জাতীয়
দেশ ছাড়ার আগে শেষ ৪ ঘণ্টায় যা করেছেন হাসিনা

৫ আগষ্ট সকাল ১০টা। রাষ্ট্রীয় বিভিন্ন বাহিনীর শীর্ষ কর্মকর্তারা উপস্থিত হন গণভবনে। বৈঠকে বসেন সে সময়ের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে। বৈঠকে বিভিন্ন বাহিনীর শীর্ষ কর্মকর্তাদের চাপ দেন আন্দোলনকারীদের ওপর আরও বল প্রয়োগ করতে। তবে শীর্ষ কর্মকর্তারা জানান, পরিস্থিতি একেবারেই নিয়ন্ত্রণের বাইরে। কিন্তু, এ কথা মানতে রাজি নন শেখ হাসিনা।
এ সময় নিরাপত্তা বাহিনী কেন পরিস্থিতি সামাল দিতে পারছে না, সেটার জন্য ক্ষোভ প্রকাশ করেন। এরপর কর্মকর্তারা তার পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলেন। এরপর তাদের অনুরোধে দ্রুততম সময়ে পদত্যাগ করে সামরিক হেলিকপ্টারে করে গোপনে বোন শেখ রেহানাকে নিয়ে দেশ ছাড়েন শেখ হাসিনা।
সংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্রের কাছ থেকে শেখ হাসিনার ক্ষমতা ছাড়ার শেষ চার ঘণ্টার একটা বিবরণ পাওয়া যায়।
গত রোববার শেখ হাসিনা দলীয় কর্মীদের মাঠে নামার নির্দেশ দিলে দিনভর সারা দেশে ব্যাপক সংঘাত ও প্রাণহানি ঘটে। এত প্রানহানির পরও ছাত্র-জনতার আন্দোলন সামাল দিতে পারেননি তিনি।
যদিও এ পরিস্থিতি উপলব্ধি করতে পেরে রোববার রাতেই শেখ হাসিনাকে তার একজন উপদেষ্টাসহ কয়েকজন নেতা বোঝানোর চেষ্টা করেন। তারা সেনাবাহিনীর কাছে ক্ষমতা হস্তান্তরের পরামর্শ দেন বলে জানা গেছে। তবে তিনি তা মানতে চাননি, বরং সোমবার (গতকাল) থেকে কারফিউ আরও কড়াকড়ি করতে বলেন। ভোর থেকে কারফিউ কড়াকড়ি করার উদ্যোগ নেওয়া হলেও সকাল ৯টার পর থেকে বিভিন্ন স্থানে আন্দোলনকারীরা কারফিউ ভেঙে নামতে শুরু করেন। ১০টা নাগাদ ঢাকার বিভিন্ন স্থানে জমায়েত বড় হতে থাকে।
বিভিন্ন বাহিনীর উচ্চপর্যায়ের সূত্র বলছে, সকাল সাড়ে ১০টার দিকে তিন বাহিনীর প্রধান ও পুলিশের মহাপরিদর্শককে (আইজিপি) প্রধানমন্ত্রীর বাসভবন গণভবনে ডাকা হয়। নিরাপত্তা বাহিনী কেন পরিস্থিতি সামাল দিতে পারছে না, সেটার জন্য ক্ষোভ প্রকাশ করেন। আন্দোলনকারীরা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সাঁজোয়া যানে উঠে লাল রং দিচ্ছে, সামরিক যানে পর্যন্ত উঠে পড়ছেন, এরপরও কেন তারা কঠোর হচ্ছে না, সেটা নিয়েও ক্ষোভ প্রকাশ করেন তিনি। একইসঙ্গে বিশ্বাস করে এই কর্মকর্তাদের শীর্ষ পদে বসিয়েছেন বলেও তিনি উল্লেখ করেন।
একপর্যায়ে শেখ হাসিনা আইজিপিকে দেখিয়ে বলেন, তারা (পুলিশ) তো ভালো করছে। তখন আইজিপি জানান, পরিস্থিতি যে পর্যায়ে গেছে, তাতে পুলিশের পক্ষেও আর বেশি সময় এ রকম কঠোর অবস্থান ধরে রাখা সম্ভব নয়।
