ব্যাংক
ইউসিবিতে বিক্ষোভ, পরিচালনা পর্ষদের পদত্যাগের দাবি
![ইউসিবিতে বিক্ষোভ, পরিচালনা পর্ষদের পদত্যাগের দাবি সিএপিএম](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2024/08/ucb1.jpg)
বেসরকারি ব্যাংকিং প্রতিষ্ঠান ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংকে (ইউসিবি) পরিবারতন্ত্র, দুর্নীতি, অর্থপাচার বন্ধসহ বেশ কিছু দাবিতে বিক্ষোভ করেছেন ব্যাংকটির শেয়ারহোল্ডার, আমানতকারী ও কর্মকর্তারা। একইসাথে বর্তমান পরিচালনা পর্ষদের অবিলম্বে পদত্যাগের জোর দাবি জানিয়েছেন তারা।
বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) ইউসিবির প্রধান কার্যালয়ের সামনে এ বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রায় ২০০ জন শেয়ারহোল্ডার, আমানতকারী ও ব্যাংক কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
বিক্ষোভকারীরা জানান, সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী ও তার সহযোগীদের ব্যাপক আত্মসাৎ ও অপকর্মে ইউসিবির আর্থিক কাঠামো ভেঙে পড়েছে। তিনি সময় বাড়ার সাথে ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদে নিজের আত্মীয় স্বজনকে যুক্ত করেছেন। এদের মাধ্যমে ব্যাংক থেকে নানান কৌশলে প্রায় ১২ হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচার করেছেন। ইউসিবি থেকে এসব পরিবারতন্ত্র ও দুর্নীতি শিগগিরই দূর করতে হবে।
পাশাপাশি বর্তমান পরিচালনা পর্ষদ সদস্যদের দ্রুত তাদের পদ থেকে পদত্যাগের দাবি জানিয়েছেন তারা।
এর আগে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে জানা যায়, প্রায় ২০০ মিলিয়ন পাউন্ড মূল্যের ৩৫০টিরও বেশি সম্পত্তি নিয়ে যুক্তরাজ্যে রিয়েল এস্টেট সাম্রাজ্য গড়ে তুলেছেন সাবেক আওয়ামী সংসদ সদস্য ও ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী। যার ৯০ ভাগই ছিল সদ্য তৈরি নতুন বাড়ি। শুধু যুক্তরাজ্য নয়, দুবাই, তুর্কি, সিঙ্গাপুরেও কোটি কোটি টাকার সম্পত্তি গড়েছেন এই সাবেক এই মন্ত্রী। নিজের ক্ষমতা ও প্রতিপত্তি দেখিয়ে তিনি এসব সম্পদ গড়তে ব্যাংক থেকে অন্তত ১২ হাজার কোটি টাকা অর্থপাচার করেছেন।
বিক্ষোভে আসা এক শেয়ারহোল্ডার বলেন, ইউসিবির প্রতিষ্ঠাকালীন পরিচালনা পর্ষদ বেশ সৎ এবং স্বচ্ছ ছিলেন। ফলে বছর শেষে ইউসিবি থেকে ৩০-৪০ শতাংশ লভ্যাংশ পাওয়া যেত। কিন্তু সাইফুজ্জামান প্রতিষ্ঠাকালীন পরিচালনা পর্ষদ সরিয়ে নিজের স্ত্রী রুখমিলা জামানকে চেয়ারম্যান এবং রনি জামানকে নির্বাহী কমিটির চেয়ারম্যান করেন। এমনকি তিনি সরকারের একটি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে থেকে বোর্ড সভায় সভাপতিত্ব করতেন। পর্যায়ক্রমে তাদের আত্মীয়দের মাধ্যমে ব্যাংক থেকে বেনামে ঋণ, অর্থপাচার বাড়তে থাকে। এতে লভ্যাংশের পরিমাণ ৫-১০ শতাংশের মধ্যে নেমে আসে।
