জাতীয়
উন্নয়নের যাত্রা বাধাগ্রস্ত করতে ধ্বংসযজ্ঞ চালানো হয়েছে: তাজুল ইসলাম
উন্নয়নের যাত্রাকে বাধাগ্রস্ত এবং বাংলাদেশের অগ্রযাত্রাকে পিছিয়ে রাখার জন্য স্বাধীনতাবিরোধী চক্র ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়েছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম।
আজ রবিবার (২৮ জুলাই) সহিংসতায় ক্ষতিগ্রস্ত ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের বিভিন্ন স্থান পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এ কথা বলেন।
এসময় মন্ত্রী ডেমরা রোডে ভস্মীভূত হানিফ উড়াল সেতুর টোল প্লাজা, ৬৩ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলরের ক্ষতিগ্রস্ত কার্যালয় (মৃধাবাড়ি), চট্টগ্রাম রোডে ভস্মীভূত হানিফ উড়াল সেতুর ক্ষতিগ্রস্ত টোল প্লাজা এবং তৎসংলগ্ন সংরক্ষিত আসনের ওয়ার্ড কাউন্সিলরের ক্ষতিগ্রস্ত কার্যালয় এবং ধলপুরে দক্ষিণ সিটির যান্ত্রিক বিভাগে (গোলাপবাগ মাঠের কোণায়, ধলপুর বাজার সংলগ্ন) ভস্মীভূত ৩টি ডাম্প ট্রাকসহ ক্ষতিগ্রস্ত স্থান পরিদর্শন করেন।
মো. তাজুল ইসলাম বলেন, স্বাধীনতাবিরোধী একটি চক্র এবং তার দোসররা একসঙ্গে হয়ে দেশে অরাজকতা সৃষ্টির চেষ্টা করছে। এই অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরি করে তারা চায় দেশকে পিছিয়ে দিতে এবং মানুষের আকাঙ্ক্ষাকে ধ্বংস করতে। কিন্তু এ দেশের দেশপ্রেমিক আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীসহ সাধারণ মানুষ তা সফল হতে দেননি।
তিনি বলেন, কি দোষ করেছিল মেট্রোরেল স্টেশন, কি দোষ করেছিল এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের টোল প্লাজা, কি দোষ ছিল সিটি কর্পোরেশনের আবর্জনা পরিষ্কারের যানবাহনের। মেট্রোরেলে প্রতিদিন তিন থেকে সাড়ে তিন লাখ মানুষ যাতায়াত করে। সে মেট্রোরেল স্টেশনে আজ ভাঙচুর করা হয়েছে। এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের টোল প্লাজা আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। সিটি কর্পোরেশনের আবর্জনা পরিবহন গাড়ি প্রতিদিন ময়লা পরিষ্কার করে ঢাকা মহানগরীর মানুষকে স্বস্তিকর জীবন দিচ্ছে, সে আবর্জনা পরিবহনকারী ডাম্প ট্রাকগুলো আগুন দিয়ে সম্পূর্ণভাবে ধ্বংস করা হয়েছে। এতেই বোঝা যায়, এরা দেশের শত্রু, এরা দেশের অগ্রগতি সহ্য করতে পারে না।
চলমান নাশকতায় দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের ক্ষতির পরিমাণ এবং এ থেকে উত্তরণের উপায় কী– এমন প্রশ্নের জবাবে স্থানীয় সরকার মন্ত্রী বলেন, চলমান সহিংসতায় দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের প্রাথমিক ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ ১০ কোটি টাকা অনুমেয় হলেও সামগ্রিকভাবে এই ক্ষতির পরিমাণ অনেক। নাশকতায় দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের যে ক্ষতি হয়েছে তা পূরণে মন্ত্রণালয় এবং সিটি কর্পোরেশন যুগপৎভাবে কাজ করবে। দ্রুত এই ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে মন্ত্রণালয়, সিটি কর্পোরেশনের মেয়রসহ সব কাউন্সিলর ঐক্যবদ্ধ।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
