, ডিএসইর স্বতন্ত্র পরিচালক আবদুল্লাহ আল মাহমুদের শেয়ার লেনদেন খতিয়ে দেখতে আজ একটি তদন্ত কমিটিও গঠন করেছে বিএসইসি। তদন্ত কমিটিকে ১৫ কার্যদিবসের মধ্যে কমিশনে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।
এসএম

পুঁজিবাজার
ফের সূচকের পতন, কমেছে ২ শতাধিক কোম্পানির দর

সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসে দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সব মূল্যসূচকের নেতিবাচক প্রবণতায় লেনদেন শেষ হয়েছে। এদিন লেনদেনে অংশ নেওয়া কোম্পানিগুলোর মধ্যে ২০৫ শেয়ারের দরপতন হয়েছে। একই সঙ্গে টাকা অংকে কমেছে লেনদেনের পরিমাণ।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সূত্র মতে, সোমবার (৩০ জুন) ডিএসইর প্রধান সূচক ‘ডিএসইএক্স’ ১ দশমিক ৩৮ পয়েন্ট কমেছে। বর্তমানে সূচকটি অবস্থান করছে ৪ হাজার ৮৩৮ পয়েন্টে।
এছাড়া, ডিএসইর অপর সূচক ‘ডিএসইএস’ দশমিক ৭১ পয়েন্ট কমে ১০৬০ পয়েন্ট এবং ‘ডিএস-৩০’ সূচক দশমিক ৫৪ পয়েন্ট কমে ১৮১৫ পয়েন্টে অবস্থান করছে।
আজ ডিএসইতে ৪৬৪ কোটি ৫৩ লাখ ৬৩ হাজার টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয়েছে ৪৯৪ কোটি ৩৪ লাখ ৫৩ হাজার টাকা।
এদিন ডিএসইতে মোট ৪০০টি কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিট হাতবদল হয়েছে। লেনদেনে অংশ নেওয়া প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে দর বেড়েছে ১৩০টি কোম্পানির, বিপরীতে ২০৫ কোম্পানির দর কমেছে। পাশাপাশি ৬৫টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দর অপরিবর্তিত রয়েছে।
কাফি
পুঁজিবাজার
স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংকের উদ্যোক্তা পরিচালকের শেয়ার ক্রয়

পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ব্যাংক খাতের প্রতিষ্ঠান স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংক পিএলসির এক উদ্যোক্তা পরিচালক শেয়ার ক্রয় সম্পন্ন করেছেন। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সূত্র মতে, স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংক পিএলসির উদ্যোক্তা পরিচালক ফেরদৌস আলী খান ২ লাখ শেয়ার ক্রয় করেছন।
পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী তিনি ডিএসইর পাবলিক মার্কেটের মাধ্যমে ঘোষিত এই শেয়ার ক্রয় সম্পন্ন করেছেন।
কাফি
পুঁজিবাজার
দুই কোম্পানির লভ্যাংশ বিতরণ

পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত দুই কোম্পানি গত ৩১ ডিসেম্বর, ২০২৪ সমাপ্ত হিসাববছরে জন্য ঘোষিত লভ্যাংশ বিনিয়োগকারীদের কাছে পাঠিয়েছে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
কোম্পানিগুলো হলো- ডিবিএইচ ফাইন্যান্স পিএলসি এবং প্যারামাউন্ট ইন্স্যুরেন্স পিএলসি।
সূত্র মতে, কোম্পানিগুলো সমাপ্ত হিসাববছরের নগদ লভ্যাংশ বিইএফটিএন সিস্টেমস ও বোনাস লভ্যাংশ বিও হিসাবের মাধ্যমে বিনিয়োগকারীদের কাছে পাঠিয়েছে।
গত ৩১ ডিসেম্বর,২০২৪ সমাপ্ত হিসাববছরের জন্য প্যারামাউন্ট ইন্স্যুরেন্স ১০ শতাংশ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছিল। এছাড়া, ডিবিএইচ ফাইন্যান্স ১৭ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছিল। এর মধ্যে ১৫ শতাংশ নগদ ২ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ।
কাফি
পুঁজিবাজার
লভ্যাংশ সংক্রান্ত তথ্য জানালো এফএএস ফাইন্যান্স

পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত প্রতিষ্ঠান এফএএস ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেডের গত ৩১ ডিসেম্বর, ২০২৪ তারিখে সমাপ্ত হিসাববছরের জন্য লভ্যাংশ সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেছে। আলোচিত বছরের জন্য কোম্পানিটি শেয়ারহোল্ডারদের কোন লভ্যাংশ দেবে না।
রোববার (২৯ জুন) অনুষ্ঠিত কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদের বৈঠকে সর্বশেষ হিসাববছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা ও অনুমোদনের পর লভ্যাংশের এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। ডিএসই সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।
সূত্র মতে, সমাপ্ত বছরের আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা শেষে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি লোকসান হয়েছে ২১ টাকা ৩৭ পয়সা। এ সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি সম্পদ মূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ঋণাত্বক ১২৫ টাকা ৫৫ পয়সায়।
কোম্পানিটির বার্ষিক সাধারণ সভার (এজিএম) তারিখ পরে বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জানানো হবে। হাইব্রিড প্ল্যাটফরমের মাধ্যমে এ সভা অনুষ্ঠিত হবে । এর জন্য রেকর্ড তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে ১০ আগস্ট।
কাফি
পুঁজিবাজার
পুঁজিবাজার ঘুরে দাঁড়াবে সাংবাদিকদের ইতিবাচক লেখনির মাধ্যমেই: ডিবিএ প্রেসিডেন্ট

