জাতীয়
যুক্তরাষ্ট্রে ডিবি হারুনের রয়েছে একাধিক বাড়ি-সম্পদ

বহুল আলোচিত পুলিশ কর্মকর্তা হারুন-অর-রশীদ। বাংলাদেশ পুলিশের ডিআইজি পদমর্যাদার এই কর্মকর্তা সর্বশেষ ছিলেন ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত কমিশনার (ডিবি)। সরকারি স্কেল অনুযায়ী তৃতীয় গ্রেডের চাকরিজীবী হিসেবে সর্বসাকুল্যে বেতন ৮০ হাজার টাকারও কম। অথচ সীমাহীন দুর্নীতির মাধ্যমে নামে-বেনামে গড়ে তুলেছেন হাজার হাজার কোটি টাকার সম্পদ। যুক্তরাষ্ট্রে হারুনের রয়েছে একাধিক বাড়ি ও সম্পদ। এছাড়া সপরিবারে যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকত্বও আছে হারুনের।
অনুসন্ধানে জানা যায়, চাকরি জীবনের শুরু থেকেই হারুন ছিলেন বেপরোয়া। কখনোই চাকরি বিধিমালার তোয়াক্কা করেননি। যখন যেখানে দায়িত্ব পালন করেছেন, সেখানেই নানা অনিয়মে জড়িয়েছেন। প্রতিটি ধাপে প্রতারণা ও উচ্ছৃঙ্খল কর্মকাণ্ডে জড়ালেও তাকে কখনো শাস্তি পেতে হয়নি। বরং পদায়ন করা হয়েছে গুরুত্বপূর্ণ সব ইউনিটে। ঘুষ, দুর্নীতি, চাঁদাবাজি, জিম্মি করে অর্থ আদায়, মারধর, জমি দখল, বাড়ি দখল, প্লট দখল, ফ্ল্যাট দখল, গুম, খুন, হত্যা, অর্থ পাচার, মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি, আটকে রেখে নির্যাতন, নিয়োগ বাণিজ্য, নারী কেলেঙ্কারিসহ এহেন কোনো অপরাধ নেই, যার সঙ্গে জড়াননি হারুন।
তবুও বছর বছর পদোন্নতি পেয়েছেন। এসব অনিয়ম আর দুর্নীতির মাধ্যমে হাতিয়েছেন হাজার হাজার কোটি টাকা। রাজধানীর উত্তরা, গাজীপুর ও কিশোরগঞ্জ ঘুরে ডিবি হারুনের অন্তত হাজার কোটি টাকার সম্পদের সন্ধান পাওয়া গেছে।
ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় সম্পত্তি দখল ও দেখাশোনার জন্য আছে তিন সদস্যের স্টিয়ারিং কমিটি। নামে-বেনামে অন্তত তিনটি রিসোর্টের মালিকানা আছে তার। রয়েছে একাধিক আবাসিক হোটেল। আরও অন্তত ১০টি কোম্পানির মালিক তিনি। শুধু ঢাকায়ই আলিশান বাড়ি করেছেন দুই ডজনেরও বেশি। এর বাইরে আছে অগণিত প্লট ও ফ্ল্যাট।
কথিত মামা জাহাঙ্গীর আলমের নামে গড়েছেন এসব সম্পদ। দখল করা সম্পত্তি বিক্রি করে সেই টাকা দেশের বাইরে পাচার ও বিদেশে গড়ে তোলা সম্পদ তত্ত্বাবধানের দায়িত্ব আলাদা কমিটির। যুক্তরাষ্ট্রসহ অন্তত ছয়টি দেশে অঢেল টাকার ব্যবসা গড়েছেন হারুন।
অনুসন্ধানে জানা যায়, ডিএমপির গোয়েন্দা শাখার সাবেক প্রধান হারুনের দেশে থাকা হাজার হাজার কোটি টাকার সাম্রাজ্যের নিয়ন্ত্রক ছিলেন তার কথিত মামা জাহাঙ্গীর হোসেন এবং তার সহযোগী জহির। মূলত মামার মাধ্যমে সব অপকর্ম করতেন হারুন। জায়গা, জমি, ফ্ল্যাট, বাড়ি, রিসোর্ট সব সম্পদই তার মামা জাহাঙ্গীরের নামে করেছেন। আবার এসব সম্পদ দেখিয়ে ব্যাংক থেকে হাতিয়েছেন মোটা অঙ্কের টাকা।
আবার মানুষের সম্পত্তি দখলের পর তা বিক্রি এবং সে টাকা দেশের বাইরে পাঠানোর দায়িত্ব পালন করতেন ডিবির খিলগাঁও জোনের এডিসি সাইফুল। বিদেশে অর্থ পাচারের সুবিধার জন্য গড়ে তোলা হয় নিজস্ব মানি এক্সচেঞ্জ। ঢাকায় এই প্রতিষ্ঠানের অফিস পুরানা পল্টনের আজাদ প্রোডাক্টসের গলিতে। কার্যক্রম পরিচালনায় দুবাইয়ে আছে আরেকটি অফিস। এই মানি এক্সচেঞ্জ পরিচালনা করেন এডিসি সাইফুল ইসলামের দুই ভাই। একজন থাকেন দেশে। আর আরেক ভাই রিফাত অবস্থান করেন দুবাই।
