খেলাধুলা
পাকিস্তান সিরিজে থাকছেন মুশতাক আহমেদ!
পাকিস্তানের সাবেক লেগ স্পিনার মুশতাক আহমেদের সঙ্গে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের চুক্তি ছিল টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ পর্যন্ত। কিন্তু বিশ্বকাপে বাংলাদেশের লেগ স্পিনার রিশাদ হোসেনের দুর্দান্ত পারফরম্যান্স বোর্ডকে নতুন করে ভাবায়। পাকিস্তানের কিংবদন্তি লেগ স্পিনারের ছোঁয়ায় দারুণ উন্নতি করেছেন রিশাদ। কাজে সন্তুষ্ট হয়ে মুশতাকের সঙ্গে দীর্ঘমেয়াদি চুক্তিতে যেতে চেয়েছিল বাংলাদেশ। কিন্তু পাকিস্তানি কিংবদন্তি ইংল্যান্ড অনূর্ধ্ব-১৯ দলের সঙ্গে চুক্তি করে ফেলায় হতাশ হতে হয় বিসিবিকে।
গত এপ্রিলে বিসিবির সঙ্গে স্পিন বোলিং কোচ হিসেবে চুক্তি করেন মুশতাক আহমেদ। পাকিস্তানি এই লেগ স্পিন কিংবদন্তির সঙ্গে চুক্তির মেয়াদ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপেই শেষ হলেও দীর্ঘ মেয়াদে পাওয়ার ব্যাপারে আশাবাদী ছিল বিসিবি। কিন্তু ইংল্যান্ড অনূর্ধ্ব-১৯ দলের সঙ্গে নতুন করে চুক্তি করলে সে সম্ভাবনায় গুড়েবালি তো পড়েই, পাকিস্তানের বিপক্ষে সিরিজেও তাকে পাওয়া নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দেয়।
তবে আজ বুধবার (৩১ জুলাই) বিসিবির ক্রিকেট অপারেশন্সের চেয়ারম্যান জালাল ইউনুস আশার খবর শোনালেন। তিনি জানান, আগামী মাসে পাকিস্তান সফরে মুশতাক আহমেদকে পাচ্ছে বাংলাদেশ। বিসিবি কার্যালয়ের সামনে গণমাধ্যমকে তিনি বলেন, ‘পাকিস্তান সিরিজের মুশতাক আহমেদ অ্যাভেইলেবল (পাওয়া যাবে)।’
তবে এরপর এ বছরের বাই সিরিজগুলোয় আর এই কিংবদন্তিকে পাওয়া যাবে না বলেও জানিয়েছেন জালাল ইউনুস। তিনি বলেন, ‘যেহেতু সামনে ওর নিজেরও কিছু প্রোগ্রাম আছে, সে জন্য পারছে না বাকি সিরিজগুলোয় থাকতে। ডিসেম্বর পর্যন্ত সে ব্যস্ত। তবে আমরা জানুয়ারি থেকে চেষ্টা করব তার সঙ্গে দীর্ঘমেয়াদি চুক্তি করার। বলছি না যে করা যাবে। আমরা চেষ্টা করব। এখন পর্যন্ত ইতিবাচক একটা ভাইব পাচ্ছি। দেখা যাক, সামনে কী হয়।’
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
খেলাধুলা
বাংলাদেশ-ভারত টি-টোয়েন্টি ম্যাচে হামলার হুমকি
ছাত্র-জনতার তীব্র আন্দোলনের মুখে গত ৫ আগস্ট বাংলাদেশ দেখেছে ক্ষমতার পালাবদল। ১৫ বছর রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় থাকার পর সেদিন পদত্যাগ করেন বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ওইদিনই দেশত্যাগ করে তিনি আশ্রয় নেন ভারতে। সরকার পতনের পরপর সাধারণ মানুষের মাঝে দেখা যায় বিপুল আনন্দ-উচ্ছ্বাস। তবে সারা দেশে কিছু সহিংসতার ঘটনাও ঘটে এই পালাবদলকে কেন্দ্র করে।
