বীমা
বিমাখাতের সমস্যা নিরসনে একযোগে কাজ করবে আইডিআরএ-বিআইএ
বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সঙ্গে সামনের দিনগুলোতে সম্ভাবনাময় বিমা খাতের সমস্যাসমূহ নিরসনের জন্য একযোগে কাজ করবে বিমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ (আইডিআরএ) ও বাংলাদেশ ইন্স্যুরেন্স এসোসিয়েশন (বিআইএ)।
মঙ্গলবার (২০ আগস্ট) বিমা সেক্টরের চলমান অবস্থা নিয়ে আইডিআরএ চেয়ারম্যান ও সদস্যবৃন্দের সঙ্গে বিআইএ নির্বাহী কমিটির সদস্যবৃন্দের এক মতবিনিময় সভায় দুই প্রতিষ্ঠান একযোগে কাজ করবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করা হয়। বিআইএ’র এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সম্প্রতি একটি লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানির কতিপয় মাঠ কর্মী আইডিআরএর অফিসের সামনে অবস্থান কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে সরকারী অফিসের স্বাভাবিক কর্মপরিবেশ বিনষ্ট ও বিমা খাতকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা চালাচ্ছে। যা আদৌ কাম্য নয়। বিআইএ এ ধরনের কর্মসূচি থেকে বিরত থাকার জন্য মাঠ কর্মীদেরকে আহ্বান জানায়। এ ক্ষেত্রে লক্ষ্যনীয় বিষয় উক্ত অবস্থান কর্মসূচিতে সকল লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানির নাম উল্লেখ করা হলেও শুধুমাত্র একটি লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানির পরিচয় পাওয়া যাচ্ছে। এতে প্রতীয়মান হয় যে, উদ্দেশ্য প্রণোদিত হয়ে সকল ইন্স্যুরেন্স কোম্পানির নাম ব্যবহার করায় বিআইএ তীব্র নিন্দা এবং ভবিষ্যতে এ ধরনের কর্মকান্ড থেকে বিরত থাকার জন্য সংশ্লিষ্টদের আহ্বান জানাচ্ছে।
উল্লেখ্য, সকল বীমা কোম্পানী বীমা আইন ও দেশের প্রচলিত আইন/বিধি দ্বারা পরিচালিত হয়। কেউ আইনের দ্বারা বিক্ষুদ্ধ হলে আইনেই তার প্রতিকার পাওয়ার ব্যবস্থা রয়েছে। এ প্রসঙ্গে লক্ষ্য করা যাচ্ছে যে, আইডিআরএর চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে উক্ত কর্মসূচিতে নানারূপ অশোভন কটুক্তি সম্বলিত প্লাকার্ড প্রদর্শন এবং অশ্রাব্য ও অশ্লীল স্লোগান প্রদান করা হয়েছে যা বিআইএর দৃষ্টিগোচর হয়েছে যা আদৌ গ্রহনযোগ্য নয়।
এতে আরও বলা হয়, বিআইএ দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করে যে, আইডিআরএর চেয়ারম্যান একজন সৎ, দক্ষ এবং অভিজ্ঞ কর্মকর্তা। আইডিআরএর চেয়ারম্যানের অভিজ্ঞতা ও দক্ষতা বীমা সেক্টরের উন্নয়নের জন্য অত্যন্ত প্রয়োজন।
সভার শুরুতে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে শহীদদের আত্মার মাগফেরাত ও আহতদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করা হয়।
মতবিনিময় সভায় নাসির উদ্দিন আহমেদ (পাভেল), প্রথম ভাইস-প্রেসিডেন্ট, বিআইএ, এ কে এম মনিরুল হক, ভাইস-প্রেসিডেন্ট, বিআইএ ও নির্বাহী কমিটির সদস্য আবদুল্লাহ আল মাহমুদ মাহিন, হোসেন আখতার, বি এম ইউসুফ আলী, মিজ ফারজানা চৌধুরী, মো. জালালুল আজিম, মো. ইমাম শাহীন, কাজিম উদ্দিন এবং মো. গোলাম কিবরিয়া উপস্থিত ছিলেন।
এসএম
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
এক ফোনেই আইডিআরএর ৪ সদস্যের পদত্যাগ!
অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের নতুন সচিব নাজমা মোবারেকের এক ফোনেই আইডিআরএর ৪ সদস্য পদত্যাগ করেছেন। তবে এদের কারও মেয়াদই স্বাভাবিকভাবে শেষ হয়নি। দুজনের চুক্তির মেয়াদ শেষ হওয়ার কথা আরও সাত মাস পর। একজনের চুক্তি শেষ হতে বাকি ছিল দেড় বছর। আরেকজন যোগই দিলেন চলতি পঞ্জিকাবর্ষের জানুয়ারিতে, যাঁর মেয়াদ শেষ হওয়ার কথা ছিল ২০২৭ সালে। মেয়াদের আগেই তাঁরা আজ পদত্যাগ করেছেন।
এই চারজন হলেন বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের (আইডিআরএ) চার সদস্য বিশ্বজিৎ ভট্টাচার্য, মো. দলিল উদ্দিন, মো. নজরুল ইসলাম ও কামরুল হাসান। অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের নতুন সচিব নাজমা মোবারেকের এক ফোনেই তাঁদের চাকরি শেষ। আজ বিকেল চারটায় তাঁরা পদত্যাগ করেছেন।
আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগে আড়াই মাস সচিব ছিলেন না। ফাঁকা ছিল এই পদ। দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন অতিরিক্ত সচিব অমল কৃষ্ণ মণ্ডল। মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব থেকে নাজমা মোবারেককে আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব পদে গত ৩০ অক্টোবর বদলির প্রজ্ঞাপন জারি করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। সেদিন ছিল বুধবার।
আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সূত্রগুলো জানায়, পরদিন বৃহস্পতিবার যোগ দিয়েই নাজমা মোবারেক আগের মন্ত্রণালয়ে বিদায় সংবর্ধনা নিতে যান। ২ নভেম্বর থেকে তিনি মূলত আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগে সচিব হিসেবে নিয়মিত অফিস শুরু করেন।
এর তিন দিনের মাথায় গতকাল বুধবার তিনি নিজেই একে একে ফোন করেন আইডিআরএর চার সদস্যকে। ফোনে তিনি সরকারের সিদ্ধান্তের কথা জানিয়ে তাঁদের পদত্যাগ করতে বলেন। এমন কথাও বলেন, ‘যত দ্রুত সম্ভব।’ সেই ফোনের এক দিনের মাথায় আজ আইডিআরএ চেয়ারম্যানের কাছে তাঁরা পদত্যাগপত্র জমা দেন।
যোগাযোগ করলে সচিব নাজমা মোবারেক বলেন, আইডিআরএর চার সদস্যকে পদত্যাগ করতে গতকাল পরামর্শ দেওয়া হয়েছিল। আজ তাঁদের পদত্যাগ করার কথা।
আইডিআরএ হচ্ছে বিমা খাতের নিয়ন্ত্রক সংস্থা; এই সংস্থার বর্তমান চেয়ারম্যান সাবেক সচিব এম আসলাম আলম। আসলাম আলমকে সংস্থাটির চেয়ারম্যান পদে সরকার নিয়োগ দিয়েছে দুই মাস আগে, অর্থাৎ গত ৯ সেপ্টেম্বর। যোগ দেওয়ার পর থেকে তিনি প্রায় দেড় মাস অসুস্থতাজনিত ছুটিতে ছিলেন।
ফোন করে পদত্যাগ করানোর উদাহরণ আইডিআরএতে আগেও ছিল। যেমন গত ৬ সেপ্টেম্বর পদত্যাগ করেন সংস্থাটির আগের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ জয়নুল বারী। জয়নুল বারীকেও ৯ মাস বাকি থাকতে আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ থেকে পদত্যাগ করতে বলা হয়েছিল। তার আগের চেয়ারম্যান এম মোশারফ হোসেনও নির্ধারিত তিন বছরের মেয়াদ পার করে যেতে পারেননি। নিয়োগ পাওয়ার ১৫ মাসের মাথায় আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের তৎকালীন সচিব শেখ মোহাম্মদ সলীম উল্লাহর উদ্যোগে পদত্যাগ করেছিলেন তিনি।