সূত্র বলছে, যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক অঙ্গরাজ্যের নিউ হাইড পার্ক এলাকায় স্ত্রীর নামে পাঁচ মিলিয়ন ডলারের একটি বাড়ি কিনেছেন হারুন। ওই সময় হারুনের স্ত্রীর বিপুল অর্থ লেনদেন শনাক্ত করে এর তদন্ত করেছিল এফবিআই।
রাজধানীর উত্তরায় হারুনের বহুতল একাধিক বাড়ি, ফ্ল্যাট ও প্লটের তথ্য মিলেছে। যার মধ্যে ৩ নম্বর সেক্টরের ২০ নম্বর রোডে (লেকপাড়ের রোডে) রয়েছে ৬তলা একটি আলিশান বাড়ি। ‘পার্ক লেক ভিউ’ নামের বাড়িটির হোল্ডিং নম্বর-৩০। এটি গেস্ট হাউস হিসেবে ব্যবহৃত হয়। একই রোডের মাথায় ৮তলা আরেকটি বাড়ি আছে হারুনের। এই বাড়ির চতুর্থ তলায় সপরিবারে নিয়ে থাকতেন। রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর থেকে তিনি আর ওই বাড়িতে যাননি। ৩ নম্বর সেক্টরের ৭ নম্বর রোডের হোল্ডিং নম্বর-৫ এ ১০ কাঠা জায়গার ওপর একটি ১০তলা মার্কেট। এটি হারুনের শ্বশুরের নামে করা হয়েছে। চার রাস্তার মোড়ে জমিসহ এই ভবনটির আনুমানিক বাজারমূল্য শতকোটি টাকার ওপর। ১২ নম্বর সেক্টরের সোনারগাঁও জনপথ রোডের ২১ নম্বরে ৬তলা একটি বাড়ি। এই বাড়িটি বন্ধক রেখে শাহজালাল ইসলামী ব্যাংক থেকে ঋণ নেওয়া হয়েছে।
এ ছাড়া হারুন অর রশীদের নামে কিশোরগঞ্জে মিঠামইনে প্রেসিডেন্ট রিসোর্ট নামে একটি বিলাসবহুল রিসোর্ট রয়েছে। যেটি পরিচালনা করেন হারুনের ভাই ডাক্তার শাহরিয়ার। গাজীপুরে রয়েছে সবুজ পাতা রিসোর্ট এবং ‘গ্রিন টেক’ নামে আরও একটি বিলাসবহুল রিসোর্টের শেয়ার। এ ছাড়া নন্দন পার্কেও শেয়ার আছে হারুনের। আছে আমেরিকান ডেইরি নামে একটি কোম্পানিতে বিনিয়োগ। এই কোম্পানির এমডি হারুনের স্ত্রী। ময়মনসিংহের ত্রিশালের সাবেক এমপি আনিসের সঙ্গে ফিশারিজ এবং রেস্টুরেন্টের যৌথ ব্যবসা আছে হারুনের।
এসব অভিযোগের বিষয়ে জানতে পুলিশ কর্মকর্তা হারুন অর রশীদের ব্যক্তিগত নম্বরে টানা কয়েক দিন বারবার ফোন করা হলেও সেটি বন্ধ পাওয়া গেছে।
কথিত মামা জাহাঙ্গীরের মোবাইল নম্বর বন্ধ পাওয়া গেছে। শনিবার (১৭ আগস্ট) উত্তরার জাহাঙ্গীরের অফিস ও বাসায় গিয়েও তাকে পাওয়া যায়নি। বাসার নিরাপত্তাকর্মী ইফাতুল বলেন, জাহাঙ্গীর সাহেব এখানে একটি ফ্ল্যাটে থাকতেন। দুই সপ্তাহ ধরে স্যার এখানে আসেন না। তার পরিবারের কেউ এখানে এখন নেই।
সার্বিক বিষয়ে মন্তব্য চাওয়া হলে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, একজন পুলিশ কর্মকর্তা বা সরকারি কর্মকর্তা হিসেবে তার যে বৈধ আয়, তার সঙ্গে সম্পদের পরিমাণ অসামঞ্জস্যপূর্ণ। দেশে-বিদেশে তিনি যে সম্পদ অর্জন করেছেন, সেটি দুর্নীতি ও ক্ষমতার অপব্যবহারের মাধ্যমে। গোয়েন্দা কর্মকর্তা হিসেবে তার কাছে যে ক্ষমতা ছিল, সেটির অপব্যবহার করেছেন তিনি। আইন লঙ্ঘন করে তাদের সংবিধানপরিপন্থি অস্বাভাবিক ক্ষমতা দেওয়া হয়েছিল। সেটি ব্যবহার করেই তিনি এই সম্পদ গড়েছেন। আর এই সম্পত্তি যে তিনি একা করেছেন, সেটা কিন্তু ভাবার কোনো সুযোগ নেই। তার সঙ্গে অনেক যোগসাজশকারী ও সহায়তাকারী রয়েছে। এখন এর সুষ্ঠু তদন্ত হওয়া দরকার এবং জড়িতদের জবাবদিহির আওতায় আনা দরকার।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

