অর্থনীতি
এজেন্ট ব্যাংকিংয়ে লেনদেন-ঋণ বিতরণ বেড়েছে
ব্যাংকের সঙ্গে লেনদেন (টাকা জমা ও উত্তোলন) করতে সাধারণ মানুষকে এখন জেলা বা উপজেলা শহরে যেতে হয় না। হাতের নাগালেই পাচ্ছে এজেন্ট ব্যাংকিং, যার মাধ্যমে মিলছে এসব সুবিধা। সহজেই ব্যাংকে টাকা জমা ও উত্তোলনের সঙ্গে বিভিন্ন ব্যাংকের এজেন্ট ও আউটলেট থেকে ঋণ সুবিধাও পাচ্ছেন গ্রাহক। এতে ক্রমেই বাড়ছে এজেন্টের সংখ্যা। একই সঙ্গে বাড়ছে লেনদেন, আমানত ও ঋণ বিতরণ।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ হালনাগাদ প্রতিবেদন অনুযায়ী, চলতি বছরের মে মাসে এজেন্টগুলোর মাধ্যমে ঋণ বিতরণ করা হয়েছে ৮৬৯ কোটি ৪০ লাখ টাকা। যা তার আগের মাস এপ্রিলে হয়েছিল ৭২২ কোটি ৭৫ লাখ টাকা। সেই হিসাবে এক মাসের ব্যবধানে ঋণ বিতরণ বেড়েছে ১৪৬ কোটি ৬৫ লাখ টাকা।
শহরের চেয়ে গ্রামে এসব ঋণ বিতরণের পরিমাণ বেশি। মে মাসে শহরের এজেন্টগুলো বিতরণ করেছে ৩০৪ কোটি ৭ লাখ টাকা। গ্রামের এজেন্টগুলো বিতরণ করেছে ৫৬৫ কোটি ৯৩ লাখ টাকা। সে হিসাবে মাসটিতে শহরের চেয়ে গ্রামে ঋণ বিতরণ বেশি হয়েছে ২৬০ কোটি ৮২ লাখ টাকা।
প্রতিবেদন মতে, চলতি বছরের মে মাসে এজেন্ট ব্যাংকিং মাধ্যমে মোট লেনদেন হয়েছিল ৭১ হাজার ১৩৭ কোটি ৪৩ লাখ টাকা। আগের মাস এপ্রিলে এজেন্ট ব্যাংকিং সেবায় লেনদেন হয়েছিল ৬৭ হাজার ৪৫৮ কোটি ৬৩ লাখ টাকা। সে হিসাবে এক মাসের ব্যবধানে লেনদেন বেড়েছে ৪ হাজার ৬৭৯ কোটি ২৮ লাখ টাকা।
এসব লেনদেনের মধ্যে শহরের তুলনায় গ্রামে লেনদেন অনেক বেশি হয়েছে। আলোচিত মে মাসে শহরের এজেন্টগুলোতে লেনদেন হয়েছে ১৬ হাজার ৩৯১ কোটি ৪৮ লাখ টাকা। একই সময়ে গ্রামের এজেন্টগুলোতে লেনদেন হয়েছে ৫৫ হাজার ৭৪৬ কোটি ৯৫ লাখ টাকা। সে হিসাবে শহরের চেয়ে গ্রামে লেনদেন বেশি হয়েছে ৩৯ হাজার ৩৫৫ কোটি ৪৭ লাখ টাকা।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রতিবেদন অনুযায়ী, চলতি বছরের মে মাস শেষে এজেন্ট ব্যাংকিংয়ে মোট আমানতের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৩৭ হাজার ৮৬৩ কোটি ৮৩ লাখ টাকা। যা তার আগের মাস এপ্রিলে ছিল ৩৬ হাজার ৯৪৬ কোটি ৩০ লাখ টাকা। অর্থাৎ এক মাসের ব্যবধানে এজেন্ট ব্যাংকিংয়ে আমানত বেড়েছে ৯১৭ কোটি ৫৩ লাখ টাকা।
বর্তমানে দেশের ৩১ ব্যাংকে এজেন্ট ব্যাংকিং কার্যক্রম সেবা চালু রয়েছে। মে মাস শেষে এজেন্টের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৫ হাজার ৮৮৫টি। যা তার আগের মাস এপ্রিল শেষে ছিল ১৫ হাজার ৮৪০টি। এর মধ্যে শহরের এজেন্ট ২ হাজার ৪৭৭টি এবং গ্রামে এজেন্ট ব্যাংকিংয়ের শাখা রয়েছে ১৩ হাজার ৪০৮টি। মে মাস শেষে এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট দাঁড়িয়েছে ২১ হাজার ৪৫৫টি। এপ্রিলে আউটলেটের সংখ্যা ছিল ২১ হাজার ৫১৭টিতে। এজেন্ট ও আউটলেটের প্রায় সিংহভাগই গ্রামে।
