জাতীয়
পিআরও হতে তথ্য বেতারের কর্মকর্তা তৌহিদের জোর তদবির

অর্থ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টার জনসংযোগ কর্মকর্তার (পিআরও) পদ পেতে জোর তদবির চালাচ্ছেন তথ্য বেতারের কর্মকর্তা গাজী তৌহিদুল ইসলাম। যদিও এই পদে নিয়োগ পাওয়ার কথা তথ্য সাধারণ ক্যাডারের কর্মকর্তাদের। বিষয়টি নিয়ে ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ছে তথ্য ক্যাডার (সাধারণ) কর্মকর্তাদের মধ্যে। তারা মনে করেন তাদের সাথে বৈষম্য করা হচ্ছে।
জানা যায়, তথ্য বেতারের কর্মকর্তা গাজী তৌহিদুল ইসলামের গ্রামের বাড়ি গোপালগঞ্জ। ২০১৮ সালে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রেস উইং এর ক্ষমতা ব্যবহার করে ওই সময়ের পরিকল্পনা মন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের জনসংযোগ কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ পান। পরবর্তীতে তিনি অর্থ মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী হলে এখানে চলে আসেন। ২০২৪ সালে সরকার গঠনের পর নতুন অর্থমন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পান আবুল হাসান। মন্ত্রী পরীবর্তন হলেও পরীবর্তন হয়নি গাজী তৌহিদুল ইসলামের পদ।
বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের মুখে পদত্যাগ করে চলে দেশ ছাড়েন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। গঠিত হয় নতুন সরকার। নতুন অন্তবর্তীকালীন সরকারের অর্থ ও পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পেয়েছেন চৌকশ অর্থনীতিবিদ ড. সালেহ উদ্দিন।
অভিযোগ আছে, তাকে এই মন্ত্রণালয়ের পিআরও বানাতে ইতোমধ্যে অর্থ মন্ত্রণালয়ের একটি চক্র জোর তদবির করে অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহ উদ্দিন এর কাছ থেকে ডিও লেটার নিয়েছেন।
অর্থ উপদেষ্টা তার চিঠিতে উল্লেখ করেছেন, বিসিএস (তথ্য) ক্যাডারের কর্মকর্তা বাংলাদেশ বেতারের উপপরিচালক গাজী তৌহিদুল ইসলাম অর্থমন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা হিসেবে কর্মরত ছিলেন। তাকে পুনরায় অর্থমন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা (পিআও) হিসেবে পদায়নের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য আপনাকে অনুরোধ করছি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে গাজী তৌহিদুল ইসলাম বলেন, প্রথমত, এটা তথ্য ক্যাডারের পদ। এটা কোনো বেতার বা পিআইডির পদ নয়। লাস্ট যে অর্ডার হয়েছে সেখানে বেতারের ২০ জন আছে। তারা কি কোনো গ্রাউন্ড ছাড়া হয়েছে? সরকারি বিষয় কি এভাবে সম্ভব? আর দ্বিতীয়ত, ইনফরমেশন ক্যাডারের দুইটা ভাগ। একটা হল জেনারেল আর আরেকটি হল টেকনিক্যাল ক্যাডার। টেকনিক্যাল ক্যাডার যারা তারা হল রেডিওর ইঞ্জিনিয়ার। আর ইনফরমেশন জেনারেলের তিনটা ভাগ রয়েছে। একটা হল তথ্য অফিসার, আরেকটি হল অনুষ্ঠান ও অপরটি হল বার্তা। এই জেনারেলের তিনটা ভাগ থেকেই তারা পাবলিক রিলেশনে কাজ করে।
আর অভিযোগের বিষয়ে তিনি বলেন, সবগুলো অভিযোগ ভিত্তিহীন। আমার বিরুদ্ধে একটি চক্র এসব করছে। একজন পিআরও এর ক্ষমতা কতটুকু? একজন পিআরও কি দুর্নীতিবাজদেরকে বাচাতে পারে? আর আমি নিজে কখনো কোনো অনিয়মে জড়িত ছিলাম না।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

