জাতীয়
সেনাবাহিনীর সহায়তা পেতে যোগাযোগ করবেন যেসব নম্বরে

বর্তমান পরিস্থিতিতে জনসাধারণের জানমাল ও সরকারি গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনার সার্বিক নিরাপত্তায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সদস্যরা মোতায়েন রয়েছেন। যেকোনো নাশকতামূলক কর্মকাণ্ড, হানাহানি ও প্রাণনাশের হুমকির সম্মুখীন হলে কাছের সেনাবাহিনী ক্যাম্পে যোগাযোগ করার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে। এ ক্ষেত্রে মিথ্যা তথ্য প্রদান ও গুজবে আতঙ্কিত হয়ে সেনাবাহিনীকে বিভ্রান্ত করা থেকে বিরত থাকতে বলা হয়েছে।
আজ বুধবার বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেওয়া এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা বলা হয়। বিজ্ঞপ্তিতে সেনাবাহিনীর ক্যাম্পের সহায়তা পাওয়ার জন্য নিম্নলিখিত নম্বরে যোগাযোগ করতে বলা হয়েছে।
ঢাকা মহানগর
ঢাকার লালবাগ, ধানমন্ডি, মোহাম্মদপুর, শ্যামলী, আগারগাঁও, মহাখালী, তেজগাঁও, এলিফ্যান্ট রোড ও কাঁটাবন: ০১৭৬৯০৫১৮৩৮, ০১৭৬৯০৫১৮৩৯
ঢাকার গুলশান, বারিধারা, বনানী, বসুন্ধরা, বাড্ডা, রামপুরা, শাহজাহানপুর, উত্তরখান, দক্ষিণখান ও বনশ্রী: ০১৭৬৯০১৩১০২, ০১৭৬৯০৫৩১৫৪
ঢাকার মিরপুর-১ থেকে মিরপুর-১৪, খিলক্ষেত, উত্তরা ও হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর: ০১৭৬৯০২৪২১০, ০১৭৬৯০২৪২১১
ঢাকার মতিঝিল, সেগুনবাগিচা, কাকরাইল, শান্তিনগর, ইস্কাটন, রাজারবাগ, পল্টন, গুলিস্তান ও পুরান ঢাকা: ০১৭৬৯০৯২৪২৮, ০১৭৬৯০৯৫৪১৯
ঢাকা বিভাগ
মাদারীপুর: ০১৭৬৯০৭২১০২, ০১৭৬৯০৭২১০৩
কিশোরগঞ্জ: ০১৭৬৯১৯২৩৮২, ০১৭৬৯২০২৩৬৬
টাঙ্গাইল: ০১৭৬৯২১২৬৫১, ০১৭৬৯২১০৮৭০
গোপালগঞ্জ: ০১৭৬৯৫৫২৪৩৬, ০১৭৬৯৫৫২৪৪৮
রাজবাড়ী: ০১৭৬৯৫৫২৫১৪, ০১৭৬৯৫৫২৫২৮
গাজীপুর: ০১৭৮৫৩৪৯৮৪২, ০১৭৬৯০৯২১০৬
মুন্সিগঞ্জ: ০১৭৬৯০৮২৭৯৮, ০১৭৬৯০৮২৭৮৪
মানিকগঞ্জ: ০১৭৬৯০৯২৫৪০, ০১৭৬৯০৯২৫৪২
নারায়ণগঞ্জ: ০১৭৩২০৫১৮৫৮
নরসিংদী: ০১৭৬৯০৮২৭৬৬, ০১৭৬৯০৮২৭৭৮
শরীয়তপুর: ০১৭৬৯০৯৭৬৬০, ০১৭৬৯০৯৭৬৫৫
ফরিদপুর: ০১৭৬৯০৯২১০২, ০১৭৪২৯৬৬১৬২
চট্টগ্রাম বিভাগ
নোয়াখালী: ০১৬৪৪৪৬৬০৫১, ০১৭২৫০৩৮৬৭৭
চাঁদপুর: ০১৮১৫৪৪০৫৪৩, ০১৫৬৮৭৩৪৯৭৬
ফেনী: ০১৭৬৯৩৩৫৪৬১, ০১৭৬৯৩৩৫৪৩৪
লক্ষ্মীপুর: ০১৭২১৮২১০৯৬, ০১৭০৮৭৬২১১০
কুমিল্লা: ০১৩৩৪৬১৬১৫৯, ০১৩৩৪৬১৬১৬০
ব্রাহ্মণবাড়িয়া: ০১৭৬৯৩২২৪৯১, ০১৭৬৯৩৩২৬০৯