আলোচিত মে মাস শেষে এজেন্ট ব্যাংকিংয়ে হিসাব সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২ কোটি ২৮ লাখ ২৭ হাজার ৮৮৫টি। আগের মাস এপ্রিল শেষে ছিল ২ কোটি ২৫ লাখ ৩২ হাজার ১৪৭টি। সে হিসাবে এক মাসের ব্যবধানে হিসাব সংখ্যা বেড়েছে ২ লাখ ৯৫ হাজার ৭০৪টি। এর মধ্যে শহরের হিসাবের সংখ্যা ৩১ লাখ ৭৯ হাজার ৬৪টি আর গ্রামে রয়েছে ১ কোটি ৯৬ লাখ ৪৮ হাজার ৭৯১টি।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
পোশাক রপ্তানিকারকদের ৭ দিনের বন্দর ডেমারেজ মওকুফ
পণ্য রপ্তানিতে সহায়তা করার জন্য তৈরি পোশাক খাতের চট্টগ্রাম বন্দরে অপেক্ষমাণ কন্টেইনারগুলোর ডেমারেজ চার্জ ৭ দিনের জন্য মওকুফের নীতিগত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে।
রোববার (২৮ জুলাই) সচিবালয়ে নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরীর সঙ্গে বাংলাদেশ গার্মেন্টস ম্যানুফ্যাকচারিং এক্সপোর্ট অ্যাসোসিয়েশনের (বিজিএমইএ) সভাপতি এস এম মান্নান (কচি)’র নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল সাক্ষাৎ করতে এলে প্রতিমন্ত্রী এ সিদ্ধান্তের কথা জানান।
তিনি বলেন, চট্টগ্রাম বন্দর দেশের অর্থনীতির চালিকাশক্তি। সম্প্রতি দেশবিরোধী কর্মকাণ্ডের সময়ে চট্টগ্রাম বন্দরের কার্যক্রম চালু ছিল। ডিজিটাল সার্ভিস/ডেটা সেন্টার দুষ্কৃতিকারীরা পুড়িয়ে দেওয়ার ফলে চট্টগ্রাম বন্দর ও কাস্টমসের সার্ভারে অনলাইন সংযোগ না থাকা/ধীরগতি থাকার কারণে তৈরি পোশাক রপ্তানিকারকরা নির্দিষ্ট সময়ে পণ্য খালাস করতে সক্ষম হননি।
তিনি আরও বলেন, বর্তমানে বন্দর ও কাস্টমসের সার্ভার চালু হওয়ার ফলে পণ্য খালাস প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। চট্টগ্রাম বন্দরের মাধ্যমে আমদানি রপ্তানি সংক্রান্ত কার্যক্রম নিরবচ্ছিন্নভাবে সম্পাদন এবং ক্রেতার নির্ধারিত লিড টাইমের মধ্যে পণ্য রপ্তানিতে সহায়তা করার জন্য তৈরি পোশাক খাতের অপেক্ষমাণ কন্টেইনারগুলোর ডেমারেজ চার্জ সাতদিনের জন্য মওকুফের নীতিগত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে।
প্রতিনিধি দলে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন প্রথম সহ-সভাপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম, সিনিয়র সহ-সভাপতি খন্দকার রফিকুল ইসলাম, সহ-সভাপতি রাকিবুল আলম চৌধুরী, পরিচালক আশিকুর রহমান ও পরিচালক মো. মহিউদ্দিন রুবেল।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
গ্রাহক বাড়লেও লেনদেন কমেছে মোবাইল ব্যাংকিংয়ে