এজেন্ট ব্যাংকিংয়ে লেনদেন-ঋণ বিতরণ বেড়েছে
ব্যাংকের সঙ্গে লেনদেন (টাকা জমা ও উত্তোলন) করতে সাধারণ মানুষকে এখন জেলা বা উপজেলা শহরে যেতে হয় না। হাতের নাগালেই পাচ্ছে এজেন্ট ব্যাংকিং, যার মাধ্যমে মিলছে এসব সুবিধা। সহজেই ব্যাংকে টাকা জমা ও উত্তোলনের সঙ্গে বিভিন্ন ব্যাংকের এজেন্ট ও আউটলেট থেকে ঋণ সুবিধাও পাচ্ছেন গ্রাহক। এতে ক্রমেই বাড়ছে এজেন্টের সংখ্যা। একই সঙ্গে বাড়ছে লেনদেন, আমানত ও ঋণ বিতরণ।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ হালনাগাদ প্রতিবেদন অনুযায়ী, চলতি বছরের মে মাসে এজেন্টগুলোর মাধ্যমে ঋণ বিতরণ করা হয়েছে ৮৬৯ কোটি ৪০ লাখ টাকা। যা তার আগের মাস এপ্রিলে হয়েছিল ৭২২ কোটি ৭৫ লাখ টাকা। সেই হিসাবে এক মাসের ব্যবধানে ঋণ বিতরণ বেড়েছে ১৪৬ কোটি ৬৫ লাখ টাকা।
শহরের চেয়ে গ্রামে এসব ঋণ বিতরণের পরিমাণ বেশি। মে মাসে শহরের এজেন্টগুলো বিতরণ করেছে ৩০৪ কোটি ৭ লাখ টাকা। গ্রামের এজেন্টগুলো বিতরণ করেছে ৫৬৫ কোটি ৯৩ লাখ টাকা। সে হিসাবে মাসটিতে শহরের চেয়ে গ্রামে ঋণ বিতরণ বেশি হয়েছে ২৬০ কোটি ৮২ লাখ টাকা।
প্রতিবেদন মতে, চলতি বছরের মে মাসে এজেন্ট ব্যাংকিং মাধ্যমে মোট লেনদেন হয়েছিল ৭১ হাজার ১৩৭ কোটি ৪৩ লাখ টাকা। আগের মাস এপ্রিলে এজেন্ট ব্যাংকিং সেবায় লেনদেন হয়েছিল ৬৭ হাজার ৪৫৮ কোটি ৬৩ লাখ টাকা। সে হিসাবে এক মাসের ব্যবধানে লেনদেন বেড়েছে ৪ হাজার ৬৭৯ কোটি ২৮ লাখ টাকা।
এসব লেনদেনের মধ্যে শহরের তুলনায় গ্রামে লেনদেন অনেক বেশি হয়েছে। আলোচিত মে মাসে শহরের এজেন্টগুলোতে লেনদেন হয়েছে ১৬ হাজার ৩৯১ কোটি ৪৮ লাখ টাকা। একই সময়ে গ্রামের এজেন্টগুলোতে লেনদেন হয়েছে ৫৫ হাজার ৭৪৬ কোটি ৯৫ লাখ টাকা। সে হিসাবে শহরের চেয়ে গ্রামে লেনদেন বেশি হয়েছে ৩৯ হাজার ৩৫৫ কোটি ৪৭ লাখ টাকা।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রতিবেদন অনুযায়ী, চলতি বছরের মে মাস শেষে এজেন্ট ব্যাংকিংয়ে মোট আমানতের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৩৭ হাজার ৮৬৩ কোটি ৮৩ লাখ টাকা। যা তার আগের মাস এপ্রিলে ছিল ৩৬ হাজার ৯৪৬ কোটি ৩০ লাখ টাকা। অর্থাৎ এক মাসের ব্যবধানে এজেন্ট ব্যাংকিংয়ে আমানত বেড়েছে ৯১৭ কোটি ৫৩ লাখ টাকা।
