আইন-আদালত
সুপ্রিম কোর্টের উভয় বিভাগের বিচারকাজ স্থগিত ঘোষণা

সুপ্রিম কোর্টের আপিল ও হাইকোর্ট বিভাগের বিচারিক কার্যক্রম পরবর্তী নির্দেশনা দেওয়া না পর্যন্ত স্থগিত থাকবে। রাষ্ট্রপতির সঙ্গে পরামর্শ করে প্রধান বিচারপতি এ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
বুধবার (৭ আগস্ট) রাতে সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল আজিজ আহমেদ ভূঞা স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এর আগে সকালে সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন থেকে জানানো হয়েছিল, আগামীকাল ৮ আগস্ট বৃহস্পতিবার হতে পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের বিচারিক কার্যক্রম সীমিত আকারে সরাসরি/ভার্চুয়ালি (সুবিধাজনক উপায়ে) চলবে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আপিল বিভাগের বিচারিক কার্যক্রম বন্ধ থাকবে। তবে আপিল বিভাগের বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলাম চেম্বার জজ হিসেবে দায়িত্বরত থাকবেন। তিনি বৃহস্পতিবার হতে সরাসরি/ভার্চুয়ালি (সুবিধাজনক উপায়ে) চেম্বার কোর্টের বিচারিক কার্যক্রম পরিচালনা করবেন।
এই বিজ্ঞপ্তির কার্যকারিতা এখন স্থগিত থাকবে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

আইন-আদালত
স্ত্রী-সন্তানসহ সাবের হোসেন চৌধুরীর দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা

সাবেক পরিবেশমন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী, তার স্ত্রী রেহান চৌধুরী, ছেলে হামদাদ হোসেন ও আরাজ আলম, মেয়ে রাইমা চৌধুরি ও আলিশা বাবর চৌধুরীর দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন ঢাকার একটি আদালত।
রবিবার (২৫ মে) দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকা মহানগর জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ মো. জাকির হোসেন গালিব এ আদেশ দেন বলে জানিয়েছেন দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) জনসংযোগ বিভাগের উপ-পরিচালক আকতারুল ইসলাম।
আবেদনে বলা হয়েছে, সাবের হোসেন চৌধুরীর বিরুদ্ধে রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে অর্থনৈতিক অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে লিপ্ত থেকে বিপুল পরিমাণ স্থাবর-অস্থাবর সম্পদ অর্জনের অভিযোগের অনুসন্ধান চলমান রয়েছে।
অনুসন্ধানকালে জানা গেছে যে, সাবের হোসেন চৌধুরী ও তার পরিবারের সদস্যদের নামে ঢাকা ছাড়াও দেশের বিভিন্ন স্থানে এবং দেশের বাইরে কানাডা, যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্রসহ অন্যান্য দেশে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ রয়েছে।
সাবের হোসেন চৌধুরী এবং তার পরিবারবর্গ দেশ ছেড়ে যেতে এবং স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদ হস্তান্তর করার চেষ্টা করছেন বলে জানা গেছে। তারা বিদেশে পালিয়ে গেলে অনুসন্ধানকার্য ব্যাহত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বিধায়, অভিযোগের সুষ্ঠু অনুসন্ধানের স্বার্থে তাদের বিদেশ গমনে নিষেধাজ্ঞা প্রদান করা একান্ত প্রয়োজন বলে এ আবেদন করা হয়।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আইন-আদালত
হাসিনা-জয়সহ ২৯ জনের গ্রেপ্তার প্রতিবেদন ১৭ জুন