সূত্রগুলো জানায়, বিশ্বজিৎ ভট্টাচার্য আইডিআরএতে সদস্য হিসেবে যোগ দেন চলতি বছরের ৩১ জানুয়ারি। তাঁর মেয়াদ শেষ হওয়ার কথা ছিল ২০২৭ সালের ৩০ জানুয়ারি। তিনি ছিলেন (সদস্য) প্রশাসন। তিন বছরের জন্য নজরুল ইসলাম (সদস্য নন–লাইফ) ও কামরুল হাসান (লাইফ) কাছাকাছি সময়ে সংস্থাটিতে যোগ দেন।
অবসরে যাওয়া জ্যেষ্ঠ জেলা ও দায়রা জজ মো. দলিল উদ্দিন প্রথমবারের মতো আইডিআরএর সদস্য (আইন) হিসেবে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ পান ২০২০ সালের ১০ জুন। এক মেয়াদ শেষ হলে ২০২৩ সালের ৩০ মে দ্বিতীয় দফায় তাঁকে আরও তিন বছরের জন্য নিয়োগ দেওয়া হয়।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
বীমা
বাংলাদেশ ইন্স্যুরেন্স এসোসিয়েশনের নির্বাচন ২২ ফেব্রুয়ারি
বাংলাদেশ ইন্স্যুরেন্স এসোসিয়েশনের (বিআইএ) নির্বাহী কমিটির নির্বাচনের তফসিল চূড়ান্ত করা হয়েছে। তফসিল অনুযায়ী, আগামী ২০২৫ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি সংগঠনটির নির্বাহী কমিটির নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। বিআইএ’র নির্বাচনী বোর্ডের প্রথম সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৭ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ১১টায় এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভা শেষে সংগঠনটির সেক্রেটারি ও নির্বাচনী কমিটির সচিব ওমর ফারুক স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
সভায় সভাপতিত্ব করেন নির্বাচনী বোর্ডের চেয়ারম্যান মীর নাসির হোসেন। তিনি ইন্টারন্যাশনাল চেম্বার অব কমার্স-বাংলাদেশের পরিচালক ও এফবিসিসিআইয়ের সাবেক সাবেক সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন।
জানা যায়, নির্বাহী কমিটির নির্বাচনে অংশগ্রহনের জন্য নমিনেশন ফরম সংগ্রহ এবং জমা প্রদানের তারিখ ১৪ জানুয়ারি থেকে ২১ জানুয়ারি ধার্য করা হয়েছে।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
কর্পোরেট সংবাদ
সিটি ব্যাংকের পরিচালন মুনাফা বাড়লো ৭৭ শতাংশ
পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত বেসরকারি সিটি ব্যাংক পিএলসির চলতি বছরের প্রথম ৯ মাসে পরিচালন মুনাফা ৭৭ শতাংশ বেড়েছে। আজ মঙ্গলবার (৫ নভেম্বর) অনলাইন ও বিশ্বজুড়ে ওয়েবের মাধ্যমে ব্যাংকটি দেশ ও বিদেশের সকল বিনিয়োগকারী, শেয়ার বিশ্লেষক ও গণমাধ্যমের সামনে তৃতীয় প্রান্তিকের আর্থিক প্রতিবেদন সম্পর্কে বিস্তারিত ব্যাখ্যা প্রদান করা হয়।
ব্যাংকের এএমডি ও সিএফও মো. মাহবুবুর রহমান এই আর্থিক প্রতিবেদনের নানাদিক পূর্ণাঙ্গ আকারে তুলে ধরেন।
