অর্থনীতি
মোংলা বন্দর দিয়ে ৫৮ টন রসুন আমদানি
![মোংলা বন্দর দিয়ে ৫৮ টন রসুন আমদানি কর্ণফুলী ইন্স্যুরেন্স](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2024/04/Rosun-Garlic-1.jpg)
দেশে দক্ষিণাঞ্চলে মোংলা সমুদ্র বন্দর দিয়ে প্রথমবারের মতো রসুন আমদানি হয়েছে। সিংগাপুরের পতাকাবাহী এমভি মার্কস ডাভাও জাহাজটি চীনের কুইংডো বন্দর থেকে ২২৯ টিইইউজ কন্টেইনার নিয়ে মোংলা বন্দরে পৌছায়। এর মধ্যে দুটি ৪০ ফিট কন্টেইনারে ৫৮ মেট্রিক টন রসুন আমদানি করা হয়।
সোমবার (২৯ জুলাই) মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের উপপরিচালক (জনসংযোগ) মো. মাকরুজ্জামান এ তথ্য জানান। গতকাল রবিবার মোংলা কাস্টমস হাউজ কর্তৃক কায়িক পরীক্ষা শেষে বর্তমানে রসুনের চালান খালাসের অপেক্ষায় আছে।
তিনি বলেন, মোংলা বন্দর দিয়ে চলতি মাসের ১ জুলাই-২৭ জুলাই পর্যন্ত ৫৭ টি বিদেশি বাণিজ্যিক জাহাজে জুট, জুট গুডস, চিংড়ি, সাদামাছ, তৈরি পোশাক, কটন, স্লাগ রপ্তানি ও মেশিনারিজ, সার, কয়লা, পাথর, জিপসাম, গ্যাস, সয়াবিন তেল, পাম ওয়েল, ফ্ল্যাইএস, গাড়ি আমদানি হয়। যার পরিমান ৫ লাখ ৯৫ হাজার মেট্রিক টন কার্গো, ১৪৭৪ টিইইউজ কন্টেইনার ও ১৩৪৯ টি গাড়ি।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
![](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2023/02/Logo_OS_250_72.webp)
অর্থনীতি
২৭ দিনে রেমিট্যান্স এলো ১৫৭ কোটি ডলার
![২৭ দিনে রেমিট্যান্স এলো ১৫৭ কোটি ডলার কর্ণফুলী ইন্স্যুরেন্স](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2024/03/remittance.jpg)
চলতি জুলাই মাসের ২৭ দিনে ১৫৭ কোটি ডলার রেমিট্যান্স এসেছে। কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে ইন্টারনেট সেবা বন্ধ থাকায় জুলাই মাসে দুই বিলিয়ন ডলার নাও আসতে পারে বলে ধারণা করছেন ব্যাংকাররা।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, ১৯ থেকে ২৪ জুলাই ছয় দিনে দেশে প্রবাস আয় এসেছে সাত কোটি ৮০ লাখ মার্কিন ডলার। অথচ চলতি মাসের প্রথম ১৮ দিনে প্রতিদিন গড়ে প্রবাস আয় এসেছিল সাত কোটি ৯০ লাখ ডলার।
তাতে দেখা যাচ্ছে, মাসের প্রথম ভাগে এক দিনের যে পরিমাণ প্রবাস আয় এসেছিল, সর্বশেষ গত ছয় দিনে এসেছে তার সমপরিমাণ। সোমবার (২৯ জুলাই) বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য পাওয়া গেছে।
