টেলিকম ও প্রযুক্তি
যেসব দেশে সবচেয়ে বেশি সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার হয়
![যেসব দেশে সবচেয়ে বেশি সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার হয় এনসিসি ব্যাংক](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2024/07/socal-media.jpg)
সোশ্যাল মিডিয়ার মধ্যে বাংলাদেশে ফেসবুক, মেসেঞ্জার, হোয়াটসঅ্যাপ, এক্স (টুইটার), লিংকডইন, ইনস্টাগ্রাম, টিকটক, ইউটিউব ও টেলিগ্রাম খুবই জনপ্রিয়। বর্তমানে সবাই কমবেশি সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করেন। কিন্তু প্রশ্ন হলো বিশ্বের কোন দেশে সবচেয়ে বেশি সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করা হয়?
ডিজিটাল অ্যাডভাইজরি ফার্ম কেপিওস তাদের সবশেষ এক প্রতিবেদনে একটি পরিসংখ্যান তুলে ধরে। এ সমীক্ষার তালিকায় আছে হোয়াটসঅ্যাপ, ইনস্টাগ্রাম ও ফেসবুক, উইচ্যাট, এক্স (টুইটার), মেসেঞ্জার ও টেলিগ্রামসহ অনেক মাধ্যম। আছে ভিডিও শেয়ারিং প্ল্যাটফর্ম ইউটিউবও।
টিআরটি ওয়ার্ল্ড সংস্থার এক গবেষণায় জানা যায়, বিশ্বের মোট জনসংখ্যার ৬০ শতাংশের বেশি মানুষ সোশ্যাল মিডিয়ায় সক্রিয়। সংখ্যার হিসাবে যা ৫ বিলিয়ন অর্থাৎ ৫০০ কোটির কাছাকাছি।
ওয়ার্ল্ড অব স্ট্যাটিস্টিকস অনুসারে, ফিলিপাইনের মানুষ সবচেয়ে বেশি সময় সোশ্যাল মিডিয়ায় সক্রিয় থাকে। সমীক্ষা অনুসারে, গড়ে একদিনে তারা ৪ ঘণ্টা ৬ মিনিট সময় ব্যয় করেন সোশ্যাল মিডিয়ায়।
এর পরের অবস্থানে কলম্বিয়া। তারা দিনে গড়ে ৩ ঘণ্টা ৪৬ মিনিট সময় কাটায়। এরপর দক্ষিণ আফ্রিকা ৩ ঘণ্টা ৪৩ মিনিট, ব্রাজিল ৩ ঘণ্টা ৪১ মিনিট এবং আর্জেন্টিনা ৩ ঘণ্টা ২৬ মিনিট সময় কাটায়। পার্শ্ববর্তী দেশ ভারত এ তালিকায় ১৪তম অবস্থানে আছে। ভারতীয়রা দৈনিক গড়ে সময় কাটায় ২ ঘণ্টা ৩৬ মিনিট।
যুক্তরাষ্ট্রের বাসিন্দারা প্রতিদিন গড়ে প্রায় ২ ঘণ্টা ১৪ মিনিট সময় কাটায়। তবে বাংলাদেশের মানুষ প্রতিদিন গড়ে কতটুকু সময় ব্যয় করে তা উঠে আসেনি এই প্রতিবেদনে।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
![](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2023/02/Logo_OS_250_72.webp)
টেলিকম ও প্রযুক্তি
সামাজিক মাধ্যম চালু কবে, জানা যাবে আগামীকাল
![সামাজিক মাধ্যম চালু কবে, জানা যাবে আগামীকাল এনসিসি ব্যাংক](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2024/03/Facebook-1.jpg)
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম চালুর বিষয়ে আগামীকাল বুধবার (৩১ জুলাই) বেলা ১১টার দিকে জানানো হবে বলে জানিয়েছেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।
মঙ্গলবার (৩০ জুলাই) সন্ধ্যায় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সাত মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী, চার সচিব ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর শীর্ষ কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা জানান।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, টিকটক, ইউটিউব ও ফেসবুকের কাছে একটি ব্যাখ্যা চাওয়া হয়েছে। মৌখিক ও লিখিতভাবে জবাব দিতে বলা হয়েছে তাদের। এরইমধ্যে টিকটক আনুষ্ঠানিকভাবে আমাদের জানিয়েছে, তারা উপস্থিত হয়ে মৌখিক ও লিখিতভাবে জবাব দিতে চায়।