গত ১৫ বছরে পুঁজিবাজারে যত অনিয়ম ঘটেছে, তা সাহসিকতার সঙ্গে গণমাধ্যমে তুলে ধরেছেন ক্যাপিটাল মার্কেট জার্নালিস্ট ফোরামের (সিএমজেএফ) সদস্য সাংবাদিকরা। তারা সব সময়ই বাজারের মঙ্গল কামনা করেছেন বলে মন্তব্য করেছেন ডিএসই ব্রোকার্স অ্যাসোসিয়েশন (ডিবিএ) প্রেসিডেন্ট সাইফুল ইসলাম। তিনি বলেন, অনেকেই জানতে চান-মার্কেট কবে ঘুরে দাঁড়াবে? আমি মনে করি, বাজার ঘুরে দাঁড়াবে সাংবাদিকদের ইতিবাচক লেখনির মাধ্যমেই।
সোমবার (৩০ জুন) রাজধানীর পল্টনে সিএমজেএফের অডিটোরিয়ামে সিএমজেএফ আয়োজিত ‘ফল উৎসব ২০২৫’-এ তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, “আমরা আমাদের মতো করে চেষ্টা করছি। তবে বাজার ঘুরে দাঁড়ানোর জন্য বিনিয়োগকারীদের আস্থা ও বিশ্বাস সবচেয়ে জরুরি। সেই আস্থা ফিরিয়ে আনতে পারে দায়িত্বশীল সাংবাদিকতা-ইতিবাচক, তথ্যভিত্তিক সংবাদই পারে বিনিয়োগকারীদের আশাবাদী করে তুলতে।”
সাইফুল ইসলাম বলেন, “সাম্প্রতিক সময়ে, বিশেষ করে গত নয় মাস ধরে সিএমজেএফ ডিবিএকে সব সময় সহযোগিতা করে আসছে। বাজারের স্বার্থে আমরা এক ও অভিন্ন। আমাদের মধ্যে রয়েছে আত্মিক সম্পর্ক।”
ডিবিএ সভাপতি বলেন, “বাজারসংশ্লিষ্ট কোনো বিষয় নিয়ে রেগুলেটরের কাছে যাওয়ার আগে আমরা সিএমজেএফের নেতৃত্বের সঙ্গে আলোচনা করি। কারণ, সাংবাদিকদের বাজার বিষয়ে ভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গি ও বিশ্লেষণ বাজারের জন্য ইতিবাচক দিকনির্দেশনা দিতে পারে। আমি বিশ্বাস করি, সিএমজেএফ ও ডিবিএ—দুই সংগঠনই পুঁজিবাজারের কল্যাণে কাজ করছে।”
দেশীয় ফলের এ উৎসবকে সময়োপযোগী ও প্রাণবন্ত উদ্যোগ হিসেবে আখ্যায়িত করে সাইফুল ইসলাম বলেন, “ফল উৎসব যেমন আমাদের আনন্দ দেয়, তেমনি বাজারে ভালো শেয়ার এলে বিনিয়োগকারীরাও ভালো ফল পাবেন। তবে সব সময় যদি দুর্বল কোম্পানি বাজারে আসে, তাহলে কখনোই বাজার থেকে কাঙ্ক্ষিত ফলাফল পাওয়া যাবে না।”
তিনি আগামী বছর ফল উৎসবের সঙ্গে রসমালাই উৎসবের আয়োজনের প্রতিশ্রুতিও দেন।
অনুষ্ঠানের এক পর্যায়ে সাইফুল ইসলাম হালকা হাস্যরসের ছলে বলেন, “পেরাভান্ডার, মাতৃভাণ্ডার, শীতল ভাণ্ডার-এসব জায়গার কোনো শাখা নেই, মালিক নিজে দাঁড়িয়ে ব্যবসা করে। তেমনি আমাদের বাজারেও দায়বদ্ধতা ও উপস্থিতির গুরুত্ব অপরিসীম।”
মিনহাজ মান্নান ইমন বলেন, “শুধু ফল উৎসব নয়, আরও যতো উৎসব আছে তা পালন করা দরকার। একটা উপলক্ষ কেন্দ্র করে সবাই একসাথে হওয়া যায়। যা অত্যন্ত আনন্দের।”
তিনি বলেন, “গত ১৫ বছর ধরে সাংবাদিকরা ক্যাপিটাল মার্কেট নিয়ে অনেক অনুসন্ধানী রিপোর্ট করেছেন; যা অত্যন্ত সাহসিকতার সাক্ষর রেখেছে। আইপিও সংক্রান্ত অনিয়মসহ বিভিন্ন অনাচারের খবর তারাই তুলে এনেছেন।”
বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) সহকারী পরিচালক মোহাইমিনুল ইসলাম বলেন, পারস্পরিক সম্পর্ক উন্নয়নের জন্য এ ধরনের আয়োজন খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আয়োজনের জন্য তিনি সিএমজেএফকে ধন্যবাদ জানান।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সিএমজেএফ সভাপতি গোলাম সামদানী ভূইয়া, সঞ্চালনায় ছিলেন সাধারণ সম্পাদক আবু আলী। এছাড়া উপস্থিত ছিলেন ডিএসই পরিচালক ও বিএলআই সিকিউরিটিজের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মিনহাজ মান্নান ইমন, ডিএসইর সাবেক পরিচালক আনোয়ার হোসেন, ডিবিএর সহ- সভাপতি সাইফুদ্দিন আহমেদ, পরিচালক দিদার গনি প্রমুখ।
কাফি