ওই সময়ে শীর্ষ কর্মকর্তাদের পক্ষ থেকে বোঝানোর চেষ্টা করা হয়, বলপ্রয়োগ করে এই পরিস্থিতি সামাল দেওয়া যাবে না। কিন্তু, শেখ হাসিনা সেটা মানতে চাচ্ছিলেন না। তখন কর্মকর্তারা শেখ রেহানার সঙ্গে আরেক কক্ষে আলোচনা করেন। তাকে পরিস্থিতি জানিয়ে শেখ হাসিনাকে বোঝাতে অনুরোধ করেন। শেখ রেহানা এরপর বড় বোন শেখ হাসিনার সঙ্গে আলোচনা করেন। কিন্তু তিনি ক্ষমতা ধরে রাখতে অনড় থাকেন। একপর্যায়ে বিদেশে থাকা সজীব ওয়াজেদ জয়ের সঙ্গেও ফোনে কথা বলেন একজন শীর্ষ কর্মকর্তা। এরপর জয় তার মায়ের সঙ্গে কথা বলেন। তারপর শেখ হাসিনা পদত্যাগে রাজি হন। তখন তিনি একটা ভাষণ রেকর্ড করতে চান জাতির উদ্দেশে প্রচারের জন্য। ততক্ষণে গোয়েন্দা তথ্য আসে, বিপুল ছাত্র-জনতা শাহবাগ ও উত্তরা থেকে গণভবন অভিমুখে রওনা হয়েছে। দূরত্ব বিবেচনায় ৪৫ মিনিটের মধ্যে শাহবাগ থেকে গণভবনে আন্দোলনকারীরা চলে আসতে পারে বলে অনুমান করা হয়। ভাষণ রেকর্ড করতে দিলে গণভবন থেকে বের হওয়ার সময় না-ও পাওয়া যেতে পারে। এই বিবেচনায় শেখ হাসিনাকে ভাষণ রেকর্ডের সময় না দিয়ে ৪৫ মিনিট সময় বেঁধে দেওয়া হয়।
এরপর ছোট বোন রেহানাকে নিয়ে তেজগাঁওয়ের পুরোনো বিমানবন্দরে হেলিপ্যাডে আসেন শেখ হাসিনা। সেখানে তাদের কয়েকটি লাগেজ ওঠানো হয়। তারপর তারা বঙ্গভবনে যান। সেখানে পদত্যাগের আনুষ্ঠানিকতা শেষ করে বেলা আড়াইটার দিকে সামরিক হেলিকপ্টারে করে ছোট বোনসহ ভারতের উদ্দেশে উড্ডয়ন করেন শেখ হাসিনা।
এমআই

জাতীয়
নির্বাচনে দায়িত্ব পালনে দেড় লাখ পুলিশ সদস্যকে প্রশিক্ষণ: আইজিপি

নির্বাচনকালীন দায়িত্ব পালনে সক্ষম করতে সারা দেশের দেড় লাখ পুলিশ সদস্যকে বিভিন্ন ভেন্যুতে তিন দিনের প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বাহারুল আলম।
নির্বাচনী দায়িত্ব পেশাদারিত্বের সঙ্গে সম্পাদনের লক্ষ্যে পুলিশ সদস্যদের দক্ষতা ও সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য রাজারবাগে ডিএমপি ট্রেনিং একাডেমিতে অনুষ্ঠিত ট্রেনিং অব ট্রেনার্স (টিওটি) কোর্সের তৃতীয় দিনে বৃহস্পতিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) কোর্স পরিদর্শন শেষে এ কথা বলেন আইজিপি।
গত ১৬ সেপ্টেম্বর তিন দিনব্যাপী এই কোর্সটি শুরু হয়। এই প্রশিক্ষণের মূল উদ্দেশ্য হলো নির্বাচনী দায়িত্ব সুষ্ঠুভাবে সম্পাদনের লক্ষ্যে পুলিশের দক্ষতা ও সক্ষমতা বৃদ্ধিতে দক্ষ প্রশিক্ষক তৈরি করা। এই প্রশিক্ষকরা পরবর্তীতে ডিএমপির অন্যান্য পুলিশ সদস্যকে পর্যায়ক্রমে প্রশিক্ষণ প্রদান করবেন। এর মাধ্যমে জনসাধারণের জীবনযাত্রা স্বাভাবিক রাখা এবং জানমাল ও সম্পদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পুলিশি কার্যক্রমকে আরও যুগোপযোগী করা হবে।
কোর্সের সেশনটি উপভোগ করে আইজিপি প্রশিক্ষণার্থীদের মূল্যবান নির্দেশনা প্রদান করে বলেন, প্রশিক্ষণের মূল উদ্দেশ্য হলো পুলিশ সদস্যদের নির্বাচনমুখী ওরিয়েন্টেশন প্রদান করা, যাতে তারা তাদের দায়িত্ব পেশাদারিত্বের সঙ্গে পালন করতে পারে।
প্রশিক্ষণ কার্যক্রম পুলিশ বাহিনীর পেশাদারিত্ব ও দক্ষতা বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে বলে আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা।
জাতীয়
আবাসন পরিদপ্তরের ঊর্ধ্বতন ৩ কর্মকর্তা বরখাস্ত