বর্তমানে দেশের ৩১ ব্যাংকে এজেন্ট ব্যাংকিং কার্যক্রম সেবা চালু রয়েছে। মে মাস শেষে এজেন্টের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৫ হাজার ৮৮৫টি। যা তার আগের মাস এপ্রিল শেষে ছিল ১৫ হাজার ৮৪০টি। এর মধ্যে শহরের এজেন্ট ২ হাজার ৪৭৭টি এবং গ্রামে এজেন্ট ব্যাংকিংয়ের শাখা রয়েছে ১৩ হাজার ৪০৮টি। মে মাস শেষে এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট দাঁড়িয়েছে ২১ হাজার ৪৫৫টি। এপ্রিলে আউটলেটের সংখ্যা ছিল ২১ হাজার ৫১৭টিতে। এজেন্ট ও আউটলেটের প্রায় সিংহভাগই গ্রামে।
আলোচিত মে মাস শেষে এজেন্ট ব্যাংকিংয়ে হিসাব সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২ কোটি ২৮ লাখ ২৭ হাজার ৮৮৫টি। আগের মাস এপ্রিল শেষে ছিল ২ কোটি ২৫ লাখ ৩২ হাজার ১৪৭টি। সে হিসাবে এক মাসের ব্যবধানে হিসাব সংখ্যা বেড়েছে ২ লাখ ৯৫ হাজার ৭০৪টি। এর মধ্যে শহরের হিসাবের সংখ্যা ৩১ লাখ ৭৯ হাজার ৬৪টি আর গ্রামে রয়েছে ১ কোটি ৯৬ লাখ ৪৮ হাজার ৭৯১টি।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
মশক কর্মীদের কাজ মূল্যায়ন করতে ডিএনসিসির কমিটি
আন্তঃবিভাগীয় সমন্বয় সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী মশক কর্মীদের কাজের সামগ্রিক মূল্যায়নের জন্য ৫ সদস্যের কমিটি গঠন করেছে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন (ডিএনসিসি)।
রোববার (২৮ জুলাই) ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
এর আগে ডিএনসিসির সচিব মাসুদ আলম ছিদ্দিক একটি অফিস আদেশ জারি করে এই কমিটি গঠন করে দিয়েছেন।
সচিব মাসুদ আলম ছিদ্দিক জানান, এই ৫ সদস্যের কমিটির আহ্বায়ক করা হয়েছে ডিএনসিসির উপপ্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তাকে এবং সদস্য সচিব করা হয়েছে সহকারী স্বাস্থ্য কর্মকর্তাকে।
কমিটির বাকি সদস্যরা হলেন, ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের স্বাস্থ্য কর্মকর্তা, ডিএনসিসির নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাহমুদুল হাসান এবং সহকারী প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা আরাফাত হোসেন।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
ঢাকায় নিজ দেশের নাগরিকদের সতর্ক করল মার্কিন দূতাবাস
কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে চলমান পরিস্থিতিতে বাংলাদেশে অবস্থানরত মার্কিন নাগরিকদের জন্য নিরাপত্তা সতর্কতা জারি করেছে ঢাকাস্থ মার্কিন দূতাবাস।
রোববার (২৮ জুলাই) দূতাবাসের জারি করা সতর্কবার্তায় আরও বলা হয়, কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে চলমান পরিস্থিতিতে মার্কিন নাগরিকেরা যেন চলাচলের ক্ষেত্রে সতর্কতা অবলম্বন করেন। এ ছাড়া নাগরিকদের মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ফিরে যাওয়ার বিষয়টিও বিবেচনা করতে বলা হয়েছে।