প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০২৪ সালের জানুয়ারি থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ৯ মাসে ব্যাংকটির সমন্বিত পরিচালন মুনাফা বেড়েছে ৭৭ শতাংশ। গত বছর একই সময়ে সিটি ব্যাংক এই মুনাফা করেছিল ৯৩২ কোটি টাকা, যা এবার দাঁড়ায় এক হাজার ৬৫৩ কোটিতে। তবে ঋণের বিপরীতে প্রভিশন সংরক্ষণ বেশি রাখার কারণে কর পরবর্তী মুনাফা বেড়েছে ১৯ শতাংশ। গত বছর প্রথম ৯ মাসে এ মুনাফা ছিল ৩৭৯ কোটি টাকা, যা এবার দাঁড়ায় ৪৫১ কোটিতে।
ব্যাংকটির এমডি ও সিইও মাসরুর আরেফিন জানান, চলতি বছর শেষে ব্যাংকটির পরিচালন মুনাফা প্রথমবারের মতো ২ হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়ে যাবার ব্যাপারে তিনি আশাবাদী। প্রথম ৯ মাসে ৭৭ শতাংশ মুনাফা বৃদ্ধির কারণ হিসেবে তিনি জানান, ব্যাংকের আমানত এই ৯ মাসে ১০ হাজার ১০০ কোটি টাকা বাড়লেও আমানতের ব্যয় সাড়ে ৪ শতাংশে ধরে রাখা সম্ভব হয়েছে। এছাড়া সুদ আয়ের উল্লেখযোগ্য প্রবৃদ্ধি, সরকারি বিল-বন্ডে বিনিয়োগ থেকে ভালো অংকের আয় ইত্যাদি বিষয়কেও তিনি কারণ হিসেবে উল্লেখ করেন।
তিনি আরও জানান, এই নয় মাসে ব্যাংকের আয় ৪০ শতাংশ বাড়লেও ব্যয় বেড়েছে মাত্র ৮ দশমিক ৮ শতাংশ। যার ফলে আয়-ব্যয়ের অনুপাত গত বছরের সাড়ে ৫৪ শতাংশ থেকে ৪২ শতাংশে নেমে এসেছে।
কর পরবর্তী মুনাফা ততটা না বাড়ার পেছনে তিনি জানান, ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ নিজেদের সিদ্ধান্ত মোতাবেক ঋণের বিপরীতে প্রভিশন সংরক্ষণ প্রয়োজনের অতিরিক্ত (এ বছর সংরক্ষিত মোট প্রভিশনের ৬৭ শতাংশ) ধরে রেখেছে, যা বছরের শেষে গিয়ে পুনর্বিবেচনার সুযোগ আছে।
এ সময় অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ব্যাংকের ডিএমডি ও চিফ রিস্ক অফিসার মেসবাউল আসীফ সিদ্দিকী, ডিএমডি ও হেড অব ইন্টারনাল কন্ট্রোল এন্ড কমপ্লায়েন্স এ কে এম সায়েফ উল্লাহ কাউসার এবং হেড অব ট্রেজারি মো. শাহ আলম। অংশগ্রহণকারীদের প্রশ্নোত্তর পর্বের মাধ্যমে অনুষ্ঠানটি সমাপ্ত হয়।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
বীমা
বিমা সমিতির প্রেসিডেন্ট শেখ কবিরের পদত্যাগ
শারীরিক অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে গত ২১ অক্টোবর বাংলাদেশ ইন্স্যুরেন্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিআইএ) প্রেসিডেন্টের পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন শেখ কবির হোসেন।
পদত্যাগপত্রে তিনি লিখেছেন, আমার শারীরিক অবস্থার উন্নতি না হওয়ায় বিআইএ’র প্রেসিডেন্টের সব কর্মকাণ্ডে অংশগ্রহণ ও দায়িত্ব পালন করা আমার পক্ষে সম্ভব নয়। তাই আমি সমিতির নির্বাহী কমিটির চেয়ারম্যান ও সদস্যের পদ থেকে পদত্যাগ করছি।
চিঠিতে বলা দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, ২০২৪ সালের ২১ আগস্ট এক প্রজ্ঞাপনে বলা হয় স্বাস্থ্যগত কারণে হোসেন বিআইএতে দায়িত্ব পালন করতে পারছেন না।
সমিতির নিয়ম অনুযায়ী শেখ কবির হোসেনের স্বাস্থ্যের উন্নতি না হওয়া পর্যন্ত প্রথম সহ-সভাপতি নাসির উদ্দিন আহমেদ বা তার অনুপস্থিতিতে সহ-সভাপতি এ কে এম মনিরুল হক সভাপতির দায়িত্ব পালন করবেন।