গত ডিসেম্বর থেকে চলতি বছরের মার্চ পর্যন্ত মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস (এমএফএস) বা মোবাইল ব্যাংকিংয়ে লেনদেন ছিল ঊর্ধ্বমুখী। তবে চলতি বছরের এপ্রিল মাসে কমে লেনদেন। পরে মে মাসে আরও কমে যায়। চলতি বছরের এপ্রিল মাসের তুলনায় মে মাসে লেনদেন কমেছে ৩ হাজার ৯৭৭ কোটি টাকা। তবে এসময়ে মোবাইল ব্যাংকিংয়ে নিবন্ধিত গ্রাহক বেড়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদনে এসব তথ্য উঠে এসেছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য বলছে, চলতি বছরের মে মাসে মোবাইল ব্যাংকিং সেবার মাধ্যমে মোট লেনদেন হয়েছে ১ লাখ ৪০ হাজার ৯৫২ কোটি টাকা। এর আগের মাস, এপ্রিলে এমএফএসের মাধ্যমে লেনদেন হয়েছিল ১ লাখ ৪৪ হাজার ৯২৯ কোটি টাকা। সে হিসাবে এক মাসের ব্যবধানে লেনদেন কমেছে ৩ হাজার ৯৭৭ কোটি ৪১ লাখ টাকা।
আলোচিত মে মাসে এমএফএস মাধ্যমে জমা (ক্যাশ ইন) হয়েছে ৪০ হাজার ৪৮৫ কোটি টাকা। আগের মাস এপ্রিলে এমএফএসগুলোতে জমার (ক্যাশ ইন) পরিমাণ ছিল ৪১ হাজার ৭৯৬ কোটি। সে হিসাবে এপ্রিলের তুলনায় মে মাসে জমা কমেছে ১ হাজার ৩১০ কোটি ৮১ লাখ টাকা।
মে মাসে উত্তোলন (ক্যাশ আউট) হয়েছে ৪৪ হাজার ৯৫৪ কোটি টাকা। আর আগের মাস এপ্রিলে উত্তোলন (ক্যাশ আউট) হয়েছিল ৪৬ হাজার ৯৮৭ কোটি টাকা। সেই হিসাবে এমএফএস মাধ্যমে এপ্রিলের তুলনায় মে মাসে ক্যাশ আউট কম হয়েছে ২ হাজার ৩২ কোটি টাকা।
আলোচিত মে মাসে ব্যক্তি থেকে ব্যক্তির হিসাবে লেনদেন হয়েছে ৩৬ হাজার ১৬১ কোটি টাকা যা এপ্রিলে ছিল ৩৭ হাজার ৯০৪ কোটি টাকা। সে হিসাবে এপ্রিলের তুলনায় মে মাসে লেনদেন কম হয়েছে ১ হাজার ৭৪২ কোটি ৮৪ লাখ টাকা। মে মাসে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের বেতন-ভাতা বাবদ বিতরণ করা হয়েছে ৪ হাজার ৫১ কোটি টাকা, পরিষেবার ৩ হাজার ১৪৩ কোটি টাকার বিল পরিশোধ করা হয়েছে।
মে মাসে মোবাইল ব্যাংকিং মাধ্যমে দেশে ৭২২ কোটি টাকার প্রবাসী আয় এসেছে। আগের মাস এপ্রিলে রেমিট্যান্স আসার পরিমাণ ছিল ৮৫৬ কোটি টাকা। সেই হিসাবে এপ্রিলের তুলনায় মে মাসে প্রবাসী আয় কমেছে ১৩৩ কোটি টাকা।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য বলছে, মোবাইল ব্যাংকিংয়ে নিবন্ধিত গ্রাহক বেড়েছে। ২০২৪ সালের মে মাসে নিবন্ধিত গ্রাহক সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২২ কোটি ৯৯ লাখ ১৮ হাজার ৯১৩ টি। আর আগের মাস এপ্রিলে সংখ্যাটি ছিল ২২ কোটি ৬৫ লাখ ৫ হাজার ৫৫৩টি। সে হিসাবে এক মাসের ব্যবধানে গ্রাহক সংখ্যা বেড়েছে ৩৪ লাখ ১৩ হাজার।
তথ্যমতে, নিবন্ধিত এসব হিসাবের মধ্যে পুরুষ গ্রাহক ১৩ কোটি ৩৬ লাখ ৭৩ হাজার ৬৯৭ আর নারী ৯ কোটি ৫৮ লাখ ৮৬ হাজার ২৬ জন। এসব হিসাবের মধ্যে শহরে ১০ কোটি ৯৮ লাখ ২ হাজার ৬৫৯টি এবং গ্রামে হিসাব সংখ্যা ১২ কোটি ৮৯ লাখ ৩৬ হাজার ২৬৪টি।