তিনি আরও বলেন, তবে ফেসবুক ও ইউটিউব বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনে (বিটিআরসি) কোনো জবাব দেয়নি। যে কারণে আগামীকাল সকাল ৯টা, ১০টা ও বেলা ১১টায় এই তিন প্রতিষ্ঠানকে বিটিআরসিতে উপস্থিত হয়ে ব্যাখ্যা দিতে চিঠি দেয়া হয়েছে। তাই আগামীকাল বেলা ১১টার পর আলোচনাসাপেক্ষে সামাজিক মাধ্যম চালুর সিদ্ধান্ত জানাতে পারবো।
কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে সহিংসতার মধ্যে গত ১৭ জুলাই রাতে মোবাইল ইন্টারনেট এবং ১৮ জুলাই রাতে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট বন্ধ হয়ে যায়।
পাঁচদিন পর ২৩ জুলাই রাতে পরীক্ষামূলকভাবে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সেবা চালু করা হয়। অগ্রাধিকার ভিত্তিতে কূটনীতিক পাড়া, ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান, বিদ্যুৎ, ফ্রিল্যান্সিং ও প্রযুক্তি এবং রফতানিমুখী খাতে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে এ সেবা চালু হয়। পরে বাসাবাড়িতেও ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট চালু করা হয়।
আর ১১ দিন পর মোবাইল ইন্টারনেট সেবা চালু করা হলেও মিলছে না স্বাভাবিক গতি। এছাড়া এখনও চালু হয়নি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম।
এদিকে, সারা দেশে ফেসবুক ও টিকটকসহ সোশ্যাল মিডিয়াগুলো বন্ধ থাকলেও নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্টটিতে নিয়মিত পোস্ট করছেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। সাধারণের জন্য বন্ধ থাকলেও নিজের অ্যাকাউন্টে কেন সক্রিয় থেকেছেন সেই বিষয়ে জানিয়েছেন পলক।
তিনি বলেছেন, বর্তমান পরিস্থিতি সম্পর্কে সবাইকে সঠিক তথ্য জানাতে নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্টে সক্রিয় থেকেছেন।
পলক আরও বলেন, ৩১ জুলাই ফেসবুক, টিকটকসহ সোশ্যাল মিডিয়ার প্রতিনিধিদের বিটিআরসিতে তলব করা হয়েছে। তারা সশরীরে হাজির হয়ে ব্যাখ্যা দিতে হবে। ব্যাখ্যা না দেয়া পর্যন্ত ফেসবুক ও টিকটকসহ সোশ্যাল মিডিয়া খুলে দেয়ার ব্যাপারে বর্তমান সিদ্ধান্তে অনড় থাকবে সরকার।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
টেলিকম ও প্রযুক্তি
দেশে সাইবার হামলার অপচেষ্টা চলছে: পলক
![দেশে সাইবার হামলার অপচেষ্টা চলছে: পলক এনসিসি ব্যাংক](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2024/05/zunaid-ahmed-palak-1.jpg)
বিভিন্ন রাষ্ট্রের মদদে দেশে সাইবার হামলার অপচেষ্টা চলছে বলে জানিয়েছেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। তিনি বলেন, ভিপিএন ব্যবহার সাইবার ঝুঁকি বাড়াচ্ছে।
মঙ্গলবার (৩০ জুলাই) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে আইসিটি টাওয়ারে সাইবার নিরাপত্তা বিষয়ে আয়োজিত এক পর্যালোচনা সভায় এ কথা বলেন প্রতিমন্ত্রী।
তিনি বলেন, বিদ্যুৎ জ্বালানি, টেলিকম, ব্যাংক ও তৈরি পোশাকসহ রফতানিমুখী প্রতিষ্ঠান বড় ধরনের সাইবার হামলার ঝুঁকিতে আছে। বিভিন্ন রাষ্ট্রের মদদে দেশে সাইবার হামলার অপচেষ্টা চলছে। গত ১০ দিনে সরকারের ৮টি ওয়েবসাইটে ৫০ হাজারের বেশি সাইবার হামলা হয়েছে বলেও জানান প্রতিমন্ত্রী।