প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্সের মধ্যে বেসরকারি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ১২৪ কোটি ৯৮ লাখ ৭০ হাজার ডলার। এ ছাড়া রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে ২২ কোটি ৬৮ লাখ ৫০ হাজার ডলার, বিশেষায়িত ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে ৮ কোটি ৬৪ লাখ ৫০ হাজার ডলার এবং বিদেশি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ৪২ লাখ ৯০ হাজার মার্কিন ডলার।
এর আগে চলতি বছরের জানুয়ারিতে ২১০ কোটি ডলার, ফেব্রুয়ারিতে ২১৬ কোটি ৬০ লাখ ডলার, মার্চে ১৯৯ কোটি ৬৮ লাখ ডলার, এপ্রিলে ২০৪ কোটি ৩০ লাখ ডলার, মে মাসে ২২৫ কোটি ডলার এবং জুনে প্রবাসীরা পাঠিয়েছেন ২৫৪ কোটি ডলার।
বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মো. মেজবাউল হক বলেন, প্রবাসীরা দুই-এক মাস আয় পাঠাতে না পারেন। তবে যারা বৈধ চ্যানেলে রেমিট্যান্স পাঠান, তার হুন্ডিতে পাঠাবেন না। আগামী এক সপ্তাহ বোঝা যাবে রেমিট্যান্স কমবে কি না।
এদিকে গত শনিবার বৈধপথে রেমিট্যান্স পাঠাতে প্রবাসীদের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য-প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। এ সময় সোশ্যাল মিডিয়ায় চলমান গুজব ও অপপ্রচার বিশ্বাস না করার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
বিদেশি ঋণের ৩৩৬ কোটি ডলার সুদাসল পরিশোধ
![বিদেশি ঋণের ৩৩৬ কোটি ডলার সুদাসল পরিশোধ কর্ণফুলী ইন্স্যুরেন্স](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2024/03/Dollar-Reserve-Remittance-1.jpg)
বিদেশি ঋণ পরিশোধের চাপ আরও বেড়েছে। গত ২০২৩-২৪ অর্থবছর বিদেশি ঋণের সুদ ও আসল দুই ক্ষেত্রেই ছাড়িয়েছে অতীতের সব রেকর্ড। মোট ৩৩৬ কোটি ডলার পরিশোধ করতে হয়েছে এ বাবদ। স্থানীয় মুদ্রায় যা ৩৭ হাজার ৩০৭ কোটি টাকা। এই অর্থ দেশের আলোচিত যোগাযোগ অবকাঠামো পদ্মা সেতু কিংবা মেট্রোরেল নির্মাণ ব্যয়ের চেয়েও অনেক বেশি। এই দুটি বড় অবকাঠামো নির্মাণে ব্যয় হয় যথাক্রমে ৩২ হাজার ৬০৫ কোটি টাকা ও ৩৩ হাজার ৪৭২ কোটি টাকা।
অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) প্রতিবেদন থেকে বিদেশি ঋণের সুদাসল পরিশোধের সর্বশেষ তথ্য জানা গেছে। গতকাল রোববার ইআরডির ওয়েবসাইটে প্রতিবেদনটি প্রকাশ করা হয়।
প্রতিবেদনে দেখা যায়, গত অর্থবছর বিদেশি ঋণের সুদ পরিশোধ ২০২২-২৩ অর্থবছরের চেয়ে বেড়েছে ৪৪ শতাংশ। মোট ১৩৫ কোটি ডলার পরিশোধ করতে হয়েছে সুদ বাবদ। আগের অর্থবছর ছিল ৯৪ কোটি ডলার। স্থানীয় মুদ্রায় সুদ পরিশোধের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১৪ হাজার ৯৫৫ কোটি টাকা, যা আগের অর্থবছর ছিল ৯ হাজার ৪৫২ কোটি টাকা। অর্থাৎ এক বছরের ব্যবধানে বিদেশি ঋণের সুদ বাবদ ৫ হাজার ৫০৩ কোটি টাকা বেশি পরিশোধ করতে হয়েছে।
