রাজধানী
রাজধানীতে যেসব মার্কেট বন্ধ শুক্রবার
রাজধানীতে শপিং বা ঘোরাঘুরির জন্য বিভিন্ন মার্কেট আর বিনোদনকেন্দ্রই ভরসা। শুক্রবার প্রায় সবার ছুটি। এ দিনে জরুরি কেনাকাটা সারতে চাইলে জেনে নিন কোন কোন মার্কেট বন্ধ রয়েছে। সেগুলো বাদ দিয়ে অন্যগুলোতে যান।
বন্ধ থাকবে যেসব মার্কেট
আজিমপুর সুপার মার্কেট, গুলিস্তান হকার্স মার্কেট, ফরাশগঞ্জ টিম্বার মার্কেট, শ্যামবাজার পাইকারি দোকান, সামাদ সুপার মার্কেট, রহমানিয়া সুপার মার্কেট, ইদ্রিস সুপার মার্কেট, দয়াগঞ্জ বাজার, ধূপখোলা মাঠ বাজার, চক বাজার, বাবু বাজার, নয়া বাজার, কাপ্তান বাজার, রাজধানী সুপার মার্কেট, দয়াগঞ্জ সিটি করপোরেশন মার্কেট, ইসলামপুর কাপড়ের দোকান, ছোট কাটরা, বড় কাটরা হোলসেল মার্কেট, শারিফ ম্যানসন, ফুলবাড়িয়া মার্কেট, সান্দ্রা সুপার মার্কেট।
যেসব দর্শনীয় স্থান বন্ধ
সামরিক জাদুঘর: এটি বিজয় সরণিতে অবস্থিত। প্রতিদিন সকাল ১০টা ৩০ মিনিট থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত খোলা থাকে। বৃহস্পতি ও শুক্রবার সাপ্তাহিক বন্ধ।
জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি জাদুঘর, আগারগাঁও: বৃহস্পতি ও শুক্রবার সাপ্তাহিক ছুটির জন্য বন্ধ থাকে। শনি থেকে বুধবার প্রতিদিন সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত খোলা থাকে। প্রবেশমূল্য জনপ্রতি ৫ টাকা। এ ছাড়া শনি ও রোববার সন্ধ্যা ৬টা থেকে ১০ টাকার টিকিটের বিনিময়ে টেলিস্কোপে আকাশ পর্যবেক্ষণ করা যায়।
শিশু একাডেমি জাদুঘর: শুক্র ও শনিবার সাপ্তাহিক ছুটি। রোববার থেকে বৃহস্পতিবার সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত খোলা থাকে।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
রাজধানী
রাজধানীর যেসব মার্কেট বন্ধ বৃহস্পতিবার
নানা প্রয়োজনে ঢাকার বাসিন্দারা দোকানপাট ও মার্কেটে যান। কিন্তু গিয়ে যদি দেখতে পান বন্ধ, তাহলে প্রয়োজনীয় কাজ আর করা হয় না।
বৃহস্পতিবার (১৫ আগস্ট) রাজধানীর কয়েকটি এলাকায় দোকানপাট ও মার্কেট বন্ধ থাকবে। চলুন জেনে নেওয়া যাক এই দিনে দোকানপাট বন্ধ থাকা এলাকার পাশাপাশি মার্কেটের নাম।
যেসব এলাকায় দোকানপাট বন্ধ থাকবে
মোহাম্মদপুর, আদাবর, শ্যামলী, গাবতলী, মিরপুর স্টেডিয়াম, চিড়িয়াখানা, টেকনিক্যাল, কল্যাণপুর, আসাদগেট, ইস্কাটন, মগবাজার, বেইলি রোড, সিদ্ধেশ্বরী, মালিবাগের একাংশ, শাজাহানপুর, শান্তিনগর, শহীদবাগ, শান্তিবাগ, ফকিরারপুল, পল্টন, মতিঝিল, টিকাটুলি, আরামবাগ, কাকরাইল, বিজয়নগর, সেগুনবাগিচা, হাইকোর্ট ভবন এলাকা, রমনা শিশু পার্ক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকা ও নিউমার্কেট।
বন্ধ থাকবে যেসব মার্কেট
