আইন-আদালত
শপথ নিলেন আপিল বিভাগে নবনিযুক্ত চার বিচারপতি

সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের নবনিযুক্ত চার বিচারপতি শপথগ্রহণ করেছেন। মঙ্গলবার (১৩ আগস্ট) সুপ্রিম কোর্টের জাজেজ লাউঞ্জে প্রধান বিচারপতি সৈয়দ ইশতিয়াক আহমেদ আপিল বিভাগের চার নবনিযুক্ত বিচারককে শপথবাক্য পাঠ করান।
শপথগ্রহণ করা আপিল বিভাগের চার বিচারপতি হলেন, বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরী, বিচারপতি সৈয়দ মোহাম্মদ জিয়াউল করিম, বিচারপতি মো. রেজাউল হক ও বিচারপতি এস এম এমদাদুল হক।
এর আগে সকাল সাড়ে ১০টায় কোরআন তিলাওয়াতের মাধ্যমে শপথ অনুষ্ঠান শুরু হয়। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল আজিজ আহমদ ভূঞা।
শপথ অনুষ্ঠানে সুপ্রিম কোর্টের আপিল ও হাইকোর্ট উভয় বিভাগের বিচারপতিরা উপস্থিত ছিলেন। এ সময় সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি এবং অন্যান্যরাও উপস্থিত ছিলেন।
সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগে কর্মরত চার বিচারপতিকে আপিল বিভাগের বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। সোমবার (১২ আগস্ট) রাতে এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করে আইন মন্ত্রণালয়।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, রাষ্ট্রপতি সংবিধানের ৯৫ (১) অনুচ্ছেদের ক্ষমতাবলে সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগে কর্মরত চারজন বিচারককে তাদের শপথগ্রহণের তারিখ থেকে আপিল বিভাগের বিচারক হিসেবে নিয়োগ দিয়েছেন। শপথগ্রহণের দিন থেকে এই নিয়োগ কার্যকর হবে বলে প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়।
চার বিচারপতি নিয়োগ কার্যকরের মধ্য দিয়ে আপিল বিভাগে বিচারপতির সংখ্যা দাঁড়ালো ৬ জনে।
শিক্ষার্থীদের দাবির মুখে গত শনিবার (১০আগস্ট) দেশের ২৪তম প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান এবং আপিল বিভাগের পাঁচ বিচারপতি পদত্যাগ করেন। পদত্যাগের আগে আপিল বিভাগে বিচারপতির সংখ্যা ছিল ৭। শনিবার রাতে দেশের ২৫তম প্রধান বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ পান হাইকোর্ট বিভাগের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ। পরদিন রোববার (১২ আগস্ট) প্রধান বিচারপতি হিসেবে শপথ নেন তিনি।
বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরী ২০০৩ সালের ২৭ আগস্ট হাইকোর্ট বিভাগের অতিরিক্ত বিচারক হিসেবে নিয়োগ পান। দুই বছর পর ২০০৫ সালের ২৭ আগস্ট হাইকোর্ট বিভাগের স্থায়ী বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ পান তিনি।
বিচারপতি সৈয়দ মোহাম্মদ জিয়াউল করিম, বিচারপতি মো. রেজাউল হক ও বিচারপতি এস এম এমদাদুল হক ২০০৪ সালের ২৩ আগস্ট হাইকোর্ট বিভাগের অতিরিক্ত বিচারক হিসেবে নিয়োগ পান। দুই বছর পর ২০০৬ সালের ২৩ আগস্ট এই তিন বিচারপতি হাইকোর্ট বিভাগের স্থায়ী বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ পান।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