জাতীয়
রাশিয়া ও ক্রোয়েশিয়া সফর শেষে দেশে ফিরলেন সেনাপ্রধান

রাশিয়া ও ক্রোয়েশিয়া সফর শেষে দেশে ফিরেছেন বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান।
শনিবার (১২ এপ্রিল) বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজ থেকে এক পোস্টের মাধ্যমে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে জানানো হয়, সফরকালে সেনাবাহিনী প্রধান রাশিয়া ও ক্রোয়েশিয়ার বিভিন্ন সামরিক ও বেসামরিক উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ ও বৈঠক করেন। রাশিয়ার সেনাবাহিনী প্রধান, ডেপুটি ডিফেন্স মিনিস্টার এবং ক্রোয়েশিয়ান সশস্ত্র বাহিনীর প্রধানসহ গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন তিনি।
এর মধ্যে গত ৭ এপ্রিল রাশিয়ার উপ-প্রতিরক্ষা মন্ত্রী জেনারেল আলেকজান্ডার ফোমিনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান। এ সময় দুদেশের সেনাবাহিনীর স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয়, যেমন প্রশিক্ষণ সহযোগিতা, দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক উন্নয়ন, রাশিয়ায় দক্ষ জনশক্তি রপ্তানি, উচ্চশিক্ষা, আঞ্চলিক নিরাপত্তা এবং যৌথ প্রশিক্ষণ নিয়ে আলোচনা হয় দুজনের মধ্যে।
পরদিন, ৮ এপ্রিল, রাশিয়ান সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল ওলেগ সালিউকভের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্রধান। বৈঠকে প্রতিরক্ষা সহযোগিতা চুক্তি, প্রশিক্ষণ বিনিময়, সামরিক প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে শিক্ষার্থী ও প্রশিক্ষকের আদান-প্রদান, এবং যৌথ সামরিক মহড়া সংক্রান্ত ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা করেন দুজন।
এছাড়া, রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় জ্বালানি সংস্থা ‘রোসাটম’-এর মহাপরিচালকের সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি। সেখানে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পের নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ এবং নির্ধারিত সময়ে জাতীয় গ্রিডে বিদ্যুৎ সংযুক্তি বিষয়ে আলোচনা হয় দুজনের মধ্যে।
‘রোস্টেক’ ও ‘রোজোবোরন এক্সপোর্ট’-এর শীর্ষ কর্মকর্তাদের সঙ্গেও বৈঠক করেন সেনাপ্রধান। এতে দুই দেশের মধ্যে সামরিক সহযোগিতা আরও গতিশীল করার বিষয়ে ফলপ্রসূ আলোচনা হয়।
১০ এপ্রিল, ক্রোয়েশিয়া সফরের সময় দেশটির সশস্ত্র বাহিনীর প্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল তিহোমির কুন্দিদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান। বৈঠকে প্রতিরক্ষা সহযোগিতা, সামরিক সক্ষমতা বৃদ্ধি, সম্ভাব্য প্রতিরক্ষা শিল্প স্থাপন, যৌথ সামরিক মহড়া এবং ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা হয় তাদের মধ্যে।
উল্লেখ্য, ৬ এপ্রিল সেনাপ্রধান রাশিয়া সফরে রওনা হন এবং পরে ১০ এপ্রিল সেখান থেকে তিনি ক্রোয়েশিয়ায় যান।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
আগে দেশের মানুষকে ইলিশ খাওয়াতে হবে: মৎস্য উপদেষ্টা

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার বলেছেন, মৌসুমে বাংলাদেশ থেকে এক বিলিয়ন ডলারের বেশি ইলিশ রপ্তানি করা যেতে পারে। আমরাও ইলিশ রপ্তানি করে বৈদেশিক মুদ্রা আনতে পারি। তবে আগে আমাদের দেশের মানুষকে ইলিশ খাওয়াতে হবে। এবার জুন মাসের পরে যখন ইলিশ বাজারে আসবে, তখন যেন দামটা ঠিক থাকে-সেদিকে নজর রাখতে হবে। তা না হলে জনগণ আমাকে ক্ষমা করবে না।
আজ শনিবার বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিল অডিটোরিয়ামে (বিএআরসি) আয়োজিত এক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন উপদেষ্টা।
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা বলেন, ‘আমরা যদি যথেষ্ট সচেতনতা সৃষ্টি করতে পারি, তাহলে ইলিশের উৎপাদন বাড়বে। আর ৯৫ ভাগ জেলেরা যদি ইলিশ ধরা বন্ধের সময় তারা না ধরেন, তাহলে কেন আমরা বাকি কাজটা করতে পারব না। সরকারের সহায়তা যেন জেলেরাই পায়, সেটা নিশ্চিত করতে হবে। এটা এলাকাভিত্তিক করতে হবে।’
ফরিদা আখতার আরও বলেন, ‘ইলিশ শুধু জালের কারণে নষ্ট হচ্ছে। এটা নিয়ে অভিযান চলছে, অনেক কারখানা বন্ধ করা হয়েছে। মুন্সীগঞ্জে জালের কারখানা রয়েছে। সেখানে বৈধ ও অবৈধ জাল তৈরি হয়। এজন্য অবৈধ জাল তৈরি বন্ধ করতে হবে, কারখানা নয়। এক্ষেত্রে মুন্সীগঞ্জের জেলা প্রশাসক আন্তরিক আছেন।’
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
পৃথক সচিবালয়ের জন্য অধ্যাদেশ তৈরির কাজ চলছে: প্রধান বিচারপতি