আবাসন পরিদপ্তরের ৩ কর্মকর্তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। বাসা বরাদ্দে নানা অনিয়ম-দুর্নীতির কারণে আবাসন পরিদপ্তরের উপপরিচালক রাশেদ আহম্মেদ সাদী ও সহকারী পরিচালক বিলাল হোসাইনকে সাময়িক বরখাস্ত করে বৃহস্পতিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় থেকে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।
অন্যদিকে, সহকারী হিসাবরক্ষক মো. নজরুল ইসলামকে সাময়িক বরখাস্ত করে আবাসন পরিদপ্তর থেকে অফিস আদেশ জারি করা হয়েছে।
চাকরির গ্রেড ও মূল বেতন বিবেচনায় না নিয়ে সরকারি বাসা বরাদ্দের সুপারিশ প্রদান, ডি-১ ও ডি-২ শ্রেণির বাসা বরাদ্দের ক্ষেত্রে আবেদনকারীর কাছ থেকে মোটা অঙ্কের উৎকোচ দাবি এবং বাসা বরাদ্দ সংক্রান্ত সভার দায়িত্ব পালনে অনিয়ম করাসহ নানাবিধ দুর্নীতি ও অসদাচরণের অভিযোগে তাদের বিরুদ্ধে এ শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. নজরুল ইসলাম স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়, রাশেদ আহম্মেদ সাদী সরকারি বাসা বরাদ্দ সিন্ডিকেটের মাধ্যেম বিপুল অর্থ ও স্থাবর সম্পদের মালিক হয়েছে। তাদের অভিযোগ তদন্তনাধীন এবং তা স্পর্শকাতর। তারা চাকরিতে বহাল থাকলে আরও বেশি অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পড়তে পারেন এবং তাদের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগের তদন্তকার্যে প্রভাব বিস্তার করতে পারেন। এ সব অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে রাশেদ আহম্মেদ সাদী এবং বিলাল হোসাইনকে সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপীল) বিধিমালা, ২০১৮ এর ১২ (১) অনুযায়ী সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে। তারা বিধি অনুযায়ী খোরপোষ ভাতা পাবেন।
এছাড়াও আবাসন পরিদপ্তরের পরিচালক (যুগ্মসচিব) মো. আসাদুজ্জামান স্বাক্ষরিত অফিস আদেশে বলা হয়, ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নাম ব্যবহার করে সিন্ডিকেটের মাধ্যমে আবাসন পরিদপ্তরের বাসা বরাদ্দের নামে আবেদনকারীদের কাছ থেকে মোটা অঙ্কের উৎকোচ দাবি করাসহ নানাবিধ দুর্নীতি ও অসদাচরণের অভিযোগ সরকারি আবাসন পরিদপ্তরের সহকারী হিসাবরক্ষক নজরুল ইসলামকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। তিনিও বিধি অনুযায়ী খোরপোষ ভাতা পাবেন।
জাতীয়
দুর্গাপূজায় সরকারি ছুটি ৩ দিন দাবি

দুর্গা পূজায় সরকারি ছুটি ৩ দিন (অষ্টমী, নবমী ও দশমী) করা সহ ৪ দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ জাতীয় হিন্দু মহাজোট।
শুক্রবার (১৯ সেপ্টেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবে আয়োজিত ‘দুর্গা পূজায় নিরাপত্তা ও হিন্দু সম্প্রদায়ের ভাবনা’ শীর্ষক গোল টেবিল আলোচনা সভায় এসব দাবি জানানো হয়েছে।