আইন-আদালত
হাসিনা পরিবারের ১৬ কোটি টাকা ফ্রিজ

দুর্নীতির অভিযোগ থাকায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, তার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয় ও মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুল এবং ছোট বোন শেখ রেহানার স্বার্থ-সংশ্লিষ্ট জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেমোরিয়াল ট্রাস্টের একটি ব্যাংক হিসাব ফ্রিজ করার আদেশ দিয়েছেন আদালত। ওই হিসাবে ১৬ কোটি ১২ লাখ ৫০ হাজার টাকার ফিক্সড ডিপোজিট রয়েছে।
বুধবার (৯ এপ্রিল) দুর্নীতি দমন কমিশনের আবেদনের প্রেক্ষিতে ঢাকার মেট্রোপলিটন সিনিয়র স্পেশাল জজ জাকির হোসেন গালিবের আদালত এ আদেশ দেন।
দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা আকতার হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
দুদকের পক্ষে সংস্থাটির উপপরিচালক মো. মনিরুল ইসলাম ব্যাংক অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ চেয়ে আবেদন করেন।
আবেদনে বলা হয়, অনুসন্ধানকালে দেখা যায় অভিযোগ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি শেখ হাসিনা, তার ছেলে সজিব আহমেদ ওয়াজেদ (জয়), মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ, তার ছোট বোন রেহানা সিদ্দিক ও তাদের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বর্ণিত অ্যাকাউন্টের অস্থাবর সম্পদসমূহ অন্যত্র হস্তান্তর, স্থানান্তর বা বেহাত করার চেষ্টা করছেন। সুষ্ঠু অনুসন্ধানের স্বার্থে ওই অ্যাকাউন্টটি অবিলম্বে অবরুদ্ধ করা আবশ্যক।
শুনানি শেষে বিচারক আবেদনটি মঞ্জুর করে ব্যাংক হিসাবটি ফ্রিজ করার আদেশ দেন।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আইন-আদালত
ম্যাক্স ও তমা গ্রুপের চেয়ারম্যানের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা

অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ থাকায় ম্যাক্স গ্রুপের চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ, তার স্ত্রী কানিজ ফাতেমা ও তমা গ্রুপের চেয়ারম্যান মো. আতাউর রহমান ভূঁইয়া, তার মেয়ে রাসনাত তারিন রহমান, ছেলে মুকিতুর রহমানের বিদেশ গমনে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন আদালত।
মঙ্গলবার (৮ এপ্রিল) দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকার মেট্রোপলিটন সিনিয়র স্পেশাল জজ জাকির হোসেন গালিবের আদালত শুনানি শেষে এ আদেশ দেন। দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা আকতারুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
নিষেধাজ্ঞার আবেদনে বলা হয়, ম্যাক্স গ্রুপ ও তমা গ্রুপের পরিচালকদের বিরুদ্ধে অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে নিম্নমানের নির্মাণ সামগ্রী ব্যবহার, বিভিন্ন যন্ত্রপাতি আমদানির নামে ভুয়া এলসি খুলে বিদেশে টাকা পাচার এবং এনআরবি গ্লোবাল ব্যাংক থেকে শত শত কোটি টাকা ঋণ নিয়ে আত্মত্মসাতের অভিযোগ অনুসন্ধানাধীন রয়েছে। অনুসন্ধানের বিষয়টি রাষ্ট্রের স্বার্থে মানিলন্ডারিং প্রতিরোধে অতীব গুরুত্বপূর্ণ। অনুসন্ধানকালে জানা যায় যে, অভিযোগ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বিদেশে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছেন।
ম্যাক্স গ্রুপের চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা
তাদের অনেকেরই বাংলাদেশ ছাড়াও অন্য দেশের নাগরিকত্ব থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। তার মধ্যে গোলাম মোহাম্মদ বিদেশ গমনকালে এয়ারপোর্ট থেকে বিদেশি পাসপোর্টসহ গ্রেপ্তার হয়েছিলেন। তারা বিদেশে পালিয়ে গেলে অনুসন্ধান কার্যক্রম দীর্ঘায়িত বা ব্যাহত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলেও আবেদনে উল্লেখ করা হয়।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আইন-আদালত
আওয়ামীপন্থি ৯৩ আইনজীবীর আদালতে আত্মসমর্পণ

বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন কেন্দ্রিক হামলা, ভাঙচুর ও হত্যাচেষ্টার দায়ে রাজধানীর কোতোয়ালি থানার মামলায় আওয়ামীপন্থি ৯৩ আইনজীবী আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করেছেন।
রোববার (৬ এপ্রিল) ঢাকা মহানগর দায়রা জজ জাকির হোসেন গালিবের আদালতে আইনজীবীর মাধ্যমে তারা জামিন চেয়ে আবেদন করেন। আজ দুপুর ২টার দিকে এ বিষয়ে শুনানি অনুষ্ঠিত হবে।
তাদের মধ্যে রয়েছেন, ঢাকা বারের সাবেক সভাপতি আবু সাইদ সাগর, সাইদুর রহমান মানিক, গাজী শাহ আলম, মাহবুবুর রহমান, আসাদুজ্জামান রচি, সাইবার ট্রাইব্যুনালের সাবেক পিপি নজরুল ইসলাম শামিম, মোরশেদ হোসেন শাহীনসহ ৯৩ জন।
মামলার আসামি আইনজীবী মোরশেদ হোসেন শাহীন এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, আমি আওয়ামী লীগের শতাধিক নেতাকর্মীর আইনজীবী হিসেবে মামলা পরিচালনা করেছি। এ কারণে আমার বিরুদ্ধে এ মামলা দেওয়া হয়েছে। আমি মনে করি, এটা আইনের শাসন ও ন্যায়বিচারের পরিপন্থি হয়েছে।
জানা গেছে, বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে চলাকালে ৪ আগস্ট আদালত প্রাঙ্গণে আইনজীবীদের ওপর হামলা, চেম্বার ভাঙচুর ও হত্যাচেষ্টার ঘটনায় আওয়ামীপন্থি ১৪৪ জন আইনজীবীর বিরুদ্ধে ৬ ফেব্রুয়ারি ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা করেন আইনজীবী সমিতির কার্যনির্বাহী সদস্য মোহাম্মদ আলী বাবু। আদালত বাদীর জবানবন্দি রেকর্ড করে অভিযোগটি কোতোয়ালি থানায় এজাহার হিসেবে গ্রহণ করার আদেশ দেন।
মামলা দায়েরের এ ঘটনায় হাইকোর্ট থেকে ৮ সপ্তাহের আগাম জামিন নেন ১১৫ জন। আগামীকাল ৭ এপ্রিল তাদের জামিনের মেয়াদ শেষ হবে।
এ মামলার অন্যতম আসামিরা হলেন- আওয়ামী লীগের আইনবিষয়ক সম্পাদক কাজী নজিবুল্লাহ হিরু, ঢাকা মহানগর আদালতের সাবেক পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) মো. আব্দুল্লাহ আবু, আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি মোহাম্মদ মোখলেছুর রহমান বাদল, মো. সাইদুর রহমান মানিক, মো. মিজানুর রহমান মামুন, আব্দুর রহমান হাওলাদার, গাজী মো. শাহ আলম, আব্দুল বাতেন, মাহবুবুর রহমান, সাবেক সাধারণ সম্পাদক খন্দকার গোলাম কিবরিয়া জুবায়ের, মোহাম্মদ আনোয়ার শাহাদাৎ শাওন, মো. ফিরোজুর রহমান মন্টু, মো. আসাদুজ্জামান খান রচি ও সাবেক সংসদ সদস্য সানজিদা খানম।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, বৈষম্য বিরোধী আন্দোলন চলাকালে গত বছরের ৪ আগস্ট দুপুরে আসামিরা ঢাকা আইনজীবী সমিতির সম্মুখ থেকে বেআইনি জনতাবদ্ধে আবদ্ধ হয়ে অস্ত্র, লাঠিসোঁটা নিয়ে আতঙ্ক সৃষ্টি করেন। তারা বোমা বিস্ফোরণ ঘটিয়ে ‘শেখ হাসিনার ভয় নাই, রাজপথ ছাড়ি নাই’ বলে স্লোগান দিতে থাকেন।
এ সময় ভুক্তভোগী আইনজীবী মামলা শুনানি শেষে করে ঢাকা আইনজীবী সমিতি ভবনের সামনে আসেন। তখন আসামি আনোয়ার শাহাদাৎ শাওন হেলমেট পরে হত্যার উদ্দেশ্যে তার দিকে গুলি তাক করেন।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আইন-আদালত
ইভ্যালির রাসেল-শামীমার ৩ বছরের কারাদণ্ড

প্রতারণার মামলায় ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মোহাম্মদ রাসেল ও তার স্ত্রী চেয়ারম্যান শামীমা নাসরিনকে ৩ বছর করে সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। দণ্ডের পাশাপাশি প্রত্যেককে ৫ হাজার টাকা করে অর্থদণ্ড, অনাদায়ে আরও ছয় মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
আজ রবিবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. মিনহাজুর রহমান এ রায় দেন।
বাদীপক্ষের আইনজীবী সাকিবুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, আসামিরা পলাতক রয়েছেন। আদালত তাদের বিরুদ্ধে সাজা পরোয়ানাসহ গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, ইভ্যালী বিভিন্ন মাধ্যমে চমকপ্রদ বিজ্ঞাপন দিয়ে বিভিন্ন পণ্য বিক্রয় করে। এতে আকৃষ্ট হয়ে মুজাহিদ হাসান ফাহিম তাদের প্রতিষ্ঠান থেকে ২০২১ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি ইয়ামাহা আর ওয়ান ফাইভ বাইক অর্ডার করেন। যার মূল্য পরিশোধ করেন। তবে কর্তৃপক্ষ ৪৫ দিনের মধ্যে বাইকটি সরবরাহ করতে ব্যর্থ হয়। পরে তিনি ধানমন্ডি অফিসে যোগাযোগ করেন। কর্তৃপক্ষ পাঁচ লাখ টাকার চেক প্রদান করে। তবে ব্যাংক হিসাবে পর্যাপ্ত পরিমাণ অর্থ না থাকায় চেকটি নির্ধারিত তারিখে ব্যাংকে জমা না দিতে অনুরোধ করেন। আসামিদের কথা বিশ্বাস করে তিনি চেকটি ব্যাংকে জমা দেননি। পরবর্তী সময়ে বাদী টাকা আদায়ের জন্য তাগাদা দিতে থাকেন। তবে তারা কোনো টাকা তাকে ফেরত দেননি। এর পর লিগ্যাল নোটিশ পাঠিয়েও কাজ হয়নি।
এ ঘটনায় মুজাহিদ হাসান ফাহিম ২০২৪ সালের জানুয়ারি মাসে আদালতে রাসেল ও শামীমার বিরুদ্ধে মামলা করেন।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আইন-আদালত
সুপ্রিম কোর্ট সচিবালয় প্রতিষ্ঠার দ্বারপ্রান্তে রয়েছে: প্রধান বিচারপতি