জাতীয়
বেঙ্গল গ্রুপের চেয়ারম্যান মোরশেদ আলম গ্রেপ্তার

রাজধানীর গুলশান এলাকা থেকে বেঙ্গল গ্রুপের চেয়ারম্যান মোরশেদ আলমকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
আজ মঙ্গলবার দিবাগত রাতে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গণমাধ্যম ও জনসংযোগ বিভাগ থেকে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
ডিএমপি জানিয়েছে, গুলশান-২ নম্বর সার্কেল এলাকা থেকে পুলিশের গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) সদস্যরা তাকে গ্রেপ্তার করেছেন। তার বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে।
মোরশেদ আলম বেসরকারি টেলিভিশন আরটিভিরও চেয়ারম্যান। ২০১৪ সালে দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নোয়াখালী-২ (সেনবাগ ও সোনাইমুড়ী উপজেলার একাংশ) আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন তিনি। এরপর একাদশ ও দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনেও একই আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন তিনি।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
হজযাত্রীদের স্বাস্থ্যসেবা-টিকাদান কেন্দ্রের তালিকা প্রকাশ

হজযাত্রীদের স্বাস্থ্যসেবা ও টিকাদান কেন্দ্রের তালিকা প্রকাশ করেছে ধর্ম মন্ত্রণালয়। ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের হজ-১শাখা হতে এ সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে।
২০২৫ সালের হজযাত্রীরা সারা দেশের মোট ৮০টি কেন্দ্র থেকে স্বাস্থ্য পরীক্ষা ও টিকা গ্রহণ করতে পারবেন। এসকল কেন্দ্রের মধ্যে রয়েছে ঢাকা জেলা ব্যতীত অন্যান্য জেলার সিভিল সার্জন অফিস। বাকি কেন্দ্রসমূহের মধ্যে ঢাকা মহানগরীতে আছে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ ও মিটফোর্ড হাসপাতাল, শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতাল, মুগদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, সরকারি কর্মচারী হাসপাতাল, সম্মিলিত সামরিক হাসপাতাল, কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতাল ও বাংলাদেশ সচিবালয় ক্লিনিক।
ঢাকার বাইরের মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মধ্যে আছে গাজীপুরের শহীদ তাজউদ্দিন আহমেদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, টঙ্গীর শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টার জেনারেল হাসপাতাল, চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, বগুড়ার ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট মোহাম্মদ আলী হাসপাতাল ও দিনাজপুরের ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট সদর হাসপাতাল।
উল্লেখ্য, টিকা গ্রহণের পূর্বে তিনমাসের মধ্যে সম্পন্ন স্বাস্থ্য অধিদপ্তর কর্তৃক সুপারিশকৃত ৭টি স্বাস্থ্য পরীক্ষার রিপোর্ট সাথে নিতে হবে। এ রিপোর্টগুলোর মধ্যে রয়েছে Urine R/M/E,Random Blood Sugar (R.B.S), X-Ray Chest P/A view, ECG, Serum Creatinine CBC with ESR ও Blood Grouping and Rh Typing.
