জাতীয়
ডিএমপির সাত উপ-পুলিশ কমিশনার বদলি

ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) উপ-পুলিশ কমিশনার পদমর্যাদার সাতজন কর্মকর্তাকে পদায়ন করা হয়েছে।
শনিবার (১৭ আগস্ট) ডিএমপি কমিশনার মো. মাইনুল হাসান স্বাক্ষরিত এক আদেশে এই পদায়ন করা হয়।
এর মধ্যে ডিএমপির উপ-কমিশনার (ডিসি) ফারুক আহমেদকে সদরদপ্তর ও প্রশাসন বিভাগে, ডিএমপি সদরদপ্তর ও প্রশাসন বিভাগের ডিসি মো. আসফিকুজ্জামান আকতারকে সিটি-সাইবার ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন বিভাগে, রমনায় বদলির আদেশপ্রাপ্ত ডিসি মো. শাহরিয়ার আলীকে মতিঝিল বিভাগে, ট্রাফিক রমনায় বদলির আদেশপ্রাপ্ত রওনক জাহানকে উত্তরায়, ট্রাফিক ওয়ারীতে বদলির আদেশপ্রাপ্ত মোহাম্মদ রুহুল কবীর খানকে তেজগাঁও বিভাগে, ডিএমপিরর রওনক আলমকে ওয়েলফেয়ার অ্যান্ড ফোর্স বিভাগে এবং এই পদে কর্মরত মোহাম্মদ সোহেল রানাকে সদর দপ্তরে সংযুক্ত করা হয়েছে।। এ আদেশ অবিলম্বে কার্যকর হবে।
একইদিন একযোগে ডিএমপির অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (এডিসি) পদ মর্যাদার ১২ কর্মকর্তাকে ও সহকারী পুলিশ কমিশনার (এসি) পদ মর্যাদার এক কর্মকর্তাকে বদলি করা হয়েছে।

জাতীয়
চীন সফর শেষে দেশে ফিরলেন সেনাপ্রধান

চীন সফর শেষে বুধবার রাতে দেশে ফিরেছেন সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান। সফরে তিনি পিপলস লিবারেশন আর্মির (পিএলএ) স্থল বাহিনীর পলিটিক্যাল কমিসার জেনারেল চেন হুইসহ উচ্চপদস্থ চীনা সামরিক ও বেসামরিক কর্মকর্তাদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন এবং দ্বিপাক্ষিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করেন।
বৃহস্পতিবার (২৮ আগস্ট) আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, সেনাবাহিনী প্রধান গত ২২ আগস্ট চীনের পিএলএ সদর দপ্তরে পৌঁছালে তাকে ‘গার্ড অব অনার’ দেওয়া হয়। পরবর্তীতে সেনাবাহিনী প্রধান পিএলএর স্থল বাহিনীর পলিটিক্যাল কমিসার জেনারেল চেন হুইর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। সাক্ষাৎকালে তারা দুই দেশের মধ্যে কৌশলগত সহযোগিতা, জনগণের মধ্যে পারস্পরিক যোগাযোগ, জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত মিয়ানমার নাগরিকদের প্রত্যাবর্তনে সহায়তা ইত্যাদি বিষয়ে আলোচনা করেন।
এছাড়াও, বাংলাদেশের সামরিক শিল্পের উন্নতিতে চীন কর্তৃক প্রয়োজনীয় সহায়তা প্রদানের বিষয়টি আলোচনা করা হয়।
গত ২৩ আগস্ট সেনাবাহিনী প্রধান চীনের নরিনকো গ্রুপের প্রেসিডেন্ট চেন ডেফাংয়ের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। সাক্ষাৎকালে তারা বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করেন। বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে প্রচলিত নরিনকো গ্রুপের বিভিন্ন ধরনের সামরিক সরঞ্জামাদির আপগ্রেডেশন ও রক্ষণাবেক্ষণের বিষয়ও উক্ত বৈঠকে আলোচিত হয়।
এছাড়াও, সেনাবাহিনী প্রধান পিএলএর অ্যাকাডেমি অব আর্মার্ড ফোর্সের বেইজিং ক্যাম্পাসের প্রশিক্ষণ সুবিধাদিসহ বিভিন্ন সামরিক সরঞ্জামাদি উৎপাদন গবেষণাগার পরিদর্শন করেন। উল্লেখ্য যে, আন্তর্জাতিক মানের উক্ত অ্যাকাডেমিতে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর কর্মকর্তারা কারিগরি প্রশিক্ষণ নিয়ে থাকেন।
এছাড়া, সফরকালে সেনাবাহিনী প্রধান বেইজিং ও শিয়াংয়ে অবস্থিত নরিনকো গ্রুপের বিভিন্ন কারখানা ও গবেষণা কেন্দ্র, চায়না অ্যারোস্পেস লং-মার্চ ইন্টারন্যাশনাল কো লিমিটেড এবং আইসাং ইউএভি ফ্যাক্টরিসহ অন্যান্য আধুনিক অস্ত্র ও গোলাবারুদ তৈরির কারখানা পরিদর্শন করেন।
সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান গত ২০ আগস্ট সরকারি সফরে চীন গমন করেন।
জাতীয়
ছাত্র সংসদ নির্বাচনে সম্পৃক্ত হবে না সেনাবাহিনী: আইএসপিআর

দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুষ্ঠিতব্য ছাত্র সংসদ নির্বাচনের দায়িত্ব পালনে সেনাবাহিনী কোনোভাবে সম্পৃক্ত হবে না বলে জানিয়েছে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর)।
বৃহস্পতিবার (২৮ আগস্ট) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে আইএসপিআর।
এতে বলা হয়েছে, সম্প্রতি বিভিন্ন গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর আসন্ন কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী মোতায়েন সংক্রান্ত বিবিধ সংবাদ প্রচারিত হচ্ছে, যা সেনাবাহিনীর দৃষ্টিগোচর হয়েছে।
এ বিষয়ে জানানো যাচ্ছে, সরকারের পক্ষ থেকে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীকে এসব নির্বাচনে দায়িত্ব পালনের বিষয়ে কোনো নির্দেশনা দেওয়া হয়নি এবং ভবিষ্যতে এ ধরনের কোনো দায়িত্বে সম্পৃক্ত হওয়ার সুযোগ নেই।
আইএসপিআর আরও জানায়, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী মনে করে, বিদ্যমান আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর প্রত্যক্ষ সহযোগিতা এবং বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সার্বিক তত্ত্বাবধানে আসন্ন কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ নির্বাচনগুলো একটি শান্তিপূর্ণ ও উৎসবমুখর পরিবেশে সম্পন্ন হবে। বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে সবার জন্য শুভকামনা রইল।
জাতীয়
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে সংসদীয় আসনের সীমানা নির্ধারণ, ভোটার তালিকা চূড়ান্তকরণ, রাজনৈতিক দল নিবন্ধন ও দেশীয় পর্যবেক্ষক সংস্থার নিবন্ধন চূড়ান্ত করাসহ ২৪টি গুরুত্বপূর্ণ কার্যাবলীকে প্রাধান্য দিয়ে রোডম্যাপ ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
বৃহস্পতিবার (২৮ আগস্ট) নির্বাচন কমিশনের সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ এ রোডম্যাপ ঘোষণ করেন।
ঘোষিত রোডম্যাপ অনুযায়ী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারি মাসের প্রথমার্ধে এবং তফসিল ঘোষণা করা হবে চলতি বছরের ডিসেম্বরের প্রথমার্ধে।
নির্বাচনের রোডম্যাপ নিয়ে ইসি জানিয়েছে, তফসিল ঘোষণার দুই মাস আগে হেলিকপ্টার সহায়তার প্রয়োজন হবে— এমন ভোটকেন্দ্র বাছাই করে সম্ভাব্য ভোটকেন্দ্র, কক্ষ সংখ্যা, নিকটবর্তী হেলিপ্যাড, যাত্রা শুরু ও শেষ এবং প্রাসঙ্গিক অন্যান্য তথ্য জানানোর জন্য জেলা নির্বাচন অফিসার, রাঙামাটি, বান্দরবান এবং খাগড়াছড়িকে নির্দেশনা দেওয়া হবে।
এ ছাড়া, তফসিল ঘোষণার ১০ দিন আগে নিকটবর্তী টেকঅফ ও ল্যান্ডিং স্টেশন নির্দিষ্ট করে সম্ভাব্য ভোটকেন্দ্র ও কক্ষ সংখ্যার ভিত্তিতে যাতায়াতের জন্য ভোটগ্রহণ কর্মকর্তা নির্ধারণ করে হেলিকপ্টার সহায়তা সংক্রান্ত প্রস্তাবনা প্রস্তুত করতে হবে।
জাতীয়
লতিফ সিদ্দিকী ও অধ্যাপক কার্জনকে অবরুদ্ধ, পুলিশের কাছে হস্তান্তর

ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে (ডিআরইউ) গোলটেবিল আলোচনায় অংশ নিতে আসা সাবেক সংসদ সদস্য আবদুল লতিফ সিদ্দিকী ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক শেখ হাফিজুর রহমানকে (কার্জন) অবরুদ্ধ করা হয়েছে।
একদল ব্যক্তি, যারা নিজেদের ‘জুলাই যোদ্ধা’ হিসেবে পরিচয় দিয়েছেন, বৃহস্পতিবার সকালে এই ঘটনা ঘটায়।
‘আমাদের মহান স্বাধীনতা যুদ্ধ এবং বাংলাদেশের সংবিধান’ শীর্ষক আলোচনার আয়োজন করেছিল ‘মঞ্চ ৭১’। আলোচনায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকার কথা ছিল বাংলাদেশের সংবিধানের অন্যতম প্রণেতা ও গণফোরামের ইমেরিটাস সভাপতি ড. কামাল হোসেনের।
আলোচনা সভায় শেখ হাফিজুর রহমান বলেন, ‘দেশের সংবিধানকে ছুড়ে ফেলার পাঁয়তারা চলছে, যার পেছনে জামায়াত শিবির ও জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) রয়েছে।’ তার বক্তব্যের পর মিছিল নিয়ে একদল ব্যক্তি ডিআরইউ মিলনায়তনে প্রবেশ করে এবং ‘জুলাইয়ের হাতিয়ার, গর্জে উঠুক আরেকবার’, ‘লীগ ধর, জেলে ভর’ প্রভৃতি স্লোগান দেন।
পরবর্তীতে তারা আলোচনায় অংশগ্রহণকারীদের অবরুদ্ধ করে রাখে। দুপুর সোয়া বারোটার দিকে পুলিশ (ডিএমপি) এসে লতিফ সিদ্দিকী, অধ্যাপক কার্জনসহ অন্তত ১৫ জনকে হেফাজতে নিয়ে যায়। পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার (এডিসি) আসাদুজ্জামান ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন।
লতিফ সিদ্দিকী জানান, ‘আমি এখানে সমস্যা হবে ভাবিনি, আওয়ামী লীগের সঙ্গে আমার কোনো সম্পর্ক নেই। শুধুমাত্র দাওয়াত পেয়ে এসেছিলাম।’ অবরুদ্ধকারীদের একজন আল আমিন রাসেল বলেন, ‘জুলাই যোদ্ধারা পতিত আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের ষড়যন্ত্র মেনে নিতে পারবে না।’
আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন সাবেক সচিব আবু আলম শহীদ খান, মঞ্চ ৭১-এর সমন্বয়ক অধ্যাপক আবদুল্লাহ আল মাহমুদ প্রমুখ।
জাতীয়
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা আজ

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের কর্মপরিকল্পনা বা রোডম্যাপ আজ ঘোষণা করা হবে বলে জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিবালয়।
বুধবার (২৭ আগস্ট) নির্বাচন ভবনের মিডিয়া সেন্টারে ব্রিফিংয়ে সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ সাংবাদিকদের এ কথা জানান।
তিনি বলেন, প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এএমএম নাসির উদ্দিনের সভাপতিত্বে চার নির্বাচন কমিশনারের এক বৈঠকে এই কর্মপরিকল্পনা অনুমোদন করা হয়েছে।
রোডম্যাপ অনুযায়ী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদের তফসিল ডিসেম্বরের তৃতীয় সপ্তাহের ১৮ ডিসেম্বর ঘোষণা করা হতে পারে। ভোট হতে পারে আগামী ১২ ফেব্রুয়ারি। পরিকল্পনা অনুযায়ী তফসিল ঘোষণা করা হলে তফসিলের পর থেকে নির্বাচন আয়োজনের জন্য ৫৭ দিনের মতো সময় পাবে ইসি। প্রবাসী ভোটারদের সুবিধার্তে তফসিল ঘোষণার পর থেকে নির্বাচন আয়োজনের মধ্যবর্তী সময় ১০ দিন বেশি রাখা হয়েছে। ইসির সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
এদিকে, সংসদীয় আসনের সীমানা পুনর্নির্ধারণের খসড়া প্রস্তাবের ওপর দাবি-আপত্তির শুনানি শেষ হয়েছে বুধবার (২৭ আগস্ট)। ইসি জানিয়েছে, চার দিনে ৩৩ জেলার ৮৪টি আসন নিয়ে মোট এক হাজার ৮৯৩টি দাবি-আপত্তির শুনানি হয়েছে। এর মধ্যে এক হাজার ১৮৫টি আবেদন প্রস্তাবের বিপক্ষে এবং ৭০৮টি পক্ষে জমা পড়ে।
আখতার আহমেদ আরও বলেন, নির্বাচনের রোডম্যাপের সব কার্যক্রম ইতোমধ্যে চূড়ান্ত করা হয়েছে এবং বর্তমানে টাইপিং চলছে। আমরা যে কর্মপরিকল্পনা করেছি, তা প্রকাশ করা হবে। একটু অপেক্ষা করতে হবে।
রোডম্যাপে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার আগের ও পরবর্তী কার্যক্রম, রাজনৈতিক দলসহ বিভিন্ন অংশীজনের সঙ্গে সংলাপের সময়সূচি, ভোটার তালিকা হালনাগাদ, নতুন রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন, নির্বাচনি আইন সংস্কার, আসন পুনর্নির্ধারণ, প্রশিক্ষণ এবং প্রস্তুতিমূলক কার্যক্রমের সময়সীমা অন্তর্ভুক্ত থাকবে।
পাবনা ও সিরাজগঞ্জ জেলার আসনবিন্যাস নিয়েও দাবি উঠেছে। পাবনার পক্ষ থেকে সাঁথিয়া এবং বেড়া-সুজানগরকে পৃথক আসনে ভাগ করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। অন্যদিকে, সিরাজগঞ্জের পক্ষ থেকে আগের আসনবিন্যাস পুনর্বহালের দাবি জানানো হয়েছে।