মোহাম্মদপুর টাউন হল মার্কেট, কৃষি মার্কেট, আড়ং, বিআরটিসি মার্কেট, শ্যামলী হল মার্কেট, মুক্তিযোদ্ধা সুপার মার্কেট, মাজার কর্পোরেট মার্কেট, মুক্ত বাংলা শপিং কমপ্লেক্স, শাহ্ আলী সুপার মার্কেট, মিরপুর স্টেডিয়াম মার্কেট, মৌচাক মার্কেট, আনারকলি মার্কেট, আয়েশা শপিং কমপ্লেক্স, কর্ণফুলী গার্ডেন সিটি, কনকর্ড টুইন টাওয়ার, ইস্টার্ন প্লাস, সিটি হার্ট, জোনাকি সুপার মার্কেট, গাজী ভবন, পল্টন সুপার মার্কেট, স্টেডিয়াম মার্কেট-১ ও ২, গুলিস্তান কমপ্লেক্স, রমনা ভবন, খদ্দর মার্কেট, পীর ইয়ামেনি মার্কেট, বাইতুল মুকাররম মার্কেট, আজিজ কো-অপারেটিভ মার্কেট ও সাকুরা মার্কেট।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
রাজধানী
সকাল থেকে ঢাকায় নামছে ট্রাফিক পুলিশ
সোমবার (১২ আগস্ট) সকাল থেকে ট্রাফিক বিভাগের সব পর্যায়ের কর্মকর্তা কর্মস্থলে যোগ দিবেন। এমনটাই দাবি করছেন ডিএমপির দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা। এরই মধ্যে রাজধানী তেজগাঁওয়ে চারটি ও গুলশানের তিনটি স্থানে ট্রাফিক পুলিশ কাজ শুরু করেছে।
ডিএমপির ট্রাফিক বিভাগ সূত্রে জানা যায়, এই সংকটময় মুহূর্তে ট্রাফিক পুলিশ শূন্য নগরীতে ছাত্র প্রতিনিধি, সমন্বয়ক, সেনাবাহিনী, বিজিবি, ফায়ার সার্ভিস, বিএনসিসিসহ ট্রাফিক ব্যবস্থাপনায় সহযোগিতা করেছে। তাদের প্রতিনিধিদের সঙ্গে দিনভর যোগাযোগ ও সাক্ষাৎ করা হয়েছে। সোমবার থেকে পুরোদমে ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা স্বাভাবিক করার পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে ট্রাফিক বিভাগ।
এ বিষয়ে গুলশান ট্রাফিক বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) আব্দুল মোমেন বলেন, দেশের পরিস্থিতি সবার জানা। ট্রাফিকিং পুরোটাই ভেঙে পড়েছিল। অনেক পুলিশ সদস্য জীবনের নিরাপত্তাহীনতা থেকে পালিয়েছিলেন। তারা ফিরছেন। আমার বিভাগে শুরু থেকে ট্রাফিক সদস্যরা কাজে যোগ দিলেও নিরাপত্তার কারণে তারা সড়কে ছিল না।
তিনি বলেন, আইজিপি স্যারের নির্দেশে আজ গুলশানে তিনটি স্থানে পোশাকে ট্রাফিক পুলিশ সদস্যরা কাজ শুরু করেছেন। গুলশান-১, ২ ও কাকলী মোড়ে। সঙ্গে ছাত্ররা ছিলেন। কাল থেকে ট্রাফিক ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব কাঁধে নিচ্ছে ট্রাফিক বিভাগ।
এই কয়েকদিন ছাত্র-জনতা যেভাবে ট্রাফিকিংয়ের দায়িত্বটা সামলেছে সেজন্য তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন তিনি।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
রাজধানী
মেট্রোরেল চালু হবে ১৭ আগস্ট
আগামী ১৭ আগস্ট শনিবার থেকে ফের চালু হবে মেট্রোরেল চলাচল। তবে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে ক্ষতিগ্রস্ত মিরপুর-১০ ও কাজীপাড়া স্টেশন আপাতত বন্ধ থাকবে। রোববার (১১ আগস্ট) বিকেলে এক বৈঠকে এ নির্দেশনা দেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