প্লট বরাদ্দে জালিয়াতির অভিযোগে দুদকের করা পৃথক দুই মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়সহ ২৯ জনের বিরুদ্ধে গ্রেফতার সংক্রান্ত তামিল প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আগামী ১৭ জুন দিন ধার্য করেছেন আদালত।
রবিবার (২৫ মে) ঢাকা মহানগর জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ মো. জাকির হোসেন গালিবের আদালতে আসামিদের গ্রেফতার সংক্রান্ত তামিল প্রতিবেদন দাখিলের জন্য দিন ধার্য ছিল। এদিন পুলিশ আসামিদের গ্রেফতার সংক্রান্ত তামিল প্রতিবেদন দাখিল না করায় বিচারক নতুন দিন ধার্য করেন।
এর আগে গত ১৫ এপ্রিল ঢাকা মহানগর জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ মো. জাকির হোসেন গালিব মামলার অভিযোগপত্র আমলে নিয়ে শেখ হাসিনা ও তার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়সহ চার্জশিটভুক্ত ২৯ জনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন। একই সঙ্গে গ্রেফতার সংক্রান্ত তামিল প্রতিবেদন দাখিলের জন্য ২৯ এপ্রিল দিন ধার্য করেন আদালত।
ক্ষমতার অপব্যবহার করে পূর্বাচল নতুন শহর প্রকল্পে ১০ কাঠার সরকারি প্লট বরাদ্দ নেওয়ার অভিযোগে গত ১৪ জানুয়ারি সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ৮ জনের বিরুদ্ধে একটি মামলা করেন দুদকের উপ-পরিচালক সালাহউদ্দিন। মামলাটি তদন্ত শেষে গত ১০ মার্চ তদন্তে প্রাপ্ত আরও চারজনসহ ১২ জনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা দুদকের সহকারী পরিচালক আফনান জান্নাত কেয়া।
শেখ হাসিনা ছাড়া এ মামলার অপর ১১ আসামি হলেন- জাতীয় গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব পুরবী গোলদার, রাজউকের সাবেক চেয়ারম্যানের পিএ মো. আনিছুর রহমান মিঞা, রাজউকের সাবেক সদস্য শফি উল হক, খুরশীদ আলম, মোহাম্মদ নাসির উদ্দীন, মেজর (ইঞ্জি.) সামসুদ্দীন আহমদ চৌধুরী (অব.), উপ-পরিচালক নায়েব আলী শরীফ, তদন্তপ্রাপ্ত জাতীয় গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো. সাইফুল ইসলাম সরকার, সচিব কাজী ওয়াছি উদ্দিন, সচিব শহিদ উল্লাহ খন্দকার ও সাবেক গৃহায়ন ও গণপূর্ত প্রতিমন্ত্রী শরীফ আহমেদ।
ক্ষমতার অপব্যবহার করে পূর্বাচল নতুন শহর প্রকল্পে ১০ কাঠার সরকারি প্লট বরাদ্দ নেওয়ার অভিযোগে গত ১৪ জানুয়ারি সজিব ওয়াজেদ জয় ও তার মা সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ১৫ জনের বিরুদ্ধে একটি মামলা করেন দুদকের সহকারী পরিচালক এস এম রাশেদুল হাসান।মামলাটি তদন্ত শেষে গত ১০ মার্চ তদন্তে প্রাপ্ত আরও দুইজনসহ ১৭ জনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা দুদকের সহকারী পরিচালক এস এম রাশেদুল হাসান।
শেখ হাসিনা-জয় ছাড়াও এ মামলায় চার্জশিটভুক্ত অপর ১৫ আসামি হলেন- জাতীয় গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো. সাইফুল ইসলাম সরকার, সিনিয়র সহকারী সচিব পুরবী গোলদার, সচিব কাজী ওয়াছি উদ্দিন,সচিব শহিদ উল্লাহ খন্দকার, রাজউকের সাবেক চেয়ারম্যানের পিএ মো. আনিছুর রহমান মিঞা, সাবেক সদস্য মোহাম্মদ খুরশীদ আলম, তন্ময় দাস, মোহাম্মদ নাসির উদ্দীন, মেজর (ইঞ্জি.) সামসুদ্দীন আহমদ চৌধুরী (অব.), সহকারী পরিচালক মাজহারুল ইসলাম, পরিচালক কামরুল ইসলাম, উপ-পরিচালক নায়েব আলী শরীফ, সদস্য মো. নুরুল ইসলাম, তদন্ত প্রাপ্তে আসামি সাবেক প্রধানমন্ত্রীর একান্ত সচিব-১ মোহাম্মদ সালাহ উদ্দিন ও সাবেক গৃহায়ন ও গণপূর্ত প্রতিমন্ত্রী শরীফ আহমেদ।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আইন-আদালত
সারজিস আলমকে লিগ্যাল নোটিশ

ফেসবুক পোস্টে হাইকোর্ট নিয়ে বিরূপ মন্তব্যের কারণে জাতির কাছে ক্ষমা চাইতে এনসিপি নেতা সারজিস আলমকে এক আইনজীবীর লিগ্যাল নোটিশ।
শনিবার (২৪ মে) সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. জসিম উদ্দিন সারজিস আলমকে লিগ্যাল নোটিশ পাঠিয়েছেন।
এর আগে, বৃহস্পতিবার (২২ মে) বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেনকে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র হিসেবে শপথ না পড়ানোর নির্দেশনা চেয়ে দায়ের করা রিট আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন হাইকোর্ট। রায়ের পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একটি পোস্ট করেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মুখ্য সংগঠক (উত্তরাঞ্চল) সারজিস আলম ।
পোস্টে সারজিস আলম লিখেন, ‘মব তৈরি করে যদি হাইকোর্টের রায় নেওয়া যায় তাহলে এই হাইকোর্টের দরকার কি?’
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আইন-আদালত
আসামি গ্রেপ্তারের ক্ষমতা পেল আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থা

