অর্থনীতি
আন্দোলনকে ঘিরে পোশাকশিল্পে ২১৪৫০ কোটি টাকার ক্ষতি
![আন্দোলনকে ঘিরে পোশাকশিল্পে ২১৪৫০ কোটি টাকার ক্ষতি ইসলামী ইন্স্যুরেন্স](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2024/04/RMG-dress-garments-cloths-poshak-1.jpg)
কোটা সংস্কার আন্দোলনকে ঘিরে রপ্তানিমুখী পোশাকশিল্পে ২১ হাজার ৪৫০ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে। উৎপাদন, শ্রমিকদের বেতন এবং ডাইং, ওয়াশিং ও এক্সেসরিজ শিল্পে এ ক্ষতি হয়েছে। অবশ্য অনাকাঙ্ক্ষিত এ ঘটনার কারণে বিদেশি ক্রেতারা অর্ডার বাতিল করবে না, এয়ার শিপমেন্টও চাইবে না বলে আশ্বস্ত করেছেন।
সোমবার রাজধানীর উত্তরায় বায়ার্স ফোরামের সঙ্গে আলোচনা শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা জানান বিজিএমইএ সভাপতি এসএম মান্নান কচি। এ সময় সংগঠনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
বিজিএমইএ সভাপতি বলেন, ৪-৫ দিন উৎপাদন বন্ধ থাকায় রপ্তানিমুখী পোশাকশিল্পে ৭ হাজার ৪০০ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে। পাশাপাশি শ্রমিকদের বেতন-ভাতা বাবদ ক্ষতি হয়েছে ১১ হাজার ৫০ কোটি টাকা। আর ওয়াশিং, ডাইং, ফিনিশিং ও এক্সেসরিজ শিল্পে ক্ষতি হয়েছে ৩ হাজার কোটি টাকা।
তিনি বলেন, তারা (বিদেশি ক্রেতারা) দীর্ঘদিন বাংলাদেশে ব্যবসা করছেন। বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি সম্পর্কে তারা অবগত রয়েছেন। ইন্টারনেট সংযোগ না থাকায় তারা কিছুটা উদ্বিগ্ন ছিলেন। নিরবচ্ছিন্ন ও দ্রুতগতির ইন্টারনেট সেবা নিশ্চিতের তাগিদ দিয়েছেন তারা। এ বিষয়ে আইসিটি প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে যোগাযোগের পরামর্শ দিয়েছেন তারা। বায়াররা আমাদের আশ্বস্ত করেছেন, ৪-৫ দিন উৎপাদন বন্ধ থাকায় যথাসময়ে পণ্য রপ্তানি করতে না পারলে অর্ডার বাতিল করবে না। ডিসকাউন্টও চাইবে না। এমনকি এয়ার শিপমেন্টও চাইবে না।
পোশাকশিল্প হরতাল-অবরোধের আওতামুক্ত রাখার আহ্বান জানিয়ে বিজিএমইএ সভাপতি বলেন, বিগত দিনে গার্মেন্ট শিল্প হরতাল-অবরোধের আওতামুক্ত ছিল। তাই ভবিষ্যতেও যারা হরতাল-অবরোধের মতো কর্মসূচি দেবে, তারা গার্মেন্ট শিল্পকে হরতাল-অবরোধের আওতামুক্ত রাখবে বলে আশা করি। তিনি আরও বলেন, দেশের ইমেজ নিয়ে বায়াররা চিন্তিত নন। বরং তারা পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছেন। ভবিষ্যতে এ ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা যেন আর না ঘটে, সে বিষয়ে সজাগ থাকার পরামর্শ দিয়েছেন।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
![](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2023/02/Logo_OS_250_72.webp)
অর্থনীতি
হঠাৎ বাড়ল ডলারের দাম
![হঠাৎ বাড়ল ডলারের দাম ইসলামী ইন্স্যুরেন্স](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2024/05/doller-1.jpg)
দেশের বাজারে সংকট কাটেনি ডলারের। সংকট রোধে নেওয়া কোনো উদ্যোগই কাজে আসেনি। তবুও বেশ কিছু দিন অনেকটা স্থিতিশীল অবস্থায় ছিল ডলারের দাম। তবে সেই স্থিতিশীল থাকা ডলারের দর আবারও বাড়তে শুরু করেছে। এখন খোলাবাজারে ডলারের দর বেড়ে ১২২ টাকা থেকে ১২৩ টাকা চাওয়া হচ্ছে। এর মধ্যবর্তী দরেও মিলছে ডলার। মূলত চাহিদা বাড়ার কারণে দর বেড়েছে।
এদিকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকে ঘিরে তৈরি হওয়া সাম্প্রতিক পরিস্থিতির আগেও নগদ ডলার বিক্রি হয়েছে ১২০ টাকা থেকে ১২১ টাকা ৫০ পয়সায়। ব্যাংকগুলোও রেমিট্যান্সের ক্ষেত্রে ১১৮ টাকা ৫০ পয়সা পর্যন্ত দরে ডলার কিনছে। এর আগে রেমিট্যান্স কেনায় দর ছিল ১১৭ টাকা।
মতিঝিল এলাকার একটি এক্সচেঞ্জের এক কর্মকর্তা জানান, সোমবার তারা ১২১ টাকা ৫০ থেকে ৭০ পয়সায় ডলার কিনেছেন। বিক্রি হচ্ছে ১২২ টাকা থেকে ১২২ টাকা ৫০ পয়সা দরে। তিনি বলেন, কয়েক দিন অফিস বন্ধের পর ডলারের বাড়তি চাহিদা তৈরি হয়েছে। সে তুলনায় সরবরাহ কম। বন্ধের আগে ১২১ টাকা কিনে বিক্রি করেন ১২১ টাকা ৩০ পয়সায়। একই চিত্র দেখা গেছে দিলকুশা, ফকিরাপুল ও পল্টন এলাকায়।
একই কথা বলছেন পল্টন এলাকার মানি এক্সচেঞ্জ ব্যবসায়ীরা। এলাকাটির এক ব্যবসায়ী জানান, এর আগে ১২১ টাকা থেকে ১২১ টাকা ৪০ পয়সার মধ্যে বেচাবিক্রি হয়েছে। এখন বন্ধের পর তারাও ডলার সংগ্রহ করতে পারেননি। আবার চাহিদাও বেড়েছে। স্বাভাবিকভাবেই সংকট থাকলে দর বাড়ে। এখন ১২২ টাকা থেকে ১২৩ টাকার মধ্যে বিক্রি চলছে। তবে দর বেশি চাইলেও ১২২ টাকা ৫০ পয়সাতেই বিক্রি বেশি হচ্ছে। যেখানে কেনা দামও বেড়েছে।
চলতি বছরের মে এবং জুন মাসে রেকর্ড পরিমাণ রেমিট্যান্স এসেছিল দেশে। ডলারের দর বাড়ানোর পর মে মাসে আসে ২২৫ কোটি ডলার এবং জুন মাসে ২৫৪ কোটি ডলার। চলতি মাস জুলাইয়ের মাঝামাঝি পর্যন্ত ব্যাংকিং চ্যানেলে ভালো রেমিট্যান্স আসে। তবে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন আর তিন কার্যদিবস সাধারণ ছুটিসহ ৫ দিন ব্যাংক বন্ধের পর থেকে রেমিট্যান্স প্রবাহে ধীরগতি চলে আসে।
চলতি মাস জুলাইয়ের ১৯ থেকে ২৮ তারিখ পর্যন্ত ১০ দিনে রেমিট্যান্স এসেছে মাত্র ২৩ কোটি ৫০ লাখ ডলার। অর্থাৎ প্রতিদিন গড়ে ২ কোটি ৩৫ লাখ ডলারের রেমিট্যান্স এসেছে। জুলাই মাসের ১ তারিখ থেকে ১৮ তারিখ পর্যন্ত এসেছিল ১৪২ কোটি ২০ লাখ ডলার। সে হিসাবে জুলাই মাসের প্রথম ১৮ দিনে প্রতিদিন গড়ে ৭ কোটি ৯০ লাখ ডলার রেমিট্যান্স এসেছিল দেশে। শুরুর ১৮ দিনের ধারা বজায় থাকলে পুরো মাসে আড়াই বিলিয়ন ডলারের রেমিট্যান্স আসার কথা ছিল।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
খোলাবাজারে বেড়েছে ডলারের দর
![খোলাবাজারে বেড়েছে ডলারের দর ইসলামী ইন্স্যুরেন্স](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2024/04/dollar.jpg)
কোটা সংস্কার আন্দোলনকে ঘিরে তৈরি হওয়া সাম্প্রতিক পরিস্থিতির আগে ১২০ টাকায় পাওয়া যাচ্ছিল ডলার। তবে ডলারের দর স্থিতিশীল থাকলেও খোলাবাজারে ১২২ টাকা বিক্রি হচ্ছে ডলার। অন্যদিকে, ব্যাংকগুলোও রেমিট্যান্স কেনায় ১১৭ টাকার ডলার ১১৮ টাকা ৫০ পয়সা পর্যন্ত দরে কিনছে।
সোমবার (২৯ জুলাই) রাজধানীর বিভিন্ন মানিচেঞ্জার ঘুরে এ তথ্য পাওয়া গেছে।
একটি মানিচেঞ্জারের কর্মকর্তা বলেন, সোমবার তারা ১২১ টাকা ৬০ থেকে ৭০ পয়সায় ডলার কিনে বিক্রি করেছেন ১২২ টাকা। টানা ৫ দিন পর গত বুধবার অফিস খোলার পর ডলারের বাড়তি চাহিদার কারণে দর বাড়তে শুরু করে। ওই দিন তারা ১২১ টাকা থেকে ১২১ টাকা ১০ পয়সায় কিনে বিক্রি করেন ১২১ টাকা ৫০ পয়সা। সেখান থেকে বাড়তে বাড়তে গতকাল এ পর্যায়ে উঠেছে।
গত ৮ মের ডলারের দর নির্ধারণের নতুন পদ্ধতি ‘ক্রলিং পেগ’ চালু করে বাংলাদেশ ব্যাংক। এর মাধ্যমে প্রতি ডলারে ৭ টাকা বাড়িয়ে ১১৭ টাকা ঘোষণা করা হয়। এর আগে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মধ্যস্থতায় ডলারের দর নির্ধারিত ছিল ১১০ টাকা। এর পর থেকে রেমিট্যান্স দ্রুত বাড়ছিল।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
২৭ দিনে রেমিট্যান্স এলো ১৫৭ কোটি ডলার
![২৭ দিনে রেমিট্যান্স এলো ১৫৭ কোটি ডলার ইসলামী ইন্স্যুরেন্স](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2024/03/remittance.jpg)
চলতি জুলাই মাসের ২৭ দিনে ১৫৭ কোটি ডলার রেমিট্যান্স এসেছে। কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে ইন্টারনেট সেবা বন্ধ থাকায় জুলাই মাসে দুই বিলিয়ন ডলার নাও আসতে পারে বলে ধারণা করছেন ব্যাংকাররা।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, ১৯ থেকে ২৪ জুলাই ছয় দিনে দেশে প্রবাস আয় এসেছে সাত কোটি ৮০ লাখ মার্কিন ডলার। অথচ চলতি মাসের প্রথম ১৮ দিনে প্রতিদিন গড়ে প্রবাস আয় এসেছিল সাত কোটি ৯০ লাখ ডলার।
তাতে দেখা যাচ্ছে, মাসের প্রথম ভাগে এক দিনের যে পরিমাণ প্রবাস আয় এসেছিল, সর্বশেষ গত ছয় দিনে এসেছে তার সমপরিমাণ। সোমবার (২৯ জুলাই) বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য পাওয়া গেছে।
প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্সের মধ্যে বেসরকারি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ১২৪ কোটি ৯৮ লাখ ৭০ হাজার ডলার। এ ছাড়া রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে ২২ কোটি ৬৮ লাখ ৫০ হাজার ডলার, বিশেষায়িত ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে ৮ কোটি ৬৪ লাখ ৫০ হাজার ডলার এবং বিদেশি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ৪২ লাখ ৯০ হাজার মার্কিন ডলার।
এর আগে চলতি বছরের জানুয়ারিতে ২১০ কোটি ডলার, ফেব্রুয়ারিতে ২১৬ কোটি ৬০ লাখ ডলার, মার্চে ১৯৯ কোটি ৬৮ লাখ ডলার, এপ্রিলে ২০৪ কোটি ৩০ লাখ ডলার, মে মাসে ২২৫ কোটি ডলার এবং জুনে প্রবাসীরা পাঠিয়েছেন ২৫৪ কোটি ডলার।
বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মো. মেজবাউল হক বলেন, প্রবাসীরা দুই-এক মাস আয় পাঠাতে না পারেন। তবে যারা বৈধ চ্যানেলে রেমিট্যান্স পাঠান, তার হুন্ডিতে পাঠাবেন না। আগামী এক সপ্তাহ বোঝা যাবে রেমিট্যান্স কমবে কি না।
এদিকে গত শনিবার বৈধপথে রেমিট্যান্স পাঠাতে প্রবাসীদের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য-প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। এ সময় সোশ্যাল মিডিয়ায় চলমান গুজব ও অপপ্রচার বিশ্বাস না করার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
মোংলা বন্দর দিয়ে ৫৮ টন রসুন আমদানি
![মোংলা বন্দর দিয়ে ৫৮ টন রসুন আমদানি ইসলামী ইন্স্যুরেন্স](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2024/04/Rosun-Garlic-1.jpg)
দেশে দক্ষিণাঞ্চলে মোংলা সমুদ্র বন্দর দিয়ে প্রথমবারের মতো রসুন আমদানি হয়েছে। সিংগাপুরের পতাকাবাহী এমভি মার্কস ডাভাও জাহাজটি চীনের কুইংডো বন্দর থেকে ২২৯ টিইইউজ কন্টেইনার নিয়ে মোংলা বন্দরে পৌছায়। এর মধ্যে দুটি ৪০ ফিট কন্টেইনারে ৫৮ মেট্রিক টন রসুন আমদানি করা হয়।
সোমবার (২৯ জুলাই) মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের উপপরিচালক (জনসংযোগ) মো. মাকরুজ্জামান এ তথ্য জানান। গতকাল রবিবার মোংলা কাস্টমস হাউজ কর্তৃক কায়িক পরীক্ষা শেষে বর্তমানে রসুনের চালান খালাসের অপেক্ষায় আছে।
তিনি বলেন, মোংলা বন্দর দিয়ে চলতি মাসের ১ জুলাই-২৭ জুলাই পর্যন্ত ৫৭ টি বিদেশি বাণিজ্যিক জাহাজে জুট, জুট গুডস, চিংড়ি, সাদামাছ, তৈরি পোশাক, কটন, স্লাগ রপ্তানি ও মেশিনারিজ, সার, কয়লা, পাথর, জিপসাম, গ্যাস, সয়াবিন তেল, পাম ওয়েল, ফ্ল্যাইএস, গাড়ি আমদানি হয়। যার পরিমান ৫ লাখ ৯৫ হাজার মেট্রিক টন কার্গো, ১৪৭৪ টিইইউজ কন্টেইনার ও ১৩৪৯ টি গাড়ি।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
বিদেশি ঋণের ৩৩৬ কোটি ডলার সুদাসল পরিশোধ
![বিদেশি ঋণের ৩৩৬ কোটি ডলার সুদাসল পরিশোধ ইসলামী ইন্স্যুরেন্স](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2024/03/Dollar-Reserve-Remittance-1.jpg)