সড়ক পরিবহন মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, আজ রোববার বিকেলে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সচিবদের বৈঠক হয়। এ বৈঠকে মেট্রোরেল চলাচলের বিষয়টি তুললে ধরেন সড়ক পরিবহন মন্ত্রণালয়ের সচিব এ বি এম আমিন উল্লাহ নুরী। এ সময় দ্রুত তা চালুর নির্দেশনা দেন প্রধান উপদেষ্টা। পরে আগামী শনিবার যাত্রী নিয়ে মেট্রোরেল চলাচলের সিদ্ধান্ত নেয় মেট্রোরেল নির্মাণ ও পরিচালনার দায়িত্বে থাকা ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড (ডিএমটিসিএল)।
ডিএমটিসিএল সূত্র জানায়, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় মেট্রোরেলের কোচ, লাইন ও সংকেত ব্যবস্থার কোনো ক্ষতি হয়নি। তবে মিরপুর-১০ ও কাজীপাড়া স্টেশনের টিকিট বিক্রি ও যাত্রীদের ভাড়া আদায় সংক্রান্ত ব্যবস্থা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এ দুটি স্টেশন বাদ দিয়ে বাকি ১৪ স্টেশনের মধ্যে মেট্রোরেল যে কোনো সময় চালু করা সম্ভব।
গত ১৮ জুলাই মিরপুর-১০ নম্বর গোলচত্বরে পুলিশ বক্সে অগ্নিসংযোগ করে দুর্বৃত্তরা। ওইদিন বিকেল ৫টায় মেট্রোরেল চলাচল বন্ধ করে দেয় কর্তৃপক্ষ। এর পরদিন মিরপুর-১০ ও কাজীপাড়া স্টেশনে ভাঙচুর করা হয়। পরে ২০ জুলাই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন ডিএমটিসিএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম এ এন ছিদ্দিক। এ সময় তিনি মিরপুর-১০ স্টেশন ঘুরে দেখেন। উপস্থিত সাংবাদিকদের জানান, ক্ষতিগ্রস্ত স্টেশন দুটি মেরামত করে পুনরায় চালু করতে এক বছরের মতো সময় লাগতে পারে।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
রাজধানী
দেশে ফিরে আওয়ামী লীগের নেতৃত্ব দিতে চান সজীব ওয়াজেদ জয়
দলের নেতা–কর্মীরা চাইলে বাংলাদেশে ফেরার এবং আওয়ামী লীগের নেতৃত্ব হাতে তুলে নেওয়ার কথা ভাববেন বলে জানিয়েছেন শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়।
গতকাল শুক্রবার ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভিকে দেওয়া এক বিশেষ সাক্ষাৎকারে জয় এ কথা বলেন। তিনি বলেন, তাঁর মা দেশ ছেড়ে যেতে চাননি এবং বাংলাদেশে ফিরে যেতে চান।
নিজের প্রধানমন্ত্রিত্বের শেষ দুই মেয়াদে শেখ হাসিনা অবসরে যেতে চেয়েছিলেন বলেও সাক্ষাৎকারে জোর দিয়ে বলেন জয়। সেই সঙ্গে তিনি তাঁর মায়ের আবার সক্রিয় রাজনীতিতে ফেরার সম্ভাবনাও উড়িয়ে দেননি।
জয় বলেন, ‘তিনি (শেখ হাসিনা) এক জায়গাতেই আছেন। তাঁর ভিসা বা আশ্রয় প্রার্থনা নিয়ে যেসব কথা বলা হচ্ছে সেগুলোর কোনোটিই সত্যি নয়।’