অন্যদিকে গত বছর বিদেশি ঋণের আসল পরিশোধে ব্যয় বেড়েছে ১৬ শতাংশ। পরিশোধ করা হয়েছে ২০১ কোটি ডলার। আগের অর্থবছর এটি ছিল ১৭৩ কোটি ডলারের কম। অর্থাৎ এক বছরের ব্যবধানে বিদেশি ঋণের আসল বেড়েছে ২৮ কোটি ডলার। স্থানীয় মুদ্রায় আসল পরিশোধের পরিমাণ ২২ হাজার ৩৫২ কোটি টাকা। আগের অর্থবছর এ পরিমাণ ছিল ১৭ হাজার ৩২০ কোটি টাকা। অর্থাৎ আসল পরিশোধ বেড়েছে ৫ হাজার ৩২ কোটি টাকা।
সুদ এবং আসল মিলে গত অর্থবছরে মোট পরিশোধের পরিমাণ ছিল ৩৩৫ কোটি ৭২ লাখ ডলার। আগের অর্থবছর যা ছিল ২৬৭ কোটি ডলার। অর্থাৎ এক বছরের ব্যবধানে বিদেশি ঋণের সুদাসল বাবদ পরিশোধ বেড়েছে প্রায় ৬৯ কোটি ডলার। স্থানীয় মুদ্রায় গত বছর সুদাসল বাবদ ৩৭ হাজার ৩০৭ কোটি টাকা পরিশোধ করা হয়েছে। আগের অর্থবছর যা ছিল ২৬ হাজার ৭৭২ কোটি টাকা। অর্থাৎ এক বছরের ব্যবধানেই বিদেশি ঋণের সুদাসল বাবদ ১০ হাজার ৫৩৫ কোটি টাকা বেশি পরিশোধ করতে হয়েছে।
এদিকে গত অর্থবছর উন্নয়ন সহযোগীদের প্রতিশ্রুতি এবং অর্থছাড় বেড়েছে। ইআরডির প্রতিবেদন বলছে, গত অর্থবছর অর্থ ছাড়ের পরিমাণ ছিল ৯৮৬ কোটি ডলার। আগের অর্থবছর যা ছিল ৯২১ কোটি ডলার। অর্থাৎ আগের বছরের চেয়ে ৬৫ কোটি ডলার বেশি ঋণ পাওয়া গেছে।
অন্যদিকে গত অর্থবছর নতুন ঋণের প্রতিশ্রুতি বেড়েছে ১৯২ কোটি ডলার। ১ হাজার ৭২ কোটি ডলারের প্রতিশ্রুতি পাওয়া গেছে, যা আগের অর্থবছর ছিল ৮৮০ কোটি ডলার।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
এজেন্ট ব্যাংকিংয়ে লেনদেন-ঋণ বিতরণ বেড়েছে
![এজেন্ট ব্যাংকিংয়ে লেনদেন-ঋণ বিতরণ বেড়েছে কর্ণফুলী ইন্স্যুরেন্স](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2023/01/agent-banking.webp)
ব্যাংকের সঙ্গে লেনদেন (টাকা জমা ও উত্তোলন) করতে সাধারণ মানুষকে এখন জেলা বা উপজেলা শহরে যেতে হয় না। হাতের নাগালেই পাচ্ছে এজেন্ট ব্যাংকিং, যার মাধ্যমে মিলছে এসব সুবিধা। সহজেই ব্যাংকে টাকা জমা ও উত্তোলনের সঙ্গে বিভিন্ন ব্যাংকের এজেন্ট ও আউটলেট থেকে ঋণ সুবিধাও পাচ্ছেন গ্রাহক। এতে ক্রমেই বাড়ছে এজেন্টের সংখ্যা। একই সঙ্গে বাড়ছে লেনদেন, আমানত ও ঋণ বিতরণ।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ হালনাগাদ প্রতিবেদন অনুযায়ী, চলতি বছরের মে মাসে এজেন্টগুলোর মাধ্যমে ঋণ বিতরণ করা হয়েছে ৮৬৯ কোটি ৪০ লাখ টাকা। যা তার আগের মাস এপ্রিলে হয়েছিল ৭২২ কোটি ৭৫ লাখ টাকা। সেই হিসাবে এক মাসের ব্যবধানে ঋণ বিতরণ বেড়েছে ১৪৬ কোটি ৬৫ লাখ টাকা।
শহরের চেয়ে গ্রামে এসব ঋণ বিতরণের পরিমাণ বেশি। মে মাসে শহরের এজেন্টগুলো বিতরণ করেছে ৩০৪ কোটি ৭ লাখ টাকা। গ্রামের এজেন্টগুলো বিতরণ করেছে ৫৬৫ কোটি ৯৩ লাখ টাকা। সে হিসাবে মাসটিতে শহরের চেয়ে গ্রামে ঋণ বিতরণ বেশি হয়েছে ২৬০ কোটি ৮২ লাখ টাকা।