দেশে বর্তমানে বিকাশ, রকেট, ইউক্যাশ, মাই ক্যাশ, শিওর ক্যাশসহ নানান নামে ১৩টির মতো ব্যাংক ও প্রতিষ্ঠান এমএফএস সেবা দিয়ে যাচ্ছে। যার মাধ্যমে শুধু অর্থ পাঠানোই নয়, অনেক নতুন সেবাও মিলছে। বর্তমানে বিদ্যুৎ, গ্যাস, পানির বিল পরিশোধ, কেনাকাটার বিল পরিশোধ, বেতন-ভাতা বিতরণ ও বিদেশ থেকে টাকা পাঠানোসহ (রেমিট্যান্স) বিভিন্ন সেবা দেওয়া হচ্ছে মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
তিনদিন চেক ক্লিয়ারিংয়ের নতুন সময়সূচি
কারফিউ চলাকালে ২৮, ২৯ ও ৩০ জুলাই (রবি, সোমবার ও মঙ্গলবার) ব্যাংক লেনদেনের নতুন সময়সূচি ঘোষণা করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এ তিনদিন চেক ক্লিয়ারিং হাউজের নতুন সময়সূচি চলবে।
রবিবার (২৮ জুলাই) বাংলাদেশ ব্যাংকের পেমেন্ট সিস্টেমস ডিপার্টমেন্ট থেকে এ সংক্রান্ত একটি নির্দেশনা দিয়েছে।
নির্দেশনা অনুযায়ী, বাংলাদেশ ব্যাংকে স্থাপিত রিয়েল টাইম গ্রস সেটেলমেন্ট (আরটিজিএস), স্বয়ংক্রিয় চেক নিকাশ ঘর (বাংলাদেশ অটোমেটেড ক্লিয়ারিং হাউজ-বিএসিএইচ বা ব্যাচ) এবং বাংলাদেশ ইলেকট্রনিক ফান্ডস ট্রান্সফার নেটওয়ার্ক (বিইএফটিএন) এ তিন প্ল্যাটফর্মের কার্যক্রম নতুন সময়সূচি অনুযায়ী চলবে। এসব সেবার মাধ্যমে এক শাখা থেকে অন্য শাখায় বা অন্য ব্যাংকের গ্রাহককে অর্থ পরিশোধ ও স্বয়ংক্রিয় চেক নিষ্পত্তি করে থাকে।
বিএসিএইচ-এর মাধ্যমে হাই ভ্যালু চেক (৫ লাখ টাকার বেশি) এবং রেগুলার ভ্যালু চেক (৫ লাখ টাকার কম) নিকাশ ব্যবস্থা নিষ্পত্তি করা হয়। হাই ভ্যালুর চেক ক্লিয়ারিংয়ের জন্য বেলা ১২টার মধ্যে পাঠাতে হবে। এগুলো বেলা ২টা ১৫ মিনিটের মধ্যে নিষ্পত্তি হবে। আর যেকোনো রেগুলার ভ্যালুর চেক বেলা সাড়ে ১২টার মধ্যে ক্লিয়ারিং হাউজে পাঠাতে হবে। এসব চেক বেলা ২টা ৪৫ মিনিটের মধ্যে নিষ্পত্তি হবে।
আরটিজিএস-এর গ্রাহক লেনদেন হবে সকাল ১০টা থেকে বেলা ২টা ৪৫ মিনিট পর্যন্ত। আন্তঃব্যাংক ট্রান্সফার ১০টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত। বাংলাদেশ ইলেকট্রনিক ফান্ডস ট্রান্সফার নেটওয়ার্ক (বিইএফটিএন) সেবা আগের নিয়মে চলবে বলে নির্দেশনায় বলা হয়েছে।
আরেক নির্দেশনায় বলা হয়, ২৮, ২৯ ও ৩০ জুলাই সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত দেশের বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর লেনদেন হবে। ব্যাংক খোলা থাকবে বিকেল সাড়ে তিনটা পর্যন্ত। একই সঙ্গে ব্যাংক শাখাগুলোতে সব স্বাভাবিক লেনদেন চলবে।