জয় এনডিটিভিকে বলেন, ‘আমি গতকাল (বৃহস্পতিবার) রাতে তাঁর (শেখ হাসিনা) সঙ্গে কথা বলেছি। তিনি এখনো কোনো ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা করেননি। তিনি আসলেই বাংলাদেশে ফিরে যেতে চান। সেটা হতে পারে রাজনীতিতে ফেরা অথবা অবসরের জন্য ফেরা। এটা তাঁর বাড়ি। তিনি সেখানে বড় হয়েছেন। এটাই তাঁর শেষ মেয়াদ হতো, তাঁর বয়স ৭৬ বছর। তিনি টুঙ্গিপাড়ায় তাঁর গ্রামের বাড়িতে অবসরজীবন কাটাতে চান। ওটা তাঁর স্বপ্ন। তিনি বাংলাদেশের বাইরে কোথাও অবসরজীবন কাটাতে চান না।’
জয় দাবি করেন, তাঁর মা দেশের জন্য রাজনীতি করেছেন, ক্ষমতার জন্য নয়। জয় বলেন, ‘গত দুই মেয়াদেই তিনি অবসরে যেতে চেয়েছেন। এমনকি প্রতিটি নির্বাচনের আগে তিনি আমাকে দেশে ফিরে রাজনীতিতে যোগ দেওয়ার জন্য জোরাজুরিও করেছেন। আমাদের পরিবারের কেউই ক্ষমতা বা রাজনীতির প্রতি উচ্চাকাঙ্ক্ষী ছিলেন না।’
তখন মায়ের প্রস্তাবে সাড়া না দিলেও এখন দলের নেতৃত্ব দিতে চান কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে জয় আরও বলেন, ‘আমার মনে হয়, এখন আমি এমনিতেই তা হয়ে গেছি। আমি কখনো এটা চাইনি। আমার কোনো রাজনৈতিক উচ্চাকাঙ্ক্ষা নেই। কিন্তু যখনই আমি জানতে পারলাম, আমাদের দলের নেতারা হামলার শিকার হচ্ছেন, তাঁদের বাড়ি জ্বালিয়ে দেওয়া হচ্ছে। আমি বলেছি, তাঁদের হাত আমি ছেড়ে দিতে পারি না।’
শেখ হাসিনার ছেলে বলেন, ‘আমি আমার দলের অনেক নেতার সঙ্গে যোগাযোগ রাখছি। আমাদের প্রায় সব মন্ত্রীর বাড়ি পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। আমাদের পূর্বপুরুষের বাড়িও পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে…এই পরিস্থিতিতে, যেটা দরকার আমি সেটাই করব। আওয়ামী লীগের এখনো লাখ লাখ অনুসারী রয়েছে, রাতারাতি এটা গায়েব হয়ে যেতে পারে না।’
কর্মীরাই সিদ্ধান্ত নেবেন, কে হাল ধরবে
শেখ হাসিনা দেশে যে উন্নয়নকাজ করেছেন, তাতে যখন নির্বাচন হবে আওয়ামী লীগ জিততে পারবে বলে মনে করেন জয়। বলেন, আওয়ামী লীগ গণতান্ত্রিক দলগুলোর একটি এবং নেতা–কর্মীরাই সিদ্ধান্ত নেবেন, কে দলের হাল ধরবেন।
সজীব ওয়াজেদ বলেন, ‘যদি আওয়ামী লীগের কর্মীরা আমাকে ফিরতে বলেন, আমি বিষয়টি ভেবে দেখব। এটা দলের সদস্যদের ওপর নির্ভর করছে। যদি দল চায় তিনি (শেখ হাসিনা) নেতা হন, তবে তিনি নেতা হবেন। আমরা পুরোপুরি গণতান্ত্রিক দল। কে তাদের দলের নেতৃত্ব দিতে চলেছেন, সেটা সম্পূর্ণরূপে দলের সদস্যদের ওপর নির্ভর করবে।’
এক মাসের বেশি সময় ধরে চলা আন্দোলন, বিক্ষোভ, সংঘাত ও সহিংসতার মুখে গত সোমবার (৫ আগস্ট) দেশ ছেড়ে ভারতে আশ্রয় নেন শেখ হাসিনা, সঙ্গে ছিলেন বোন শেখ রেহানা।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
রাজধানী
ঢাকার ২৯ থানার কার্যক্রম শুরু
সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধানে রাজধানী ঢাকার ২৯ থানার কার্যক্রম শুরু হয়েছে। প্রতিটি থানায় পুলিশ সদস্যদের সহায়তায় থাকছে সেনা সদস্যরা। আজ শুক্রবার (৯ আগস্ট) তেজগাঁও থানায় এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান সেনাবাহিনী ও পুলিশের কর্মকর্তারা।
সংবাদ সম্মেলনে সেনাবাহিনীর ২৫ ইস্টবেঙ্গল রেজিমেন্ট কোম্পানি অধিনায়ক মেজর সাখাওয়াত হোসেন বলেন, সেদিন (৫ আগস্ট) প্রচণ্ড জনমানুষের স্রোত ছিল। তাদের কন্ট্রোল করা কষ্টকর হয়ে যাচ্ছিল। সাধারণ মানুষের সঙ্গে দুর্বৃত্তরা যেভাবে পুলিশসহ মানুষ হত্যা করেছে, তখন আমরা ডিসিশন নিয়েছি থানা একটি গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা। পুলিশ সদস্যদের বাঁচাতে হবে। তারা জনগণের সেবক। তাদের আবার পুনর্গঠিত করার সুযোগ দিতে হবে।
মেজর সাখাওয়াত বলেন, তেজগাঁও থানায় কয়েকশ’ পরিবার আছে, পুলিশ সদস্যরা আছেন। থানায় অনেক অস্ত্র আছে। যেগুলো দুর্বৃত্তদের কাছে গেলে দেশ চরম ঝুঁকির মধ্যে পড়বে। তখন আমরা থানা নিরাপত্তায় জোরদারের ব্যবস্থা করেছি। এ ছাড়া আমরা এ এলাকায় ছাত্র-শিক্ষক, ব্যবসায়ী, স্কাউট, বিএনসিসি ও আনসার বাহিনীসহ গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের সঙ্গে সমন্বয়সভা করেছি। পুলিশ বাহিনীকে পুনর্গঠিত করতে তারা আমাদের আশ্বস্ত করেছেন।
তেজগাঁও থানার উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) এইচএম আজিমুল হক বলেন, সামরিক বাহিনীর সদস্যরা যেভাবে আমাদের পুলিশ সদস্যদের বাঁচাতে এগিয়ে এসেছেন, মানুষের জান-মাল রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন- তাদের প্রতি আমরা কৃতজ্ঞ। আজকে আমরা সামরিক বাহিনীর সহায়তায় পুলিশের সব কার্যক্রম শুরু করেছি। সব নাগরিকের কাছে অনুরোধ- আপনারা থানায় আসুন। আপনাদের সেবা দিতে আমরা প্রস্তুত।
তিনি বলেন, তেজগাঁও বিভাগে ৬টি থানার মধ্যে ৩টি থানার কার্যক্রম পুরোপুরি চালু হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত থানার স্বল্প পরিসরে কাজ চলছে। এরই মধ্যে থানাগুলোতে অনেক পুলিশ সদস্য কাজে যোগ দিয়েছেন। বাকিরাও আসতে শুরু করেছেন। আমরা আশা করছি দুপুরের মধ্যে আমাদের সব পুলিশ সদস্য কর্মস্থলে যোগ দেবেন।
তেজগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মহসীন বলেন, কিছুদিন আগেও আমরা সবাই একসঙ্গে কাজ করেছি। আজ আমাদের অনেক পুলিশ সদস্য কাছে নেই। অনেকে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। আমাদের কিছু ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার জন্য আমরা অনেক ভুল করেছি। মানুষের সঙ্গে আমাদের ভুল বোঝাবুঝি হয়েছে। আসলে আমরা জনগণের সেবক। জনগণই আমাদের মূল। আপনারা থানায় আসুন। আপনাদের সেবার আমরা প্রস্তুত রয়েছি।
এমআই