বাংলাদেশের বিচার বিভাগ সুপ্রিম কোর্ট সচিবালয় প্রতিষ্ঠার দ্বারপ্রান্তে রয়েছে। প্রস্তাবিত সুপ্রিম কোর্ট সচিবালয় বিচারিক নীতি প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন, পর্যাপ্ত বাজেট বরাদ্দ ও অবকাঠামো উন্নয়ন এবং বিচারকদের বদলি ও পদোন্নতিতে স্বচ্ছতা নিশ্চিত করবে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদ।
শনিবার ( ৫ এপ্রিল) রংপুরের গ্র্যান্ড প্যালেস হোটেলে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট ও জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচির (ইউএনডিপি) যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত এক সেমিনারে তিনি এ কথা বলেন।
সৈয়দ রেফাত আহমেদ বলেন, পৃথক সচিবালয় বিচার বিভাগের প্রাতিষ্ঠানিক স্বাধীনতা ও স্বায়ত্তশাসন নিশ্চিত করতে সহায়ক হবে।
তিনি আরও বলেন, বিচারিক সংস্কার শুধু বিভিন্ন খাতভিত্তিক সংস্কারের স্থায়িত্বের মূল চাবিকাঠিই নয়, বরং এটি এখন নিজেই ‘সংস্কার’ শব্দের প্রতীক হয়ে উঠেছে।
বিচার বিভাগ হলো রাষ্ট্রের একমাত্র অঙ্গ, যা বহু দশক ধরে নিজের অভ্যন্তরীণ সংস্কারের জন্য সক্রিয়ভাবে প্রচেষ্টা চালিয়ে আসছে জানিয়ে প্রধান বিচারপতি বলেন, এই দাবির কেন্দ্রে রয়েছে নিজেদের সংস্কার কর্মসূচি নিজেরাই নির্ধারণ ও বাস্তবায়নের ক্ষমতা ও কর্তৃত্ব। গত আট মাসে এই প্রচেষ্টা অভূতপূর্ব গতি অর্জন করেছে।
তিনি বলেন, এখন লক্ষ্য হলো সেই উদ্দেশ্য পূরণ করা এবং তা যেন ভবিষ্যতেও টিকে থাকে, তা নিশ্চিত করা।
সৈয়দ রেফাত আহমেদ বলেন, একটি প্রতিষ্ঠান হিসেবে, আমরা কখনও ক্ষমতার পূর্ণ পৃথকীকরণের লক্ষ্যের এতটা কাছাকাছি আসিনি। যদি এই সুযোগ কোনোভাবে নষ্ট হয়, তবে তা বিচার বিভাগের মর্যাদা, অখণ্ডতা এবং প্রাসঙ্গিকতার জন্য চরম ক্ষতিকর হবে।
এ সময় বিচার বিভাগ সংস্কারকে অর্থবহ ও ফলপ্রসূ করার জন্য দেশের সব পর্যায়ের বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তাদের নিজ নিজ অবস্থান থেকে দায়িত্ব গ্রহণেরও আহ্বান জানান প্রধান বিচারপতি।
হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি জাফর আহমেদের সভাপতিত্বে সেমিনারে স্বাগত বক্তব্য দেন ইউএনডিপি বাংলাদেশের আবাসিক প্রতিনিধি স্টেফান লিলার। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশে নিযুক্ত যুক্তরাজ্যের হাইকমিশনার সারাহ কুক।
সেমিনারে রংপুর, কুড়িগ্রাম ও লালমনিরহাট জেলায় কর্মরত বিভিন্ন পর্যায়ের বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তারা অংশ নেন। এ ছাড়া রংপুর জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক, পাবলিক প্রসিকিউটরসহ অন্যান্য আমন্ত্রিত অতিথিরা অংশগ্রহণ করেন।