স্বাভাবিক সময়ে সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত ব্যাংকে লেনদেন চলে। আর ব্যাংকের দাপ্তরিক কার্যক্রম চলে সন্ধ্যা ছয়টা পর্যন্ত।
এর আগে কারফিউ ও সাধারণ ছুটির কারণে টানা তিন দিন বন্ধের পর গত ২৪ ও ২৫ জুলাই ব্যাংকগুলোর কিছু শাখা খোলে। এসব শাখায় বেলা ১১টা থেকে বেলা ৩টা পর্যন্ত সীমিত পর্যায়ে কিছু সেবা দেওয়া হয়।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
পুঁজিবাজারে নতুন সময়সূচি, আজ থেকে ৪ ঘণ্টা লেনদেন
দেশের পুঁজিবাজারে লেনদেনের নতুন সময়সূচি নির্ধারণ করা হয়েছে। নতুন সময়সূচি অনুসারে চলতি সপ্তাহের প্রথম তিন কার্যদিবস রবি থেকে মঙ্গলবার পর্যন্ত সকাল ১০টা থেকে বেলা ২ পর্যন্ত ৪ ঘণ্টা লেনদেন হবে পুঁজিবাজারে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ও চিটাগং স্টক একচেঞ্জ (সিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। এর আগে গত সপ্তাহের বুধ ও বৃহস্পতিবার দুদিন পুঁজিবাজারে বেলা ১১টা থেকে ২টা পর্যন্ত ৩ ঘণ্টা লেনদেন হয়েছে।
গতকাল জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে সরকারি-বেসরকারি অফিসের সময়সূচি সকাল ৯টা থেকে বেলা ৩টা পর্যন্ত নির্ধারণ করা হয়েছে। ২৮-৩০ জুলাই পর্যন্ত এ সময়সূচি কার্যকর থাকবে। এর পরিপ্রেক্ষিতে ব্যাংকিং লেনদেনের সময়সূচি সকাল ১০টা থেকে বেলা ৩টা পর্যন্ত নির্ধারণ করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এরই ধারাবাহিকতায় দেশের পুঁজিবাজারে সকাল ১০টা থেকে বেলা ২টা পর্যন্ত লেনদেনের সময়সূচি নির্ধারণ করেছে স্টক এক্সচেঞ্জ কর্তৃপক্ষ।
ডিএসইর উপ মহাব্যবস্থাপক শফিকুর রহমানের পাঠানো এক তথ্যে জানা গেছে, আজ সকাল ১০টা থেকে বেলা ১টা ৫০ মিনিট পর্যন্ত সরাসরি লেনদেন হবে পুঁজিবাজারে। আর বেলা ১টা ৫০ মিনিট থেকে ২টা পর্যন্ত পোস্ট ক্লোজিং সেশন।
চিটাগং স্টক এক্সচেঞ্জের জনসংযোগ কর্মকর্তা তানিয়া বেগম গণমাধ্যমকে জানান, সিএসইতে ডিএসইর মতোই লেনদেন সকাল ১০টায় শুরু হয়ে চলবে দুপুর ২টা পর্যন্ত। পোস্ট ক্লোজিংয়ের সময় থাকবে দুপুর ১টা ৫০ থেকে ২টা পর্যন্ত।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
ছয় দিনেও আসেনি এক দিনের সমান প্রবাসী আয়
গত এক সপ্তাহে উল্লেখযোগ্য পরিমাণে কমেছে প্রবাসী আয়। ১৯ থেকে ২৪ জুলাই ছয় দিনে দেশে রেমিট্যান্স এসেছে ৭ কোটি ৮০ লাখ মার্কিন ডলার। অথচ চলতি মাসের প্রথম ১৮ দিনে প্রতিদিন গড়ে প্রবাসী আয় এসেছিল ৭ কোটি ৯০ লাখ ডলার। তাতে দেখা যাচ্ছে, মাসের প্রথম ভাগে এক দিনের যে পরিমাণ প্রবাসী আয় এসেছিল, সর্বশেষ গত ছয় দিনে এসেছে তার সমপরিমাণ।
বাংলাদেশ ব্যাংকের রেমিট্যান্স সংক্রান্ত হালনাগাদ প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য পাওয়া গেছে।