কক্সবাজার এবং চট্টগ্রাম জেলার লোহাগাড়া, পটিয়া, চন্দনাইশ, বাঁশখালী ও সাতকানিয়া উপজেলা: ০১৭৬৯১০৭২৩১, ০১৭৬৯১০৭২৩২
চট্টগ্রাম (লোহাগাড়া, পটিয়া, চন্দনাইশ, বাঁশখালী ও সাতকানিয়া উপজেলা ব্যতীত): ০১৭৬৯২৪২০১২, ০১৭৬৯২৪২০১৪
ময়মনসিংহ বিভাগ
শেরপুর: ০১৭৬৯২০২৫১৬, ০১৭৬৯২০২৫২৪
নেত্রকোনা: ০১৭৬৯২০২৪৭৮, ০১৭৬৯২০২৪৪৮
জামালপুর: ০১৭৬৯১৯২৫৪৫, ০১৭৬৯১৯২৫৫০
ময়মনসিংহ: ০১৭৬৯২০৮১৫১, ০১৭৬৯২০৮১৬৫
খুলনা বিভাগ
বাগেরহাট: ০১৭৬৯০৭২৫১৪, ০১৭৬৯০৭২৫৩৬
কুষ্টিয়া: ০১৭৬৯৫৫২৩৬২, ০১৭৬৯৫৫২৩৬৬
চুয়াডাঙ্গা: ০১৭৬৯৫৫২৩৮০, ০১৭৬৯৫৫২৩৮২
মেহেরপুর: ০১৭৬৯৫৫২৩৯৮, ০২৪৭৯৯২১১৫৩
নড়াইল: ০১৭৬৯৫৫২৪৫৬, ০১৭৬৯৫৫২৪৫৭
মাগুরা: ০১৭৬৯৫৫৪৫০৫, ০১৭৬৯৫৫৪৫০৬
ঝিনাইদহ: ০১৭৬৯৫৫২১৫৮, ০১৭৬৯৫৫২১৭২
যশোর: ০১৭৬৯৫৫২৬১০, ০১৭৬৯০০৯২৪৫
খুলনা: ০১৭৬৯৫৫২৬১৬, ০১৭৬৯৫৫২৬১৮
সাতক্ষীরা: ০১৭৬৯৫৫২৫৩৬, ০১৭৬৯৫৫২৫৪৮
বরিশাল বিভাগ
বরিশাল: ০১৭৬৯০৭২৫৫৬, ০১৭৬৯০৭২৪৫৬
পটুয়াখালী: ০১৭৬৯০৭৩১২০, ০১৭৬৯০৭৩১২২
ঝালকাঠি: ০১৭৬৯০৭২১০৮, ০১৭৬৯০৭২১২২
পিরোজপুর: ০১৭৬৯০৭৮২৯৮, ০১৭৬৯০৭৮৩০৮
রাজশাহী বিভাগ
রাজশাহী: ০১৭৬৯১১২৩৮৬, ০১৭৬৯১১২৩৮৮
চাঁপাইনবাবগঞ্জ: ০১৭৬৯১১২০৭০, ০১৭৬৯১১২৩৭২
পাবনা: ০১৭৬৯১২২৪৭৮, ০১৭৬৯১১২৪৮০
সিরাজগঞ্জ: ০১৭৬৯১২২৪৬২, ০১৭৬৯১২২২৬৪
নাটোর: ০১৭৬৯১১২৪৪৬, ০১৭৬৯১১২৪৪৮
নওগাঁ: ০১৭৬৯১২২১১৫, ০১৭৬৯১২২১০৮
জয়পুরহাট: ০১৭৬৯১১২৬৩৪
বগুড়া: ০১৭৬৯১১২৫৯৪, ০১৭৬৯১১২১৭০
রংপুর বিভাগ
রংপুর: ০১৭৬৯৬৬২৫৫৪, ০১৭৬৯৬৬২৫১৬
দিনাজপুর: ০২৫৮৯৯২১৪০০, ০২৫৮৯৬৮২৪১৪
নীলফামারী: ০১৭৬৯৬৮২৫০২, ০১৭৬৯৬৮২৫১২
লালমনিরহাট: ০১৭৬৯৬৮২৩৬৬, ০১৭৬৯৬৮২৩৬২
কুড়িগ্রাম: ০১৭৬৯৬৬২৫৩৪, ০১৭৬৯৬৬২৫৩৬
ঠাকুরগাঁও: ০১৭৬৯৬৬৬০৬২, ০১৭৬৯৬৭২৬১৬
পঞ্চগড়: ০১৯৭৩০০০৬৬২, ০১৭৬৯৬৬২৬৬১
গাইবান্ধা: ০১৬১০৬৫২৫২৫, ০১৭৫৪৫৮৫৪৮৬
সিলেট বিভাগ
সিলেট: ০১৭৬৯১৭৭২৬৮, ০১৯৮৭৮৩৩৩০১
হবিগঞ্জ: ০১৭৬৯১৭২৫৯৬, ০১৭৬৯১৭২৬১৬
সুনামগঞ্জ: ০১৭৬৯১৭২৪২০, ০১৭৬৯১৭২৪৩০
মৌলভীবাজার: ০১৭৬৯১৭৫৬৮০, ০১৭৬৯১৭২৪০০
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

জাতীয়
ব্যক্তি-সংগঠনের কার্যক্রম নিষিদ্ধের বিধান রেখে অধ্যাদেশ অনুমোদন

উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে অনুমোদনের পর রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধ বা শাস্তি দেওয়ার বিধান রেখে ‘আন্তর্জাতিক অপরাধ (ট্রাইব্যুনাল) (দ্বিতীয় সংশোধিত) অধ্যাদেশ, ২০২৫’ জারি করা হয়েছে।