ভারতীয় বিভিন্ন গণমাধ্যম ও সোশ্যাল মিডিয়া প্লাটফর্মে বলা হয় বাংলাদেশের নানা প্রান্তে সনাতন ধর্মের অনুসারী হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর হামলা চলছে। সরকার পতনের রাত থেকে পরবর্তী দুই-তিনদিন চলতে থাকে এই অভিযোগ। যদিও পরবর্তীতে ফ্যাক্টচেকে উঠে আসে এসবের প্রায় সবই ছিল গুঞ্জন। (ঢাকা পোস্টে প্রকাশিত ফ্যাক্টচেক প্রতিবেদন দেখুন এই লিংকে)
গুজব-গুঞ্জন কিছুটা কমে এলেও ভারতে থেমে নেই এ নিয়ে প্রতিক্রিয়া। ভারতের একাধিক গণমাধ্যমে এখনো প্রচারিত হচ্ছে বাংলাদেশে হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর সহিংসতার খবর।
এবার তাতে যুক্ত হয়েছে নতুন মাত্রা। বাংলাদেশে হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর নির্যাতনের জেরে সেপ্টেম্বর-অক্টোবরে ভারতের মাটিতে অনুষ্ঠেয় ভারত-বাংলাদেশ ক্রিকেট ম্যাচে হামলার হুমকি দেওয়া হয়েছে।
সেপ্টেম্বরে ভারতের বিপক্ষে দুটি টেস্ট আর অক্টোবরে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলার কথা রয়েছে বাংলাদেশের। ৬ অক্টোবরে গোয়ালিয়রে সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টি ম্যাচটি নিয়ে শঙ্কার খবর দিয়েছে ভারতীয় গণমাধ্যম ফ্রি প্রেস জার্নাল। সংবাদ মাধ্যমের এক্স হ্যান্ডেলে এই সম্পর্কিত ভিডিও প্রকাশ করা হয়েছে।
গোয়ালিয়রে অনুষ্ঠিতব্য এই ম্যাচ বাতিলের দাবি জানিয়েছে ভারতের হিন্দু জাতীয়তাবাদী রাজনৈতিক দল অখিল ভারত হিন্দু মহাসভা। হিন্দু মহাসভার সহ-সভাপতি ডাঃ জয়বীর ভরদ্বাজ সাংবাদিকদের জানিয়েছেন তারা এই ম্যাচ বাতিলের সবরকমের চেষ্টা করবে।
শেষ পর্যন্ত এই ম্যাচের আয়োজন করলে তারা হামলারও হুমকি দিয়েছে। এ প্রসঙ্গে জয়বীর ভরদ্বাজ বলেছেন, ‘বাংলাদেশে হিন্দুদের গণহত্যা করা হচ্ছে… মন্দির ধ্বংস করা হচ্ছে। এরপরেও প্রধানমন্ত্রী মোদি এখানে ম্যাচ আয়োজনের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তাই, হিন্দু মহাসভা সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে গোয়ালিয়রে ভারত-বাংলাদেশ ক্রিকেট ম্যাচের বিরোধিতা করা হবে। শান্তি বজায় রাখার জন্য ম্যাচটি বাতিল করা উচিত কারণ অন্যথায় দেশে অশান্তি হবে।’
টি-টোয়েন্টি ম্যাচ আয়োজন হওয়ার কথা ছিল হিমাচল প্রদেশের ধর্মশালায়। তবে বাংলাদেশের সিরিজ চলাকালীন ভেন্যু সংস্কারের কাজ চলবে সেই স্টেডিয়ামে। এ কারণেই ম্যাচটি সরিয়ে নেয়া হয়েছে গোয়ালিয়রে। এবার সেই ম্যাচকে ঘিরেই শঙ্কা তৈরি হয়েছে।