দাবিগুলো হলো– দুর্গা পূজায় সরকারি ছুটি ৩ দিন (অষ্টমী, নবমী ও দশমী) করতে হবে; প্রত্যেকটি স্থায়ী ও অস্থায়ী পূজা মন্দিরে সরকারি খরচে সিসি ক্যামেরার ব্যবস্থাসহ প্রতিটি মন্দিরে পূজার ১০ দিন আগে থেকে পূজা চলাকালীন সময় পর্যন্ত নিরাপত্তা জোরদার করা; গত বছরের মতো দুর্গা পূজায় সেনাবাহিনীর টহল দেওয়া এবং পূজায় নিরাপত্তা জোরদার করার জন্য কেন্দ্রীয়ভাবে একটি মনিটারিং সেল গঠন করা।
লিখিত বক্তব্যে বাংলাদেশ জাতীয় হিন্দু মহাজোটের মুখপাত্র ও নির্বাহী মহাসচিব পলাশ কান্তি দে বলেন, হিন্দু সম্প্রদায়ের সর্ববৃহৎ ধর্মীয় উৎসব শুরু হতে যাচ্ছে আগামী ২৮ সেপ্টেম্বর। দুর্গা পূজার মূল ৩টি দিনই হলো অষ্টমী, নবমী ও দশমী। এই উপলক্ষ্যে দিন-রাত পূজার কাজে ব্যস্ত থেকে ধর্মীয় অনুশাসন মেনে সার্থকভাবে দুর্গা পূজা সম্পাদন করতে হয়।
তিনি বলেন, দুর্গাপূজায় হিন্দু সম্প্রদায় বিভিন্নভাবে বৈষম্যের শিকার। কারণ ৫ দিনের পূজায় মাত্র ২ দিন সরকারি ছুটি, যার মধ্যে আগে ছিল একদিন বর্তমান সরকার এসে সেটা দু’দিন করেছে। কিন্তু আমাদের দাবি ছিল ৩ দিন। যার কারণে হিন্দু সম্পদায়ের অনেকেই দুর্গা পূজার শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত উপস্থিত থেকে পূজার আনন্দ ও ধর্মীয় যজ্ঞ শেষ করতে পারে না। এমনকি পরিবার পরিজনের সঙ্গে পূজার আনন্দ ভাগ করে নিতে পারে না। তাই এবার থেকে দুর্গা পূজায় সরকারি ছুটি ৩ দিন (অষ্টমী, নবমী ও দশমী) করা হোক।
তিনি আরো বলেন, ইতিমধ্যে মন্দিরে প্রতিমা বানানোর কাজ শুরু হয়ে গেছে। দুর্গা পূজা ও নির্বাচন এই দুটি বিষয় নিয়ে হিন্দু সম্প্রদায়ের অতীত অভিজ্ঞতা মোটেই সুখকর নয়। কারণ, পূজার আগে ও পরে এবং যে কোনো নির্বাচনের আগে ও পরে হিন্দু সম্প্রদায় ও তাদের স্থাপনার উপর আঘাত নিয়মিত ভাবে হচ্ছে। এরই মধ্যে ৪টি জেলায় দুর্গা প্রতিমা ভাঙচুর করা হয়েছে। পুজার আরও ১০ দিন বাকি এ হামলা ও ভাঙচুর আরও বাড়বে বলে আমরা মনে করছি। এরই মধ্যে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সন্নিকটে। তাই এবার পূজা মণ্ডপ এবং হিন্দু সম্প্রদায়ের স্থাপনা সাম্প্রদায়িক শক্তির লক্ষ্য বস্তুতে পরিণত হতে পারে। এই পরিস্থিতিতে এই উৎসবের নিরাপত্তা নিয়ে হিন্দু সম্প্রদায় এখনই ভাবতে শুরু করেছে।
পূজায় নিরাপত্তার শঙ্কা উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমরা ২০২৫ সালের শারদীয় দুর্গা পূজা নিয়ে শঙ্কা বোধ করছি। সারা দেশব্যাপী পূজার আগে ও পরে এমনকি পূজা চলাকালীন সময়ে দুর্গা মন্দিরে হামলার আশঙ্কা করছি। কোন জায়গায় হামলা হতে পারে সেই সমস্ত জায়গাসহ সারা দেশে দুর্গা পুজার আগে ও পরে নিরাপত্তা জোরদার করার আহ্বান জানাচ্ছি। প্রত্যেকটি স্থায়ী ও অস্থায়ী পূজা মন্দিরে ও মণ্ডপে সরকারি খরচে সিসি ক্যামেরার ব্যবস্থাসহ প্রতিটি মন্দিরে পূজার ১০ দিন আগে থেকে পূজা চলাকালীন সময় নিরাপত্তা জোরদার করার আহ্বান জানাচ্ছি।