শনিবার (১০ মে) আইন মন্ত্রণালয়ের লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক বিভাগ থেকে অধ্যাদেশ জারি করা হয়। যেটি আজ রোববার (১১ মে) প্রকাশ করা হয়েছে। সংবিধানের ৯৩ (১) অনুচ্ছেদে দেওয়া ক্ষমতাবলে রাষ্ট্রপতি এ অধ্যাদেশ প্রণয়ন ও জারি করেছেন।
আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার দাবিতে গত কয়েকদিন ধরে আন্দোলন করে আসছে জাতীয় নাগরিক পার্টিসহ (এনসিপি) সমমনা দলগুলো। আন্দোলনের মুখে রাজনৈতিক দল হিসেবে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করতে শনিবার (১০ মে) উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আইন সংশোধনের উদ্যোগ নেওয়া হয়। আওয়ামী লীগের নেতাদের বিচার না হওয়া পর্যন্ত দলটির সব ধরনের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত হয় বৈঠকে।
সংশোধিত অধ্যাদেশে ‘সংগঠনের জন্য শাস্তি ইত্যাদি’ শিরোনামে ২০(বি) নামে নতুন এক ধারা যুক্ত করা হয়েছে।
এ ধারায় বলা হয়েছে, এই আইনে বা বর্তমানে কার্যকর অন্য কোনো আইনে যাই থাকুক না কেন, যদি ট্রাইব্যুনালের কাছে প্রতীয়মান হয় যে কোনো সংগঠন এই আইনের ৩ ধারা উপধারা (২)-এর অধীন কোনো অপরাধ সংঘটন করেছে, নির্দেশ দিয়েছে, উদ্যোগ নিয়েছে, সহায়তা করেছে, উসকানি দিয়েছে, প্ররোচনা দিয়েছে, ষড়যন্ত্র করেছে, সহায়তা বা অন্য কোনোভাবে অংশগ্রহণ করেছে; তবে ট্রাইব্যুনাল সেই সংগঠনের কার্যক্রম স্থগিত বা নিষিদ্ধ করার, সংগঠনটিকে নিষিদ্ধ ঘোষণার, তার নিবন্ধন বা লাইসেন্স স্থগিত বা বাতিল করার এবং তার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার ক্ষমতা রাখবে।
‘সংগঠন’ এর সংজ্ঞাও অধ্যাদেশে যুক্ত করা হয়েছে। ‘সংগঠন’ বলতে এমন কোনো রাজনৈতিক দল বা ওই দলের অধীন, অনুমোদিত বা সংশ্লিষ্ট কোনো সত্তা বা এমন ব্যক্তিদের দলকে বোঝানো হয়- যা ট্রাইব্যুনালের মত অনুযায়ী, ওই দল বা সত্তার কার্যক্রম প্রচার করে, সমর্থন করে, অনুমোদন করে, সহায়তা করে বা তাতে জড়িত থাকে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
এলডিসি থেকে উত্তরণে দ্রুত সমন্বিত পদক্ষেপের আহ্বান ড. ইউনূসের