বাংলাদেশের ভারত সফর শুরু হবে ১৯ সেপ্টেম্বর চেন্নাইয়ে সিরিজের প্রথম টেস্ট দিয়ে। কানপুরে ২৭ সেপ্টেম্বর থেকে দুই দল খেলবে দ্বিতীয় ও শেষ টেস্ট। দুটি টেস্টই শুরু হবে বাংলাদেশ সময় সকালে ১০টায়। এরপরেই টি-টোয়েন্টি সিরিজ। ৬ অক্টোবর গোয়ালিয়রে প্রথম টি-টোয়েন্টির পর দ্বিতীয় ও তৃতীয় টি-টোয়েন্টি অনুষ্ঠিত হবে ৯ ও ১২ অক্টোবর। এই সিরিজের সবগুলো ম্যাচই হবে দিবারাত্রির।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
খেলাধুলা
পাকিস্তান সিরিজ থেকে ছিটকে গেলেন জয়
আগামী ২১ আগস্ট থেকে পাকিস্তানের বিপক্ষে দুই ম্যাচের একটি টেস্ট সিরিজ খেলবে বাংলাদেশ। এই সিরিজের স্কোয়াডে আছেন মাহমুদুল হাসান জয়। তবে চোটের কারণে এই সিরিজে তার খেলা হচ্ছে না।
বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) একটি সূত্র পাকিস্তান সিরিজ থেকে জয়ের ছিটকে যাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। জয়ের বিকল্প হিসেবে স্কোয়াডে ডাক পাবেন কোনো ওপেনার।
জাতীয় দলের সিরিজের আগে দুই দেশের ‘এ’ দলের মধ্যে একটি অনানুষ্ঠানিক টেস্ট সিরিজ হচ্ছে। সিরিজের প্রথম ম্যাচটি হয়েছে ইসলামাবাদে। সেখানে খেলতে গিয়েই চোটে পড়েছেন জয়।
ম্যাচের প্রথম ইনিংসে মাত্র ১২২ রানে অলআউট হয়েছে বাংলাদেশ। যেখানে একমাত্র সফল ব্যাটার ছিলেন জয়। তরুণ এই ওপেনার একাই করেছেন দলের অর্ধেক রান। ১১৬ বল খেলে করেছিলেন ৬৫ রান। এরপর দ্বিতীয় ইনিংসে আর ব্যাট করতে পারেননি তিনি।
ইনফর্ম এই ওপেনার ‘এ’ দলের পরের ম্যাচটিতেও খেলতে পারবেন না। যে কারণে ইসলামাবাদ থেকে দলের সঙ্গে রাওয়ালপিন্ডিতে যাবেন না তিনি।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
খেলাধুলা
বিসিবির সভাপতি পদ ছাড়তে রাজি পাপন
বিসিবির সভাপতির পদ থেকে সরে দাঁড়াতে সম্মত আছেন নাজমুল হাসান পাপন। বিসিবির এক শীর্ষ পরিচালককে তিনি দেশের বাইরে থেকে ফোনে এই ইচ্ছার কথা জানিয়েছেন বলে জানা গেছে। সরকার পরিবর্তনের পর নাজমুল হাসান লন্ডনে চলে গেছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
বিসিবির একটি সূত্র জানিয়েছে, বর্তমানে বোর্ডের যে কয়জন পরিচালক সক্রিয় আছেন, গতকাল তাঁরা বর্তমান পরিস্থিতিতে নিজেদের করণীয় ঠিক করতে আলোচনায় বসেছিলেন। সেখানেই একজন পরিচালক সভার সবাইকে নাজমুল হাসানের এই ইচ্ছার কথা জানান।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিসিবির এক পরিচালক বলেছেন, বিসিবিতে সংস্কারের সুযোগ করে দিতে সভাপতির পদ থেকে পদত্যাগ করতে রাজি আছেন নাজমুল। তবে গঠনতন্ত্র অনুযায়ী তাঁকে লিখিতভাবে বোর্ডকে পদত্যাগের সিদ্ধান্ত জানাতে হবে, যেটি পরে পরিচালনা পর্ষদের সভায় অনুমোদন করতে হবে।