প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদ বলেছেন, বিচার বিভাগের জন্য পৃথক সচিবালয় তৈরির বিষয়ে আইন মন্ত্রণালয় উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি অর্জন করেছে এবং এ-সংক্রান্ত অধ্যাদেশ প্রস্তুতের কাজ দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলছে।
শনিবার খুলনার একটি হোটেল ‘জুডিসিয়াল ইন্ডিপেন্ডেন্স অ্যান্ড এফিসিএন্সি ইন বাংলাদেশ’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি। সুপ্রিম কোর্ট ও ইউনাইটেড নেশনস ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রামের (ইউএনডিপি) যৌথ উদ্যোগে এ আয়োজন করা হয়।
প্রধান বিচারপতি তার বক্তব্যে ন্যায়বিচার ও আইনের শাসন নিশ্চিত করতে বিচার বিভাগের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকার প্রসঙ্গ তুলে ধরেন এবং তার ঘোষিত বিচার বিভাগ সংস্কারের রোডম্যাপ বাস্তবায়নের অগ্রগতির বিবরণ তুলে ধরেন।
তিনি বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারের সক্রিয়তার কারণেই দ্রুততম সময়ে উচ্চ আদালতের বিচারক নিয়োগের জন্য অধ্যাদেশ প্রণয়ন সম্ভব হয়েছে। রোডম্যাপ কর্মসূচির সফল বাস্তবায়নে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট ও অন্তর্বর্তী সরকার নিবিড়ভাবে কাজ করছে।
ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদ বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে সরকারের সহযোগিতায় দেশের আদালতগুলোতে বিরাজমান মামলাজট নিরসনে বিভিন্ন স্তরে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক বিচারকের পদ তৈরি হয়েছে, যা অদূর ভবিষ্যতে মামলাজট নিরসনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
বিশেষায়িত বাণিজ্যিক আদালত তৈরির জন্য প্রাথমিক কাজ ইতোমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে বলে তিনি জানান।
প্রধান বিচারপতি বলেন, কক্সবাজারে সুপ্রিম কোর্ট রিসার্চ ইনস্টিটিউট দ্রুত চালু করার বিষয়ে দুটি বিশেষ কমিটি নিরবচ্ছিন্নভাবে কাজ করে যাচ্ছে।
জুলাই বিল্পবের পর বাংলাদেশের বিচার বিভাগ নতুন যাত্রা শুরু করেছে উল্লেখ করে ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদ বলেন, দেশের বিভাগীয় পর্যায়ে অনুষ্ঠিত সেমিনারগুলো থেকে রোডম্যাপ বাস্তবায়নের বিষয়ে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিষয় উঠে এসেছে এবং ওই মতামতগুলো অন্তর্ভুক্ত করে শিগগিরই বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট দেশের বিচার বিভাগের সার্বিক আধুনিকায়নে একটি স্ট্রাটেজিক প্লান তৈরির কাজ শুরু করবে। ওই স্ট্রাটেজিক প্লানের সফল বাস্তবায়নের মাধ্যমে জুলাই বিল্পবোত্তর বাংলাদেশের বিচার বিভাগ যে নতুন যাত্রা শুরু করেছে তা পূর্ণতা পাবে এবং জনগণ বিচার বিভাগের ওপর হারানো আস্থা ফিরে পাবে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
এ সরকারের আমলেই বিচার বিভাগের সব সংস্কারের চেষ্টা করা হবে: আইন উপদেষ্টা