তিনি বলেন, ৭০টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানও সাইবার হামলার শিকার হয়েছে। তবে কোনো তথ্য বেহাত হয়নি।
প্রতিষ্ঠানগুলোকে নিয়মিত সিকিউরিটি অডিট করার পরামর্শ দিয়ে পলক বলেন, ভিপিএন ব্যবহার সাইবার ঝুঁকি বাড়াচ্ছে। লাইসেন্সবিহীন পাইরেটেড সফওয়্যার ব্যবহার না করতে প্রতিষ্ঠানগুলোকে সতর্ক করা হয়েছে। কোনো প্রতিষ্ঠান সাইবার হামলার শিকার হলে তা আইসিটি বিভাগকে জানাতে হবে।
বৈঠকে ৩৫টি কেপিআই এর প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। বর্তমান সাইবার নিরাপত্তা অবস্থা পর্যালোচনা শেষে পরিস্থিতি তুলে ধরেন পলক।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
টেলিকম ও প্রযুক্তি
দেশে ভিপিএন’র চাহিদা বেড়েছিল ৫০১৬ শতাংশ: গবেষণা
![দেশে ভিপিএন’র চাহিদা বেড়েছিল ৫০১৬ শতাংশ: গবেষণা এনসিসি ব্যাংক](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2024/07/vpn.jpg)
ভিপিএনমেন্টর নামক একটি গবেষণা সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, গত সপ্তাহে বাংলাদেশে ভিপিএন (ভার্চুয়াল প্রাইভেট নেটওয়ার্ক) পরিষেবার চাহিদা ৫ হাজার ১৬ শতাংশ বেড়েছিল।
কোটা আন্দোলনকে ঘিরে সংঘর্ষ শুরু হওয়ার পর ১৯ জুলাই থেকে সারাদেশে প্রায় এক সপ্তাহের মতো ইন্টারনেট সংযোগ বন্ধ থাকে।
ভিপিএনমেন্টর-এর গবেষণার তথ্য অনুযায়ী, ২২ জুলাই থেকে দেশে ভিপিএন-এর চাহিদা নাটকীয়ভাবে বেড়ে যায়। এ চাহিদা শীর্ষে পৌঁছায় ২৫ জুলাই।
ইন্টারনেট পরিষেবা চালুর পর ২৫ জুলাই থেকে চাহিদা কমতে থাকলেও গতকাল পর্যন্ত দেশে ভিপিএন-এর চাহিদা ২ হাজার ৫০০ শতাংশ বেশি ছিল।
ভিপিএন ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর আইপি অ্যাড্রেস গোপন করে ফায়ারওয়াল বাইপাস করতে সহায়তা করে। এর মাধ্যমে ভিনদেশের সার্ভারের মাধ্যমে দেশের ভেতরে বন্ধ রাখা ওয়েবসাইটে প্রবেশ করা যায়।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
টেলিকম ও প্রযুক্তি
ইন্টারনেট ছাড়াই যেভাবে ইউটিউবে ভিডিও দেখবেন
![ইন্টারনেট ছাড়াই যেভাবে ইউটিউবে ভিডিও দেখবেন এনসিসি ব্যাংক](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2024/03/youtube-2.jpg)
স্মার্টফোনে ইন্টারনেট না থাকলেও চিন্তা নেই। নেট ছাড়াই দেখা যাবে ইউটিউব ভিডিও। যত খুশি দেখা যাবে সেই ভিডিও। কারণ ইউটিউবে অফলাইন মোড ফিচার রয়েছে। যেখানে ইন্টারনেট ছাড়াই উপভোগ করতে পারবেন হাসির ভিডিও থেকে শুরু করে প্রিয় শিল্পীর গান ও কনটেন্ট। কীভাবে পদ্ধতি জেনে নিন।
ইউটিউব অফলাইন কীভাবে কাজ করে?
নেট অন করে যদি ইউটিউব চালান তাহলে অনেক ডেটা খরচ হয়। কিন্তু, যদি অফলাইন মোড রাখেন তাহলে বেশি ডেটা খরচ হবে না। এবং আপনি যখন খুশি সেই ভিডিও চালাতে পারবেন। বহু মানুষ আছেন যারা কিছু গান বারবার ধরে শুনতে ভালোবাসেন। আবার কিছু ভিডিও রয়েছে যা বারবার দেখতে ভালো লাগে।
এই সব ভিডিও বারবার দেখার জন্য ইন্টারনেট খরচ কেন করছেন? ওই ভিডিওর নিচেই থাকবে একটি ডাউনলোড অপশন। যেখানে ক্লিক করে ডাউনলোড করে নিতে পারবেন। তারপর অফলাইনে সেই ভিডিও যতখুশি দেখা যাবে।
কীভাবে ইউটিউব ভিডিও অফলাইনে চালাবেন?
-ইউটিউব খুলে সেই ভিডিও চালান যেটা অফলাইন মোডে সেভ করতে চান।
-তারপর একটি ডাউনলোড অপশন থাকবে ঠিক ভিডিওর নিচে।
-সেখানে ক্লিক করতে হবে।
-আপনি কেমন কোয়ালিটিতে ভিডিও সেভ করতে চান তার অপশন আসবে।
-কম (144p), মাঝারি (360p) এবং বেশি (720p) অপশন পাওয়া যাবে।
-ভিডিও কোয়ালিটি যত বেশি হবে ডাউনলোড করতে তত বেশি ইন্টারনেটের প্রয়োজন হবে।
-একবার ডাউনলোড হয়ে গেলে যেখানে খুশি, যখন খুশি চালানো যাবে সেই ভিডিও।
কতগুলো অফলাইন ইউটিউব ভিডিও সেভ করা যাবে?
ইউটিউব অফলাইন মোডে যে ভিডিওগুলো ডাউনলোড করবেন সেগুলো আপনার ফোনের ইন্টার্নাল স্টোরেজে সেভ হবে। অর্থাৎ ফোনের যে স্পেস রয়েছে তা ব্যবহার হবে। তাই ডাউনলোড করার ক্ষেত্রে কোনও সীমাবদ্ধতা নেই। আপনি যতখুশি ভিডিয়ো অফলাইন মোডে সেভ করতে পারবেন। তবে এর জন্য ফোনে স্টোরেজ থাকা জরুরি।
এছাড়াও আরও একটি উপায় রয়েছে যার জন্য আপনাকে মাসিক সাবস্ক্রিপশন ফি দিতে হবে। এটি হল ইউটিউব প্রিমিয়াম। এখানে স্মার্ট ডাউনলোড ফিচারও পাওয়া যাবে। ইউটিউব প্লেলিস্টে যোগ হয়ে যাবে ভিডিও। তা অফলাইনে দেখতে পাবেন। ভিডিওর পাশাপাশি ইউটিউব মিউজিকও ডাউনলোড করা যাবে।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
টেলিকম ও প্রযুক্তি
ইন্টারনেটে ফের ধীর গতি, যা বলছে বিটিআরসি
![ইন্টারনেটে ফের ধীর গতি, যা বলছে বিটিআরসি এনসিসি ব্যাংক](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2024/07/BTRC.jpg)
কোটা সংস্কার আন্দোলনকে ঘিরে গত ১৭ জুলাই মধ্যরাত থেকে মোবাইলে ফোরজি নেটওয়ার্ক বন্ধ হয়ে যায়। তখন থেকে সব অপারেটরের থ্রিজি ও ফোরজি ইন্টারনেট সেবা বন্ধ ছিল। পরদিন ১৮ জুলাই রাত থেকে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট পরিষেবাও বন্ধ হয়ে যায়। এ অবস্থার মধ্যে ২৩ জুলাই রাত থেকে সীমিত পরিসরে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সেবা চালু হয়। আর গতকাল রোববার চালু হয় মোবাইল ইন্টারনেট।
চালুর পর ইন্টারনেটের ধীরগতি থাকলেও সময়ের সঙ্গে তা অনেকটাই ঠিক হয়ে যায়। তবে সোমবার দুপুর থেকে ফের ধীরগতিতে চলছে ব্রডব্যান্ড সেবা। মোবাইল ইন্টারনেটেও একই অবস্থা দেখা যায়।
সোমবার ইন্টারনেটের ধীরগতির কারণ জানিয়েছেন বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) চেয়ারম্যান মো. মহিউদ্দিন আহমেদ।
তিনি বলেন, ইন্টারনেট সার্ভিস চালুর পর গুগলের ক্যাশ সার্ভিস, অর্থাৎ গুগল বা গুগল রিলেটেড জিমেইল, ইউটিউব; এগুলো বন্ধ ছিল। এসব সার্ভার আপডেট হতে ব্যান্ডউইথ প্রয়োজন পড়ে। এতে প্রধান আন্তর্জাতিক ব্যান্ডউইথে চাপ পড়েছে।
তিনি আরও বলেন, ফেসবুকসহ যেসব সার্ভিস বন্ধ রয়েছে, সেগুলো ভিপিএন দিয়ে চালাচ্ছেন অনেক গ্রাহক। যার কারণে আন্তর্জাতিক ব্যান্ডউইথে প্রচুর চাপ পড়েছে। এ কারণে মোবাইল ইন্টারনেটে ধীরগতি দেখা যাচ্ছে।
অপরদিকে সংশ্লিষ্টরা বলছেন, স্বাভাবিক সময়ে এই সার্ভারগুলো ঠিক হতে ২৪ থেকে ৪৮ ঘণ্টা সময় লাগতে পারে। খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে এ সমস্যা ঠিক হয়ে যাবে।