কিন্তু বোর্ড সভা ডাকতে হবে বর্তমান সভাপতি নাজমুল হাসানকেই, যেটি তিনি বিদেশে বসেও পারবেন। প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার মাধ্যমে সভা ডেকে সেখানে সভাপতিত্ব করার দায়িত্ব সভাপতি তাঁর অনুপস্থিতিতে অন্য কোনো পরিচালকের ওপর ন্যস্ত করতে পারেন। অথবা সভাপতির অনুপস্থিতিতে সভায় উপস্থিতদের কারও প্রস্তাবে যেকোনো একজন পরিচালক সভাপতিত্ব করতে পারেন।
সূত্র জানায়, বিসিবি সভাপতি আনুষ্ঠানিকভাবে পদত্যাগপত্র পাঠালে এই সভা ডাকা হবে।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
খেলাধুলা
বাংলাদেশের স্পিনারদের প্রশংসায় মুশতাক আহমেদ
আগামী ২১ আগস্ট থেকে শুরু হতে যাওয়া দুই টেস্টের সিরিজের জন্য বর্তমানে পাকিস্তানে অবস্থান করছে বাংলাদেশ দল। কিছুটা আগেভাগে গিয়ে নাজমুল হোসেন শান্ত’র দল সেখানে অনুশীলন সেরে নিচ্ছে। আসন্ন সিরিজে দলের কম্বিনেশন ও নিজের কাজের বিষয়ে কথা বলেছেন টাইগারদের স্পিন বোলিং কোচ মুশতাক আহমেদ।
আজ (বৃহস্পতিবার) সংবাদ সম্মেলনে এসে পাকিস্তানি এই কিংবদন্তি স্পিনার বলেন, ‘বাংলাদেশের খুব ভালো স্পিনার আছে। আমার লক্ষ্য হচ্ছে টেকটিক্যাল ও টেকনিক্যাল ব্যাপারগুলো নিয়ে বলা। টেকটিক্যালি আপনার স্পিনারদের বলতে হবে কীভাবে অ্যাঙ্গেলটা ব্যবহার করতে হবে, পিচ রিড করা এবং কোন জায়গা থেকে বল করতে হবে, কোন ব্যাটারের জন্য কেমন ফিল্ডিং সাজাতে হবে, আপনার যত অভিজ্ঞতাই হোক, এই রিমাইন্ডারগুলো দরকার হবে।’
শিষ্যরা কোচদের কথা ভালোভাবে মানে বলে দলে ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে পারবেন বলে আশা মুশতাকের, ‘বাংলাদেশের যে স্পিনার আছে, সাধারণতভাবেই তারা খুব খুব ভালো স্পিনার, ম্যাচ উইনার। বাংলাদেশকে অনেক ম্যাচ জিতিয়েছে। এটা আমার জন্য দারুণ সম্মানের ওদের সঙ্গে কাজ করা। ভালো কয়েকজন ছেলে আছে। তারা কোচেবল, এর মানে হচ্ছে কথা শোনে। আমি ভালো সময় কাটাচ্ছি ওদের সঙ্গে। ওরা ভালো শিখতে পারে। আশা করি একটা পার্থক্য তৈরি করতে পারব।’
খেলোয়াড়দের মাঝে ভালো করার বিশ্বাসটা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করেন সাবেক এই পাকিস্তানি কিংবদন্তি, ‘(শেখানোর বিষয়ে) নতুন কিছু না। বেসিক ও বিশ্বাসটা ঠিক রাখতে হবে। মনে রাখতে হবে, যার বিশ্বাসটা শক্ত; যখন আপনি প্রতিদ্বন্দ্বিতায় যাবেন, ব্রায়ান লারা বা যাকেই বল করেন, যদি বিশ্বাস শক্ত না হয় সে আপনাকে হারিয়ে দেবে। বিশ্বাসটা শক্ত হতে হবে। এটাতে নজর দিলে বাকি স্কিল এমনিতেই ঠিক হয়ে যাবে। আমার কাজ হলো, ওদের বিশ্বাস দিতে হবে তোমরা যে কাউকে হারাতে পারবে।’
রাওয়ালপিন্ডিতে হবে বাংলাদেশ-পাকিস্তান সিরিজের প্রথম টেস্ট। ম্যাচে বাংলাদেশ দলের কম্বিনেশন কেমন হবে এ নিয়ে মুশতাককে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ‘আমরা রাওয়ালপিন্ডির কন্ডিশন দেখে দলের সমন্বয় ঠিক করব। টেস্টে স্পিনারদের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ, তাদের অবদান এড়ানোর সুযোগ নেই। আবার যদি কন্ডিশন ফাস্ট বোলারদের অনুকূলে হয়ে থাকে, তাহলে আমাদের ভালো মানের পেসারও আছে।’
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
খেলাধুলা
অস্ট্রেলিয়ায় বড় জয় বাংলাদেশের
অস্ট্রেলিয়ায় টপ এন্ড সিরিজে নিজেদের প্রথম ম্যাচটা দাপুটে জয়ের পর টানা দুই ম্যাচ হেরে কিছুটা ব্যাকফুটে ছিল বাংলাদেশ হাই পারফরম্যান্স ইউনিট (এইচপি)। নিজেদের চতুর্থ ম্যাচে জিসান-রিপনদের নৈপুণ্যে এসিটি কমেটসকে হারিয়ে আবারও জয়রথে ফিরেছে এইচপি দল।
নির্ধারিত ২০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে ১২৪ রানের বেশি করতে পারেনি এসিটি কমেটস। জবাবে ২০ বল হাতে রেখে ছয় উইকেটের জয় পেয়েছে বাংলাদেশ এইচপি।
আজ (বৃহস্পতিবার) টস জিতে আগে ব্যাটিং করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল এসিটি কমেটস। শুরুতেই দলকে সাফল্য এনে দেন রিপন মন্ডল। ৮ বলে ৮ রান করা ইসাম রহমানকে সাজঘরে ফিরিয়ে উদ্বোধনী জুটি ভাঙেন তিনি। দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে কিছুটা হাল ধরার চেষ্টা চালায় এসিটি কমেটস। ৩৪ বলে আসে ৩৪ রান। এই জুটি ভাঙেন রাকিবুল হাসান। টাইলার ফন লুইনকে এলবিডব্লিউ করেন রাকিবুল।
দুই ওপেনারের বিদায়ের পর আর রানের চাকা সচল রাখতে পারেনি দলটি। শেষ দিকে উইকেটের মড়ক লাগে। ৮৮ থেকে ১০৮ রান, এই ২০ রানের মধ্যেই পাঁচটি উইকেট হারিয়ে ফেলে দলটি। শেষ পর্যন্ত ৯ উইকেট হারিয়ে সংগ্রহ করে মাত্র ১২৪ রান। ২৬ বলে দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৩৬ রানের ইনিংস খেলেন মিকি ম্যাকনামারা।
বাংলাদেশ এইচপির পক্ষে রিপন শিকার করেন তিনটি উইকেট। চার ওভারে ১২টি ডট বল করে মাত্র ২৬ রান খরচ করেন। আবু হায়দার রনিও চার ওভারে ১২টি ডট ও ২৬ রান খরচায় নেন দুইটি উইকেট। একটি করে উইকেট নেন রাকিবুল ও রাব্বি।
হাতের নাগালে থাকা টার্গেট তাড়া করতে নেমে উড়ন্ত সূচনা পায় বিসিবি এইচপি। ৩১ বলে ৫১ রানের উদ্বোধনী জুটি গড়েন তানজিদ হাসান তামিম ও জিসান আলম। ১৫ বলে ১৮ রান করে আউট হয়ে যান তামিম। অন্যপ্রান্তে ঝড় তোলেন জিসান আলম। তার ঝোড়ো ব্যাটিংয়েই ১৩তম ওভারে শতরান পার করে বাংলাদেশ এইচপি। ৩৫ বলে ব্যক্তিগত অর্ধশতক পূর্ণ করেন জিসান।
শেষ দিকে বাংলাদেশ এইচপির জয় নিশ্চিত করেন মাঠ ছাড়েন অধিনায়ক আকবর আলি ও শামীম পাটোয়ারী। ৬ উইকেট ও ২০ বল হাতে রেখে জয় পায় এইচপি দল।