বর্তমান ব্যবস্থাপনা পর্ষদ নিয়ে ব্যাংকটির কর্মকর্তারাও অভিযোগ তুলেছেন। বিক্ষোভে অংশ নেওয়া এক ব্যাংক কর্মকর্তা জানান, ২০১৮ সাল থেকে ব্যাংক কর্মকর্তাদের কোন পদোন্নতি এবং বোনাস দেওয়া হয় না। ব্যাংকের বার্ষিক মুনাফার খবর জানানো হয় না। উল্টো পরিচালনা পর্ষদের অবৈধ কর্মকাণ্ডে সায় দিয়ে চলা কর্মকর্তাদের চিটাগং শাখা থেকে এনে ব্যাংক পরিচালনা করা হয়। আর ঢাকার কর্মকর্তাদের গুলশানের কার্যালয়ে পাঠিয়ে একপ্রকার ‘ওএসডি’ করে রাখা হয়।
এদিকে আগের মালিকানা ফিরে পাওয়ার জন্য আজ বেসরকারি খাতের আইএফআইসি, এসআইবিএল, ওয়ান, বাংলাদেশ কমার্সসহ কয়েকটি ব্যাংকে বিক্ষোভের খবর পাওয়া গেছে। বেসরকরি খাতের ইসলামী ব্যাংকে গত কয়েকদিন ধরে বিক্ষোভ চলছে। এছাড়া রাষ্ট্রীয় মালিকানার সোনালী, জনতা ও অগ্রণী ব্যাংকে বুধবার বৈষম্যের শিকার কর্মকর্তারা বিক্ষোভ করেন।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
![](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2023/02/Logo_OS_250_72.webp)
ব্যাংক
ইসলামী ব্যাংকের পর্ষদ ভেঙে দিতে গভর্নরকে চিঠি
![ইসলামী ব্যাংকের পর্ষদ ভেঙে দিতে গভর্নরকে চিঠি সিএপিএম](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2024/08/Islami-Bank1-1.jpg)
ইসলামী ব্যাংকের পরিচালক ও কিছু অসাধু কর্মকর্তার যোগসাজশে ব্যাংকের তহবিল লুটপাটের খবর গণমাধ্যমে প্রকাশ হচ্ছে। বাস্তব অবস্থা এর চেয়েও ভয়াবহ। দীর্ঘদিন এই লুটপাটের ধারা অব্যাহত থাকার কারণে ব্যাংকের স্বাভাবিক কার্যক্রম পরিচালনা করা কঠিন হয়ে পড়েছে এবং ব্যাংকটির প্রতি গণমানুষের আস্থার সংকট দেখা দিয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে পরিচালনা পর্ষদ ভেঙে দিয়ে পুনর্গঠনের দাবি করেছেন ব্যাংকটির কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।
বৃহস্পতিবার (১৫ আগস্ট) এ দাবি জানিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের নতুন গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুরকে চিঠি দিয়েছেন ইসলামী ব্যাংকের কর্মীরা।
সর্বস্তরের কর্মীদের পক্ষ থেকে ব্যাংকটির প্রধান কার্যালয়ের এসইভিপি এএসএম রেজাউল করিম সই করা চিঠিতে বলা হয়, ইতোমধ্যে পত্র-পত্রিকাসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমে দেশের সর্ববৃহৎ ব্যাংক ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসির বর্তমান অবস্থা সম্পর্কে অবগত হয়েছেন। ব্যাংকটির বোর্ড অব ডিরেক্টরস ও কতিপয় অসাধু কর্মকর্তার যোগসাজশে ব্যাংকের তহবিল লুটপাটের কিছু চিত্র বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে। বাস্তব অবস্থা এর চেয়েও ভয়াবহ। দীর্ঘদিন এই লুটপাটের ধারা অব্যাহত থাকার কারণে ব্যাংকের স্বাভাবিক কার্যক্রম পরিচালনা করা কঠিন হয়ে পড়েছে এবং ব্যাংকটির প্রতি গণমানুষের আস্থা সংকট দেখা দিয়েছে।
এতে আরও বলা হয়, ইসলামী ব্যাংকের হারানো গৌরব পুনরুদ্ধার, ব্যাংকের স্টেকহোল্ডারদের স্বার্থ রক্ষা, তাদের আস্থা ফিরিয়ে আনা এবং ব্যাংকের স্বাভাবিক কার্যক্রম পুনরায় চালু করার জন্য ব্যাংক কোম্পানি আইন ৪৭ ধারা মোতাবেক ব্যাংকের বর্তমান পরিচালনা পর্ষদ ভেঙে দিয়ে সৎ ও দুর্নীতিমুক্ত, ইসলামী ব্যাংকের প্রতি সহানুভূতিশীল বিজ্ঞ ব্যক্তিবর্গ অথবা প্রয়োজনে প্রাক্তন পরিচালকদের মধ্য থেকে কিছু সংখ্যক ব্যক্তির সমন্বয়ে বোর্ড পুনর্গঠনের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণে আপনার আশু পদক্ষেপ কামনা করছি।