গত ১৯ থেকে ২৪ জুলাই পর্যন্ত অবশ্য ব্যাংকিং কার্যক্রম চলেছে মাত্র এক দিন। শিক্ষার্থীদের কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে দেশজুড়ে যে পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল, তা নিয়ন্ত্রণে ১৯ জুলাই শুক্রবার রাত থেকে কারফিউ জারি করে সরকার। এরপর মঙ্গলবার পর্যন্ত ব্যাংক বন্ধ ছিল। ইন্টারনেট সংযোগ না থাকায় ব্যাংকের অনলাইন লেনদেনও বন্ধ ছিল। কয়েক দিন লেনদেন বন্ধের পর ২৪ জুলাই ব্যাংক চালু হয়। ওই দিন লেনদেন চলে বেলা ১১টা থেকে ৩টা পর্যন্ত চার ঘণ্টা। ব্যাংকিং কার্যক্রম বন্ধ থাকায় ১৯ জুলাই থেকে ২৩ জুলাই বৈধ পথে তথা ব্যাংকের মাধ্যমে দেশে প্রবাসী আয় আসাও সম্ভব ছিল না। এ সময়ের মধ্যে যাঁরা বিদেশ থেকে প্রবাসী আয় পাঠিয়েছেন, গত বুধবার ব্যাংক খোলার প্রথম দিনেই তা দেশের ব্যাংকে জমা হওয়ার কথা ছিল; কিন্তু সেটি হয়নি।
বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তারা বলছেন, যদি কেউ বিদেশ থেকে প্রবাসী আয় পাঠিয়ে থাকেন, ব্যাংকগুলো তা ২৪ ঘণ্টার মধ্যে বিতরণ করতে বাধ্য; কিন্তু সংশ্লিষ্ট দেশের প্রবাসী আয় প্রেরণকারী রেমিট্যান্স হাউসগুলো যদি এ আয় ধরে রাখে, তাতে তা দেশে আসতে কিছুটা সময় লাগতে পারে।
গত বছরের ১ থেকে ২৪ জুলাই দেশে বৈধ পথে প্রবাসী আয় এসেছিল ১৫৮ কোটি ৬০ লাখ ডলার। চলতি মাসের একই সময়ে এসেছে ১৫০ কোটি ডলার। গত ১৯ থেকে ২৪ জুলাই পর্যন্ত অবশ্য ব্যাংকিং কার্যক্রম চলেছে মাত্র এক দিন।
কেন্দ্রীয় ব্যাংক সূত্রে জানা গেছে, ২০২৩ সালের ১ থেকে ১৮ জুলাই প্রবাসী আয় এসেছিল ১২৯ কোটি ৭০ লাখ ডলার। আর চলতি বছরের ১ থেকে ১৮ জুলাই দেশে বৈধ পথে প্রবাসী আয় এসেছে ১৪২ কোটি ২০ লাখ ডলার। ফলে গত বছরের তুলনায় চলতি বছরের জুলাইয়ের প্রথম ১৮ দিনে প্রবাসী আয়ে বড় উল্লম্ফন শুরু হয়েছিল। চলতি মাসের ১৮ তারিখ পর্যন্ত প্রতিদিন গড়ে ৭ কোটি ৯০ লাখ ডলার প্রবাসী আয় দেশে এসেছিল।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য মতে, গত বছরের ১ থেকে ২৪ জুলাই দেশে বৈধ পথে প্রবাসী আয় এসেছিল ১৫৮ কোটি ৬০ লাখ ডলার। চলতি মাসের একই সময়ে এসেছে ১৫০ কোটি ডলার। এর মধ্যে প্রথম ১৮ দিনে এসেছিল ১৪২ কোটি ২০ লাখ ডলার। আর ১৯ থেকে ২৪ জুলাই ছয় দিনে এসেছে ৭ কোটি ৮০ লাখ ডলার। এর আগে গত জুনে ২৫৪ কোটি ডলার আয় দেশে পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা। জুনে দেশে যে পরিমাণ প্রবাসী আয় এসেছিল, তা একক কোনো মাসের হিসাবে গত তিন বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ। এর আগে সর্বশেষ ২০২০ সালের জুলাইয়ে ২৫৯ কোটি ডলার প্রবাসী আয় এসেছিল।
কাফি