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, মার্কিন নাগরিকদের যেকোনো বিক্ষোভ এবং বড় সমাবেশের আশপাশে সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত। ব্যক্তিগত নিরাপত্তা পরিকল্পনা পর্যালোচনা করুন। স্থানীয় ঘটনাসহ আপনার আশপাশের পরিস্থিতির বিষয়ে সচেতন থাকুন এবং কী ঘটছে সে বিষয়ে অবহিত থাকার জন্য স্থানীয় সংবাদমাধ্যমগুলো পর্যবেক্ষণ করুন। এ পরিস্থিতিতে নাগরিকরা যদি পরিবারের সদস্যদের সাথে যোগাযোগ করতে চায় তবে ফোন, এসএমএস এবং ইন্টারনেট পরিষেবার মাধ্যমে যোগাযোগ করতে বলা হয়।
এতে আরও বলা হয়, হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে আন্তর্জাতিক এবং অভ্যন্তরীণ ফ্লাইটগুলো স্বাভাবিক রয়েছে। তবে যাত্রীদের অবশ্যই টিকিট বা ই-টিকিট (মুদ্রিত, ডিজিটাল বা এসএমএস অনুলিপি) সঙ্গে রাখতে হবে যা কারফিউ পাস হিসাবে কাজ করবে।
সতর্কবার্তায় বলা হয়েছে, ঢাকাস্থ মার্কিন দূতাবাস আগামী ২৯ জুলাই থেকে সীমিত আকারে নিয়মিত কনস্যুলার সেবা দেওয়া শুরু করবে।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
ছাত্রলীগ নেতাদের পেটানো এডিসি হারুনের বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার
পুলিশের রমনা বিভাগের অতিরিক্ত উপপুলিশ কমিশনার (এডিসি) হারুন অর রশিদের বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করা হয়েছে। ছাত্রলীগের তিন নেতাকে থানায় নিয়ে মারধরের ঘটনায় তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছিল।
সম্প্রতি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক প্রজ্ঞাপনে তার বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহারের কথা জানানো হয়।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, পুলিশ অধিদপ্তরের পত্রের পরিপ্রেক্ষিতে রংপুর রেঞ্জ ডিআইজির কার্যালয়ে সংযুক্ত অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হারুন অর রশিদের সাময়িক বরখাস্তের আদেশ প্রত্যাহার করা হলো।
রাষ্ট্রপতির সহকারী একান্ত সচিব (এপিএস) আজিজুল হকের সঙ্গে পুলিশের রমনা বিভাগের এডিসি হারুন অর রশিদের ব্যক্তিগত বিষয় নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে গত ৯ সেপ্টেম্বর ছাত্রলীগের তিন নেতাকে থানায় এনে মারধর করা হয়। এ নিয়ে তীব্র সমালোচনার মুখে ১১ সেপ্টেম্বর এডিসি হারুনকে সাময়িক বরখাস্ত করে ১২ সেপ্টেম্বর রংপুর রেঞ্জে সংযুক্ত করা হয়।
ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, শাহবাগ থানায় ওসির (তদন্ত) কক্ষে এই মারধরে নেতৃত্ব দেন এডিসি হারুন। তবে ঘটনার সূত্রপাত হয় বারডেম হাসপাতালে। সেখানে দুই পক্ষের মধ্যে মারধর ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। পরে ছাত্রলীগ নেতাদের মারধরের ঘটনা ঘটে।