এ সংক্রান্ত যেকোন তথ্যের জন্য ১৬১৩৬ নম্বরে যোগাযোগ করার পরামর্শ দিয়েছে ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে পিটার হাসের সাক্ষাৎ

তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) রপ্তানির মার্কিন বহুজাতিক কোম্পানি অ্যাকসিলারেট এনার্জির স্ট্রাটেজিক উপদেষ্টা পিটার হাস আজ প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন।
মঙ্গলবার (৮ এপ্রিল) রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তাদের এই সাক্ষাৎ অনুষ্ঠিত হয় বলে জানিয়েছে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং।
প্রধান উপদেষ্টার ফেসবুক পেজেও একটি পোস্ট দেওয়া হয়েছে এ সাক্ষাতের বিষয়ে। তবে এ পোস্ট বিস্তারিত কিছু লেখা হয়নি।
২০২২ সালের মার্চ ২০২৪ সালের এপ্রিল পর্যন্ত ঢাকায় যুক্তরাষ্ট্রের ১৭তম রাষ্ট্রদূত হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন পিটার হাস।
২০২৪ সালের ২৭ সেপ্টেম্বর যুক্তরাষ্ট্রের ফরেন সার্ভিস থেকে অবসরে যান পিটার হাস। এরপর অ্যাকসিলারেট এনার্জির স্ট্র্যাটেজিক উপদেষ্টা পদে যোগ দেন তিনি।
অ্যাকসিলারেট এনার্জি যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাসের উডল্যান্ডে অবস্থিত বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ এলএনজি সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান। এলএনজি সরবরাহের পাশাপাশি এলএনজি রূপান্তরের ভাসমান টার্মিনাল, অবকাঠামো উন্নয়নে কাজ করে তারা। বাংলাদেশ ছাড়াও আরব আমিরাত, যুক্তরাজ্য, ব্রাজিল, আর্জেন্টিনা, ফিলিপাইন, সিঙ্গাপুরসহ বেশি কিছু দেশে ব্যবসা রয়েছে তাদের।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
আগামী বছর এক লাখ ৮০ হাজার রোহিঙ্গার প্রত্যাবাসন

এক লাখ ৮০ হাজার রোহিঙ্গা শরণার্থীকে আগামী বছরের ঈদের আগে নিজ দেশে ফিরিয়ে দেওয়ার ব্যাপারে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন প্রধান উপদেষ্টার হাই রিপ্রেজেন্টেটিভ ড. খলিলুর রহমান।
মঙ্গলবার (৮ এপ্রিল) রাজধানীর বেইলি রোডের ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি এ কথা বলেন।
ড. খলিলুর রহমান বলেন, রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনের আগে তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার ব্যাপারে কাজ করতে হবে। এজন্য আরাকান রাজ্যে শান্তি প্রতিষ্ঠা সর্বাগ্রে প্রয়োজন। যুদ্ধাবস্থায় তাদের ফিরিয়ে দেওয়া যাবে না। এজন্য সেদেশে দুপক্ষের মধ্যে যুদ্ধবিরতি হতে হবে।
তিনি আরও বলেন, এ ব্যাপারে জাতিসংঘসহ আন্তর্জাতিক মহলের সহযোগিতা দরকার। নিরাপত্তা নিশ্চিত না করে তাদের ফিরিয়ে দেওয়া আগুনে ফেলে দেওয়ার শামিল।
ব্রিফিংয়ে আরও উপস্থিত ছিলেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম, ডেপুটি প্রেস সেক্রেটারি অপূর্ব জাহাঙ্গীর ও সহকারী প্রেস সেক্রেটারি নাঈম আলী।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
বিনিয়োগের এত অনুকূল পরিবেশ কখনো ছিল না: ড. ইউনূস