আসামিদের গ্রেপ্তারের ক্ষমতা পেয়েছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থা। বৃহস্পতিবার (২২ মে) রাতে এ সংক্রান্ত এক প্রজ্ঞাপনে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়।
প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আইন অনুযায়ী তদন্ত সংস্থাকে গ্রেপ্তারি ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে। এ সিদ্ধান্তের ফলে যুদ্ধাপরাধ, মানবতাবিরোধী অপরাধ এবং গণহত্যার মতো গুরুতর অপরাধের মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে তদন্ত ও গ্রেপ্তার প্রক্রিয়া আরও কার্যকর হবে।
এখন থেকে তদন্ত সংস্থা নিজস্ব উদ্যোগে বা আদালতের নির্দেশে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের গ্রেপ্তার করতে পারবে। এটি বিচার প্রক্রিয়ার গতিশীলতা বৃদ্ধি করবে এবং অপরাধীদের বিচারের আওতায় আনতে সহায়তা করবে।
এদিকে দেশের আইন বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, এই সিদ্ধান্ত আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের কার্যক্রমে একটি গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি। এটি বিচার প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে সহায়ক হবে।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আইন-আদালত
বিচারপতি খোন্দকার দিলীরুজ্জামানকে অপসারণ

সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি খোন্দকার দিলীরুজ্জামানকে অপসারণ করেছেন রাষ্ট্রপতি।
বুধবার (২১ মে) রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে তাকে হাইকোর্ট বিভাগের বিচারকের পদ থেকে অপসারণ করা হয়েছে বলে আইন ও বিচার বিভাগের এক প্রজ্ঞাপনে বলা হয়।
আইন ও বিচার বিভাগের সচিব শেখ আবু তাহের সই করা প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, রাষ্ট্রপতি সংবিধানের অনুচ্ছেদ ৯৬-এর দফা (৬) মোতাবেক বিচারপতি খোন্দকার দিলীরুজ্জামানকে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট, হাইকোর্ট বিভাগের বিচারকের পদ থেকে অপসারণ করেছেন।
‘দলবাজ, দুর্নীতিবাজ ও ফ্যাসিস্টের দোসর’ বিচারকদের পদত্যাগের দাবিতে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভের পরিপ্রেক্ষিতে প্রাথমিকভাবে হাইকোর্ট বিভাগের ১২ বিচারপতিকে ২০ অক্টোবর থেকে বিচারকাজ থেকে বিরত রাখা হয়। সেই ১২ বিচারপতির মধ্যে দিলীরুজ্জামান একজন।
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আইনে ডিগ্রি নেওয়া খোন্দকার দিলীরুজ্জামানকে ২০১৮ সালের ৩০ মে অতিরিক্ত বিচারপতি হিসেবে হাইকোর্ট বিভাগে নিয়োগ দেন রাষ্ট্রপতি। এর দুই বছর পর ২০২০ সালের ৩০ মে তিনি হাইকোর্ট বিভাগের স্থায়ী বিচারপতি হিসেবে শপথ নেন।
গত বছরের জুলাই-আগস্টে কোটা আন্দোলনে সহিংসতার ঘটনার তদন্তে বিচারপতি খোন্দকার দিলীরুজ্জামানের নেতৃত্বে তদন্ত কমিটি গঠন করেছিল তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকার। ঘটনা তদন্তে তিনি রংপুরও সফর করেছিলেন। পরে ওই বছরের ২৭ আগস্ট এই তদন্ত কমিশন বাতিল করে প্রজ্ঞাপন জারি করে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।
এর আগে রাষ্ট্রপতি হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি খিজির হায়াতকে বিচারক পদ থেকে অপসারণ করেন। সংবিধানের ৯৬ অনুচ্ছেদের দফা (৬) অনুযায়ী তাকে অপসারণ করা হয়। এ বিষয়ে আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আইন ও বিচার বিভাগ গত ১৮ মার্চ প্রজ্ঞাপন জারি করে। খিজির হায়াত ২০১৮ সালের ৩১ মে হাইকোর্ট বিভাগের অতিরিক্ত বিচারক হন। ২০২০ সালের ৩০ মে তিনি হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি হন।