অন্তরবর্তী সরকারের আমলেই বিচারক সঙ্কট নিরসন, অবকাঠামোগত উন্নয়নসহ প্রয়োজনীয় সব সংস্কার করা হবে বলে জানিয়েছেন আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল।
শনিবার (১২ এপ্রিল) সকালে বান্দরবান জেলা ও দায়রা জজ আদালত সম্প্রসারণের জন্য ভবন নির্মাণের জায়গা পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।
আসিফ নজরুল বলেন, প্রতিটি জেলায় এজলাস সঙ্কট বিচারক সঙ্কট এগুলো কমন বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। বান্দরবানে যে কোর্ট আছে সেখানে জায়গার সংকুলান হয় না। যার কারণে মামলা যারা করে ও বিচার প্রত্যাশীদের অনেক কষ্ট হচ্ছে। এখানে ম্যাজিস্ট্রেট কোট হবে। কিন্তু একটা নতুন বিল্ডিং করলে বিভিন্ন দিক থেকে আপত্তি আসে। আইনজীবীদের মধ্যেও আপত্তি আছে। তারপরও আমরা সামগ্রিকভাবে উপকার যদি বেশি হয় অপকারের চেয়ে তাহলে দ্রুত সময়ে বিল্ডিং নির্মাণের কাজ শুরু করবো। এছাড়াও আমরা অন্তর্বর্তী সরকারের আমলেই এগুলো সমাধান করে দেয়ার চেষ্টা চালিয়ে যাবো।
পরিদর্শন শেষে উপদেষ্টা বান্দরবান জেলা ও দায়রা জজ আদালতের মিলনায়তনে বিচারক ও প্রশাসনের কর্মকর্তাদের সাথে এক মতবিনিময় সভায় মিলিত হন। এসময় জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসনসহ প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, শুক্রবার আইন উপদেষ্টা ২ দিনের সফরে পার্বত্য জেলা বান্দরবানে আসেন। এ সময় তিনি নীলগিরি পর্যটন কেন্দ্রে রাত্রিযাপন করেন। শনিবার জজ কোর্টের ভবন নির্মাণের জায়গা পরিদর্শন শেষে ঢাকা ফিরে যান।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
বিভিন্ন খাতে বাংলাদেশি কর্মী নিয়োগ দিতে স্লোভাকিয়াকে আহ্বান

মোটরগাড়ি শিল্পসহ বিভিন্ন খাতে প্রচুর সংখ্যক বাংলাদেশি কর্মী নিয়োগ এবং বাংলাদেশিদের জন্য দেশটির ভিসা সহজতর করতে স্লোভাকিয়াকে আহ্বান জানিয়েছে বাংলাদেশ।
শুক্রবার (১১ এপ্রিল) তুরস্কে ‘আন্টালিয়া কূটনৈতিক ফোরামের’ ফাঁকে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন এবং তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা মো. মাহফুজ আলমের সঙ্গে স্লোভাকিয়ার পররাষ্ট্র ও ইউরোপীয় বিষয়ক মন্ত্রী জুরাজ ব্লানারের এক বৈঠকে এ আহ্বান জানানো হয়।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, বৈঠকে উভয়পক্ষ অভিন্ন মূল্যবোধ, নীতি এবং পারস্পরিক বোঝাপড়ার ওপর ভিত্তি করে গড়ে ওঠা বাংলাদেশ ও স্লোভাকিয়ার মধ্যকার সম্পর্ক আরও জোরদার করার বিষয়ে গুরুত্বারোপ করে। এ সময় তারা বিভিন্ন বিষয়ের অভিন্ন স্বার্থে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক জোরদারের প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেন।
পররাষ্ট্র উপদেষ্টা দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য, বিনিয়োগ এবং অর্থনৈতিক সাহায্যের ক্ষেত্রে সহযোগিতা বৃদ্ধির প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেন। তিনি বিনিয়োগের গন্তব্য হিসেবে বাংলাদেশের সম্ভাবনা সম্পর্কে স্লোভাকিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে অবহিত করেন এবং বাণিজ্য ও বিনিয়োগের সম্ভাবনা খুঁজে বের করার জন্য বাংলাদেশে স্লোভাক প্রতিনিধিদল পাঠানোর আহ্বান জানান।
স্লোভাক বিভিন্ন খাতে বাংলাদেশি কর্মী নিয়োগের জন্য ইউরোপীয় ইউনিয়নের ‘ট্যালেন্ট পার্টনারশিপ’ মডেল অনুসরণ করতে পারে বলে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা প্রস্তাব দেন।
বৈঠকে বিভিন্ন বহুপাক্ষিক ফোরামে সহযোগিতা বৃদ্ধির উপায় নিয়েও আলোচনা হয়।