শেখ কবির হোসেন এক দশকেরও বেশি সময় ধরে বিমা কোম্পানির মালিকদের সংগঠন বিআইএর প্রেসিডেন্ট ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার দায়িত্ব পালন করছেন।
বিআইএর নিয়ম অনুযায়ী, কোনো ব্যক্তি টানা তিন মেয়াদে প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব পালন করতে পারেন। কিন্তু শেখ কবির হোসেন এই নিয়ম লঙ্ঘন করে ২০১১ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত টানা সাত মেয়াদে এই পদে ছিলেন।
বিমা কোম্পানির মালিকদের অভিযোগ, শেখ কবির হোসেন নিয়ম উপেক্ষা করে গত ১৩ বছর ধরে জোরপূর্বক বিআইএ প্রেসিডেন্টের পদ ধরে রেখেছেন। আগামী ডিসেম্বরে তার সপ্তম মেয়াদ শেষ হওয়ার কথা ছিল।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আইন-আদালত
৮১৬ কোটি টাকা আত্মসাত: ফারইস্টের সাবেক চেয়ারম্যান কারাগারে
ফারইস্ট ইসলামী ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেডের গ্রাহকের টাকা আত্মসাৎ মামলায় কোম্পানির সাবেক চেয়ারম্যান মো. নজরুল ইসলামকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার (১৭ অক্টোবর) ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালত উভয় পক্ষের শুনানি শেষে আদালতের বিচারক আস সামস জগলুল হোসেন জামিন আবেদন না মঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
এর আগে বৃহস্পতিবার দুপুরে মো. নজরুল ইসলাম আদালতে হাজির হয়ে জামিন আবেদন করেন।
মামলায় ফারইস্ট ইসলামী ইন্স্যুরেন্স কোম্পানির পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার জোবায়ের আহমেদ ভুঁইয়া এবং আসামির পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট মাসুদ তালুকদার।
উল্লেখ্য, ফারইস্ট ইসলামী ইন্স্যুরেন্স কোম্পানির বীমা গ্রাহকদের জমাকৃত ৮১৬ কোটি ২৯ লাখ ৭২ হাজার ৪৪০ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ২০২২ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর কোম্পানির আইন কর্মকর্তা মো. জসিম উদ্দিন বাদী হয়ে রাজধানীর শাহবাগ থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলায় ফারইস্টের সাবেক পরিচালক এম এ খালেককে প্রধান আসামি করে মো. নজরুল ইসলামসহ ১৪ জনকে আসামি করা হয়।
এর পর প্রায় ৬০ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ২০২৩ সালের ৩০ মার্চ শাহবাগ থানায় আরও একটি মামলা করেন কোম্পানির আইন কর্মকর্তা মো. জসিম উদ্দিন।
মামলা দায়েরের পরদিন ৩১ মার্চ গুলশানের একটি হোটেল থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। ওই মামলায় নজরুল ইসলাম ও তার স্ত্রী তাসলিমা ইসলাম সহ ১৯ জনকে আসামি করা হয়। পরে মামলাটি ডিবিতে হস্তান্তর করা হয়।
এর আগে ২০২২ সালের ৮ মার্চ ফারইস্ট ইসলামী লাইফের ৯ পরিচালক-কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দুদকের দায়ের করা পৃথক দুটি মামলায় গ্রেপ্তার হন নজরুল ইসলাম ও এম এ খালেক। পরে জামিন পান নজরুল ইসলাম।