স্বল্পোন্নত দেশ (এলডিসি) থেকে বাংলাদেশের মসৃণ ও সময়োপযোগী উত্তরণ নিশ্চিত করার জন্য সংশ্লিষ্ট সব সংস্থাকে জরুরি ও সমন্বিত পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
রবিবার (১১ মে) রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় এলডিসি গ্র্যাজুয়েশন কমিটির সঙ্গে এক উচ্চপর্যায়ের বৈঠকে তিনি এ মন্তব্য করেন। বৈঠকে উত্তরণের মূল অর্জনগুলোর অগ্রগতি পর্যালোচনা করা হয়।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ইতোমধ্যে বিনিয়োগকারী, তহবিলদাতা ও উন্নয়ন অংশীদারদের মনোযোগ এবং সমর্থন আমাদের রয়েছে। এখন আমাদের চলমান প্রচেষ্টাগুলোকে আরও জোরদার করতে হবে। দ্রুত সুনির্দিষ্ট লক্ষ্যের দিকে এগিয়ে যাওয়ার জন্য আমাদের সম্মিলিত পদক্ষেপকে আরও বেগবান করতে হবে।
প্রাতিষ্ঠানিক প্রস্তুতির গুরুত্বের ওপর জোর দিয়ে অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস সব অংশীদারদের ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, আমাদের এমন একটি দল প্রয়োজন যারা অগ্নিনির্বাপকদের মতো কাজ করবে। যখন হুইসেল বাজবে, তাদের দ্রুত, দক্ষতার সঙ্গে ও বিলম্ব না করে সাড়া দিতে হবে এবং সমস্যার সমাধান না হওয়া পর্যন্ত লেগে থাকতে হবে। প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় এই প্রক্রিয়া তদারকিতে সক্রিয় ভূমিকা পালন করবে।
বৈঠকে অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ, প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ড. আনিসুজ্জামান চৌধুরী, প্রধান উপদেষ্টার আন্তর্জাতিক বিষয়ক বিশেষ দূত লুৎফে সিদ্দিকী, স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উত্তরণ কমিটির সদস্য ও নীতি উপদেষ্টারা উপস্থিত ছিলেন।
সভায় এলডিসি স্নাতকোত্তর কমিটি পাঁচটি অগ্রাধিকারমূলক পদক্ষেপ চিহ্নিত করেছে, যা জরুরি ভিত্তিতে সম্পন্ন করতে হবে। পদক্ষেপগুলো হলো:
১. সব প্রাসঙ্গিক সংস্থার অংশগ্রহণে জাতীয় একক জানালার পূর্ণাঙ্গ কার্যকারিতা নিশ্চিত করা।
২. একটি সুস্পষ্ট কর্মপরিকল্পনার মাধ্যমে জাতীয় শুল্ক নীতি ২০২৩ বাস্তবায়ন করা।
৩. জাতীয় লজিস্টিক নীতি ২০২৪-এর অধীনে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপগুলো বাস্তবায়ন করা, যার মধ্যে অবকাঠামো প্রকল্প অন্তর্ভুক্ত।
৪. সাভার ট্যানারি গ্রামে বর্জ্য শোধনাগারের (ইটিপি) কার্যকর প্রস্তুতি সম্পন্ন করা।