জানা গেছে, এক দশক আগেও দেশের শীর্ষ ব্যাংক ছিল ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসি। নিয়মনীতি পরিপালন, গ্রাহককে সেবা দেওয়া ও আর্থিক সূচকে অন্য সব ব্যাংককে ছাড়িয়ে গিয়েছিল এ ব্যাংক। গ্রাহকের আস্থার কারণে স্থানীয় আমানত কিংবা বৈদেশিক মুদ্রা সংগ্রহে এটি সবচেয়ে এগিয়ে ছিল। কিন্তু পরিস্থিতি পাল্টাতে শুরু করে ২০১৭ সাল থেকে। ওই বছর সরকারের রাজনৈতিক সিদ্ধান্তে ইসলামী ব্যাংককে ‘জামায়াতমুক্ত’ করার উদ্যোগ হিসেবে এর মালিকানা ও ব্যবস্থাপনার নিয়ন্ত্রণ নেয় সদ্য বিদায় নেওয়া আওয়ামী লীগ সরকারের ঘনিষ্ঠ এস আলম গ্রুপ।
এরপর সাড়ে সাত বছরে নামে-বেনামে ব্যাংকটি থেকে প্রায় ৫০ হাজার কোটি টাকা বের করে নিয়েছে এই ব্যবসায়ী গোষ্ঠী ও এর স্বার্থসংশ্লিষ্ট রাজশাহীর নাবিল গ্রুপ। এই অর্থ ব্যাংকটির মোট ঋণের এক-তৃতীয়াংশ। এই টাকা বের করতে কোনো নিয়মকানুন মানা হয়নি। ঋণের যে তথ্য এখন পর্যন্ত পাওয়া গেছে, ব্যাংক থেকে পাচার করা অর্থের প্রকৃত পরিমাণ তার চেয়ে বেশি বলেই মনে করেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
ব্যাংক
বাংলাদেশ ব্যাংকে পূর্ণাঙ্গ স্বায়ত্তশাসন নিশ্চিতের দাবি
![বাংলাদেশ ব্যাংকে পূর্ণাঙ্গ স্বায়ত্তশাসন নিশ্চিতের দাবি সিএপিএম](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2023/08/bangladesh-bank.jpg)
বাংলাদেশ ব্যাংককে আরও শক্তিশালী করতে পূর্ণাঙ্গ স্বায়ত্তশাসন নিশ্চিত করার দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক অফিসার্স ওয়েলফেয়ার কাউন্সিল। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের অর্থ উপদেষ্টার কাছে দেওয়া এক স্মারকলিপিতে এ দাবি জানানো হয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের পূর্ণাঙ্গ স্বায়ত্তশাসন অর্থাৎ প্রশাসনিক, পরিচালনগত ও অর্থ ব্যয়ের স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ ব্যাংক অর্ডার, ১৯৭২-এর প্রয়োজনীয় সংশোধন ও পরিমার্জনের দাবি করা হয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার এক সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ ব্যাংক অফিসার্স ওয়েলফেয়ার কাউন্সিল নেতারা এসব কথা জানান। সংবাদ সম্মেলনে কাউন্সিলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি তানভীর আহমেদ ও সাধারণ সম্পাদক এ কে এম মাসুম বিল্লাহ ছাড়াও অন্যান্য নেতা উপস্থিত ছিলেন।
এ ছাড়া দেশের আর্থিক খাত ও কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বিভিন্ন ক্ষেত্রে সংস্কারের দাবি জানিয়েছে অফিসার্স ওয়েলফেয়ার কাউন্সিল। তাদের দাবি, স্বার্থের সংঘাত ও ব্যাংকিং খাতে দ্বৈতশাসন রোধকল্পে অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ বিলুপ্তি করা হোক। ব্যাংক ও আর্থিক খাতের সুশাসন ফিরিয়ে আনার লক্ষ্যে সংশ্লিষ্ট আইন, বিধি ও অন্যান্য সংস্কারের দাবি করেছে তারা।