বাংলাদেশ জাতীয় হিন্দু মহাজোটের সভাপতি ড. প্রভাস চন্দ্র রায়ের সভাপতিত্বে বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন– বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা আসলাম চৌধুরী, গণফোরামের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি সুব্রত চৌধুরী, বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি বাসুদেব ধর, হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মনিন্দ্র কুমার দেবনাথ, বাংলাদেশ সম্মিলিত সনাতনী জোটের সভাপতি শ্যামল কুমার রায় প্রমুখ।
জাতীয়
চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ ১৮ নভেম্বর

জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে আগামী ১৮ নভেম্বর চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ করবে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। তালিকায় ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত ১৮ বছর পূর্ণ করা নতুন ভোটাররাও অন্তর্ভুক্ত থাকবেন।
বৃহস্পতিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) ইসির সিনিয়র সহকারী সচিব মো. নাসির উদ্দিন চৌধুরীর মাঠ কর্মকর্তাদের পাঠানো এক চিঠি থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
এতে উল্লেখ করা হয়েছে, ভোটার তালিকার খসড়া প্রকাশ করা হবে ১ নভেম্বর। দাবি-আপত্তি ও সংশোধনের আবেদনের শেষ সময় ১৬ নভেম্বর। দাবি ও আপত্তি নিষ্পত্তি হবে ১৭ নভেম্বর। আর চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ করা হবে ১৮ নভেম্বর।
দেশে বর্তমানে ভোটার ১২ কোটি ৬৩ লাখ ৭ হাজার ৫৯৪ জন। এরমধ্যে পুরুষ ৬ কোটি ৪১ লাখ ৪৫৫ জন ও নারী ভোটার ৬ কোটি ২২ লাখ ৫ হাজার ৮১৯ জন। আর হিজড়া ভোটার রয়েছেন ১ হাজার ২৩০ জন।
জাতীয়
টেকনাফের গহীন পাহাড় থেকে নারী-শিশুসহ ৬৬ জন উদ্ধার

টেকনাফের বাহার ছড়া কচ্ছপিয়া এলাকার গহীন পাহাড় থেকে মানব পাচারকারীদের আস্তানা থেকে নারী, পুরুষ ও শিশুসহ ৬৬ জন বন্দিকে উদ্ধার করেছে নৌ-বাহিনী ও কোস্টগার্ড। তাদের মধ্যে ২৩ জন নারী, ২২ জন পুরুষ ও ২১ জন শিশু রয়েছে। তাদের মধ্যে অনেকেই বাংলাদেশি ও রোহিঙ্গা রয়েছেন।
কোস্ট গার্ড পূর্ব জোন সূত্রে জানা যায়, নৌবাহিনী কন্টিনজেন্ট টেকনাফ ও কোস্ট গার্ড বাহারছড়া ইউনিয়নের কচ্ছপিয়ার গহীন পাহাড় ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অপহরণ, মুক্তিপণ আদায়কারী ও বিদেশে পাচারকারীদের গোপন আস্তানায় এই অভিযান চালায়।
বৃহস্পতিবার রাতে কেস্ট গার্ড এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তারা জানায়, সমুদ্র পথে ট্রলারযোগে মালয়েশিয়ায় পাচারের জন্য নানা প্রলোভন দেখিয়ে এলাকা ও রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে লোকজন নিয়ে গহীন পাহাড়ে বন্দি রেখেছে এমন সংবাদের ভিত্তিতে নৌবাহিনী ও কোস্টগার্ড যৌথ অভিযান চালায়।
এ বিষয়ে শুক্রবার (১৯ সেপ্টেম্বর) সকালে টেকনাফ কোস্টগার্ড স্টেশন কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলন রয়েছে। সেখানে অভিযানের বিষয়ে আরও বিস্তারিত জানানো হবে বলে জানিয়েছেন তারা।