প্রতিবেদন মতে, চলতি বছরের মে মাসে এজেন্ট ব্যাংকিং মাধ্যমে মোট লেনদেন হয়েছিল ৭১ হাজার ১৩৭ কোটি ৪৩ লাখ টাকা। আগের মাস এপ্রিলে এজেন্ট ব্যাংকিং সেবায় লেনদেন হয়েছিল ৬৭ হাজার ৪৫৮ কোটি ৬৩ লাখ টাকা। সে হিসাবে এক মাসের ব্যবধানে লেনদেন বেড়েছে ৪ হাজার ৬৭৯ কোটি ২৮ লাখ টাকা।
এসব লেনদেনের মধ্যে শহরের তুলনায় গ্রামে লেনদেন অনেক বেশি হয়েছে। আলোচিত মে মাসে শহরের এজেন্টগুলোতে লেনদেন হয়েছে ১৬ হাজার ৩৯১ কোটি ৪৮ লাখ টাকা। একই সময়ে গ্রামের এজেন্টগুলোতে লেনদেন হয়েছে ৫৫ হাজার ৭৪৬ কোটি ৯৫ লাখ টাকা। সে হিসাবে শহরের চেয়ে গ্রামে লেনদেন বেশি হয়েছে ৩৯ হাজার ৩৫৫ কোটি ৪৭ লাখ টাকা।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রতিবেদন অনুযায়ী, চলতি বছরের মে মাস শেষে এজেন্ট ব্যাংকিংয়ে মোট আমানতের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৩৭ হাজার ৮৬৩ কোটি ৮৩ লাখ টাকা। যা তার আগের মাস এপ্রিলে ছিল ৩৬ হাজার ৯৪৬ কোটি ৩০ লাখ টাকা। অর্থাৎ এক মাসের ব্যবধানে এজেন্ট ব্যাংকিংয়ে আমানত বেড়েছে ৯১৭ কোটি ৫৩ লাখ টাকা।
বর্তমানে দেশের ৩১ ব্যাংকে এজেন্ট ব্যাংকিং কার্যক্রম সেবা চালু রয়েছে। মে মাস শেষে এজেন্টের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৫ হাজার ৮৮৫টি। যা তার আগের মাস এপ্রিল শেষে ছিল ১৫ হাজার ৮৪০টি। এর মধ্যে শহরের এজেন্ট ২ হাজার ৪৭৭টি এবং গ্রামে এজেন্ট ব্যাংকিংয়ের শাখা রয়েছে ১৩ হাজার ৪০৮টি। মে মাস শেষে এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট দাঁড়িয়েছে ২১ হাজার ৪৫৫টি। এপ্রিলে আউটলেটের সংখ্যা ছিল ২১ হাজার ৫১৭টিতে। এজেন্ট ও আউটলেটের প্রায় সিংহভাগই গ্রামে।
আলোচিত মে মাস শেষে এজেন্ট ব্যাংকিংয়ে হিসাব সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২ কোটি ২৮ লাখ ২৭ হাজার ৮৮৫টি। আগের মাস এপ্রিল শেষে ছিল ২ কোটি ২৫ লাখ ৩২ হাজার ১৪৭টি। সে হিসাবে এক মাসের ব্যবধানে হিসাব সংখ্যা বেড়েছে ২ লাখ ৯৫ হাজার ৭০৪টি। এর মধ্যে শহরের হিসাবের সংখ্যা ৩১ লাখ ৭৯ হাজার ৬৪টি আর গ্রামে রয়েছে ১ কোটি ৯৬ লাখ ৪৮ হাজার ৭৯১টি।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
পোশাক রপ্তানিকারকদের ৭ দিনের বন্দর ডেমারেজ মওকুফ
![পোশাক রপ্তানিকারকদের ৭ দিনের বন্দর ডেমারেজ মওকুফ কর্ণফুলী ইন্স্যুরেন্স](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2024/05/export.jpg)
পণ্য রপ্তানিতে সহায়তা করার জন্য তৈরি পোশাক খাতের চট্টগ্রাম বন্দরে অপেক্ষমাণ কন্টেইনারগুলোর ডেমারেজ চার্জ ৭ দিনের জন্য মওকুফের নীতিগত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে।