অন্যান্য দাবির মধ্যে আছে বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিচালক পর্ষদের কাঠামোগত সংস্কার, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর পদকে সাংবিধানিক পদে অন্তর্ভুক্তকরণ, পূর্ণ মন্ত্রীর মর্যাদা প্রদান ও গভর্নর হিসেবে খ্যাতিসম্পন্ন অর্থনীতিবিদ বা কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কর্মকর্তা নিয়োগ; ডেপুটি গভর্নর ও বিএফআইইউ প্রধানের পদকে বাংলাদেশ ব্যাংকের নিয়মিত পদে রূপান্তর ও সিনিয়র সচিবের পদমর্যাদা দেওয়া।
এ ছাড়া বাংলাদেশ ব্যাংকের গুরুত্বপূর্ণ কাজ, যেমন সুদহার, বিনিময় হার, ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠানের লাইসেন্স প্রদান ইত্যাদি প্রক্রিয়া রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ ও প্রভাবমুক্ত রাখার দাবি করেছে অফিসার্স ওয়েলফেয়ার কাউন্সিল।
বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালকের পদকে গ্রেড-১, পরিচালকের পদকে গ্রেড-২ ও অতিরিক্ত পরিচালকের পদকে গ্রেড-৩ এ উন্নীতকরণ এবং পদক্রমে এ কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কর্মকর্তাদের অন্তর্ভুক্ত করার দাবি জানানো হয়েছে। সেই সঙ্গে অষ্টম বেতন কমিশনের সুপারিশ অনুযায়ী, বিশ্বের অন্যান্য কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মতো বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য স্বতন্ত্র বেতনকাঠামো প্রবর্তনের দাবি জানানো হয়েছে।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
ব্যাংক
দক্ষ জনবল ও গ্রাহকের আস্থা আইএফআইসির মূল ভিত্তি: এমডি
![দক্ষ জনবল ও গ্রাহকের আস্থা আইএফআইসির মূল ভিত্তি: এমডি সিএপিএম](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2024/08/IFIC-PR_MDs-Town-Hall.jpg)
শাখা-উপশাখায় দেশের বৃহত্তম ব্যাংক আইএফআইসির ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ মনসুর মোস্তফা বলেছেন, আইএফআইসি ব্যাংকের শক্তিশালী ভিত্তি হচ্ছে ব্যাংকের ছয় হাজারের বেশি দক্ষ জনবল আর সকল গ্রাহকদের আস্থা।
বুধবার (১৪ আগস্ট) রাজধানীর পল্টনস্থ আইএফআইসি টাওয়ারের মাল্টিপারপাস হলে আয়োজিত ব্যবস্থাপনা পরিচালকের সভায় (এমডি’স টাউন হল মিটিং) তিনি এ মন্তব্য করেন।
সৈয়দ মনসুর বলেন, প্রায় ৩৩ শতাংশ সরকারি মালিকানাসহ গণমানুষের ব্যাংক আইএফআইসির বয়স এখন ৪৮ বছর। এ দীর্ঘ যাত্রায় ব্যাংকের কর্মীরা সব সময় একটি টিম হিসেবে বিভিন্ন পরিস্থিতিতে পেশাগত দায়িত্ব নিশ্চিত করেছে। বর্তমানে উদ্বুদ্ধ পরিস্থিতিতে অর্ন্তবর্তীকালীন সরকার গঠিত হয়েছে। ক্রমেই দেশব্যাপী সার্বিক পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে আসবে বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।
হাইব্রিড মডেলে আয়োজিত এ সভায় ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ের কর্মকর্তাবৃন্দ ছাড়াও শাখা ব্যবস্থাপকেরা উপস্থিত ছিলেন। এ সময় সকল শাখা-উপশাখার কর্মীদের বিভিন্ন প্রশ্ন উত্তর পর্বে অংশ গ্রহণ করেন তিনি।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