ওই ঘটনার নেপথ্যের কারণ হিসেবে রাষ্ট্রপতির এপিএস আজিজুল ও এডিসি হারুনের মধ্যে ব্যক্তিগত দ্বন্দ্বের বিষয়টি সামনে আসে। সেই দ্বন্দ্ব ছিল আজিজুলের স্ত্রী সানজিদাকে কেন্দ্র করে। প্রশাসন ক্যাডারের আজিজুল ও পুলিশের এডিসি হারুন দুজনই ৩১তম বিসিএসে উত্তীর্ণ হয়ে সরকারি চাকরিতে যোগ দেন।
এ ঘটনায় পরে এডিসি হারুনকে সাময়িক বরখাস্ত করে পুলিশ অধিদপ্তরে সংযুক্ত করা হয়। এরপর তাকে রংপুর রেঞ্জ উপমহাপরিদর্শকের (ডিআইজি) কার্যালয়ে সংযুক্ত করা হয়। এ ঘটনায় শাহবাগ থানার পরিদর্শক (অপারেশন) গোলাম মোস্তফাকেও দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
বেনজীরের অস্বাভাবিক লেনদেনের প্রমাণ পেয়েছে দুদক
সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদের বিরুদ্ধে তদন্তে অস্বাভাবিক লেনদেনের তথ্য মিলেছে বলে জানিয়েছেন দুদকের আইনজীবী খুরশিদ আলম খান।
রবিবার (২৮ জুলাই) বিচারপতি নজরুল ইসলাম তালুকদারের দ্বৈত বেঞ্চে তদন্তের অগ্রগতি প্রতিবেদন হাইকোর্টে জমা দেয় দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
এ ব্যাপারে দুদকের আইনজীবী খুরশিদ আলম গণমাধ্যমকে বলেন, অস্বাভাবিক লেনদেনের বিষয়টি দুদকের অনুসন্ধানকারী দল খতিয়ে দেখছে। পাশাপাশি দেশের বাইরে আরও কিছু রয়েছে কি না সেটিও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
এর আগে গণমাধ্যমে বেনজীরের দুর্নীতি ও সম্পদের পাহাড় নিয়ে প্রতিবেদনের পর নড়েচড়ে বসে দুদক। ঢাকা, গোপালগঞ্জ, মাদারীপুর, বান্দরবান ও গাজীপুরে নামে-বেনামে বিভিন্ন সম্পদের তথ্য পায় সংস্থাটি। এরপর থেকে ধারণা করা হয়, বিপুল অর্থ-সম্পদ বিদেশে পাচার করেছেন বেনজীর। দুদক জানিয়েছে, অগ্রগতি প্রতিবেদনে তারই তথ্য মিলেছে।
বেনজীরের দুর্নীতির অভিযোগ অনুসন্ধানে গত ২২ এপ্রিল কমিটি গঠন করে দুদক। পরিস্থিতি আঁচ করতে পেরে গত ২৩ এপ্রিল থেকে টাকা সরাতে থাকেন সাবেক এই আইজিপি। ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত কয়েকটি অ্যাকাউন্ট থেকে প্রায় ১৩ কোটি টাকা তোলেন বেনজীর, তার স্ত্রী জিসান মির্জা ও মেয়ে ফারহিন রিসতা।
দুদকের আইনজীবী খুরশীদ আলম খান বলেছেন, অনুসন্ধান শুরুর পর বেনজীরের টাকা সরিয়ে নেয়া এবং টাকা তোলার তৎপরতা প্রমাণ করে তার অপরাধপ্রবণ মানসিকতা।
তিন দফায় সাবেক আইজিপির প্রায় ৭শ’ বিঘা জমি ক্রোক করা হয়েছে। সেই সঙ্গে জব্দ রয়েছে, ১২টি ফ্ল্যাট, ৩৩টি ব্যাংক হিসাবসহ বিপুল পরিমাণ স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি। দেশে-বিদেশে নামে-বেনামে আরও সম্পত্তি থাকতে পারে বলে ধারণা দুদকের। সংস্থাটির আইনজীবী বলছেন, এ বিষয়ে শিগগিরই মামলার সিদ্ধান্ত আসবে।
উল্লেখ্য, গত ২ জুলাই বেনজীর ও তার পরিবারকে সম্পদের হিসাব দিতে নোটিশ জারি করে দুদক। এ জন্য সময় দেয়া হয়েছে ২১ কর্মদিবস। বেঁধে দেয়া এ সময় শেষ হবে এ মাসের শেষ সপ্তাহেই।
কাফি