৫. মুন্সীগঞ্জের গজারিয়ায় অ্যাক্টিভ ফার্মাসিউটিক্যাল ইনগ্রিডিয়েন্ট (এপিআই) পার্কের পূর্ণাঙ্গ কার্যকারিতা নিশ্চিত করা।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
নিষিদ্ধ সংগঠনের কর্মকাণ্ড আমার এলাকায় চলবে না: ডিআইজি রেজাউল

নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন কিংবা পতিত সরকারের (আওয়ামী লীগের) দোসররা জনগণের নিরাপত্তায় বিঘ্ন ঘটানোর চেষ্টা করলে তা শক্ত হাতে দমন করা হবে বলে জানিয়েছেন ঢাকা রেঞ্জের নবনিযুক্ত ডিআইজি রেজাউল করিম মল্লিক।
রোববার (১১ মে) দুপুরে সেগুনবাগিচায় ঢাকা রেঞ্জ ডিআইজি কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ হুঁশিয়ারি দেন।
রেজাউল করিম মল্লিক বলেন, যদি জনগণের নিরাপত্তায় বিঘ্ন ঘটানোর বিন্দুমাত্র চেষ্টা কেউ করে, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সেই সক্ষমতা ঢাকা রেঞ্জ পুলিশের রয়েছে। আমার অধীনে এসপি-ওসিদের নির্দেশ দিচ্ছি, নিষিদ্ধ ঘোষিত কোনো সংগঠনের কর্মকাণ্ড আপনার এলাকায় চলবে না।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, যারা নিষিদ্ধ কার্যকলাপের সঙ্গে জড়িত, নিষিদ্ধ সংগঠনের সঙ্গে জড়িত- তাদের সবাইকে আমরা আইনের আওতায় নিয়ে আসবো। কাউকে বিন্দুমাত্র ছাড় দেওয়া হবে না।
ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজি বলেন, বাংলাদেশ পুলিশের প্রাচীন, অন্যতম বৃহত্তম ও গুরুত্বপূর্ণ ইউনিট ঢাকা রেঞ্জ পুলিশ। ১৮২৯ সালে ঢাকা বিভাগ গঠিত হয়। ভৌগলিকভাবে ঢাকা রেঞ্জ পুলিশ বাংলাদেশ পুলিশের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ইউনিট। কারণ রংপুর বিভাগ ছাড়া অন্য সব বিভাগের সঙ্গে ঢাকা বিভাগের সীমানা রয়েছে। রাজধানী ঢাকা রেঞ্জের আওতাধীন জেলাগুলো দ্বারা পরিবেষ্টিত।
তিনি বলেন, ঢাকা রেঞ্জের অধীনে সব থানা-ফাঁড়ি-সার্কেল এসপি অফিস হবে জনগণের। জনগণের সেবা করার জন্যই আমরা দায়িত্ব পালন করি। আমার রেঞ্জের অধীন সব থানা হবে জনগণের। যে কোনো বিপদে ফার্স্ট রেসপন্ডার হিসেবে থানাকে জনগণের সেবাকেন্দ্র হিসেবে গড়ে তুলতে চাই। যতদিন ঢাকা রেঞ্জ ডিআইজি হিসেবে দায়িত্ব পালন করবো- ন্যায়নীতি, পেশাদারত্ব ও সততার মধ্য দিয়ে দায়িত্ব পালন করার চেষ্টা করবো।
পুলিশের এ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা আরও বলেন, যারা ভুক্তভোগী এবং অসহায়, তাদের কথা আমি সরাসরি শুনতে চাই। তাদেরকে কী রকম আইনগত সহায়তা দেওয়া যায়, সেটি নিজে দায়িত্ব নিয়ে দেখবো। থানাকে সাধারণ মানুষের আস্থা ও ভালোবাসার স্থান হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে চাই। নতুন স্বাধীন বাংলাদেশে ঢাকা রেঞ্জের সব থানা হবে ভুক্তভোগীদের প্রথম ভরসাস্থল।
ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজি হিসেবে সাধারণ মানুষের কথা শুনতে চাই উল্লেখ করে রেজাউল করিম মল্লিক বলেন, অপরাধীর বিরুদ্ধে বা আমার অধীন পুলিশের বিরুদ্ধে যে কোনো অভিযোগ সরাসরি আমাকে জানাতে পারেন। আমার অফিসে নির্ধারিত সময়ে ঢাকা রেঞ্জের আওতাধীন ১৩ জেলার ৯৮ থানার মানুষ আমার কাছে আসতে পারবে। রেঞ্জের সংশ্লিষ্ট অফিসে যদি কাঙ্ক্ষিত সেবা না পায়, তাহলে আমি নিজেই তাদের কথা শুনে সমস্যা সমাধান করার চেষ্টা করবো।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
শাহবাগ অবরোধ জুলাই আহতদের, যান চলাচল বন্ধ

রাজনৈতিক দল হিসেবে আওয়ামী লীগকে স্থায়ীভাবে নিষিদ্ধ করা এবং জুলাই সনদ প্রকাশের দাবিতে শাহবাগ মোড় অবরোধ করে রেখেছে জুলাই আন্দোলনে আহতরা। রোববার (১১ মে) সকাল থেকেই শাহবাগ মোড়ে অবস্থান নেন তারা।
আন্দোলনরতরা বলছেন, আওয়ামী লীগকে দল হিসেবে স্থায়ী নিষিদ্ধ করতে হবে। জুলাই সনদ প্রকাশ ও আহতদের সুচিকিৎসার ব্যবস্থা করতে হবে। এসব দাবিতেই মূলত তারা এখনো শাহবাগ মোড় অবরোধ করে রেখেছেন।
আওয়ামী লীগকে দল হিসেবে স্থায়ীভাবে নিষিদ্ধ করা এবং জুলাই সনদ প্রকাশের দাবিতে শাহবাগ মোড় অবরোধ করে
আন্দোলনে অংশ নেওয়া আহত বিপ্লব বলেন, আমি সোহরাওয়ার্দী মেডিকেলে ভর্তি ছিলাম, এখন রিলিজে আছি। আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবির সঙ্গে আমাদের দাবি ছিল জুলাই সনদ প্রকাশ করা। একটা দাবি মেনে নিলো আরেকটা বলছে ৩০ দিনের মধ্যে করবে। ৯ মাসে সনদ দিতে পারলো না, ৩০ দিনে কীভাবে করবে। দাবি না মানা পর্যন্ত আন্দোলন চলবে।
শাহবাগ অবরোধের ফলে সব ধরনের যানচলাচল বন্ধ রয়েছে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
নতুন সংবিধান প্রণয়ন হতে অনেক সময় লাগবে: আসিফ নজরুল

নতুন সংবিধান প্রণয়ন হতে অনেক সময় লাগতে পারে বলে জানিয়েছেন আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল। রোববার (১১ মে) রাজধানীর মাতৃভাষা ইনিস্টিউটে এক আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন তিনি।
রাষ্ট্রের গণতান্ত্রিক কাঠামো সংস্কারে নাগরিক উদ্যোগ, নাগরিক কোয়ালিশন ও সংবিধান সংস্কারে নাগরিক জোটের ৭ প্রস্তাবের ওপর আলোচনার আয়োজন করা হয়।
আইন উপদেষ্টা বলেন, জাতীয় সংসদ সংবিধান প্রণয়ন করে। সংবিধান পরিসর নতুন সংবিধান প্রণয়ন করে। নতুন সংবিধান প্রণয়ন হতে আমাদের পার্শ্ববর্তী দেশে এমনও ধারণা আছে ৮-৯ বছর লেগেছে। নতুন সংবিধান প্রণয়ন হতে বহুদিন লাগতে পারে। এখন আমি ৭২-এর সংবিধান কনটিনিউ করব? নতুন সংবিধান প্রণীত না হওয়া পর্যন্ত বর্তমান যে সংসদ থাকবে সে সংসদ সংবিধান পরিচালক হিসেবে কাজ করবে। ৭২-এর সংবিধানের প্রয়োজনে অ্যামেনমেন্ড করবে।
আসিফ নজরুল বলেন, যে গণপরিষদ যখন কাজ করবে সে নতুন সংবিধানের কাজ করতে থাকবে। ওটা করতে আমার ধারণা ২-৩ বছর লাগতে পারে। এই ২-৩ বছর কি আমি ৭২-এর সংবিধান গ্রহণ করব? এই ২-৩ বছরের জন্য তারা যখন জাতীয় সংসদ সদস্য হিসেবে কাজ করবে থাকবে তখন তারা সংসদের কিছু ফান্ডামেন্ডাল যেমন-প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতা, আর্টিকেল ১৭, উচ্চ আদালতের ডিসেন্ট্রালাইজেশন, বিচার বিভাগের স্বাধীনতা। এই ফান্ডামেন্টাল জিনিসগুলো জাতীয় সংসদ পরিবর্ত করতেই থাকবে।
জুলাই সনদ সংবিধানে যুক্ত করার বিষয়ে আইন উপদেষ্টা বলেন, জুলাই সনদের ওপর অনেক বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। আমরা ধরেই নিয়েছি, সবাই জুলাই সনদের ওপর অনেক কিছুতে একমত হবেন। হয়তো এমনও হতে পারে জুলাই সনদের ফান্ডামেন্টাল কিছু জিনিস রাখা যেতে পারে।
প্রধানমন্ত্রীর দুই মেয়াদে থাকা নিয়ে আফিস নজরুল বলেন, এটা জনপ্রিয় দাবি। আমারও দাবি। প্রধানমন্ত্রী দুই মেয়াদে বললে তো হবে না, আপনাকে কনভেন্সিং তর্ক করতে হবে। পৃথিবীর আর কোন কোন দেশে এটা আছে বের করেন। প্রধানমন্ত্রী দুই মেয়াদ কোথাও নাই আসলে। ভারত বলেন, যুক্তরাজ্য বলেন কোথাও নাই। দুই মেয়াদ সমাধান না। সবচেয়ে গুরত্বপূর্ণ হচ্ছে প্রধানমন্ত্রী ক্ষমতাটা কমিয়ে নেওয়া।
উচ্চ কক্ষের ক্ষমতা নিয়ে তিনি বলেন, প্রধান বিচারপতি রাষ্ট্রপতি স্বাধীনভাবে নিয়োগ করতে পারে। বাংলাদেশের সংবিধানে প্রধান বিচারপতি অসীম ক্ষমতা, তিনি দ্বিতীয় ক্ষমতাধর ব্যক্তি।
কাফি