প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, গত আট মাসে, আমরা বাংলাদেশে বিনিয়োগ করা সহজ করার লক্ষ্যে নানা পদক্ষেপ নিয়েছি। বিদেশি বিনিয়োগের জন্য এমন অনুকূল পরিবেশ এর আগে দেশে কখনো ছিল না।
মঙ্গলবার (৮ এপ্রিল) রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় একদল চীনা বিনিয়োগকারীর সঙ্গে বৈঠকে এ কথা বলেন তিনি। বিনিয়োগকারীরা বাংলাদেশ ইনভেস্টমেন্ট সামিট ২০২৫-এ অংশ নিতে ঢাকায় এসেছেন।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, গত আট মাসে, আমরা বাংলাদেশে বিনিয়োগ করা সহজ করার লক্ষ্য নিয়েছি। বিদেশি বিনিয়োগের জন্য এমন অনুকূল পরিবেশ এর আগে দেশে কখনো ছিল না।
এ সময় কোরিয়ান ও চীনা বিনিয়োগকারীদের জন্য বিনিয়োগ-সম্পর্কিত উদ্বেগ দূর করতে এবং একটি প্রাতরাশ বৈঠকের আয়োজন করার ঘোষণা দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) নির্বাহী চেয়ারম্যান প্রতি মাসের ১০ তারিখে কোরিয়ান ও চীনা বিনিয়োগকারীদের সঙ্গে প্রাতরাশ সভার আয়োজন করবেন। যদিও এ সভাগুলো বিডার উদ্যোগে অনুষ্ঠিত হবে।
তিনি নিজেও কিছু সভায় অংশগ্রহণ করবেন এবং বিনিয়োগকারীদের নানা বিষয় শুনবেন।
বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টা একটি হটলাইন এবং কল সেন্টার চালুর প্রস্তাবও দেন, যার মাধ্যমে বিদেশি বিনিয়োগকারীরা সহজেই অভিযোগ জানাতে পারবেন এবং দ্রুত সমাধান পাবেন।
ড. ইউনূস সম্প্রতি বেইজিংয়ে চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে অনুষ্ঠিত বৈঠকের কথাও জানান, যেখানে প্রেসিডেন্ট শি বাংলাদেশে শীর্ষ চীনা কোম্পানিগুলোর বিনিয়োগ উৎসাহিত করার প্রতিশ্রুতি দেন।
অবকাঠামো, বিদ্যুৎ, পরিবহন, নবায়নযোগ্য জ্বালানি, টেক্সটাইল, মোবাইল টেলিযোগাযোগ, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা, লজিস্টিকস এবং আইটি পরিষেবার মতো সেক্টরে বড় বৈশ্বিক কোম্পানিগুলোর প্রতিনিধিত্বকারী অন্তত ৩০ জন বিশিষ্ট চীনা বিনিয়োগকারী বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।
প্রতিনিধিদলের নেতৃত্বে ছিলেন বিশ্বের অন্যতম বৃহত্তম কোম্পানি মেইনল্যান্ড হেডগিয়ার কোম্পানি লিমিটেডের ভাইস প্রেসিডেন্ট পলিন এনগান।
চীনা কোম্পানির কর্মকর্তারা চট্টগ্রামে নিবেদিত চীনা অর্থনৈতিক অঞ্চল এবং মোংলায় পরিকল্পিত চীনা অর্থনৈতিক অঞ্চল উভয়েই বিনিয়োগে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন, যেখানে চীন একটি সমুদ্রবন্দর আধুনিকীকরণ করতে প্রস্তুত।
দেশটিকে একটি শীর্ষ বৈশ্বিক উৎপাদন কেন্দ্রে রূপান্তরিত করার জন্য প্রধান উপদেষ্টার আহ্বানে সাড়া দিয়ে বেশ কয়েকটি কোম্পানি বাংলাদেশকে তাদের দক্ষিণ এশীয় উৎপাদন ও অপারেশন হাব হিসেবে প্রতিষ্ঠায় বিনয়োগের ইঙ্গিত দিয়েছে।
এর আগে সোমবার কয়েক ডজন দক্ষিণ কোরিয়ার বিনিয়োগকারীও প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে দেখা করেছেন।
আজকের বৈঠকে বিডা চেয়ারম্যান চৌধুরী আশিক মাহমুদ বিন হারুন ও এসডিজি সমন্বয়কারী লামিয়া মোর্শেদ উপস্থিত ছিলেন।