ব্যাংক
১৫ আগস্ট খোলা থাকবে ব্যাংকসহ সব আর্থিক প্রতিষ্ঠান
![১৫ আগস্ট খোলা থাকবে ব্যাংকসহ সব আর্থিক প্রতিষ্ঠান সিএপিএম](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2023/06/bangladesh-bank1.jpg)
সরকার ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবসের ছুটি বাতিল করেছে। এর ধারাবাহিকতায় এদিন ব্যাংক-আর্থিক প্রতিষ্ঠান খোলা থাকবে। স্বাভাবিক নিয়মে চলবে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের লেনদেন।
বুধবার (১৪ আগস্ট) কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ডিপার্টমেন্ট অব অফসাইট সুপারভিশন এবং আর্থিক প্রতিষ্ঠান ও বাজার বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত পৃথক দুটি নির্দেশনা জারি করা হয়েছে।
নির্দেশনায় বলা হয়েছে, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় ১৩ আগস্ট এক আদেশের মাধ্যমে ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস ছুটি বাতিল করেছে। এ কারণে এদিন সব তফসিলি ব্যাংক স্বাভাবিক নিয়মে খোলা থাকবে।
ব্যাংক কোম্পানি আইন, ১৯৯১ এর ৪৫ ধারায় অর্পিত ক্ষমতাবলে এ নির্দেশনা জারি করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
আরেক নির্দেশনায় বলা হয়েছে, ফাইন্যান্স কোম্পানিগুলো ১৫ আগস্ট স্বাভাবিক নিয়মে অফিস খোলা ও কার্যক্রম পরিচালনা করবে।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
ব্যাংক
রূপালী ব্যাংকের নতুন চেয়ারম্যান নজরুল হুদা
![রূপালী ব্যাংকের নতুন চেয়ারম্যান নজরুল হুদা সিএপিএম](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2024/08/Rupali-Bank-Chairman.jpg)
রূপালী ব্যাংকে নতুন চেয়ারম্যান হিসেবে বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক ডেপুটি গভর্নর নজরুল হুদাকে তিন বছরের জন্য নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের এক প্রজ্ঞাপনে এ খবর জানানো হয়।
প্রজ্ঞাপনে রূপালী ব্যাংক পিএলসির পরিচালনা পর্ষদের পরিচালক ও চেয়ারম্যান হিসেবে তিন বছর মেয়াদে নিয়োগ দিতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলা হয়েছে। এ জন্য ১৯৯১-এর বিধান অনুযায়ী বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমোদন গ্রহণসহ পরবর্তী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলা হয়েছে।
নিয়ম অনুযায়ী, রূপালী ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ নতুন চেয়ারম্যান নিয়োগের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে।
রূপালী ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদে নজরুল হুদার পরিচালক ও চেয়ারম্যান হিসেবে যোগদানের তারিখ আবশ্যিকভাবে আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগকে অবহিত করার জন্য প্রজ্ঞাপনে অনুরোধ করা হয়েছে।
এর আগে রূপালী ব্যাংকের চেয়ারম্যান ছিলেন কাজী ছানাউল হক।
এমআই