রোববার (২৮ জুলাই) সচিবালয়ে নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরীর সঙ্গে বাংলাদেশ গার্মেন্টস ম্যানুফ্যাকচারিং এক্সপোর্ট অ্যাসোসিয়েশনের (বিজিএমইএ) সভাপতি এস এম মান্নান (কচি)’র নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল সাক্ষাৎ করতে এলে প্রতিমন্ত্রী এ সিদ্ধান্তের কথা জানান।
তিনি বলেন, চট্টগ্রাম বন্দর দেশের অর্থনীতির চালিকাশক্তি। সম্প্রতি দেশবিরোধী কর্মকাণ্ডের সময়ে চট্টগ্রাম বন্দরের কার্যক্রম চালু ছিল। ডিজিটাল সার্ভিস/ডেটা সেন্টার দুষ্কৃতিকারীরা পুড়িয়ে দেওয়ার ফলে চট্টগ্রাম বন্দর ও কাস্টমসের সার্ভারে অনলাইন সংযোগ না থাকা/ধীরগতি থাকার কারণে তৈরি পোশাক রপ্তানিকারকরা নির্দিষ্ট সময়ে পণ্য খালাস করতে সক্ষম হননি।
তিনি আরও বলেন, বর্তমানে বন্দর ও কাস্টমসের সার্ভার চালু হওয়ার ফলে পণ্য খালাস প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। চট্টগ্রাম বন্দরের মাধ্যমে আমদানি রপ্তানি সংক্রান্ত কার্যক্রম নিরবচ্ছিন্নভাবে সম্পাদন এবং ক্রেতার নির্ধারিত লিড টাইমের মধ্যে পণ্য রপ্তানিতে সহায়তা করার জন্য তৈরি পোশাক খাতের অপেক্ষমাণ কন্টেইনারগুলোর ডেমারেজ চার্জ সাতদিনের জন্য মওকুফের নীতিগত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে।
প্রতিনিধি দলে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন প্রথম সহ-সভাপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম, সিনিয়র সহ-সভাপতি খন্দকার রফিকুল ইসলাম, সহ-সভাপতি রাকিবুল আলম চৌধুরী, পরিচালক আশিকুর রহমান ও পরিচালক মো. মহিউদ্দিন রুবেল।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
গ্রাহক বাড়লেও লেনদেন কমেছে মোবাইল ব্যাংকিংয়ে
![গ্রাহক বাড়লেও লেনদেন কমেছে মোবাইল ব্যাংকিংয়ে কর্ণফুলী ইন্স্যুরেন্স](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2023/03/mobile-banking.jpg)
গত ডিসেম্বর থেকে চলতি বছরের মার্চ পর্যন্ত মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস (এমএফএস) বা মোবাইল ব্যাংকিংয়ে লেনদেন ছিল ঊর্ধ্বমুখী। তবে চলতি বছরের এপ্রিল মাসে কমে লেনদেন। পরে মে মাসে আরও কমে যায়। চলতি বছরের এপ্রিল মাসের তুলনায় মে মাসে লেনদেন কমেছে ৩ হাজার ৯৭৭ কোটি টাকা। তবে এসময়ে মোবাইল ব্যাংকিংয়ে নিবন্ধিত গ্রাহক বেড়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদনে এসব তথ্য উঠে এসেছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য বলছে, চলতি বছরের মে মাসে মোবাইল ব্যাংকিং সেবার মাধ্যমে মোট লেনদেন হয়েছে ১ লাখ ৪০ হাজার ৯৫২ কোটি টাকা। এর আগের মাস, এপ্রিলে এমএফএসের মাধ্যমে লেনদেন হয়েছিল ১ লাখ ৪৪ হাজার ৯২৯ কোটি টাকা। সে হিসাবে এক মাসের ব্যবধানে লেনদেন কমেছে ৩ হাজার ৯৭৭ কোটি ৪১ লাখ টাকা।