বিদেশি ঋণ পরিশোধের চাপ আরও বেড়েছে। গত ২০২৩-২৪ অর্থবছর বিদেশি ঋণের সুদ ও আসল দুই ক্ষেত্রেই ছাড়িয়েছে অতীতের সব রেকর্ড। মোট ৩৩৬ কোটি ডলার পরিশোধ করতে হয়েছে এ বাবদ। স্থানীয় মুদ্রায় যা ৩৭ হাজার ৩০৭ কোটি টাকা। এই অর্থ দেশের আলোচিত যোগাযোগ অবকাঠামো পদ্মা সেতু কিংবা মেট্রোরেল নির্মাণ ব্যয়ের চেয়েও অনেক বেশি। এই দুটি বড় অবকাঠামো নির্মাণে ব্যয় হয় যথাক্রমে ৩২ হাজার ৬০৫ কোটি টাকা ও ৩৩ হাজার ৪৭২ কোটি টাকা।
অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) প্রতিবেদন থেকে বিদেশি ঋণের সুদাসল পরিশোধের সর্বশেষ তথ্য জানা গেছে। গতকাল রোববার ইআরডির ওয়েবসাইটে প্রতিবেদনটি প্রকাশ করা হয়।
প্রতিবেদনে দেখা যায়, গত অর্থবছর বিদেশি ঋণের সুদ পরিশোধ ২০২২-২৩ অর্থবছরের চেয়ে বেড়েছে ৪৪ শতাংশ। মোট ১৩৫ কোটি ডলার পরিশোধ করতে হয়েছে সুদ বাবদ। আগের অর্থবছর ছিল ৯৪ কোটি ডলার। স্থানীয় মুদ্রায় সুদ পরিশোধের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১৪ হাজার ৯৫৫ কোটি টাকা, যা আগের অর্থবছর ছিল ৯ হাজার ৪৫২ কোটি টাকা। অর্থাৎ এক বছরের ব্যবধানে বিদেশি ঋণের সুদ বাবদ ৫ হাজার ৫০৩ কোটি টাকা বেশি পরিশোধ করতে হয়েছে।
অন্যদিকে গত বছর বিদেশি ঋণের আসল পরিশোধে ব্যয় বেড়েছে ১৬ শতাংশ। পরিশোধ করা হয়েছে ২০১ কোটি ডলার। আগের অর্থবছর এটি ছিল ১৭৩ কোটি ডলারের কম। অর্থাৎ এক বছরের ব্যবধানে বিদেশি ঋণের আসল বেড়েছে ২৮ কোটি ডলার। স্থানীয় মুদ্রায় আসল পরিশোধের পরিমাণ ২২ হাজার ৩৫২ কোটি টাকা। আগের অর্থবছর এ পরিমাণ ছিল ১৭ হাজার ৩২০ কোটি টাকা। অর্থাৎ আসল পরিশোধ বেড়েছে ৫ হাজার ৩২ কোটি টাকা।
সুদ এবং আসল মিলে গত অর্থবছরে মোট পরিশোধের পরিমাণ ছিল ৩৩৫ কোটি ৭২ লাখ ডলার। আগের অর্থবছর যা ছিল ২৬৭ কোটি ডলার। অর্থাৎ এক বছরের ব্যবধানে বিদেশি ঋণের সুদাসল বাবদ পরিশোধ বেড়েছে প্রায় ৬৯ কোটি ডলার। স্থানীয় মুদ্রায় গত বছর সুদাসল বাবদ ৩৭ হাজার ৩০৭ কোটি টাকা পরিশোধ করা হয়েছে। আগের অর্থবছর যা ছিল ২৬ হাজার ৭৭২ কোটি টাকা। অর্থাৎ এক বছরের ব্যবধানেই বিদেশি ঋণের সুদাসল বাবদ ১০ হাজার ৫৩৫ কোটি টাকা বেশি পরিশোধ করতে হয়েছে।
এদিকে গত অর্থবছর উন্নয়ন সহযোগীদের প্রতিশ্রুতি এবং অর্থছাড় বেড়েছে। ইআরডির প্রতিবেদন বলছে, গত অর্থবছর অর্থ ছাড়ের পরিমাণ ছিল ৯৮৬ কোটি ডলার। আগের অর্থবছর যা ছিল ৯২১ কোটি ডলার। অর্থাৎ আগের বছরের চেয়ে ৬৫ কোটি ডলার বেশি ঋণ পাওয়া গেছে।
অন্যদিকে গত অর্থবছর নতুন ঋণের প্রতিশ্রুতি বেড়েছে ১৯২ কোটি ডলার। ১ হাজার ৭২ কোটি ডলারের প্রতিশ্রুতি পাওয়া গেছে, যা আগের অর্থবছর ছিল ৮৮০ কোটি ডলার।
এমআই