আলোচিত মে মাসে এমএফএস মাধ্যমে জমা (ক্যাশ ইন) হয়েছে ৪০ হাজার ৪৮৫ কোটি টাকা। আগের মাস এপ্রিলে এমএফএসগুলোতে জমার (ক্যাশ ইন) পরিমাণ ছিল ৪১ হাজার ৭৯৬ কোটি। সে হিসাবে এপ্রিলের তুলনায় মে মাসে জমা কমেছে ১ হাজার ৩১০ কোটি ৮১ লাখ টাকা।
মে মাসে উত্তোলন (ক্যাশ আউট) হয়েছে ৪৪ হাজার ৯৫৪ কোটি টাকা। আর আগের মাস এপ্রিলে উত্তোলন (ক্যাশ আউট) হয়েছিল ৪৬ হাজার ৯৮৭ কোটি টাকা। সেই হিসাবে এমএফএস মাধ্যমে এপ্রিলের তুলনায় মে মাসে ক্যাশ আউট কম হয়েছে ২ হাজার ৩২ কোটি টাকা।
আলোচিত মে মাসে ব্যক্তি থেকে ব্যক্তির হিসাবে লেনদেন হয়েছে ৩৬ হাজার ১৬১ কোটি টাকা যা এপ্রিলে ছিল ৩৭ হাজার ৯০৪ কোটি টাকা। সে হিসাবে এপ্রিলের তুলনায় মে মাসে লেনদেন কম হয়েছে ১ হাজার ৭৪২ কোটি ৮৪ লাখ টাকা। মে মাসে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের বেতন-ভাতা বাবদ বিতরণ করা হয়েছে ৪ হাজার ৫১ কোটি টাকা, পরিষেবার ৩ হাজার ১৪৩ কোটি টাকার বিল পরিশোধ করা হয়েছে।
মে মাসে মোবাইল ব্যাংকিং মাধ্যমে দেশে ৭২২ কোটি টাকার প্রবাসী আয় এসেছে। আগের মাস এপ্রিলে রেমিট্যান্স আসার পরিমাণ ছিল ৮৫৬ কোটি টাকা। সেই হিসাবে এপ্রিলের তুলনায় মে মাসে প্রবাসী আয় কমেছে ১৩৩ কোটি টাকা।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য বলছে, মোবাইল ব্যাংকিংয়ে নিবন্ধিত গ্রাহক বেড়েছে। ২০২৪ সালের মে মাসে নিবন্ধিত গ্রাহক সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২২ কোটি ৯৯ লাখ ১৮ হাজার ৯১৩ টি। আর আগের মাস এপ্রিলে সংখ্যাটি ছিল ২২ কোটি ৬৫ লাখ ৫ হাজার ৫৫৩টি। সে হিসাবে এক মাসের ব্যবধানে গ্রাহক সংখ্যা বেড়েছে ৩৪ লাখ ১৩ হাজার।
তথ্যমতে, নিবন্ধিত এসব হিসাবের মধ্যে পুরুষ গ্রাহক ১৩ কোটি ৩৬ লাখ ৭৩ হাজার ৬৯৭ আর নারী ৯ কোটি ৫৮ লাখ ৮৬ হাজার ২৬ জন। এসব হিসাবের মধ্যে শহরে ১০ কোটি ৯৮ লাখ ২ হাজার ৬৫৯টি এবং গ্রামে হিসাব সংখ্যা ১২ কোটি ৮৯ লাখ ৩৬ হাজার ২৬৪টি।
দেশে বর্তমানে বিকাশ, রকেট, ইউক্যাশ, মাই ক্যাশ, শিওর ক্যাশসহ নানান নামে ১৩টির মতো ব্যাংক ও প্রতিষ্ঠান এমএফএস সেবা দিয়ে যাচ্ছে। যার মাধ্যমে শুধু অর্থ পাঠানোই নয়, অনেক নতুন সেবাও মিলছে। বর্তমানে বিদ্যুৎ, গ্যাস, পানির বিল পরিশোধ, কেনাকাটার বিল পরিশোধ, বেতন-ভাতা বিতরণ ও বিদেশ থেকে টাকা পাঠানোসহ (রেমিট্যান্স) বিভিন্ন সেবা দেওয়া হচ্ছে মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে।